মুনতাসির সিয়াম
কেউ চেনে তুলি নামে। কেউ ডাকে পরি। রূপকথা নামেও জানে অনেকে। পুরো নাম আফরিন শিখা রাইসা। পড়ে ঢাকার অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণিতে। পড়াশোনার পাশাপাশি অভিনয়েও দারুণ সে। ইতিমধ্যে অর্জন করেছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯সহ অনেক পুরস্কার।
৯ বছর আগের কথা। শিশুশিল্পী খুঁজছিলেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। একটি বেসরকারি এলইডি লাইটের বিজ্ঞাপনের জন্য। তাঁর সঙ্গে চেনাজানা ছিল রাইসার এক চাচার। ভদ্রলোক রাইসার ছবি দেখান ফারুকীকে। পরদিনই অফিসে ডাক পড়ে তার। তখন মোটে পাঁচ বছর বয়স তার। তবে অভিনয়ে দক্ষতা দেখিয়ে ঠিকই আদায় করে নিয়েছিল পরিচালকের মন।
ভয় থেকে জয়
প্রথমবার শুটিংয়ের জন্য চট্টগ্রামে গিয়েছিল রাইসা। একে তো সঙ্গে যায়নি মা, তার ওপর প্রথমবার ক্যামেরার মুখোমুখি হওয়া। খুঁটিনাটি কিছুই জানা নেই। সব মিলিয়ে মনে বেশ ভয় ছিল তার। সেই ভয় কাটাতেই যেন গোটা ইউনিটের তোড়জোড়। এমনকি অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশাও ফোন করে সামলেছেন রাইসাকে। কিছুটা ভয় নিয়েই অভিনয় করা। অভিনয়ে কমতি রাখেনি যদিও। কান্নার দৃশ্যগুলো খুব পছন্দ করেছিলেন নির্মাতা। বলেছিলেন, বিজ্ঞাপনের জন্য পুরস্কার দেওয়া হলে, এবারের পুরস্কার পেত সে। পরিচালকের সেই প্রশংসার পরই আদতে তার ভয় কেটে যায় পুরোপুরি। সেই থেকে অভিনয়ের শুরু। এ পর্যন্ত মোট ৪৫টি বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছে রাইসা। নাটকের সংখ্যাটা পঞ্চাশের বেশি।
ঝুলি ভর্তি পুরস্কার
পড়াশোনায় রাইসা বরাবরই প্রথম! কখনোই মাকে পড়ার কথা বলতে হয় না। শুটিংয়ের দিন একটু এদিক-সেদিক হয় ঠিকই! তবে অন্য সময় নিয়ম করেই পড়তে বসে সে। এককথায় পড়ুয়া মেয়ে। কাজেই অভিনয়ের সময়ও কিছু না কিছু শেখাটাই স্বাভাবিক। সচরাচর গুণী শিল্পীদের সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে তো শেখেই। বাড়িতেও চেষ্টা থাকে অবিরত। ‘যদি একদিন’ চলচ্চিত্রে ‘লক্ষ্মীসোনা’ গান কমবেশি সবাই শুনেছেন। সেই গানে অভিনয়ের জন্য সাইকেল চালানো শিখতে হয়েছিল তাকে। শুরুতে নির্মাতা মোস্তফা কামাল রাজের অফিসের ছাদে সাইকেল চালানো শিখতে চেষ্টা করেছিল সে। কাজ না হলেও হাল ছাড়েনি। পরে মেয়ের জন্য সাইকেল কিনে আনেন রাইসার বাবা। বড় ভাইয়ের কাছে দফায় দফায় ট্রেনিং নিয়ে হাত পাকিয়েছে শেষমেশ। সেই সাইকেল চালানোর শট শেষে পরিচালকের মুখে প্রশংসাও শুনেছে তাই। কেবলই প্রশংসা? না, সেই সঙ্গে শিশুশিল্পী বিভাগে মিলেছে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯’। একই চলচ্চিত্রের জন্য বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভিতে প্রচারিত নতুন ধারা অ্যাওয়ার্ডও অর্জন করে রাইসা।
তবে রাইসার ঝুলিতে পুরস্কার উঠেছে আরও আগে, ২০১৮ সালে। ‘মাখন মিয়ার উদার বউটা’ টেলিভিশন নাটকে অভিনয়ের জন্য। সেটা ছিল আরটিভি স্টার অ্যাওয়ার্ড। এরপর পুরস্কার এসেছে ২০২২ সালে। বিজ্ঞাপনে অভিনয় করে পেয়েছে মোল্লা সুপার সল্ট অ্যাওয়ার্ড। ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’ নাটকে তুলি কিংবা ‘যদি একদিন’ চলচ্চিত্রের রূপকথা নামে পরিচিতি কুড়িয়েছে সে দেশজুড়ে। ‘দহন’, ‘ডুব’, ‘জ্যাম’ ও ‘বসন্ত’ বিকেল মিলিয়ে রাইসার অভিনীত চলচ্চিত্রে সংখ্যা মোট ৫।
এখনো পড়াশোনার পাশাপাশি অভিনয়ে বেশ ব্যস্ত রাইসা। চলছে শরীফুল ইসলাম শামীমের নির্মাণে ‘দ্য বিট’ ওয়েব ফিল্মের শুটিং। আমেরিকান টোয়েন্টি সেভেন ইনভেস্টমেন্টের সেই প্রযোজনায় রাইসার অভিনয়ের চমক দেখার অপেক্ষায় সবাই।
কেউ চেনে তুলি নামে। কেউ ডাকে পরি। রূপকথা নামেও জানে অনেকে। পুরো নাম আফরিন শিখা রাইসা। পড়ে ঢাকার অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণিতে। পড়াশোনার পাশাপাশি অভিনয়েও দারুণ সে। ইতিমধ্যে অর্জন করেছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯সহ অনেক পুরস্কার।
৯ বছর আগের কথা। শিশুশিল্পী খুঁজছিলেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। একটি বেসরকারি এলইডি লাইটের বিজ্ঞাপনের জন্য। তাঁর সঙ্গে চেনাজানা ছিল রাইসার এক চাচার। ভদ্রলোক রাইসার ছবি দেখান ফারুকীকে। পরদিনই অফিসে ডাক পড়ে তার। তখন মোটে পাঁচ বছর বয়স তার। তবে অভিনয়ে দক্ষতা দেখিয়ে ঠিকই আদায় করে নিয়েছিল পরিচালকের মন।
ভয় থেকে জয়
প্রথমবার শুটিংয়ের জন্য চট্টগ্রামে গিয়েছিল রাইসা। একে তো সঙ্গে যায়নি মা, তার ওপর প্রথমবার ক্যামেরার মুখোমুখি হওয়া। খুঁটিনাটি কিছুই জানা নেই। সব মিলিয়ে মনে বেশ ভয় ছিল তার। সেই ভয় কাটাতেই যেন গোটা ইউনিটের তোড়জোড়। এমনকি অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশাও ফোন করে সামলেছেন রাইসাকে। কিছুটা ভয় নিয়েই অভিনয় করা। অভিনয়ে কমতি রাখেনি যদিও। কান্নার দৃশ্যগুলো খুব পছন্দ করেছিলেন নির্মাতা। বলেছিলেন, বিজ্ঞাপনের জন্য পুরস্কার দেওয়া হলে, এবারের পুরস্কার পেত সে। পরিচালকের সেই প্রশংসার পরই আদতে তার ভয় কেটে যায় পুরোপুরি। সেই থেকে অভিনয়ের শুরু। এ পর্যন্ত মোট ৪৫টি বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছে রাইসা। নাটকের সংখ্যাটা পঞ্চাশের বেশি।
ঝুলি ভর্তি পুরস্কার
পড়াশোনায় রাইসা বরাবরই প্রথম! কখনোই মাকে পড়ার কথা বলতে হয় না। শুটিংয়ের দিন একটু এদিক-সেদিক হয় ঠিকই! তবে অন্য সময় নিয়ম করেই পড়তে বসে সে। এককথায় পড়ুয়া মেয়ে। কাজেই অভিনয়ের সময়ও কিছু না কিছু শেখাটাই স্বাভাবিক। সচরাচর গুণী শিল্পীদের সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে তো শেখেই। বাড়িতেও চেষ্টা থাকে অবিরত। ‘যদি একদিন’ চলচ্চিত্রে ‘লক্ষ্মীসোনা’ গান কমবেশি সবাই শুনেছেন। সেই গানে অভিনয়ের জন্য সাইকেল চালানো শিখতে হয়েছিল তাকে। শুরুতে নির্মাতা মোস্তফা কামাল রাজের অফিসের ছাদে সাইকেল চালানো শিখতে চেষ্টা করেছিল সে। কাজ না হলেও হাল ছাড়েনি। পরে মেয়ের জন্য সাইকেল কিনে আনেন রাইসার বাবা। বড় ভাইয়ের কাছে দফায় দফায় ট্রেনিং নিয়ে হাত পাকিয়েছে শেষমেশ। সেই সাইকেল চালানোর শট শেষে পরিচালকের মুখে প্রশংসাও শুনেছে তাই। কেবলই প্রশংসা? না, সেই সঙ্গে শিশুশিল্পী বিভাগে মিলেছে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯’। একই চলচ্চিত্রের জন্য বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভিতে প্রচারিত নতুন ধারা অ্যাওয়ার্ডও অর্জন করে রাইসা।
তবে রাইসার ঝুলিতে পুরস্কার উঠেছে আরও আগে, ২০১৮ সালে। ‘মাখন মিয়ার উদার বউটা’ টেলিভিশন নাটকে অভিনয়ের জন্য। সেটা ছিল আরটিভি স্টার অ্যাওয়ার্ড। এরপর পুরস্কার এসেছে ২০২২ সালে। বিজ্ঞাপনে অভিনয় করে পেয়েছে মোল্লা সুপার সল্ট অ্যাওয়ার্ড। ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’ নাটকে তুলি কিংবা ‘যদি একদিন’ চলচ্চিত্রের রূপকথা নামে পরিচিতি কুড়িয়েছে সে দেশজুড়ে। ‘দহন’, ‘ডুব’, ‘জ্যাম’ ও ‘বসন্ত’ বিকেল মিলিয়ে রাইসার অভিনীত চলচ্চিত্রে সংখ্যা মোট ৫।
এখনো পড়াশোনার পাশাপাশি অভিনয়ে বেশ ব্যস্ত রাইসা। চলছে শরীফুল ইসলাম শামীমের নির্মাণে ‘দ্য বিট’ ওয়েব ফিল্মের শুটিং। আমেরিকান টোয়েন্টি সেভেন ইনভেস্টমেন্টের সেই প্রযোজনায় রাইসার অভিনয়ের চমক দেখার অপেক্ষায় সবাই।
বিশ্ববিদ্যালয়জীবন শুধু পড়াশোনা নয়, এটি স্বপ্ন গড়ে তোলার, লক্ষ্য নির্ধারণের এবং ক্যারিয়ার তৈরির এক গুরুত্বপূর্ণ সময়। প্রত্যেক শিক্ষার্থী নিজেকে প্রস্তুত করেন ভবিষ্যতের জন্য। তাঁদের মনে এমন পরিকল্পনা থাকতে পারে—আমি কী হব, আমি কী করব, আমি কী করতে চাই এবং...
৬ ঘণ্টা আগেমনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিয়েত্তি। বয়স সবে ৯ বছর। এ ছোট্ট বয়সেই রোবট বানিয়ে তাঁর অর্জনের ঝুলিতে পুরেছে গোল্ড মেডেল। শুধু কি তা-ই? সে লিখেছে গল্পের বই, শিখেছে প্রোগ্রামিং!
৭ ঘণ্টা আগেদিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ১৮ জন শিক্ষার্থী অর্জন করেছেন মর্যাদাপূর্ণ মিলেনিয়াম ফেলোশিপ ২০২৫। জাতিসংঘের ইউনাইটেড নেশনস একাডেমিক ইমপ্যাক্ট (ইউএনএআই) এবং মিলেনিয়াম ক্যাম্পাস নেটওয়ার্কের...
৮ ঘণ্টা আগেশিক্ষাজীবন শুধু পরীক্ষার খাতা ভরাট করার জন্য নয়। এটি আসলে ভবিষ্যৎ-জীবনের প্রস্তুতির সময়। একজন শিক্ষার্থীর বড় কাজ শুধু বই মুখস্থ করা নয়; বরং এমন শেখার কৌশল আয়ত্ত করা, যা দ্রুত, গভীর ও দীর্ঘস্থায়ীভাবে জ্ঞান অর্জনে সাহায্য করে।
৯ ঘণ্টা আগে