ফারহান ইবতেশাম জয়
২০২৪ সালের জুলাইয়ের শুরুতে কোটা আন্দোলন আমাদের কাছে ছিল শুধুই টিভি স্ক্রিন আর সোশ্যাল মিডিয়ার ফিডের দৃশ্য। কিন্তু ১০ জুলাইয়ের পর রামপুরা-বাড্ডা এলাকায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল পরিবেশ; ছোট ছোট অবরোধ, স্লোগান আর পোস্টারে শহর যেন বদলে যেতে লাগল। ১৪ জুলাইয়ের পর তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের বেফাঁস মন্তব্য আগুনে ঘি ঢেলে দেয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভাই-বোনদের ওপর ছাত্রলীগের নির্মম হামলা আমাদের আর চুপ করে বসে থাকতে দেয়নি।
১৬ জুলাই আমরা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামি এবং শহরের চিত্র পাল্টে যায়। সেদিন বুঝতে পারি, এটা শুধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নয়, আমাদেরও লড়াই! ১৭ জুলাই আবার রাস্তায়। পুলিশের বাধা এল, তবে সেদিন তারা তেমন আক্রমণ চালায়নি। ১৮ জুলাই সকালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে পুলিশের হামলার খবর মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ল। ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা বের হতেই কাঁদানে গ্যাস আর গুলির আওয়াজ। গুলির শব্দে শহর কেঁপে ওঠে। আমাদের চোখের সামনে গুলিবিদ্ধ হলেন আমাদের বিভাগের ইম্পিরিয়ালের এক ছোট ভাই। সেই গোলাগুলির মাঝেও মানবতার অপূর্ব দৃশ্য দেখলাম।
কেউ আহতদের টেনে নিরাপদে নিয়ে যাচ্ছে, কেউ স্যালাইন ঝুলিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে। মানুষ ফল, পানি আর কাপড় নিয়ে গেটের বাইরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় সেদিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য দরজা খুলে দেয়। ধোঁয়ায় ঢেকে গেল শহর; মাথার ওপর সামরিক হেলিকপ্টারের ভ্রুকুটি শব্দ। একপর্যায়ে এক পুলিশ কনস্টেবলকে জনতা ধরে ফেলে। আমরা কয়েকজন তাঁকে রক্ষা করি। রাতে বিজিবি এল, পুলিশের রেইডের খবর এল, মেস ফাঁকা হয়ে গেল। আমি আশ্রয় নিলাম বন্ধুর বাসায়। এরপর দিনগুলো কাটল কারফিউ, আতঙ্ক, গুলির মধ্যে; তবুও সাহস হারাইনি।
আমরা বন্ধুরা, রাইয়ান, মেহেদী, পিয়াল—এই সংগ্রামের সাক্ষী। দূরে থেকেও খাইরুল শিশির প্রতিদিন আমার খোঁজ নিয়েছে। আমরা শুধু কোটা নয়, দাবি তুলেছিলাম মানবিকতা, শিক্ষা, রাষ্ট্রের জবাবদিহির। কিন্তু আফসোস, আজও সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। তবুও আমি স্বপ্ন দেখি—একটা নতুন বাংলাদেশের, যেখানে থাকবে ন্যায়, সাম্য আর মানুষের অধিকার। জানি না সেই দিন কবে আসবে। তবুও বিশ্বাস রাখি; বিশ্বাসে মেলে বস্তু, তর্কে বহুদূর।
লেখক: শিক্ষার্থী, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়
২০২৪ সালের জুলাইয়ের শুরুতে কোটা আন্দোলন আমাদের কাছে ছিল শুধুই টিভি স্ক্রিন আর সোশ্যাল মিডিয়ার ফিডের দৃশ্য। কিন্তু ১০ জুলাইয়ের পর রামপুরা-বাড্ডা এলাকায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল পরিবেশ; ছোট ছোট অবরোধ, স্লোগান আর পোস্টারে শহর যেন বদলে যেতে লাগল। ১৪ জুলাইয়ের পর তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের বেফাঁস মন্তব্য আগুনে ঘি ঢেলে দেয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভাই-বোনদের ওপর ছাত্রলীগের নির্মম হামলা আমাদের আর চুপ করে বসে থাকতে দেয়নি।
১৬ জুলাই আমরা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামি এবং শহরের চিত্র পাল্টে যায়। সেদিন বুঝতে পারি, এটা শুধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নয়, আমাদেরও লড়াই! ১৭ জুলাই আবার রাস্তায়। পুলিশের বাধা এল, তবে সেদিন তারা তেমন আক্রমণ চালায়নি। ১৮ জুলাই সকালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে পুলিশের হামলার খবর মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ল। ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা বের হতেই কাঁদানে গ্যাস আর গুলির আওয়াজ। গুলির শব্দে শহর কেঁপে ওঠে। আমাদের চোখের সামনে গুলিবিদ্ধ হলেন আমাদের বিভাগের ইম্পিরিয়ালের এক ছোট ভাই। সেই গোলাগুলির মাঝেও মানবতার অপূর্ব দৃশ্য দেখলাম।
কেউ আহতদের টেনে নিরাপদে নিয়ে যাচ্ছে, কেউ স্যালাইন ঝুলিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে। মানুষ ফল, পানি আর কাপড় নিয়ে গেটের বাইরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় সেদিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য দরজা খুলে দেয়। ধোঁয়ায় ঢেকে গেল শহর; মাথার ওপর সামরিক হেলিকপ্টারের ভ্রুকুটি শব্দ। একপর্যায়ে এক পুলিশ কনস্টেবলকে জনতা ধরে ফেলে। আমরা কয়েকজন তাঁকে রক্ষা করি। রাতে বিজিবি এল, পুলিশের রেইডের খবর এল, মেস ফাঁকা হয়ে গেল। আমি আশ্রয় নিলাম বন্ধুর বাসায়। এরপর দিনগুলো কাটল কারফিউ, আতঙ্ক, গুলির মধ্যে; তবুও সাহস হারাইনি।
আমরা বন্ধুরা, রাইয়ান, মেহেদী, পিয়াল—এই সংগ্রামের সাক্ষী। দূরে থেকেও খাইরুল শিশির প্রতিদিন আমার খোঁজ নিয়েছে। আমরা শুধু কোটা নয়, দাবি তুলেছিলাম মানবিকতা, শিক্ষা, রাষ্ট্রের জবাবদিহির। কিন্তু আফসোস, আজও সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। তবুও আমি স্বপ্ন দেখি—একটা নতুন বাংলাদেশের, যেখানে থাকবে ন্যায়, সাম্য আর মানুষের অধিকার। জানি না সেই দিন কবে আসবে। তবুও বিশ্বাস রাখি; বিশ্বাসে মেলে বস্তু, তর্কে বহুদূর।
লেখক: শিক্ষার্থী, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়
চীনে পিকিং ইউনিভার্সিটি ইয়েনচিং একাডেমির স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য এই বৃত্তিটি প্রযোজ্য।
৭ ঘণ্টা আগেশিশুকালে ভাষা শেখার ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি থাকে। এ সময় যদি ইংরেজি শেখানো যায়, তাহলে শিশুরা শোনা, বলা, পড়া ও লেখার মাধ্যমে সহজেই ভাষা আয়ত্ত করতে পারে। গান, গল্প, কার্টুন বা ছোট ভিডিওর মাধ্যমে শেখার প্রতি আগ্রহও বাড়ে। ফলে শিক্ষাজীবন ও ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য শক্ত ভিত্তি গড়ে ওঠে।
৭ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে এখন উৎসবের আমেজ। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন ঘিরে এ আমেজ। কেননা ১১টি প্যানেল এবং স্বতন্ত্র মিলিয়ে ৯০৩ জন প্রার্থী চালাচ্ছেন প্রচার।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকার পাঠক ফোরাম পাঠকবন্ধু ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) শাখার উদ্যোগে ব্যতিক্রমী এক ক্যাম্পাস আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (বুধবার) রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে বসে এই আড্ডা। অনুষ্ঠানজুড়ে সহশিক্ষা কার্যক্রমের গুরুত্ব, কর্মক্ষেত্রের প্রস্তুতি
১৮ ঘণ্টা আগে