
ঈদে মুক্তি পাওয়া ওয়েব সিরিজ ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ এবং ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন রাকিব হোসেন ইভন। বোহেমিয়ান ঘোড়ায় মোশাররফ করিমের সাগরেদ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইভন আর তাণ্ডবে তাঁর অভিনীত চরিত্রটি গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। দুটি কাজ নিয়ে অভিনেতার সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ।
শিহাব আহমেদ

‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ ও ‘তাণ্ডব’ দুটি কাজেই আপনার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। কেমন লাগছে?
প্রত্যেক শিল্পী প্রত্যাশা করেন, তাঁর কাজটা মানুষ দেখবে, ভালো-খারাপ বিচার করবে। অনেক সময় আমরা প্রত্যাশা করতে করতে হতাশ হয়ে যাই। এই দুটি কাজ আমার সেই হতাশা কাটিয়ে দিয়েছে। মন দিয়ে কাজ করলে এলোমেলো কাজ না করেও সঠিক পথে এগোনো যায়। এই বিশ্বাসটা আরও দৃঢ় হয়েছে। মনে হচ্ছে, অভিনয় নিয়ে আমার স্বপ্নটা ঠিক পথেই আছে।
দুটি কাজই মাল্টিকাস্টিং। এত অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে কাজ করে নিজেকে আলাদাভাবে প্রমাণ করার কোনো চাপ অনুভব করেছেন?
দুটি কাজেই দেশের গুণী শিল্পীদের সঙ্গে অভিনয় করার সৌভাগ্য হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে নিজেকে প্রমাণ করার বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিল। বোহেমিয়ান ঘোড়ার শুটিং আগে করেছি। মোশাররফ ভাইসহ এখানে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের প্রায় সবাই প্রতিষ্ঠিত শিল্পী। একটা সময় মনে হচ্ছিল, আমি বোধ হয় চাপ বেশি নিয়ে ফেলছি। নিজেকে বোঝালাম, সেটে তো পরিচালক থাকবেন। যদি না পারি, তাহলে তিনিই নির্দেশনা দেবেন। প্রথম দিন শুটিং শেষে দেখি, সবাই খুব খুশি। পরদিন সকালে নির্মাতা অমিতাভ ভাই বললেন, বিউটিফুল। যেটা করছ, একেবারে ঠিক আছে। মোশাররফ ভাই বললেন, ‘যে চেষ্টাটা আছে, সেটা ধরে রাখিস। আর মনে রাখবি, সততা একজন শিল্পীর সবচেয়ে বড় সম্পদ।’ কথাটা শোনার পর মনের মধ্যে স্বস্তি খুঁজে পাই। তাণ্ডবের ক্ষেত্রে বোহেমিয়ান ঘোড়ার অভিজ্ঞতা অনেক কাজে দিয়েছে।
বোহেমিয়ান ঘোড়ায় আপনি মোশাররফ করিমের সাগরেদ। স্ক্রিনে গুরু-শিষ্যের রসায়ন নিয়েও অনেক আলোচনা হচ্ছে। শুটিংয়ের আগে আলাদা কোনো প্রস্তুতি ছিল?
বোহেমিয়ান ঘোড়ার আগে ‘দুই দুনিয়া’ ওয়েব ফিল্মে ট্রাকের হেলপারের চরিত্রে অভিনয় করেছি। তাই একটু চিন্তা ছিল, দুটি কাজে যেন একই রকম চরিত্র না হয়ে উঠি। তাই স্ক্রিপ্ট রিডিংয়ের পর মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি। প্রথম কথোপকথনে উনি বললেন, ‘চলো, মজা করে আমরা কাজটি করে ফেলি।’ এর পর থেকে মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে অনেক ফ্রি হয়ে যাই। আলাদা কোনো প্রেশার মনে হয়নি। আমাদের মাঝে দারুণ একটা বন্ডিং তৈরি হয়। কখনো মনে হয়েছে, উনি আমাকে বাবার মতো টেককেয়ার করেছেন, কখনো মনে হয়েছে ওস্তাদের মতোই তিনি আমাকে ফুলের মতো ফোটার সুযোগ করে দিয়েছেন।
তাণ্ডব সিনেমায় আপনি যে দৃশ্যগুলোতে অভিনয় করেছেন, ঠিক সেই দৃশ্যে আগে শাকিব খানকে দেখা গেছে। এটা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল আপনার জন্য?
সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল শাকিব ভাইয়ের অভিনয়টা ধারণ করা। তাঁর করা একই চরিত্রে অভিনয় করাটা অবশ্যই আমার মতো শিল্পীর জন্য বিশাল এক চ্যালেঞ্জ ছিল। বারবার মনে হচ্ছিল, দর্শকের যদি ভালো না লাগে! আমার অংশের পুরোটা শাকিব ভাইয়ের সঙ্গেই শুটিং হয়েছে। আগে শাকিব ভাই অভিনয় করেছেন, পরে আমি। শাকিব ভাইয়ের অভিনয় দেখে আমার চূড়ান্তটা দিয়ে সেটা ডেলিভার করার চেষ্টা করেছি। সেটে তিনি আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। তবে ভয়টা সিনেমা মুক্তির আগপর্যন্ত ছিল। মুক্তির পর দর্শকের প্রতিক্রিয়া সেই ভয় পুরোপুরি কাটিয়ে দিয়েছে।
আপনি ‘ইতি চিত্রা’, ‘মেঘের কপাট’ সিনেমার নায়ক। যাঁরা নায়ক হিসেবে অভিনয় শুরু করেন, তাঁরা অন্য চরিত্রে অভিনয়ে আগ্রহ দেখান না। কিন্তু ‘অগোচরা’, ‘নিকষ’, ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ কিংবা ‘তাণ্ডবে’ আপনি নায়ক না হয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কারণটা বলবেন?
যে কাজগুলোর কথা বললেন, সেগুলো সব ইতি চিত্রা রিলিজের আগে করা। এরপর শুধু বোহেমিয়ান ঘোড়া ও তাণ্ডবে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে কাজ করেছি। এখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম ও শাকিব খান। তাঁদের দেখে আমি কাজের প্রতি আরও প্যাশনেট হয়েছি, তাঁদের সঙ্গে কাজ করে নিজের অভিজ্ঞতার পাল্লা ভারী করার সুযোগটা কোনোভাবেই মিস করতে চাইনি। তবে এটাও সত্যি, চরিত্রের গুরুত্ব না থাকলে হয়তো এই কাজগুলো করা হতো না।
তাহলে কি বড় অভিনেতা না থাকলে আপনাকে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে পাওয়া যাবে না?
যদি চরিত্রটি গুরুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে অবশ্যই করব। অভিনয় করতেই তো ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি। তবে এখন আমি নিজের ক্যারিয়ার গ্রাফ তৈরি করার চেষ্টা করছি। আমারও একটা গন্তব্য আছে। সেটা লক্ষ্য করেই এগিয়ে যেতে চাই। যেমন সম্প্রতি চারটি সিনেমার প্রস্তাব এসেছে। যেখানে দুটি সিনেমায় বলা হচ্ছে খুব গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। কিন্তু মনে হচ্ছে, আমি যে গন্তব্যে হাঁটছি, সে অনুযায়ী এখন এমন চরিত্রে অভিনয় না করাই উত্তম।
নতুন অভিনয়শিল্পীদের অনেক স্ট্রাগল করতে হয়। আপনার স্ট্রাগলটা কেমন?
এটা একটা জটিল প্রশ্ন। এককথায় যদি বলি, এখন পর্যন্ত ভালো আছি। কিন্তু আমার মনে হয়, ইন্ডাস্ট্রিতে আরেকটু সততা থাকলে বা কাজের প্রতি সবার প্যাশনটা থাকলে ভালো হতো। আমি আমার শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি। প্রফেশনাল জায়গাটা স্বচ্ছ রেখে সবাইকে যদি কাজ দিয়ে মূল্যায়ন করা হয়, তাহলে শুধু নতুনদের জন্যই নয়, সিনিয়রদের জন্যও ভালো।
আপনার দুটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে। সেগুলো নিয়ে বলুন।
ফরহাদ হোসেনের ‘নাদান’ ও রফিকুল ইসলাম অনিকের ‘চারুলতা’ সিনেমা দুটি শিগগির মুক্তি পাবে। নাদানে আমরা চেষ্টা করেছি দর্শকদের ফুল কমার্শিয়াল একটা সিনেমা উপহার দিতে। আর চারুলতা আমাদের দেখা প্রাত্যহিক জীবনের গল্প। নিউমার্কেট এলাকার প্রেক্ষাপটে বানানো হয়েছে এটি। দুটি সিনেমা নিয়েই আমি খুব আশাবাদী।
মঞ্চ দিয়ে শুরু করেছিলেন। নিয়মিত সময় দিচ্ছেন মঞ্চে?
২০১২ সালে নাট্যদল দৃষ্টিপাতের হাত ধরে অভিনয় শুরু। ভিজুয়াল মিডিয়ায় কাজ বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো সময় দিতে পারি না। যখন কোনো প্রদর্শনী থাকে বা আমার ইনভলভমেন্টের প্রয়োজন পড়ে, তখন চেষ্টা করি থাকার। একজন পারফরমার হিসেবে থিয়েটারের জায়গাটা কোনোভাবেই মিস করতে চাই না।
‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ ও ‘তাণ্ডব’ দুটি কাজেই আপনার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। কেমন লাগছে?
প্রত্যেক শিল্পী প্রত্যাশা করেন, তাঁর কাজটা মানুষ দেখবে, ভালো-খারাপ বিচার করবে। অনেক সময় আমরা প্রত্যাশা করতে করতে হতাশ হয়ে যাই। এই দুটি কাজ আমার সেই হতাশা কাটিয়ে দিয়েছে। মন দিয়ে কাজ করলে এলোমেলো কাজ না করেও সঠিক পথে এগোনো যায়। এই বিশ্বাসটা আরও দৃঢ় হয়েছে। মনে হচ্ছে, অভিনয় নিয়ে আমার স্বপ্নটা ঠিক পথেই আছে।
দুটি কাজই মাল্টিকাস্টিং। এত অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে কাজ করে নিজেকে আলাদাভাবে প্রমাণ করার কোনো চাপ অনুভব করেছেন?
দুটি কাজেই দেশের গুণী শিল্পীদের সঙ্গে অভিনয় করার সৌভাগ্য হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে নিজেকে প্রমাণ করার বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিল। বোহেমিয়ান ঘোড়ার শুটিং আগে করেছি। মোশাররফ ভাইসহ এখানে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের প্রায় সবাই প্রতিষ্ঠিত শিল্পী। একটা সময় মনে হচ্ছিল, আমি বোধ হয় চাপ বেশি নিয়ে ফেলছি। নিজেকে বোঝালাম, সেটে তো পরিচালক থাকবেন। যদি না পারি, তাহলে তিনিই নির্দেশনা দেবেন। প্রথম দিন শুটিং শেষে দেখি, সবাই খুব খুশি। পরদিন সকালে নির্মাতা অমিতাভ ভাই বললেন, বিউটিফুল। যেটা করছ, একেবারে ঠিক আছে। মোশাররফ ভাই বললেন, ‘যে চেষ্টাটা আছে, সেটা ধরে রাখিস। আর মনে রাখবি, সততা একজন শিল্পীর সবচেয়ে বড় সম্পদ।’ কথাটা শোনার পর মনের মধ্যে স্বস্তি খুঁজে পাই। তাণ্ডবের ক্ষেত্রে বোহেমিয়ান ঘোড়ার অভিজ্ঞতা অনেক কাজে দিয়েছে।
বোহেমিয়ান ঘোড়ায় আপনি মোশাররফ করিমের সাগরেদ। স্ক্রিনে গুরু-শিষ্যের রসায়ন নিয়েও অনেক আলোচনা হচ্ছে। শুটিংয়ের আগে আলাদা কোনো প্রস্তুতি ছিল?
বোহেমিয়ান ঘোড়ার আগে ‘দুই দুনিয়া’ ওয়েব ফিল্মে ট্রাকের হেলপারের চরিত্রে অভিনয় করেছি। তাই একটু চিন্তা ছিল, দুটি কাজে যেন একই রকম চরিত্র না হয়ে উঠি। তাই স্ক্রিপ্ট রিডিংয়ের পর মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি। প্রথম কথোপকথনে উনি বললেন, ‘চলো, মজা করে আমরা কাজটি করে ফেলি।’ এর পর থেকে মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে অনেক ফ্রি হয়ে যাই। আলাদা কোনো প্রেশার মনে হয়নি। আমাদের মাঝে দারুণ একটা বন্ডিং তৈরি হয়। কখনো মনে হয়েছে, উনি আমাকে বাবার মতো টেককেয়ার করেছেন, কখনো মনে হয়েছে ওস্তাদের মতোই তিনি আমাকে ফুলের মতো ফোটার সুযোগ করে দিয়েছেন।
তাণ্ডব সিনেমায় আপনি যে দৃশ্যগুলোতে অভিনয় করেছেন, ঠিক সেই দৃশ্যে আগে শাকিব খানকে দেখা গেছে। এটা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল আপনার জন্য?
সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল শাকিব ভাইয়ের অভিনয়টা ধারণ করা। তাঁর করা একই চরিত্রে অভিনয় করাটা অবশ্যই আমার মতো শিল্পীর জন্য বিশাল এক চ্যালেঞ্জ ছিল। বারবার মনে হচ্ছিল, দর্শকের যদি ভালো না লাগে! আমার অংশের পুরোটা শাকিব ভাইয়ের সঙ্গেই শুটিং হয়েছে। আগে শাকিব ভাই অভিনয় করেছেন, পরে আমি। শাকিব ভাইয়ের অভিনয় দেখে আমার চূড়ান্তটা দিয়ে সেটা ডেলিভার করার চেষ্টা করেছি। সেটে তিনি আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। তবে ভয়টা সিনেমা মুক্তির আগপর্যন্ত ছিল। মুক্তির পর দর্শকের প্রতিক্রিয়া সেই ভয় পুরোপুরি কাটিয়ে দিয়েছে।
আপনি ‘ইতি চিত্রা’, ‘মেঘের কপাট’ সিনেমার নায়ক। যাঁরা নায়ক হিসেবে অভিনয় শুরু করেন, তাঁরা অন্য চরিত্রে অভিনয়ে আগ্রহ দেখান না। কিন্তু ‘অগোচরা’, ‘নিকষ’, ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ কিংবা ‘তাণ্ডবে’ আপনি নায়ক না হয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কারণটা বলবেন?
যে কাজগুলোর কথা বললেন, সেগুলো সব ইতি চিত্রা রিলিজের আগে করা। এরপর শুধু বোহেমিয়ান ঘোড়া ও তাণ্ডবে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে কাজ করেছি। এখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম ও শাকিব খান। তাঁদের দেখে আমি কাজের প্রতি আরও প্যাশনেট হয়েছি, তাঁদের সঙ্গে কাজ করে নিজের অভিজ্ঞতার পাল্লা ভারী করার সুযোগটা কোনোভাবেই মিস করতে চাইনি। তবে এটাও সত্যি, চরিত্রের গুরুত্ব না থাকলে হয়তো এই কাজগুলো করা হতো না।
তাহলে কি বড় অভিনেতা না থাকলে আপনাকে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে পাওয়া যাবে না?
যদি চরিত্রটি গুরুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে অবশ্যই করব। অভিনয় করতেই তো ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি। তবে এখন আমি নিজের ক্যারিয়ার গ্রাফ তৈরি করার চেষ্টা করছি। আমারও একটা গন্তব্য আছে। সেটা লক্ষ্য করেই এগিয়ে যেতে চাই। যেমন সম্প্রতি চারটি সিনেমার প্রস্তাব এসেছে। যেখানে দুটি সিনেমায় বলা হচ্ছে খুব গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। কিন্তু মনে হচ্ছে, আমি যে গন্তব্যে হাঁটছি, সে অনুযায়ী এখন এমন চরিত্রে অভিনয় না করাই উত্তম।
নতুন অভিনয়শিল্পীদের অনেক স্ট্রাগল করতে হয়। আপনার স্ট্রাগলটা কেমন?
এটা একটা জটিল প্রশ্ন। এককথায় যদি বলি, এখন পর্যন্ত ভালো আছি। কিন্তু আমার মনে হয়, ইন্ডাস্ট্রিতে আরেকটু সততা থাকলে বা কাজের প্রতি সবার প্যাশনটা থাকলে ভালো হতো। আমি আমার শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি। প্রফেশনাল জায়গাটা স্বচ্ছ রেখে সবাইকে যদি কাজ দিয়ে মূল্যায়ন করা হয়, তাহলে শুধু নতুনদের জন্যই নয়, সিনিয়রদের জন্যও ভালো।
আপনার দুটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে। সেগুলো নিয়ে বলুন।
ফরহাদ হোসেনের ‘নাদান’ ও রফিকুল ইসলাম অনিকের ‘চারুলতা’ সিনেমা দুটি শিগগির মুক্তি পাবে। নাদানে আমরা চেষ্টা করেছি দর্শকদের ফুল কমার্শিয়াল একটা সিনেমা উপহার দিতে। আর চারুলতা আমাদের দেখা প্রাত্যহিক জীবনের গল্প। নিউমার্কেট এলাকার প্রেক্ষাপটে বানানো হয়েছে এটি। দুটি সিনেমা নিয়েই আমি খুব আশাবাদী।
মঞ্চ দিয়ে শুরু করেছিলেন। নিয়মিত সময় দিচ্ছেন মঞ্চে?
২০১২ সালে নাট্যদল দৃষ্টিপাতের হাত ধরে অভিনয় শুরু। ভিজুয়াল মিডিয়ায় কাজ বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো সময় দিতে পারি না। যখন কোনো প্রদর্শনী থাকে বা আমার ইনভলভমেন্টের প্রয়োজন পড়ে, তখন চেষ্টা করি থাকার। একজন পারফরমার হিসেবে থিয়েটারের জায়গাটা কোনোভাবেই মিস করতে চাই না।

ঈদে মুক্তি পাওয়া ওয়েব সিরিজ ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ এবং ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন রাকিব হোসেন ইভন। বোহেমিয়ান ঘোড়ায় মোশাররফ করিমের সাগরেদ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইভন আর তাণ্ডবে তাঁর অভিনীত চরিত্রটি গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। দুটি কাজ নিয়ে অভিনেতার সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ।
শিহাব আহমেদ

‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ ও ‘তাণ্ডব’ দুটি কাজেই আপনার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। কেমন লাগছে?
প্রত্যেক শিল্পী প্রত্যাশা করেন, তাঁর কাজটা মানুষ দেখবে, ভালো-খারাপ বিচার করবে। অনেক সময় আমরা প্রত্যাশা করতে করতে হতাশ হয়ে যাই। এই দুটি কাজ আমার সেই হতাশা কাটিয়ে দিয়েছে। মন দিয়ে কাজ করলে এলোমেলো কাজ না করেও সঠিক পথে এগোনো যায়। এই বিশ্বাসটা আরও দৃঢ় হয়েছে। মনে হচ্ছে, অভিনয় নিয়ে আমার স্বপ্নটা ঠিক পথেই আছে।
দুটি কাজই মাল্টিকাস্টিং। এত অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে কাজ করে নিজেকে আলাদাভাবে প্রমাণ করার কোনো চাপ অনুভব করেছেন?
দুটি কাজেই দেশের গুণী শিল্পীদের সঙ্গে অভিনয় করার সৌভাগ্য হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে নিজেকে প্রমাণ করার বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিল। বোহেমিয়ান ঘোড়ার শুটিং আগে করেছি। মোশাররফ ভাইসহ এখানে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের প্রায় সবাই প্রতিষ্ঠিত শিল্পী। একটা সময় মনে হচ্ছিল, আমি বোধ হয় চাপ বেশি নিয়ে ফেলছি। নিজেকে বোঝালাম, সেটে তো পরিচালক থাকবেন। যদি না পারি, তাহলে তিনিই নির্দেশনা দেবেন। প্রথম দিন শুটিং শেষে দেখি, সবাই খুব খুশি। পরদিন সকালে নির্মাতা অমিতাভ ভাই বললেন, বিউটিফুল। যেটা করছ, একেবারে ঠিক আছে। মোশাররফ ভাই বললেন, ‘যে চেষ্টাটা আছে, সেটা ধরে রাখিস। আর মনে রাখবি, সততা একজন শিল্পীর সবচেয়ে বড় সম্পদ।’ কথাটা শোনার পর মনের মধ্যে স্বস্তি খুঁজে পাই। তাণ্ডবের ক্ষেত্রে বোহেমিয়ান ঘোড়ার অভিজ্ঞতা অনেক কাজে দিয়েছে।
বোহেমিয়ান ঘোড়ায় আপনি মোশাররফ করিমের সাগরেদ। স্ক্রিনে গুরু-শিষ্যের রসায়ন নিয়েও অনেক আলোচনা হচ্ছে। শুটিংয়ের আগে আলাদা কোনো প্রস্তুতি ছিল?
বোহেমিয়ান ঘোড়ার আগে ‘দুই দুনিয়া’ ওয়েব ফিল্মে ট্রাকের হেলপারের চরিত্রে অভিনয় করেছি। তাই একটু চিন্তা ছিল, দুটি কাজে যেন একই রকম চরিত্র না হয়ে উঠি। তাই স্ক্রিপ্ট রিডিংয়ের পর মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি। প্রথম কথোপকথনে উনি বললেন, ‘চলো, মজা করে আমরা কাজটি করে ফেলি।’ এর পর থেকে মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে অনেক ফ্রি হয়ে যাই। আলাদা কোনো প্রেশার মনে হয়নি। আমাদের মাঝে দারুণ একটা বন্ডিং তৈরি হয়। কখনো মনে হয়েছে, উনি আমাকে বাবার মতো টেককেয়ার করেছেন, কখনো মনে হয়েছে ওস্তাদের মতোই তিনি আমাকে ফুলের মতো ফোটার সুযোগ করে দিয়েছেন।
তাণ্ডব সিনেমায় আপনি যে দৃশ্যগুলোতে অভিনয় করেছেন, ঠিক সেই দৃশ্যে আগে শাকিব খানকে দেখা গেছে। এটা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল আপনার জন্য?
সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল শাকিব ভাইয়ের অভিনয়টা ধারণ করা। তাঁর করা একই চরিত্রে অভিনয় করাটা অবশ্যই আমার মতো শিল্পীর জন্য বিশাল এক চ্যালেঞ্জ ছিল। বারবার মনে হচ্ছিল, দর্শকের যদি ভালো না লাগে! আমার অংশের পুরোটা শাকিব ভাইয়ের সঙ্গেই শুটিং হয়েছে। আগে শাকিব ভাই অভিনয় করেছেন, পরে আমি। শাকিব ভাইয়ের অভিনয় দেখে আমার চূড়ান্তটা দিয়ে সেটা ডেলিভার করার চেষ্টা করেছি। সেটে তিনি আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। তবে ভয়টা সিনেমা মুক্তির আগপর্যন্ত ছিল। মুক্তির পর দর্শকের প্রতিক্রিয়া সেই ভয় পুরোপুরি কাটিয়ে দিয়েছে।
আপনি ‘ইতি চিত্রা’, ‘মেঘের কপাট’ সিনেমার নায়ক। যাঁরা নায়ক হিসেবে অভিনয় শুরু করেন, তাঁরা অন্য চরিত্রে অভিনয়ে আগ্রহ দেখান না। কিন্তু ‘অগোচরা’, ‘নিকষ’, ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ কিংবা ‘তাণ্ডবে’ আপনি নায়ক না হয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কারণটা বলবেন?
যে কাজগুলোর কথা বললেন, সেগুলো সব ইতি চিত্রা রিলিজের আগে করা। এরপর শুধু বোহেমিয়ান ঘোড়া ও তাণ্ডবে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে কাজ করেছি। এখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম ও শাকিব খান। তাঁদের দেখে আমি কাজের প্রতি আরও প্যাশনেট হয়েছি, তাঁদের সঙ্গে কাজ করে নিজের অভিজ্ঞতার পাল্লা ভারী করার সুযোগটা কোনোভাবেই মিস করতে চাইনি। তবে এটাও সত্যি, চরিত্রের গুরুত্ব না থাকলে হয়তো এই কাজগুলো করা হতো না।
তাহলে কি বড় অভিনেতা না থাকলে আপনাকে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে পাওয়া যাবে না?
যদি চরিত্রটি গুরুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে অবশ্যই করব। অভিনয় করতেই তো ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি। তবে এখন আমি নিজের ক্যারিয়ার গ্রাফ তৈরি করার চেষ্টা করছি। আমারও একটা গন্তব্য আছে। সেটা লক্ষ্য করেই এগিয়ে যেতে চাই। যেমন সম্প্রতি চারটি সিনেমার প্রস্তাব এসেছে। যেখানে দুটি সিনেমায় বলা হচ্ছে খুব গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। কিন্তু মনে হচ্ছে, আমি যে গন্তব্যে হাঁটছি, সে অনুযায়ী এখন এমন চরিত্রে অভিনয় না করাই উত্তম।
নতুন অভিনয়শিল্পীদের অনেক স্ট্রাগল করতে হয়। আপনার স্ট্রাগলটা কেমন?
এটা একটা জটিল প্রশ্ন। এককথায় যদি বলি, এখন পর্যন্ত ভালো আছি। কিন্তু আমার মনে হয়, ইন্ডাস্ট্রিতে আরেকটু সততা থাকলে বা কাজের প্রতি সবার প্যাশনটা থাকলে ভালো হতো। আমি আমার শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি। প্রফেশনাল জায়গাটা স্বচ্ছ রেখে সবাইকে যদি কাজ দিয়ে মূল্যায়ন করা হয়, তাহলে শুধু নতুনদের জন্যই নয়, সিনিয়রদের জন্যও ভালো।
আপনার দুটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে। সেগুলো নিয়ে বলুন।
ফরহাদ হোসেনের ‘নাদান’ ও রফিকুল ইসলাম অনিকের ‘চারুলতা’ সিনেমা দুটি শিগগির মুক্তি পাবে। নাদানে আমরা চেষ্টা করেছি দর্শকদের ফুল কমার্শিয়াল একটা সিনেমা উপহার দিতে। আর চারুলতা আমাদের দেখা প্রাত্যহিক জীবনের গল্প। নিউমার্কেট এলাকার প্রেক্ষাপটে বানানো হয়েছে এটি। দুটি সিনেমা নিয়েই আমি খুব আশাবাদী।
মঞ্চ দিয়ে শুরু করেছিলেন। নিয়মিত সময় দিচ্ছেন মঞ্চে?
২০১২ সালে নাট্যদল দৃষ্টিপাতের হাত ধরে অভিনয় শুরু। ভিজুয়াল মিডিয়ায় কাজ বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো সময় দিতে পারি না। যখন কোনো প্রদর্শনী থাকে বা আমার ইনভলভমেন্টের প্রয়োজন পড়ে, তখন চেষ্টা করি থাকার। একজন পারফরমার হিসেবে থিয়েটারের জায়গাটা কোনোভাবেই মিস করতে চাই না।
‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ ও ‘তাণ্ডব’ দুটি কাজেই আপনার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। কেমন লাগছে?
প্রত্যেক শিল্পী প্রত্যাশা করেন, তাঁর কাজটা মানুষ দেখবে, ভালো-খারাপ বিচার করবে। অনেক সময় আমরা প্রত্যাশা করতে করতে হতাশ হয়ে যাই। এই দুটি কাজ আমার সেই হতাশা কাটিয়ে দিয়েছে। মন দিয়ে কাজ করলে এলোমেলো কাজ না করেও সঠিক পথে এগোনো যায়। এই বিশ্বাসটা আরও দৃঢ় হয়েছে। মনে হচ্ছে, অভিনয় নিয়ে আমার স্বপ্নটা ঠিক পথেই আছে।
দুটি কাজই মাল্টিকাস্টিং। এত অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে কাজ করে নিজেকে আলাদাভাবে প্রমাণ করার কোনো চাপ অনুভব করেছেন?
দুটি কাজেই দেশের গুণী শিল্পীদের সঙ্গে অভিনয় করার সৌভাগ্য হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে নিজেকে প্রমাণ করার বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিল। বোহেমিয়ান ঘোড়ার শুটিং আগে করেছি। মোশাররফ ভাইসহ এখানে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের প্রায় সবাই প্রতিষ্ঠিত শিল্পী। একটা সময় মনে হচ্ছিল, আমি বোধ হয় চাপ বেশি নিয়ে ফেলছি। নিজেকে বোঝালাম, সেটে তো পরিচালক থাকবেন। যদি না পারি, তাহলে তিনিই নির্দেশনা দেবেন। প্রথম দিন শুটিং শেষে দেখি, সবাই খুব খুশি। পরদিন সকালে নির্মাতা অমিতাভ ভাই বললেন, বিউটিফুল। যেটা করছ, একেবারে ঠিক আছে। মোশাররফ ভাই বললেন, ‘যে চেষ্টাটা আছে, সেটা ধরে রাখিস। আর মনে রাখবি, সততা একজন শিল্পীর সবচেয়ে বড় সম্পদ।’ কথাটা শোনার পর মনের মধ্যে স্বস্তি খুঁজে পাই। তাণ্ডবের ক্ষেত্রে বোহেমিয়ান ঘোড়ার অভিজ্ঞতা অনেক কাজে দিয়েছে।
বোহেমিয়ান ঘোড়ায় আপনি মোশাররফ করিমের সাগরেদ। স্ক্রিনে গুরু-শিষ্যের রসায়ন নিয়েও অনেক আলোচনা হচ্ছে। শুটিংয়ের আগে আলাদা কোনো প্রস্তুতি ছিল?
বোহেমিয়ান ঘোড়ার আগে ‘দুই দুনিয়া’ ওয়েব ফিল্মে ট্রাকের হেলপারের চরিত্রে অভিনয় করেছি। তাই একটু চিন্তা ছিল, দুটি কাজে যেন একই রকম চরিত্র না হয়ে উঠি। তাই স্ক্রিপ্ট রিডিংয়ের পর মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি। প্রথম কথোপকথনে উনি বললেন, ‘চলো, মজা করে আমরা কাজটি করে ফেলি।’ এর পর থেকে মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে অনেক ফ্রি হয়ে যাই। আলাদা কোনো প্রেশার মনে হয়নি। আমাদের মাঝে দারুণ একটা বন্ডিং তৈরি হয়। কখনো মনে হয়েছে, উনি আমাকে বাবার মতো টেককেয়ার করেছেন, কখনো মনে হয়েছে ওস্তাদের মতোই তিনি আমাকে ফুলের মতো ফোটার সুযোগ করে দিয়েছেন।
তাণ্ডব সিনেমায় আপনি যে দৃশ্যগুলোতে অভিনয় করেছেন, ঠিক সেই দৃশ্যে আগে শাকিব খানকে দেখা গেছে। এটা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল আপনার জন্য?
সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল শাকিব ভাইয়ের অভিনয়টা ধারণ করা। তাঁর করা একই চরিত্রে অভিনয় করাটা অবশ্যই আমার মতো শিল্পীর জন্য বিশাল এক চ্যালেঞ্জ ছিল। বারবার মনে হচ্ছিল, দর্শকের যদি ভালো না লাগে! আমার অংশের পুরোটা শাকিব ভাইয়ের সঙ্গেই শুটিং হয়েছে। আগে শাকিব ভাই অভিনয় করেছেন, পরে আমি। শাকিব ভাইয়ের অভিনয় দেখে আমার চূড়ান্তটা দিয়ে সেটা ডেলিভার করার চেষ্টা করেছি। সেটে তিনি আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। তবে ভয়টা সিনেমা মুক্তির আগপর্যন্ত ছিল। মুক্তির পর দর্শকের প্রতিক্রিয়া সেই ভয় পুরোপুরি কাটিয়ে দিয়েছে।
আপনি ‘ইতি চিত্রা’, ‘মেঘের কপাট’ সিনেমার নায়ক। যাঁরা নায়ক হিসেবে অভিনয় শুরু করেন, তাঁরা অন্য চরিত্রে অভিনয়ে আগ্রহ দেখান না। কিন্তু ‘অগোচরা’, ‘নিকষ’, ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ কিংবা ‘তাণ্ডবে’ আপনি নায়ক না হয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কারণটা বলবেন?
যে কাজগুলোর কথা বললেন, সেগুলো সব ইতি চিত্রা রিলিজের আগে করা। এরপর শুধু বোহেমিয়ান ঘোড়া ও তাণ্ডবে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে কাজ করেছি। এখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম ও শাকিব খান। তাঁদের দেখে আমি কাজের প্রতি আরও প্যাশনেট হয়েছি, তাঁদের সঙ্গে কাজ করে নিজের অভিজ্ঞতার পাল্লা ভারী করার সুযোগটা কোনোভাবেই মিস করতে চাইনি। তবে এটাও সত্যি, চরিত্রের গুরুত্ব না থাকলে হয়তো এই কাজগুলো করা হতো না।
তাহলে কি বড় অভিনেতা না থাকলে আপনাকে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে পাওয়া যাবে না?
যদি চরিত্রটি গুরুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে অবশ্যই করব। অভিনয় করতেই তো ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি। তবে এখন আমি নিজের ক্যারিয়ার গ্রাফ তৈরি করার চেষ্টা করছি। আমারও একটা গন্তব্য আছে। সেটা লক্ষ্য করেই এগিয়ে যেতে চাই। যেমন সম্প্রতি চারটি সিনেমার প্রস্তাব এসেছে। যেখানে দুটি সিনেমায় বলা হচ্ছে খুব গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। কিন্তু মনে হচ্ছে, আমি যে গন্তব্যে হাঁটছি, সে অনুযায়ী এখন এমন চরিত্রে অভিনয় না করাই উত্তম।
নতুন অভিনয়শিল্পীদের অনেক স্ট্রাগল করতে হয়। আপনার স্ট্রাগলটা কেমন?
এটা একটা জটিল প্রশ্ন। এককথায় যদি বলি, এখন পর্যন্ত ভালো আছি। কিন্তু আমার মনে হয়, ইন্ডাস্ট্রিতে আরেকটু সততা থাকলে বা কাজের প্রতি সবার প্যাশনটা থাকলে ভালো হতো। আমি আমার শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি। প্রফেশনাল জায়গাটা স্বচ্ছ রেখে সবাইকে যদি কাজ দিয়ে মূল্যায়ন করা হয়, তাহলে শুধু নতুনদের জন্যই নয়, সিনিয়রদের জন্যও ভালো।
আপনার দুটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে। সেগুলো নিয়ে বলুন।
ফরহাদ হোসেনের ‘নাদান’ ও রফিকুল ইসলাম অনিকের ‘চারুলতা’ সিনেমা দুটি শিগগির মুক্তি পাবে। নাদানে আমরা চেষ্টা করেছি দর্শকদের ফুল কমার্শিয়াল একটা সিনেমা উপহার দিতে। আর চারুলতা আমাদের দেখা প্রাত্যহিক জীবনের গল্প। নিউমার্কেট এলাকার প্রেক্ষাপটে বানানো হয়েছে এটি। দুটি সিনেমা নিয়েই আমি খুব আশাবাদী।
মঞ্চ দিয়ে শুরু করেছিলেন। নিয়মিত সময় দিচ্ছেন মঞ্চে?
২০১২ সালে নাট্যদল দৃষ্টিপাতের হাত ধরে অভিনয় শুরু। ভিজুয়াল মিডিয়ায় কাজ বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো সময় দিতে পারি না। যখন কোনো প্রদর্শনী থাকে বা আমার ইনভলভমেন্টের প্রয়োজন পড়ে, তখন চেষ্টা করি থাকার। একজন পারফরমার হিসেবে থিয়েটারের জায়গাটা কোনোভাবেই মিস করতে চাই না।

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
৯ ঘণ্টা আগে
‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। এতে আরও আছেন আজমেরি হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার ও শ্যামল মাওলা।
হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাসে অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চিত্রা। তার সেই ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি। নির্মাতা সেই গল্পই পর্দায় তুলে ধরবেন, তবে সিনেমার প্রয়োজনে থাকবে কিছু সংযোজন-পরিমার্জন। থাকবে নতুন চমক। তবে কী সেই চমক, তা জানা যাবে বনলতা এক্সপ্রেস মুক্তির পর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হবে শুটিং। চিত্রা চরিত্রে থাকছেন সাবিলা নূর। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
পারিবারিক গল্পের উৎসব সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এবারও তারকাসমৃদ্ধ পারিবারিক গল্পের সিনেমা দিয়ে দর্শকের সামনে আসার পরিকল্পনা নির্মাতার। বনলতা এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে নির্মাতা তানিম নূর বলেন, ‘উৎসব শেষ করার পর নতুন সিনেমা নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলাম, অনেকে পরামর্শ দিল আরেকটা পারিবারিক গল্প নিয়ে কাজ করতে। তখন ভাবলাম, হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প নিয়ে কাজ করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই কিছুক্ষণ উপন্যাস নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু।’
অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘চরিত্রের প্রেমে পড়েই এই সিনেমায় যুক্ত হওয়া। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ দারুণ লেগেছে। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি আমার পড়া, সেটার প্রতিও ভালো লাগা আছে। বনলতা এক্সপ্রেসে আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁরা আমার অনেক দিনের সঙ্গী। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তানিম নূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা এই বিষয়টি যেমন দর্শকের আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমনি অভিনেতা হিসেবে আমরাও একটি ভালো সিনেমার অংশ হতে অধীর হয়ে আছি।’
আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তাঁর গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’
জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এর ড্রাইভার তানিম নূর। এ ছাড়া যাত্রাপথে সহযাত্রীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমার সহযাত্রীরা সবাই দুর্দান্ত। আশা করি দারুণ একটি যাত্রা হবে আমাদের।’

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। এতে আরও আছেন আজমেরি হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার ও শ্যামল মাওলা।
হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাসে অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চিত্রা। তার সেই ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি। নির্মাতা সেই গল্পই পর্দায় তুলে ধরবেন, তবে সিনেমার প্রয়োজনে থাকবে কিছু সংযোজন-পরিমার্জন। থাকবে নতুন চমক। তবে কী সেই চমক, তা জানা যাবে বনলতা এক্সপ্রেস মুক্তির পর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হবে শুটিং। চিত্রা চরিত্রে থাকছেন সাবিলা নূর। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
পারিবারিক গল্পের উৎসব সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এবারও তারকাসমৃদ্ধ পারিবারিক গল্পের সিনেমা দিয়ে দর্শকের সামনে আসার পরিকল্পনা নির্মাতার। বনলতা এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে নির্মাতা তানিম নূর বলেন, ‘উৎসব শেষ করার পর নতুন সিনেমা নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলাম, অনেকে পরামর্শ দিল আরেকটা পারিবারিক গল্প নিয়ে কাজ করতে। তখন ভাবলাম, হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প নিয়ে কাজ করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই কিছুক্ষণ উপন্যাস নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু।’
অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘চরিত্রের প্রেমে পড়েই এই সিনেমায় যুক্ত হওয়া। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ দারুণ লেগেছে। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি আমার পড়া, সেটার প্রতিও ভালো লাগা আছে। বনলতা এক্সপ্রেসে আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁরা আমার অনেক দিনের সঙ্গী। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তানিম নূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা এই বিষয়টি যেমন দর্শকের আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমনি অভিনেতা হিসেবে আমরাও একটি ভালো সিনেমার অংশ হতে অধীর হয়ে আছি।’
আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তাঁর গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’
জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এর ড্রাইভার তানিম নূর। এ ছাড়া যাত্রাপথে সহযাত্রীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমার সহযাত্রীরা সবাই দুর্দান্ত। আশা করি দারুণ একটি যাত্রা হবে আমাদের।’

ঈদে মুক্তি পাওয়া ওয়েব সিরিজ ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ এবং ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন রাকিব হোসেন ইভন। বোহেমিয়ান ঘোড়ায় মোশাররফ করিমের সাগরেদ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইভন আর তাণ্ডবে তাঁর অভিনীত চরিত্রটি গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। দুটি কাজ নিয়ে অভিনেতার সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ...
২৮ জুন ২০২৫
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
৯ ঘণ্টা আগে
‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি।
৯ ঘণ্টা আগেবিজয় দিবসের আয়োজন
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন। কথামতো সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশের ছয় প্রতিযোগীকে নিয়ে গান বানালেন তাঁরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে তৈরি গানটি আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে লিজার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লিজা এবং ইয়াং স্টার ২০২৩-এর জাহিদ অন্তু, অনিক, অরিন্দল, আদিবা, অঙ্কিতা ও দীপান্বিতা। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমন সাহা। ‘আমার মুখে বাংলাদেশ, আমার বুকে বাংলাদেশ, সুখে দুঃখে আমার বাংলাদেশ... আমরা সবাই বাংলাদেশ’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন কবির বকুল।
আমরা সবাই বাংলাদেশ গানটির সার্বিক আয়োজন ও প্রযোজনা করেছেন লিজা। গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজ বিশ্বাস শংকর। শুটিং হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, শিখা চিরন্তনসহ বিভিন্ন লোকেশনে।
কবির বকুল বলেন, ‘মূলত গানটির উদ্যোক্তা কণ্ঠশিল্পী লিজা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি দেশের গান উপহার দেওয়ার। এই সুন্দর দেশটার সঙ্গে প্রতিটি মানুষের যে আত্মিক টান, আবেগমাখা সম্পর্ক, দেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা—তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গানের কথায়।’
সুরকার ইমন সাহা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল নতুনদের নিয়ে গান করার। সেই ইচ্ছার প্রতিফলন এই গান। সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশের গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস গানটি ভালো লাগবে সবার।’
কণ্ঠশিল্পী লিজা বলেন, ‘আমি নিজেও রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি। শো শেষে আমাদের বাকি জার্নিটা কিন্তু সলো হয়, দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। নিজের জীবন থেকেই উপলব্ধি করেছি, শুধু নতুন শিল্পী খুঁজে বের করলেই হবে না, তাঁদের প্রপার গাইড করতে হবে। তাঁদের পাশে থাকতে হবে। তাই বিচারকের আসনে থাকার সময়ই বলেছিলাম, নতুনদের জন্য কাজ করব, শুধু কাভার সং নয়, প্রতিটি নতুন শিল্পীর মৌলিক গান হওয়া প্রয়োজন। তাই ইয়াং স্টারদের নিয়ে আমাদের এই দেশের গান। চেষ্টা করেছি একটি সুন্দর গান উপহার দিতে। আমরা চাই গানটি সব শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাক, তাই আমার চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হলেও, কোনো ধরনের কপিরাইট রেসট্রিকশন রাখছি না। যে কেউ চাইলে যেকোনো চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করতে পারবেন।’

২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন। কথামতো সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশের ছয় প্রতিযোগীকে নিয়ে গান বানালেন তাঁরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে তৈরি গানটি আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে লিজার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লিজা এবং ইয়াং স্টার ২০২৩-এর জাহিদ অন্তু, অনিক, অরিন্দল, আদিবা, অঙ্কিতা ও দীপান্বিতা। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমন সাহা। ‘আমার মুখে বাংলাদেশ, আমার বুকে বাংলাদেশ, সুখে দুঃখে আমার বাংলাদেশ... আমরা সবাই বাংলাদেশ’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন কবির বকুল।
আমরা সবাই বাংলাদেশ গানটির সার্বিক আয়োজন ও প্রযোজনা করেছেন লিজা। গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজ বিশ্বাস শংকর। শুটিং হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, শিখা চিরন্তনসহ বিভিন্ন লোকেশনে।
কবির বকুল বলেন, ‘মূলত গানটির উদ্যোক্তা কণ্ঠশিল্পী লিজা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি দেশের গান উপহার দেওয়ার। এই সুন্দর দেশটার সঙ্গে প্রতিটি মানুষের যে আত্মিক টান, আবেগমাখা সম্পর্ক, দেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা—তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গানের কথায়।’
সুরকার ইমন সাহা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল নতুনদের নিয়ে গান করার। সেই ইচ্ছার প্রতিফলন এই গান। সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশের গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস গানটি ভালো লাগবে সবার।’
কণ্ঠশিল্পী লিজা বলেন, ‘আমি নিজেও রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি। শো শেষে আমাদের বাকি জার্নিটা কিন্তু সলো হয়, দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। নিজের জীবন থেকেই উপলব্ধি করেছি, শুধু নতুন শিল্পী খুঁজে বের করলেই হবে না, তাঁদের প্রপার গাইড করতে হবে। তাঁদের পাশে থাকতে হবে। তাই বিচারকের আসনে থাকার সময়ই বলেছিলাম, নতুনদের জন্য কাজ করব, শুধু কাভার সং নয়, প্রতিটি নতুন শিল্পীর মৌলিক গান হওয়া প্রয়োজন। তাই ইয়াং স্টারদের নিয়ে আমাদের এই দেশের গান। চেষ্টা করেছি একটি সুন্দর গান উপহার দিতে। আমরা চাই গানটি সব শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাক, তাই আমার চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হলেও, কোনো ধরনের কপিরাইট রেসট্রিকশন রাখছি না। যে কেউ চাইলে যেকোনো চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করতে পারবেন।’

ঈদে মুক্তি পাওয়া ওয়েব সিরিজ ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ এবং ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন রাকিব হোসেন ইভন। বোহেমিয়ান ঘোড়ায় মোশাররফ করিমের সাগরেদ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইভন আর তাণ্ডবে তাঁর অভিনীত চরিত্রটি গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। দুটি কাজ নিয়ে অভিনেতার সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ...
২৮ জুন ২০২৫
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
৯ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
৯ ঘণ্টা আগে
‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তাওকীর। এখনো সিনেমাটি চলছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে জানা গেল নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে জায়গা করে নিয়েছে দেলুপি। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।
আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। যেখানে বিশ্বের সেরা নির্মাতা, উদীয়মান প্রতিভা ও আর্টহাউস সিনেমার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়।
রটারড্যামে দেলুপির যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো টিম। পরিচালক তাওকীর বলেন, ‘রটারড্যাম থেকে আমরা যখন প্রথম মেইল পেয়ে জানতে পারি, তারা সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করতে চায়। সে সময় একটু বিপাকেই পড়ে গিয়েছিলাম। কেননা আমরা সিনেমা বানানোর সময় দেলুটি ইউনিয়নের মানুষদের কথা দিয়েছিলাম, সিনেমাটা প্রথমে তাঁদের দেখাব। আমাদের এই ইচ্ছা ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজারদের জানিয়েছিলাম। তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়। আমরা সিনেমাটি আগে খুলনায় রিলিজ দিই। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের দর্শকেরা দেলুপি দেখতে পারবেন। তাই আমরা আনন্দিত।’
দেলুপি সিনেমায় যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো. জাকির হোসেনসহ অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তাওকীর। এখনো সিনেমাটি চলছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে জানা গেল নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে জায়গা করে নিয়েছে দেলুপি। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।
আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। যেখানে বিশ্বের সেরা নির্মাতা, উদীয়মান প্রতিভা ও আর্টহাউস সিনেমার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়।
রটারড্যামে দেলুপির যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো টিম। পরিচালক তাওকীর বলেন, ‘রটারড্যাম থেকে আমরা যখন প্রথম মেইল পেয়ে জানতে পারি, তারা সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করতে চায়। সে সময় একটু বিপাকেই পড়ে গিয়েছিলাম। কেননা আমরা সিনেমা বানানোর সময় দেলুটি ইউনিয়নের মানুষদের কথা দিয়েছিলাম, সিনেমাটা প্রথমে তাঁদের দেখাব। আমাদের এই ইচ্ছা ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজারদের জানিয়েছিলাম। তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়। আমরা সিনেমাটি আগে খুলনায় রিলিজ দিই। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের দর্শকেরা দেলুপি দেখতে পারবেন। তাই আমরা আনন্দিত।’
দেলুপি সিনেমায় যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো. জাকির হোসেনসহ অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

ঈদে মুক্তি পাওয়া ওয়েব সিরিজ ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ এবং ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন রাকিব হোসেন ইভন। বোহেমিয়ান ঘোড়ায় মোশাররফ করিমের সাগরেদ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইভন আর তাণ্ডবে তাঁর অভিনীত চরিত্রটি গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। দুটি কাজ নিয়ে অভিনেতার সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ...
২৮ জুন ২০২৫
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান।
মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসবেন, এ কথা নিজেই জানিয়েছিলেন বলিউড কিং শাহরুখ খান। কথামতোই মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসেন অভিনেতা। এ সময় শাহরুখের সঙ্গে ছিল তাঁর ছোট ছেলে আব্রাম খান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, মেসির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন শাহরুখ ও আব্রাম। ফুটবল তারকার সঙ্গে আব্রামের সহজ-স্বাভাবিক মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শাহরুখ প্রথমে করমর্দন করেন উরুগুয়ের তারকা লুইস সুয়ারেজ ও আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার রদ্রিগো দি পলের সঙ্গে। এরপর এগিয়ে যান মেসির দিকে। দুজন হাত মেলান, কথা বলেন, ছবি তোলেন। সেই সময় মেসি আলাদাভাবে ছবি তোলেন আব্রামের সঙ্গেও।
মেসির সঙ্গে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছিলেন শাহরুখ। কিন্তু তেমনটা আর হয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী হোটেলে অনুষ্ঠান শেষ করে স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১১টার দিকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছান মেসি। মিনিট ১৫ ছিলেন মাঠে। এর পরই বেরিয়ে যান মাঠ ছেড়ে। মেসিকে দেখতে না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভক্তরা। চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় মাঠজুড়ে। খবর যায় শাহরুখের কাছেও। তাই যুবভারতীতে না গিয়ে শাহরুখ রওনা দেন বিমানবন্দরের দিকে।
জানা গেছে, অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান।
মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসবেন, এ কথা নিজেই জানিয়েছিলেন বলিউড কিং শাহরুখ খান। কথামতোই মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসেন অভিনেতা। এ সময় শাহরুখের সঙ্গে ছিল তাঁর ছোট ছেলে আব্রাম খান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, মেসির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন শাহরুখ ও আব্রাম। ফুটবল তারকার সঙ্গে আব্রামের সহজ-স্বাভাবিক মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শাহরুখ প্রথমে করমর্দন করেন উরুগুয়ের তারকা লুইস সুয়ারেজ ও আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার রদ্রিগো দি পলের সঙ্গে। এরপর এগিয়ে যান মেসির দিকে। দুজন হাত মেলান, কথা বলেন, ছবি তোলেন। সেই সময় মেসি আলাদাভাবে ছবি তোলেন আব্রামের সঙ্গেও।
মেসির সঙ্গে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছিলেন শাহরুখ। কিন্তু তেমনটা আর হয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী হোটেলে অনুষ্ঠান শেষ করে স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১১টার দিকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছান মেসি। মিনিট ১৫ ছিলেন মাঠে। এর পরই বেরিয়ে যান মাঠ ছেড়ে। মেসিকে দেখতে না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভক্তরা। চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় মাঠজুড়ে। খবর যায় শাহরুখের কাছেও। তাই যুবভারতীতে না গিয়ে শাহরুখ রওনা দেন বিমানবন্দরের দিকে।
জানা গেছে, অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ঈদে মুক্তি পাওয়া ওয়েব সিরিজ ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ এবং ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন রাকিব হোসেন ইভন। বোহেমিয়ান ঘোড়ায় মোশাররফ করিমের সাগরেদ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইভন আর তাণ্ডবে তাঁর অভিনীত চরিত্রটি গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। দুটি কাজ নিয়ে অভিনেতার সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ...
২৮ জুন ২০২৫
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
৯ ঘণ্টা আগে