Ajker Patrika

তাজউদ্দীন হলে ভোট গ্রহণ সাময়িক বন্ধ, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪০
অনিয়ম অভিযোগ ওঠায় ভোটগ্রহণ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। ছবি: আজকের পত্রিকা
অনিয়ম অভিযোগ ওঠায় ভোটগ্রহণ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলে প্রায় ২৩ মিনিট ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। ছবিবিহীন ভোটার তালিকা এবং হাতে কালি না লাগানোর কারণে প্রার্থীদের দাবির মুখে এই ঘটনা ঘটে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে কেন্দ্রটিতে এই ঘটনা ঘটে। পরে ১২টা ১৫ মিনিটে আবার ভোট গ্রহণ শুরু হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাজউদ্দীন আহমদসহ কয়েকটি নতুন হলের পুরোনো আইডি কার্ড বাতিল করে শিক্ষার্থীদের নতুন কার্ড বানানোর নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু সময়স্বল্পতার কারণে বহু শিক্ষার্থী নতুন কার্ড তৈরি করতে পারেনি। ফলে তাঁরা ভোট দেওয়ার জন্য হল ইনডেক্স কার্ড নিয়ে কেন্দ্রে আসেন। এই কার্ডে ছবি পরিবর্তন করার আশঙ্কা থাকায় এবং ভোটার যাচাই তালিকায় অনেকের ছবি না থাকায় প্রার্থীরা আপত্তি জানান। একই সঙ্গে, নিয়ম থাকা সত্ত্বেও ভোটারদের হাতে কালি লাগানো হচ্ছিল না, যা ভোট কারচুপির আশঙ্কা তৈরি করে। এই দুটি কারণে প্রার্থীরা প্রতিবাদ জানালে ভোট গ্রহণ সাময়িকভাবে বন্ধ থাকে।

শিক্ষার্থীরা জানান, ভোট গ্রহণ শুরুর পর বেলা পৌনে ১২টার কিছু আগে থেকে সোয়া ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রটিতে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে রাখা হয়। ইনডেক্স কার্ড ও আইডি কার্ড সংশ্লিষ্ট জটিলতা এবং আঙুলে কালির দাগ না লাগানোর ফলে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়।

ভোট বন্ধ রাখার বিষয়ে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. আলমগীর কবির জানান, হাতে কালি লাগানোর কোনো নির্দেশনা ছিল না। ভোটারদের তালিকা যাচাই ছাড়াই বৈধ আইডি কার্ড দেখে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছিল। কিন্তু প্রার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তালিকা যাচাই করে ভোট গ্রহণ করা হয়। তিনি বলেন, ‘তালিকা আনার পর আমরা আবার ভোট গ্রহণ শুরু করেছি।’ তিনি আরও জানান, এই হলে মোট ভোটার ৯৪৭ জন। তাঁদের জন্য প্রায় ১ হাজার ব্যালট পেপার দেওয়া হয়েছে, যাতে কোনো ব্যালট বাতিল হলেও ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে।

ভোট গ্রহণ স্বাভাবিক হলেও দুপুর ১টার দিকে কেন্দ্রটিতে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। ভোট গ্রহণে বিলম্ব হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন। এতে কেন্দ্রের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত