Ajker Patrika

কেমন ডাকসু চাই

ক্যাম্পাস ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

দীর্ঘ ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫। এই নির্বাচন শুধু শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার নয়, ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তোলারও সুযোগ এনে দিচ্ছে। ইতিহাস বলে, ডাকসুর ভেতর থেকে উঠে আসা নেতৃত্বই জাতীয় পরিসরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তাই এবারের ডাকসু থেকে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা—কেমন হবে তাঁদের প্রতিনিধি ও নেতৃত্ব? সেটিই জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

তামান্না-আক্তার

নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস চাই

তামান্না আক্তার

আমাদের স্বপ্নের ডাকসু হবে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত বন্ধু, যারা আবাসনের সংকট, লাইব্রেরি, গবেষণা ও নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। দখলদার রাজনীতি বা সহিংসতা নয়, চাই স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক নেতৃত্ব। প্রত্যেকে যেন সমান মর্যাদায় অংশ নিতে পারে—প্রান্তিক গোষ্ঠী ও ভিন্নমতাবলম্বীরাও। ডাকসু হোক সংস্কৃতি, খেলাধুলা ও সৃজনশীলতার উৎসবমুখর মঞ্চ; পাশাপাশি আধুনিক, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তুলুক।

সুমন

অধিকার আদায়ে সক্রিয় ডাকসু চাই

সুমন

ডাকসু শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক প্ল্যাটফর্ম, যা অধিকার আদায় এবং নেতৃত্ব বিকাশে ভূমিকা রাখে। ঐতিহাসিকভাবে ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত ডাকসু গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তাই নিয়মিত ও সুষ্ঠু নির্বাচন জরুরি। আমরা চাই ডাকসু আবাসন, পরিবহন, লাইব্রেরি, খাদ্য, নিরাপত্তা ও নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক। দলীয় রাজনীতির প্রভাবমুক্ত থেকে শিক্ষার্থীদের সমস্যার সমাধানে কাজ করুক। স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমেই ডাকসু হবে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান।

মহসীন
মহসীন

নিয়মিত কার্যক্রমে সক্রিয় ডাকসু চাই

মোহাম্মদ মহসীন

২০১৯ সালের নির্বাচনের পর শিক্ষার্থীরা নিয়মিত কার্যকর ডাকসুর প্রত্যাশা করে। এমন নেতৃত্ব চাই, যারা সৎ, যোগ্য ও সংগ্রামী এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার। ডাকসু যেন প্রহসনের মঞ্চ না হয়ে নিয়মিত কার্যক্রম চালায়, শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ভোট দিয়ে প্রতিনিধি বেছে নিতে পারে। কেবল স্বচ্ছ ও সক্রিয় ডাকসুই শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন ও আন্দোলনের প্রকৃত রূপ দিতে সক্ষম।

মো. ইব্রাহিম মুন্সি
মো. ইব্রাহিম মুন্সি

যোগ্য নেতৃত্ব চাই ডাকসুতে

মো. ইব্রাহিম মুন্সি (ইফতি)

জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী এই ডাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। শিক্ষার্থীরা এখন ইশতেহার তুলনা করছে এবং যোগ্য প্রার্থী বেছে নিতে আগ্রহী। আমার প্রত্যাশা, যারা গবেষণা, আবাসন, খাদ্যমান, কর্মসংস্থান ও লৈঙ্গিক সমতা নিশ্চিত করবে, তারাই নির্বাচিত হোক। রাজনৈতিক সহিংসতা, গেস্টরুম-গণরুমের মতো সংস্কৃতি যেন আর না ফিরে আসে। প্রতিবছর নিয়মিত নির্বাচন হবে এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার অগ্রাধিকার পাবে—এমন ডাকসুই আমাদের স্বপ্নের নেতৃত্ব দিতে পারবে।

রওনক মাহমুদ
রওনক মাহমুদ

উন্নয়ন ও কল্যাণে ডাকসু

রওনক মাহমুদ

ডাকসু কেবল ছাত্র সংসদ নয়, এটি শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের প্ল্যাটফর্ম এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের সূতিকাগার। এমন নেতৃত্ব চাই, যারা আবাসনের সংকট, নারী শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা, পরিবহন, বহিরাগত নিয়ন্ত্রণ, লাইব্রেরি ও মেডিকেল সুবিধার উন্নয়ন এবং গবেষণা প্রসারে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

ডাকসু হবে শিক্ষার্থীদের মতামত এবং প্রশাসনের নীতিনির্ধারণের মধ্যে শক্তিশালী যোগসূত্র। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই আমরা চাই কার্যকর এবং জবাবদিহিমূলক ডাকসু।

সামিহা সিরাজী লাজ
সামিহা সিরাজী লাজ

নারী শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ও ডাকসু

সামিহা সিরাজী লাজ

আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে নারী ভোটারদের বিশেষ চাহিদা—হলে সিটের সংকট নিরসন, জলাবদ্ধতা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ, রিডিং রুম এবং বাসের রুট বাড়ানো, স্বাস্থ্যসেবা ও ফার্মেসির সুবিধা নিশ্চিত করা। পাশাপাশি হলে প্রবেশে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবস্থা এবং আন্তহল প্রবেশের সুযোগ জরুরি। নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং সমান সুযোগ নিশ্চিত করবে—এমন নেতৃত্বের প্রতিই আস্থা রাখবে।

মো. রায়হান সরকার
মো. রায়হান সরকার

সুস্থ রাজনীতির মঞ্চ চাই

মো. রায়হান সরকার

ডাকসু বাংলাদেশের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ নানা গণ-আন্দোলনের অংশ। এবারের নির্বাচন সুস্থ রাজনৈতিক চর্চার নতুন প্রেরণা জাগিয়েছে। অসুস্থ ছাত্ররাজনীতি, সিট দখল ও সহিংসতা বন্ধ হোক—শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা এমন। নেতৃত্ব আসুক মুক্তবুদ্ধি, মানসম্মত শিক্ষা, প্রযুক্তি-সমন্বিত পাঠক্রম ও অহিংস রাজনীতির ভিত্তিতে। আমরা চাই ডাকসু হবে শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার রক্ষার আসল মঞ্চ, যেখানে সৃজনশীলতা ও গণতান্ত্রিক চেতনা বিকশিত হবে।

জেবা মালিহা
জেবা মালিহা

শিক্ষার্থীর কণ্ঠস্বর হবে ডাকসু

জেবা মালিহা

ডাকসুকে হতে হবে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত প্রতিনিধি, যেখানে ক্ষমতা নয়, সেবা হবে মূল লক্ষ্য। নারী শিক্ষার্থীদের আবাসন-সংকটের সমাধান, মেডিকেল সেন্টারের আধুনিকায়ন, বহিরাগত নিয়ন্ত্রণ, রাজনৈতিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং ক্যাফেটেরিয়ার মানোন্নয়ন জরুরি। পাশাপাশি ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসনেও উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা চাই ডাকসু হোক শিক্ষার্থীদের দাবি ও প্রশাসনের মধ্যে সেতুবন্ধ; যেখানে নেতৃত্ব হবে স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও শিক্ষার্থীর কণ্ঠস্বর।

মাসুমা বিনতে মুজিব
মাসুমা বিনতে মুজিব

ডাকসু হোক শিক্ষার্থীদের ভরসার মশাল

মাসুমা বিনতে মুজিব

আমরা চাই ডাকসু হবে মুক্ত ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতীক, যেখানে কোনো ভয়ভীতি বা দখলদারত্ব থাকবে না। আবাসিক সিটের সংকট, গবেষণার সুবিধা, গ্রন্থাগারের সীমাবদ্ধতা দূরীকরণসহ স্বাস্থ্যসেবা ও নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে ডাকসু হবে সংস্কৃতি, সৃজনশীলতা ও মুক্তচিন্তার অভয়ারণ্য। আমাদের চাওয়া—এটি শুধু আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠান নয়, বরং শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জ্বলন্ত মশাল হয়ে উঠুক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রাথমিকে ১০ হাজার ২১৯ পদে শিক্ষক নিয়োগ, আবেদন শুরু ৮ নভেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রাথমিকে ১০ হাজার ২১৯ পদে শিক্ষক নিয়োগ, আবেদন শুরু ৮ নভেম্বর

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপে ছয় বিভাগের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে ৮ নভেম্বর; যা চলবে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত। আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রথম ধাপে ছয় বিভাগের ১০ হাজার ২১৯টি পদে শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

এ বিভাগগুলো হলো রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র বলছে, দ্বিতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এ দুই বিভাগে শূন্য পদ রয়েছে ৪ হাজার ১৬৬টি।

আজ বুধবার বিকেলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রথম ধাপে ছয় বিভাগের ১০ হাজার ২১৯টি শূন্য পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আগামীকাল দেশের তিনটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হবে।

এর আগে চলতি বছরের ২৮ আগস্ট রাতে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তিন দিন পর ৩১ আগস্ট গঠিত হয় আট সদস্যের ‘কেন্দ্রীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ কমিটি’। এ কমিটির চেয়ারম্যান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সদস্যসচিব অধিদপ্তরের (পলিসি ও অপারেশন) পরিচালক। এ ছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো ও সরকারি কর্ম কমিশনের প্রতিনিধিরা রয়েছেন কমিটিতে।

পরে ২ নভেম্বর সংশোধিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫ প্রকাশ করা হয়। এতে নতুন সৃষ্টি করা সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক পদ বাদ দেওয়া হয়। এ দুটি পদ বাদ দেওয়ার পাশাপাশি বিধিমালায় কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাদ্রাসার পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২৮ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

এ বছর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন অষ্টম ও ইবতেদায়ি (পঞ্চম) শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর। চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এবং ইবতেদায়ি শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত হবে।

গতকাল মঙ্গলবার মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রকাশিত সময়সূচিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সময়সূচি অনুযায়ী, অষ্টম শ্রেণির কোরআন মাজিদ ও তাজভিদ, আকাইদ ও ফিকহ বিষয়ের পরীক্ষা হবে ২৮ ডিসেম্বর। আরবি (১ম ও ২য় পত্র) পরীক্ষা হবে ২৯ ডিসেম্বর। বাংলা ও ইংরেজি পরীক্ষা হবে ৩০ ডিসেম্বর এবং গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে ৩১ ডিসেম্বর।

অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ের পূর্ণমান ১০০ এবং সময় তিন ঘণ্টা। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় থাকবে।

বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে পূর্ণমান (৫০ + ৫০) = ১০০ এবং পরীক্ষার সময় (১.৩০ + ১.৩০) = ৩ ঘণ্টা। দুটি বিষয়ে একই দিনে ভিন্ন কোডে পরীক্ষা হবে এবং উত্তরপত্র আলাদা থাকবে। গণিত ও বিজ্ঞান পরীক্ষাও একই পদ্ধতিতে হবে, পূর্ণমান (৭০ + ৩০) = ১০০।

অন্যদিকে ইবতেদায়ি শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী, কোরআন মাজিদ ও তাজভিদ বিষয়ের পরীক্ষা হবে ২৮ ডিসেম্বর। আরবি (১ম ও ২য় পত্র) পরীক্ষা হবে ২৯ ডিসেম্বর। বাংলা ও ইংরেজি পরীক্ষা হবে ৩০ ডিসেম্বর এবং গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে ৩১ ডিসেম্বর।

পঞ্চম শ্রেণিতে প্রতিটি বিষয়ের পূর্ণমান ১০০ এবং সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে পূর্ণমান (৫০ + ৫০) = ১০০ আর গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে পূর্ণমান (৬০ + ৪০) = ১০০ নির্ধারণ করা হয়েছে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত পাঠ্যবই থেকে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত প্রশ্নকাঠামো অনুযায়ী উভয় পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করা হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়, পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর অন্তত ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রের কক্ষে উপস্থিত হয়ে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রবেশপত্র প্রতিষ্ঠানপ্রধানের স্বাক্ষর, সিলসহ পরীক্ষা শুরুর সাত দিন আগে সংগ্রহ করতে হবে। পরীক্ষার্থীরা ওএমআর ফরমে সঠিকভাবে রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও বিষয় কোড পূরণ করবে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীরা কেবল অনুমোদিত সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর (নন-প্রোগ্রামেবল) ব্যবহার করতে পারবে। কোনো অবস্থায় উত্তরপত্র ভাঁজ করা বা প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ সাজিদ একাডেমি ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে তফসিল ঘোষণা করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ সাজিদ একাডেমি ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে তফসিল ঘোষণা করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২২ ডিসেম্বর।

আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ সাজিদ একাডেমি ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এ ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশন অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।

নির্বাচন তফসিল অনুযায়ী, আচরণ বিধিমালা প্রকাশ ৫ নভেম্বর, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা ৫ নভেম্বর, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ ৬ নভেম্বর, ভোটার তালিকায় আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ নভেম্বর, জকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিতরণ ১৩, ১৬ ও ১৭ নভেম্বর (সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা), জকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল ১৭ ও ১৮ নভেম্বর (সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা), মনোনয়নপত্র বাছাই ১৯ ও ২০ নভেম্বর।

এ ছাড়া জকসু নির্বাচনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ২৩ নভেম্বর। প্রার্থীদের আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি ২৪ থেকে ২৬ নভেম্বর (সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা), ‎চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ৩ ডিসেম্বর। ‎মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ৪, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর। ‎প্রত্যাহার করা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ৯ ডিসেম্বর।

প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ৯ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ ২২ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত। এ ছাড়া ২২ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ শেষে গণনা করা হবে। ভোট গণনার ওপর ভিত্তি করে ২২ অথবা ২৩ ডিসেম্বর ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

তফসিল নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশন অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবস, শহীদ দিবস, শীতকালীন ছুটি—সব বিবেচনা করে এ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা আশা করি, সব বিবেচনায় আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১ হাজার ৮৯ ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
১ হাজার ৮৯ ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত

আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।

এস এম মাসুদুল হক বলেন, ‘আমরা আবেদন করা ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনুমোদনের জন্য ফাইল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠিয়েছিলাম। শর্তসাপেক্ষে মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্তির অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়।’

মাসুদুল হক আরও বলেন, ১ হাজার ৮৯টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার মধ্যে যেগুলো চলতি বছর জারি করা এমপিও নীতিমালার শর্ত পূরণ করেছে, সেগুলোকে এমপিওভুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগকে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্ত করা হবে।

দেড় হাজারের বেশি অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির আবেদন গত ৮ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত গ্রহণ করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।

মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা ও সহকারী শিক্ষকেরা তিন হাজার টাকা করে অনুদান পেয়ে থাকেন। এর বাইরে দেশে আরও ৫ হাজার ৯৩২টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে, যেগুলো সরকারি কোনো অনুদান পায় না।

শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে এ বছরের শুরুতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে প্রথমে এমপিওভুক্ত করে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছিল কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।

দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আসা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষকেরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর। এর মধ্যে তাঁদের এক পদযাত্রায় পুলিশ লাঠিপেটা ও জলকামান ব্যবহার করে। বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের পিটুনির সে ঘটনা আলোড়ন তোলে। এর একপর্যায়ে গত ২৮ জানুয়ারি ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।

গত ২৫ জুন ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিমালা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালা অনুসারে, মাদ্রাসাগুলোর মোট ছয়টি পদ এমপিওভুক্ত হবে। ইবতেদায়ির প্রধান বেতন পাবেন দশম গ্রেডে আর সাধারণ, বিজ্ঞান ও আরবি বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের বেতন হবে ১৩তম গ্রেডে। আর ক্বারী বা নুরানি বিষয়ের সহকারী শিক্ষকেরা ১৬তম গ্রেডে বেতন পাবেন। আর প্রতিটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার অফিস সহায়ক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে, যে পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা ২০তম গ্রেডে বেতন পাবেন।

নীতিমালা অনুসারে, মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষক পদে এনটিআরসিএর সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। আর নীতিমালায় মাদ্রাসাগুলোর ম্যানেজিং কমিটি গঠনের নির্দেশনা এসেছে। প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহায়ক পদে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ হবে বলে নীতিমালায় জানানো হয়েছে।

এমপিওভুক্তির জন্য ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোর গ্রেডিং পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। একাডেমিক স্বীকৃতি, প্রতিষ্ঠানের জমি, প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংখ্যা, বার্ষিক পরীক্ষার গড় নম্বর, পরিবেশ ইত্যাদি সূচকে নম্বর নির্ধারণ করে মাদ্রাসাগুলোর গ্রেডিং করা হবে।

নীতিমালায় মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের এমপিও কমিটি গঠন করা হয়েছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর মাদ্রাসাগুলোর কাগজপত্র যাচাই করে এমপিও দেবে। প্রথমে মাদ্রাসাগুলোকে এমপিও কোড দেওয়া হবে। শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে বা এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে যোগদানের তারিখ থেকে এমপিও পাবেন।

বিক্ষোভ-মিছিল করেননি শিক্ষকেরা

সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দাবিতে আজ বিক্ষোভ-মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। তবে প্রধান উপদেষ্টা ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনুমোদন দেওয়ায় তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেননি। তবে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।

জানতে চাইলে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষক ঐক্য জোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শামসুল আলম আজ সন্ধ্যায় বলেন, ‘১ হাজার ৮৯টি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির জন্য প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় অনুমোদন দিয়েছেন বলে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তাঁরা আমাদের বিক্ষোভ-মিছিল না করার অনুরোধ করেছেন। তাই আমরা বিক্ষোভ-মিছিল করিনি। তবে আমরা লাগাতার অবস্থান চালিয়ে যাব। আপাতত আমরা কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করছি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত