তামিরুল মিল্লাতে পড়াশোনা করেছেন সাদ আল আমিন। মাদ্রাসায় পড়ুয়া এই শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা নিতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা নক্স কলেজে ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে। প্রায় ৩ কোটি টাকার বৃত্তি পেয়েছেন তিনি। তাঁর এই পথচলার পেছনে রয়েছে সৃজনশীলতা, সমাজসচেতনতা ও অদম্য স্বপ্ন। বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. আশিকুর রহমান।
মো. আশিকুর রহমান
আপনার শৈশব ও শিক্ষাজীবন সম্পর্কে সংক্ষেপে বলুন। কখন থেকে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন?
আমার জন্ম শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে, বড় হয়েছি ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে। ছোটবেলায় মা-বাবার স্বপ্ন ছিল আমি হাফেজ হব। সেই উদ্দেশ্যে কোরআনের নাজেরা শুরু করি, কিন্তু পরে শিক্ষার মূলধারায় যুক্ত হই। ভর্তি হই তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার যাত্রাবাড়ী শাখায়। অনেক চুপচাপ স্বভাবের ছিলাম, কিন্তু ভেতরে স্বপ্ন বুনে যেতাম চুপিচুপি। ডিজাইনিং ও ফিল্মমেকিংয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মায় খুব অল্প বয়সেই। ইউটিউবে ভিডিও দেখে শেখা, মায়ের ছোট ফোনে নিজেই ফিল্ম বানানো—সেখান থেকেই শুরু। উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন তখন থেকেই, তবে তখন এটা শুধু ‘ভালো কিছু করব’ এই চিন্তায় ছিল, পরবর্তী সময়ে সেটা রূপ নেয় ‘বিশ্বদরবারে নিজের জায়গা তৈরি করার’ সংকল্পে।
মাদ্রাসাশিক্ষায় পড়াশোনা করার সময় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল এবং আপনি তা কীভাবে অতিক্রম করেছেন?
মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হিসেবে মূল চ্যালেঞ্জ ছিল প্রচলিত ধ্যানধারণা, যেখানে আমাদের অনেকে শুধু হুজুর বা শিক্ষক হবেন, এমনটাই ভাবা হয়। কিন্তু আমি চেয়েছি ভিন্ন কিছু করতে—ফিল্ম, সংগীত, ডিজাইন—এসব ‘আনএকাডেমিক’ স্বপ্নগুলো নিয়ে কাজ করতে গিয়ে অনেকবার কটূক্তি, উপহাস শুনেছি।
এসব কথা গায়ে না মেখে নিজের কাজের প্রতি বিশ্বাস রেখে সামনে এগিয়ে গেছি। বাস্তবতা হলো, মাদ্রাসা থেকেও যে কেউ সৃজনশীলতা ও দক্ষতার মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে উঠে আসতে পারে—আমি সেটার প্রমাণ দিতে চেয়েছি।
নক্স কলেজে ৩ কোটি টাকার সমমূল্যের বৃত্তি পাওয়ার প্রক্রিয়াটা কেমন ছিল? কীভাবে আপনি নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন?
প্রক্রিয়াটা দীর্ঘ ও চ্যালেঞ্জিং হলেও শিক্ষণীয়। প্রথমেই নিজেকে বুঝতে শিখেছি—আমি কে, কী করতে চাই, আর কেন? এরপর ধাপে ধাপে তৈরি করেছি নিজের স্টোরি, পোর্টফোলিও, প্রজেক্টস, স্কলারশিপ এসেস, ভিডিও কভারেজ ও সামাজিক কাজের ডকুমেন্টেশন। বিশেষ করে ‘মুক্তির ঘণ্টা’, ‘কাসীদা ব্যান্ড’ আর আন্দোলনের সময়ের ভিডিও কাভারেজ—এসব আমার প্রোফাইলকে আলাদা করে তুলে ধরেছে। এ ছাড়া ওবারলিন কলেজের শাহরিয়ার আবরার হিমেল ভাইয়া অনেক গাইডলাইন দিয়েছেন পুরো প্রক্রিয়ায়।
আপনার সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা বা শক্তি কী ছিল?
মা-বাবা, আমার টিম। আমার ভেতরের শক্তিটাই আমার বড় অনুপ্রেরণা।
মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা কী? এটি আপনাকে কোন ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে বলে মনে হয়?
মাদ্রাসা আমাকে আত্মশৃঙ্খলা শিখিয়েছে। কোরআনের প্রতি ভালোবাসা, ভাষা ও বাক্শক্তি, দায়িত্ববোধ—এসবই আমি পেয়েছি এই শিক্ষাব্যবস্থা থেকে। মাদ্রাসার ভেতর থেকেও সৃজনশীল পথ খুঁজে নেওয়া সম্ভব—আমি নিজেকে তার উদাহরণ হিসেবে দেখি।
আপনার মতে, মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার সুযোগ বাড়াতে কী ধরনের উদ্যোগ দরকার?
প্রথমেই দরকার মানসিক সীমাবদ্ধতা ভাঙা। ছাত্রদের জানাতে হবে তাদেরও হার্ভার্ড, অক্সফোর্ড, নক্সের মতো প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার অধিকার আছে। দরকার রিসোর্স, গাইডলাইন, ইংরেজি দক্ষতা, প্রোফাইল বিল্ডিং ও মেন্টরশিপ। মাদ্রাসাগুলোকেও উচিত শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশে ক্লাব, ডিজাইন ও স্কিলভিত্তিক কার্যক্রম চালু করা।
আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? উচ্চশিক্ষা শেষে দেশের জন্য কী করতে চান?
বাংলাদেশে ফিরে একটি ‘কনটেক্সচুয়াল লার্নিং কমপ্লেক্স’ প্রতিষ্ঠা করতে—যেখানে ধর্ম, সংস্কৃতি, প্রযুক্তি ও সৃজনশীলতা একসঙ্গে শেখার সুযোগ পাবে তরুণেরা। বিশেষ করে বাংলাদেশের গ্রামীণ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা যেন নিজের স্বপ্ন নিয়ে এগোতে পারে, ভয় না পায়—সেই জন্য কাজ করতে চাই মিডিয়া, শিক্ষা ও সচেতনতায়। আমার আরেকটি বড় স্বপ্ন—একদিন অস্কার জয় করা, কিন্তু সেটা শুধু ব্যক্তিগত গৌরবের জন্য নয় বরং বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি, লোককাহিনি ও কাওয়ালি ধারাকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার জন্য। আমি চাই, আমাদের হারিয়ে যেতে বসা সংস্কৃতি যেন নতুন প্রজন্মের কাছে আবার বেঁচে ফিরে আসে, গানে, গল্পে, সিনেমায়।
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের, বিশেষ করে মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আপনার বার্তা কী?
স্বপ্ন দেখুন আকাশ ছোঁয়ার। কেউ আপনাকে ছোট ভাবলেও আপনি নিজেকে ছোট ভাববেন না। মাদ্রাসা থেকে হয়তো আপনার শুরু, কিন্তু শেষ হতে পারে দুনিয়ার যেকোনো প্রান্তে। নিজের গল্প লিখুন—হোক সেটা কুঁড়েঘর থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত।
আপনার শৈশব ও শিক্ষাজীবন সম্পর্কে সংক্ষেপে বলুন। কখন থেকে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন?
আমার জন্ম শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে, বড় হয়েছি ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে। ছোটবেলায় মা-বাবার স্বপ্ন ছিল আমি হাফেজ হব। সেই উদ্দেশ্যে কোরআনের নাজেরা শুরু করি, কিন্তু পরে শিক্ষার মূলধারায় যুক্ত হই। ভর্তি হই তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার যাত্রাবাড়ী শাখায়। অনেক চুপচাপ স্বভাবের ছিলাম, কিন্তু ভেতরে স্বপ্ন বুনে যেতাম চুপিচুপি। ডিজাইনিং ও ফিল্মমেকিংয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মায় খুব অল্প বয়সেই। ইউটিউবে ভিডিও দেখে শেখা, মায়ের ছোট ফোনে নিজেই ফিল্ম বানানো—সেখান থেকেই শুরু। উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন তখন থেকেই, তবে তখন এটা শুধু ‘ভালো কিছু করব’ এই চিন্তায় ছিল, পরবর্তী সময়ে সেটা রূপ নেয় ‘বিশ্বদরবারে নিজের জায়গা তৈরি করার’ সংকল্পে।
মাদ্রাসাশিক্ষায় পড়াশোনা করার সময় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল এবং আপনি তা কীভাবে অতিক্রম করেছেন?
মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হিসেবে মূল চ্যালেঞ্জ ছিল প্রচলিত ধ্যানধারণা, যেখানে আমাদের অনেকে শুধু হুজুর বা শিক্ষক হবেন, এমনটাই ভাবা হয়। কিন্তু আমি চেয়েছি ভিন্ন কিছু করতে—ফিল্ম, সংগীত, ডিজাইন—এসব ‘আনএকাডেমিক’ স্বপ্নগুলো নিয়ে কাজ করতে গিয়ে অনেকবার কটূক্তি, উপহাস শুনেছি।
এসব কথা গায়ে না মেখে নিজের কাজের প্রতি বিশ্বাস রেখে সামনে এগিয়ে গেছি। বাস্তবতা হলো, মাদ্রাসা থেকেও যে কেউ সৃজনশীলতা ও দক্ষতার মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে উঠে আসতে পারে—আমি সেটার প্রমাণ দিতে চেয়েছি।
নক্স কলেজে ৩ কোটি টাকার সমমূল্যের বৃত্তি পাওয়ার প্রক্রিয়াটা কেমন ছিল? কীভাবে আপনি নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন?
প্রক্রিয়াটা দীর্ঘ ও চ্যালেঞ্জিং হলেও শিক্ষণীয়। প্রথমেই নিজেকে বুঝতে শিখেছি—আমি কে, কী করতে চাই, আর কেন? এরপর ধাপে ধাপে তৈরি করেছি নিজের স্টোরি, পোর্টফোলিও, প্রজেক্টস, স্কলারশিপ এসেস, ভিডিও কভারেজ ও সামাজিক কাজের ডকুমেন্টেশন। বিশেষ করে ‘মুক্তির ঘণ্টা’, ‘কাসীদা ব্যান্ড’ আর আন্দোলনের সময়ের ভিডিও কাভারেজ—এসব আমার প্রোফাইলকে আলাদা করে তুলে ধরেছে। এ ছাড়া ওবারলিন কলেজের শাহরিয়ার আবরার হিমেল ভাইয়া অনেক গাইডলাইন দিয়েছেন পুরো প্রক্রিয়ায়।
আপনার সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা বা শক্তি কী ছিল?
মা-বাবা, আমার টিম। আমার ভেতরের শক্তিটাই আমার বড় অনুপ্রেরণা।
মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা কী? এটি আপনাকে কোন ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে বলে মনে হয়?
মাদ্রাসা আমাকে আত্মশৃঙ্খলা শিখিয়েছে। কোরআনের প্রতি ভালোবাসা, ভাষা ও বাক্শক্তি, দায়িত্ববোধ—এসবই আমি পেয়েছি এই শিক্ষাব্যবস্থা থেকে। মাদ্রাসার ভেতর থেকেও সৃজনশীল পথ খুঁজে নেওয়া সম্ভব—আমি নিজেকে তার উদাহরণ হিসেবে দেখি।
আপনার মতে, মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার সুযোগ বাড়াতে কী ধরনের উদ্যোগ দরকার?
প্রথমেই দরকার মানসিক সীমাবদ্ধতা ভাঙা। ছাত্রদের জানাতে হবে তাদেরও হার্ভার্ড, অক্সফোর্ড, নক্সের মতো প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার অধিকার আছে। দরকার রিসোর্স, গাইডলাইন, ইংরেজি দক্ষতা, প্রোফাইল বিল্ডিং ও মেন্টরশিপ। মাদ্রাসাগুলোকেও উচিত শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশে ক্লাব, ডিজাইন ও স্কিলভিত্তিক কার্যক্রম চালু করা।
আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? উচ্চশিক্ষা শেষে দেশের জন্য কী করতে চান?
বাংলাদেশে ফিরে একটি ‘কনটেক্সচুয়াল লার্নিং কমপ্লেক্স’ প্রতিষ্ঠা করতে—যেখানে ধর্ম, সংস্কৃতি, প্রযুক্তি ও সৃজনশীলতা একসঙ্গে শেখার সুযোগ পাবে তরুণেরা। বিশেষ করে বাংলাদেশের গ্রামীণ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা যেন নিজের স্বপ্ন নিয়ে এগোতে পারে, ভয় না পায়—সেই জন্য কাজ করতে চাই মিডিয়া, শিক্ষা ও সচেতনতায়। আমার আরেকটি বড় স্বপ্ন—একদিন অস্কার জয় করা, কিন্তু সেটা শুধু ব্যক্তিগত গৌরবের জন্য নয় বরং বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি, লোককাহিনি ও কাওয়ালি ধারাকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার জন্য। আমি চাই, আমাদের হারিয়ে যেতে বসা সংস্কৃতি যেন নতুন প্রজন্মের কাছে আবার বেঁচে ফিরে আসে, গানে, গল্পে, সিনেমায়।
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের, বিশেষ করে মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আপনার বার্তা কী?
স্বপ্ন দেখুন আকাশ ছোঁয়ার। কেউ আপনাকে ছোট ভাবলেও আপনি নিজেকে ছোট ভাববেন না। মাদ্রাসা থেকে হয়তো আপনার শুরু, কিন্তু শেষ হতে পারে দুনিয়ার যেকোনো প্রান্তে। নিজের গল্প লিখুন—হোক সেটা কুঁড়েঘর থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৩১ মে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১৩ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবের মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি ২০২৫-এর জন্য আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সম্পূর্ণ অর্থায়িত এ বৃত্তির আওতায় আগ্রহী শিক্ষার্থীরা স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন।
১৭ ঘণ্টা আগেএকটা সময় ছিল, যখন ‘পাঠশালা’ শব্দটির মানেই ছিল একটি নির্দিষ্ট স্থানে, নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষকের মুখনিঃসৃত জ্ঞান শ্রবণ করা। সময়ের পরিক্রমায় সেই ধারণা বদলেছে। শুধু বদলানো নয়, ২১০০ শতকের প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে শিক্ষা গ্রহণের সংজ্ঞাই যেন পাল্টে গেছে।
১৭ ঘণ্টা আগেবছরের প্রতিটি দিনই হয়তো মায়ের জন্য, কিন্তু মে মাসের এই বিশেষ দিনে আমরা একটু থেমে যাই, একটু গভীরভাবে ভাবি এই মানুষের কথা, যাঁর ভালোবাসা নিঃশর্ত, যাঁর আত্মত্যাগ সীমাহীন। ১১ মে বিশ্বজুড়ে উদ্যাপিত হচ্ছে মা দিবস—শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় মাকে স্মরণ করার এক অনন্য দিন। আধুনিক জীবনের ব্যস্ততায় হারিয়ে যাওয়া...
১৮ ঘণ্টা আগে