
পাঁচ বছর আগে ভয়াবহ যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ভারতের দক্ষিণী চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী ভাবনা মেনন। ঘটনার পর মানসিকভাবে একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। কোনোভাবেই স্বাভাবিক হতে পারছিলেন না। দীর্ঘ সময় নীরব থাকার পর নারী দিবসে মুখ খুলেছেন এই নায়িকা। বলেছেন নির্যাতনের শিকার এক ভুক্তভোগী থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সংগ্রামের কথা।
প্রায় ৮০টি দক্ষিণী সিনেমায় অভিনয় করা এই নায়িকা জিতেছেন বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পুরস্কার। কিন্তু পুরস্কার, খ্যাতি, মেধা কোনোটিই তাঁকে রক্ষা করেনি ২০১৭ সালের সেই ঘটনা থেকে। সেই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রিশুর থেকে কোচি যাওয়ার পথে তাঁকে অপহরণ করা হয়। তার পর মানসিক ট্রমায় চলে গিয়েছিলেন। বিবিসি ইন্ডিয়ার গীতা পাণ্ডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভাবনা মেনন এসব বলেছেন।
ভাবনা এর আগেও একাধিকবার তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য মালায়লাম সিনেমার অভিনেতা দিলীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। কিন্তু দিলীপ তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বারবার। এখন তিনি জামিনে মুক্ত। যদিও আদালতে মেননের মামলার শুনানি এখনো চলছে।
বিবিসি ইন্ডিয়ার গীতা পাণ্ডেকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে মেনন বলেন, ‘আমি জীবন উপভোগকারী এক মানুষ। কিন্তু ওই ঘটনার পর আমার জীবন বদলে গিয়েছিল। বেশির ভাগ মানুষই কেবল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাদের হাস্যোজ্জ্বল ছবিগুলো দেখে, কিন্তু আমি যে নরকে গিয়েছিলাম, তা কেউই দেখেনি।’ ভাবনা বলেন, ‘এই ঘটনার পর আমি বারবার নিজেকে জিজ্ঞেস করতে থাকি, আমিই কেন, আমাকেই কেন? আমি কেবল নিজেকে দোষারোপ করছিলাম, আর এই জ্বালা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় খুঁজছিলাম।’
কিন্তু ভাবনা তখনই পরিত্রাণ পাননি। তবে ঘটনার চার বছর পর ভাবনা নিজেকে কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে সক্ষম হন। এ প্রসঙ্গে ভাবনা বলেন, ‘কিন্তু ২০২০ সালে বিচারকাজ শুরু হলো, আমিও মামলার সাক্ষ্য দিতে প্রায় ১৫ দিন আদালতে হাজির হলাম। এর পর থেকেই আমার বদলে যাওয়া শুরু। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি ছিল। আমি যে নারকীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে গেছি, তার প্রতিটি মুহূর্ত আমাকে মনে রাখতে হয়েছে। যদিও সব সময় চেয়েছি বিষয়টি ভুলে যেতে।’
ঘটনার দিন ভাবনা ত্রিশুর থেকে কোচি যাচ্ছিলেন। পরদিন সকালে কোচিতে একটি সিনেমার শুটিং ছিল। কিন্তু তাঁর আর শুটিংয়ে যাওয়া হয়নি। তার আগেই তাঁকে অপহরণ করা হয়। ভাবনা বলেছেন, ‘অপহরণকারীরা ভিডিও তৈরি করেছিল। হয়তো তারা আমাকে ব্ল্যাকমেল করতে চেয়েছিল।’
অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী—দুজনেই তারকা হওয়ায় এই মামলায় গণমাধ্যমের মনোযোগ ছিল ব্যাপক। কেবল তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আলোচনার বিষয়বস্তু ছিলেন ভাবনা। অনেকে তো তাঁর চরিত্র-নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছে, কেন তিনি সন্ধ্যা ৭টায় অত দূরের পথ ভ্রমণে বের হয়েছিলেন। কেউ কেউ তাঁকে গালিগালাজ করেছেন। আবার কেউ অভিযোগ করেছিলেন—মামলাটি ভাবনা সাজিয়েছেন আলোচনার কেন্দ্রে আসার জন্য।

এ প্রসঙ্গে ভাবনা ভারতীয় ডিজিটাল সম্প্রচার প্ল্যাটফর্ম ‘মোজো স্টোরি’-কে বলেন, ‘আমি বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিলাম, লক্ষ টুকরোয় বিভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। বিষয়গুলো খুবই কষ্টদায়ক ছিল। মাঝেমধ্যে কষ্টে আমি ফুসফুস ফাটিয়ে চিৎকার করে কাঁদতে চাইতাম। আমার সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’
ভাবনা জানিয়েছেন, ভারতীয় আইন অনুসারে—যারা যৌন নিপীড়নের শিকার হন, তাঁদের পরিচয় যেকোনো মূল্যে গোপনে সুরক্ষিত করা হয়। কিন্তু তিনি যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার পর ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো তাঁর পরিচয় গোপন না রেখে সবকিছু সবার সামনে উন্মুক্ত করে দেয়। ভাবনা বলেন, ‘আমি পরিচিত অভিনেত্রী ছিলাম। এবং ঘটনার পর প্রাথমিক প্রতিবেদনগুলোতে শুধু বলা হয়েছিল, আমাকে অপহরণ করা হয়েছে এবং এটি ভেবেই কিছু টিভি চ্যানেল আমার ছবি দেখায়। কিন্তু যৌন নিপীড়নের বিষয়টি সামনে আসার পর তারা আমার নাম ও ছবি সরিয়ে ফেলে। ততক্ষণে সবাই জেনে গিয়েছিল যে, এটি আমিই।’
ঘটনার পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও ভাবনা নিজে থেকে খুব বেশি কিছু জানাননি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে মেনন সেই দুর্দিনের কথা প্রথম খোলাসা করেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘এই যাত্রা আমার জন্য সহজ ছিল না। পাঁচ বছর ধরে আমার নাম-পরিচয় আমার ওপর চাপানো হামলার চাপে চাপা পড়ে আছে। আমি নিজে অপরাধ না করলেও আমাকেই অপমানিত করার, কথা থামিয়ে দেওয়ার এবং সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সে সময় কিছু মানুষ আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে এগিয়ে এসেছিলেন।’
ভাবনা জানিয়েছেন, তারকা হওয়ায় যেমন কিছু অসুবিধা ছিল, আবার কিছু বিশেষ সুবিধাও পেয়েছেন তিনি। তাঁর স্বামী ও পরিবারের পূর্ণ সমর্থন তাঁর প্রতি ছিল এবং রয়েছে। তাঁর বড়ভাই মামলার ব্যয়ভার বহন করেছেন।
ভাবনা বলছেন, ‘কমপক্ষে এক শবার আমার মনে হয়েছে আমি আর পারছি না, হাল ছেড়ে দিই। দেশ ছেড়ে কোথাও গিয়ে নতুন করে শুরু করার কথা, এমনকি আত্মহত্যার কথাও অনেকবার ভেবেছি। কিন্তু যতবার আমি হাল ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছি, ততবারই মনে হয়েছে—আমাকে আমার মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে হবে। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে। আমাকে প্রমাণ করতে হবে যে, আমি কিছু ভুল করিনি।’

পাঁচ বছর আগে ভয়াবহ যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ভারতের দক্ষিণী চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী ভাবনা মেনন। ঘটনার পর মানসিকভাবে একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। কোনোভাবেই স্বাভাবিক হতে পারছিলেন না। দীর্ঘ সময় নীরব থাকার পর নারী দিবসে মুখ খুলেছেন এই নায়িকা। বলেছেন নির্যাতনের শিকার এক ভুক্তভোগী থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সংগ্রামের কথা।
প্রায় ৮০টি দক্ষিণী সিনেমায় অভিনয় করা এই নায়িকা জিতেছেন বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পুরস্কার। কিন্তু পুরস্কার, খ্যাতি, মেধা কোনোটিই তাঁকে রক্ষা করেনি ২০১৭ সালের সেই ঘটনা থেকে। সেই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রিশুর থেকে কোচি যাওয়ার পথে তাঁকে অপহরণ করা হয়। তার পর মানসিক ট্রমায় চলে গিয়েছিলেন। বিবিসি ইন্ডিয়ার গীতা পাণ্ডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভাবনা মেনন এসব বলেছেন।
ভাবনা এর আগেও একাধিকবার তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য মালায়লাম সিনেমার অভিনেতা দিলীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। কিন্তু দিলীপ তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বারবার। এখন তিনি জামিনে মুক্ত। যদিও আদালতে মেননের মামলার শুনানি এখনো চলছে।
বিবিসি ইন্ডিয়ার গীতা পাণ্ডেকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে মেনন বলেন, ‘আমি জীবন উপভোগকারী এক মানুষ। কিন্তু ওই ঘটনার পর আমার জীবন বদলে গিয়েছিল। বেশির ভাগ মানুষই কেবল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাদের হাস্যোজ্জ্বল ছবিগুলো দেখে, কিন্তু আমি যে নরকে গিয়েছিলাম, তা কেউই দেখেনি।’ ভাবনা বলেন, ‘এই ঘটনার পর আমি বারবার নিজেকে জিজ্ঞেস করতে থাকি, আমিই কেন, আমাকেই কেন? আমি কেবল নিজেকে দোষারোপ করছিলাম, আর এই জ্বালা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় খুঁজছিলাম।’
কিন্তু ভাবনা তখনই পরিত্রাণ পাননি। তবে ঘটনার চার বছর পর ভাবনা নিজেকে কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে সক্ষম হন। এ প্রসঙ্গে ভাবনা বলেন, ‘কিন্তু ২০২০ সালে বিচারকাজ শুরু হলো, আমিও মামলার সাক্ষ্য দিতে প্রায় ১৫ দিন আদালতে হাজির হলাম। এর পর থেকেই আমার বদলে যাওয়া শুরু। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি ছিল। আমি যে নারকীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে গেছি, তার প্রতিটি মুহূর্ত আমাকে মনে রাখতে হয়েছে। যদিও সব সময় চেয়েছি বিষয়টি ভুলে যেতে।’
ঘটনার দিন ভাবনা ত্রিশুর থেকে কোচি যাচ্ছিলেন। পরদিন সকালে কোচিতে একটি সিনেমার শুটিং ছিল। কিন্তু তাঁর আর শুটিংয়ে যাওয়া হয়নি। তার আগেই তাঁকে অপহরণ করা হয়। ভাবনা বলেছেন, ‘অপহরণকারীরা ভিডিও তৈরি করেছিল। হয়তো তারা আমাকে ব্ল্যাকমেল করতে চেয়েছিল।’
অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী—দুজনেই তারকা হওয়ায় এই মামলায় গণমাধ্যমের মনোযোগ ছিল ব্যাপক। কেবল তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আলোচনার বিষয়বস্তু ছিলেন ভাবনা। অনেকে তো তাঁর চরিত্র-নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছে, কেন তিনি সন্ধ্যা ৭টায় অত দূরের পথ ভ্রমণে বের হয়েছিলেন। কেউ কেউ তাঁকে গালিগালাজ করেছেন। আবার কেউ অভিযোগ করেছিলেন—মামলাটি ভাবনা সাজিয়েছেন আলোচনার কেন্দ্রে আসার জন্য।

এ প্রসঙ্গে ভাবনা ভারতীয় ডিজিটাল সম্প্রচার প্ল্যাটফর্ম ‘মোজো স্টোরি’-কে বলেন, ‘আমি বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিলাম, লক্ষ টুকরোয় বিভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। বিষয়গুলো খুবই কষ্টদায়ক ছিল। মাঝেমধ্যে কষ্টে আমি ফুসফুস ফাটিয়ে চিৎকার করে কাঁদতে চাইতাম। আমার সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’
ভাবনা জানিয়েছেন, ভারতীয় আইন অনুসারে—যারা যৌন নিপীড়নের শিকার হন, তাঁদের পরিচয় যেকোনো মূল্যে গোপনে সুরক্ষিত করা হয়। কিন্তু তিনি যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার পর ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো তাঁর পরিচয় গোপন না রেখে সবকিছু সবার সামনে উন্মুক্ত করে দেয়। ভাবনা বলেন, ‘আমি পরিচিত অভিনেত্রী ছিলাম। এবং ঘটনার পর প্রাথমিক প্রতিবেদনগুলোতে শুধু বলা হয়েছিল, আমাকে অপহরণ করা হয়েছে এবং এটি ভেবেই কিছু টিভি চ্যানেল আমার ছবি দেখায়। কিন্তু যৌন নিপীড়নের বিষয়টি সামনে আসার পর তারা আমার নাম ও ছবি সরিয়ে ফেলে। ততক্ষণে সবাই জেনে গিয়েছিল যে, এটি আমিই।’
ঘটনার পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও ভাবনা নিজে থেকে খুব বেশি কিছু জানাননি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে মেনন সেই দুর্দিনের কথা প্রথম খোলাসা করেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘এই যাত্রা আমার জন্য সহজ ছিল না। পাঁচ বছর ধরে আমার নাম-পরিচয় আমার ওপর চাপানো হামলার চাপে চাপা পড়ে আছে। আমি নিজে অপরাধ না করলেও আমাকেই অপমানিত করার, কথা থামিয়ে দেওয়ার এবং সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সে সময় কিছু মানুষ আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে এগিয়ে এসেছিলেন।’
ভাবনা জানিয়েছেন, তারকা হওয়ায় যেমন কিছু অসুবিধা ছিল, আবার কিছু বিশেষ সুবিধাও পেয়েছেন তিনি। তাঁর স্বামী ও পরিবারের পূর্ণ সমর্থন তাঁর প্রতি ছিল এবং রয়েছে। তাঁর বড়ভাই মামলার ব্যয়ভার বহন করেছেন।
ভাবনা বলছেন, ‘কমপক্ষে এক শবার আমার মনে হয়েছে আমি আর পারছি না, হাল ছেড়ে দিই। দেশ ছেড়ে কোথাও গিয়ে নতুন করে শুরু করার কথা, এমনকি আত্মহত্যার কথাও অনেকবার ভেবেছি। কিন্তু যতবার আমি হাল ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছি, ততবারই মনে হয়েছে—আমাকে আমার মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে হবে। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে। আমাকে প্রমাণ করতে হবে যে, আমি কিছু ভুল করিনি।’

পাঁচ বছর আগে ভয়াবহ যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ভারতের দক্ষিণী চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী ভাবনা মেনন। ঘটনার পর মানসিকভাবে একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। কোনোভাবেই স্বাভাবিক হতে পারছিলেন না। দীর্ঘ সময় নীরব থাকার পর নারী দিবসে মুখ খুলেছেন এই নায়িকা। বলেছেন নির্যাতনের শিকার এক ভুক্তভোগী থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সংগ্রামের কথা।
প্রায় ৮০টি দক্ষিণী সিনেমায় অভিনয় করা এই নায়িকা জিতেছেন বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পুরস্কার। কিন্তু পুরস্কার, খ্যাতি, মেধা কোনোটিই তাঁকে রক্ষা করেনি ২০১৭ সালের সেই ঘটনা থেকে। সেই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রিশুর থেকে কোচি যাওয়ার পথে তাঁকে অপহরণ করা হয়। তার পর মানসিক ট্রমায় চলে গিয়েছিলেন। বিবিসি ইন্ডিয়ার গীতা পাণ্ডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভাবনা মেনন এসব বলেছেন।
ভাবনা এর আগেও একাধিকবার তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য মালায়লাম সিনেমার অভিনেতা দিলীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। কিন্তু দিলীপ তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বারবার। এখন তিনি জামিনে মুক্ত। যদিও আদালতে মেননের মামলার শুনানি এখনো চলছে।
বিবিসি ইন্ডিয়ার গীতা পাণ্ডেকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে মেনন বলেন, ‘আমি জীবন উপভোগকারী এক মানুষ। কিন্তু ওই ঘটনার পর আমার জীবন বদলে গিয়েছিল। বেশির ভাগ মানুষই কেবল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাদের হাস্যোজ্জ্বল ছবিগুলো দেখে, কিন্তু আমি যে নরকে গিয়েছিলাম, তা কেউই দেখেনি।’ ভাবনা বলেন, ‘এই ঘটনার পর আমি বারবার নিজেকে জিজ্ঞেস করতে থাকি, আমিই কেন, আমাকেই কেন? আমি কেবল নিজেকে দোষারোপ করছিলাম, আর এই জ্বালা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় খুঁজছিলাম।’
কিন্তু ভাবনা তখনই পরিত্রাণ পাননি। তবে ঘটনার চার বছর পর ভাবনা নিজেকে কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে সক্ষম হন। এ প্রসঙ্গে ভাবনা বলেন, ‘কিন্তু ২০২০ সালে বিচারকাজ শুরু হলো, আমিও মামলার সাক্ষ্য দিতে প্রায় ১৫ দিন আদালতে হাজির হলাম। এর পর থেকেই আমার বদলে যাওয়া শুরু। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি ছিল। আমি যে নারকীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে গেছি, তার প্রতিটি মুহূর্ত আমাকে মনে রাখতে হয়েছে। যদিও সব সময় চেয়েছি বিষয়টি ভুলে যেতে।’
ঘটনার দিন ভাবনা ত্রিশুর থেকে কোচি যাচ্ছিলেন। পরদিন সকালে কোচিতে একটি সিনেমার শুটিং ছিল। কিন্তু তাঁর আর শুটিংয়ে যাওয়া হয়নি। তার আগেই তাঁকে অপহরণ করা হয়। ভাবনা বলেছেন, ‘অপহরণকারীরা ভিডিও তৈরি করেছিল। হয়তো তারা আমাকে ব্ল্যাকমেল করতে চেয়েছিল।’
অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী—দুজনেই তারকা হওয়ায় এই মামলায় গণমাধ্যমের মনোযোগ ছিল ব্যাপক। কেবল তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আলোচনার বিষয়বস্তু ছিলেন ভাবনা। অনেকে তো তাঁর চরিত্র-নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছে, কেন তিনি সন্ধ্যা ৭টায় অত দূরের পথ ভ্রমণে বের হয়েছিলেন। কেউ কেউ তাঁকে গালিগালাজ করেছেন। আবার কেউ অভিযোগ করেছিলেন—মামলাটি ভাবনা সাজিয়েছেন আলোচনার কেন্দ্রে আসার জন্য।

এ প্রসঙ্গে ভাবনা ভারতীয় ডিজিটাল সম্প্রচার প্ল্যাটফর্ম ‘মোজো স্টোরি’-কে বলেন, ‘আমি বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিলাম, লক্ষ টুকরোয় বিভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। বিষয়গুলো খুবই কষ্টদায়ক ছিল। মাঝেমধ্যে কষ্টে আমি ফুসফুস ফাটিয়ে চিৎকার করে কাঁদতে চাইতাম। আমার সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’
ভাবনা জানিয়েছেন, ভারতীয় আইন অনুসারে—যারা যৌন নিপীড়নের শিকার হন, তাঁদের পরিচয় যেকোনো মূল্যে গোপনে সুরক্ষিত করা হয়। কিন্তু তিনি যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার পর ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো তাঁর পরিচয় গোপন না রেখে সবকিছু সবার সামনে উন্মুক্ত করে দেয়। ভাবনা বলেন, ‘আমি পরিচিত অভিনেত্রী ছিলাম। এবং ঘটনার পর প্রাথমিক প্রতিবেদনগুলোতে শুধু বলা হয়েছিল, আমাকে অপহরণ করা হয়েছে এবং এটি ভেবেই কিছু টিভি চ্যানেল আমার ছবি দেখায়। কিন্তু যৌন নিপীড়নের বিষয়টি সামনে আসার পর তারা আমার নাম ও ছবি সরিয়ে ফেলে। ততক্ষণে সবাই জেনে গিয়েছিল যে, এটি আমিই।’
ঘটনার পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও ভাবনা নিজে থেকে খুব বেশি কিছু জানাননি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে মেনন সেই দুর্দিনের কথা প্রথম খোলাসা করেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘এই যাত্রা আমার জন্য সহজ ছিল না। পাঁচ বছর ধরে আমার নাম-পরিচয় আমার ওপর চাপানো হামলার চাপে চাপা পড়ে আছে। আমি নিজে অপরাধ না করলেও আমাকেই অপমানিত করার, কথা থামিয়ে দেওয়ার এবং সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সে সময় কিছু মানুষ আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে এগিয়ে এসেছিলেন।’
ভাবনা জানিয়েছেন, তারকা হওয়ায় যেমন কিছু অসুবিধা ছিল, আবার কিছু বিশেষ সুবিধাও পেয়েছেন তিনি। তাঁর স্বামী ও পরিবারের পূর্ণ সমর্থন তাঁর প্রতি ছিল এবং রয়েছে। তাঁর বড়ভাই মামলার ব্যয়ভার বহন করেছেন।
ভাবনা বলছেন, ‘কমপক্ষে এক শবার আমার মনে হয়েছে আমি আর পারছি না, হাল ছেড়ে দিই। দেশ ছেড়ে কোথাও গিয়ে নতুন করে শুরু করার কথা, এমনকি আত্মহত্যার কথাও অনেকবার ভেবেছি। কিন্তু যতবার আমি হাল ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছি, ততবারই মনে হয়েছে—আমাকে আমার মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে হবে। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে। আমাকে প্রমাণ করতে হবে যে, আমি কিছু ভুল করিনি।’

পাঁচ বছর আগে ভয়াবহ যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ভারতের দক্ষিণী চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী ভাবনা মেনন। ঘটনার পর মানসিকভাবে একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। কোনোভাবেই স্বাভাবিক হতে পারছিলেন না। দীর্ঘ সময় নীরব থাকার পর নারী দিবসে মুখ খুলেছেন এই নায়িকা। বলেছেন নির্যাতনের শিকার এক ভুক্তভোগী থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সংগ্রামের কথা।
প্রায় ৮০টি দক্ষিণী সিনেমায় অভিনয় করা এই নায়িকা জিতেছেন বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পুরস্কার। কিন্তু পুরস্কার, খ্যাতি, মেধা কোনোটিই তাঁকে রক্ষা করেনি ২০১৭ সালের সেই ঘটনা থেকে। সেই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রিশুর থেকে কোচি যাওয়ার পথে তাঁকে অপহরণ করা হয়। তার পর মানসিক ট্রমায় চলে গিয়েছিলেন। বিবিসি ইন্ডিয়ার গীতা পাণ্ডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভাবনা মেনন এসব বলেছেন।
ভাবনা এর আগেও একাধিকবার তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য মালায়লাম সিনেমার অভিনেতা দিলীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। কিন্তু দিলীপ তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বারবার। এখন তিনি জামিনে মুক্ত। যদিও আদালতে মেননের মামলার শুনানি এখনো চলছে।
বিবিসি ইন্ডিয়ার গীতা পাণ্ডেকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে মেনন বলেন, ‘আমি জীবন উপভোগকারী এক মানুষ। কিন্তু ওই ঘটনার পর আমার জীবন বদলে গিয়েছিল। বেশির ভাগ মানুষই কেবল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাদের হাস্যোজ্জ্বল ছবিগুলো দেখে, কিন্তু আমি যে নরকে গিয়েছিলাম, তা কেউই দেখেনি।’ ভাবনা বলেন, ‘এই ঘটনার পর আমি বারবার নিজেকে জিজ্ঞেস করতে থাকি, আমিই কেন, আমাকেই কেন? আমি কেবল নিজেকে দোষারোপ করছিলাম, আর এই জ্বালা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় খুঁজছিলাম।’
কিন্তু ভাবনা তখনই পরিত্রাণ পাননি। তবে ঘটনার চার বছর পর ভাবনা নিজেকে কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে সক্ষম হন। এ প্রসঙ্গে ভাবনা বলেন, ‘কিন্তু ২০২০ সালে বিচারকাজ শুরু হলো, আমিও মামলার সাক্ষ্য দিতে প্রায় ১৫ দিন আদালতে হাজির হলাম। এর পর থেকেই আমার বদলে যাওয়া শুরু। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি ছিল। আমি যে নারকীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে গেছি, তার প্রতিটি মুহূর্ত আমাকে মনে রাখতে হয়েছে। যদিও সব সময় চেয়েছি বিষয়টি ভুলে যেতে।’
ঘটনার দিন ভাবনা ত্রিশুর থেকে কোচি যাচ্ছিলেন। পরদিন সকালে কোচিতে একটি সিনেমার শুটিং ছিল। কিন্তু তাঁর আর শুটিংয়ে যাওয়া হয়নি। তার আগেই তাঁকে অপহরণ করা হয়। ভাবনা বলেছেন, ‘অপহরণকারীরা ভিডিও তৈরি করেছিল। হয়তো তারা আমাকে ব্ল্যাকমেল করতে চেয়েছিল।’
অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী—দুজনেই তারকা হওয়ায় এই মামলায় গণমাধ্যমের মনোযোগ ছিল ব্যাপক। কেবল তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আলোচনার বিষয়বস্তু ছিলেন ভাবনা। অনেকে তো তাঁর চরিত্র-নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছে, কেন তিনি সন্ধ্যা ৭টায় অত দূরের পথ ভ্রমণে বের হয়েছিলেন। কেউ কেউ তাঁকে গালিগালাজ করেছেন। আবার কেউ অভিযোগ করেছিলেন—মামলাটি ভাবনা সাজিয়েছেন আলোচনার কেন্দ্রে আসার জন্য।

এ প্রসঙ্গে ভাবনা ভারতীয় ডিজিটাল সম্প্রচার প্ল্যাটফর্ম ‘মোজো স্টোরি’-কে বলেন, ‘আমি বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিলাম, লক্ষ টুকরোয় বিভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। বিষয়গুলো খুবই কষ্টদায়ক ছিল। মাঝেমধ্যে কষ্টে আমি ফুসফুস ফাটিয়ে চিৎকার করে কাঁদতে চাইতাম। আমার সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’
ভাবনা জানিয়েছেন, ভারতীয় আইন অনুসারে—যারা যৌন নিপীড়নের শিকার হন, তাঁদের পরিচয় যেকোনো মূল্যে গোপনে সুরক্ষিত করা হয়। কিন্তু তিনি যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার পর ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো তাঁর পরিচয় গোপন না রেখে সবকিছু সবার সামনে উন্মুক্ত করে দেয়। ভাবনা বলেন, ‘আমি পরিচিত অভিনেত্রী ছিলাম। এবং ঘটনার পর প্রাথমিক প্রতিবেদনগুলোতে শুধু বলা হয়েছিল, আমাকে অপহরণ করা হয়েছে এবং এটি ভেবেই কিছু টিভি চ্যানেল আমার ছবি দেখায়। কিন্তু যৌন নিপীড়নের বিষয়টি সামনে আসার পর তারা আমার নাম ও ছবি সরিয়ে ফেলে। ততক্ষণে সবাই জেনে গিয়েছিল যে, এটি আমিই।’
ঘটনার পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও ভাবনা নিজে থেকে খুব বেশি কিছু জানাননি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে মেনন সেই দুর্দিনের কথা প্রথম খোলাসা করেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘এই যাত্রা আমার জন্য সহজ ছিল না। পাঁচ বছর ধরে আমার নাম-পরিচয় আমার ওপর চাপানো হামলার চাপে চাপা পড়ে আছে। আমি নিজে অপরাধ না করলেও আমাকেই অপমানিত করার, কথা থামিয়ে দেওয়ার এবং সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সে সময় কিছু মানুষ আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে এগিয়ে এসেছিলেন।’
ভাবনা জানিয়েছেন, তারকা হওয়ায় যেমন কিছু অসুবিধা ছিল, আবার কিছু বিশেষ সুবিধাও পেয়েছেন তিনি। তাঁর স্বামী ও পরিবারের পূর্ণ সমর্থন তাঁর প্রতি ছিল এবং রয়েছে। তাঁর বড়ভাই মামলার ব্যয়ভার বহন করেছেন।
ভাবনা বলছেন, ‘কমপক্ষে এক শবার আমার মনে হয়েছে আমি আর পারছি না, হাল ছেড়ে দিই। দেশ ছেড়ে কোথাও গিয়ে নতুন করে শুরু করার কথা, এমনকি আত্মহত্যার কথাও অনেকবার ভেবেছি। কিন্তু যতবার আমি হাল ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছি, ততবারই মনে হয়েছে—আমাকে আমার মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে হবে। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে। আমাকে প্রমাণ করতে হবে যে, আমি কিছু ভুল করিনি।’

ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা
৬ ঘণ্টা আগে
মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী
৬ ঘণ্টা আগে
প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল।
৬ ঘণ্টা আগে
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘খুশবু’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি খুশবুতে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি চরিত্র—জালাল উদ্দিন কিস্যাকার। সুফির বেশভূষায় শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই কিস্যাকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোমেন। পুরো নাম মেহেদী হাসান সোমেন।
৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা। অবশেষে গত সোমবার রাতে ফেসবুক লাইভে আন্ধারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এল। সিয়াম, তুষির সঙ্গে এই সিনেমায় আরও আছেন চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, গাজী রাকায়েত, মোস্তফা মনওয়ার প্রমুখ। এ ছাড়া আন্ধার দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে ফররুখ আহমেদ রেহান ও স্বর্ণালী চৈতির।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা উপলক্ষে ভার্চুয়ালি আড্ডায় একত্র হন সিনেমার কলাকুশলীরা। উপস্থিত ছিলেন গল্পকার ও প্রযোজক শাকিব চৌধুরী, নির্মাতা রায়হান রাফী, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, মোস্তফা মনওয়ার, অভিনেত্রী আফসানা মিমি, নাজিফা তুষি ও চিত্রনাট্যকার আদনান আদিব খান। সেখানে সিনেমাটি নিয়ে কথা বলেন তাঁরা। নির্মাতা জানান, ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে আন্ধারের শুটিং।
রায়হান রাফী বলেন, ‘কখনো ভাবিনি, আমি অন্য কারও গল্প নিয়ে কাজ করব। এই প্রথম অন্য কারও গল্প নিয়ে কাজ করলাম। মুগ্ধ হয়ে কাজ করলাম, চিত্রনাট্য পড়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটা আমি বানাতে চাই। দুই বছর ধরে সেই স্বপ্ন লালন করে সিনেমার শুটিং শেষ করেছি। টিমের ভাষ্যমতে, এটা আমার বানানো সবচেয়ে ভালো সিনেমা হতে যাচ্ছে। বাকিটা দর্শক সিনেমা দেখার পর বলবেন।’
সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘আমি যত সিনেমায় কাজ করেছি, সেগুলোর মধ্যে এটা আমার শোনা গল্পের সবচেয়ে ডিটেইল চিত্রনাট্য। পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় এই সিনেমার ন্যারেশন শুনেছিলাম। আমি একটুও বিরক্ত হইনি। তার মানে, পুরো গল্প আমাকে ধরে রেখেছিল। আশা করি, হলেও দর্শকদের ধরে রাখবে।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা অভিনয়শিল্পীরা সব সময় চাই নতুন কিছু করতে; একই ধারার কাজ বারবার না করে ভিন্ন জনরা সৃষ্টি করতে। অনেক নির্মাতা এই ঝুঁকি নিতে চান না। ট্রেন্ডি গল্পে কাজ করতে পছন্দ করেন। আন্ধার সেই ধরনের সিনেমা, যেখানে আমরা সবাই নিজেদের দেখতে চাই। এ ধরনের কাজ নিজের আয়ু বাড়িয়ে দেয়। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে এক্সাইটিং বিষয় ছিল। আশা করি, এ ধরনের কাজ আরও হবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে।’
আফসানা মিমি বলেন, ‘এই সিনেমায় যুক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ, চরিত্রটি আমাকে টেনেছে। একটা গল্পের মধ্যে আমি কোথায় কতটুকু আছি, এটা আমাকে ভাবায় না। গল্পের আঙ্গিকে আমার চরিত্রটি কীভাবে আছে, সেটা আমাকে খুব টানে। সিনেমার শুটিংয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছি।’
এ সময় প্রযোজক বলেন, আন্ধার হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা। শোনা গিয়েছিল, এ বছরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে আন্ধার। তবে নির্মাতা জানালেন, পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ শেষ করে আগামী বছর সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। রাফী বলেন, ‘শুটিং শেষ হলেও আমাদের সিনেমার পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ করতে ৮-৯ মাস লাগবে। এটা শুধু বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজেটের সিনেমাই নয়, এটি দুই বাংলার অর্থাৎ বাংলা ভাষার সবচেয়ে বেশি ভিএফএক্স-নির্ভর সিনেমা। এটা এমন সিনেমা না যে শুটিং করলাম, এরপর রিলিজ করে দিলাম। সিনেমাটি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন। তাই সব কাজ গুছিয়ে আগামী বছর মুক্তি দেওয়া হবে।’

ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা। অবশেষে গত সোমবার রাতে ফেসবুক লাইভে আন্ধারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এল। সিয়াম, তুষির সঙ্গে এই সিনেমায় আরও আছেন চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, গাজী রাকায়েত, মোস্তফা মনওয়ার প্রমুখ। এ ছাড়া আন্ধার দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে ফররুখ আহমেদ রেহান ও স্বর্ণালী চৈতির।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা উপলক্ষে ভার্চুয়ালি আড্ডায় একত্র হন সিনেমার কলাকুশলীরা। উপস্থিত ছিলেন গল্পকার ও প্রযোজক শাকিব চৌধুরী, নির্মাতা রায়হান রাফী, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, মোস্তফা মনওয়ার, অভিনেত্রী আফসানা মিমি, নাজিফা তুষি ও চিত্রনাট্যকার আদনান আদিব খান। সেখানে সিনেমাটি নিয়ে কথা বলেন তাঁরা। নির্মাতা জানান, ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে আন্ধারের শুটিং।
রায়হান রাফী বলেন, ‘কখনো ভাবিনি, আমি অন্য কারও গল্প নিয়ে কাজ করব। এই প্রথম অন্য কারও গল্প নিয়ে কাজ করলাম। মুগ্ধ হয়ে কাজ করলাম, চিত্রনাট্য পড়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটা আমি বানাতে চাই। দুই বছর ধরে সেই স্বপ্ন লালন করে সিনেমার শুটিং শেষ করেছি। টিমের ভাষ্যমতে, এটা আমার বানানো সবচেয়ে ভালো সিনেমা হতে যাচ্ছে। বাকিটা দর্শক সিনেমা দেখার পর বলবেন।’
সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘আমি যত সিনেমায় কাজ করেছি, সেগুলোর মধ্যে এটা আমার শোনা গল্পের সবচেয়ে ডিটেইল চিত্রনাট্য। পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় এই সিনেমার ন্যারেশন শুনেছিলাম। আমি একটুও বিরক্ত হইনি। তার মানে, পুরো গল্প আমাকে ধরে রেখেছিল। আশা করি, হলেও দর্শকদের ধরে রাখবে।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা অভিনয়শিল্পীরা সব সময় চাই নতুন কিছু করতে; একই ধারার কাজ বারবার না করে ভিন্ন জনরা সৃষ্টি করতে। অনেক নির্মাতা এই ঝুঁকি নিতে চান না। ট্রেন্ডি গল্পে কাজ করতে পছন্দ করেন। আন্ধার সেই ধরনের সিনেমা, যেখানে আমরা সবাই নিজেদের দেখতে চাই। এ ধরনের কাজ নিজের আয়ু বাড়িয়ে দেয়। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে এক্সাইটিং বিষয় ছিল। আশা করি, এ ধরনের কাজ আরও হবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে।’
আফসানা মিমি বলেন, ‘এই সিনেমায় যুক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ, চরিত্রটি আমাকে টেনেছে। একটা গল্পের মধ্যে আমি কোথায় কতটুকু আছি, এটা আমাকে ভাবায় না। গল্পের আঙ্গিকে আমার চরিত্রটি কীভাবে আছে, সেটা আমাকে খুব টানে। সিনেমার শুটিংয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছি।’
এ সময় প্রযোজক বলেন, আন্ধার হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা। শোনা গিয়েছিল, এ বছরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে আন্ধার। তবে নির্মাতা জানালেন, পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ শেষ করে আগামী বছর সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। রাফী বলেন, ‘শুটিং শেষ হলেও আমাদের সিনেমার পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ করতে ৮-৯ মাস লাগবে। এটা শুধু বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজেটের সিনেমাই নয়, এটি দুই বাংলার অর্থাৎ বাংলা ভাষার সবচেয়ে বেশি ভিএফএক্স-নির্ভর সিনেমা। এটা এমন সিনেমা না যে শুটিং করলাম, এরপর রিলিজ করে দিলাম। সিনেমাটি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন। তাই সব কাজ গুছিয়ে আগামী বছর মুক্তি দেওয়া হবে।’

পাঁচ বছর আগে ভয়াবহ যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ভারতের দক্ষিণী চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী ভাবনা মেনন। ঘটনার পর মানসিকভাবে একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। কোনোভাবেই স্বাভাবিক হতে পারছিলেন না। দীর্ঘ সময় নীরব থাকার পর নারী দিবসে মুখ খুলেছেন এই নায়িকা। বলেছেন নির্যাতনের শিকার এক ভুক্তভোগী থেকে স্বাভাবিক জীবনে
০৯ মার্চ ২০২২
মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী
৬ ঘণ্টা আগে
প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল।
৬ ঘণ্টা আগে
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘খুশবু’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি খুশবুতে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি চরিত্র—জালাল উদ্দিন কিস্যাকার। সুফির বেশভূষায় শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই কিস্যাকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোমেন। পুরো নাম মেহেদী হাসান সোমেন।
৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী। পরদিন একই স্থান ও সময়ে মঞ্চস্থ হবে দ্বিতীয় প্রদর্শনী।
ক্যাফে দ্য ভলতে নাটকের গল্প একজন সফল শেফ ম্যাক্স ডি রোজারিওকে নিয়ে। সে বাঙালি ক্রিশ্চিয়ান। রেস্টুরেন্ট খুলেছে সে, নাম ক্যাফে দ্য ভলতে। সেটার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জিঞ্জিরা শহরের চার সুশীল নাগরিকের ভাগ্য নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় ম্যাক্স। সে বদলা চায় না; চায় না ইনসাফ কায়েম করতে। তবে কেন এই সশস্ত্র ক্যু? গল্প এগিয়ে যায় আরও নাটকীয়তার দিকে।
থিয়েটার হান্টের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, প্রদর্শনীতে শিশুদের সঙ্গে না আনার। নাটকে অভিনয় করছেন মো. শাহজাদা সম্রাট চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল জাদিদ, প্রিয়ম মজুমদার, ইয়াদ খোরশিদ ঈশান, মালিহা ফাইরুজ ফারিন মেলিসা, নূর এ জান্নাত ওরিশা, শাহিন সাঈদুর, সুপ্রিয় ঘোষ, প্রজ্ঞা চন্দ, ডায়না ম্যারিলিন ও শুভাশিস হালদার। আলোক পরিকল্পনায় মো. মোখলেছুর রহমান, সংগীত চার্লস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনায় জেরোম মধু ও রূপসজ্জায় যোহানা সূচনা দাস।

মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী। পরদিন একই স্থান ও সময়ে মঞ্চস্থ হবে দ্বিতীয় প্রদর্শনী।
ক্যাফে দ্য ভলতে নাটকের গল্প একজন সফল শেফ ম্যাক্স ডি রোজারিওকে নিয়ে। সে বাঙালি ক্রিশ্চিয়ান। রেস্টুরেন্ট খুলেছে সে, নাম ক্যাফে দ্য ভলতে। সেটার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জিঞ্জিরা শহরের চার সুশীল নাগরিকের ভাগ্য নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় ম্যাক্স। সে বদলা চায় না; চায় না ইনসাফ কায়েম করতে। তবে কেন এই সশস্ত্র ক্যু? গল্প এগিয়ে যায় আরও নাটকীয়তার দিকে।
থিয়েটার হান্টের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, প্রদর্শনীতে শিশুদের সঙ্গে না আনার। নাটকে অভিনয় করছেন মো. শাহজাদা সম্রাট চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল জাদিদ, প্রিয়ম মজুমদার, ইয়াদ খোরশিদ ঈশান, মালিহা ফাইরুজ ফারিন মেলিসা, নূর এ জান্নাত ওরিশা, শাহিন সাঈদুর, সুপ্রিয় ঘোষ, প্রজ্ঞা চন্দ, ডায়না ম্যারিলিন ও শুভাশিস হালদার। আলোক পরিকল্পনায় মো. মোখলেছুর রহমান, সংগীত চার্লস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনায় জেরোম মধু ও রূপসজ্জায় যোহানা সূচনা দাস।

পাঁচ বছর আগে ভয়াবহ যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ভারতের দক্ষিণী চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী ভাবনা মেনন। ঘটনার পর মানসিকভাবে একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। কোনোভাবেই স্বাভাবিক হতে পারছিলেন না। দীর্ঘ সময় নীরব থাকার পর নারী দিবসে মুখ খুলেছেন এই নায়িকা। বলেছেন নির্যাতনের শিকার এক ভুক্তভোগী থেকে স্বাভাবিক জীবনে
০৯ মার্চ ২০২২
ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা
৬ ঘণ্টা আগে
প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল।
৬ ঘণ্টা আগে
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘খুশবু’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি খুশবুতে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি চরিত্র—জালাল উদ্দিন কিস্যাকার। সুফির বেশভূষায় শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই কিস্যাকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোমেন। পুরো নাম মেহেদী হাসান সোমেন।
৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল। শোনা গিয়েছিল আসিফ আকবর, নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি, হেলাল খান, শিবা সানুর নামও। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় জায়গা পাননি কেউ।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য বেবী নাজনীন। ২০১৮ সালে নীলফামারী-৪ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। এবার ওই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হয়েছেন মো. আব্দুল গফুর সরকার।
বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সংগীতশিল্পী মনির খান। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন একসময়। ঝিনাইদহ-৩ আসনের দলীয় প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ হাসি হাসতে পারলেন না এই গায়ক। তাঁর পরিবর্তে আসনটির প্রার্থী তালিকায় এসেছে মোহাম্মদ মেহেদী হাসানের নাম। ২০১৮ সালে প্রার্থী হতে না পেরে অভিমান করে দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন মনির খান। তবে এবার দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নিজের সমর্থকদের শান্ত থাকতে বলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে দলের প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ফেসবুকে মেহেদী হাসানের সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশ করে মনির খান লেখেন, ‘অভিনন্দন মেহেদী হাসান রনি। ঝিনাইদহ-৩-এ বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী। শুভকামনা রইল।’
সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার আশায় ছিলেন কনকচাঁপা। কিন্তু ঘোষিত তালিকায় তাঁর নাম আসেনি। অন্য কারও নামও ঘোষণা করা হয়নি। তাই এখনো কনকচাঁপার আশা বেঁচে আছে খানিকটা। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। তালিকায় নিজের নাম না দেখলেও হতাশা প্রকাশ করেননি কনকচাঁপা। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘এই পৃথিবীর কোনো ফয়সালাতেই আমি কিছু ভাবি না। আল্লাহ ভালো বুঝবেন, আমার জন্য কী ভালো হবে। তাঁর চেয়ে ভালো বোঝে এমন কে আছেন এই জগতে! অতএব, আলহামদুলিল্লাহ।’

প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল। শোনা গিয়েছিল আসিফ আকবর, নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি, হেলাল খান, শিবা সানুর নামও। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় জায়গা পাননি কেউ।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য বেবী নাজনীন। ২০১৮ সালে নীলফামারী-৪ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। এবার ওই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হয়েছেন মো. আব্দুল গফুর সরকার।
বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সংগীতশিল্পী মনির খান। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন একসময়। ঝিনাইদহ-৩ আসনের দলীয় প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ হাসি হাসতে পারলেন না এই গায়ক। তাঁর পরিবর্তে আসনটির প্রার্থী তালিকায় এসেছে মোহাম্মদ মেহেদী হাসানের নাম। ২০১৮ সালে প্রার্থী হতে না পেরে অভিমান করে দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন মনির খান। তবে এবার দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নিজের সমর্থকদের শান্ত থাকতে বলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে দলের প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ফেসবুকে মেহেদী হাসানের সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশ করে মনির খান লেখেন, ‘অভিনন্দন মেহেদী হাসান রনি। ঝিনাইদহ-৩-এ বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী। শুভকামনা রইল।’
সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার আশায় ছিলেন কনকচাঁপা। কিন্তু ঘোষিত তালিকায় তাঁর নাম আসেনি। অন্য কারও নামও ঘোষণা করা হয়নি। তাই এখনো কনকচাঁপার আশা বেঁচে আছে খানিকটা। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। তালিকায় নিজের নাম না দেখলেও হতাশা প্রকাশ করেননি কনকচাঁপা। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘এই পৃথিবীর কোনো ফয়সালাতেই আমি কিছু ভাবি না। আল্লাহ ভালো বুঝবেন, আমার জন্য কী ভালো হবে। তাঁর চেয়ে ভালো বোঝে এমন কে আছেন এই জগতে! অতএব, আলহামদুলিল্লাহ।’

পাঁচ বছর আগে ভয়াবহ যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ভারতের দক্ষিণী চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী ভাবনা মেনন। ঘটনার পর মানসিকভাবে একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। কোনোভাবেই স্বাভাবিক হতে পারছিলেন না। দীর্ঘ সময় নীরব থাকার পর নারী দিবসে মুখ খুলেছেন এই নায়িকা। বলেছেন নির্যাতনের শিকার এক ভুক্তভোগী থেকে স্বাভাবিক জীবনে
০৯ মার্চ ২০২২
ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা
৬ ঘণ্টা আগে
মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী
৬ ঘণ্টা আগে
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘খুশবু’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি খুশবুতে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি চরিত্র—জালাল উদ্দিন কিস্যাকার। সুফির বেশভূষায় শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই কিস্যাকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোমেন। পুরো নাম মেহেদী হাসান সোমেন।
৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত ১৫ সেপ্টেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘খুশবু’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি খুশবুতে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি চরিত্র—জালাল উদ্দিন কিস্যাকার। সুফির বেশভূষায় শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই কিস্যাকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোমেন। পুরো নাম মেহেদী হাসান সোমেন।
জীবনের নানা টানাপোড়েন আর বেঁচে থাকার সংগ্রামে মানুষ যখন ব্যতিব্যস্ত, তখন এই অস্থির সময়ে শহরে আগমন ঘটে এক কিস্যাকারের। সুফি বেশভূষার এক সাধক, যার শরীর থেকে আতরের খুশবু ছড়ায়। এই শহরের পথে পথে মানুষকে কিস্যা শুনিয়ে বেড়ায় সে। এরই মধ্যে তিনটি পর্বে দেখা গেছে সোমেন অভিনীত চরিত্রটি। সামনে রয়েছে আরও চমক।
এর আগে ‘দেনা পাওনা’, ‘ভালোবাসার আলো আঁধার’ সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন সোমেন। ২০০০ সাল থেকে পর্দায় কাজ শুরু করেন তিনি। অভিনয় করেছেন নাটকে, বিজ্ঞাপনে, সিনেমায়। সোমেন অভিনীত টিভি নাটকের তালিকায় আরও আছে নুরুল আলম আতিকের ‘মনে মনে’, মাতিয়া বানু শুকুর ‘আগুন আলাপন’ ইত্যাদি। অভিনয় করেছেন ফজলুল কবির তুহিনের মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘বিলডাকিনি’ সিনেমায়, আবু রায়হান জুয়েলের ‘এপিঠ ওপিঠ’ স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমায়।
সোমেনের অভিনয়ের শুরু থিয়েটার চর্চার মাধ্যমে। ১৯৯৪ সালে আবাহন নাট্য সংসদের সদস্য হিসেবে থিয়েটার চর্চা শুরু করেন সোমেন। ১৯৯৬ সালে যুক্ত হন ঢাকা সুবচন নাট্যদলে। ১৯৯৯ সালে যুক্ত হন প্রাচ্যনাটে। মঞ্চে বহু নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
অভিনয়ের পাশাপাশি সম্প্রতি দীপ্ত টিভির ব্যতিক্রমী একটি সেলিব্রিটি শো উপস্থাপনা করেছেন সোমেন। ‘কথোপকথন’ নামের শোটির প্রথম সিজন শেষ হয়েছে। এখন চলছে দ্বিতীয় সিজনের প্রস্তুতি। প্রথম সিজনে একটি বাসার ড্রয়িংরুমে, কিচেনে, বারান্দায় বসে তারকাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছেন সোমেন। দ্বিতীয় পর্বে যাবেন আউটডোরে। খোলা প্রান্তরে বা জঙ্গলের ধারে তাঁবু খাটিয়ে আড্ডা জমবে তারকাদের সঙ্গে। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা, নির্দেশনা এবং পরিকল্পনায় রয়েছেন সোমেন। পাশাপাশি একই চ্যানেলে ‘ক্যানভাস’ নামের একটি লাইফস্টাইলবিষয়ক অনুষ্ঠানেরও প্রথম সিজন শেষ করেছেন তিনি। পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন দ্বিতীয় সিজনের।
২০০৬ সালে বিজ্ঞাপন নির্মাণের মাধ্যমে নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সোমেন। এ পর্যন্ত তিনি নির্মাণ করেছেন প্রায় দেড় হাজার বিজ্ঞাপনচিত্র, অর্ধশতাধিক নাটক, ৩টি প্রমাণ্যচিত্র ও ৪টি ধারাবাহিক।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘খুশবু’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি খুশবুতে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি চরিত্র—জালাল উদ্দিন কিস্যাকার। সুফির বেশভূষায় শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই কিস্যাকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোমেন। পুরো নাম মেহেদী হাসান সোমেন।
জীবনের নানা টানাপোড়েন আর বেঁচে থাকার সংগ্রামে মানুষ যখন ব্যতিব্যস্ত, তখন এই অস্থির সময়ে শহরে আগমন ঘটে এক কিস্যাকারের। সুফি বেশভূষার এক সাধক, যার শরীর থেকে আতরের খুশবু ছড়ায়। এই শহরের পথে পথে মানুষকে কিস্যা শুনিয়ে বেড়ায় সে। এরই মধ্যে তিনটি পর্বে দেখা গেছে সোমেন অভিনীত চরিত্রটি। সামনে রয়েছে আরও চমক।
এর আগে ‘দেনা পাওনা’, ‘ভালোবাসার আলো আঁধার’ সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন সোমেন। ২০০০ সাল থেকে পর্দায় কাজ শুরু করেন তিনি। অভিনয় করেছেন নাটকে, বিজ্ঞাপনে, সিনেমায়। সোমেন অভিনীত টিভি নাটকের তালিকায় আরও আছে নুরুল আলম আতিকের ‘মনে মনে’, মাতিয়া বানু শুকুর ‘আগুন আলাপন’ ইত্যাদি। অভিনয় করেছেন ফজলুল কবির তুহিনের মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘বিলডাকিনি’ সিনেমায়, আবু রায়হান জুয়েলের ‘এপিঠ ওপিঠ’ স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমায়।
সোমেনের অভিনয়ের শুরু থিয়েটার চর্চার মাধ্যমে। ১৯৯৪ সালে আবাহন নাট্য সংসদের সদস্য হিসেবে থিয়েটার চর্চা শুরু করেন সোমেন। ১৯৯৬ সালে যুক্ত হন ঢাকা সুবচন নাট্যদলে। ১৯৯৯ সালে যুক্ত হন প্রাচ্যনাটে। মঞ্চে বহু নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
অভিনয়ের পাশাপাশি সম্প্রতি দীপ্ত টিভির ব্যতিক্রমী একটি সেলিব্রিটি শো উপস্থাপনা করেছেন সোমেন। ‘কথোপকথন’ নামের শোটির প্রথম সিজন শেষ হয়েছে। এখন চলছে দ্বিতীয় সিজনের প্রস্তুতি। প্রথম সিজনে একটি বাসার ড্রয়িংরুমে, কিচেনে, বারান্দায় বসে তারকাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছেন সোমেন। দ্বিতীয় পর্বে যাবেন আউটডোরে। খোলা প্রান্তরে বা জঙ্গলের ধারে তাঁবু খাটিয়ে আড্ডা জমবে তারকাদের সঙ্গে। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা, নির্দেশনা এবং পরিকল্পনায় রয়েছেন সোমেন। পাশাপাশি একই চ্যানেলে ‘ক্যানভাস’ নামের একটি লাইফস্টাইলবিষয়ক অনুষ্ঠানেরও প্রথম সিজন শেষ করেছেন তিনি। পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন দ্বিতীয় সিজনের।
২০০৬ সালে বিজ্ঞাপন নির্মাণের মাধ্যমে নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সোমেন। এ পর্যন্ত তিনি নির্মাণ করেছেন প্রায় দেড় হাজার বিজ্ঞাপনচিত্র, অর্ধশতাধিক নাটক, ৩টি প্রমাণ্যচিত্র ও ৪টি ধারাবাহিক।

পাঁচ বছর আগে ভয়াবহ যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ভারতের দক্ষিণী চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী ভাবনা মেনন। ঘটনার পর মানসিকভাবে একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। কোনোভাবেই স্বাভাবিক হতে পারছিলেন না। দীর্ঘ সময় নীরব থাকার পর নারী দিবসে মুখ খুলেছেন এই নায়িকা। বলেছেন নির্যাতনের শিকার এক ভুক্তভোগী থেকে স্বাভাবিক জীবনে
০৯ মার্চ ২০২২
ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা
৬ ঘণ্টা আগে
মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী
৬ ঘণ্টা আগে
প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল।
৬ ঘণ্টা আগে