তাহমিদ হাসান
ঢাকার কোলাহল পেরিয়ে প্রকৃতির এক অপরূপ লীলাভূমি, সাভারের গণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ব্যস্ত শহর থেকে একটু দূরে গাছপালা, জলাশয়, সবুজে ঘেরা এই স্থানে শীত এলেই নেমে আসে এক স্বপ্নিল আবহ। চারপাশ মেতে ওঠে প্রকৃতির নির্মল সুরে, আর তার সঙ্গী হয় হাজারো অতিথি পাখির কলকাকলি।
শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে যখন হিমেল বাতাস বয়ে যায়, তখন গণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জলাশয় আর আশপাশের প্রান্তর যেন রঙিন পালকের মেলায় পরিণত হয়। সুদূর সাইবেরিয়া, লাদাখ কিংবা হিমালয়ের বরফে ঢাকা প্রান্তর পেরিয়ে আসা এই পরিযায়ী পাখিদের কলতানে মুখর হয়ে ওঠে সকাল। জলাশয়ের স্থির জলে প্রতিফলিত হয় তাদের রঙিন ডানা, আর বাতাস বয়ে আনে তাদের ডানার ঝাপটায় সৃষ্টি হওয়া সুর।
পরিযায়ীদের মিলনমেলা
বর্ষার শেষ দিক থেকে এই অঞ্চলে অতিথি পাখিদের আনাগোনা শুরু হলেও শীতের শুরুতেই তা চূড়ান্ত রূপ নেয়। বিভিন্ন জাতের হাঁস, বক, চখাচখি, জলপিপি, বালিহাঁসসহ অজানা অনেক প্রজাতির পাখি এই সময়ে গণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জলাশয় ও আশপাশের এলাকায় দল বেঁধে বিচরণ করে। সকালে দল বেঁধে ছোট জলাশয়গুলোতে খাবারের খোঁজে নামে তারা, আর সন্ধ্যায় আশ্রয় নেয় আশপাশের বাঁশঝাড় কিংবা উঁচু গাছের ডালে।
গণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মচারীরা জানান, পাখিদের কোলাহলেই তাঁদের সকাল শুরু হয়। হাঁসজাতীয় পাখির দল সারা দিন জলাশয়ে কাটালেও অন্যান্য প্রজাতির পাখিরা নির্দিষ্ট সময়ে দলবদ্ধভাবে বিচরণ করে। তবে জলাশয়ের অপরিকল্পিত ব্যবহার এবং সংরক্ষণের অভাবে এসব পাখি আবাস-সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
প্রকৃতি আর পাখির সহাবস্থান
গণবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসাইবা ইসলাম বলেন, ‘শীতকালে অতিথি পাখিরা আমাদের ক্যাম্পাস ও আশপাশের পরিবেশের সৌন্দর্য কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। তাদের উপস্থিতিতে প্রকৃতি যেন আরও জীবন্ত হয়ে ওঠে। কিন্তু যখন শীত শেষে তারা ফিরে যায়, তখন এই জলাশয়গুলো যেন শূন্যতায় ডুবে যায়।’
পরিবেশবিজ্ঞানী অধ্যাপক মেসবাহ্-উস-সালেহীন এ প্রসঙ্গে বলেন, একসময় লাখ লাখ পরিযায়ী পাখি বাংলাদেশে আসত, কিন্তু অপরিকল্পিত নগরায়ণ এবং পরিবেশগত অবহেলার কারণে তাদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। জলাশয় ও প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের মাধ্যমে এদের আবাসস্থল রক্ষা করা না গেলে ভবিষ্যতে এই সৌন্দর্য কেবল স্মৃতির পাতায় সীমাবদ্ধ থাকবে।
পরিযায়ী পাখিদের আগমন ও প্রস্থান
শীতপ্রধান অঞ্চলে যখন বরফে ঢাকা পড়ে খাদ্যভান্ডার, তখন বেঁচে থাকার তাগিদে এ দেশের উষ্ণ পরিবেশে আশ্রয় নেয় পরিযায়ী পাখিরা। জলাশয়ের পানি কমতে শুরু করলে তাদের জন্য সহজলভ্য হয়ে ওঠে ছোট মাছ, শামুক, ঝিনুকসহ অন্যান্য জলজ উদ্ভিদ। এভাবেই কয়েক মাস ধরে চলে তাদের নীরব সহাবস্থান। তবে মার্চের শেষ দিকে তারা আবার ফিরে যায় আপন গন্তব্যে, রেখে যায় অপূর্ব স্মৃতি ও প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার এক মুগ্ধ আবেশ।
সংরক্ষণ প্রয়োজন, সচেতনতা অপরিহার্য
অতিথি পাখিদের আগমন প্রকৃতির ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু আধুনিক উন্নয়ন, জলাশয় ভরাট, দূষণ ও শিকারিদের কারণে এই প্রাণবৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে। তাই টেকসই পরিকল্পনা, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। শুধু প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের ভালোবাসা নয়, প্রয়োজন প্রশাসনিক উদ্যোগও।
গণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মতো জায়গাগুলোতে যদি উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা যায়, তবে ভবিষ্যতেও এই পাখিদের আগমন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। আর প্রকৃতি ও প্রাণিকুলের এই সহাবস্থান টিকিয়ে রাখাই হতে পারে আমাদের দায়িত্ব ও ভালোবাসার প্রকৃত প্রকাশ।
ঢাকার কোলাহল পেরিয়ে প্রকৃতির এক অপরূপ লীলাভূমি, সাভারের গণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ব্যস্ত শহর থেকে একটু দূরে গাছপালা, জলাশয়, সবুজে ঘেরা এই স্থানে শীত এলেই নেমে আসে এক স্বপ্নিল আবহ। চারপাশ মেতে ওঠে প্রকৃতির নির্মল সুরে, আর তার সঙ্গী হয় হাজারো অতিথি পাখির কলকাকলি।
শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে যখন হিমেল বাতাস বয়ে যায়, তখন গণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জলাশয় আর আশপাশের প্রান্তর যেন রঙিন পালকের মেলায় পরিণত হয়। সুদূর সাইবেরিয়া, লাদাখ কিংবা হিমালয়ের বরফে ঢাকা প্রান্তর পেরিয়ে আসা এই পরিযায়ী পাখিদের কলতানে মুখর হয়ে ওঠে সকাল। জলাশয়ের স্থির জলে প্রতিফলিত হয় তাদের রঙিন ডানা, আর বাতাস বয়ে আনে তাদের ডানার ঝাপটায় সৃষ্টি হওয়া সুর।
পরিযায়ীদের মিলনমেলা
বর্ষার শেষ দিক থেকে এই অঞ্চলে অতিথি পাখিদের আনাগোনা শুরু হলেও শীতের শুরুতেই তা চূড়ান্ত রূপ নেয়। বিভিন্ন জাতের হাঁস, বক, চখাচখি, জলপিপি, বালিহাঁসসহ অজানা অনেক প্রজাতির পাখি এই সময়ে গণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জলাশয় ও আশপাশের এলাকায় দল বেঁধে বিচরণ করে। সকালে দল বেঁধে ছোট জলাশয়গুলোতে খাবারের খোঁজে নামে তারা, আর সন্ধ্যায় আশ্রয় নেয় আশপাশের বাঁশঝাড় কিংবা উঁচু গাছের ডালে।
গণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মচারীরা জানান, পাখিদের কোলাহলেই তাঁদের সকাল শুরু হয়। হাঁসজাতীয় পাখির দল সারা দিন জলাশয়ে কাটালেও অন্যান্য প্রজাতির পাখিরা নির্দিষ্ট সময়ে দলবদ্ধভাবে বিচরণ করে। তবে জলাশয়ের অপরিকল্পিত ব্যবহার এবং সংরক্ষণের অভাবে এসব পাখি আবাস-সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
প্রকৃতি আর পাখির সহাবস্থান
গণবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসাইবা ইসলাম বলেন, ‘শীতকালে অতিথি পাখিরা আমাদের ক্যাম্পাস ও আশপাশের পরিবেশের সৌন্দর্য কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। তাদের উপস্থিতিতে প্রকৃতি যেন আরও জীবন্ত হয়ে ওঠে। কিন্তু যখন শীত শেষে তারা ফিরে যায়, তখন এই জলাশয়গুলো যেন শূন্যতায় ডুবে যায়।’
পরিবেশবিজ্ঞানী অধ্যাপক মেসবাহ্-উস-সালেহীন এ প্রসঙ্গে বলেন, একসময় লাখ লাখ পরিযায়ী পাখি বাংলাদেশে আসত, কিন্তু অপরিকল্পিত নগরায়ণ এবং পরিবেশগত অবহেলার কারণে তাদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। জলাশয় ও প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের মাধ্যমে এদের আবাসস্থল রক্ষা করা না গেলে ভবিষ্যতে এই সৌন্দর্য কেবল স্মৃতির পাতায় সীমাবদ্ধ থাকবে।
পরিযায়ী পাখিদের আগমন ও প্রস্থান
শীতপ্রধান অঞ্চলে যখন বরফে ঢাকা পড়ে খাদ্যভান্ডার, তখন বেঁচে থাকার তাগিদে এ দেশের উষ্ণ পরিবেশে আশ্রয় নেয় পরিযায়ী পাখিরা। জলাশয়ের পানি কমতে শুরু করলে তাদের জন্য সহজলভ্য হয়ে ওঠে ছোট মাছ, শামুক, ঝিনুকসহ অন্যান্য জলজ উদ্ভিদ। এভাবেই কয়েক মাস ধরে চলে তাদের নীরব সহাবস্থান। তবে মার্চের শেষ দিকে তারা আবার ফিরে যায় আপন গন্তব্যে, রেখে যায় অপূর্ব স্মৃতি ও প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার এক মুগ্ধ আবেশ।
সংরক্ষণ প্রয়োজন, সচেতনতা অপরিহার্য
অতিথি পাখিদের আগমন প্রকৃতির ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু আধুনিক উন্নয়ন, জলাশয় ভরাট, দূষণ ও শিকারিদের কারণে এই প্রাণবৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে। তাই টেকসই পরিকল্পনা, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। শুধু প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের ভালোবাসা নয়, প্রয়োজন প্রশাসনিক উদ্যোগও।
গণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মতো জায়গাগুলোতে যদি উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা যায়, তবে ভবিষ্যতেও এই পাখিদের আগমন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। আর প্রকৃতি ও প্রাণিকুলের এই সহাবস্থান টিকিয়ে রাখাই হতে পারে আমাদের দায়িত্ব ও ভালোবাসার প্রকৃত প্রকাশ।
২৬ জুন এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। পরীক্ষা নিয়ে কোনো ভয়ভীতি বা সংশয় থাকার কারণ নেই। কিছু নিয়মকানুন অনুসরণ করলে দেখবে, বাংলা পরীক্ষাই তোমার সবচেয়ে ভালো হয়েছে। তোমরা এর আগেও সৃজনশীল পদ্ধতিতে দুটি পাবলিক পরীক্ষায় (জেএসসি ও এসএসসি) অংশ নিয়েছ; তাই বলা যায়, এ বিষয়ে তোমরা অনেকটাই অবগত।
১ দিন আগেসৃজনশীল প্রশ্ন: ক ও খ বিভাগে সর্বমোট ১১টি প্রশ্ন থাকবে। ক বিভাগ থেকে ২টি প্রশ্নের (আর্থিক বিবরণী) উত্তর দিতে হবে। খ বিভাগের ৯টি প্রশ্ন থেকে যেকোনো ৫টির উত্তর দিতে হবে। পরীক্ষার হলে উত্তর লেখার ক্ষেত্রে যেসব কৌশল অবলম্বন করতে হয়...
১ দিন আগেদক্ষিণ কোরিয়ায় জিআইএসটি আন্তর্জাতিক বৃত্তি ২০২৫-২৬-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির আওতায় দেশটির গোয়াংজু ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেবাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) রেজিস্ট্রার ও কৃষিগুচ্ছের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব ড. মো. হেলাল উদ্দীনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পঞ্চম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নির্বাচিত প্রার্থীদের অনলাইনে ভর্তি ফির প্রথম অংশ ১০ হাজার টাকা (অফেরতযোগ্য) জমা দিয়ে ভর্তি হওয়ার আগ্রহ নিশ্চিত করতে ভর্তির..
২ দিন আগে