জুলাই পুনর্জাগরণ উপলক্ষে আজ সাংস্কৃতিক আয়োজন ও ড্রোন শো

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের জন্য একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বিবেচনায় এর স্মৃতিকে পুনর্জাগরণের লক্ষ্যে আজ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজন করা হয়েছে ড্রোন শো, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, গানের অনুষ্ঠান, জুলাই নিয়ে স্মৃতিচারণাসহ নানা আয়োজন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ব্যবস্থাপনায় থাকছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, সহযোগিতায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে ‘মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম’ শিরোনামের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হবে। সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করবেন কণ্ঠশিল্পী সায়ান এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের কণ্ঠশিল্পীরা। এরপর থাকবে সায়ানের একক পরিবেশনা। তিনি গেয়ে শোনাবেন ‘আমিই বাংলাদেশ’, ‘জয় বাংলার’, ‘হুঁশিয়ারি’, ‘তাজ্জব বনে যাই’, ‘আমার নাম প্যালেস্টাইন’, ‘আমি জুলাইয়ের গল্প বলব’সহ বেশ কিছু গান।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। শুরুতেই দেখানো হবে ‘জুলাই উইমেন্স ডে’ উপলক্ষে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্মিত একটি তথ্যচিত্র। এরপর রয়েছে ‘দিপক কুমার গোস্বামী স্পিকিং’, ‘জুলাই বিষাদ সিন্ধু’সহ একাধিক চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় স্মৃতিচারণা পর্বে অংশ নেবেন জুলাইয়ে আন্দোলনকারী এবং শহীদ পরিবারের একাধিক সদস্য।

রাত ৮টায় গান নিয়ে মঞ্চে আসবে ব্যান্ড ইলা লা লা। তারা গেয়ে শোনাবে ‘সংগতি’, ‘অচিরজীবীর প্রার্থনা’, ‘বাঘের গান’, ‘নীল নির্বাসন’সহ বেশ কিছু গান। এরপর মঞ্চে আসবে ব্যান্ড এফ মাইনর। তারা পরিবেশন করবে ‘আলো আসবেই’, ‘মুক্তি’, ‘ডাহুক’, ‘মেয়ে’ প্রভৃতি। পারশা মাহজাবীন গেয়ে শোনাবেন ‘চলো ভুলে যাই’, ‘মুক্তির মন্দির’ ও ‘মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম’। অনুষ্ঠানের সর্বশেষ শিল্পী হিসেবে মঞ্চে আসবেন এলিটা করিম। তিনি গাইবেন ‘আমি বাংলায় গান গাই’, ‘ধনধান্য পুষ্পভরা’, ‘পলাশীর প্রান্তর’, ‘ঘুরে দাঁড়াও’ ও ‘বাংলাদেশ’ শিরোনামের গান। শিল্পী ও ব্যান্ডের পরিবেশনার ফাঁকে ফাঁকে জুলাই আন্দোলনের স্লোগান নিয়ে মঞ্চে আসবেন ‘স্লোগান গার্ল’রা।

রাত ১০টায় বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে মিউজিক্যাল ‘ড্রোন শো’। এতে ২ হাজার ড্রোন উড্ডয়নের মাধ্যমে জুলাইয়ের গল্প তুলে ধরা হবে। ড্রোন শোর প্রথম ধাপে দেখানো হবে কীভাবে বাংলাদেশ জুলাইয়ে এসে পৌঁছাল। দ্বিতীয় ধাপে দেখানো হবে কীভাবে ১৪ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জুলাইয়ের সূচনা হলো। অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।