মোঃ সৈয়দুর রহমান
রমজান মাস এলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যেন এক ভিন্ন আমেজে মেতে ওঠে। বিকেল গড়াতেই শিক্ষার্থীদের আড্ডায় মুখর হয়ে ওঠে ক্যাম্পাসের প্রতিটি চত্বর। দল বেঁধে ইফতার আয়োজনের প্রস্তুতি চলে—কেউ খাবার কিনতে ছুটছেন, কেউ আবার সাজিয়ে রাখছেন ইফতারসামগ্রী। এই আয়োজন শুধু আহার গ্রহণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি পরিণত হয় এক অপূর্ব মিলনমেলায়, যেখানে বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও দৃঢ় হয়।
একসঙ্গে ইফতারের আবেগ
বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া অনেক শিক্ষার্থী পরিবার-পরিজন ছেড়ে হলে থাকেন। তাই বন্ধুরাই হয়ে ওঠেন তাঁদের দ্বিতীয় পরিবার। রোজার ক্লান্তি ভুলে সবাই মিলে ইফতার ভাগাভাগি করে নেওয়াই যেন সবচেয়ে বড় আনন্দ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রাদিদ বিন আলম বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে ইফতার করার স্মৃতি এখনো মনে পড়ে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করেও একই রকম উষ্ণতা পাই। মনে হয়, আমরা সবাই একটা বড় পরিবারের অংশ।’ শুধু বর্তমান শিক্ষার্থীরাই নন, ইফতার আয়োজনে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও। কর্মব্যস্ত জীবনে একটু সময় বের করে পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করার সুযোগ তাঁরা হাতছাড়া করতে চান না।
কোথায় এই ইফতার আয়োজন
ইফতারের মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রাঙ্গণ যেন উৎসবের রূপ নেয়। টিএসসি, মল চত্বর, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, কার্জন হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের মাঠ, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের মাঠ, বটতলা—প্রতিটি জায়গায় দল বেঁধে বসেন শিক্ষার্থীরা। কেউ পেপার বিছিয়ে রাখেন, কেউবা সঙ্গে আনা চাদরের ওপর ইফতারি সাজিয়ে অপেক্ষা করেন আজানের জন্য। খাবারের তালিকায় থাকে বাহারি আয়োজন—ছোলা, মুড়ি, পেঁয়াজু, বেগুনি, জিলাপি, কলা, আনারস, শরবত, জুসসহ নানা স্বাদের উপকরণ। ইফতারি কেনার জন্য সবাই মিলে অর্থ সংগ্রহ করেন, কেউ কেউ আবার নিজের পছন্দের খাবার নিয়ে আসেন।
সম্প্রীতির বার্তা
এই ইফতার শুধু ধর্মীয় রীতি পালন নয়, বরং এটি ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ। মুসলিম শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ভিন্ন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও এই আয়োজনে সমান আনন্দের সঙ্গে অংশ নেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী অরিত্রী চক্রবর্তী প্রাপ্তি বলেন, ‘আমার কাছে রমজানের সবচেয়ে প্রিয় অংশ ইফতার। এটি কেবল খাবার গ্রহণের বিষয় নয়, বরং একসঙ্গে বসে গল্প করার, অনুভূতি ভাগাভাগি করার এক সুন্দর উপলক্ষ।’
ঐতিহ্যে পরিণত হওয়া উদ্যোগ
প্রতিদিন ক্যাম্পাসজুড়ে এভাবে সম্মিলিত ইফতার এখন এক ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। দূরে থাকা প্রিয়জনদের অভাব পূরণ হয় বন্ধুদের উষ্ণ উপস্থিতিতে। শুধু রোজাদাররাই নন, সব ধর্মের শিক্ষার্থীরা এখানে একত্র হন, যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ইফতার আয়োজন কেবল খাবার ভাগাভাগি নয়, বরং এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৌহার্দ্য আর সহমর্মিতার এক উজ্জ্বল প্রতিচিত্র। প্রতিদিনের এই আয়োজন যেন একটাই বার্তা দেয়—আমরা সবাই একসঙ্গে, আমরা সবাই এক পরিবার!
রমজান মাস এলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যেন এক ভিন্ন আমেজে মেতে ওঠে। বিকেল গড়াতেই শিক্ষার্থীদের আড্ডায় মুখর হয়ে ওঠে ক্যাম্পাসের প্রতিটি চত্বর। দল বেঁধে ইফতার আয়োজনের প্রস্তুতি চলে—কেউ খাবার কিনতে ছুটছেন, কেউ আবার সাজিয়ে রাখছেন ইফতারসামগ্রী। এই আয়োজন শুধু আহার গ্রহণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি পরিণত হয় এক অপূর্ব মিলনমেলায়, যেখানে বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও দৃঢ় হয়।
একসঙ্গে ইফতারের আবেগ
বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া অনেক শিক্ষার্থী পরিবার-পরিজন ছেড়ে হলে থাকেন। তাই বন্ধুরাই হয়ে ওঠেন তাঁদের দ্বিতীয় পরিবার। রোজার ক্লান্তি ভুলে সবাই মিলে ইফতার ভাগাভাগি করে নেওয়াই যেন সবচেয়ে বড় আনন্দ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রাদিদ বিন আলম বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে ইফতার করার স্মৃতি এখনো মনে পড়ে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করেও একই রকম উষ্ণতা পাই। মনে হয়, আমরা সবাই একটা বড় পরিবারের অংশ।’ শুধু বর্তমান শিক্ষার্থীরাই নন, ইফতার আয়োজনে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও। কর্মব্যস্ত জীবনে একটু সময় বের করে পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করার সুযোগ তাঁরা হাতছাড়া করতে চান না।
কোথায় এই ইফতার আয়োজন
ইফতারের মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রাঙ্গণ যেন উৎসবের রূপ নেয়। টিএসসি, মল চত্বর, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, কার্জন হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের মাঠ, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের মাঠ, বটতলা—প্রতিটি জায়গায় দল বেঁধে বসেন শিক্ষার্থীরা। কেউ পেপার বিছিয়ে রাখেন, কেউবা সঙ্গে আনা চাদরের ওপর ইফতারি সাজিয়ে অপেক্ষা করেন আজানের জন্য। খাবারের তালিকায় থাকে বাহারি আয়োজন—ছোলা, মুড়ি, পেঁয়াজু, বেগুনি, জিলাপি, কলা, আনারস, শরবত, জুসসহ নানা স্বাদের উপকরণ। ইফতারি কেনার জন্য সবাই মিলে অর্থ সংগ্রহ করেন, কেউ কেউ আবার নিজের পছন্দের খাবার নিয়ে আসেন।
সম্প্রীতির বার্তা
এই ইফতার শুধু ধর্মীয় রীতি পালন নয়, বরং এটি ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ। মুসলিম শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ভিন্ন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও এই আয়োজনে সমান আনন্দের সঙ্গে অংশ নেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী অরিত্রী চক্রবর্তী প্রাপ্তি বলেন, ‘আমার কাছে রমজানের সবচেয়ে প্রিয় অংশ ইফতার। এটি কেবল খাবার গ্রহণের বিষয় নয়, বরং একসঙ্গে বসে গল্প করার, অনুভূতি ভাগাভাগি করার এক সুন্দর উপলক্ষ।’
ঐতিহ্যে পরিণত হওয়া উদ্যোগ
প্রতিদিন ক্যাম্পাসজুড়ে এভাবে সম্মিলিত ইফতার এখন এক ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। দূরে থাকা প্রিয়জনদের অভাব পূরণ হয় বন্ধুদের উষ্ণ উপস্থিতিতে। শুধু রোজাদাররাই নন, সব ধর্মের শিক্ষার্থীরা এখানে একত্র হন, যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ইফতার আয়োজন কেবল খাবার ভাগাভাগি নয়, বরং এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৌহার্দ্য আর সহমর্মিতার এক উজ্জ্বল প্রতিচিত্র। প্রতিদিনের এই আয়োজন যেন একটাই বার্তা দেয়—আমরা সবাই একসঙ্গে, আমরা সবাই এক পরিবার!
থাইল্যান্ডে চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি-২০২৫-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
৪ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগ প্রযুক্তি ও জ্ঞানের যুগ। একাডেমিক ডিগ্রি যতটা গুরুত্বপূর্ণ, বাস্তব জীবনে টিকে থাকতে ততটাই প্রয়োজন বাস্তবভিত্তিক দক্ষতা। বিশেষ করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন এখন সময়ের চাহিদা। এ পরিস্থিতিতে চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা যেমন বাড়ছে, তেমনি উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগও তৈরি হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিদ্যালয় কেবল উচ্চশিক্ষা অর্জনের জায়গা নয়, এটি জীবনের বৃহত্তর পাঠশালা। পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি এখানে শেখার আছে নেতৃত্বের দক্ষতা, আত্ম-উন্নয়নের কৌশল এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি।
২ দিন আগেইউরোপের দেশ সুইডেন। দেশটির মেরিন জেট পাওয়ার কোম্পানির টেস্ট অ্যান্ড ভ্যালিডেশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন প্রবাসী বাংলাদেশি মুহাম্মদ শাকিরুল্লাহ। সুইডেনে বাংলাদেশিদের ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা...
২ দিন আগে