ক্যাম্পাস ডেস্ক
এক হাতে স্যাক্সোফোন, আরেক হাতে পদার্থবিজ্ঞানের বই—এভাবেই এগিয়ে চলেছেন সায়ন্তন ফারদিন নবী। তিনি স্কলাসটিকা, উত্তরা শাখার এ লেভেলের শিক্ষার্থী। ছোটবেলা থেকেই সুর ও বিজ্ঞান—এই দুই ভুবনের প্রতি তাঁর ভালোবাসা।
সায়ন্তনের স্বপ্ন—একজন পদার্থবিদ হয়ে গবেষণার মাধ্যমে বিশ্বে অবদান রাখা। সেই সঙ্গে সংগীতচর্চার মধ্য দিয়ে নিজের আবেগ, অনুভব আর স্বাতন্ত্র্য প্রকাশ করা।
সংগীতের সঙ্গে প্রথম প্রেম
সংগীতের প্রতি টান ছিল ছোটবেলা থেকে। লোকগান, হিন্দি-বাংলা সিনেমার গান, রবীন্দ্রসংগীত, রক, জ্যাজ, ব্লুজ, ওয়েস্টার্ন ক্ল্যাসিক্যাল—সব ধরনের গানেই আগ্রহ ছিল তাঁর। ১১ বছর বয়সে হারমোনিয়াম বাজানো শুরু করেন। এরপর গিটারে আগ্রহ জন্মালেও ২০২১ সালে অল্টো স্যাক্সোফোনে খুঁজে পান নিজের প্রকৃত ভালো লাগা।
বাংলাদেশে স্যাক্সোফোন শেখার সুযোগ কম। তবু হাল ছাড়েননি সায়ন্তন। একজন দেশীয় শিক্ষক খুঁজে পান এবং তাঁর কাছ থেকে মৌলিক শিক্ষা নেন। এরপর যুক্ত হন আমেরিকান, ডাচ ও ভারতীয় অনলাইন শিক্ষকদের সঙ্গেও। বর্তমানে একজন বাংলাদেশি শিক্ষকের অধীনেও নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
তিনি মূলত জ্যাজ, ব্লুজ ও ওয়েস্টার্ন ক্ল্যাসিক্যাল বাজান। মাঝে মাঝে রক ও পপ পরিবেশন করেন। ভবিষ্যতে বাংলা গান নিয়েও কাজ করার ইচ্ছা আছে তাঁর।
সায়ন্তন বিভিন্ন জায়গায় স্যাক্সোফোন বাজিয়ে ঢাকা শিল্পকলা একাডেমি, র্যাডিসন ব্লু, সেন্ট যোসেফ, সানিডেইল স্কুল ও স্কলাসটিকার নানা অনুষ্ঠানে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
রেডিও উপস্থাপনায় আত্মপ্রকাশ
২০২২ সালের মে মাসে সায়ন্তন যুক্ত হন রেডিও ধ্বনি ৯১.২ FM-এ। তিনি উপস্থাপনা করেন একটি শিক্ষা ও তরুণভিত্তিক পডকাস্ট শো—‘নোটবুক উইদ শায়ন্তন’। শুরুতে এর নাম ছিল ‘সায়ন্ত-সংলাপ উইদ সায়ন্তন’।
এই শোতে তিনি সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শিক্ষক, কোচ, উদ্যোক্তা ও তরুণদের। তাঁদের জীবনের গল্প তুলে ধরেছেন সহজ ভাষায়, আন্তরিক ভঙ্গিতে। এই কাজ তাঁকে দিয়েছে আত্মবিশ্বাস, আর তৈরি করেছে চিন্তাশীল উপস্থাপক হিসেবে।
পদার্থবিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ
পদার্থবিজ্ঞানের প্রতি সায়ন্তনের আগ্রহ খুব। ২০২১ সালে তিনি ন্যাশনাল ফিজিকস অলিম্পিয়াড ক্যাম্পে নির্বাচিত হন। এরপর যুক্ত হন বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমি রিসার্চ কোলাবোরেশনের (BARC) সঙ্গে। সেখানে কাজ করতে গিয়ে পদার্থবিজ্ঞানের নানা শাখা সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পারেন।
বর্তমানে তিনি কোয়ান্টাম মেকানিকস নিয়ে একটি গবেষণা প্রকল্পে কাজ করছেন। এই গবেষণা তাঁর ভবিষ্যৎ একাডেমিক ক্যারিয়ারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন।
গবেষণায় সক্রিয় অংশগ্রহণ
তাত্ত্বিক জ্ঞান ছাড়াও সায়ন্তন যুক্ত আছেন বাস্তব গবেষণার সঙ্গে। তিনি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান icddr,b-তে ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করেছেন। সেই প্রকল্পের একটি গবেষণা প্রবন্ধে তাঁর নাম রয়েছে, যা প্রকাশের অপেক্ষায়।
হৃদয়ের মানুষ
সায়ন্তন শুধু মেধাবী নন, মানবিকও। তিনি সময় পেলেই নানিকে বই পড়ে শোনান। বাংলা কবিতা আবৃত্তি করেন। গান, গবেষণা, রেডিও অনুষ্ঠান—সবকিছু নিয়েই ব্যস্ত তাঁর প্রতিদিন।
নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে সায়ন্তন বলেন, ‘আমার জীবনের লক্ষ্য পদার্থবিজ্ঞান চর্চা করা হলেও আমি স্যাক্সোফোন বাজানো এবং শেখা নিয়ে আমৃত্যু কাজ করতে চাই। এই যন্ত্র শুধু সংগীত নয়, আমাকে জীবনের গভীরতা বুঝতে শিখিয়েছে।’
এক হাতে স্যাক্সোফোন, আরেক হাতে পদার্থবিজ্ঞানের বই—এভাবেই এগিয়ে চলেছেন সায়ন্তন ফারদিন নবী। তিনি স্কলাসটিকা, উত্তরা শাখার এ লেভেলের শিক্ষার্থী। ছোটবেলা থেকেই সুর ও বিজ্ঞান—এই দুই ভুবনের প্রতি তাঁর ভালোবাসা।
সায়ন্তনের স্বপ্ন—একজন পদার্থবিদ হয়ে গবেষণার মাধ্যমে বিশ্বে অবদান রাখা। সেই সঙ্গে সংগীতচর্চার মধ্য দিয়ে নিজের আবেগ, অনুভব আর স্বাতন্ত্র্য প্রকাশ করা।
সংগীতের সঙ্গে প্রথম প্রেম
সংগীতের প্রতি টান ছিল ছোটবেলা থেকে। লোকগান, হিন্দি-বাংলা সিনেমার গান, রবীন্দ্রসংগীত, রক, জ্যাজ, ব্লুজ, ওয়েস্টার্ন ক্ল্যাসিক্যাল—সব ধরনের গানেই আগ্রহ ছিল তাঁর। ১১ বছর বয়সে হারমোনিয়াম বাজানো শুরু করেন। এরপর গিটারে আগ্রহ জন্মালেও ২০২১ সালে অল্টো স্যাক্সোফোনে খুঁজে পান নিজের প্রকৃত ভালো লাগা।
বাংলাদেশে স্যাক্সোফোন শেখার সুযোগ কম। তবু হাল ছাড়েননি সায়ন্তন। একজন দেশীয় শিক্ষক খুঁজে পান এবং তাঁর কাছ থেকে মৌলিক শিক্ষা নেন। এরপর যুক্ত হন আমেরিকান, ডাচ ও ভারতীয় অনলাইন শিক্ষকদের সঙ্গেও। বর্তমানে একজন বাংলাদেশি শিক্ষকের অধীনেও নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
তিনি মূলত জ্যাজ, ব্লুজ ও ওয়েস্টার্ন ক্ল্যাসিক্যাল বাজান। মাঝে মাঝে রক ও পপ পরিবেশন করেন। ভবিষ্যতে বাংলা গান নিয়েও কাজ করার ইচ্ছা আছে তাঁর।
সায়ন্তন বিভিন্ন জায়গায় স্যাক্সোফোন বাজিয়ে ঢাকা শিল্পকলা একাডেমি, র্যাডিসন ব্লু, সেন্ট যোসেফ, সানিডেইল স্কুল ও স্কলাসটিকার নানা অনুষ্ঠানে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
রেডিও উপস্থাপনায় আত্মপ্রকাশ
২০২২ সালের মে মাসে সায়ন্তন যুক্ত হন রেডিও ধ্বনি ৯১.২ FM-এ। তিনি উপস্থাপনা করেন একটি শিক্ষা ও তরুণভিত্তিক পডকাস্ট শো—‘নোটবুক উইদ শায়ন্তন’। শুরুতে এর নাম ছিল ‘সায়ন্ত-সংলাপ উইদ সায়ন্তন’।
এই শোতে তিনি সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শিক্ষক, কোচ, উদ্যোক্তা ও তরুণদের। তাঁদের জীবনের গল্প তুলে ধরেছেন সহজ ভাষায়, আন্তরিক ভঙ্গিতে। এই কাজ তাঁকে দিয়েছে আত্মবিশ্বাস, আর তৈরি করেছে চিন্তাশীল উপস্থাপক হিসেবে।
পদার্থবিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ
পদার্থবিজ্ঞানের প্রতি সায়ন্তনের আগ্রহ খুব। ২০২১ সালে তিনি ন্যাশনাল ফিজিকস অলিম্পিয়াড ক্যাম্পে নির্বাচিত হন। এরপর যুক্ত হন বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমি রিসার্চ কোলাবোরেশনের (BARC) সঙ্গে। সেখানে কাজ করতে গিয়ে পদার্থবিজ্ঞানের নানা শাখা সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পারেন।
বর্তমানে তিনি কোয়ান্টাম মেকানিকস নিয়ে একটি গবেষণা প্রকল্পে কাজ করছেন। এই গবেষণা তাঁর ভবিষ্যৎ একাডেমিক ক্যারিয়ারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন।
গবেষণায় সক্রিয় অংশগ্রহণ
তাত্ত্বিক জ্ঞান ছাড়াও সায়ন্তন যুক্ত আছেন বাস্তব গবেষণার সঙ্গে। তিনি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান icddr,b-তে ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করেছেন। সেই প্রকল্পের একটি গবেষণা প্রবন্ধে তাঁর নাম রয়েছে, যা প্রকাশের অপেক্ষায়।
হৃদয়ের মানুষ
সায়ন্তন শুধু মেধাবী নন, মানবিকও। তিনি সময় পেলেই নানিকে বই পড়ে শোনান। বাংলা কবিতা আবৃত্তি করেন। গান, গবেষণা, রেডিও অনুষ্ঠান—সবকিছু নিয়েই ব্যস্ত তাঁর প্রতিদিন।
নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে সায়ন্তন বলেন, ‘আমার জীবনের লক্ষ্য পদার্থবিজ্ঞান চর্চা করা হলেও আমি স্যাক্সোফোন বাজানো এবং শেখা নিয়ে আমৃত্যু কাজ করতে চাই। এই যন্ত্র শুধু সংগীত নয়, আমাকে জীবনের গভীরতা বুঝতে শিখিয়েছে।’
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৩১ মে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১৮ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবের মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি ২০২৫-এর জন্য আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সম্পূর্ণ অর্থায়িত এ বৃত্তির আওতায় আগ্রহী শিক্ষার্থীরা স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন।
১ দিন আগেএকটা সময় ছিল, যখন ‘পাঠশালা’ শব্দটির মানেই ছিল একটি নির্দিষ্ট স্থানে, নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষকের মুখনিঃসৃত জ্ঞান শ্রবণ করা। সময়ের পরিক্রমায় সেই ধারণা বদলেছে। শুধু বদলানো নয়, ২১০০ শতকের প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে শিক্ষা গ্রহণের সংজ্ঞাই যেন পাল্টে গেছে।
১ দিন আগেবছরের প্রতিটি দিনই হয়তো মায়ের জন্য, কিন্তু মে মাসের এই বিশেষ দিনে আমরা একটু থেমে যাই, একটু গভীরভাবে ভাবি এই মানুষের কথা, যাঁর ভালোবাসা নিঃশর্ত, যাঁর আত্মত্যাগ সীমাহীন। ১১ মে বিশ্বজুড়ে উদ্যাপিত হচ্ছে মা দিবস—শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় মাকে স্মরণ করার এক অনন্য দিন। আধুনিক জীবনের ব্যস্ততায় হারিয়ে যাওয়া...
১ দিন আগে