
২০১২ সালে থিয়েটার আর্ট ইউনিটের মাধ্যমে মঞ্চাঙ্গনে পথচলা শুরু এস আর সম্পদের। এরপর অনেকে মিলে গড়ে তুললেন অনুস্বর নাট্যদল। ‘তিনকড়ি’, ‘স্বপ্নভূক’, ‘হুতাশ মরণ’, ‘রায়মঙ্গল’, ‘হার্মাসিস ক্লিওপেট্রা’ ‘বিবিধ শোক অথবা সুখ’ ও ‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকে প্রশংসিত হয়েছে তাঁর অভিনয়। মঞ্চনাটক প্রসঙ্গে সম্পদের সঙ্গে কথা বলেছেন শ্রাবণী রাখী।
শ্রাবণী রাখী

থিয়েটারে এক যুগ পার করলেন। এখন নিজেকে নিয়ে ভাবলে কোন কথাগুলো মনে হয়?
কিশোরবেলার কথা মনে পড়ে। তখন আমরা বুয়েটের আজাদ স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতাম। বুয়েট অডিটরিয়ামে কর্মচারীদের এক অনুষ্ঠানের নাটিকায় বাউলের ভূমিকায় অভিনয়ের পাশাপাশি ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি পড়ার কথা ছিল আমার। আমি মঞ্চেও উঠেছিলাম। নাম ঘোষণার পর বাবা গর্ব করে আমাকে দেখিয়ে তাঁর স্যারকে বলেছিলেন, এটা আমার ছেলে! কিন্তু আমি সবকিছু গুবলেট করে ফেলি। বাবা সেদিন সেই একতারা দিয়ে আমাকে পেটাতে-পেটাতে বাসায় নিয়ে আসেন। বাবার মৃত্যুর পর আমি বাবাকে খুঁজতাম। বাবা অভিনয়টা পছন্দ করতেন। একদিন আমি থিয়েটারটা শুরু করি। এখন মনে হয়, বাবা থাকলে ভালো হতো, তিনি দেখতে পারতেন, তাঁর স্বপ্নটা ধীরে ধীরে পূরণ হচ্ছে।
প্রথম দিন মঞ্চে ওঠার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
জহির রায়হানের ‘সময়ের প্রয়োজনে’ ছিল থিয়েটারে আমার প্রথম কাজ। মোহাম্মদ বারীর নির্দেশনায় গ্রামবাসীর চরিত্রে অভিনয় করি। সেখানে আমার সমস্বরে ডায়লগ ছিল ‘কোনদিকে যাব’। এই সংলাপ দিয়েই আমার জার্নি শুরু। এতগুলো বছর পরও আমার নিজের কাছে একই প্রশ্ন ‘কোনদিকে যাব’! আমার প্রথম শোতে যে রকম অনুভূতি হয়েছিল, প্রত্যেকটা শোতে সে রকমই অনুভূতি হয়। প্রথম সংলাপের আগে পর্যন্ত পায়ের নিচে সুড়সুড়ির মতো অনুভূতি হয়, আর মাথায় চলতে থাকে, আমি বোধহয় সংলাপটা ঠিকমতো ডেলিভারি দিতে পারব না। তবে প্রথম সংলাপটা দিয়ে ফেলার পর থেকেই আমি ওই চরিত্রটার সঙ্গে মিশে যেতে পারি।
থিয়েটার আর্ট ইউনিটের ‘আমিনা সুন্দরী’, ‘সময়ের প্রয়োজনে’, ‘না মানুষি জমিন’-এর মতো নাটকে কাজ করেছেন। আপনার পছন্দের কাজ কোনটি?
এ দলের যতগুলো নাটকে কাজ করেছি, প্রত্যেকটা নাটকেই আলাদা অনুভূতি কাজ করে। আমার প্রথম পূর্ণাঙ্গ নাটক ‘না মানুষি জমিন’। ‘আমিনা সুন্দরী’তে আমি ছোট্ট একটা চরিত্র করলেও আমার খুব ভালো লাগত। থিয়েটার আর্ট ইউনিটের সব নতুন ছেলেমেয়ের স্বপ্ন থাকে ‘কোর্টমার্শাল’ ও ‘গোলাপজান’ নাটকে অভিনয় করা। সেই আক্ষেপ আমার ঘুচবে না!
থিয়েটার আর্ট ইউনিট ছেড়ে অনুস্বরের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। মঞ্চে কারা আপনাকে তৈরি করেছেন বলে মনে করেন?
থিয়েটার আর্ট ইউনিটে যখন জয়েন করি, তখন আমার কোর্স কো-অর্ডিনেটর ছিলেন সাইফ সুমন ভাই। থিয়েটারে আমার গুরু তিনি। রোকেয়া রফিক বেবি, মোহাম্মদ বারী ও সাইফ সুমন—এই তিনজন মানুষের কাছে আমি বেশি শিখেছি। অনুস্বর গঠনের পর সাইফ সুমন ভাই আরও টেক কেয়ার করলেন, সুযোগ দিলেন, আমাকে নিয়ে কাজ করলেন, আমাকে তৈরি করলেন।
অনেকেই বলেন আপনি অনুস্বরের ‘সম্পদ’। দলের কাছে নিজের এতটা আস্থা বা নির্ভরতা তৈরি কতটা কঠিন ছিল?
কঠিন কখনোই ছিল না। অনুস্বর এমন একটা দল, যেখানে সবার একটা স্পেস অলরেডি ক্রিয়েট করা। যেমন, অনুস্বরের নিজস্ব ফ্লোর আছে, স্টুডিও আছে, লাইব্রেরি আছে, এখানে বাচিকের ক্লাস হয়। আমরা গানের স্বর নিয়ে কাজ করি। নিজেকে যদি একটা মানুষ থিয়েটারে তৈরি করতে চাই, আমি মনে করি অনুস্বরের চেয়ে ভালো দল কমই আছে। আমি অনুস্বরের ‘সম্পদ’, কথাটা আমাকে গর্বিত করে। আমি এখন অনুস্বরের সহকারী দপ্তর হিসেবে আছি। আমার বস প্রশান্ত হালদার। তিনি শিখিয়েছেন থিয়েটারের সার্বিক কাজ কীভাবে হয়, কীভাবে ভালো করা যায়।
অনুস্বরের বেশির ভাগ প্রযোজনায় আপনাকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যায়। কোন চরিত্রটি আপনার বেশি পছন্দের?
আমার করা সব চরিত্রই আমার পছন্দের। তবে ‘মহাশূন্যে সাইকেল’ করার আগ পর্যন্ত ‘স্বপ্নভূক’-এর কবিছায়া চরিত্রটা আমাকে খুব টানত। আমার প্রথম কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘তিনকড়ি’ আমাকে টানত যতক্ষণ পর্যন্ত আমি ‘স্বপ্নভূক’ করিনি। কিন্তু ‘মহাশূন্যে সাইকেল’ করার পর থেকে রেজাউল করিম আমাকে টানছে।
নতুন চরিত্রে অভিনয়ের আগে নিজেকে কীভাবে তৈরি করেন?
প্রথমে খোঁজার চেষ্টা করি চরিত্রটির কথা বলার স্টাইল কেমন। কোনো নাটকেই আমার ডায়লগ ডেলিভারি প্যাটার্ন এক রকম থাকে না। চেষ্টা করি কথা বলার ধরনটা যেন আলাদা হয়। চরিত্রটা কীভাবে হাঁটবে, কীভাবে হাত-পা নাড়াবে, কীভাবে লুক দেবে—এসব ভাবতে ভাবতে যখন আমি পেয়ে যাই চরিত্রটা এইভাবে কথা বলে, তারপর থেকেই আমি বাকিগুলো গুছিয়ে ফেলতে পারি।
নাট্যমঞ্চে অভিনয়ের সময় কোন মুহূর্তটাকে সবচেয়ে কঠিন মনে হয়?
যখন ব্ল্যাংক হয়ে যাই! দৃশ্যে হয়তো আমার কো-অ্যাক্টরও নেই, আমার স্বগতউক্তি চলছে আর আমি ডায়লগ ভুলে গেছি! সেই অবস্থা থেকে বের হওয়ার যে ব্যাপারটা। এমন মুহূর্তে মনে হয় যেন পুরো পৃথিবীটা জগদ্দল পাথর হয়ে আমার মাথার ওপর চেপে বসেছে, পায়ের নিচে মাটি ভেদ করে আমি ডেবে যাচ্ছি!
‘বিবিধি শোক অথবা সুখ’ একটি স্টুডিও প্রডাকশন। মঞ্চে আর স্টুডিওতে মঞ্চায়নের তফাতটা কী?
যখন মঞ্চে কাজ করি তখন একটু লাউডলি কথা বলি আর স্টুডিওতে দেখবেন দর্শক মাত্র দুই ফুট দূরে বসা, এই নাটকটি যেমন একটা ড্রয়িংরুমে। সেখানে আমরা পাশাপাশি যেভাবে কথা বলি সেইভাবে মেইনটেন করার চেষ্টা করি। এখানে ৩৫ জন দর্শক বসতে পারেন। আমরা চেষ্টা করি সবাই যেন শুনতে পান। যেন লাইভ মনে হয়, দর্শকের যেন মনে হয় তাঁরা এই ঘরেরই অংশ।
অভিনেতা না হলে কী হতেন?
অভিনেতা না হলে আমি হয়তো একজন কামলা হতাম।
জীবিকার জন্য আর কী করছেন?
দীর্ঘ ১৬ বছর রিয়েলএস্টেটে কাজ করেছি, সাইবার ক্যাফের ম্যানেজারের কাজ করেছি, ব্যবসা করার চেষ্টা করেছি, আরজে হিসেবে কাজ করেছি, এখন চাকরি করছি পাশাপাশি ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করি বঙ্গ বিডি, ধ্বনিচিত্র, সাউন্ড প্রিন্টার, সিভিএম, দুরন্ত টিভি ও দীপ্ত টিভিতে।
কয়েকটি সিনেমার পাশাপাশি টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন। পর্দায় নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছে আছে?
অবশ্যই আছে। বিষয়টা এমন নয় যে আমি কাজ পাচ্ছি তবু করছি না। সুযোগের অপেক্ষায় আছি। টুকটাক কাজ করার চেষ্টা করছি। যেখানেই অডিশন কল পাই, যাই। আমি ভালো কনটেন্টে কাজ করতে চাই, ভালো ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজ করতে চাই, একটু সময় নিয়ে গুছিয়ে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে চাই।
থিয়েটারে যারা আসতে চায় তাদের কী বলবেন?
থিয়েটারে আসতে চাইলে মেনে নিতে হবে, এখানে দৃশ্যমান কিছু পাওয়া যায় না। অনেকেই থিয়েটারে আসেন তারকা হওয়ার আশায়। কিন্তু থিয়েটার তারকা হওয়ার জায়গা না, ভালো মানুষ হওয়ার জায়গা। থিয়েটারে এসে শিখেছি মানুষ কীভাবে আস্তে আস্তে এগিয়ে যায়, মানুষ কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। নতুন যারা থিয়েটার করতে চায়, তারা যেন মনোযোগ দিয়ে থিয়েটারটা করে।
থিয়েটারে এক যুগ পার করলেন। এখন নিজেকে নিয়ে ভাবলে কোন কথাগুলো মনে হয়?
কিশোরবেলার কথা মনে পড়ে। তখন আমরা বুয়েটের আজাদ স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতাম। বুয়েট অডিটরিয়ামে কর্মচারীদের এক অনুষ্ঠানের নাটিকায় বাউলের ভূমিকায় অভিনয়ের পাশাপাশি ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি পড়ার কথা ছিল আমার। আমি মঞ্চেও উঠেছিলাম। নাম ঘোষণার পর বাবা গর্ব করে আমাকে দেখিয়ে তাঁর স্যারকে বলেছিলেন, এটা আমার ছেলে! কিন্তু আমি সবকিছু গুবলেট করে ফেলি। বাবা সেদিন সেই একতারা দিয়ে আমাকে পেটাতে-পেটাতে বাসায় নিয়ে আসেন। বাবার মৃত্যুর পর আমি বাবাকে খুঁজতাম। বাবা অভিনয়টা পছন্দ করতেন। একদিন আমি থিয়েটারটা শুরু করি। এখন মনে হয়, বাবা থাকলে ভালো হতো, তিনি দেখতে পারতেন, তাঁর স্বপ্নটা ধীরে ধীরে পূরণ হচ্ছে।
প্রথম দিন মঞ্চে ওঠার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
জহির রায়হানের ‘সময়ের প্রয়োজনে’ ছিল থিয়েটারে আমার প্রথম কাজ। মোহাম্মদ বারীর নির্দেশনায় গ্রামবাসীর চরিত্রে অভিনয় করি। সেখানে আমার সমস্বরে ডায়লগ ছিল ‘কোনদিকে যাব’। এই সংলাপ দিয়েই আমার জার্নি শুরু। এতগুলো বছর পরও আমার নিজের কাছে একই প্রশ্ন ‘কোনদিকে যাব’! আমার প্রথম শোতে যে রকম অনুভূতি হয়েছিল, প্রত্যেকটা শোতে সে রকমই অনুভূতি হয়। প্রথম সংলাপের আগে পর্যন্ত পায়ের নিচে সুড়সুড়ির মতো অনুভূতি হয়, আর মাথায় চলতে থাকে, আমি বোধহয় সংলাপটা ঠিকমতো ডেলিভারি দিতে পারব না। তবে প্রথম সংলাপটা দিয়ে ফেলার পর থেকেই আমি ওই চরিত্রটার সঙ্গে মিশে যেতে পারি।
থিয়েটার আর্ট ইউনিটের ‘আমিনা সুন্দরী’, ‘সময়ের প্রয়োজনে’, ‘না মানুষি জমিন’-এর মতো নাটকে কাজ করেছেন। আপনার পছন্দের কাজ কোনটি?
এ দলের যতগুলো নাটকে কাজ করেছি, প্রত্যেকটা নাটকেই আলাদা অনুভূতি কাজ করে। আমার প্রথম পূর্ণাঙ্গ নাটক ‘না মানুষি জমিন’। ‘আমিনা সুন্দরী’তে আমি ছোট্ট একটা চরিত্র করলেও আমার খুব ভালো লাগত। থিয়েটার আর্ট ইউনিটের সব নতুন ছেলেমেয়ের স্বপ্ন থাকে ‘কোর্টমার্শাল’ ও ‘গোলাপজান’ নাটকে অভিনয় করা। সেই আক্ষেপ আমার ঘুচবে না!
থিয়েটার আর্ট ইউনিট ছেড়ে অনুস্বরের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। মঞ্চে কারা আপনাকে তৈরি করেছেন বলে মনে করেন?
থিয়েটার আর্ট ইউনিটে যখন জয়েন করি, তখন আমার কোর্স কো-অর্ডিনেটর ছিলেন সাইফ সুমন ভাই। থিয়েটারে আমার গুরু তিনি। রোকেয়া রফিক বেবি, মোহাম্মদ বারী ও সাইফ সুমন—এই তিনজন মানুষের কাছে আমি বেশি শিখেছি। অনুস্বর গঠনের পর সাইফ সুমন ভাই আরও টেক কেয়ার করলেন, সুযোগ দিলেন, আমাকে নিয়ে কাজ করলেন, আমাকে তৈরি করলেন।
অনেকেই বলেন আপনি অনুস্বরের ‘সম্পদ’। দলের কাছে নিজের এতটা আস্থা বা নির্ভরতা তৈরি কতটা কঠিন ছিল?
কঠিন কখনোই ছিল না। অনুস্বর এমন একটা দল, যেখানে সবার একটা স্পেস অলরেডি ক্রিয়েট করা। যেমন, অনুস্বরের নিজস্ব ফ্লোর আছে, স্টুডিও আছে, লাইব্রেরি আছে, এখানে বাচিকের ক্লাস হয়। আমরা গানের স্বর নিয়ে কাজ করি। নিজেকে যদি একটা মানুষ থিয়েটারে তৈরি করতে চাই, আমি মনে করি অনুস্বরের চেয়ে ভালো দল কমই আছে। আমি অনুস্বরের ‘সম্পদ’, কথাটা আমাকে গর্বিত করে। আমি এখন অনুস্বরের সহকারী দপ্তর হিসেবে আছি। আমার বস প্রশান্ত হালদার। তিনি শিখিয়েছেন থিয়েটারের সার্বিক কাজ কীভাবে হয়, কীভাবে ভালো করা যায়।
অনুস্বরের বেশির ভাগ প্রযোজনায় আপনাকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যায়। কোন চরিত্রটি আপনার বেশি পছন্দের?
আমার করা সব চরিত্রই আমার পছন্দের। তবে ‘মহাশূন্যে সাইকেল’ করার আগ পর্যন্ত ‘স্বপ্নভূক’-এর কবিছায়া চরিত্রটা আমাকে খুব টানত। আমার প্রথম কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘তিনকড়ি’ আমাকে টানত যতক্ষণ পর্যন্ত আমি ‘স্বপ্নভূক’ করিনি। কিন্তু ‘মহাশূন্যে সাইকেল’ করার পর থেকে রেজাউল করিম আমাকে টানছে।
নতুন চরিত্রে অভিনয়ের আগে নিজেকে কীভাবে তৈরি করেন?
প্রথমে খোঁজার চেষ্টা করি চরিত্রটির কথা বলার স্টাইল কেমন। কোনো নাটকেই আমার ডায়লগ ডেলিভারি প্যাটার্ন এক রকম থাকে না। চেষ্টা করি কথা বলার ধরনটা যেন আলাদা হয়। চরিত্রটা কীভাবে হাঁটবে, কীভাবে হাত-পা নাড়াবে, কীভাবে লুক দেবে—এসব ভাবতে ভাবতে যখন আমি পেয়ে যাই চরিত্রটা এইভাবে কথা বলে, তারপর থেকেই আমি বাকিগুলো গুছিয়ে ফেলতে পারি।
নাট্যমঞ্চে অভিনয়ের সময় কোন মুহূর্তটাকে সবচেয়ে কঠিন মনে হয়?
যখন ব্ল্যাংক হয়ে যাই! দৃশ্যে হয়তো আমার কো-অ্যাক্টরও নেই, আমার স্বগতউক্তি চলছে আর আমি ডায়লগ ভুলে গেছি! সেই অবস্থা থেকে বের হওয়ার যে ব্যাপারটা। এমন মুহূর্তে মনে হয় যেন পুরো পৃথিবীটা জগদ্দল পাথর হয়ে আমার মাথার ওপর চেপে বসেছে, পায়ের নিচে মাটি ভেদ করে আমি ডেবে যাচ্ছি!
‘বিবিধি শোক অথবা সুখ’ একটি স্টুডিও প্রডাকশন। মঞ্চে আর স্টুডিওতে মঞ্চায়নের তফাতটা কী?
যখন মঞ্চে কাজ করি তখন একটু লাউডলি কথা বলি আর স্টুডিওতে দেখবেন দর্শক মাত্র দুই ফুট দূরে বসা, এই নাটকটি যেমন একটা ড্রয়িংরুমে। সেখানে আমরা পাশাপাশি যেভাবে কথা বলি সেইভাবে মেইনটেন করার চেষ্টা করি। এখানে ৩৫ জন দর্শক বসতে পারেন। আমরা চেষ্টা করি সবাই যেন শুনতে পান। যেন লাইভ মনে হয়, দর্শকের যেন মনে হয় তাঁরা এই ঘরেরই অংশ।
অভিনেতা না হলে কী হতেন?
অভিনেতা না হলে আমি হয়তো একজন কামলা হতাম।
জীবিকার জন্য আর কী করছেন?
দীর্ঘ ১৬ বছর রিয়েলএস্টেটে কাজ করেছি, সাইবার ক্যাফের ম্যানেজারের কাজ করেছি, ব্যবসা করার চেষ্টা করেছি, আরজে হিসেবে কাজ করেছি, এখন চাকরি করছি পাশাপাশি ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করি বঙ্গ বিডি, ধ্বনিচিত্র, সাউন্ড প্রিন্টার, সিভিএম, দুরন্ত টিভি ও দীপ্ত টিভিতে।
কয়েকটি সিনেমার পাশাপাশি টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন। পর্দায় নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছে আছে?
অবশ্যই আছে। বিষয়টা এমন নয় যে আমি কাজ পাচ্ছি তবু করছি না। সুযোগের অপেক্ষায় আছি। টুকটাক কাজ করার চেষ্টা করছি। যেখানেই অডিশন কল পাই, যাই। আমি ভালো কনটেন্টে কাজ করতে চাই, ভালো ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজ করতে চাই, একটু সময় নিয়ে গুছিয়ে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে চাই।
থিয়েটারে যারা আসতে চায় তাদের কী বলবেন?
থিয়েটারে আসতে চাইলে মেনে নিতে হবে, এখানে দৃশ্যমান কিছু পাওয়া যায় না। অনেকেই থিয়েটারে আসেন তারকা হওয়ার আশায়। কিন্তু থিয়েটার তারকা হওয়ার জায়গা না, ভালো মানুষ হওয়ার জায়গা। থিয়েটারে এসে শিখেছি মানুষ কীভাবে আস্তে আস্তে এগিয়ে যায়, মানুষ কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। নতুন যারা থিয়েটার করতে চায়, তারা যেন মনোযোগ দিয়ে থিয়েটারটা করে।

২০১২ সালে থিয়েটার আর্ট ইউনিটের মাধ্যমে মঞ্চাঙ্গনে পথচলা শুরু এস আর সম্পদের। এরপর অনেকে মিলে গড়ে তুললেন অনুস্বর নাট্যদল। ‘তিনকড়ি’, ‘স্বপ্নভূক’, ‘হুতাশ মরণ’, ‘রায়মঙ্গল’, ‘হার্মাসিস ক্লিওপেট্রা’ ‘বিবিধ শোক অথবা সুখ’ ও ‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকে প্রশংসিত হয়েছে তাঁর অভিনয়। মঞ্চনাটক প্রসঙ্গে সম্পদের সঙ্গে কথা বলেছেন শ্রাবণী রাখী।
শ্রাবণী রাখী

থিয়েটারে এক যুগ পার করলেন। এখন নিজেকে নিয়ে ভাবলে কোন কথাগুলো মনে হয়?
কিশোরবেলার কথা মনে পড়ে। তখন আমরা বুয়েটের আজাদ স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতাম। বুয়েট অডিটরিয়ামে কর্মচারীদের এক অনুষ্ঠানের নাটিকায় বাউলের ভূমিকায় অভিনয়ের পাশাপাশি ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি পড়ার কথা ছিল আমার। আমি মঞ্চেও উঠেছিলাম। নাম ঘোষণার পর বাবা গর্ব করে আমাকে দেখিয়ে তাঁর স্যারকে বলেছিলেন, এটা আমার ছেলে! কিন্তু আমি সবকিছু গুবলেট করে ফেলি। বাবা সেদিন সেই একতারা দিয়ে আমাকে পেটাতে-পেটাতে বাসায় নিয়ে আসেন। বাবার মৃত্যুর পর আমি বাবাকে খুঁজতাম। বাবা অভিনয়টা পছন্দ করতেন। একদিন আমি থিয়েটারটা শুরু করি। এখন মনে হয়, বাবা থাকলে ভালো হতো, তিনি দেখতে পারতেন, তাঁর স্বপ্নটা ধীরে ধীরে পূরণ হচ্ছে।
প্রথম দিন মঞ্চে ওঠার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
জহির রায়হানের ‘সময়ের প্রয়োজনে’ ছিল থিয়েটারে আমার প্রথম কাজ। মোহাম্মদ বারীর নির্দেশনায় গ্রামবাসীর চরিত্রে অভিনয় করি। সেখানে আমার সমস্বরে ডায়লগ ছিল ‘কোনদিকে যাব’। এই সংলাপ দিয়েই আমার জার্নি শুরু। এতগুলো বছর পরও আমার নিজের কাছে একই প্রশ্ন ‘কোনদিকে যাব’! আমার প্রথম শোতে যে রকম অনুভূতি হয়েছিল, প্রত্যেকটা শোতে সে রকমই অনুভূতি হয়। প্রথম সংলাপের আগে পর্যন্ত পায়ের নিচে সুড়সুড়ির মতো অনুভূতি হয়, আর মাথায় চলতে থাকে, আমি বোধহয় সংলাপটা ঠিকমতো ডেলিভারি দিতে পারব না। তবে প্রথম সংলাপটা দিয়ে ফেলার পর থেকেই আমি ওই চরিত্রটার সঙ্গে মিশে যেতে পারি।
থিয়েটার আর্ট ইউনিটের ‘আমিনা সুন্দরী’, ‘সময়ের প্রয়োজনে’, ‘না মানুষি জমিন’-এর মতো নাটকে কাজ করেছেন। আপনার পছন্দের কাজ কোনটি?
এ দলের যতগুলো নাটকে কাজ করেছি, প্রত্যেকটা নাটকেই আলাদা অনুভূতি কাজ করে। আমার প্রথম পূর্ণাঙ্গ নাটক ‘না মানুষি জমিন’। ‘আমিনা সুন্দরী’তে আমি ছোট্ট একটা চরিত্র করলেও আমার খুব ভালো লাগত। থিয়েটার আর্ট ইউনিটের সব নতুন ছেলেমেয়ের স্বপ্ন থাকে ‘কোর্টমার্শাল’ ও ‘গোলাপজান’ নাটকে অভিনয় করা। সেই আক্ষেপ আমার ঘুচবে না!
থিয়েটার আর্ট ইউনিট ছেড়ে অনুস্বরের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। মঞ্চে কারা আপনাকে তৈরি করেছেন বলে মনে করেন?
থিয়েটার আর্ট ইউনিটে যখন জয়েন করি, তখন আমার কোর্স কো-অর্ডিনেটর ছিলেন সাইফ সুমন ভাই। থিয়েটারে আমার গুরু তিনি। রোকেয়া রফিক বেবি, মোহাম্মদ বারী ও সাইফ সুমন—এই তিনজন মানুষের কাছে আমি বেশি শিখেছি। অনুস্বর গঠনের পর সাইফ সুমন ভাই আরও টেক কেয়ার করলেন, সুযোগ দিলেন, আমাকে নিয়ে কাজ করলেন, আমাকে তৈরি করলেন।
অনেকেই বলেন আপনি অনুস্বরের ‘সম্পদ’। দলের কাছে নিজের এতটা আস্থা বা নির্ভরতা তৈরি কতটা কঠিন ছিল?
কঠিন কখনোই ছিল না। অনুস্বর এমন একটা দল, যেখানে সবার একটা স্পেস অলরেডি ক্রিয়েট করা। যেমন, অনুস্বরের নিজস্ব ফ্লোর আছে, স্টুডিও আছে, লাইব্রেরি আছে, এখানে বাচিকের ক্লাস হয়। আমরা গানের স্বর নিয়ে কাজ করি। নিজেকে যদি একটা মানুষ থিয়েটারে তৈরি করতে চাই, আমি মনে করি অনুস্বরের চেয়ে ভালো দল কমই আছে। আমি অনুস্বরের ‘সম্পদ’, কথাটা আমাকে গর্বিত করে। আমি এখন অনুস্বরের সহকারী দপ্তর হিসেবে আছি। আমার বস প্রশান্ত হালদার। তিনি শিখিয়েছেন থিয়েটারের সার্বিক কাজ কীভাবে হয়, কীভাবে ভালো করা যায়।
অনুস্বরের বেশির ভাগ প্রযোজনায় আপনাকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যায়। কোন চরিত্রটি আপনার বেশি পছন্দের?
আমার করা সব চরিত্রই আমার পছন্দের। তবে ‘মহাশূন্যে সাইকেল’ করার আগ পর্যন্ত ‘স্বপ্নভূক’-এর কবিছায়া চরিত্রটা আমাকে খুব টানত। আমার প্রথম কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘তিনকড়ি’ আমাকে টানত যতক্ষণ পর্যন্ত আমি ‘স্বপ্নভূক’ করিনি। কিন্তু ‘মহাশূন্যে সাইকেল’ করার পর থেকে রেজাউল করিম আমাকে টানছে।
নতুন চরিত্রে অভিনয়ের আগে নিজেকে কীভাবে তৈরি করেন?
প্রথমে খোঁজার চেষ্টা করি চরিত্রটির কথা বলার স্টাইল কেমন। কোনো নাটকেই আমার ডায়লগ ডেলিভারি প্যাটার্ন এক রকম থাকে না। চেষ্টা করি কথা বলার ধরনটা যেন আলাদা হয়। চরিত্রটা কীভাবে হাঁটবে, কীভাবে হাত-পা নাড়াবে, কীভাবে লুক দেবে—এসব ভাবতে ভাবতে যখন আমি পেয়ে যাই চরিত্রটা এইভাবে কথা বলে, তারপর থেকেই আমি বাকিগুলো গুছিয়ে ফেলতে পারি।
নাট্যমঞ্চে অভিনয়ের সময় কোন মুহূর্তটাকে সবচেয়ে কঠিন মনে হয়?
যখন ব্ল্যাংক হয়ে যাই! দৃশ্যে হয়তো আমার কো-অ্যাক্টরও নেই, আমার স্বগতউক্তি চলছে আর আমি ডায়লগ ভুলে গেছি! সেই অবস্থা থেকে বের হওয়ার যে ব্যাপারটা। এমন মুহূর্তে মনে হয় যেন পুরো পৃথিবীটা জগদ্দল পাথর হয়ে আমার মাথার ওপর চেপে বসেছে, পায়ের নিচে মাটি ভেদ করে আমি ডেবে যাচ্ছি!
‘বিবিধি শোক অথবা সুখ’ একটি স্টুডিও প্রডাকশন। মঞ্চে আর স্টুডিওতে মঞ্চায়নের তফাতটা কী?
যখন মঞ্চে কাজ করি তখন একটু লাউডলি কথা বলি আর স্টুডিওতে দেখবেন দর্শক মাত্র দুই ফুট দূরে বসা, এই নাটকটি যেমন একটা ড্রয়িংরুমে। সেখানে আমরা পাশাপাশি যেভাবে কথা বলি সেইভাবে মেইনটেন করার চেষ্টা করি। এখানে ৩৫ জন দর্শক বসতে পারেন। আমরা চেষ্টা করি সবাই যেন শুনতে পান। যেন লাইভ মনে হয়, দর্শকের যেন মনে হয় তাঁরা এই ঘরেরই অংশ।
অভিনেতা না হলে কী হতেন?
অভিনেতা না হলে আমি হয়তো একজন কামলা হতাম।
জীবিকার জন্য আর কী করছেন?
দীর্ঘ ১৬ বছর রিয়েলএস্টেটে কাজ করেছি, সাইবার ক্যাফের ম্যানেজারের কাজ করেছি, ব্যবসা করার চেষ্টা করেছি, আরজে হিসেবে কাজ করেছি, এখন চাকরি করছি পাশাপাশি ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করি বঙ্গ বিডি, ধ্বনিচিত্র, সাউন্ড প্রিন্টার, সিভিএম, দুরন্ত টিভি ও দীপ্ত টিভিতে।
কয়েকটি সিনেমার পাশাপাশি টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন। পর্দায় নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছে আছে?
অবশ্যই আছে। বিষয়টা এমন নয় যে আমি কাজ পাচ্ছি তবু করছি না। সুযোগের অপেক্ষায় আছি। টুকটাক কাজ করার চেষ্টা করছি। যেখানেই অডিশন কল পাই, যাই। আমি ভালো কনটেন্টে কাজ করতে চাই, ভালো ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজ করতে চাই, একটু সময় নিয়ে গুছিয়ে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে চাই।
থিয়েটারে যারা আসতে চায় তাদের কী বলবেন?
থিয়েটারে আসতে চাইলে মেনে নিতে হবে, এখানে দৃশ্যমান কিছু পাওয়া যায় না। অনেকেই থিয়েটারে আসেন তারকা হওয়ার আশায়। কিন্তু থিয়েটার তারকা হওয়ার জায়গা না, ভালো মানুষ হওয়ার জায়গা। থিয়েটারে এসে শিখেছি মানুষ কীভাবে আস্তে আস্তে এগিয়ে যায়, মানুষ কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। নতুন যারা থিয়েটার করতে চায়, তারা যেন মনোযোগ দিয়ে থিয়েটারটা করে।
থিয়েটারে এক যুগ পার করলেন। এখন নিজেকে নিয়ে ভাবলে কোন কথাগুলো মনে হয়?
কিশোরবেলার কথা মনে পড়ে। তখন আমরা বুয়েটের আজাদ স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতাম। বুয়েট অডিটরিয়ামে কর্মচারীদের এক অনুষ্ঠানের নাটিকায় বাউলের ভূমিকায় অভিনয়ের পাশাপাশি ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি পড়ার কথা ছিল আমার। আমি মঞ্চেও উঠেছিলাম। নাম ঘোষণার পর বাবা গর্ব করে আমাকে দেখিয়ে তাঁর স্যারকে বলেছিলেন, এটা আমার ছেলে! কিন্তু আমি সবকিছু গুবলেট করে ফেলি। বাবা সেদিন সেই একতারা দিয়ে আমাকে পেটাতে-পেটাতে বাসায় নিয়ে আসেন। বাবার মৃত্যুর পর আমি বাবাকে খুঁজতাম। বাবা অভিনয়টা পছন্দ করতেন। একদিন আমি থিয়েটারটা শুরু করি। এখন মনে হয়, বাবা থাকলে ভালো হতো, তিনি দেখতে পারতেন, তাঁর স্বপ্নটা ধীরে ধীরে পূরণ হচ্ছে।
প্রথম দিন মঞ্চে ওঠার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
জহির রায়হানের ‘সময়ের প্রয়োজনে’ ছিল থিয়েটারে আমার প্রথম কাজ। মোহাম্মদ বারীর নির্দেশনায় গ্রামবাসীর চরিত্রে অভিনয় করি। সেখানে আমার সমস্বরে ডায়লগ ছিল ‘কোনদিকে যাব’। এই সংলাপ দিয়েই আমার জার্নি শুরু। এতগুলো বছর পরও আমার নিজের কাছে একই প্রশ্ন ‘কোনদিকে যাব’! আমার প্রথম শোতে যে রকম অনুভূতি হয়েছিল, প্রত্যেকটা শোতে সে রকমই অনুভূতি হয়। প্রথম সংলাপের আগে পর্যন্ত পায়ের নিচে সুড়সুড়ির মতো অনুভূতি হয়, আর মাথায় চলতে থাকে, আমি বোধহয় সংলাপটা ঠিকমতো ডেলিভারি দিতে পারব না। তবে প্রথম সংলাপটা দিয়ে ফেলার পর থেকেই আমি ওই চরিত্রটার সঙ্গে মিশে যেতে পারি।
থিয়েটার আর্ট ইউনিটের ‘আমিনা সুন্দরী’, ‘সময়ের প্রয়োজনে’, ‘না মানুষি জমিন’-এর মতো নাটকে কাজ করেছেন। আপনার পছন্দের কাজ কোনটি?
এ দলের যতগুলো নাটকে কাজ করেছি, প্রত্যেকটা নাটকেই আলাদা অনুভূতি কাজ করে। আমার প্রথম পূর্ণাঙ্গ নাটক ‘না মানুষি জমিন’। ‘আমিনা সুন্দরী’তে আমি ছোট্ট একটা চরিত্র করলেও আমার খুব ভালো লাগত। থিয়েটার আর্ট ইউনিটের সব নতুন ছেলেমেয়ের স্বপ্ন থাকে ‘কোর্টমার্শাল’ ও ‘গোলাপজান’ নাটকে অভিনয় করা। সেই আক্ষেপ আমার ঘুচবে না!
থিয়েটার আর্ট ইউনিট ছেড়ে অনুস্বরের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। মঞ্চে কারা আপনাকে তৈরি করেছেন বলে মনে করেন?
থিয়েটার আর্ট ইউনিটে যখন জয়েন করি, তখন আমার কোর্স কো-অর্ডিনেটর ছিলেন সাইফ সুমন ভাই। থিয়েটারে আমার গুরু তিনি। রোকেয়া রফিক বেবি, মোহাম্মদ বারী ও সাইফ সুমন—এই তিনজন মানুষের কাছে আমি বেশি শিখেছি। অনুস্বর গঠনের পর সাইফ সুমন ভাই আরও টেক কেয়ার করলেন, সুযোগ দিলেন, আমাকে নিয়ে কাজ করলেন, আমাকে তৈরি করলেন।
অনেকেই বলেন আপনি অনুস্বরের ‘সম্পদ’। দলের কাছে নিজের এতটা আস্থা বা নির্ভরতা তৈরি কতটা কঠিন ছিল?
কঠিন কখনোই ছিল না। অনুস্বর এমন একটা দল, যেখানে সবার একটা স্পেস অলরেডি ক্রিয়েট করা। যেমন, অনুস্বরের নিজস্ব ফ্লোর আছে, স্টুডিও আছে, লাইব্রেরি আছে, এখানে বাচিকের ক্লাস হয়। আমরা গানের স্বর নিয়ে কাজ করি। নিজেকে যদি একটা মানুষ থিয়েটারে তৈরি করতে চাই, আমি মনে করি অনুস্বরের চেয়ে ভালো দল কমই আছে। আমি অনুস্বরের ‘সম্পদ’, কথাটা আমাকে গর্বিত করে। আমি এখন অনুস্বরের সহকারী দপ্তর হিসেবে আছি। আমার বস প্রশান্ত হালদার। তিনি শিখিয়েছেন থিয়েটারের সার্বিক কাজ কীভাবে হয়, কীভাবে ভালো করা যায়।
অনুস্বরের বেশির ভাগ প্রযোজনায় আপনাকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যায়। কোন চরিত্রটি আপনার বেশি পছন্দের?
আমার করা সব চরিত্রই আমার পছন্দের। তবে ‘মহাশূন্যে সাইকেল’ করার আগ পর্যন্ত ‘স্বপ্নভূক’-এর কবিছায়া চরিত্রটা আমাকে খুব টানত। আমার প্রথম কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘তিনকড়ি’ আমাকে টানত যতক্ষণ পর্যন্ত আমি ‘স্বপ্নভূক’ করিনি। কিন্তু ‘মহাশূন্যে সাইকেল’ করার পর থেকে রেজাউল করিম আমাকে টানছে।
নতুন চরিত্রে অভিনয়ের আগে নিজেকে কীভাবে তৈরি করেন?
প্রথমে খোঁজার চেষ্টা করি চরিত্রটির কথা বলার স্টাইল কেমন। কোনো নাটকেই আমার ডায়লগ ডেলিভারি প্যাটার্ন এক রকম থাকে না। চেষ্টা করি কথা বলার ধরনটা যেন আলাদা হয়। চরিত্রটা কীভাবে হাঁটবে, কীভাবে হাত-পা নাড়াবে, কীভাবে লুক দেবে—এসব ভাবতে ভাবতে যখন আমি পেয়ে যাই চরিত্রটা এইভাবে কথা বলে, তারপর থেকেই আমি বাকিগুলো গুছিয়ে ফেলতে পারি।
নাট্যমঞ্চে অভিনয়ের সময় কোন মুহূর্তটাকে সবচেয়ে কঠিন মনে হয়?
যখন ব্ল্যাংক হয়ে যাই! দৃশ্যে হয়তো আমার কো-অ্যাক্টরও নেই, আমার স্বগতউক্তি চলছে আর আমি ডায়লগ ভুলে গেছি! সেই অবস্থা থেকে বের হওয়ার যে ব্যাপারটা। এমন মুহূর্তে মনে হয় যেন পুরো পৃথিবীটা জগদ্দল পাথর হয়ে আমার মাথার ওপর চেপে বসেছে, পায়ের নিচে মাটি ভেদ করে আমি ডেবে যাচ্ছি!
‘বিবিধি শোক অথবা সুখ’ একটি স্টুডিও প্রডাকশন। মঞ্চে আর স্টুডিওতে মঞ্চায়নের তফাতটা কী?
যখন মঞ্চে কাজ করি তখন একটু লাউডলি কথা বলি আর স্টুডিওতে দেখবেন দর্শক মাত্র দুই ফুট দূরে বসা, এই নাটকটি যেমন একটা ড্রয়িংরুমে। সেখানে আমরা পাশাপাশি যেভাবে কথা বলি সেইভাবে মেইনটেন করার চেষ্টা করি। এখানে ৩৫ জন দর্শক বসতে পারেন। আমরা চেষ্টা করি সবাই যেন শুনতে পান। যেন লাইভ মনে হয়, দর্শকের যেন মনে হয় তাঁরা এই ঘরেরই অংশ।
অভিনেতা না হলে কী হতেন?
অভিনেতা না হলে আমি হয়তো একজন কামলা হতাম।
জীবিকার জন্য আর কী করছেন?
দীর্ঘ ১৬ বছর রিয়েলএস্টেটে কাজ করেছি, সাইবার ক্যাফের ম্যানেজারের কাজ করেছি, ব্যবসা করার চেষ্টা করেছি, আরজে হিসেবে কাজ করেছি, এখন চাকরি করছি পাশাপাশি ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করি বঙ্গ বিডি, ধ্বনিচিত্র, সাউন্ড প্রিন্টার, সিভিএম, দুরন্ত টিভি ও দীপ্ত টিভিতে।
কয়েকটি সিনেমার পাশাপাশি টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন। পর্দায় নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছে আছে?
অবশ্যই আছে। বিষয়টা এমন নয় যে আমি কাজ পাচ্ছি তবু করছি না। সুযোগের অপেক্ষায় আছি। টুকটাক কাজ করার চেষ্টা করছি। যেখানেই অডিশন কল পাই, যাই। আমি ভালো কনটেন্টে কাজ করতে চাই, ভালো ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজ করতে চাই, একটু সময় নিয়ে গুছিয়ে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে চাই।
থিয়েটারে যারা আসতে চায় তাদের কী বলবেন?
থিয়েটারে আসতে চাইলে মেনে নিতে হবে, এখানে দৃশ্যমান কিছু পাওয়া যায় না। অনেকেই থিয়েটারে আসেন তারকা হওয়ার আশায়। কিন্তু থিয়েটার তারকা হওয়ার জায়গা না, ভালো মানুষ হওয়ার জায়গা। থিয়েটারে এসে শিখেছি মানুষ কীভাবে আস্তে আস্তে এগিয়ে যায়, মানুষ কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। নতুন যারা থিয়েটার করতে চায়, তারা যেন মনোযোগ দিয়ে থিয়েটারটা করে।

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
৯ ঘণ্টা আগে
‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। এতে আরও আছেন আজমেরি হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার ও শ্যামল মাওলা।
হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাসে অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চিত্রা। তার সেই ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি। নির্মাতা সেই গল্পই পর্দায় তুলে ধরবেন, তবে সিনেমার প্রয়োজনে থাকবে কিছু সংযোজন-পরিমার্জন। থাকবে নতুন চমক। তবে কী সেই চমক, তা জানা যাবে বনলতা এক্সপ্রেস মুক্তির পর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হবে শুটিং। চিত্রা চরিত্রে থাকছেন সাবিলা নূর। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
পারিবারিক গল্পের উৎসব সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এবারও তারকাসমৃদ্ধ পারিবারিক গল্পের সিনেমা দিয়ে দর্শকের সামনে আসার পরিকল্পনা নির্মাতার। বনলতা এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে নির্মাতা তানিম নূর বলেন, ‘উৎসব শেষ করার পর নতুন সিনেমা নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলাম, অনেকে পরামর্শ দিল আরেকটা পারিবারিক গল্প নিয়ে কাজ করতে। তখন ভাবলাম, হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প নিয়ে কাজ করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই কিছুক্ষণ উপন্যাস নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু।’
অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘চরিত্রের প্রেমে পড়েই এই সিনেমায় যুক্ত হওয়া। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ দারুণ লেগেছে। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি আমার পড়া, সেটার প্রতিও ভালো লাগা আছে। বনলতা এক্সপ্রেসে আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁরা আমার অনেক দিনের সঙ্গী। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তানিম নূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা এই বিষয়টি যেমন দর্শকের আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমনি অভিনেতা হিসেবে আমরাও একটি ভালো সিনেমার অংশ হতে অধীর হয়ে আছি।’
আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তাঁর গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’
জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এর ড্রাইভার তানিম নূর। এ ছাড়া যাত্রাপথে সহযাত্রীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমার সহযাত্রীরা সবাই দুর্দান্ত। আশা করি দারুণ একটি যাত্রা হবে আমাদের।’

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। এতে আরও আছেন আজমেরি হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার ও শ্যামল মাওলা।
হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাসে অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চিত্রা। তার সেই ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি। নির্মাতা সেই গল্পই পর্দায় তুলে ধরবেন, তবে সিনেমার প্রয়োজনে থাকবে কিছু সংযোজন-পরিমার্জন। থাকবে নতুন চমক। তবে কী সেই চমক, তা জানা যাবে বনলতা এক্সপ্রেস মুক্তির পর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হবে শুটিং। চিত্রা চরিত্রে থাকছেন সাবিলা নূর। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
পারিবারিক গল্পের উৎসব সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এবারও তারকাসমৃদ্ধ পারিবারিক গল্পের সিনেমা দিয়ে দর্শকের সামনে আসার পরিকল্পনা নির্মাতার। বনলতা এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে নির্মাতা তানিম নূর বলেন, ‘উৎসব শেষ করার পর নতুন সিনেমা নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলাম, অনেকে পরামর্শ দিল আরেকটা পারিবারিক গল্প নিয়ে কাজ করতে। তখন ভাবলাম, হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প নিয়ে কাজ করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই কিছুক্ষণ উপন্যাস নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু।’
অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘চরিত্রের প্রেমে পড়েই এই সিনেমায় যুক্ত হওয়া। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ দারুণ লেগেছে। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি আমার পড়া, সেটার প্রতিও ভালো লাগা আছে। বনলতা এক্সপ্রেসে আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁরা আমার অনেক দিনের সঙ্গী। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তানিম নূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা এই বিষয়টি যেমন দর্শকের আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমনি অভিনেতা হিসেবে আমরাও একটি ভালো সিনেমার অংশ হতে অধীর হয়ে আছি।’
আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তাঁর গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’
জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এর ড্রাইভার তানিম নূর। এ ছাড়া যাত্রাপথে সহযাত্রীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমার সহযাত্রীরা সবাই দুর্দান্ত। আশা করি দারুণ একটি যাত্রা হবে আমাদের।’

কিশোরবেলার কথা মনে পড়ে। তখন আমরা বুয়েটের আজাদ স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতাম। বুয়েট অডিটরিয়ামে কর্মচারীদের এক অনুষ্ঠানের নাটিকায় বাউলের ভূমিকায় অভিনয়ের পাশাপাশি ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি পড়ার কথা ছিল আমার। আমি মঞ্চেও উঠেছিলাম। নাম ঘোষণার পর বাবা গর্ব করে আমাকে দেখিয়ে তাঁর স্যারকে বলেছিলেন, এটা আমার ছেলে!
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
৯ ঘণ্টা আগে
‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি।
৯ ঘণ্টা আগেবিজয় দিবসের আয়োজন
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন। কথামতো সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশের ছয় প্রতিযোগীকে নিয়ে গান বানালেন তাঁরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে তৈরি গানটি আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে লিজার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লিজা এবং ইয়াং স্টার ২০২৩-এর জাহিদ অন্তু, অনিক, অরিন্দল, আদিবা, অঙ্কিতা ও দীপান্বিতা। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমন সাহা। ‘আমার মুখে বাংলাদেশ, আমার বুকে বাংলাদেশ, সুখে দুঃখে আমার বাংলাদেশ... আমরা সবাই বাংলাদেশ’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন কবির বকুল।
আমরা সবাই বাংলাদেশ গানটির সার্বিক আয়োজন ও প্রযোজনা করেছেন লিজা। গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজ বিশ্বাস শংকর। শুটিং হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, শিখা চিরন্তনসহ বিভিন্ন লোকেশনে।
কবির বকুল বলেন, ‘মূলত গানটির উদ্যোক্তা কণ্ঠশিল্পী লিজা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি দেশের গান উপহার দেওয়ার। এই সুন্দর দেশটার সঙ্গে প্রতিটি মানুষের যে আত্মিক টান, আবেগমাখা সম্পর্ক, দেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা—তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গানের কথায়।’
সুরকার ইমন সাহা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল নতুনদের নিয়ে গান করার। সেই ইচ্ছার প্রতিফলন এই গান। সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশের গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস গানটি ভালো লাগবে সবার।’
কণ্ঠশিল্পী লিজা বলেন, ‘আমি নিজেও রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি। শো শেষে আমাদের বাকি জার্নিটা কিন্তু সলো হয়, দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। নিজের জীবন থেকেই উপলব্ধি করেছি, শুধু নতুন শিল্পী খুঁজে বের করলেই হবে না, তাঁদের প্রপার গাইড করতে হবে। তাঁদের পাশে থাকতে হবে। তাই বিচারকের আসনে থাকার সময়ই বলেছিলাম, নতুনদের জন্য কাজ করব, শুধু কাভার সং নয়, প্রতিটি নতুন শিল্পীর মৌলিক গান হওয়া প্রয়োজন। তাই ইয়াং স্টারদের নিয়ে আমাদের এই দেশের গান। চেষ্টা করেছি একটি সুন্দর গান উপহার দিতে। আমরা চাই গানটি সব শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাক, তাই আমার চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হলেও, কোনো ধরনের কপিরাইট রেসট্রিকশন রাখছি না। যে কেউ চাইলে যেকোনো চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করতে পারবেন।’

২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন। কথামতো সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশের ছয় প্রতিযোগীকে নিয়ে গান বানালেন তাঁরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে তৈরি গানটি আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে লিজার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লিজা এবং ইয়াং স্টার ২০২৩-এর জাহিদ অন্তু, অনিক, অরিন্দল, আদিবা, অঙ্কিতা ও দীপান্বিতা। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমন সাহা। ‘আমার মুখে বাংলাদেশ, আমার বুকে বাংলাদেশ, সুখে দুঃখে আমার বাংলাদেশ... আমরা সবাই বাংলাদেশ’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন কবির বকুল।
আমরা সবাই বাংলাদেশ গানটির সার্বিক আয়োজন ও প্রযোজনা করেছেন লিজা। গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজ বিশ্বাস শংকর। শুটিং হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, শিখা চিরন্তনসহ বিভিন্ন লোকেশনে।
কবির বকুল বলেন, ‘মূলত গানটির উদ্যোক্তা কণ্ঠশিল্পী লিজা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি দেশের গান উপহার দেওয়ার। এই সুন্দর দেশটার সঙ্গে প্রতিটি মানুষের যে আত্মিক টান, আবেগমাখা সম্পর্ক, দেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা—তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গানের কথায়।’
সুরকার ইমন সাহা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল নতুনদের নিয়ে গান করার। সেই ইচ্ছার প্রতিফলন এই গান। সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশের গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস গানটি ভালো লাগবে সবার।’
কণ্ঠশিল্পী লিজা বলেন, ‘আমি নিজেও রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি। শো শেষে আমাদের বাকি জার্নিটা কিন্তু সলো হয়, দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। নিজের জীবন থেকেই উপলব্ধি করেছি, শুধু নতুন শিল্পী খুঁজে বের করলেই হবে না, তাঁদের প্রপার গাইড করতে হবে। তাঁদের পাশে থাকতে হবে। তাই বিচারকের আসনে থাকার সময়ই বলেছিলাম, নতুনদের জন্য কাজ করব, শুধু কাভার সং নয়, প্রতিটি নতুন শিল্পীর মৌলিক গান হওয়া প্রয়োজন। তাই ইয়াং স্টারদের নিয়ে আমাদের এই দেশের গান। চেষ্টা করেছি একটি সুন্দর গান উপহার দিতে। আমরা চাই গানটি সব শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাক, তাই আমার চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হলেও, কোনো ধরনের কপিরাইট রেসট্রিকশন রাখছি না। যে কেউ চাইলে যেকোনো চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করতে পারবেন।’

কিশোরবেলার কথা মনে পড়ে। তখন আমরা বুয়েটের আজাদ স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতাম। বুয়েট অডিটরিয়ামে কর্মচারীদের এক অনুষ্ঠানের নাটিকায় বাউলের ভূমিকায় অভিনয়ের পাশাপাশি ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি পড়ার কথা ছিল আমার। আমি মঞ্চেও উঠেছিলাম। নাম ঘোষণার পর বাবা গর্ব করে আমাকে দেখিয়ে তাঁর স্যারকে বলেছিলেন, এটা আমার ছেলে!
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
৯ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
৯ ঘণ্টা আগে
‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তাওকীর। এখনো সিনেমাটি চলছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে জানা গেল নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে জায়গা করে নিয়েছে দেলুপি। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।
আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। যেখানে বিশ্বের সেরা নির্মাতা, উদীয়মান প্রতিভা ও আর্টহাউস সিনেমার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়।
রটারড্যামে দেলুপির যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো টিম। পরিচালক তাওকীর বলেন, ‘রটারড্যাম থেকে আমরা যখন প্রথম মেইল পেয়ে জানতে পারি, তারা সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করতে চায়। সে সময় একটু বিপাকেই পড়ে গিয়েছিলাম। কেননা আমরা সিনেমা বানানোর সময় দেলুটি ইউনিয়নের মানুষদের কথা দিয়েছিলাম, সিনেমাটা প্রথমে তাঁদের দেখাব। আমাদের এই ইচ্ছা ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজারদের জানিয়েছিলাম। তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়। আমরা সিনেমাটি আগে খুলনায় রিলিজ দিই। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের দর্শকেরা দেলুপি দেখতে পারবেন। তাই আমরা আনন্দিত।’
দেলুপি সিনেমায় যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো. জাকির হোসেনসহ অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তাওকীর। এখনো সিনেমাটি চলছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে জানা গেল নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে জায়গা করে নিয়েছে দেলুপি। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।
আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। যেখানে বিশ্বের সেরা নির্মাতা, উদীয়মান প্রতিভা ও আর্টহাউস সিনেমার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়।
রটারড্যামে দেলুপির যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো টিম। পরিচালক তাওকীর বলেন, ‘রটারড্যাম থেকে আমরা যখন প্রথম মেইল পেয়ে জানতে পারি, তারা সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করতে চায়। সে সময় একটু বিপাকেই পড়ে গিয়েছিলাম। কেননা আমরা সিনেমা বানানোর সময় দেলুটি ইউনিয়নের মানুষদের কথা দিয়েছিলাম, সিনেমাটা প্রথমে তাঁদের দেখাব। আমাদের এই ইচ্ছা ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজারদের জানিয়েছিলাম। তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়। আমরা সিনেমাটি আগে খুলনায় রিলিজ দিই। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের দর্শকেরা দেলুপি দেখতে পারবেন। তাই আমরা আনন্দিত।’
দেলুপি সিনেমায় যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো. জাকির হোসেনসহ অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

কিশোরবেলার কথা মনে পড়ে। তখন আমরা বুয়েটের আজাদ স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতাম। বুয়েট অডিটরিয়ামে কর্মচারীদের এক অনুষ্ঠানের নাটিকায় বাউলের ভূমিকায় অভিনয়ের পাশাপাশি ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি পড়ার কথা ছিল আমার। আমি মঞ্চেও উঠেছিলাম। নাম ঘোষণার পর বাবা গর্ব করে আমাকে দেখিয়ে তাঁর স্যারকে বলেছিলেন, এটা আমার ছেলে!
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান।
মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসবেন, এ কথা নিজেই জানিয়েছিলেন বলিউড কিং শাহরুখ খান। কথামতোই মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসেন অভিনেতা। এ সময় শাহরুখের সঙ্গে ছিল তাঁর ছোট ছেলে আব্রাম খান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, মেসির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন শাহরুখ ও আব্রাম। ফুটবল তারকার সঙ্গে আব্রামের সহজ-স্বাভাবিক মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শাহরুখ প্রথমে করমর্দন করেন উরুগুয়ের তারকা লুইস সুয়ারেজ ও আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার রদ্রিগো দি পলের সঙ্গে। এরপর এগিয়ে যান মেসির দিকে। দুজন হাত মেলান, কথা বলেন, ছবি তোলেন। সেই সময় মেসি আলাদাভাবে ছবি তোলেন আব্রামের সঙ্গেও।
মেসির সঙ্গে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছিলেন শাহরুখ। কিন্তু তেমনটা আর হয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী হোটেলে অনুষ্ঠান শেষ করে স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১১টার দিকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছান মেসি। মিনিট ১৫ ছিলেন মাঠে। এর পরই বেরিয়ে যান মাঠ ছেড়ে। মেসিকে দেখতে না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভক্তরা। চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় মাঠজুড়ে। খবর যায় শাহরুখের কাছেও। তাই যুবভারতীতে না গিয়ে শাহরুখ রওনা দেন বিমানবন্দরের দিকে।
জানা গেছে, অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান।
মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসবেন, এ কথা নিজেই জানিয়েছিলেন বলিউড কিং শাহরুখ খান। কথামতোই মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসেন অভিনেতা। এ সময় শাহরুখের সঙ্গে ছিল তাঁর ছোট ছেলে আব্রাম খান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, মেসির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন শাহরুখ ও আব্রাম। ফুটবল তারকার সঙ্গে আব্রামের সহজ-স্বাভাবিক মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শাহরুখ প্রথমে করমর্দন করেন উরুগুয়ের তারকা লুইস সুয়ারেজ ও আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার রদ্রিগো দি পলের সঙ্গে। এরপর এগিয়ে যান মেসির দিকে। দুজন হাত মেলান, কথা বলেন, ছবি তোলেন। সেই সময় মেসি আলাদাভাবে ছবি তোলেন আব্রামের সঙ্গেও।
মেসির সঙ্গে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছিলেন শাহরুখ। কিন্তু তেমনটা আর হয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী হোটেলে অনুষ্ঠান শেষ করে স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১১টার দিকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছান মেসি। মিনিট ১৫ ছিলেন মাঠে। এর পরই বেরিয়ে যান মাঠ ছেড়ে। মেসিকে দেখতে না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভক্তরা। চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় মাঠজুড়ে। খবর যায় শাহরুখের কাছেও। তাই যুবভারতীতে না গিয়ে শাহরুখ রওনা দেন বিমানবন্দরের দিকে।
জানা গেছে, অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিশোরবেলার কথা মনে পড়ে। তখন আমরা বুয়েটের আজাদ স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতাম। বুয়েট অডিটরিয়ামে কর্মচারীদের এক অনুষ্ঠানের নাটিকায় বাউলের ভূমিকায় অভিনয়ের পাশাপাশি ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি পড়ার কথা ছিল আমার। আমি মঞ্চেও উঠেছিলাম। নাম ঘোষণার পর বাবা গর্ব করে আমাকে দেখিয়ে তাঁর স্যারকে বলেছিলেন, এটা আমার ছেলে!
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
৯ ঘণ্টা আগে