Ajker Patrika

প্লাস্টিকের বিনিময়ে গাছের চারা

জুবাইয়া বিন্তে কবির
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক ব্যতিক্রমী পরিবেশবান্ধব কর্মসূচি ‘গো গ্রিন: প্লানেট ভার্সেস প্লাস্টিক’। ছবি: সংগৃহীত
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক ব্যতিক্রমী পরিবেশবান্ধব কর্মসূচি ‘গো গ্রিন: প্লানেট ভার্সেস প্লাস্টিক’। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) টিএসসির সামনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো এক ব্যতিক্রমী পরিবেশবান্ধব কর্মসূচি ‘গো গ্রিন: প্লানেট ভার্সেস প্লাস্টিক’। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (এসইই)-এর উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচির মূল আকর্ষণ ছিল ‘প্লাস্টিকের বিনিময়ে গাছের চারা বিতরণ’।

কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম হেমায়েত জাহান এবং পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মহসিন হোসাইন খান।

উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামীর সমাজ নির্মাতা। পরিবেশ রক্ষায় তাঁদের এমন সৃজনশীল ও মানবিক উদ্যোগ সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। প্লাস্টিকদূষণ আজ বিশ্বব্যাপী এক মহাসংকট। যত্রতত্র ব্যবহারে মাইক্রোপ্লাস্টিক ছড়িয়ে পড়ছে; যা মাছ, পশুপাখি এমনকি মানুষের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে এবং ক্যানসারসহ নানা জটিল রোগের জন্ম দিচ্ছে।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘এই কর্মসূচি শুধু একটি ইভেন্ট নয়, বরং একটি বার্তা—সবুজ পৃথিবী গঠনে এক নতুন ভাবনার সূচনা। এই উদ্যোগ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও অনুসরণীয় হয়ে উঠবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

আয়োজনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ছিল ব্যাপক উৎসাহ। পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখতে তাঁরা পরিত্যক্ত প্লাস্টিক বোতল, প্যাকেট ও অন্যান্য সামগ্রী স্টলে জমা দেন এবং এর বিনিময়ে হাতে তুলে নেন ফুল ও ফলের চারা। এ ছাড়া আয়োজনকে প্রাণবন্ত করে তুলতে স্টলে ছিল গেমস কর্নার ও জুস কর্নার। গেমসে অংশগ্রহণকারী ও বিজয়ীদের মাঝেও বিতরণ করা হয় বিভিন্ন গাছের চারা।

এই উদ্যোগের ফাউন্ডার আফিয়া তাহমিন জাহিন এবং কো-ফাউন্ডার মো. ফারদিন হাসান। তাঁদের নেতৃত্বে এসইইর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে কর্মসূচির পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেন। আয়োজকেরা মনে করেন, এই ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এক আনন্দদায়ক ও শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা হয়ে উঠেছে।

এসইই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও এ ধরনের কর্মসূচি পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত