
নীতিভিত্তিক রাষ্ট্র চাই, নেতাভিত্তিক নয়
আমরা রাষ্ট্রের একটা সংস্কার চাই। যে রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তাদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে হবে। আমরা সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট করতে চাই। নীতির ঊর্ধ্বে কেউ উঠতে পারে না। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক খাতকে দ্রুততম সময়ে টেকসই উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে হবে। বিচার বিভাগেরও সংস্কার প্রয়োজন। নির্বাচনী ব্যবস্থার পরিবর্তন হওয়া জরুরি। মোটাদাগে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার প্রয়োজন। গণমুখী ও মৌলিক নাগরিক সেবাগুলো নিশ্চিত হলে একটি সমৃদ্ধ দেশ হবে আমাদের। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে, দ্রুততম সময়ে এ বিষয়গুলোর দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখতে চাই।
হাসনাত আব্দুল্লাহ, সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
প্রধান লক্ষ্য হোক রাষ্ট্রের সংস্কার
এমন দেশ চাই যেখানে নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ—সবাই নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের কাছে সর্বোচ্চ মর্যাদা পাবে। সরকারি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মানুষকে সম্মান করে সর্বোচ্চ সেবা দেবেন। একই সঙ্গে দুর্নীতিমুক্ত, জবাবদিহিমূলক এবং ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ দেখতে চাই। রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টর ভেঙে পড়েছে। এই সেক্টরগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা অসৎ, চাটুকার এবং অযোগ্যদের বহিষ্কার করে সেখানে সৎ, দক্ষ ও যোগ্য লোক নিয়োগ দিতে হবে। আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গবেষণা খাত ঢেলে সাজাতে হবে। এই ৩টি খাতে উন্নতি করতে পারলে দেশ পাল্টে যাবে। আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য হবে রাষ্ট্রের সংস্কার। এর মাধ্যমে এমন একটি জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে, যেখানে সরকার বদল হলেও দেশে তার কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাসহ রাষ্ট্র সংস্কার করলে সমতাভিত্তিক দেশ গড়া সম্ভব হবে।
উমামা ফাতেমা, সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
স্বাবলম্বী দেশ দেখতে চাই
নতুন বাংলাদেশকে স্বাবলম্বী হিসেবে দেখতে চাই। সমাজ ও রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে যাওয়া দুর্নীতির অবসান দেখতে চাই। সাংবিধানিকভাবে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের স্বীকৃতি ও অধিকার রক্ষা করা হবে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জায়গা থাকবে। দেশীয় শিল্প পুনরুদ্ধার করতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থায় কার্যকরী পরিবর্তন আনতে হবে। গবেষণার সুযোগ ও বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
মাইশা মালিহা, সহসমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
গণ-অভ্যুত্থানের লক্ষ্য ছিল সিস্টেমের পরিবর্তন
যে যায় লঙ্কায়, সে হয় রাবণ—এ সিস্টেম বদল করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে হবে। আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসাসেবা সুনিশ্চিত করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঢেলে সাজাতে হবে। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করতে হবে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিবর্তন করতে হবে, দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে, জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে যদি আমরা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে উন্নয়ন ও মাঠের পরিস্থিতি সমুন্নত থাকবে। আমরা আমদানিনির্ভর না হয়ে কৃষিনির্ভর বাংলাদেশ দেখতে চাই। পাশাপাশি সেক্টরভিত্তিক কাজের প্রয়োজন রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দখলদারি ও লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির ফলে অছাত্ররা ছাত্রসংগঠনে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কখনো অগ্রগামী ভূমিকা পালন করতে পারে না। আমরা এখানেও পরিবর্তন চাই।
আবদুল কাদের, সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
সংস্কারে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা থাকতে হবে
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চাই। দেশের প্রতিটি ইনস্টিটিউট হবে স্বাধীন ও রাজনীতিমুক্ত। বিচার বিভাগ হবে স্বাধীন। সেখানে সবার ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। আমরা শিক্ষাব্যবস্থার এমন পরিবর্তন চাই, যার মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদাহরণ হয়ে উঠবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংস্কার চাই। তারা যেন রাজনৈতিক নেতাদের আজ্ঞাবহ হয়ে না থাকে। দেশের এসব সংস্কারমূলক কাঠামোর মধ্যে শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকতে হবে।
আব্দুল হান্নান মাসুদ, সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

নীতিভিত্তিক রাষ্ট্র চাই, নেতাভিত্তিক নয়
আমরা রাষ্ট্রের একটা সংস্কার চাই। যে রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তাদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে হবে। আমরা সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট করতে চাই। নীতির ঊর্ধ্বে কেউ উঠতে পারে না। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক খাতকে দ্রুততম সময়ে টেকসই উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে হবে। বিচার বিভাগেরও সংস্কার প্রয়োজন। নির্বাচনী ব্যবস্থার পরিবর্তন হওয়া জরুরি। মোটাদাগে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার প্রয়োজন। গণমুখী ও মৌলিক নাগরিক সেবাগুলো নিশ্চিত হলে একটি সমৃদ্ধ দেশ হবে আমাদের। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে, দ্রুততম সময়ে এ বিষয়গুলোর দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখতে চাই।
হাসনাত আব্দুল্লাহ, সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
প্রধান লক্ষ্য হোক রাষ্ট্রের সংস্কার
এমন দেশ চাই যেখানে নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ—সবাই নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের কাছে সর্বোচ্চ মর্যাদা পাবে। সরকারি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মানুষকে সম্মান করে সর্বোচ্চ সেবা দেবেন। একই সঙ্গে দুর্নীতিমুক্ত, জবাবদিহিমূলক এবং ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ দেখতে চাই। রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টর ভেঙে পড়েছে। এই সেক্টরগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা অসৎ, চাটুকার এবং অযোগ্যদের বহিষ্কার করে সেখানে সৎ, দক্ষ ও যোগ্য লোক নিয়োগ দিতে হবে। আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গবেষণা খাত ঢেলে সাজাতে হবে। এই ৩টি খাতে উন্নতি করতে পারলে দেশ পাল্টে যাবে। আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য হবে রাষ্ট্রের সংস্কার। এর মাধ্যমে এমন একটি জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে, যেখানে সরকার বদল হলেও দেশে তার কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাসহ রাষ্ট্র সংস্কার করলে সমতাভিত্তিক দেশ গড়া সম্ভব হবে।
উমামা ফাতেমা, সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
স্বাবলম্বী দেশ দেখতে চাই
নতুন বাংলাদেশকে স্বাবলম্বী হিসেবে দেখতে চাই। সমাজ ও রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে যাওয়া দুর্নীতির অবসান দেখতে চাই। সাংবিধানিকভাবে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের স্বীকৃতি ও অধিকার রক্ষা করা হবে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জায়গা থাকবে। দেশীয় শিল্প পুনরুদ্ধার করতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থায় কার্যকরী পরিবর্তন আনতে হবে। গবেষণার সুযোগ ও বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
মাইশা মালিহা, সহসমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
গণ-অভ্যুত্থানের লক্ষ্য ছিল সিস্টেমের পরিবর্তন
যে যায় লঙ্কায়, সে হয় রাবণ—এ সিস্টেম বদল করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে হবে। আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসাসেবা সুনিশ্চিত করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঢেলে সাজাতে হবে। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করতে হবে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিবর্তন করতে হবে, দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে, জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে যদি আমরা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে উন্নয়ন ও মাঠের পরিস্থিতি সমুন্নত থাকবে। আমরা আমদানিনির্ভর না হয়ে কৃষিনির্ভর বাংলাদেশ দেখতে চাই। পাশাপাশি সেক্টরভিত্তিক কাজের প্রয়োজন রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দখলদারি ও লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির ফলে অছাত্ররা ছাত্রসংগঠনে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কখনো অগ্রগামী ভূমিকা পালন করতে পারে না। আমরা এখানেও পরিবর্তন চাই।
আবদুল কাদের, সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
সংস্কারে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা থাকতে হবে
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চাই। দেশের প্রতিটি ইনস্টিটিউট হবে স্বাধীন ও রাজনীতিমুক্ত। বিচার বিভাগ হবে স্বাধীন। সেখানে সবার ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। আমরা শিক্ষাব্যবস্থার এমন পরিবর্তন চাই, যার মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদাহরণ হয়ে উঠবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংস্কার চাই। তারা যেন রাজনৈতিক নেতাদের আজ্ঞাবহ হয়ে না থাকে। দেশের এসব সংস্কারমূলক কাঠামোর মধ্যে শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকতে হবে।
আব্দুল হান্নান মাসুদ, সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

নীতিভিত্তিক রাষ্ট্র চাই, নেতাভিত্তিক নয়
আমরা রাষ্ট্রের একটা সংস্কার চাই। যে রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তাদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে হবে। আমরা সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট করতে চাই। নীতির ঊর্ধ্বে কেউ উঠতে পারে না। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক খাতকে দ্রুততম সময়ে টেকসই উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে হবে। বিচার বিভাগেরও সংস্কার প্রয়োজন। নির্বাচনী ব্যবস্থার পরিবর্তন হওয়া জরুরি। মোটাদাগে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার প্রয়োজন। গণমুখী ও মৌলিক নাগরিক সেবাগুলো নিশ্চিত হলে একটি সমৃদ্ধ দেশ হবে আমাদের। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে, দ্রুততম সময়ে এ বিষয়গুলোর দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখতে চাই।
হাসনাত আব্দুল্লাহ, সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
প্রধান লক্ষ্য হোক রাষ্ট্রের সংস্কার
এমন দেশ চাই যেখানে নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ—সবাই নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের কাছে সর্বোচ্চ মর্যাদা পাবে। সরকারি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মানুষকে সম্মান করে সর্বোচ্চ সেবা দেবেন। একই সঙ্গে দুর্নীতিমুক্ত, জবাবদিহিমূলক এবং ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ দেখতে চাই। রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টর ভেঙে পড়েছে। এই সেক্টরগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা অসৎ, চাটুকার এবং অযোগ্যদের বহিষ্কার করে সেখানে সৎ, দক্ষ ও যোগ্য লোক নিয়োগ দিতে হবে। আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গবেষণা খাত ঢেলে সাজাতে হবে। এই ৩টি খাতে উন্নতি করতে পারলে দেশ পাল্টে যাবে। আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য হবে রাষ্ট্রের সংস্কার। এর মাধ্যমে এমন একটি জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে, যেখানে সরকার বদল হলেও দেশে তার কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাসহ রাষ্ট্র সংস্কার করলে সমতাভিত্তিক দেশ গড়া সম্ভব হবে।
উমামা ফাতেমা, সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
স্বাবলম্বী দেশ দেখতে চাই
নতুন বাংলাদেশকে স্বাবলম্বী হিসেবে দেখতে চাই। সমাজ ও রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে যাওয়া দুর্নীতির অবসান দেখতে চাই। সাংবিধানিকভাবে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের স্বীকৃতি ও অধিকার রক্ষা করা হবে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জায়গা থাকবে। দেশীয় শিল্প পুনরুদ্ধার করতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থায় কার্যকরী পরিবর্তন আনতে হবে। গবেষণার সুযোগ ও বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
মাইশা মালিহা, সহসমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
গণ-অভ্যুত্থানের লক্ষ্য ছিল সিস্টেমের পরিবর্তন
যে যায় লঙ্কায়, সে হয় রাবণ—এ সিস্টেম বদল করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে হবে। আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসাসেবা সুনিশ্চিত করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঢেলে সাজাতে হবে। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করতে হবে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিবর্তন করতে হবে, দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে, জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে যদি আমরা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে উন্নয়ন ও মাঠের পরিস্থিতি সমুন্নত থাকবে। আমরা আমদানিনির্ভর না হয়ে কৃষিনির্ভর বাংলাদেশ দেখতে চাই। পাশাপাশি সেক্টরভিত্তিক কাজের প্রয়োজন রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দখলদারি ও লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির ফলে অছাত্ররা ছাত্রসংগঠনে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কখনো অগ্রগামী ভূমিকা পালন করতে পারে না। আমরা এখানেও পরিবর্তন চাই।
আবদুল কাদের, সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
সংস্কারে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা থাকতে হবে
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চাই। দেশের প্রতিটি ইনস্টিটিউট হবে স্বাধীন ও রাজনীতিমুক্ত। বিচার বিভাগ হবে স্বাধীন। সেখানে সবার ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। আমরা শিক্ষাব্যবস্থার এমন পরিবর্তন চাই, যার মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদাহরণ হয়ে উঠবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংস্কার চাই। তারা যেন রাজনৈতিক নেতাদের আজ্ঞাবহ হয়ে না থাকে। দেশের এসব সংস্কারমূলক কাঠামোর মধ্যে শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকতে হবে।
আব্দুল হান্নান মাসুদ, সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

নীতিভিত্তিক রাষ্ট্র চাই, নেতাভিত্তিক নয়
আমরা রাষ্ট্রের একটা সংস্কার চাই। যে রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তাদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে হবে। আমরা সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট করতে চাই। নীতির ঊর্ধ্বে কেউ উঠতে পারে না। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক খাতকে দ্রুততম সময়ে টেকসই উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে হবে। বিচার বিভাগেরও সংস্কার প্রয়োজন। নির্বাচনী ব্যবস্থার পরিবর্তন হওয়া জরুরি। মোটাদাগে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার প্রয়োজন। গণমুখী ও মৌলিক নাগরিক সেবাগুলো নিশ্চিত হলে একটি সমৃদ্ধ দেশ হবে আমাদের। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে, দ্রুততম সময়ে এ বিষয়গুলোর দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখতে চাই।
হাসনাত আব্দুল্লাহ, সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
প্রধান লক্ষ্য হোক রাষ্ট্রের সংস্কার
এমন দেশ চাই যেখানে নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ—সবাই নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের কাছে সর্বোচ্চ মর্যাদা পাবে। সরকারি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মানুষকে সম্মান করে সর্বোচ্চ সেবা দেবেন। একই সঙ্গে দুর্নীতিমুক্ত, জবাবদিহিমূলক এবং ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ দেখতে চাই। রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টর ভেঙে পড়েছে। এই সেক্টরগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা অসৎ, চাটুকার এবং অযোগ্যদের বহিষ্কার করে সেখানে সৎ, দক্ষ ও যোগ্য লোক নিয়োগ দিতে হবে। আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গবেষণা খাত ঢেলে সাজাতে হবে। এই ৩টি খাতে উন্নতি করতে পারলে দেশ পাল্টে যাবে। আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য হবে রাষ্ট্রের সংস্কার। এর মাধ্যমে এমন একটি জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে, যেখানে সরকার বদল হলেও দেশে তার কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাসহ রাষ্ট্র সংস্কার করলে সমতাভিত্তিক দেশ গড়া সম্ভব হবে।
উমামা ফাতেমা, সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
স্বাবলম্বী দেশ দেখতে চাই
নতুন বাংলাদেশকে স্বাবলম্বী হিসেবে দেখতে চাই। সমাজ ও রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে যাওয়া দুর্নীতির অবসান দেখতে চাই। সাংবিধানিকভাবে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের স্বীকৃতি ও অধিকার রক্ষা করা হবে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জায়গা থাকবে। দেশীয় শিল্প পুনরুদ্ধার করতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থায় কার্যকরী পরিবর্তন আনতে হবে। গবেষণার সুযোগ ও বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
মাইশা মালিহা, সহসমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
গণ-অভ্যুত্থানের লক্ষ্য ছিল সিস্টেমের পরিবর্তন
যে যায় লঙ্কায়, সে হয় রাবণ—এ সিস্টেম বদল করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে হবে। আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসাসেবা সুনিশ্চিত করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঢেলে সাজাতে হবে। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করতে হবে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিবর্তন করতে হবে, দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে, জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে যদি আমরা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে উন্নয়ন ও মাঠের পরিস্থিতি সমুন্নত থাকবে। আমরা আমদানিনির্ভর না হয়ে কৃষিনির্ভর বাংলাদেশ দেখতে চাই। পাশাপাশি সেক্টরভিত্তিক কাজের প্রয়োজন রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দখলদারি ও লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির ফলে অছাত্ররা ছাত্রসংগঠনে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কখনো অগ্রগামী ভূমিকা পালন করতে পারে না। আমরা এখানেও পরিবর্তন চাই।
আবদুল কাদের, সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
সংস্কারে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা থাকতে হবে
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চাই। দেশের প্রতিটি ইনস্টিটিউট হবে স্বাধীন ও রাজনীতিমুক্ত। বিচার বিভাগ হবে স্বাধীন। সেখানে সবার ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। আমরা শিক্ষাব্যবস্থার এমন পরিবর্তন চাই, যার মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদাহরণ হয়ে উঠবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংস্কার চাই। তারা যেন রাজনৈতিক নেতাদের আজ্ঞাবহ হয়ে না থাকে। দেশের এসব সংস্কারমূলক কাঠামোর মধ্যে শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকতে হবে।
আব্দুল হান্নান মাসুদ, সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
১৪ মিনিট আগে
ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে।
১ ঘণ্টা আগে
১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে (আইআরও) বাংলাদেশ দল অংশ নিচ্ছে। ১০ সদস্যের এই দল ১৪ ডিসেম্বর দেশ থেকে রওনা হবে। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এই দলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
২ ঘণ্টা আগে
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (জিইউবি) স্থায়ী ক্যাম্পাসে দুদিনব্যাপী সপ্তম আইইইই এসটিআই—সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই-২০২৫) ৫.০ আন্তর্জাতিক সম্মেলন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব। কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী—সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে জীবন বাজি রেখেছিলেন। বিজয় দিবস স্মরণ করিয়ে দেয়—ঐক্য, সাহস ও ন্যায্যতা কখনো হারায় না। ১৬ ডিসেম্বরের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন তাঁদের মতামত ও ভাবনার কথা।

বিজয় শুধু স্মৃতিতে নয়, চাই বাস্তব রূপ
জোলেখা আক্তার জিনিয়া
শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ।
মহান বিজয় দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, বাংলাদেশিরা অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারে। কিন্তু ৫৪ বছর পরও দেশের অগ্রযাত্রায় বহিরাগত চাপ, দুর্নীতি, বৈষম্য ও দমন-পীড়ন বড় বাধা। আজকের তরুণেরা বিজয়কে শুধু স্মৃতিতে নয়, চায় বাস্তব রূপ দিতে। তাদের প্রত্যাশা স্বচ্ছ, ন্যায়ভিত্তিক, আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ। চায় বাক্স্বাধীনতা, সমান অধিকার আর গুম-খুনহীন বাংলাদেশ। বিজয় মানে যুক্তি, মূল্যবোধ, সুশাসন, মানসম্মত শিক্ষা ও সমান সুযোগ। দেশের পরিবর্তন সম্ভব হবে সবাই বিজয়ের চেতনাকে সাহস ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে বহন করলে। ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই।

শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদার বাংলাদেশ গড়ে তুলব
তানজিল কাজী
শিক্ষার্থী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির সাহস, একতা আর অদম্য প্রেরণার প্রতীক। ১৯৭১ সালে কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র ও শিক্ষকেরা জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন। তাঁদের অদম্য সাহস ও দেশপ্রেম আধুনিক অস্ত্রকেও পরাজিত করেছিল। বিজয় শুধু আনন্দের নয়, দায়িত্বেরও। আমাদের লক্ষ্য হতে হবে ন্যায়বিচার, সমতা ও মানবিকতায় সমৃদ্ধ সমাজ গড়া। নেতৃত্ব, যোগাযোগ ও সমালোচনামূলক চিন্তা হোক জাতীয় উন্নয়নের চালিকাশক্তি। আজ আমরা শহীদদের স্মরণ করি, মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতজ্ঞতা জানাই এবং শপথ করি—দেশকে ভালোবাসব, সত্যের পথে অবিচল থাকব, শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলব।

ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে পারিনি
সাজিয়া রহমান ঈশি
শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বিজয়ের আগেই পাকিস্তানি বাহিনী জানত, এই জাতিকে কোনোভাবেই দমানো যাবে না। তারা চেষ্টা করেছিল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে নেতৃত্বহীন বাংলাদেশ গড়ার। কিন্তু নতুন রাষ্ট্র প্রমাণ করল, বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ন্যায়ের সাহসে দাঁড়িয়েছে। ৫৪ বছর পরও আমরা স্বপ্নের ন্যায়বিচার, বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে পারিনি। অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাঝে এখনো লেগে আছে বৈষম্য, অন্যায় ও সুযোগের অসম বণ্টন। তবু আশা আছে—যদি মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখি, ন্যায়কে প্রতিদিনের অভ্যাস করি, তাহলে একদিন আমরা গড়ে তুলতে পারব আমাদের স্বপ্নের, সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ।

এবারের বিজয়ের মাস যেন এক নতুন আলোয় ভাসছে
এস এম রেদোয়ানুল হাসান রায়হান
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
স্বাধীনতার উচ্ছ্বাস আমরা এত দিন ইতিহাসের পাতায় পাতায় দেখেছি, এবার সেটি বাস্তবের রঙে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। দমবন্ধ অন্ধকার ভেদ করে যে মুক্তির হাওয়া বইছে চারদিকে; মনে হচ্ছে, জাতি আবার নতুন করে শ্বাস নিতে শিখছে। ব্যক্তিগত অনুভূতিতে এ যেন এক গভীর স্বস্তি—ভয় আর হুমকির দিন শেষ হয়ে যাওয়া আর সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর শক্তি ফিরে পাওয়া। বিজয়ের লাল-সবুজ এবার শুধু স্মৃতির প্রতীক নয়, আমাদের আশার অঙ্গীকার।

বিজয় কি আজও পরম আরাধ্য, নাকি অপ্রাপ্তির শিকল
সামিহা সিরাজী লাজ
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাঙালির অস্তিত্ব, স্বাধিকার ও স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোত জড়ানো ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় আজও বহু অপ্রাপ্তির সঙ্গী। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, আইনশৃঙ্খলা ও নীতির অভাব নাগরিকদের পরম স্বাধীনতার আনন্দে বাধা। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা, রাজনৈতিক দলগুলোর অদূরদর্শিতা দেশের অগ্রগতিকে সীমিত করেছে। তবু নতুন প্রজন্ম ও ছাত্র-জনতা নতুন রাজনৈতিক উপাখ্যানের সূচনা করছে। সমাজের অবহেলার মাঝে বিজয় দিবস মনে করিয়ে দেয়, স্বাধীনতা অর্জন শুধুই ইতিহাস নয়, প্রাপ্তির আনন্দে প্রত্যেক মানুষের প্রাণে রাঙানো এক চলমান সংগ্রাম।

নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক
মো. আবুজার গিফারী
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
আর এক দিন পর মহান মুক্তিযুদ্ধ ৫৫ বছরে পা দেবে। স্বাধীনতার দীর্ঘ পথচলায় আমরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নানা অর্জন করেছি। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়, আমাদের আকাঙ্ক্ষার কতটুকু পূরণ করতে পেরেছি? নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান রাজনৈতিক নেতৃত্বে সংঘটিত হলেও চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান ছাত্র-জনতার বিস্ময়কর জাগরণের ফল। ছাত্রসমাজের এই ভূমিকা দেশের রাজনীতিতে নতুন বাস্তবতার জন্ম দিয়েছে। ভবিষ্যতে রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ মুখ্য হবে। রাষ্ট্র পরিচালনা, নীতিনির্ধারণ ও সংসদীয় নেতৃত্বে তরুণেরা এগিয়ে আসবে। বৃহত্তর রাজনৈতিক দলগুলো এরই মধ্যে তরুণ নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। মহান বিজয় দিবস শুধু উদ্যাপন নয়, এটি নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক।

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব। কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী—সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে জীবন বাজি রেখেছিলেন। বিজয় দিবস স্মরণ করিয়ে দেয়—ঐক্য, সাহস ও ন্যায্যতা কখনো হারায় না। ১৬ ডিসেম্বরের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন তাঁদের মতামত ও ভাবনার কথা।

বিজয় শুধু স্মৃতিতে নয়, চাই বাস্তব রূপ
জোলেখা আক্তার জিনিয়া
শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ।
মহান বিজয় দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, বাংলাদেশিরা অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারে। কিন্তু ৫৪ বছর পরও দেশের অগ্রযাত্রায় বহিরাগত চাপ, দুর্নীতি, বৈষম্য ও দমন-পীড়ন বড় বাধা। আজকের তরুণেরা বিজয়কে শুধু স্মৃতিতে নয়, চায় বাস্তব রূপ দিতে। তাদের প্রত্যাশা স্বচ্ছ, ন্যায়ভিত্তিক, আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ। চায় বাক্স্বাধীনতা, সমান অধিকার আর গুম-খুনহীন বাংলাদেশ। বিজয় মানে যুক্তি, মূল্যবোধ, সুশাসন, মানসম্মত শিক্ষা ও সমান সুযোগ। দেশের পরিবর্তন সম্ভব হবে সবাই বিজয়ের চেতনাকে সাহস ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে বহন করলে। ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই।

শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদার বাংলাদেশ গড়ে তুলব
তানজিল কাজী
শিক্ষার্থী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির সাহস, একতা আর অদম্য প্রেরণার প্রতীক। ১৯৭১ সালে কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র ও শিক্ষকেরা জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন। তাঁদের অদম্য সাহস ও দেশপ্রেম আধুনিক অস্ত্রকেও পরাজিত করেছিল। বিজয় শুধু আনন্দের নয়, দায়িত্বেরও। আমাদের লক্ষ্য হতে হবে ন্যায়বিচার, সমতা ও মানবিকতায় সমৃদ্ধ সমাজ গড়া। নেতৃত্ব, যোগাযোগ ও সমালোচনামূলক চিন্তা হোক জাতীয় উন্নয়নের চালিকাশক্তি। আজ আমরা শহীদদের স্মরণ করি, মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতজ্ঞতা জানাই এবং শপথ করি—দেশকে ভালোবাসব, সত্যের পথে অবিচল থাকব, শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলব।

ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে পারিনি
সাজিয়া রহমান ঈশি
শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বিজয়ের আগেই পাকিস্তানি বাহিনী জানত, এই জাতিকে কোনোভাবেই দমানো যাবে না। তারা চেষ্টা করেছিল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে নেতৃত্বহীন বাংলাদেশ গড়ার। কিন্তু নতুন রাষ্ট্র প্রমাণ করল, বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ন্যায়ের সাহসে দাঁড়িয়েছে। ৫৪ বছর পরও আমরা স্বপ্নের ন্যায়বিচার, বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে পারিনি। অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাঝে এখনো লেগে আছে বৈষম্য, অন্যায় ও সুযোগের অসম বণ্টন। তবু আশা আছে—যদি মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখি, ন্যায়কে প্রতিদিনের অভ্যাস করি, তাহলে একদিন আমরা গড়ে তুলতে পারব আমাদের স্বপ্নের, সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ।

এবারের বিজয়ের মাস যেন এক নতুন আলোয় ভাসছে
এস এম রেদোয়ানুল হাসান রায়হান
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
স্বাধীনতার উচ্ছ্বাস আমরা এত দিন ইতিহাসের পাতায় পাতায় দেখেছি, এবার সেটি বাস্তবের রঙে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। দমবন্ধ অন্ধকার ভেদ করে যে মুক্তির হাওয়া বইছে চারদিকে; মনে হচ্ছে, জাতি আবার নতুন করে শ্বাস নিতে শিখছে। ব্যক্তিগত অনুভূতিতে এ যেন এক গভীর স্বস্তি—ভয় আর হুমকির দিন শেষ হয়ে যাওয়া আর সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর শক্তি ফিরে পাওয়া। বিজয়ের লাল-সবুজ এবার শুধু স্মৃতির প্রতীক নয়, আমাদের আশার অঙ্গীকার।

বিজয় কি আজও পরম আরাধ্য, নাকি অপ্রাপ্তির শিকল
সামিহা সিরাজী লাজ
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাঙালির অস্তিত্ব, স্বাধিকার ও স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোত জড়ানো ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় আজও বহু অপ্রাপ্তির সঙ্গী। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, আইনশৃঙ্খলা ও নীতির অভাব নাগরিকদের পরম স্বাধীনতার আনন্দে বাধা। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা, রাজনৈতিক দলগুলোর অদূরদর্শিতা দেশের অগ্রগতিকে সীমিত করেছে। তবু নতুন প্রজন্ম ও ছাত্র-জনতা নতুন রাজনৈতিক উপাখ্যানের সূচনা করছে। সমাজের অবহেলার মাঝে বিজয় দিবস মনে করিয়ে দেয়, স্বাধীনতা অর্জন শুধুই ইতিহাস নয়, প্রাপ্তির আনন্দে প্রত্যেক মানুষের প্রাণে রাঙানো এক চলমান সংগ্রাম।

নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক
মো. আবুজার গিফারী
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
আর এক দিন পর মহান মুক্তিযুদ্ধ ৫৫ বছরে পা দেবে। স্বাধীনতার দীর্ঘ পথচলায় আমরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নানা অর্জন করেছি। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়, আমাদের আকাঙ্ক্ষার কতটুকু পূরণ করতে পেরেছি? নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান রাজনৈতিক নেতৃত্বে সংঘটিত হলেও চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান ছাত্র-জনতার বিস্ময়কর জাগরণের ফল। ছাত্রসমাজের এই ভূমিকা দেশের রাজনীতিতে নতুন বাস্তবতার জন্ম দিয়েছে। ভবিষ্যতে রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ মুখ্য হবে। রাষ্ট্র পরিচালনা, নীতিনির্ধারণ ও সংসদীয় নেতৃত্বে তরুণেরা এগিয়ে আসবে। বৃহত্তর রাজনৈতিক দলগুলো এরই মধ্যে তরুণ নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। মহান বিজয় দিবস শুধু উদ্যাপন নয়, এটি নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক।

একটি সফল আন্দোলনের পর সবার চাওয়া থাকে, দেশ যেন সুন্দরভাবে এগিয়ে যায়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এর সমন্বয়কেরা।
১৮ আগস্ট ২০২৪
ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে।
১ ঘণ্টা আগে
১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে (আইআরও) বাংলাদেশ দল অংশ নিচ্ছে। ১০ সদস্যের এই দল ১৪ ডিসেম্বর দেশ থেকে রওনা হবে। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এই দলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
২ ঘণ্টা আগে
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (জিইউবি) স্থায়ী ক্যাম্পাসে দুদিনব্যাপী সপ্তম আইইইই এসটিআই—সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই-২০২৫) ৫.০ আন্তর্জাতিক সম্মেলন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজিনুর রহমান আজিম, পাটগ্রাম (লালমনিরহাট)

ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে। সংসারের দায় আর অর্থকষ্টের চাপে দিনে বই পড়ার সময় পান না রাবিউল। সকাল ৬টায় কনকনে ঠান্ডায় উঠে তাঁকে যেতে হয় কাজে। সন্ধ্যা পর্যন্ত রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে ইট, বালু ও সিমেন্ট নিয়ে শুরু হয় তাঁর জীবনসংগ্রাম। দিনের শেষে ক্লান্ত হাতে ধরতে হয় কলম ও খাতা। এই সংগ্রামের মধ্যেই দেখতে হয় জীবনের স্বপ্ন।
মাত্র ১৯ বছর বয়সী রাবিউল লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌরসভার সোহাগপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সাহিদুল ইসলামের ছেলে। তিন মাস বয়সে বাবাকে হারান। মা রাবেয়া বেগম একাকী সংসার চালানোর তাগিদে অন্যের ঘরবাড়িতে কাজ করে পরিবারকে টানতে থাকেন। পঞ্চম শ্রেণির পর থেকে সংসারের দায় রাবিউলের কাঁধে এসে পড়ে। এরপর তিনি রাজমিস্ত্রি, টাইলসের মিস্ত্রি ও রংমিস্ত্রির কাজ করতে করতে বড় হয়েছেন।
রাবিউল দিনের বেলা দেয়াল, ইট, সিমেন্ট দিয়ে ঘরবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের বাহ্যিক সৌন্দর্য বাড়ান, আবার রাতে পড়তে বসেন। পরিবারের তিন প্রজন্মের জীবন কেটে যাচ্ছে টিনের চালা ও ঝুপড়ি ঘরে, যেখানে বর্ষায় ঘরের ভেতরে পানি পড়ে, শীতে ঠান্ডা হাওয়া ঢোকে ফাঁকফোকর দিয়ে। তবু রাবিউল ও তাঁর পরিবার আশ্রয় খুঁজে নেন ভাঙাচোরা এই ঘরে।
কষ্টের মাঝেও তিনি স্বপ্ন দেখেন। ২০২৪ সালে পাটগ্রাম বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। চলতি বছর অনার্সে ভর্তি হওয়ার আশায় পুরোনো বই জোগাড় করেছেন। তিনি বলেন, ‘অর্থের অভাবে এখনো ভর্তি হতে পারিনি। আমার স্বপ্ন—একদিন পরিবারের মুখে হাসি ফোটাব।’
মা রাবেয়া বেগম বলেন, ‘স্বামী নেই ২০ বছর। অনেক কষ্টে সন্তানকে বড় করেছি। ছেলে রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাচ্ছে। টাকার অভাবে ঘরও ঠিক করতে পারছি না।’ প্রতিবেশী আব্দুস ছাত্তার বলেন, ‘রাবিউল ছোটবেলা থেকে মিস্ত্রির কাজ করে সংসারের হাল ধরেছে। তারা খুব অসহায়, থাকার জায়গা নেই।’
রাবিউল বলেন, ‘ইট, সিমেন্ট আর রং করার সময়ও আমি আলোর স্বপ্ন দেখি। ইচ্ছা—একদিন প্রতিষ্ঠিত হয়ে মায়ের মুখে হাসি ফোটানো।’

ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে। সংসারের দায় আর অর্থকষ্টের চাপে দিনে বই পড়ার সময় পান না রাবিউল। সকাল ৬টায় কনকনে ঠান্ডায় উঠে তাঁকে যেতে হয় কাজে। সন্ধ্যা পর্যন্ত রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে ইট, বালু ও সিমেন্ট নিয়ে শুরু হয় তাঁর জীবনসংগ্রাম। দিনের শেষে ক্লান্ত হাতে ধরতে হয় কলম ও খাতা। এই সংগ্রামের মধ্যেই দেখতে হয় জীবনের স্বপ্ন।
মাত্র ১৯ বছর বয়সী রাবিউল লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌরসভার সোহাগপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সাহিদুল ইসলামের ছেলে। তিন মাস বয়সে বাবাকে হারান। মা রাবেয়া বেগম একাকী সংসার চালানোর তাগিদে অন্যের ঘরবাড়িতে কাজ করে পরিবারকে টানতে থাকেন। পঞ্চম শ্রেণির পর থেকে সংসারের দায় রাবিউলের কাঁধে এসে পড়ে। এরপর তিনি রাজমিস্ত্রি, টাইলসের মিস্ত্রি ও রংমিস্ত্রির কাজ করতে করতে বড় হয়েছেন।
রাবিউল দিনের বেলা দেয়াল, ইট, সিমেন্ট দিয়ে ঘরবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের বাহ্যিক সৌন্দর্য বাড়ান, আবার রাতে পড়তে বসেন। পরিবারের তিন প্রজন্মের জীবন কেটে যাচ্ছে টিনের চালা ও ঝুপড়ি ঘরে, যেখানে বর্ষায় ঘরের ভেতরে পানি পড়ে, শীতে ঠান্ডা হাওয়া ঢোকে ফাঁকফোকর দিয়ে। তবু রাবিউল ও তাঁর পরিবার আশ্রয় খুঁজে নেন ভাঙাচোরা এই ঘরে।
কষ্টের মাঝেও তিনি স্বপ্ন দেখেন। ২০২৪ সালে পাটগ্রাম বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। চলতি বছর অনার্সে ভর্তি হওয়ার আশায় পুরোনো বই জোগাড় করেছেন। তিনি বলেন, ‘অর্থের অভাবে এখনো ভর্তি হতে পারিনি। আমার স্বপ্ন—একদিন পরিবারের মুখে হাসি ফোটাব।’
মা রাবেয়া বেগম বলেন, ‘স্বামী নেই ২০ বছর। অনেক কষ্টে সন্তানকে বড় করেছি। ছেলে রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাচ্ছে। টাকার অভাবে ঘরও ঠিক করতে পারছি না।’ প্রতিবেশী আব্দুস ছাত্তার বলেন, ‘রাবিউল ছোটবেলা থেকে মিস্ত্রির কাজ করে সংসারের হাল ধরেছে। তারা খুব অসহায়, থাকার জায়গা নেই।’
রাবিউল বলেন, ‘ইট, সিমেন্ট আর রং করার সময়ও আমি আলোর স্বপ্ন দেখি। ইচ্ছা—একদিন প্রতিষ্ঠিত হয়ে মায়ের মুখে হাসি ফোটানো।’

একটি সফল আন্দোলনের পর সবার চাওয়া থাকে, দেশ যেন সুন্দরভাবে এগিয়ে যায়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এর সমন্বয়কেরা।
১৮ আগস্ট ২০২৪
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
১৪ মিনিট আগে
১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে (আইআরও) বাংলাদেশ দল অংশ নিচ্ছে। ১০ সদস্যের এই দল ১৪ ডিসেম্বর দেশ থেকে রওনা হবে। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এই দলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
২ ঘণ্টা আগে
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (জিইউবি) স্থায়ী ক্যাম্পাসে দুদিনব্যাপী সপ্তম আইইইই এসটিআই—সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই-২০২৫) ৫.০ আন্তর্জাতিক সম্মেলন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে (আইআরও) বাংলাদেশ দল অংশ নিচ্ছে। ১০ সদস্যের এই দল ১৪ ডিসেম্বর দেশ থেকে রওনা হবে। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এই দলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের আয়োজনে এ বছর ২৯ থেকে ৩০ আগস্ট অনলাইন বাছাই পর্ব ও ১২ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে জাতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পর্বে ক্রিয়েটিভ মুভি, ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরি এবং ফিজিক্যাল কম্পিউটিং ক্যাটাগরির বিজয়ীদের আন্তর্জাতিক দল নির্বাচনী ক্যাম্পে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা, পারফরম্যান্স এবং নানা মানদণ্ডে বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের জন্য দল নির্বাচন করা হয়।
বাংলাদেশ দলের সদস্যরা হলেন মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী জুবাইদাহ জাফরিন ও নাফিয়া বাসার সুহানী; ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জারিফ বিন সালেক, খোন্দকার মুশফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মাশরুর আরেফিন ভূঞা; ওয়াইডব্লিউসিএ উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসাইবা তাজরিন তানিশা; উইলিয়াম কেরি একাডেমির শিক্ষার্থী জাইমা যাহিন ওয়ারা; স্কলাসটিকা স্কুলের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী দাস; আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী রিদোয়ান রাব্বানী; আনন্দ মোহন কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল টিটু।
দলের সঙ্গে কোচ থাকবেন মিশাল ইসলাম, সহকারী কোচ এম তানজিম আল ইসলাম দিবস এবং দলনেতা হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সভাপতি এ এ মুনির হাসান। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে অংশ নেবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। গত সাত বছরে বাংলাদেশ দল আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে ১৪টি গোল্ড মেডেলসহ মোট ৮৩টি পদক অর্জন করেছে।

১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে (আইআরও) বাংলাদেশ দল অংশ নিচ্ছে। ১০ সদস্যের এই দল ১৪ ডিসেম্বর দেশ থেকে রওনা হবে। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এই দলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের আয়োজনে এ বছর ২৯ থেকে ৩০ আগস্ট অনলাইন বাছাই পর্ব ও ১২ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে জাতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পর্বে ক্রিয়েটিভ মুভি, ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরি এবং ফিজিক্যাল কম্পিউটিং ক্যাটাগরির বিজয়ীদের আন্তর্জাতিক দল নির্বাচনী ক্যাম্পে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা, পারফরম্যান্স এবং নানা মানদণ্ডে বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের জন্য দল নির্বাচন করা হয়।
বাংলাদেশ দলের সদস্যরা হলেন মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী জুবাইদাহ জাফরিন ও নাফিয়া বাসার সুহানী; ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জারিফ বিন সালেক, খোন্দকার মুশফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মাশরুর আরেফিন ভূঞা; ওয়াইডব্লিউসিএ উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসাইবা তাজরিন তানিশা; উইলিয়াম কেরি একাডেমির শিক্ষার্থী জাইমা যাহিন ওয়ারা; স্কলাসটিকা স্কুলের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী দাস; আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী রিদোয়ান রাব্বানী; আনন্দ মোহন কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল টিটু।
দলের সঙ্গে কোচ থাকবেন মিশাল ইসলাম, সহকারী কোচ এম তানজিম আল ইসলাম দিবস এবং দলনেতা হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সভাপতি এ এ মুনির হাসান। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে অংশ নেবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। গত সাত বছরে বাংলাদেশ দল আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে ১৪টি গোল্ড মেডেলসহ মোট ৮৩টি পদক অর্জন করেছে।

একটি সফল আন্দোলনের পর সবার চাওয়া থাকে, দেশ যেন সুন্দরভাবে এগিয়ে যায়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এর সমন্বয়কেরা।
১৮ আগস্ট ২০২৪
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
১৪ মিনিট আগে
ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে।
১ ঘণ্টা আগে
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (জিইউবি) স্থায়ী ক্যাম্পাসে দুদিনব্যাপী সপ্তম আইইইই এসটিআই—সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই-২০২৫) ৫.০ আন্তর্জাতিক সম্মেলন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (জিইউবি) স্থায়ী ক্যাম্পাসে দুদিনব্যাপী সপ্তম আইইইই এসটিআই—সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই-২০২৫) ৫.০ আন্তর্জাতিক সম্মেলন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এই সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান শুক্রবার বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. এম সাইদুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও সম্মেলনের পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আইইইই বাংলাদেশ সেকশন চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ এবং আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ার অধ্যাপক ড. কে এম আজহারুল হাসান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সম্মেলনের অর্গানাইজিং সেক্রেটারি ও গ্রিন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ।
এ বছরের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘এআই যুগে প্রযুক্তিগত বিপ্লব এবং কর্মহীনতার আশঙ্কা’। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এম সাইদুর রহমান বলেন, ‘এসটিআই-২০২৫ সম্মেলন আমাদের দেখিয়েছে, প্রযুক্তি ও পরিবেশ একসঙ্গে এগোলে টেকসই শিল্পায়ন সম্ভব। এখানে উপস্থাপিত গবেষণাগুলো আগামী দিনের শিল্প খাতে নতুন দিকনির্দেশনা দেবে।’
গ্রিন ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম শিহাব উদ্দিন জানান, এবারের সম্মেলনে সাতটি কি-নোট সেশন, তিনটি ওয়ার্কশপ, একটি প্যানেল আলোচনা এবং ২৪টি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মোট ৪৩৪টি গবেষণা প্রবন্ধ জমা পড়ে। এগুলোর মধ্যে ১১৮টি প্রবন্ধ উপস্থাপনার জন্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত সেরা গবেষণা প্রবন্ধগুলো আইইইই এক্সপ্লোর ও স্কোপাস ইনডেক্সড জার্নালে প্রকাশিত হবে।

গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (জিইউবি) স্থায়ী ক্যাম্পাসে দুদিনব্যাপী সপ্তম আইইইই এসটিআই—সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই-২০২৫) ৫.০ আন্তর্জাতিক সম্মেলন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এই সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান শুক্রবার বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. এম সাইদুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও সম্মেলনের পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আইইইই বাংলাদেশ সেকশন চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ এবং আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ার অধ্যাপক ড. কে এম আজহারুল হাসান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সম্মেলনের অর্গানাইজিং সেক্রেটারি ও গ্রিন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ।
এ বছরের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘এআই যুগে প্রযুক্তিগত বিপ্লব এবং কর্মহীনতার আশঙ্কা’। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এম সাইদুর রহমান বলেন, ‘এসটিআই-২০২৫ সম্মেলন আমাদের দেখিয়েছে, প্রযুক্তি ও পরিবেশ একসঙ্গে এগোলে টেকসই শিল্পায়ন সম্ভব। এখানে উপস্থাপিত গবেষণাগুলো আগামী দিনের শিল্প খাতে নতুন দিকনির্দেশনা দেবে।’
গ্রিন ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম শিহাব উদ্দিন জানান, এবারের সম্মেলনে সাতটি কি-নোট সেশন, তিনটি ওয়ার্কশপ, একটি প্যানেল আলোচনা এবং ২৪টি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মোট ৪৩৪টি গবেষণা প্রবন্ধ জমা পড়ে। এগুলোর মধ্যে ১১৮টি প্রবন্ধ উপস্থাপনার জন্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত সেরা গবেষণা প্রবন্ধগুলো আইইইই এক্সপ্লোর ও স্কোপাস ইনডেক্সড জার্নালে প্রকাশিত হবে।

একটি সফল আন্দোলনের পর সবার চাওয়া থাকে, দেশ যেন সুন্দরভাবে এগিয়ে যায়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এর সমন্বয়কেরা।
১৮ আগস্ট ২০২৪
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
১৪ মিনিট আগে
ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে।
১ ঘণ্টা আগে
১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে (আইআরও) বাংলাদেশ দল অংশ নিচ্ছে। ১০ সদস্যের এই দল ১৪ ডিসেম্বর দেশ থেকে রওনা হবে। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এই দলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
২ ঘণ্টা আগে