মো. আশিকুর রহমান
মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তোলা, শিক্ষার্থীদের সামাজিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা এবং টেকসই উন্নয়নের পথে শিক্ষা খাত আরও এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী একত্র হন। তাঁরা গঠন করেন রাজশাহী ইউনিভার্সিটি এডুকেশন ক্লাব। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য ছিল পাঠ্যবইয়ের জ্ঞানকে শ্রেণিকক্ষের বাইরে নিয়ে যাওয়া; পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের গবেষণা, উদ্ভাবন এবং সামাজিক প্রয়োগের সঙ্গে যুক্ত করা।
ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ফুয়াদ পাবলো বলেন, ‘আমাদের ভাবনা ছিল একটি এমন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, যেখানে শিক্ষার্থীরা শুধু বইয়ের জ্ঞানেই সীমাবদ্ধ না থেকে গবেষণা ও সমাজ উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখতে পারবেন। শুরু থেকে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং নতুন কিছু করার আগ্রহ আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। এডুকেশন ক্লাব শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সামাজিক পরিবর্তনেও কার্যকর ভূমিকা রাখছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম অর্জন আমাদের জন্য অত্যন্ত অনুপ্রেরণাদায়ক।’
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই ক্লাবের কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগ এবং অংশগ্রহণ ক্লাবের মূল অনুপ্রেরণা। এটি শিক্ষার্থীদের গবেষণার প্রতি আগ্রহী করে তোলে। এ ছাড়া সামাজিক পরিবর্তনের আলোচনায় যুক্ত হতে শিক্ষার্থীদের সব সময় উৎসাহিত করে।
এই ক্লাবের প্রধান লক্ষ্য হলো মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তোলা, শিক্ষার্থীদের সামাজিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা এবং টেকসই উন্নয়নের পথে শিক্ষা খাতকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ও জ্ঞানচর্চায় তরুণদের সম্পৃক্ত করাও ক্লাবের অঙ্গীকার।
ক্লাবের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা; গবেষণা প্রশিক্ষণ (প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী প্রশিক্ষিত); বিদেশে উচ্চশিক্ষা গাইডলাইন ও মেন্টরশিপ (প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী উপকৃত); মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা ক্যাম্পেইন (প্রায় ১ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ) এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তি।
বর্তমানে ক্লাবের প্রায় ২৫০ সক্রিয় সদস্য কাজ করছেন। এটি জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর কর্তৃক ‘গ’ শ্রেণির বিজ্ঞান ক্লাব হিসেবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০২৫ সালে ক্লাব আয়োজন করে আরইউইসি প্রথম আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলন। এতে ১ হাজার ২০০ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অংশ নেন। এ ছাড়া পাঁচ দেশের ১০ জন বিদেশি ডেলিগেট যোগ দেন। ১ হাজার ৬০০ অ্যাবস্ট্রাক্টের মধ্যে ৩৮০ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। সম্মেলনের সায়েন্টিফিক কমিটিতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬৩ জন শিক্ষক কাজ করেছেন। আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলনটি দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
ক্লাবের সভাপতি রায়হানা মালিক সেঁজুতি বলেন, ‘ক্লাব শুরু থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও উদ্ভাবনী চিন্তার একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে; বিশেষ করে তরুণদের গবেষণার প্রতি আগ্রহী করে তোলা এবং সামাজিক পরিবর্তনের আলোচনায় যুক্ত করা আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন। আমি বিশ্বাস করি, এডুকেশন ক্লাব ভবিষ্যতেও দেশের শিক্ষা ও গবেষণায় ইতিবাচক প্রভাব রাখবে।’
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
* প্রতিবছর আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলনের আয়োজন
* আরও গবেষণা প্রশিক্ষণ ও সেমিনার
* আন্তর্জাতিক সহযোগিতামূলক কার্যক্রম
* স্থানীয় ও বৈশ্বিক গবেষণার মধ্যে সেতুবন্ধ
* শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আগ্রহী করা এবং দক্ষতা বাড়িয়ে তোলা
রাজশাহী ইউনিভার্সিটি এডুকেশন ক্লাব একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদ্ভাবনী গবেষণা সংস্কৃতি গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। এটি দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের শিক্ষা ও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তোলা, শিক্ষার্থীদের সামাজিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা এবং টেকসই উন্নয়নের পথে শিক্ষা খাত আরও এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী একত্র হন। তাঁরা গঠন করেন রাজশাহী ইউনিভার্সিটি এডুকেশন ক্লাব। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য ছিল পাঠ্যবইয়ের জ্ঞানকে শ্রেণিকক্ষের বাইরে নিয়ে যাওয়া; পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের গবেষণা, উদ্ভাবন এবং সামাজিক প্রয়োগের সঙ্গে যুক্ত করা।
ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ফুয়াদ পাবলো বলেন, ‘আমাদের ভাবনা ছিল একটি এমন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, যেখানে শিক্ষার্থীরা শুধু বইয়ের জ্ঞানেই সীমাবদ্ধ না থেকে গবেষণা ও সমাজ উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখতে পারবেন। শুরু থেকে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং নতুন কিছু করার আগ্রহ আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। এডুকেশন ক্লাব শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সামাজিক পরিবর্তনেও কার্যকর ভূমিকা রাখছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম অর্জন আমাদের জন্য অত্যন্ত অনুপ্রেরণাদায়ক।’
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই ক্লাবের কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগ এবং অংশগ্রহণ ক্লাবের মূল অনুপ্রেরণা। এটি শিক্ষার্থীদের গবেষণার প্রতি আগ্রহী করে তোলে। এ ছাড়া সামাজিক পরিবর্তনের আলোচনায় যুক্ত হতে শিক্ষার্থীদের সব সময় উৎসাহিত করে।
এই ক্লাবের প্রধান লক্ষ্য হলো মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তোলা, শিক্ষার্থীদের সামাজিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা এবং টেকসই উন্নয়নের পথে শিক্ষা খাতকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ও জ্ঞানচর্চায় তরুণদের সম্পৃক্ত করাও ক্লাবের অঙ্গীকার।
ক্লাবের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা; গবেষণা প্রশিক্ষণ (প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী প্রশিক্ষিত); বিদেশে উচ্চশিক্ষা গাইডলাইন ও মেন্টরশিপ (প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী উপকৃত); মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা ক্যাম্পেইন (প্রায় ১ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ) এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তি।
বর্তমানে ক্লাবের প্রায় ২৫০ সক্রিয় সদস্য কাজ করছেন। এটি জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর কর্তৃক ‘গ’ শ্রেণির বিজ্ঞান ক্লাব হিসেবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০২৫ সালে ক্লাব আয়োজন করে আরইউইসি প্রথম আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলন। এতে ১ হাজার ২০০ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অংশ নেন। এ ছাড়া পাঁচ দেশের ১০ জন বিদেশি ডেলিগেট যোগ দেন। ১ হাজার ৬০০ অ্যাবস্ট্রাক্টের মধ্যে ৩৮০ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। সম্মেলনের সায়েন্টিফিক কমিটিতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬৩ জন শিক্ষক কাজ করেছেন। আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলনটি দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
ক্লাবের সভাপতি রায়হানা মালিক সেঁজুতি বলেন, ‘ক্লাব শুরু থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও উদ্ভাবনী চিন্তার একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে; বিশেষ করে তরুণদের গবেষণার প্রতি আগ্রহী করে তোলা এবং সামাজিক পরিবর্তনের আলোচনায় যুক্ত করা আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন। আমি বিশ্বাস করি, এডুকেশন ক্লাব ভবিষ্যতেও দেশের শিক্ষা ও গবেষণায় ইতিবাচক প্রভাব রাখবে।’
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
* প্রতিবছর আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলনের আয়োজন
* আরও গবেষণা প্রশিক্ষণ ও সেমিনার
* আন্তর্জাতিক সহযোগিতামূলক কার্যক্রম
* স্থানীয় ও বৈশ্বিক গবেষণার মধ্যে সেতুবন্ধ
* শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আগ্রহী করা এবং দক্ষতা বাড়িয়ে তোলা
রাজশাহী ইউনিভার্সিটি এডুকেশন ক্লাব একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদ্ভাবনী গবেষণা সংস্কৃতি গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। এটি দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের শিক্ষা ও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের (সরকারি কলেজ-১) উপসচিব তানিয়া ফেরদৌস স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
৬ ঘণ্টা আগেসরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ব্যাচেলর অব মেডিসিন ও ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়।
৮ ঘণ্টা আগেবেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা বাড়ানোর জন্য ফের অর্থ মন্ত্রণালয়ে একাধিক প্রস্তাব পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা খালিদ মাহমুদ এ তথ্য জানান।
৮ ঘণ্টা আগেশিক্ষকেরা প্রতিনিয়ত বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। বিভিন্ন সময়ের সরকার নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিলেও কেউই তা পূরণ করেনি। এখনো একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগে