
দক্ষিণ কোরিয়ায় ইন্টিগ্রেটেড এনার্জিতে (এআই) স্নাতকোত্তর এবং ল্যাব রিসার্সার হিসেবে পড়াশোনা করছেন আলিফ খন্দকার। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্সে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এই প্রাক্তন শিক্ষার্থী বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার জিওনজু শহরে বসবাস করছেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষা, ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের পত্রিকার শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিভাগের ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক খান।
আব্দুর রাজ্জাক খান

দক্ষিণ কোরিয়ায় বৃত্তি কীভাবে পেলেন?
কোরিয়ায় বৃত্তি মূলত আইইএলটিএস স্কোরের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়। নিয়মিত অধ্যয়ন, সময়ের সঠিক ব্যবহার এবং নিজের প্রতি বিশ্বাস আমাকে বৃত্তি পাওয়ার পথে সাহায্য করেছে। বর্তমানে আমি ল্যাব রিসার্চার হিসেবে প্রফেসরের ফান্ড পাচ্ছি এবং টিউশন ফিতেও ছাড় পেয়েছি।
ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি (এআই) কেন বেছে নিলেন?
ছোটবেলা থেকে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন আমাকে আকর্ষণ করেছে। সব সময় ভাবতাম, কীভাবে বিজ্ঞান ব্যবহার করে মানুষের জীবন আরও সহজ ও উন্নত করা যায়। ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স এই সুযোগ দিয়েছে। এ ছাড়া আমার স্কুলজীবন থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেছি, তাই তত্ত্ব ও বাস্তবের সমন্বয় আমার কাছে স্বাভাবিক ছিল। বর্তমানে আমি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি নিয়ে গবেষণা করছি।
আপনি কোন বৃত্তি নিয়ে পড়ছেন? এই বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া কেমন?
স্নাতক পর্যায়ে আমি বৃত্তি পেয়েছিলাম। এটি আমার আইইএলটিএস ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে স্নাতকোত্তরে প্রফেসরের তত্ত্বাবধানে অধ্যয়ন করছি। কোরিয়ায় বৃত্তির জন্য বিভিন্ন সুযোগ আছে। যেমন জিকেএস, কেজিএসপি, ব্রেইন কোরিয়া। সাধারণ প্রক্রিয়া হলো অনলাইন আবেদন, যেখানে শিক্ষাগত ফলাফল, সহশিক্ষা কার্যক্রম এবং ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য (এসওপি) জমা দিতে হয়। এরপর নির্বাচিত প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে বৃত্তি দেওয়া হয়। বৃত্তি দুই ধরনের হয়—একটি শুধু টিউশন ফি মওকুফ, আর অন্যটি টিউশন ফি মওকুফসহ স্টাইপেন্ড।
আবেদন করার সময় কী কী নথি বা প্রস্তুতি দরকার হয়?
স্নাতক পর্যায়ের আবেদন করতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি প্রয়োজন। যেমন এসএসসি ও এইচএসসি সনদপত্র ও মার্কশিট, সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধনের কপি, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, ব্যাংক সলভেন্সি ও স্টেটমেন্ট, স্পনসরশিপ বা এনওসি। অনলাইন আবেদন করার সময় সঠিক তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করতে হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয় সম্পর্কে আগে থেকে ভালোভাবে গবেষণা করা জরুরি। আমি নিজের ফলাফল, যোগ্যতা ও আগ্রহের জায়গাগুলো পর্যালোচনা করে আবেদন করেছি, যাতে সিদ্ধান্তটা হয় সচেতন ও আত্মবিশ্বাসীভাবে।
ইংরেজি বা কোরিয়ান ভাষার দক্ষতা কতটা জরুরি?
ভাষাগত দক্ষতা এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ক্লাস, লেকচার ও গবেষণা কার্যক্রম ইংরেজি বা কোরিয়ান ভাষায় হয়। ইংরেজি জানা থাকলে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয় এবং একাডেমিক রিসোর্স বোঝা যায়। কোরিয়ান ভাষা জানা থাকলে স্থানীয় শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ, ক্যাম্পাস লাইফে মানিয়ে নেওয়া এবং পার্টটাইম কাজ বা ইন্টার্নশিপের সুযোগও বাড়ে। তাই দুই ভাষার মৌলিক জ্ঞান থাকা পুরো শিক্ষাজীবনকে সমৃদ্ধ করে।
জিওনবুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার পরিবেশ কেমন?
বিশ্ববিদ্যালয়টি সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ, বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী। এখানে হোস্টেল, স্টাডি লাউঞ্জ, লাইব্রেরি, কম্পিউটার ল্যাব, ছাত্রসেবা কেন্দ্রসহ সব সুবিধা রয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ইন্টারন্যাশনাল লাউঞ্জ’ আছে, যেখানে পড়াশোনা, আলাপ ও বিশ্রামের সুযোগ পাওয়া যায়। ভাষা কোর্স, ওয়ার্কশপ এবং স্থানীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগও আছে। বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিক গবেষণা প্রকল্পে যুক্ত, যেমন ‘ফিজিক্যাল এআই’। ফলে শিক্ষার্থীকে রিসার্চ ও আন্তর্জাতিক অংশীদারির সঙ্গে যুক্ত করে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের পরামর্শ কোরিয়ান ভাষার মৌলিক জ্ঞান আগে থেকে শেখা, হোস্টেলের তথ্য জানা এবং নিজের বিষয় ও সুযোগ সম্পর্কে আগেই যাচাই করা।
ক্লাস, গবেষণা এবং ল্যাব-সুবিধা বাংলাদেশের তুলনায় কতটা আধুনিক?
এখানে ক্লাসের পরিবেশ অনেক বেশি ইন্টার-অ্যাকটিভ। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত প্রশ্ন করে, আলোচনা ও দলগত প্রকল্পে যুক্ত হয়। গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তি, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও আন্তর্জাতিক মানের স্ট্যান্ডার্ডে কাজ করার সুযোগ বেশি। ল্যাবেও ব্যবহারমুখী শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়। সংক্ষেপে, পড়াশোনা এখানে তত্ত্ব ও প্রয়োগের সমন্বয়যুক্ত, আন্তর্জাতিক মানের অভিজ্ঞতা দেয়, যা বাংলাদেশের সাধারণ ক্লাসরুম বা ল্যাবের চেয়ে আলাদা।
কোরিয়ান শিক্ষাব্যবস্থার কোন দিকটি আপনার সবচেয়ে ভালো লাগে?
কোরিয়ার শিক্ষাব্যবস্থা প্রয়োগমুখী, প্রযুক্তিনির্ভর এবং শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক। এখানে শিক্ষার্থীদের প্রকল্প, ল্যাব এবং গবেষণার মাধ্যমে বাস্তব সমস্যার সমাধান শেখানো হয়। এ ছাড়া ক্লাসে শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের মতামতকে গুরুত্ব দেন, নিয়মিত আলোচনা ও বিতর্কের মাধ্যমে জ্ঞান গভীর হয়। এই সমন্বিত পদ্ধতি শিক্ষাকে শুধু শেখার জন্য নয়, চিন্তাশীল ও সৃজনশীল হতে সাহায্য করে।
পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ বা ইন্টার্নশিপের সুযোগ কেমন?
এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ ও ইন্টার্নশিপের সুযোগ প্রয়োগমুখী ও বাস্তব অভিজ্ঞতাকেন্দ্রিক। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ইন্ডাস্ট্রি লিঙ্ক ও রিসার্চ প্রজেক্টে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেয়। অনেক কোম্পানি ক্লাসের সময়সূচির সঙ্গে মিল রেখে পার্টটাইম কাজ বা ইন্টার্নশিপের প্রোগ্রাম চালু রেখেছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় নিজেও বিভিন্ন ইন্টার্নশিপ, সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করে, যা ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা বাড়ায়।
কোরিয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যারিয়ার গড়ার কী কী সম্ভাবনা রয়েছে?
কোরিয়া উচ্চ প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী শিল্পে অগ্রণী, যেমন অটোমোবাইল, ইলেকট্রনিকস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবোটিকস। শিক্ষার্থীরা রিসার্চ, ইন্ডাস্ট্রি-ভিত্তিক প্রকল্প, ইন্টার্নশিপ, কো-অপ প্রোগ্রাম এবং স্টার্টআপে অংশ নিতে পারে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ও কোম্পানির সঙ্গে কাজের সুযোগ থাকায় বিদেশি শিক্ষার্থীরাও গ্লোবাল করপোরেট বা রিসার্চ পজিশনে সহজে প্রবেশ করতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় পড়াশোনা শেষে স্থায়ী কাজ করার সুযোগ কেমন?
স্থায়ী কাজের সুযোগ আছে, তবে কিছু শর্ত ও প্রক্রিয়া মেনে চলতে হয়। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সাধারণত ইন্টার্নশিপ বা কো-অপের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন করে, এরপর যোগ্যতার ভিত্তিতে কাজের ভিসা (E-7 বা D-10) পেতে পারে। বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিং, তথ্যপ্রযুক্তি, রোবোটিকস ও উচ্চপ্রযুক্তি শিল্পে দক্ষ শিক্ষার্থীদের চাহিদা বেশি। ভাষা দক্ষতা ও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী কাজ করার সক্ষমতা অবশ্যই প্রয়োজন।
খাবার বা জীবনধারায় কোন দিকগুলো সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেন?
কিমচি, মাছ এবং স্থানীয় স্ট্রিটফুড আমি বেশি উপভোগ করি। এগুলো শুধু সুস্বাদু নয়, কোরিয়ার সংস্কৃতির সঙ্গে সংযুক্ত থাকার অনুভূতি দেয়। এ ছাড়া শৃঙ্খলাবদ্ধ সময়সূচি, শিক্ষার প্রতি মনোযোগ এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশ কোরিয়ায় জীবনধারাকে আনন্দময় ও প্রেরণাদায়ক করে তোলে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষা নিতে চাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য আপনার পরামর্শ কী হবে?
আগে ঠিক করুন কোন বিষয়ে পড়তে চান এবং সেই বিষয় কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো। ইংরেজি বা কোরিয়ান ভাষার প্রাথমিক জ্ঞান থাকলে পড়াশোনা ও সামাজিক জীবন সহজ হয়। আবেদনের নথি সময়মতো প্রস্তুত রাখুন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মনোযোগ, অধ্যবসায় এবং সময় ব্যবস্থাপনা।
বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে কী ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত?
বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান শক্তিশালী করুন। ভালো মার্কশিট এবং প্রকল্পের অভিজ্ঞতা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। আবেদনপত্রে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করুন। নেতৃত্বের গুণাবলি, সামাজিক কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বা ব্যক্তিগত গল্প থাকলে বৃত্তি প্রাপ্তিতে সাহায্য করে। ধারাবাহিক প্রস্তুতি, আত্মবিশ্বাস এবং সময়মতো নথি প্রস্তুত রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ভবিষ্যতে নিজের ক্যারিয়ার ও জীবনের লক্ষ্য কী?
ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করা। দেশের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করা। পাশাপাশি নিজের পেশাগত দক্ষতা ও উদ্ভাবনকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সমন্বয় করে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিগত সমস্যার সমাধানে অবদান রাখা। সংক্ষেপে, লক্ষ্য হলো জ্ঞান, দক্ষতা ও উদ্ভাবন ব্যবহার করে অর্থবহ ও প্রভাবশালী ক্যারিয়ার গড়া।
দক্ষিণ কোরিয়ায় বৃত্তি কীভাবে পেলেন?
কোরিয়ায় বৃত্তি মূলত আইইএলটিএস স্কোরের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়। নিয়মিত অধ্যয়ন, সময়ের সঠিক ব্যবহার এবং নিজের প্রতি বিশ্বাস আমাকে বৃত্তি পাওয়ার পথে সাহায্য করেছে। বর্তমানে আমি ল্যাব রিসার্চার হিসেবে প্রফেসরের ফান্ড পাচ্ছি এবং টিউশন ফিতেও ছাড় পেয়েছি।
ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি (এআই) কেন বেছে নিলেন?
ছোটবেলা থেকে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন আমাকে আকর্ষণ করেছে। সব সময় ভাবতাম, কীভাবে বিজ্ঞান ব্যবহার করে মানুষের জীবন আরও সহজ ও উন্নত করা যায়। ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স এই সুযোগ দিয়েছে। এ ছাড়া আমার স্কুলজীবন থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেছি, তাই তত্ত্ব ও বাস্তবের সমন্বয় আমার কাছে স্বাভাবিক ছিল। বর্তমানে আমি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি নিয়ে গবেষণা করছি।
আপনি কোন বৃত্তি নিয়ে পড়ছেন? এই বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া কেমন?
স্নাতক পর্যায়ে আমি বৃত্তি পেয়েছিলাম। এটি আমার আইইএলটিএস ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে স্নাতকোত্তরে প্রফেসরের তত্ত্বাবধানে অধ্যয়ন করছি। কোরিয়ায় বৃত্তির জন্য বিভিন্ন সুযোগ আছে। যেমন জিকেএস, কেজিএসপি, ব্রেইন কোরিয়া। সাধারণ প্রক্রিয়া হলো অনলাইন আবেদন, যেখানে শিক্ষাগত ফলাফল, সহশিক্ষা কার্যক্রম এবং ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য (এসওপি) জমা দিতে হয়। এরপর নির্বাচিত প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে বৃত্তি দেওয়া হয়। বৃত্তি দুই ধরনের হয়—একটি শুধু টিউশন ফি মওকুফ, আর অন্যটি টিউশন ফি মওকুফসহ স্টাইপেন্ড।
আবেদন করার সময় কী কী নথি বা প্রস্তুতি দরকার হয়?
স্নাতক পর্যায়ের আবেদন করতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি প্রয়োজন। যেমন এসএসসি ও এইচএসসি সনদপত্র ও মার্কশিট, সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধনের কপি, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, ব্যাংক সলভেন্সি ও স্টেটমেন্ট, স্পনসরশিপ বা এনওসি। অনলাইন আবেদন করার সময় সঠিক তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করতে হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয় সম্পর্কে আগে থেকে ভালোভাবে গবেষণা করা জরুরি। আমি নিজের ফলাফল, যোগ্যতা ও আগ্রহের জায়গাগুলো পর্যালোচনা করে আবেদন করেছি, যাতে সিদ্ধান্তটা হয় সচেতন ও আত্মবিশ্বাসীভাবে।
ইংরেজি বা কোরিয়ান ভাষার দক্ষতা কতটা জরুরি?
ভাষাগত দক্ষতা এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ক্লাস, লেকচার ও গবেষণা কার্যক্রম ইংরেজি বা কোরিয়ান ভাষায় হয়। ইংরেজি জানা থাকলে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয় এবং একাডেমিক রিসোর্স বোঝা যায়। কোরিয়ান ভাষা জানা থাকলে স্থানীয় শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ, ক্যাম্পাস লাইফে মানিয়ে নেওয়া এবং পার্টটাইম কাজ বা ইন্টার্নশিপের সুযোগও বাড়ে। তাই দুই ভাষার মৌলিক জ্ঞান থাকা পুরো শিক্ষাজীবনকে সমৃদ্ধ করে।
জিওনবুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার পরিবেশ কেমন?
বিশ্ববিদ্যালয়টি সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ, বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী। এখানে হোস্টেল, স্টাডি লাউঞ্জ, লাইব্রেরি, কম্পিউটার ল্যাব, ছাত্রসেবা কেন্দ্রসহ সব সুবিধা রয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ইন্টারন্যাশনাল লাউঞ্জ’ আছে, যেখানে পড়াশোনা, আলাপ ও বিশ্রামের সুযোগ পাওয়া যায়। ভাষা কোর্স, ওয়ার্কশপ এবং স্থানীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগও আছে। বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিক গবেষণা প্রকল্পে যুক্ত, যেমন ‘ফিজিক্যাল এআই’। ফলে শিক্ষার্থীকে রিসার্চ ও আন্তর্জাতিক অংশীদারির সঙ্গে যুক্ত করে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের পরামর্শ কোরিয়ান ভাষার মৌলিক জ্ঞান আগে থেকে শেখা, হোস্টেলের তথ্য জানা এবং নিজের বিষয় ও সুযোগ সম্পর্কে আগেই যাচাই করা।
ক্লাস, গবেষণা এবং ল্যাব-সুবিধা বাংলাদেশের তুলনায় কতটা আধুনিক?
এখানে ক্লাসের পরিবেশ অনেক বেশি ইন্টার-অ্যাকটিভ। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত প্রশ্ন করে, আলোচনা ও দলগত প্রকল্পে যুক্ত হয়। গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তি, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও আন্তর্জাতিক মানের স্ট্যান্ডার্ডে কাজ করার সুযোগ বেশি। ল্যাবেও ব্যবহারমুখী শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়। সংক্ষেপে, পড়াশোনা এখানে তত্ত্ব ও প্রয়োগের সমন্বয়যুক্ত, আন্তর্জাতিক মানের অভিজ্ঞতা দেয়, যা বাংলাদেশের সাধারণ ক্লাসরুম বা ল্যাবের চেয়ে আলাদা।
কোরিয়ান শিক্ষাব্যবস্থার কোন দিকটি আপনার সবচেয়ে ভালো লাগে?
কোরিয়ার শিক্ষাব্যবস্থা প্রয়োগমুখী, প্রযুক্তিনির্ভর এবং শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক। এখানে শিক্ষার্থীদের প্রকল্প, ল্যাব এবং গবেষণার মাধ্যমে বাস্তব সমস্যার সমাধান শেখানো হয়। এ ছাড়া ক্লাসে শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের মতামতকে গুরুত্ব দেন, নিয়মিত আলোচনা ও বিতর্কের মাধ্যমে জ্ঞান গভীর হয়। এই সমন্বিত পদ্ধতি শিক্ষাকে শুধু শেখার জন্য নয়, চিন্তাশীল ও সৃজনশীল হতে সাহায্য করে।
পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ বা ইন্টার্নশিপের সুযোগ কেমন?
এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ ও ইন্টার্নশিপের সুযোগ প্রয়োগমুখী ও বাস্তব অভিজ্ঞতাকেন্দ্রিক। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ইন্ডাস্ট্রি লিঙ্ক ও রিসার্চ প্রজেক্টে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেয়। অনেক কোম্পানি ক্লাসের সময়সূচির সঙ্গে মিল রেখে পার্টটাইম কাজ বা ইন্টার্নশিপের প্রোগ্রাম চালু রেখেছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় নিজেও বিভিন্ন ইন্টার্নশিপ, সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করে, যা ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা বাড়ায়।
কোরিয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যারিয়ার গড়ার কী কী সম্ভাবনা রয়েছে?
কোরিয়া উচ্চ প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী শিল্পে অগ্রণী, যেমন অটোমোবাইল, ইলেকট্রনিকস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবোটিকস। শিক্ষার্থীরা রিসার্চ, ইন্ডাস্ট্রি-ভিত্তিক প্রকল্প, ইন্টার্নশিপ, কো-অপ প্রোগ্রাম এবং স্টার্টআপে অংশ নিতে পারে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ও কোম্পানির সঙ্গে কাজের সুযোগ থাকায় বিদেশি শিক্ষার্থীরাও গ্লোবাল করপোরেট বা রিসার্চ পজিশনে সহজে প্রবেশ করতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় পড়াশোনা শেষে স্থায়ী কাজ করার সুযোগ কেমন?
স্থায়ী কাজের সুযোগ আছে, তবে কিছু শর্ত ও প্রক্রিয়া মেনে চলতে হয়। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সাধারণত ইন্টার্নশিপ বা কো-অপের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন করে, এরপর যোগ্যতার ভিত্তিতে কাজের ভিসা (E-7 বা D-10) পেতে পারে। বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিং, তথ্যপ্রযুক্তি, রোবোটিকস ও উচ্চপ্রযুক্তি শিল্পে দক্ষ শিক্ষার্থীদের চাহিদা বেশি। ভাষা দক্ষতা ও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী কাজ করার সক্ষমতা অবশ্যই প্রয়োজন।
খাবার বা জীবনধারায় কোন দিকগুলো সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেন?
কিমচি, মাছ এবং স্থানীয় স্ট্রিটফুড আমি বেশি উপভোগ করি। এগুলো শুধু সুস্বাদু নয়, কোরিয়ার সংস্কৃতির সঙ্গে সংযুক্ত থাকার অনুভূতি দেয়। এ ছাড়া শৃঙ্খলাবদ্ধ সময়সূচি, শিক্ষার প্রতি মনোযোগ এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশ কোরিয়ায় জীবনধারাকে আনন্দময় ও প্রেরণাদায়ক করে তোলে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষা নিতে চাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য আপনার পরামর্শ কী হবে?
আগে ঠিক করুন কোন বিষয়ে পড়তে চান এবং সেই বিষয় কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো। ইংরেজি বা কোরিয়ান ভাষার প্রাথমিক জ্ঞান থাকলে পড়াশোনা ও সামাজিক জীবন সহজ হয়। আবেদনের নথি সময়মতো প্রস্তুত রাখুন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মনোযোগ, অধ্যবসায় এবং সময় ব্যবস্থাপনা।
বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে কী ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত?
বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান শক্তিশালী করুন। ভালো মার্কশিট এবং প্রকল্পের অভিজ্ঞতা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। আবেদনপত্রে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করুন। নেতৃত্বের গুণাবলি, সামাজিক কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বা ব্যক্তিগত গল্প থাকলে বৃত্তি প্রাপ্তিতে সাহায্য করে। ধারাবাহিক প্রস্তুতি, আত্মবিশ্বাস এবং সময়মতো নথি প্রস্তুত রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ভবিষ্যতে নিজের ক্যারিয়ার ও জীবনের লক্ষ্য কী?
ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করা। দেশের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করা। পাশাপাশি নিজের পেশাগত দক্ষতা ও উদ্ভাবনকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সমন্বয় করে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিগত সমস্যার সমাধানে অবদান রাখা। সংক্ষেপে, লক্ষ্য হলো জ্ঞান, দক্ষতা ও উদ্ভাবন ব্যবহার করে অর্থবহ ও প্রভাবশালী ক্যারিয়ার গড়া।

তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা...
১৫ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১ দিন আগে
ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়।
১ দিন আগে
চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা ও সংঘর্ষে জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা। এ ছাড়া মৌলভীবাজারের বড়লেখা, জামালপুর সদর, শেরপুরের শ্রীবরদী, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, পটুয়াখালীর কলাপাড়াসহ বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যালয়ের তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য শিক্ষকদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়ার পরও কোনো কাজ না হওয়ায় গতকাল শিক্ষকনেতা মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, খাইরুন নাহার লিপিসহ একাধিক শিক্ষককে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ও আন্দোলনের গতিপথ ঠিক করতে বৈঠকে বসেছেন শিক্ষকনেতারা। গতকাল রাত ৯টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাঁদের বৈঠক চলছিল।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি রাত ৯টার দিকে বলেন, ‘আমরা যাঁরা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছি, তাঁদের হয়রানি করার জন্য ঢালাওভাবে বদলি করা হচ্ছে। আমরা সার্বিক বিষয়ে বৈঠক করছি। আরও কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে।’
এদিকে চতুর্থ দিনের মতো গতকাল বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকেরা। তিন দফা দাবি আদায়ে লাগাতার কর্মবিরতির কারণে দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা।
পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় পরীক্ষা না নেওয়ায় বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক শিক্ষক। এ ছাড়াও অনেক জায়গায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে পরীক্ষার দায়িত্ব নিলেন অভিভাবকেরা।
বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে গতকাল পিরোজপুরের নেছারাবাদে উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে শিক্ষকেরা আন্দোলন করতে গেলে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে দুই দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও তালা ঝুলিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি করার জেরে পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় এক অভিভাবকের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক সহকারী শিক্ষক। রাজিব সরকার নামের ওই শিক্ষক বনওয়ারিনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মু. মাহবুবর রহমান জানান, যৌক্তিক দাবিতে চলমান আন্দোলনে পরীক্ষা বর্জন করেছিলেন রাজিব ও তাঁর সহকর্মীরা। অভিভাবক পরিচয়ের কিছু ব্যক্তি সেখানে গিয়ে শিক্ষকদের মারধর করেন। এতে সহকারী শিক্ষক রাজিবের মাথা ফেটে গেছে। তাঁর মাথায় চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।
এ ছাড়াও কোনো কোনো জায়গায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা তালা ভেঙে স্কুলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছেন। মৌলভীবাজারের বড়লেখায় উপজেলার ১৫১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র দু-তিনটি ছাড়া কোনোটিতেই হয়নি পরীক্ষা। গতকাল সকালে সহকারী শিক্ষকেরা প্রধান শিক্ষকদের পরীক্ষা নিতে বাধা দেন এবং শিক্ষার্থীদের স্কুলের ফটক থেকে ফিরিয়ে দেন। পরে বিভিন্ন স্কুলের কক্ষে তালা মেরে তাঁরা উপজেলা চত্বরে সমাবেশে যোগ দেন। উপজেলার ষাটমা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেন অভিভাবকেরা।
একইভাবে কুষ্টিয়া শহরতলির ১৮ নম্বর লাহিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবকেরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে নিজ উদ্যোগে পরীক্ষার আয়োজন করেন। প্রশ্ন বিতরণ, খাতা সংগ্রহ, শৃঙ্খলা রক্ষা সবকিছুই সামলান তাঁরা। একপর্যায়ে অভিভাবকদের তীব্র চাপ ও বিক্ষোভের মুখে প্রায় এক ঘণ্টা পর বার্ষিক পরীক্ষা নিতে বাধ্য হন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
জামালপুর সদর উপজেলার গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার শ্রীবরদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক বিদ্যালয়ে তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন অভিভাবকেরা। কোনো কোনো জায়গায় উপজেলা প্রশাসন এ কাজে সহযোগিতা করে।
জামালপুরের গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক রেনুকা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। সারা বছরের পর এই বার্ষিক পরীক্ষার অপেক্ষায় থাকি। যখন বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে, তখন সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এটা কোনো শিক্ষকের কাজ হতে পারে? তাঁদের এই কর্মবিরতি অন্য সময়ও করতে পারতেন। তাই আমরা সব অভিভাবক মিলে প্রধান শিক্ষককে নিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু করেছি।’
সার্বিক বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, ‘১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পে-কমিশনের সুপারিশ লাগবে। সেটিও চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের অপেক্ষা করা দরকার ছিল।’
দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকেরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন গত ৮ নভেম্বর। এই আন্দোলনে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন শিক্ষকেরা। পরদিন ৯ নভেম্বর থেকে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি সারা দেশে সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। আন্দোলনের তৃতীয় দিন (১০ নভেম্বর) সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নির্ধারণের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন শিক্ষকেরা।
সরকারের এই আশ্বাসের পর নভেম্বরের শেষ নাগাদ সহকারী শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় নতুন করে গত ৩০ নভেম্বর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষকেরা।

তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা ও সংঘর্ষে জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা। এ ছাড়া মৌলভীবাজারের বড়লেখা, জামালপুর সদর, শেরপুরের শ্রীবরদী, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, পটুয়াখালীর কলাপাড়াসহ বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যালয়ের তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য শিক্ষকদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়ার পরও কোনো কাজ না হওয়ায় গতকাল শিক্ষকনেতা মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, খাইরুন নাহার লিপিসহ একাধিক শিক্ষককে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ও আন্দোলনের গতিপথ ঠিক করতে বৈঠকে বসেছেন শিক্ষকনেতারা। গতকাল রাত ৯টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাঁদের বৈঠক চলছিল।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি রাত ৯টার দিকে বলেন, ‘আমরা যাঁরা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছি, তাঁদের হয়রানি করার জন্য ঢালাওভাবে বদলি করা হচ্ছে। আমরা সার্বিক বিষয়ে বৈঠক করছি। আরও কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে।’
এদিকে চতুর্থ দিনের মতো গতকাল বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকেরা। তিন দফা দাবি আদায়ে লাগাতার কর্মবিরতির কারণে দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা।
পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় পরীক্ষা না নেওয়ায় বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক শিক্ষক। এ ছাড়াও অনেক জায়গায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে পরীক্ষার দায়িত্ব নিলেন অভিভাবকেরা।
বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে গতকাল পিরোজপুরের নেছারাবাদে উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে শিক্ষকেরা আন্দোলন করতে গেলে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে দুই দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও তালা ঝুলিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি করার জেরে পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় এক অভিভাবকের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক সহকারী শিক্ষক। রাজিব সরকার নামের ওই শিক্ষক বনওয়ারিনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মু. মাহবুবর রহমান জানান, যৌক্তিক দাবিতে চলমান আন্দোলনে পরীক্ষা বর্জন করেছিলেন রাজিব ও তাঁর সহকর্মীরা। অভিভাবক পরিচয়ের কিছু ব্যক্তি সেখানে গিয়ে শিক্ষকদের মারধর করেন। এতে সহকারী শিক্ষক রাজিবের মাথা ফেটে গেছে। তাঁর মাথায় চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।
এ ছাড়াও কোনো কোনো জায়গায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা তালা ভেঙে স্কুলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছেন। মৌলভীবাজারের বড়লেখায় উপজেলার ১৫১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র দু-তিনটি ছাড়া কোনোটিতেই হয়নি পরীক্ষা। গতকাল সকালে সহকারী শিক্ষকেরা প্রধান শিক্ষকদের পরীক্ষা নিতে বাধা দেন এবং শিক্ষার্থীদের স্কুলের ফটক থেকে ফিরিয়ে দেন। পরে বিভিন্ন স্কুলের কক্ষে তালা মেরে তাঁরা উপজেলা চত্বরে সমাবেশে যোগ দেন। উপজেলার ষাটমা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেন অভিভাবকেরা।
একইভাবে কুষ্টিয়া শহরতলির ১৮ নম্বর লাহিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবকেরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে নিজ উদ্যোগে পরীক্ষার আয়োজন করেন। প্রশ্ন বিতরণ, খাতা সংগ্রহ, শৃঙ্খলা রক্ষা সবকিছুই সামলান তাঁরা। একপর্যায়ে অভিভাবকদের তীব্র চাপ ও বিক্ষোভের মুখে প্রায় এক ঘণ্টা পর বার্ষিক পরীক্ষা নিতে বাধ্য হন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
জামালপুর সদর উপজেলার গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার শ্রীবরদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক বিদ্যালয়ে তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন অভিভাবকেরা। কোনো কোনো জায়গায় উপজেলা প্রশাসন এ কাজে সহযোগিতা করে।
জামালপুরের গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক রেনুকা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। সারা বছরের পর এই বার্ষিক পরীক্ষার অপেক্ষায় থাকি। যখন বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে, তখন সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এটা কোনো শিক্ষকের কাজ হতে পারে? তাঁদের এই কর্মবিরতি অন্য সময়ও করতে পারতেন। তাই আমরা সব অভিভাবক মিলে প্রধান শিক্ষককে নিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু করেছি।’
সার্বিক বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, ‘১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পে-কমিশনের সুপারিশ লাগবে। সেটিও চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের অপেক্ষা করা দরকার ছিল।’
দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকেরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন গত ৮ নভেম্বর। এই আন্দোলনে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন শিক্ষকেরা। পরদিন ৯ নভেম্বর থেকে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি সারা দেশে সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। আন্দোলনের তৃতীয় দিন (১০ নভেম্বর) সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নির্ধারণের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন শিক্ষকেরা।
সরকারের এই আশ্বাসের পর নভেম্বরের শেষ নাগাদ সহকারী শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় নতুন করে গত ৩০ নভেম্বর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষকেরা।

দক্ষিণ কোরিয়ায় ইন্টিগ্রেটেড এনার্জিতে (এআই) স্নাতকোত্তর এবং ল্যাব রিসার্সার হিসেবে পড়াশোনা করছেন আলিফ খন্দকার। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্সে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এই প্রাক্তন শিক্ষার্থী বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার জিওনজু শহরে বসবাস করছেন।
১২ দিন আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১ দিন আগে
ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়।
১ দিন আগে
চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
গত রোববার (৩০ নভেম্বর) ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ‘এ-১’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২৫০, ‘এ-২’ (আর্কিটেকচার) ফি ১ হাজার ৪০০ এবং ‘বি’ (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২০০ টাকা।
২০২৪ অথবা ২০২৫ সালের এইচএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা আলিমবা ডিপ্লোমা ইন কমার্স বা সমমান, ২০২২ অথবা ২০২৩ সালের এসএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা দাখিল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা, ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা ১৪ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদন করার নিয়ম, বিস্তারিত তথ্য, আবেদন ফি এবং জমা দেওয়ার পদ্ধতি ভর্তি-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট-এর ভর্তি নির্দেশিকায় পাওয়া যাবে।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
গত রোববার (৩০ নভেম্বর) ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ‘এ-১’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২৫০, ‘এ-২’ (আর্কিটেকচার) ফি ১ হাজার ৪০০ এবং ‘বি’ (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২০০ টাকা।
২০২৪ অথবা ২০২৫ সালের এইচএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা আলিমবা ডিপ্লোমা ইন কমার্স বা সমমান, ২০২২ অথবা ২০২৩ সালের এসএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা দাখিল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা, ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা ১৪ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদন করার নিয়ম, বিস্তারিত তথ্য, আবেদন ফি এবং জমা দেওয়ার পদ্ধতি ভর্তি-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট-এর ভর্তি নির্দেশিকায় পাওয়া যাবে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় ইন্টিগ্রেটেড এনার্জিতে (এআই) স্নাতকোত্তর এবং ল্যাব রিসার্সার হিসেবে পড়াশোনা করছেন আলিফ খন্দকার। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্সে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এই প্রাক্তন শিক্ষার্থী বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার জিওনজু শহরে বসবাস করছেন।
১২ দিন আগে
তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা...
১৫ ঘণ্টা আগে
ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়।
১ দিন আগে
চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়। আজ থাকছে ব্যাংকে নিয়মিত ব্যবহৃত এমন ১০টি ইংরেজি বাক্য। চলুন শিখে নিই—

ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়। আজ থাকছে ব্যাংকে নিয়মিত ব্যবহৃত এমন ১০টি ইংরেজি বাক্য। চলুন শিখে নিই—

দক্ষিণ কোরিয়ায় ইন্টিগ্রেটেড এনার্জিতে (এআই) স্নাতকোত্তর এবং ল্যাব রিসার্সার হিসেবে পড়াশোনা করছেন আলিফ খন্দকার। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্সে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এই প্রাক্তন শিক্ষার্থী বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার জিওনজু শহরে বসবাস করছেন।
১২ দিন আগে
তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা...
১৫ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১ দিন আগে
চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বৃত্তিটি ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য। চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ গবেষণাবান্ধব ও সমৃদ্ধ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। ১৯২৯ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। আধুনিক ক্যাম্পাস, অত্যাধুনিক ল্যাব-সুবিধা, আন্তর্জাতিক বিনিময় কর্মসূচি এবং বৈশ্বিক মানের গবেষণা সুযোগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বজুড়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করে।
সুযোগ-সুবিধা
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বৃত্তিটিতে আবেদন করতে কোনো ফি লাগবে না। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। ক্যাম্পাসের ভেতরে বিনা মূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এটা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বড় স্বস্তির বিষয়। জীবনযাপনের ব্যয় হিসেবে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের ৩ হাজার আর পিএইচডি শিক্ষার্থীদের সাড়ে ৩ হাজার চায়নিজ ইউয়ান দেওয়া হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
আবেদনকারীর অবশ্যই চীনের নাগরিকত্ব থাকা যাবে না। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। একাডেমিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে, মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে এবং বয়স ৩৫ বছরের নিচে হতে হবে। আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য থাকতে হবে মাস্টার্স ডিগ্রি এবং বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ৪০ বছর। ভাষাগত দক্ষতার ক্ষেত্রেও নির্ধারিত মানদণ্ড রয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামের প্রয়োজন অনুযায়ী পূরণ করতে হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য
প্রথমে প্রয়োজন হবে ‘চায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ অ্যাপলিকেশন ফরম, বিস্তারিত সিভি, নোটারাইজড করা সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট। সঙ্গে যুক্ত করতে হবে স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি), রিচার্জ প্রপোজাল এবং দুজন অধ্যাপকের পক্ষ থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার। নন-ক্রিমিনাল সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ, ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণপত্রসহ যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ
বিশ্ববিদ্যালয়টি ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের অধীনে রয়েছে মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান থেকে শুরু করে অর্থনীতি, ভাষা, সাংবাদিকতা, আইন, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ বিস্তৃত বিষয়ের সমাহার। পাশাপাশি ফ্যাকাল্টি অব দ্য বিল্ড এনভায়রনমেন্টের শিক্ষার্থীদের জন্য আর্কিটেকচার, আরবান প্ল্যানিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশবিজ্ঞান এবং রিয়েল এস্টেট ম্যানেজমেন্টের মতো পেশাদারি ক্ষেত্রের সুযোগ রয়েছে। প্রযুক্তিমুখী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সমৃদ্ধিশালী বিভিন্ন বিষয়।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।

চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বৃত্তিটি ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য। চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ গবেষণাবান্ধব ও সমৃদ্ধ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। ১৯২৯ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। আধুনিক ক্যাম্পাস, অত্যাধুনিক ল্যাব-সুবিধা, আন্তর্জাতিক বিনিময় কর্মসূচি এবং বৈশ্বিক মানের গবেষণা সুযোগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বজুড়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করে।
সুযোগ-সুবিধা
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বৃত্তিটিতে আবেদন করতে কোনো ফি লাগবে না। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। ক্যাম্পাসের ভেতরে বিনা মূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এটা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বড় স্বস্তির বিষয়। জীবনযাপনের ব্যয় হিসেবে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের ৩ হাজার আর পিএইচডি শিক্ষার্থীদের সাড়ে ৩ হাজার চায়নিজ ইউয়ান দেওয়া হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
আবেদনকারীর অবশ্যই চীনের নাগরিকত্ব থাকা যাবে না। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। একাডেমিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে, মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে এবং বয়স ৩৫ বছরের নিচে হতে হবে। আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য থাকতে হবে মাস্টার্স ডিগ্রি এবং বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ৪০ বছর। ভাষাগত দক্ষতার ক্ষেত্রেও নির্ধারিত মানদণ্ড রয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামের প্রয়োজন অনুযায়ী পূরণ করতে হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য
প্রথমে প্রয়োজন হবে ‘চায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ অ্যাপলিকেশন ফরম, বিস্তারিত সিভি, নোটারাইজড করা সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট। সঙ্গে যুক্ত করতে হবে স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি), রিচার্জ প্রপোজাল এবং দুজন অধ্যাপকের পক্ষ থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার। নন-ক্রিমিনাল সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ, ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণপত্রসহ যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ
বিশ্ববিদ্যালয়টি ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের অধীনে রয়েছে মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান থেকে শুরু করে অর্থনীতি, ভাষা, সাংবাদিকতা, আইন, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ বিস্তৃত বিষয়ের সমাহার। পাশাপাশি ফ্যাকাল্টি অব দ্য বিল্ড এনভায়রনমেন্টের শিক্ষার্থীদের জন্য আর্কিটেকচার, আরবান প্ল্যানিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশবিজ্ঞান এবং রিয়েল এস্টেট ম্যানেজমেন্টের মতো পেশাদারি ক্ষেত্রের সুযোগ রয়েছে। প্রযুক্তিমুখী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সমৃদ্ধিশালী বিভিন্ন বিষয়।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।

দক্ষিণ কোরিয়ায় ইন্টিগ্রেটেড এনার্জিতে (এআই) স্নাতকোত্তর এবং ল্যাব রিসার্সার হিসেবে পড়াশোনা করছেন আলিফ খন্দকার। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্সে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এই প্রাক্তন শিক্ষার্থী বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার জিওনজু শহরে বসবাস করছেন।
১২ দিন আগে
তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা...
১৫ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১ দিন আগে
ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়।
১ দিন আগে