Ajker Patrika

কিছু বিএনপি ও জামায়াতপন্থী শিক্ষক ভোট কারচুপির প্রতিযোগিতা করেছেন: বিন ইয়ামিন মোল্লা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০: ৩৮
বিন ইয়ামিন মোল্লা, ভিপি প্রার্থী, ছাত্র অধিকার পরিষদ। ছবি: সংগৃহীত
বিন ইয়ামিন মোল্লা, ভিপি প্রার্থী, ছাত্র অধিকার পরিষদ। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর ভিপি পদপ্রার্থী বিন ইয়ামিন মোল্লা অভিযোগ করে বলেছেন, নিয়ম ছিল প্রার্থীরা যেতে পারবে, তারা (বিএনপি ও শিবিরের প্রার্থী) গিয়েছে, কিন্তু আমাদের যেতে দেওয়া হয়নি। কেন আমাদের যেতে দেওয়া হলো না? কারণ, এই নির্বাচনে বিএনপিপন্থী ও জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের অনেকে দায়িত্বে ছিলেন এবং তারা ভোট কারচুপির নোংরা প্রতিযোগিতা করেছেন। এর ফলস্বরূপ, প্রায় ৮০% ভোট কাস্ট হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, যদি ধরে নিই যে ৩১ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে এবং ৮০% ভোট কাস্ট হয়েছে, তাহলে কত হাজার শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছে? এটা একটা সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি ৩০ হাজার শিক্ষার্থী ঢোকে, তাহলে কি সেখানে হাঁটার জায়গা থাকে? কমন সেন্স কী বলে?

বিন ইয়ামিন মোল্লা আরও বলেন, ভোট কাস্টিং কীভাবে হয়েছে শুনুন। প্রথমে বলা হয়েছিল, কোনো বহিরাগতকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এখন প্রশ্ন হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বা ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে আমার দলের কেউ কি আছে? আমার দলের কেউ নেই। স্বতন্ত্র প্রার্থী বা ছোট প্যানেলগুলোর কি কেউ আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে? তাদের সমর্থিত কোনো শিক্ষক কি আছে? নেই। ‘কেউ ভেতরে ঢুকতে পারবে না’ ঘোষণায় তখন যাদের শিক্ষক বা কর্মকর্তা নেই, তারা অসহায় হয়ে পড়ে। যাদের কর্মকর্তা বা দলীয় শিক্ষকেরা সেখানে দায়িত্বে আছেন, তারা ভেতরে যাক বা না যাক, কোনো সমস্যা নেই। তারপরও আমরা দেখেছি, তারা সব নিয়মকানুন ভেঙে ভেতরে গিয়েছে।

বিন ইয়ামিন বলেন, এখন কেউ কাউকে মানছে না এবং উভয় পক্ষই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুপাশে মহড়া দিচ্ছে। তাদের দাবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ভাগ করে দিতে হবে, না হলে তারা ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়বে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত