
২০১২ সালে থিয়েটার আর্ট ইউনিটের মাধ্যমে মঞ্চাঙ্গনে পথচলা শুরু এস আর সম্পদের। এরপর অনেকে মিলে গড়ে তুললেন অনুস্বর নাট্যদল। ‘তিনকড়ি’, ‘স্বপ্নভূক’, ‘হুতাশ মরণ’, ‘রায়মঙ্গল’, ‘হার্মাসিস ক্লিওপেট্রা’ ‘বিবিধ শোক অথবা সুখ’ ও ‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকে প্রশংসিত হয়েছে তাঁর অভিনয়। মঞ্চনাটক প্রসঙ্গে সম্পদের সঙ্গে কথা বলেছেন শ্রাবণী রাখী।
শ্রাবণী রাখী

থিয়েটারে এক যুগ পার করলেন। এখন নিজেকে নিয়ে ভাবলে কোন কথাগুলো মনে হয়?
কিশোরবেলার কথা মনে পড়ে। তখন আমরা বুয়েটের আজাদ স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতাম। বুয়েট অডিটরিয়ামে কর্মচারীদের এক অনুষ্ঠানের নাটিকায় বাউলের ভূমিকায় অভিনয়ের পাশাপাশি ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি পড়ার কথা ছিল আমার। আমি মঞ্চেও উঠেছিলাম। নাম ঘোষণার পর বাবা গর্ব করে আমাকে দেখিয়ে তাঁর স্যারকে বলেছিলেন, এটা আমার ছেলে! কিন্তু আমি সবকিছু গুবলেট করে ফেলি। বাবা সেদিন সেই একতারা দিয়ে আমাকে পেটাতে-পেটাতে বাসায় নিয়ে আসেন। বাবার মৃত্যুর পর আমি বাবাকে খুঁজতাম। বাবা অভিনয়টা পছন্দ করতেন। একদিন আমি থিয়েটারটা শুরু করি। এখন মনে হয়, বাবা থাকলে ভালো হতো, তিনি দেখতে পারতেন, তাঁর স্বপ্নটা ধীরে ধীরে পূরণ হচ্ছে।
প্রথম দিন মঞ্চে ওঠার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
জহির রায়হানের ‘সময়ের প্রয়োজনে’ ছিল থিয়েটারে আমার প্রথম কাজ। মোহাম্মদ বারীর নির্দেশনায় গ্রামবাসীর চরিত্রে অভিনয় করি। সেখানে আমার সমস্বরে ডায়লগ ছিল ‘কোনদিকে যাব’। এই সংলাপ দিয়েই আমার জার্নি শুরু। এতগুলো বছর পরও আমার নিজের কাছে একই প্রশ্ন ‘কোনদিকে যাব’! আমার প্রথম শোতে যে রকম অনুভূতি হয়েছিল, প্রত্যেকটা শোতে সে রকমই অনুভূতি হয়। প্রথম সংলাপের আগে পর্যন্ত পায়ের নিচে সুড়সুড়ির মতো অনুভূতি হয়, আর মাথায় চলতে থাকে, আমি বোধহয় সংলাপটা ঠিকমতো ডেলিভারি দিতে পারব না। তবে প্রথম সংলাপটা দিয়ে ফেলার পর থেকেই আমি ওই চরিত্রটার সঙ্গে মিশে যেতে পারি।
থিয়েটার আর্ট ইউনিটের ‘আমিনা সুন্দরী’, ‘সময়ের প্রয়োজনে’, ‘না মানুষি জমিন’-এর মতো নাটকে কাজ করেছেন। আপনার পছন্দের কাজ কোনটি?
এ দলের যতগুলো নাটকে কাজ করেছি, প্রত্যেকটা নাটকেই আলাদা অনুভূতি কাজ করে। আমার প্রথম পূর্ণাঙ্গ নাটক ‘না মানুষি জমিন’। ‘আমিনা সুন্দরী’তে আমি ছোট্ট একটা চরিত্র করলেও আমার খুব ভালো লাগত। থিয়েটার আর্ট ইউনিটের সব নতুন ছেলেমেয়ের স্বপ্ন থাকে ‘কোর্টমার্শাল’ ও ‘গোলাপজান’ নাটকে অভিনয় করা। সেই আক্ষেপ আমার ঘুচবে না!
থিয়েটার আর্ট ইউনিট ছেড়ে অনুস্বরের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। মঞ্চে কারা আপনাকে তৈরি করেছেন বলে মনে করেন?
থিয়েটার আর্ট ইউনিটে যখন জয়েন করি, তখন আমার কোর্স কো-অর্ডিনেটর ছিলেন সাইফ সুমন ভাই। থিয়েটারে আমার গুরু তিনি। রোকেয়া রফিক বেবি, মোহাম্মদ বারী ও সাইফ সুমন—এই তিনজন মানুষের কাছে আমি বেশি শিখেছি। অনুস্বর গঠনের পর সাইফ সুমন ভাই আরও টেক কেয়ার করলেন, সুযোগ দিলেন, আমাকে নিয়ে কাজ করলেন, আমাকে তৈরি করলেন।
অনেকেই বলেন আপনি অনুস্বরের ‘সম্পদ’। দলের কাছে নিজের এতটা আস্থা বা নির্ভরতা তৈরি কতটা কঠিন ছিল?
কঠিন কখনোই ছিল না। অনুস্বর এমন একটা দল, যেখানে সবার একটা স্পেস অলরেডি ক্রিয়েট করা। যেমন, অনুস্বরের নিজস্ব ফ্লোর আছে, স্টুডিও আছে, লাইব্রেরি আছে, এখানে বাচিকের ক্লাস হয়। আমরা গানের স্বর নিয়ে কাজ করি। নিজেকে যদি একটা মানুষ থিয়েটারে তৈরি করতে চাই, আমি মনে করি অনুস্বরের চেয়ে ভালো দল কমই আছে। আমি অনুস্বরের ‘সম্পদ’, কথাটা আমাকে গর্বিত করে। আমি এখন অনুস্বরের সহকারী দপ্তর হিসেবে আছি। আমার বস প্রশান্ত হালদার। তিনি শিখিয়েছেন থিয়েটারের সার্বিক কাজ কীভাবে হয়, কীভাবে ভালো করা যায়।
অনুস্বরের বেশির ভাগ প্রযোজনায় আপনাকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যায়। কোন চরিত্রটি আপনার বেশি পছন্দের?
আমার করা সব চরিত্রই আমার পছন্দের। তবে ‘মহাশূন্যে সাইকেল’ করার আগ পর্যন্ত ‘স্বপ্নভূক’-এর কবিছায়া চরিত্রটা আমাকে খুব টানত। আমার প্রথম কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘তিনকড়ি’ আমাকে টানত যতক্ষণ পর্যন্ত আমি ‘স্বপ্নভূক’ করিনি। কিন্তু ‘মহাশূন্যে সাইকেল’ করার পর থেকে রেজাউল করিম আমাকে টানছে।
নতুন চরিত্রে অভিনয়ের আগে নিজেকে কীভাবে তৈরি করেন?
প্রথমে খোঁজার চেষ্টা করি চরিত্রটির কথা বলার স্টাইল কেমন। কোনো নাটকেই আমার ডায়লগ ডেলিভারি প্যাটার্ন এক রকম থাকে না। চেষ্টা করি কথা বলার ধরনটা যেন আলাদা হয়। চরিত্রটা কীভাবে হাঁটবে, কীভাবে হাত-পা নাড়াবে, কীভাবে লুক দেবে—এসব ভাবতে ভাবতে যখন আমি পেয়ে যাই চরিত্রটা এইভাবে কথা বলে, তারপর থেকেই আমি বাকিগুলো গুছিয়ে ফেলতে পারি।
নাট্যমঞ্চে অভিনয়ের সময় কোন মুহূর্তটাকে সবচেয়ে কঠিন মনে হয়?
যখন ব্ল্যাংক হয়ে যাই! দৃশ্যে হয়তো আমার কো-অ্যাক্টরও নেই, আমার স্বগতউক্তি চলছে আর আমি ডায়লগ ভুলে গেছি! সেই অবস্থা থেকে বের হওয়ার যে ব্যাপারটা। এমন মুহূর্তে মনে হয় যেন পুরো পৃথিবীটা জগদ্দল পাথর হয়ে আমার মাথার ওপর চেপে বসেছে, পায়ের নিচে মাটি ভেদ করে আমি ডেবে যাচ্ছি!
‘বিবিধি শোক অথবা সুখ’ একটি স্টুডিও প্রডাকশন। মঞ্চে আর স্টুডিওতে মঞ্চায়নের তফাতটা কী?
যখন মঞ্চে কাজ করি তখন একটু লাউডলি কথা বলি আর স্টুডিওতে দেখবেন দর্শক মাত্র দুই ফুট দূরে বসা, এই নাটকটি যেমন একটা ড্রয়িংরুমে। সেখানে আমরা পাশাপাশি যেভাবে কথা বলি সেইভাবে মেইনটেন করার চেষ্টা করি। এখানে ৩৫ জন দর্শক বসতে পারেন। আমরা চেষ্টা করি সবাই যেন শুনতে পান। যেন লাইভ মনে হয়, দর্শকের যেন মনে হয় তাঁরা এই ঘরেরই অংশ।
অভিনেতা না হলে কী হতেন?
অভিনেতা না হলে আমি হয়তো একজন কামলা হতাম।
জীবিকার জন্য আর কী করছেন?
দীর্ঘ ১৬ বছর রিয়েলএস্টেটে কাজ করেছি, সাইবার ক্যাফের ম্যানেজারের কাজ করেছি, ব্যবসা করার চেষ্টা করেছি, আরজে হিসেবে কাজ করেছি, এখন চাকরি করছি পাশাপাশি ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করি বঙ্গ বিডি, ধ্বনিচিত্র, সাউন্ড প্রিন্টার, সিভিএম, দুরন্ত টিভি ও দীপ্ত টিভিতে।
কয়েকটি সিনেমার পাশাপাশি টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন। পর্দায় নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছে আছে?
অবশ্যই আছে। বিষয়টা এমন নয় যে আমি কাজ পাচ্ছি তবু করছি না। সুযোগের অপেক্ষায় আছি। টুকটাক কাজ করার চেষ্টা করছি। যেখানেই অডিশন কল পাই, যাই। আমি ভালো কনটেন্টে কাজ করতে চাই, ভালো ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজ করতে চাই, একটু সময় নিয়ে গুছিয়ে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে চাই।
থিয়েটারে যারা আসতে চায় তাদের কী বলবেন?
থিয়েটারে আসতে চাইলে মেনে নিতে হবে, এখানে দৃশ্যমান কিছু পাওয়া যায় না। অনেকেই থিয়েটারে আসেন তারকা হওয়ার আশায়। কিন্তু থিয়েটার তারকা হওয়ার জায়গা না, ভালো মানুষ হওয়ার জায়গা। থিয়েটারে এসে শিখেছি মানুষ কীভাবে আস্তে আস্তে এগিয়ে যায়, মানুষ কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। নতুন যারা থিয়েটার করতে চায়, তারা যেন মনোযোগ দিয়ে থিয়েটারটা করে।
থিয়েটারে এক যুগ পার করলেন। এখন নিজেকে নিয়ে ভাবলে কোন কথাগুলো মনে হয়?
কিশোরবেলার কথা মনে পড়ে। তখন আমরা বুয়েটের আজাদ স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতাম। বুয়েট অডিটরিয়ামে কর্মচারীদের এক অনুষ্ঠানের নাটিকায় বাউলের ভূমিকায় অভিনয়ের পাশাপাশি ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি পড়ার কথা ছিল আমার। আমি মঞ্চেও উঠেছিলাম। নাম ঘোষণার পর বাবা গর্ব করে আমাকে দেখিয়ে তাঁর স্যারকে বলেছিলেন, এটা আমার ছেলে! কিন্তু আমি সবকিছু গুবলেট করে ফেলি। বাবা সেদিন সেই একতারা দিয়ে আমাকে পেটাতে-পেটাতে বাসায় নিয়ে আসেন। বাবার মৃত্যুর পর আমি বাবাকে খুঁজতাম। বাবা অভিনয়টা পছন্দ করতেন। একদিন আমি থিয়েটারটা শুরু করি। এখন মনে হয়, বাবা থাকলে ভালো হতো, তিনি দেখতে পারতেন, তাঁর স্বপ্নটা ধীরে ধীরে পূরণ হচ্ছে।
প্রথম দিন মঞ্চে ওঠার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
জহির রায়হানের ‘সময়ের প্রয়োজনে’ ছিল থিয়েটারে আমার প্রথম কাজ। মোহাম্মদ বারীর নির্দেশনায় গ্রামবাসীর চরিত্রে অভিনয় করি। সেখানে আমার সমস্বরে ডায়লগ ছিল ‘কোনদিকে যাব’। এই সংলাপ দিয়েই আমার জার্নি শুরু। এতগুলো বছর পরও আমার নিজের কাছে একই প্রশ্ন ‘কোনদিকে যাব’! আমার প্রথম শোতে যে রকম অনুভূতি হয়েছিল, প্রত্যেকটা শোতে সে রকমই অনুভূতি হয়। প্রথম সংলাপের আগে পর্যন্ত পায়ের নিচে সুড়সুড়ির মতো অনুভূতি হয়, আর মাথায় চলতে থাকে, আমি বোধহয় সংলাপটা ঠিকমতো ডেলিভারি দিতে পারব না। তবে প্রথম সংলাপটা দিয়ে ফেলার পর থেকেই আমি ওই চরিত্রটার সঙ্গে মিশে যেতে পারি।
থিয়েটার আর্ট ইউনিটের ‘আমিনা সুন্দরী’, ‘সময়ের প্রয়োজনে’, ‘না মানুষি জমিন’-এর মতো নাটকে কাজ করেছেন। আপনার পছন্দের কাজ কোনটি?
এ দলের যতগুলো নাটকে কাজ করেছি, প্রত্যেকটা নাটকেই আলাদা অনুভূতি কাজ করে। আমার প্রথম পূর্ণাঙ্গ নাটক ‘না মানুষি জমিন’। ‘আমিনা সুন্দরী’তে আমি ছোট্ট একটা চরিত্র করলেও আমার খুব ভালো লাগত। থিয়েটার আর্ট ইউনিটের সব নতুন ছেলেমেয়ের স্বপ্ন থাকে ‘কোর্টমার্শাল’ ও ‘গোলাপজান’ নাটকে অভিনয় করা। সেই আক্ষেপ আমার ঘুচবে না!
থিয়েটার আর্ট ইউনিট ছেড়ে অনুস্বরের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। মঞ্চে কারা আপনাকে তৈরি করেছেন বলে মনে করেন?
থিয়েটার আর্ট ইউনিটে যখন জয়েন করি, তখন আমার কোর্স কো-অর্ডিনেটর ছিলেন সাইফ সুমন ভাই। থিয়েটারে আমার গুরু তিনি। রোকেয়া রফিক বেবি, মোহাম্মদ বারী ও সাইফ সুমন—এই তিনজন মানুষের কাছে আমি বেশি শিখেছি। অনুস্বর গঠনের পর সাইফ সুমন ভাই আরও টেক কেয়ার করলেন, সুযোগ দিলেন, আমাকে নিয়ে কাজ করলেন, আমাকে তৈরি করলেন।
অনেকেই বলেন আপনি অনুস্বরের ‘সম্পদ’। দলের কাছে নিজের এতটা আস্থা বা নির্ভরতা তৈরি কতটা কঠিন ছিল?
কঠিন কখনোই ছিল না। অনুস্বর এমন একটা দল, যেখানে সবার একটা স্পেস অলরেডি ক্রিয়েট করা। যেমন, অনুস্বরের নিজস্ব ফ্লোর আছে, স্টুডিও আছে, লাইব্রেরি আছে, এখানে বাচিকের ক্লাস হয়। আমরা গানের স্বর নিয়ে কাজ করি। নিজেকে যদি একটা মানুষ থিয়েটারে তৈরি করতে চাই, আমি মনে করি অনুস্বরের চেয়ে ভালো দল কমই আছে। আমি অনুস্বরের ‘সম্পদ’, কথাটা আমাকে গর্বিত করে। আমি এখন অনুস্বরের সহকারী দপ্তর হিসেবে আছি। আমার বস প্রশান্ত হালদার। তিনি শিখিয়েছেন থিয়েটারের সার্বিক কাজ কীভাবে হয়, কীভাবে ভালো করা যায়।
অনুস্বরের বেশির ভাগ প্রযোজনায় আপনাকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যায়। কোন চরিত্রটি আপনার বেশি পছন্দের?
আমার করা সব চরিত্রই আমার পছন্দের। তবে ‘মহাশূন্যে সাইকেল’ করার আগ পর্যন্ত ‘স্বপ্নভূক’-এর কবিছায়া চরিত্রটা আমাকে খুব টানত। আমার প্রথম কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘তিনকড়ি’ আমাকে টানত যতক্ষণ পর্যন্ত আমি ‘স্বপ্নভূক’ করিনি। কিন্তু ‘মহাশূন্যে সাইকেল’ করার পর থেকে রেজাউল করিম আমাকে টানছে।
নতুন চরিত্রে অভিনয়ের আগে নিজেকে কীভাবে তৈরি করেন?
প্রথমে খোঁজার চেষ্টা করি চরিত্রটির কথা বলার স্টাইল কেমন। কোনো নাটকেই আমার ডায়লগ ডেলিভারি প্যাটার্ন এক রকম থাকে না। চেষ্টা করি কথা বলার ধরনটা যেন আলাদা হয়। চরিত্রটা কীভাবে হাঁটবে, কীভাবে হাত-পা নাড়াবে, কীভাবে লুক দেবে—এসব ভাবতে ভাবতে যখন আমি পেয়ে যাই চরিত্রটা এইভাবে কথা বলে, তারপর থেকেই আমি বাকিগুলো গুছিয়ে ফেলতে পারি।
নাট্যমঞ্চে অভিনয়ের সময় কোন মুহূর্তটাকে সবচেয়ে কঠিন মনে হয়?
যখন ব্ল্যাংক হয়ে যাই! দৃশ্যে হয়তো আমার কো-অ্যাক্টরও নেই, আমার স্বগতউক্তি চলছে আর আমি ডায়লগ ভুলে গেছি! সেই অবস্থা থেকে বের হওয়ার যে ব্যাপারটা। এমন মুহূর্তে মনে হয় যেন পুরো পৃথিবীটা জগদ্দল পাথর হয়ে আমার মাথার ওপর চেপে বসেছে, পায়ের নিচে মাটি ভেদ করে আমি ডেবে যাচ্ছি!
‘বিবিধি শোক অথবা সুখ’ একটি স্টুডিও প্রডাকশন। মঞ্চে আর স্টুডিওতে মঞ্চায়নের তফাতটা কী?
যখন মঞ্চে কাজ করি তখন একটু লাউডলি কথা বলি আর স্টুডিওতে দেখবেন দর্শক মাত্র দুই ফুট দূরে বসা, এই নাটকটি যেমন একটা ড্রয়িংরুমে। সেখানে আমরা পাশাপাশি যেভাবে কথা বলি সেইভাবে মেইনটেন করার চেষ্টা করি। এখানে ৩৫ জন দর্শক বসতে পারেন। আমরা চেষ্টা করি সবাই যেন শুনতে পান। যেন লাইভ মনে হয়, দর্শকের যেন মনে হয় তাঁরা এই ঘরেরই অংশ।
অভিনেতা না হলে কী হতেন?
অভিনেতা না হলে আমি হয়তো একজন কামলা হতাম।
জীবিকার জন্য আর কী করছেন?
দীর্ঘ ১৬ বছর রিয়েলএস্টেটে কাজ করেছি, সাইবার ক্যাফের ম্যানেজারের কাজ করেছি, ব্যবসা করার চেষ্টা করেছি, আরজে হিসেবে কাজ করেছি, এখন চাকরি করছি পাশাপাশি ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করি বঙ্গ বিডি, ধ্বনিচিত্র, সাউন্ড প্রিন্টার, সিভিএম, দুরন্ত টিভি ও দীপ্ত টিভিতে।
কয়েকটি সিনেমার পাশাপাশি টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন। পর্দায় নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছে আছে?
অবশ্যই আছে। বিষয়টা এমন নয় যে আমি কাজ পাচ্ছি তবু করছি না। সুযোগের অপেক্ষায় আছি। টুকটাক কাজ করার চেষ্টা করছি। যেখানেই অডিশন কল পাই, যাই। আমি ভালো কনটেন্টে কাজ করতে চাই, ভালো ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজ করতে চাই, একটু সময় নিয়ে গুছিয়ে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে চাই।
থিয়েটারে যারা আসতে চায় তাদের কী বলবেন?
থিয়েটারে আসতে চাইলে মেনে নিতে হবে, এখানে দৃশ্যমান কিছু পাওয়া যায় না। অনেকেই থিয়েটারে আসেন তারকা হওয়ার আশায়। কিন্তু থিয়েটার তারকা হওয়ার জায়গা না, ভালো মানুষ হওয়ার জায়গা। থিয়েটারে এসে শিখেছি মানুষ কীভাবে আস্তে আস্তে এগিয়ে যায়, মানুষ কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। নতুন যারা থিয়েটার করতে চায়, তারা যেন মনোযোগ দিয়ে থিয়েটারটা করে।

‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
৬ ঘণ্টা আগে
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
৯ ঘণ্টা আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
৯ ঘণ্টা আগে
‘চলো সবাই, জীবনের আহ্বানে সামনে এগিয়ে যাই’, গ্রামীণফোনের প্রমোশনাল গান ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’-এর মতো গান দিয়ে শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন মিলন মাহমুদ। সম্প্রতি তিনি গাইলেন নতুন গান ‘ট্রেডমিল’।
১০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

অভিনেত্রী কবরী পরিচালিত শেষ সিনেমা ‘এই তুমি সেই তুমি’। তবে সিনেমাটি শেষ করতে পারেননি তিনি। কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান। কবরীর মৃত্যুর পর সিনেমাটির নির্মাণ শেষ করেন তাঁর ছেলে শাকের চিশতী।
২০২৩ সালে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা। তবে দেশে মুক্তির আগে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনীর চেষ্টা করছেন শাকের চিশতী। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে জমা দিয়েছেন সিনেমাটি। এরপর দেশের হলে মুক্তির পরিকল্পনা করবেন।
শাকের চিশতী গণমাধ্যমে জানান, সিনেমাটি শেষ করা ছিল তাঁর জন্য চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, ‘আম্মুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই আমার জন্য ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। একটু সময় নিয়ে কাজ শেষ করেছি। দেশের বাইরে কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে সিনেমাটি জমা দিয়েছি। ওই উৎসবগুলোতে প্রদর্শনী হলে দেশে সিনেমাটি মুক্তি পাবে।’
তবে ঠিক কবে নাগাদ দেশের হলে মুক্তি পাবে সিনেমাটি, তা জানাননি শাকের চিশতী। তিনি জানান, সবকিছু নির্ভর করছে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর ওপর।
পরিচালনার পাশাপাশি এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছিলেন কবরী। দুটি সময়কে তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। বর্তমান সময়ের গল্পের পাশাপাশি উঠে আসবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ের গল্প। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিশাত নাওয়ার সালওয়া ও রায়হান রিয়াদ।

অভিনেত্রী কবরী পরিচালিত শেষ সিনেমা ‘এই তুমি সেই তুমি’। তবে সিনেমাটি শেষ করতে পারেননি তিনি। কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান। কবরীর মৃত্যুর পর সিনেমাটির নির্মাণ শেষ করেন তাঁর ছেলে শাকের চিশতী।
২০২৩ সালে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা। তবে দেশে মুক্তির আগে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনীর চেষ্টা করছেন শাকের চিশতী। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে জমা দিয়েছেন সিনেমাটি। এরপর দেশের হলে মুক্তির পরিকল্পনা করবেন।
শাকের চিশতী গণমাধ্যমে জানান, সিনেমাটি শেষ করা ছিল তাঁর জন্য চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, ‘আম্মুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই আমার জন্য ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। একটু সময় নিয়ে কাজ শেষ করেছি। দেশের বাইরে কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে সিনেমাটি জমা দিয়েছি। ওই উৎসবগুলোতে প্রদর্শনী হলে দেশে সিনেমাটি মুক্তি পাবে।’
তবে ঠিক কবে নাগাদ দেশের হলে মুক্তি পাবে সিনেমাটি, তা জানাননি শাকের চিশতী। তিনি জানান, সবকিছু নির্ভর করছে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর ওপর।
পরিচালনার পাশাপাশি এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছিলেন কবরী। দুটি সময়কে তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। বর্তমান সময়ের গল্পের পাশাপাশি উঠে আসবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ের গল্প। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিশাত নাওয়ার সালওয়া ও রায়হান রিয়াদ।

কিশোরবেলার কথা মনে পড়ে। তখন আমরা বুয়েটের আজাদ স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতাম। বুয়েট অডিটরিয়ামে কর্মচারীদের এক অনুষ্ঠানের নাটিকায় বাউলের ভূমিকায় অভিনয়ের পাশাপাশি ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি পড়ার কথা ছিল আমার। আমি মঞ্চেও উঠেছিলাম। নাম ঘোষণার পর বাবা গর্ব করে আমাকে দেখিয়ে তাঁর স্যারকে বলেছিলেন, এটা আমার ছেলে!
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
৯ ঘণ্টা আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
৯ ঘণ্টা আগে
‘চলো সবাই, জীবনের আহ্বানে সামনে এগিয়ে যাই’, গ্রামীণফোনের প্রমোশনাল গান ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’-এর মতো গান দিয়ে শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন মিলন মাহমুদ। সম্প্রতি তিনি গাইলেন নতুন গান ‘ট্রেডমিল’।
১০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন, মুনমুন আহমেদ মুন, নরেশ ভূঁইয়া, রেশমা আহমেদ, মম শিউলী, আমিন আজাদ, সূচনা প্রমুখ। অভিনেতা জামিল হোসেনের গল্প ভাবনায় নাটকটি রচনা করেছেন বিদ্যুৎ রায়, পরিচালনায় মাহফুজ ইসলাম। প্রকাশ করা হবে জামিল’স জু নামের ইউটিউব চ্যানেলে।
ধারাবাহিকটির দুটি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুনমুন আহমেদ মুন ও জামিল হোসেন। চলতি বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার’খ্যাত অভিনেতা জামিল হোসেন ও অভিনেত্রী মুনমুন আহমেদ মুন। স্ত্রী মুনমুনের সঙ্গে একসঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন জামিল। সেখান থেকেই দুজনের পরিচয়। আর সেই পরিচয় একটা সময় গড়ায় ভালো লাগায়।
মুনের বেড়ে ওঠা ঢাকায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন মালয়েশিয়াতে। বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে পরিচিতি পেয়েছেন মুনমুন। সাবলীল অভিনয় তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে নাটকেও। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে একটি স্বপ্ন পূরণ হলো তাঁর। অভিনেত্রী দিলারা জামানের ভক্ত তিনি। তাঁর ব্যক্তিত্ব আর অভিনয় মুগ্ধ করে মুনকে। তাই স্বপ্ন দেখতেন দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে মুন অভিনয় করলেন দিলারা জামানের নাতনির চরিত্রে। তাঁর সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা আর নিজের স্বপ্ন পূরণের কথা বলতে গিয়ে মুনমুন আহমেদ মুন বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় দিলারা জামান বাংলাদেশের নাটক-সিনেমার গর্ব।

মাশাআল্লাহ এখনো কী সুন্দর তিনি। কী সুন্দর গুছিয়ে কথা বলেন, আন্তরিকতায় পূর্ণ তাঁর ব্যবহার। ভীষণ ইচ্ছে ছিল তাঁর সঙ্গে অভিনয় করার। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, তাও আবার আমি তাঁর নাতনির চরিত্রেই অভিনয় করেছি। কী যে আদরে, মায়ায় তিনি আগলে রাখেন সব সময়, সেটা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি। এত বড় মাপের শিল্পী, অথচ কী সাধারণ জীবনযাপন। আমি তাঁর বিনয়, হাসি আর অভিনয়ে মুগ্ধ। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে ধন্য, গর্বিত এবং ভীষণ উচ্ছ্বসিত। এটা আমার জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি।’
দিলারা জামান বলেন, ‘দাদীর ভাগ নাটকটার গল্প খুব সুন্দর। মৃত্যুর আগে দাদা সব সম্পত্তি দাদিকে লিখে দেয়। সেই সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়েই গল্প। কাজটা করে ভীষণ ভালো লেগেছে। সবাই এত আন্তরিক ছিল যে আমাকে কোনো রকম কষ্ট পেতে দেয়নি। মুনমুন খুব লক্ষ্মী আর মিষ্টি হাসির এক মেয়ে। দোয়া করি ও যেন অনেক বড় শিল্পী হতে পারে, অভিনয়কে ঘিরে তার স্বপ্ন পূরণ হোক।’
উল্লেখ্য, দীপ্ত টিভির ‘বকুলপুর’ ধারাবাহিকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে দিলারা জামানের অভিনয়। অন্যদিকে মুনমুন আহমেদ মুন অনেক দিন পর অভিনয় করেছেন সাগর জাহান পরিচালিত ধারাবাহিকে। আরটিভির প্রচার চলতি ধারাবাহিকটির নাম ‘বিদেশ ফেরত’।

অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন, মুনমুন আহমেদ মুন, নরেশ ভূঁইয়া, রেশমা আহমেদ, মম শিউলী, আমিন আজাদ, সূচনা প্রমুখ। অভিনেতা জামিল হোসেনের গল্প ভাবনায় নাটকটি রচনা করেছেন বিদ্যুৎ রায়, পরিচালনায় মাহফুজ ইসলাম। প্রকাশ করা হবে জামিল’স জু নামের ইউটিউব চ্যানেলে।
ধারাবাহিকটির দুটি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুনমুন আহমেদ মুন ও জামিল হোসেন। চলতি বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার’খ্যাত অভিনেতা জামিল হোসেন ও অভিনেত্রী মুনমুন আহমেদ মুন। স্ত্রী মুনমুনের সঙ্গে একসঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন জামিল। সেখান থেকেই দুজনের পরিচয়। আর সেই পরিচয় একটা সময় গড়ায় ভালো লাগায়।
মুনের বেড়ে ওঠা ঢাকায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন মালয়েশিয়াতে। বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে পরিচিতি পেয়েছেন মুনমুন। সাবলীল অভিনয় তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে নাটকেও। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে একটি স্বপ্ন পূরণ হলো তাঁর। অভিনেত্রী দিলারা জামানের ভক্ত তিনি। তাঁর ব্যক্তিত্ব আর অভিনয় মুগ্ধ করে মুনকে। তাই স্বপ্ন দেখতেন দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে মুন অভিনয় করলেন দিলারা জামানের নাতনির চরিত্রে। তাঁর সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা আর নিজের স্বপ্ন পূরণের কথা বলতে গিয়ে মুনমুন আহমেদ মুন বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় দিলারা জামান বাংলাদেশের নাটক-সিনেমার গর্ব।

মাশাআল্লাহ এখনো কী সুন্দর তিনি। কী সুন্দর গুছিয়ে কথা বলেন, আন্তরিকতায় পূর্ণ তাঁর ব্যবহার। ভীষণ ইচ্ছে ছিল তাঁর সঙ্গে অভিনয় করার। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, তাও আবার আমি তাঁর নাতনির চরিত্রেই অভিনয় করেছি। কী যে আদরে, মায়ায় তিনি আগলে রাখেন সব সময়, সেটা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি। এত বড় মাপের শিল্পী, অথচ কী সাধারণ জীবনযাপন। আমি তাঁর বিনয়, হাসি আর অভিনয়ে মুগ্ধ। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে ধন্য, গর্বিত এবং ভীষণ উচ্ছ্বসিত। এটা আমার জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি।’
দিলারা জামান বলেন, ‘দাদীর ভাগ নাটকটার গল্প খুব সুন্দর। মৃত্যুর আগে দাদা সব সম্পত্তি দাদিকে লিখে দেয়। সেই সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়েই গল্প। কাজটা করে ভীষণ ভালো লেগেছে। সবাই এত আন্তরিক ছিল যে আমাকে কোনো রকম কষ্ট পেতে দেয়নি। মুনমুন খুব লক্ষ্মী আর মিষ্টি হাসির এক মেয়ে। দোয়া করি ও যেন অনেক বড় শিল্পী হতে পারে, অভিনয়কে ঘিরে তার স্বপ্ন পূরণ হোক।’
উল্লেখ্য, দীপ্ত টিভির ‘বকুলপুর’ ধারাবাহিকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে দিলারা জামানের অভিনয়। অন্যদিকে মুনমুন আহমেদ মুন অনেক দিন পর অভিনয় করেছেন সাগর জাহান পরিচালিত ধারাবাহিকে। আরটিভির প্রচার চলতি ধারাবাহিকটির নাম ‘বিদেশ ফেরত’।

কিশোরবেলার কথা মনে পড়ে। তখন আমরা বুয়েটের আজাদ স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতাম। বুয়েট অডিটরিয়ামে কর্মচারীদের এক অনুষ্ঠানের নাটিকায় বাউলের ভূমিকায় অভিনয়ের পাশাপাশি ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি পড়ার কথা ছিল আমার। আমি মঞ্চেও উঠেছিলাম। নাম ঘোষণার পর বাবা গর্ব করে আমাকে দেখিয়ে তাঁর স্যারকে বলেছিলেন, এটা আমার ছেলে!
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
৬ ঘণ্টা আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
৯ ঘণ্টা আগে
‘চলো সবাই, জীবনের আহ্বানে সামনে এগিয়ে যাই’, গ্রামীণফোনের প্রমোশনাল গান ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’-এর মতো গান দিয়ে শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন মিলন মাহমুদ। সম্প্রতি তিনি গাইলেন নতুন গান ‘ট্রেডমিল’।
১০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ। ৮ নভেম্বর উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে আজম খানের পরিবার, ব্যান্ড সদস্য ও একটি এজেন্সির মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, আজম খানের নাম, ছবি ও সৃষ্টির সব কপিরাইট এবং মালিকানা থাকবে তাঁর পরিবারের। উচ্চারণ ব্যান্ড তাঁর গান পরিবেশন ও প্রচারে সক্রিয় থাকবে; আর কুল এক্সপোজার পরিচালনা করবে সমস্ত প্রচার, রয়্যালটি ব্যবস্থাপনা, কনসার্ট এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম।
আজম খানের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর কন্যা অরণী খান, উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা এবং কুল এক্সপোজারের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিইও এরশাদুল হক টিঙ্কু চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা বলেন, ‘এই চুক্তি আজম খানের সংগীত ঐতিহ্যকে নতুনভাবে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। আমরা তাঁর গানগুলো দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ছড়িয়ে দিতে চাই।’
মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে তিন বন্ধু নীলু, সাদেক ও মনসুরকে নিয়ে আজম খান গড়ে তুলেছিলেন ব্যান্ড উচ্চারণ। ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করা ব্যান্ডটি ওই বছর বিটিভিতে গায় ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ এবং ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’। এই দুটি গান জনপ্রিয় করে তোলে আজম খান ও উচ্চারণ ব্যান্ডকে। এরপর উচ্চারণকে সঙ্গে নিয়ে আরও বহু গান উপহার দিয়েছেন আজম খান। ২০১১ সালের ৫ জুন আজম খানের মৃত্যুর পর থেমে যায় ব্যান্ডের কার্যক্রম। গত ২২ জুন আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গুরু রিলোডেড’ নামের অনুষ্ঠানে ১৪ বছর পর মঞ্চে পারফর্ম করে উচ্চারণ।

গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ। ৮ নভেম্বর উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে আজম খানের পরিবার, ব্যান্ড সদস্য ও একটি এজেন্সির মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, আজম খানের নাম, ছবি ও সৃষ্টির সব কপিরাইট এবং মালিকানা থাকবে তাঁর পরিবারের। উচ্চারণ ব্যান্ড তাঁর গান পরিবেশন ও প্রচারে সক্রিয় থাকবে; আর কুল এক্সপোজার পরিচালনা করবে সমস্ত প্রচার, রয়্যালটি ব্যবস্থাপনা, কনসার্ট এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম।
আজম খানের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর কন্যা অরণী খান, উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা এবং কুল এক্সপোজারের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিইও এরশাদুল হক টিঙ্কু চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা বলেন, ‘এই চুক্তি আজম খানের সংগীত ঐতিহ্যকে নতুনভাবে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। আমরা তাঁর গানগুলো দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ছড়িয়ে দিতে চাই।’
মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে তিন বন্ধু নীলু, সাদেক ও মনসুরকে নিয়ে আজম খান গড়ে তুলেছিলেন ব্যান্ড উচ্চারণ। ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করা ব্যান্ডটি ওই বছর বিটিভিতে গায় ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ এবং ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’। এই দুটি গান জনপ্রিয় করে তোলে আজম খান ও উচ্চারণ ব্যান্ডকে। এরপর উচ্চারণকে সঙ্গে নিয়ে আরও বহু গান উপহার দিয়েছেন আজম খান। ২০১১ সালের ৫ জুন আজম খানের মৃত্যুর পর থেমে যায় ব্যান্ডের কার্যক্রম। গত ২২ জুন আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গুরু রিলোডেড’ নামের অনুষ্ঠানে ১৪ বছর পর মঞ্চে পারফর্ম করে উচ্চারণ।

কিশোরবেলার কথা মনে পড়ে। তখন আমরা বুয়েটের আজাদ স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতাম। বুয়েট অডিটরিয়ামে কর্মচারীদের এক অনুষ্ঠানের নাটিকায় বাউলের ভূমিকায় অভিনয়ের পাশাপাশি ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি পড়ার কথা ছিল আমার। আমি মঞ্চেও উঠেছিলাম। নাম ঘোষণার পর বাবা গর্ব করে আমাকে দেখিয়ে তাঁর স্যারকে বলেছিলেন, এটা আমার ছেলে!
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
৬ ঘণ্টা আগে
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
৯ ঘণ্টা আগে
‘চলো সবাই, জীবনের আহ্বানে সামনে এগিয়ে যাই’, গ্রামীণফোনের প্রমোশনাল গান ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’-এর মতো গান দিয়ে শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন মিলন মাহমুদ। সম্প্রতি তিনি গাইলেন নতুন গান ‘ট্রেডমিল’।
১০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

‘চলো সবাই, জীবনের আহ্বানে সামনে এগিয়ে যাই’, গ্রামীণফোনের প্রমোশনাল গান ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’-এর মতো গান দিয়ে শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন মিলন মাহমুদ। সম্প্রতি তিনি গাইলেন নতুন গান ‘ট্রেডমিল’। ৬ নভেম্বর মিলন মাহমুদ ও সমীর এক্সপ্রেস নামের দুটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হলো গানটি। ‘ট্রেডমিলে ছুটে চলা তোমার বাদামী দেহ, দৃষ্টিতে সংগীতের জাদুর মোহ...’ এমন কথায় গানটি লিখেছেন ড. কাজী সালেহীন, সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন এস কে সমীর।
সংগীত পরিচালক সমীর জানিয়েছেন, গানের সঙ্গে সমন্বয় রেখে একটি চমৎকার ভিডিও নির্মাণ করা হয়েছে। মিউজিক ভিডিওটি পরিচালনা করেছেন সৌমিত্র ঘোষ ইমন। এতে মডেল হয়েছেন সাদ্দাম শিহাব ও ডিম্পল আহমেদ।
কণ্ঠশিল্পী মিলন মাহমুদ বলেছেন, ‘এটা একটা ভিন্নমাত্রার গান। গানের কথায় একটি দৃশ্যের অবতারণা করা হয়েছে। তরুণ শ্রোতাদের কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে গানটি। ট্রেডমিল গানটি আমার কাছে অনেক আবেগের এবং আলাদা এক অনুভূতির। রোমান্টিক ঘরানার গানটিতে ফুটে উঠেছে এক জোড়া তরুণ-তরুণীর মনের অনুভূতি।’
সুরকার এস কে সমীর বলেন, ‘গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে আধুনিক জীবনের ছন্দ, প্রেম আর যান্ত্রিক জীবনের রোমান্টিক একটি গল্প বলার চেষ্টা হয়েছে গানে। রক মিউজিকের মিশেলে সুর করার চেষ্টা করেছি গানটিতে, যেখানে জীবনের গতি ও ভালোবাসা মিশে গেছে এক সুরেলা বন্ধনে।’

‘চলো সবাই, জীবনের আহ্বানে সামনে এগিয়ে যাই’, গ্রামীণফোনের প্রমোশনাল গান ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’-এর মতো গান দিয়ে শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন মিলন মাহমুদ। সম্প্রতি তিনি গাইলেন নতুন গান ‘ট্রেডমিল’। ৬ নভেম্বর মিলন মাহমুদ ও সমীর এক্সপ্রেস নামের দুটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হলো গানটি। ‘ট্রেডমিলে ছুটে চলা তোমার বাদামী দেহ, দৃষ্টিতে সংগীতের জাদুর মোহ...’ এমন কথায় গানটি লিখেছেন ড. কাজী সালেহীন, সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন এস কে সমীর।
সংগীত পরিচালক সমীর জানিয়েছেন, গানের সঙ্গে সমন্বয় রেখে একটি চমৎকার ভিডিও নির্মাণ করা হয়েছে। মিউজিক ভিডিওটি পরিচালনা করেছেন সৌমিত্র ঘোষ ইমন। এতে মডেল হয়েছেন সাদ্দাম শিহাব ও ডিম্পল আহমেদ।
কণ্ঠশিল্পী মিলন মাহমুদ বলেছেন, ‘এটা একটা ভিন্নমাত্রার গান। গানের কথায় একটি দৃশ্যের অবতারণা করা হয়েছে। তরুণ শ্রোতাদের কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে গানটি। ট্রেডমিল গানটি আমার কাছে অনেক আবেগের এবং আলাদা এক অনুভূতির। রোমান্টিক ঘরানার গানটিতে ফুটে উঠেছে এক জোড়া তরুণ-তরুণীর মনের অনুভূতি।’
সুরকার এস কে সমীর বলেন, ‘গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে আধুনিক জীবনের ছন্দ, প্রেম আর যান্ত্রিক জীবনের রোমান্টিক একটি গল্প বলার চেষ্টা হয়েছে গানে। রক মিউজিকের মিশেলে সুর করার চেষ্টা করেছি গানটিতে, যেখানে জীবনের গতি ও ভালোবাসা মিশে গেছে এক সুরেলা বন্ধনে।’

কিশোরবেলার কথা মনে পড়ে। তখন আমরা বুয়েটের আজাদ স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতাম। বুয়েট অডিটরিয়ামে কর্মচারীদের এক অনুষ্ঠানের নাটিকায় বাউলের ভূমিকায় অভিনয়ের পাশাপাশি ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি পড়ার কথা ছিল আমার। আমি মঞ্চেও উঠেছিলাম। নাম ঘোষণার পর বাবা গর্ব করে আমাকে দেখিয়ে তাঁর স্যারকে বলেছিলেন, এটা আমার ছেলে!
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
৬ ঘণ্টা আগে
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
৯ ঘণ্টা আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
৯ ঘণ্টা আগে