Ajker Patrika

পদ্ধতি বদলে জাকসুতে বিপর্যয়, ডাকসুতে দেরি দুই পদ্ধতিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোট মেশিনে গণনা করেও ফল ঘোষণা করা হয় পরদিন সকালে। যদিও আগে বলা হয়েছিল, ভোটের দিবাগত রাতেই মিলবে ফল। অন্যদিকে আপত্তির মুখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ভোটের দিন ফল গণনার পদ্ধতি বদল করে চরম বিপাকে পড়েছে নির্বাচন কমিশন।

দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত থাকা শিক্ষকেরা বলেছেন, ভোটের পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে আগে থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা না থাকায় অনেকেই যথাযথভাবে কাজ করতে পারেননি। এ ছাড়া দীর্ঘ ৩৩ বছর পর ছাত্র সংসদের ভোট হওয়ায় বেশির ভাগেরই এ বিষয়ে আগের কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, নির্বাচনের ফলাফল দ্রুত জানতে ওএমআর বা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা যেতে পারে। ওএমআর মেশিন ভোটপত্র স্ক্যান করে মিনিটের মধ্যে ফলাফল তৈরি করে, আর ইভিএমে ভোট সরাসরি সার্ভারে আপলোড হয়। এ ছাড়া ম্যানুয়ালি গণনার ক্ষেত্রে ব্যালট স্ক্যান করে সফটওয়্যারের মাধ্যমে গুনলে এবং একাধিক কেন্দ্রে সমান্তরালভাবে গণনা করলে সময় বাঁচানো সম্ভব। প্রযুক্তি ব্যবহার করলে ফলাফল দ্রুত ও স্বচ্ছ হবে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ভোট নিয়ে আস্থা বাড়বে।

৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে বিকেল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়। ওই দিন রাত ২টার দিকে ফলাফল ঘোষণা শুরু করে নির্বাচন কমিশন। পরদিন সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। অন্যদিকে জাকসুর ২১টি হল সংসদের ভোট গুনতেই ২১ ঘণ্টা লেগেছে। বৃহস্পতিবার ভোট হলেও হল সংসদের ভোট গণনার পর মাত্র গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে শুরু হয় জাকসুর ভোট গণনা।

ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ব্যালটের পাঁচ পাতা আলাদা করতে সময় লাগায় ফল গণনায় দেরি হয়েছে। পাঁচটা পাতাকে মেশিনে দেওয়ার জন্য প্রথমে আলাদা করতে হয়েছে। ডাকসুর এক রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, অতিরিক্ত খালি ব্যালট সিলগালা করা ও ভোটপত্র সাজানোর কাজেও অনেক সময় লেগেছে।

হাতে গণনার সিদ্ধান্ত হওয়ার পর হল সংসদের ভোট সিনেটে না নিয়ে হলের মধ্যে গুনলেই কম সময় লাগত। অধ্যাপক সুলতানা আক্তার, রিটার্নিং কর্মকর্তা, ফয়েজুন্নেসা হল, জাবি

অন্যদিকে জাকসুতে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা হওয়ায় শুরু থেকেই গতি ধীর ছিল। পরে ভোট গণনার টেবিল বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন।

হাতে গণনার সিদ্ধান্ত হওয়ার পর হল সংসদের ভোট সিনেটে না নিয়ে হলের মধ্যে গুনলেই কম সময় লাগত বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব ফয়েজুন্নেসা হলের রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সুলতানা আক্তার।

জাকসুর ভোট গণনায় এত সময় লাগার কারণ হিসেবে পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন করা মুন্না মিয়া বলেন, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে একটা বড় হলের ভোট গুনতেই ৪-৫ ঘণ্টা লেগেছে। একটানা ভোট গণনা করে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৃধা মো. শিবলী নোমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডাকসুতে ম্যানুয়াল ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি একসঙ্গে ব্যবহার করা এবং ভোটারের সংখ্যা বেশি হওয়ায় ফল প্রকাশে অনেক সময় লেগেছে। জাকসুতে আগের সিদ্ধান্ত মতো শুধু স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে গণনা করা হলে ভোট শেষের আড়াই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে ফল প্রকাশ করা যেত। হাতে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত হওয়ার পরপর আরও বেশি জনবল গণনার কাজে লাগালে এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের যুক্ত করলে আরও আগে ফল ঘোষণা করা যেত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‎ডিভোর্সের পরও জোর করে রাতযাপন, বর্তমান স্বামীকে নিয়ে প্রাক্তন স্বামীকে হত্যা ‎

৯ পুলিশ পরিদর্শক বাধ্যতামূলক অবসরে

গণবিক্ষোভ আতঙ্কে মোদি সরকার, ১৯৭৪-পরবর্তী সব আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের ‘সন্ত্রাসী খেল’ ফাঁস করে দিলেন জঙ্গিগোষ্ঠী জইশের সদস্য

বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে আসিফ নজরুলের পুরোনো ফেসবুক পোস্ট নতুন করে ভাইরাল করলেন হাসনাত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত