রাহুল শর্মা, ঢাকা

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থায় গত তিন দশকে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। একসময় দেশের উচ্চশিক্ষার প্রধান ভরসা ছিল হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। আসন সংকট, সেশনজট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি কারণে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতেন। এমন প্রেক্ষাপটে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সময়োপযোগী উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে নব্বইয়ের দশকে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়, যা এখন দেশের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন এনেছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন উচ্চশিক্ষার অন্যতম প্রধান শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। শিক্ষার্থীরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা, সেশনজটমুক্ত পরিবেশ, রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকা, সময়োপযোগী বিষয়, উন্নত ল্যাব ও যোগ্য শিক্ষকের সহজপ্রাপ্যতা—সব মিলিয়ে তাঁরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার প্রতি ক্রমেই আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশে (এআইইউবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হওয়া নাসরীন আক্তার বলেন, ‘পাবলিকে সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু পছন্দের বিষয়ে নয়। এখানে ভর্তি হওয়ার পর বুঝেছি, সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছি। নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা হওয়ায় পড়াশোনার গতি ভালো। দ্রুত ডিগ্রি শেষ করতে পারব।’
ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের সাবেক শিক্ষার্থী তানজিলা আহমেদ জানান, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতে চাইলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই সুযোগ ছিল সীমিত। তাই তিনি ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে পড়েছেন।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট জাকিয়া ইসলাম বর্তমানে নিউইয়র্কে কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সেশনজট নিয়ে পরিবারে শঙ্কা
ছিল। তাই ছোটবেলা থেকেই ভাবতাম নর্থ সাউথ, ব্র্যাক বা ইস্ট ওয়েস্টে পড়ব। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার অভিজ্ঞতাই আমাকে বিদেশে আসতে সাহায্য করেছে।’
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ৫০তম বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ১৯৯২ সালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির মাধ্যমে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১৪টি, এর মধ্যে ১০৫টিতে পাঠদান চলছে। বাকি ৯টির মধ্যে ৫টিতে পাঠদানের অনুমতি নেই এবং ৪টিতে বিভিন্ন জটিলতার কারণে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪১৪ জন। অন্যদিকে ২০২২ সালে ছিল ৩ লাখ ৪১ হাজার ৯৮ জন। বলা যায়, প্রতিবছরই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর ভর্তির হার বাড়ছে। এর মধ্যে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বেড়েছে ১৭ হাজার ৩১৬ জন শিক্ষার্থী।
বিভাগভিত্তিক হিসাবেও ২০২৩ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছিল বৈচিত্র্যপূর্ণ—কৃষিতে ২ হাজার ৯২ জন, কলা ও মানবিকে ৩৯ হাজার ২১৫, জীববিজ্ঞানে ৫ হাজার ৭৫৪, ব্যবসায় শিক্ষায় ৮০ হাজার ৮৫৭, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিষয়ে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭১৯, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান প্রযুক্তি ও জনস্বাস্থ্যে ৬ হাজার ৪০৫, আইন বিভাগে ২৩ হাজার ৬০৯, মেডিসিনে ১৩১, ফার্মেসিতে ১১ হাজার ৯৮১, বিজ্ঞানে ৭ হাজার ৬৫০, সামাজিক বিজ্ঞানে ১২ হাজার ৩৮৮, টেক্সটাইল ও ফ্যাশনে ১০ হাজার ৩৫৭, ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সে ৪০৭ এবং অন্যান্য বিষয়ে ২ হাজার ৮৪৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
প্রতিবেদনে শিক্ষকের সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। ২০২৩ সালে মোট শিক্ষক সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৪৭৯ জন, যা আগের বছরের তুলনায় ৯৭১ জন বেশি। এর মধ্যে পূর্ণকালীন শিক্ষক ১৩ হাজার ১৬৯ জন এবং খণ্ডকালীন ৪ হাজার ৩১০ জন। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাত দাঁড়ায় ১: ২১। পিএইচডিধারী শিক্ষকের সংখ্যা ২০২৩ সালে ছিল ৩ হাজার ৬০৩ জন। পূর্ণকালীন শিক্ষক ২ হাজার ৭২ এবং খণ্ডকালীন ১ হাজার ৫৩১ জন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বড় অগ্রগতি এসেছে স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। বর্তমানে ৪৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে আধুনিক অবকাঠামো, উন্নত ল্যাবরেটরি, গবেষণার সুবিধা এবং নিরাপদ পরিবেশ শিক্ষার্থীদের আস্থাকে আরও শক্তিশালী করেছে।
এ ছাড়া বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ব্যবসায় শিক্ষা, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, স্বাস্থ্যবিজ্ঞানসহ সময়োপযোগী নানা বিষয়ে নতুন নতুন প্রোগ্রাম থাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও শিক্ষার্থীরা এসে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হচ্ছেন। বর্তমানে ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন ৮২৬ জন।
বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখন আর বিকল্প নয়, দেশের উচ্চশিক্ষার অন্যতম প্রধান স্তম্ভ।

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থায় গত তিন দশকে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। একসময় দেশের উচ্চশিক্ষার প্রধান ভরসা ছিল হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। আসন সংকট, সেশনজট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি কারণে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতেন। এমন প্রেক্ষাপটে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সময়োপযোগী উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে নব্বইয়ের দশকে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়, যা এখন দেশের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন এনেছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন উচ্চশিক্ষার অন্যতম প্রধান শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। শিক্ষার্থীরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা, সেশনজটমুক্ত পরিবেশ, রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকা, সময়োপযোগী বিষয়, উন্নত ল্যাব ও যোগ্য শিক্ষকের সহজপ্রাপ্যতা—সব মিলিয়ে তাঁরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার প্রতি ক্রমেই আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশে (এআইইউবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হওয়া নাসরীন আক্তার বলেন, ‘পাবলিকে সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু পছন্দের বিষয়ে নয়। এখানে ভর্তি হওয়ার পর বুঝেছি, সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছি। নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা হওয়ায় পড়াশোনার গতি ভালো। দ্রুত ডিগ্রি শেষ করতে পারব।’
ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের সাবেক শিক্ষার্থী তানজিলা আহমেদ জানান, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতে চাইলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই সুযোগ ছিল সীমিত। তাই তিনি ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে পড়েছেন।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট জাকিয়া ইসলাম বর্তমানে নিউইয়র্কে কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সেশনজট নিয়ে পরিবারে শঙ্কা
ছিল। তাই ছোটবেলা থেকেই ভাবতাম নর্থ সাউথ, ব্র্যাক বা ইস্ট ওয়েস্টে পড়ব। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার অভিজ্ঞতাই আমাকে বিদেশে আসতে সাহায্য করেছে।’
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ৫০তম বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ১৯৯২ সালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির মাধ্যমে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১৪টি, এর মধ্যে ১০৫টিতে পাঠদান চলছে। বাকি ৯টির মধ্যে ৫টিতে পাঠদানের অনুমতি নেই এবং ৪টিতে বিভিন্ন জটিলতার কারণে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪১৪ জন। অন্যদিকে ২০২২ সালে ছিল ৩ লাখ ৪১ হাজার ৯৮ জন। বলা যায়, প্রতিবছরই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর ভর্তির হার বাড়ছে। এর মধ্যে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বেড়েছে ১৭ হাজার ৩১৬ জন শিক্ষার্থী।
বিভাগভিত্তিক হিসাবেও ২০২৩ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছিল বৈচিত্র্যপূর্ণ—কৃষিতে ২ হাজার ৯২ জন, কলা ও মানবিকে ৩৯ হাজার ২১৫, জীববিজ্ঞানে ৫ হাজার ৭৫৪, ব্যবসায় শিক্ষায় ৮০ হাজার ৮৫৭, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিষয়ে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭১৯, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান প্রযুক্তি ও জনস্বাস্থ্যে ৬ হাজার ৪০৫, আইন বিভাগে ২৩ হাজার ৬০৯, মেডিসিনে ১৩১, ফার্মেসিতে ১১ হাজার ৯৮১, বিজ্ঞানে ৭ হাজার ৬৫০, সামাজিক বিজ্ঞানে ১২ হাজার ৩৮৮, টেক্সটাইল ও ফ্যাশনে ১০ হাজার ৩৫৭, ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সে ৪০৭ এবং অন্যান্য বিষয়ে ২ হাজার ৮৪৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
প্রতিবেদনে শিক্ষকের সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। ২০২৩ সালে মোট শিক্ষক সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৪৭৯ জন, যা আগের বছরের তুলনায় ৯৭১ জন বেশি। এর মধ্যে পূর্ণকালীন শিক্ষক ১৩ হাজার ১৬৯ জন এবং খণ্ডকালীন ৪ হাজার ৩১০ জন। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাত দাঁড়ায় ১: ২১। পিএইচডিধারী শিক্ষকের সংখ্যা ২০২৩ সালে ছিল ৩ হাজার ৬০৩ জন। পূর্ণকালীন শিক্ষক ২ হাজার ৭২ এবং খণ্ডকালীন ১ হাজার ৫৩১ জন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বড় অগ্রগতি এসেছে স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। বর্তমানে ৪৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে আধুনিক অবকাঠামো, উন্নত ল্যাবরেটরি, গবেষণার সুবিধা এবং নিরাপদ পরিবেশ শিক্ষার্থীদের আস্থাকে আরও শক্তিশালী করেছে।
এ ছাড়া বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ব্যবসায় শিক্ষা, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, স্বাস্থ্যবিজ্ঞানসহ সময়োপযোগী নানা বিষয়ে নতুন নতুন প্রোগ্রাম থাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও শিক্ষার্থীরা এসে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হচ্ছেন। বর্তমানে ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন ৮২৬ জন।
বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখন আর বিকল্প নয়, দেশের উচ্চশিক্ষার অন্যতম প্রধান স্তম্ভ।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
৩ ঘণ্টা আগে
ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে।
৪ ঘণ্টা আগে
১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে (আইআরও) বাংলাদেশ দল অংশ নিচ্ছে। ১০ সদস্যের এই দল ১৪ ডিসেম্বর দেশ থেকে রওনা হবে। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এই দলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
এআইইউবির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু মিয়া আকন্দ তুহিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মোঃ সাহাবুদ্দিনের সম্মতিক্রমে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন এবং গ্র্যাজুয়েটদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
এআইইউবির ২৩তম সমাবর্তনে বিভিন্ন অনুষদের মোট ১৭৬৬ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এবারের সমাবর্তনে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক পেয়েছেন ৩ জন; সুম্মা কাম লাউড পেয়েছেন ৪৩ জন; ম্যাগনা কাম লাউড পেয়েছেন ৭৪ জন; কাম লাউড পেয়েছেন ২৬ জন; ডা. আনোয়ারুল আবেদীন লিডারশিপ পদক পেয়েছেন ১৯ জন এবং ভাইস-চ্যান্সেলর পদক পেয়েছেন ২১ জন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাদিয়া আনোয়ার, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান।
সমাবর্তনের প্রধান অতিথি ড. আবেদ চৌধুরী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্ব বর্তমানে এক বড় সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সংকট হলো ঝুঁকি এবং সম্ভাবনার সমন্বয়। স্থানীয় ও বৈশ্বিকভাবে ঝুঁকি পরিমাপ এবং সম্ভাবনা বিবেচনায় দেখা যায়, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতাই সবচেয়ে বড় শক্তি।
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যেই সেই শিক্ষা প্রতিফলিত হয়। সংকট শনাক্ত এবং অতিক্রম করার সক্ষমতা রয়েছে তাদের এবং সংকটের বাইরে এগিয়ে যাওয়ার সামর্থ্যই দেশের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ আপনারাই।’
স্নাতকদের অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই মুহূর্তটি কেবল একটি সমাবর্তন নয়; এটি আপনার বহু বছরের পরিশ্রমের স্বীকৃতি। পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্টের চাপ, নির্ঘুম রাত, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও অটল থাকা, অভিভাবকদের কষ্টার্জিত টিউশন ফি আর আপনার নিজের নিষ্ঠা ও ত্যাগ, সবকিছুরই সম্মিলিত স্বীকৃতি এটি।’
স্বাগত বক্তব্যে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নাদিয়া আনোয়ার বলেন, ‘যখন আমি আপনাদের দিকে তাকাই, তখন শত শত গল্প ভেসে ওঠে। নীরবে লড়ে যাওয়া সংগ্রামের গল্প, হৃদয়ের গভীরে লালিত স্বপ্নের গল্প। সংশয়ে ভরা অসংখ্য রাত পেরিয়ে নতুন প্রত্যয়ে জেগে ওঠা সকালের গল্প। আপনারা এই মুহূর্তে পৌঁছেছেন কোনো কাকতালীয়তায় নয়; পৌঁছেছেন নিজের শক্তি, আশার আলো এবং ভবিষ্যতের প্রতি অটল অঙ্গীকারের পথ ধরে।’
অভিভাবকদের উদ্দেশে নাদিয়া আনোয়ার বলেন, ‘আপনাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা, সম্মান ও কৃতজ্ঞতা—এসব শুধু শব্দ নয়; এগুলো আমাদের অন্তরের গভীর অনুভূতির প্রকাশ। আপনারা নীরবে যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, হয়তো নিজের স্বপ্ন পিছিয়ে দিয়েছেন, হয়তো নিজের ইচ্ছাগুলো সংযত রেখেছেন, সেই ত্যাগই আজকের এই সাফল্যের প্রকৃত ভিত্তি।’
সমাবর্তন বক্তা ব্রাসেলসের আইআরইজি অবজারভেটরি অন একাডেমিক র্যাংকিং অ্যান্ড এক্সিলেন্সের এক্সিকিউটিভ কমিটি মেম্বার অধ্যাপক ড. হাবিব ফারদৌন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এআইইউবি’র মূলমন্ত্র ‘হোয়্যার লিডারস আর ক্রিয়েটেড’ কেবল একটি বাক্য নয়; এটি শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব এবং সমাজের প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিফলন। যেকোনো র্যাংকিংয়ের চেয়েও বড় বিষয় হলো, বিশ্ব আপনাকে চিনে নেওয়ার আগেই এআইইউবি আপনার সম্ভাবনায় বিশ্বাস করেছে। আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো শিখতে থাকা, আবার নতুনভাবে শিখতে পারা। এই চলমান শিক্ষণ-প্রক্রিয়ায় একজন কৌতূহলী মানুষ সেখানে সেতু নির্মাণ করেন, যেখানে অন্যরা কেবল দেয়াল দেখতে পান। ভবিষ্যৎ হবে তাদেরই, যারা এই সেতুগুলো গড়ে তুলতে সক্ষম।
শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে এআইইউবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আপনি এই স্তরে পৌঁছানোর জন্য দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছেন। তবে এখনো আপনাকে আরও অনেক দূর যেতে হবে এবং জীবনে সফল হতে আরও অনেক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হবে। মনে রাখবেন, এটি কোনো শেষ নয়, বরং সম্ভাবনাময় একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুরু।’
গ্র্যাজুয়েট, অভিভাবক ও সম্মানিত অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এআইইউবি’র উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘এআইইউবি’র পক্ষ থেকে আমরা সকল গ্রাজুয়েট, অভিভাবক ও অতিথিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আপনাদের উপস্থিতি আজকের অনুষ্ঠানে বিশেষ মর্যাদা ও গৌরব যুক্ত করেছে।’
অনুষ্ঠানে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইশতিয়াক আবেদীন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যরা, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কর্মকর্তারা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যরা, আমন্ত্রিত অতিথিরা, এআইইউবির কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, ডিন, শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
এআইইউবির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু মিয়া আকন্দ তুহিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মোঃ সাহাবুদ্দিনের সম্মতিক্রমে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন এবং গ্র্যাজুয়েটদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
এআইইউবির ২৩তম সমাবর্তনে বিভিন্ন অনুষদের মোট ১৭৬৬ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এবারের সমাবর্তনে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক পেয়েছেন ৩ জন; সুম্মা কাম লাউড পেয়েছেন ৪৩ জন; ম্যাগনা কাম লাউড পেয়েছেন ৭৪ জন; কাম লাউড পেয়েছেন ২৬ জন; ডা. আনোয়ারুল আবেদীন লিডারশিপ পদক পেয়েছেন ১৯ জন এবং ভাইস-চ্যান্সেলর পদক পেয়েছেন ২১ জন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাদিয়া আনোয়ার, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান।
সমাবর্তনের প্রধান অতিথি ড. আবেদ চৌধুরী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্ব বর্তমানে এক বড় সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সংকট হলো ঝুঁকি এবং সম্ভাবনার সমন্বয়। স্থানীয় ও বৈশ্বিকভাবে ঝুঁকি পরিমাপ এবং সম্ভাবনা বিবেচনায় দেখা যায়, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতাই সবচেয়ে বড় শক্তি।
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যেই সেই শিক্ষা প্রতিফলিত হয়। সংকট শনাক্ত এবং অতিক্রম করার সক্ষমতা রয়েছে তাদের এবং সংকটের বাইরে এগিয়ে যাওয়ার সামর্থ্যই দেশের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ আপনারাই।’
স্নাতকদের অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই মুহূর্তটি কেবল একটি সমাবর্তন নয়; এটি আপনার বহু বছরের পরিশ্রমের স্বীকৃতি। পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্টের চাপ, নির্ঘুম রাত, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও অটল থাকা, অভিভাবকদের কষ্টার্জিত টিউশন ফি আর আপনার নিজের নিষ্ঠা ও ত্যাগ, সবকিছুরই সম্মিলিত স্বীকৃতি এটি।’
স্বাগত বক্তব্যে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নাদিয়া আনোয়ার বলেন, ‘যখন আমি আপনাদের দিকে তাকাই, তখন শত শত গল্প ভেসে ওঠে। নীরবে লড়ে যাওয়া সংগ্রামের গল্প, হৃদয়ের গভীরে লালিত স্বপ্নের গল্প। সংশয়ে ভরা অসংখ্য রাত পেরিয়ে নতুন প্রত্যয়ে জেগে ওঠা সকালের গল্প। আপনারা এই মুহূর্তে পৌঁছেছেন কোনো কাকতালীয়তায় নয়; পৌঁছেছেন নিজের শক্তি, আশার আলো এবং ভবিষ্যতের প্রতি অটল অঙ্গীকারের পথ ধরে।’
অভিভাবকদের উদ্দেশে নাদিয়া আনোয়ার বলেন, ‘আপনাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা, সম্মান ও কৃতজ্ঞতা—এসব শুধু শব্দ নয়; এগুলো আমাদের অন্তরের গভীর অনুভূতির প্রকাশ। আপনারা নীরবে যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, হয়তো নিজের স্বপ্ন পিছিয়ে দিয়েছেন, হয়তো নিজের ইচ্ছাগুলো সংযত রেখেছেন, সেই ত্যাগই আজকের এই সাফল্যের প্রকৃত ভিত্তি।’
সমাবর্তন বক্তা ব্রাসেলসের আইআরইজি অবজারভেটরি অন একাডেমিক র্যাংকিং অ্যান্ড এক্সিলেন্সের এক্সিকিউটিভ কমিটি মেম্বার অধ্যাপক ড. হাবিব ফারদৌন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এআইইউবি’র মূলমন্ত্র ‘হোয়্যার লিডারস আর ক্রিয়েটেড’ কেবল একটি বাক্য নয়; এটি শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব এবং সমাজের প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিফলন। যেকোনো র্যাংকিংয়ের চেয়েও বড় বিষয় হলো, বিশ্ব আপনাকে চিনে নেওয়ার আগেই এআইইউবি আপনার সম্ভাবনায় বিশ্বাস করেছে। আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো শিখতে থাকা, আবার নতুনভাবে শিখতে পারা। এই চলমান শিক্ষণ-প্রক্রিয়ায় একজন কৌতূহলী মানুষ সেখানে সেতু নির্মাণ করেন, যেখানে অন্যরা কেবল দেয়াল দেখতে পান। ভবিষ্যৎ হবে তাদেরই, যারা এই সেতুগুলো গড়ে তুলতে সক্ষম।
শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে এআইইউবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আপনি এই স্তরে পৌঁছানোর জন্য দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছেন। তবে এখনো আপনাকে আরও অনেক দূর যেতে হবে এবং জীবনে সফল হতে আরও অনেক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হবে। মনে রাখবেন, এটি কোনো শেষ নয়, বরং সম্ভাবনাময় একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুরু।’
গ্র্যাজুয়েট, অভিভাবক ও সম্মানিত অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এআইইউবি’র উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘এআইইউবি’র পক্ষ থেকে আমরা সকল গ্রাজুয়েট, অভিভাবক ও অতিথিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আপনাদের উপস্থিতি আজকের অনুষ্ঠানে বিশেষ মর্যাদা ও গৌরব যুক্ত করেছে।’
অনুষ্ঠানে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইশতিয়াক আবেদীন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যরা, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কর্মকর্তারা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যরা, আমন্ত্রিত অতিথিরা, এআইইউবির কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, ডিন, শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থায় গত তিন দশকে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। একসময় দেশের উচ্চশিক্ষার প্রধান ভরসা ছিল হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। আসন সংকট, সেশনজট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি কারণে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতেন।
২০ দিন আগে
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
৩ ঘণ্টা আগে
ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে।
৪ ঘণ্টা আগে
১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে (আইআরও) বাংলাদেশ দল অংশ নিচ্ছে। ১০ সদস্যের এই দল ১৪ ডিসেম্বর দেশ থেকে রওনা হবে। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এই দলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
৫ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব। কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী—সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে জীবন বাজি রেখেছিলেন। বিজয় দিবস স্মরণ করিয়ে দেয়—ঐক্য, সাহস ও ন্যায্যতা কখনো হারায় না। ১৬ ডিসেম্বরের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন তাঁদের মতামত ও ভাবনার কথা।

বিজয় শুধু স্মৃতিতে নয়, চাই বাস্তব রূপ
জোলেখা আক্তার জিনিয়া
শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ।
মহান বিজয় দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, বাংলাদেশিরা অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারে। কিন্তু ৫৪ বছর পরও দেশের অগ্রযাত্রায় বহিরাগত চাপ, দুর্নীতি, বৈষম্য ও দমন-পীড়ন বড় বাধা। আজকের তরুণেরা বিজয়কে শুধু স্মৃতিতে নয়, চায় বাস্তব রূপ দিতে। তাদের প্রত্যাশা স্বচ্ছ, ন্যায়ভিত্তিক, আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ। চায় বাক্স্বাধীনতা, সমান অধিকার আর গুম-খুনহীন বাংলাদেশ। বিজয় মানে যুক্তি, মূল্যবোধ, সুশাসন, মানসম্মত শিক্ষা ও সমান সুযোগ। দেশের পরিবর্তন সম্ভব হবে সবাই বিজয়ের চেতনাকে সাহস ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে বহন করলে। ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই।

শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদার বাংলাদেশ গড়ে তুলব
তানজিল কাজী
শিক্ষার্থী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির সাহস, একতা আর অদম্য প্রেরণার প্রতীক। ১৯৭১ সালে কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র ও শিক্ষকেরা জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন। তাঁদের অদম্য সাহস ও দেশপ্রেম আধুনিক অস্ত্রকেও পরাজিত করেছিল। বিজয় শুধু আনন্দের নয়, দায়িত্বেরও। আমাদের লক্ষ্য হতে হবে ন্যায়বিচার, সমতা ও মানবিকতায় সমৃদ্ধ সমাজ গড়া। নেতৃত্ব, যোগাযোগ ও সমালোচনামূলক চিন্তা হোক জাতীয় উন্নয়নের চালিকাশক্তি। আজ আমরা শহীদদের স্মরণ করি, মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতজ্ঞতা জানাই এবং শপথ করি—দেশকে ভালোবাসব, সত্যের পথে অবিচল থাকব, শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলব।

ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে পারিনি
সাজিয়া রহমান ঈশি
শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বিজয়ের আগেই পাকিস্তানি বাহিনী জানত, এই জাতিকে কোনোভাবেই দমানো যাবে না। তারা চেষ্টা করেছিল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে নেতৃত্বহীন বাংলাদেশ গড়ার। কিন্তু নতুন রাষ্ট্র প্রমাণ করল, বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ন্যায়ের সাহসে দাঁড়িয়েছে। ৫৪ বছর পরও আমরা স্বপ্নের ন্যায়বিচার, বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে পারিনি। অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাঝে এখনো লেগে আছে বৈষম্য, অন্যায় ও সুযোগের অসম বণ্টন। তবু আশা আছে—যদি মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখি, ন্যায়কে প্রতিদিনের অভ্যাস করি, তাহলে একদিন আমরা গড়ে তুলতে পারব আমাদের স্বপ্নের, সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ।

এবারের বিজয়ের মাস যেন এক নতুন আলোয় ভাসছে
এস এম রেদোয়ানুল হাসান রায়হান
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
স্বাধীনতার উচ্ছ্বাস আমরা এত দিন ইতিহাসের পাতায় পাতায় দেখেছি, এবার সেটি বাস্তবের রঙে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। দমবন্ধ অন্ধকার ভেদ করে যে মুক্তির হাওয়া বইছে চারদিকে; মনে হচ্ছে, জাতি আবার নতুন করে শ্বাস নিতে শিখছে। ব্যক্তিগত অনুভূতিতে এ যেন এক গভীর স্বস্তি—ভয় আর হুমকির দিন শেষ হয়ে যাওয়া আর সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর শক্তি ফিরে পাওয়া। বিজয়ের লাল-সবুজ এবার শুধু স্মৃতির প্রতীক নয়, আমাদের আশার অঙ্গীকার।

বিজয় কি আজও পরম আরাধ্য, নাকি অপ্রাপ্তির শিকল
সামিহা সিরাজী লাজ
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাঙালির অস্তিত্ব, স্বাধিকার ও স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোত জড়ানো ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় আজও বহু অপ্রাপ্তির সঙ্গী। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, আইনশৃঙ্খলা ও নীতির অভাব নাগরিকদের পরম স্বাধীনতার আনন্দে বাধা। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা, রাজনৈতিক দলগুলোর অদূরদর্শিতা দেশের অগ্রগতিকে সীমিত করেছে। তবু নতুন প্রজন্ম ও ছাত্র-জনতা নতুন রাজনৈতিক উপাখ্যানের সূচনা করছে। সমাজের অবহেলার মাঝে বিজয় দিবস মনে করিয়ে দেয়, স্বাধীনতা অর্জন শুধুই ইতিহাস নয়, প্রাপ্তির আনন্দে প্রত্যেক মানুষের প্রাণে রাঙানো এক চলমান সংগ্রাম।

নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক
মো. আবুজার গিফারী
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
আর এক দিন পর মহান মুক্তিযুদ্ধ ৫৫ বছরে পা দেবে। স্বাধীনতার দীর্ঘ পথচলায় আমরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নানা অর্জন করেছি। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়, আমাদের আকাঙ্ক্ষার কতটুকু পূরণ করতে পেরেছি? নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান রাজনৈতিক নেতৃত্বে সংঘটিত হলেও চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান ছাত্র-জনতার বিস্ময়কর জাগরণের ফল। ছাত্রসমাজের এই ভূমিকা দেশের রাজনীতিতে নতুন বাস্তবতার জন্ম দিয়েছে। ভবিষ্যতে রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ মুখ্য হবে। রাষ্ট্র পরিচালনা, নীতিনির্ধারণ ও সংসদীয় নেতৃত্বে তরুণেরা এগিয়ে আসবে। বৃহত্তর রাজনৈতিক দলগুলো এরই মধ্যে তরুণ নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। মহান বিজয় দিবস শুধু উদ্যাপন নয়, এটি নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক।

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব। কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী—সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে জীবন বাজি রেখেছিলেন। বিজয় দিবস স্মরণ করিয়ে দেয়—ঐক্য, সাহস ও ন্যায্যতা কখনো হারায় না। ১৬ ডিসেম্বরের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন তাঁদের মতামত ও ভাবনার কথা।

বিজয় শুধু স্মৃতিতে নয়, চাই বাস্তব রূপ
জোলেখা আক্তার জিনিয়া
শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ।
মহান বিজয় দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, বাংলাদেশিরা অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারে। কিন্তু ৫৪ বছর পরও দেশের অগ্রযাত্রায় বহিরাগত চাপ, দুর্নীতি, বৈষম্য ও দমন-পীড়ন বড় বাধা। আজকের তরুণেরা বিজয়কে শুধু স্মৃতিতে নয়, চায় বাস্তব রূপ দিতে। তাদের প্রত্যাশা স্বচ্ছ, ন্যায়ভিত্তিক, আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ। চায় বাক্স্বাধীনতা, সমান অধিকার আর গুম-খুনহীন বাংলাদেশ। বিজয় মানে যুক্তি, মূল্যবোধ, সুশাসন, মানসম্মত শিক্ষা ও সমান সুযোগ। দেশের পরিবর্তন সম্ভব হবে সবাই বিজয়ের চেতনাকে সাহস ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে বহন করলে। ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই।

শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদার বাংলাদেশ গড়ে তুলব
তানজিল কাজী
শিক্ষার্থী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির সাহস, একতা আর অদম্য প্রেরণার প্রতীক। ১৯৭১ সালে কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র ও শিক্ষকেরা জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন। তাঁদের অদম্য সাহস ও দেশপ্রেম আধুনিক অস্ত্রকেও পরাজিত করেছিল। বিজয় শুধু আনন্দের নয়, দায়িত্বেরও। আমাদের লক্ষ্য হতে হবে ন্যায়বিচার, সমতা ও মানবিকতায় সমৃদ্ধ সমাজ গড়া। নেতৃত্ব, যোগাযোগ ও সমালোচনামূলক চিন্তা হোক জাতীয় উন্নয়নের চালিকাশক্তি। আজ আমরা শহীদদের স্মরণ করি, মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতজ্ঞতা জানাই এবং শপথ করি—দেশকে ভালোবাসব, সত্যের পথে অবিচল থাকব, শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলব।

ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে পারিনি
সাজিয়া রহমান ঈশি
শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বিজয়ের আগেই পাকিস্তানি বাহিনী জানত, এই জাতিকে কোনোভাবেই দমানো যাবে না। তারা চেষ্টা করেছিল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে নেতৃত্বহীন বাংলাদেশ গড়ার। কিন্তু নতুন রাষ্ট্র প্রমাণ করল, বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ন্যায়ের সাহসে দাঁড়িয়েছে। ৫৪ বছর পরও আমরা স্বপ্নের ন্যায়বিচার, বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে পারিনি। অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাঝে এখনো লেগে আছে বৈষম্য, অন্যায় ও সুযোগের অসম বণ্টন। তবু আশা আছে—যদি মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখি, ন্যায়কে প্রতিদিনের অভ্যাস করি, তাহলে একদিন আমরা গড়ে তুলতে পারব আমাদের স্বপ্নের, সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ।

এবারের বিজয়ের মাস যেন এক নতুন আলোয় ভাসছে
এস এম রেদোয়ানুল হাসান রায়হান
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
স্বাধীনতার উচ্ছ্বাস আমরা এত দিন ইতিহাসের পাতায় পাতায় দেখেছি, এবার সেটি বাস্তবের রঙে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। দমবন্ধ অন্ধকার ভেদ করে যে মুক্তির হাওয়া বইছে চারদিকে; মনে হচ্ছে, জাতি আবার নতুন করে শ্বাস নিতে শিখছে। ব্যক্তিগত অনুভূতিতে এ যেন এক গভীর স্বস্তি—ভয় আর হুমকির দিন শেষ হয়ে যাওয়া আর সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর শক্তি ফিরে পাওয়া। বিজয়ের লাল-সবুজ এবার শুধু স্মৃতির প্রতীক নয়, আমাদের আশার অঙ্গীকার।

বিজয় কি আজও পরম আরাধ্য, নাকি অপ্রাপ্তির শিকল
সামিহা সিরাজী লাজ
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাঙালির অস্তিত্ব, স্বাধিকার ও স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোত জড়ানো ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় আজও বহু অপ্রাপ্তির সঙ্গী। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, আইনশৃঙ্খলা ও নীতির অভাব নাগরিকদের পরম স্বাধীনতার আনন্দে বাধা। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা, রাজনৈতিক দলগুলোর অদূরদর্শিতা দেশের অগ্রগতিকে সীমিত করেছে। তবু নতুন প্রজন্ম ও ছাত্র-জনতা নতুন রাজনৈতিক উপাখ্যানের সূচনা করছে। সমাজের অবহেলার মাঝে বিজয় দিবস মনে করিয়ে দেয়, স্বাধীনতা অর্জন শুধুই ইতিহাস নয়, প্রাপ্তির আনন্দে প্রত্যেক মানুষের প্রাণে রাঙানো এক চলমান সংগ্রাম।

নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক
মো. আবুজার গিফারী
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
আর এক দিন পর মহান মুক্তিযুদ্ধ ৫৫ বছরে পা দেবে। স্বাধীনতার দীর্ঘ পথচলায় আমরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নানা অর্জন করেছি। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়, আমাদের আকাঙ্ক্ষার কতটুকু পূরণ করতে পেরেছি? নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান রাজনৈতিক নেতৃত্বে সংঘটিত হলেও চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান ছাত্র-জনতার বিস্ময়কর জাগরণের ফল। ছাত্রসমাজের এই ভূমিকা দেশের রাজনীতিতে নতুন বাস্তবতার জন্ম দিয়েছে। ভবিষ্যতে রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ মুখ্য হবে। রাষ্ট্র পরিচালনা, নীতিনির্ধারণ ও সংসদীয় নেতৃত্বে তরুণেরা এগিয়ে আসবে। বৃহত্তর রাজনৈতিক দলগুলো এরই মধ্যে তরুণ নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। মহান বিজয় দিবস শুধু উদ্যাপন নয়, এটি নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক।

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থায় গত তিন দশকে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। একসময় দেশের উচ্চশিক্ষার প্রধান ভরসা ছিল হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। আসন সংকট, সেশনজট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি কারণে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতেন।
২০ দিন আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে।
৪ ঘণ্টা আগে
১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে (আইআরও) বাংলাদেশ দল অংশ নিচ্ছে। ১০ সদস্যের এই দল ১৪ ডিসেম্বর দেশ থেকে রওনা হবে। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এই দলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজিনুর রহমান আজিম, পাটগ্রাম (লালমনিরহাট)

ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে। সংসারের দায় আর অর্থকষ্টের চাপে দিনে বই পড়ার সময় পান না রাবিউল। সকাল ৬টায় কনকনে ঠান্ডায় উঠে তাঁকে যেতে হয় কাজে। সন্ধ্যা পর্যন্ত রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে ইট, বালু ও সিমেন্ট নিয়ে শুরু হয় তাঁর জীবনসংগ্রাম। দিনের শেষে ক্লান্ত হাতে ধরতে হয় কলম ও খাতা। এই সংগ্রামের মধ্যেই দেখতে হয় জীবনের স্বপ্ন।
মাত্র ১৯ বছর বয়সী রাবিউল লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌরসভার সোহাগপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সাহিদুল ইসলামের ছেলে। তিন মাস বয়সে বাবাকে হারান। মা রাবেয়া বেগম একাকী সংসার চালানোর তাগিদে অন্যের ঘরবাড়িতে কাজ করে পরিবারকে টানতে থাকেন। পঞ্চম শ্রেণির পর থেকে সংসারের দায় রাবিউলের কাঁধে এসে পড়ে। এরপর তিনি রাজমিস্ত্রি, টাইলসের মিস্ত্রি ও রংমিস্ত্রির কাজ করতে করতে বড় হয়েছেন।
রাবিউল দিনের বেলা দেয়াল, ইট, সিমেন্ট দিয়ে ঘরবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের বাহ্যিক সৌন্দর্য বাড়ান, আবার রাতে পড়তে বসেন। পরিবারের তিন প্রজন্মের জীবন কেটে যাচ্ছে টিনের চালা ও ঝুপড়ি ঘরে, যেখানে বর্ষায় ঘরের ভেতরে পানি পড়ে, শীতে ঠান্ডা হাওয়া ঢোকে ফাঁকফোকর দিয়ে। তবু রাবিউল ও তাঁর পরিবার আশ্রয় খুঁজে নেন ভাঙাচোরা এই ঘরে।
কষ্টের মাঝেও তিনি স্বপ্ন দেখেন। ২০২৪ সালে পাটগ্রাম বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। চলতি বছর অনার্সে ভর্তি হওয়ার আশায় পুরোনো বই জোগাড় করেছেন। তিনি বলেন, ‘অর্থের অভাবে এখনো ভর্তি হতে পারিনি। আমার স্বপ্ন—একদিন পরিবারের মুখে হাসি ফোটাব।’
মা রাবেয়া বেগম বলেন, ‘স্বামী নেই ২০ বছর। অনেক কষ্টে সন্তানকে বড় করেছি। ছেলে রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাচ্ছে। টাকার অভাবে ঘরও ঠিক করতে পারছি না।’ প্রতিবেশী আব্দুস ছাত্তার বলেন, ‘রাবিউল ছোটবেলা থেকে মিস্ত্রির কাজ করে সংসারের হাল ধরেছে। তারা খুব অসহায়, থাকার জায়গা নেই।’
রাবিউল বলেন, ‘ইট, সিমেন্ট আর রং করার সময়ও আমি আলোর স্বপ্ন দেখি। ইচ্ছা—একদিন প্রতিষ্ঠিত হয়ে মায়ের মুখে হাসি ফোটানো।’

ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে। সংসারের দায় আর অর্থকষ্টের চাপে দিনে বই পড়ার সময় পান না রাবিউল। সকাল ৬টায় কনকনে ঠান্ডায় উঠে তাঁকে যেতে হয় কাজে। সন্ধ্যা পর্যন্ত রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে ইট, বালু ও সিমেন্ট নিয়ে শুরু হয় তাঁর জীবনসংগ্রাম। দিনের শেষে ক্লান্ত হাতে ধরতে হয় কলম ও খাতা। এই সংগ্রামের মধ্যেই দেখতে হয় জীবনের স্বপ্ন।
মাত্র ১৯ বছর বয়সী রাবিউল লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌরসভার সোহাগপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সাহিদুল ইসলামের ছেলে। তিন মাস বয়সে বাবাকে হারান। মা রাবেয়া বেগম একাকী সংসার চালানোর তাগিদে অন্যের ঘরবাড়িতে কাজ করে পরিবারকে টানতে থাকেন। পঞ্চম শ্রেণির পর থেকে সংসারের দায় রাবিউলের কাঁধে এসে পড়ে। এরপর তিনি রাজমিস্ত্রি, টাইলসের মিস্ত্রি ও রংমিস্ত্রির কাজ করতে করতে বড় হয়েছেন।
রাবিউল দিনের বেলা দেয়াল, ইট, সিমেন্ট দিয়ে ঘরবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের বাহ্যিক সৌন্দর্য বাড়ান, আবার রাতে পড়তে বসেন। পরিবারের তিন প্রজন্মের জীবন কেটে যাচ্ছে টিনের চালা ও ঝুপড়ি ঘরে, যেখানে বর্ষায় ঘরের ভেতরে পানি পড়ে, শীতে ঠান্ডা হাওয়া ঢোকে ফাঁকফোকর দিয়ে। তবু রাবিউল ও তাঁর পরিবার আশ্রয় খুঁজে নেন ভাঙাচোরা এই ঘরে।
কষ্টের মাঝেও তিনি স্বপ্ন দেখেন। ২০২৪ সালে পাটগ্রাম বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। চলতি বছর অনার্সে ভর্তি হওয়ার আশায় পুরোনো বই জোগাড় করেছেন। তিনি বলেন, ‘অর্থের অভাবে এখনো ভর্তি হতে পারিনি। আমার স্বপ্ন—একদিন পরিবারের মুখে হাসি ফোটাব।’
মা রাবেয়া বেগম বলেন, ‘স্বামী নেই ২০ বছর। অনেক কষ্টে সন্তানকে বড় করেছি। ছেলে রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাচ্ছে। টাকার অভাবে ঘরও ঠিক করতে পারছি না।’ প্রতিবেশী আব্দুস ছাত্তার বলেন, ‘রাবিউল ছোটবেলা থেকে মিস্ত্রির কাজ করে সংসারের হাল ধরেছে। তারা খুব অসহায়, থাকার জায়গা নেই।’
রাবিউল বলেন, ‘ইট, সিমেন্ট আর রং করার সময়ও আমি আলোর স্বপ্ন দেখি। ইচ্ছা—একদিন প্রতিষ্ঠিত হয়ে মায়ের মুখে হাসি ফোটানো।’

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থায় গত তিন দশকে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। একসময় দেশের উচ্চশিক্ষার প্রধান ভরসা ছিল হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। আসন সংকট, সেশনজট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি কারণে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতেন।
২০ দিন আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
৩ ঘণ্টা আগে
১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে (আইআরও) বাংলাদেশ দল অংশ নিচ্ছে। ১০ সদস্যের এই দল ১৪ ডিসেম্বর দেশ থেকে রওনা হবে। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এই দলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
৫ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে (আইআরও) বাংলাদেশ দল অংশ নিচ্ছে। ১০ সদস্যের এই দল ১৪ ডিসেম্বর দেশ থেকে রওনা হবে। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এই দলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের আয়োজনে এ বছর ২৯ থেকে ৩০ আগস্ট অনলাইন বাছাই পর্ব ও ১২ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে জাতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পর্বে ক্রিয়েটিভ মুভি, ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরি এবং ফিজিক্যাল কম্পিউটিং ক্যাটাগরির বিজয়ীদের আন্তর্জাতিক দল নির্বাচনী ক্যাম্পে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা, পারফরম্যান্স এবং নানা মানদণ্ডে বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের জন্য দল নির্বাচন করা হয়।
বাংলাদেশ দলের সদস্যরা হলেন মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী জুবাইদাহ জাফরিন ও নাফিয়া বাসার সুহানী; ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জারিফ বিন সালেক, খোন্দকার মুশফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মাশরুর আরেফিন ভূঞা; ওয়াইডব্লিউসিএ উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসাইবা তাজরিন তানিশা; উইলিয়াম কেরি একাডেমির শিক্ষার্থী জাইমা যাহিন ওয়ারা; স্কলাসটিকা স্কুলের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী দাস; আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী রিদোয়ান রাব্বানী; আনন্দ মোহন কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল টিটু।
দলের সঙ্গে কোচ থাকবেন মিশাল ইসলাম, সহকারী কোচ এম তানজিম আল ইসলাম দিবস এবং দলনেতা হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সভাপতি এ এ মুনির হাসান। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে অংশ নেবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। গত সাত বছরে বাংলাদেশ দল আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে ১৪টি গোল্ড মেডেলসহ মোট ৮৩টি পদক অর্জন করেছে।

১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে (আইআরও) বাংলাদেশ দল অংশ নিচ্ছে। ১০ সদস্যের এই দল ১৪ ডিসেম্বর দেশ থেকে রওনা হবে। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এই দলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের আয়োজনে এ বছর ২৯ থেকে ৩০ আগস্ট অনলাইন বাছাই পর্ব ও ১২ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে জাতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পর্বে ক্রিয়েটিভ মুভি, ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরি এবং ফিজিক্যাল কম্পিউটিং ক্যাটাগরির বিজয়ীদের আন্তর্জাতিক দল নির্বাচনী ক্যাম্পে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা, পারফরম্যান্স এবং নানা মানদণ্ডে বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের জন্য দল নির্বাচন করা হয়।
বাংলাদেশ দলের সদস্যরা হলেন মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী জুবাইদাহ জাফরিন ও নাফিয়া বাসার সুহানী; ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জারিফ বিন সালেক, খোন্দকার মুশফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মাশরুর আরেফিন ভূঞা; ওয়াইডব্লিউসিএ উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসাইবা তাজরিন তানিশা; উইলিয়াম কেরি একাডেমির শিক্ষার্থী জাইমা যাহিন ওয়ারা; স্কলাসটিকা স্কুলের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী দাস; আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী রিদোয়ান রাব্বানী; আনন্দ মোহন কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল টিটু।
দলের সঙ্গে কোচ থাকবেন মিশাল ইসলাম, সহকারী কোচ এম তানজিম আল ইসলাম দিবস এবং দলনেতা হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সভাপতি এ এ মুনির হাসান। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে অংশ নেবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। গত সাত বছরে বাংলাদেশ দল আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে ১৪টি গোল্ড মেডেলসহ মোট ৮৩টি পদক অর্জন করেছে।

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থায় গত তিন দশকে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। একসময় দেশের উচ্চশিক্ষার প্রধান ভরসা ছিল হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। আসন সংকট, সেশনজট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি কারণে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতেন।
২০ দিন আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
৩ ঘণ্টা আগে
ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে।
৪ ঘণ্টা আগে