ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন

পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বা জনস্বাস্থ্য হচ্ছে এমন একটা বিজ্ঞান এবং শিল্প, যা ব্যক্তি, সম্প্রদায়, সমাজ, সংস্থা ও সমাজে বিরাজমান আরও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ, মানবস্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং দীর্ঘায়িত সুস্থ জীবনের নিশ্চয়তা দেয়। পাবলিক হেলথের বা জনস্বাস্থ্যের বিষয়বস্তু হচ্ছে, মানুষের রোগ নিয়ে গবেষণা ও প্রতিরোধে পদ্ধতি-ব্যবস্থাপনার আবিষ্কার।
পড়ার যোগ্যতা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিষয়ে পড়াশোনা করতে চাইলে এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়তে হবে। এ বিষয়ে পড়ার জন্য এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ৪.০০ পয়েন্ট থাকতে হবে। এ ছাড়া উভয় পরীক্ষায় টোটাল জিপিএ সর্বনিম্ন ৯.০০ পয়েন্ট থাকতে হবে। পাশাপাশি জীববিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিতে এ গ্রেড থাকতে হবে। এ বিষয়ে কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। এসব প্রোগ্রামে ভর্তি হতে মেডিকেল সায়েন্স, সোশ্যাল সায়েন্স, বায়োলজিক্যাল সায়েন্স বিষয়ে অনার্স পাস হতে হবে।
কোথায় পড়া যাবে
বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস কোর্সটি ২০১১ সালে চালু হয়। এখানে স্নাতকের পাশাপাশি মাস্টার্স, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বেসরকারির মধ্যে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। তবে বেশ কটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু আছে। এর মধ্যে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি রয়েছে। এ ছাড়া ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন (নিপসম) থেকে এমবিবিএস ডাক্তাররা মাস্টার্স (এমপিএইচ) ডিগ্রি নিতে পারবেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এমবিবিএস ডাক্তারদের মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু হয়েছে।
যেসব কোর্সে পড়ানো হয়
পাবলিক হেলথ একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়। প্রোগ্রামটিতে বিজ্ঞান ও মানবিক শাখার কম্বিনেশন রয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি কোর্স রয়েছে। এর মধ্যে স্নাতক (বিপিএইচ) প্রোগ্রামে—ইন্ট্রোডাকশন টু পাবলিক হেলথ, বেসিক বায়োকেমিস্ট্রি, মেন্টাল হেলথ, হিউম্যান অ্যানাটমি, এপিডেমিওলজি, বায়োস্ট্যাটিস্টিকস, পাবলিক হেলথ নিউট্রিশন, এনভায়রনমেন্টাল হেলথ, অকুপেশনাল হেলথ, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট, রিপ্রোডাকটিভ অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ, হেলথ এডুকেশন অ্যান্ড হেলথ প্রমোশন, গ্লোবাল হেলথ, ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড হেলথ, ফুড সেফটি অ্যান্ড হেলথ ইত্যাদি কোর্স পড়ানো হয়। পাশাপাশি মাস্টার্স (এমপিএইচ) প্রোগ্রামে-অ্যাডভান্স এপিডেমিওলজি, সেক্সুয়াল অ্যান্ড রিপ্রোডাকটিভ হেলথ, বায়োইনফরমেটিকস, ট্রপিক্যাল ডিজেস, আরবান হেলথ, অ্যাডভান্স বায়োস্ট্যাটিস্টিকস, অ্যাডভান্স পাবলিক হেলথ নিউট্রিশন, অ্যাডভান্স এনভায়রনমেন্টাল হেলথ এবং গ্লোবাল মেন্টাল হেলথ ইত্যাদি কোর্সে পড়ানো হয়।
চাকরি বা কর্মসংস্থান কোথায়
পাবলিক হেলথে চাকরির অনেক সুযোগ রয়েছে। এখান থেকে অ্যাকাডেমিয়া, ইন্ডাস্ট্রি, রিসার্চ ইনস্টিটিউট, সরকারি অফিসার, নন-গভার্নমেন্ট অর্গানাইজেশন, ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সেক্টরে কাজের সুযোগ রয়েছে। বেশ কিছু মাল্টিন্যাশনাল এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন অর্গানাইজেশনে জবের সুযোগ রয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অর্গানাইজেশনের মধ্যে—আইইডিসিআর, আইসিডিডিআরবি, ডব্লিউএইচও, ইউএনএফপিএ, ইউএনডিপি, ইউএস ভলান্টিয়ার, এডিবি, ইউএনএআইডিএস, ব্র্যাক, সেভ দ্য চিলড্রেন, ওয়াটার এইড, ইউনিসেফ, জাইকা, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানে বিশাল কাজের ক্ষেত্র রয়েছে। এ ছাড়া হেলথ এডুকেশন, হসপিটাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, কনসালট্যান্ট, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট, এনভায়রনমেন্টাল হেলথ, এপিডেমিওলজিস্ট, স্পেশালিস্ট হিসেবে কাজের সুযোগ রয়েছে।
পড়ার খরচ
পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকসে স্নাতক প্রোগ্রামের জন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচ খুবই কম। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রোগ্রামে ৮ থেকে ১২ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য ২ থেকে ৮ লাখ টাকা গুনতে হতে পারে। তবে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও বেশি টাকা গুনতে হতে পারে।
জনস্বাস্থ্যে গ্র্যাজুয়েটদের প্রয়োজনীয়তা
বাংলাদেশে পাবলিক হেলথ বিষয়ে গ্র্যাজুয়েটদের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বিভিন্ন কারণে সৃষ্ট নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি, যেমন—করোনা, বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু, জিকা, কলেরা, বসন্ত, মহামারি এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্য, যেমন—বায়ুদূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় পাবলিক হেলথ বিশেষজ্ঞ ও গ্র্যাজুয়েটদের গুরুত্ব অপরিসীম। করোনা মহামারির পর পাবলিক হেলথের গুরুত্ব মানুষ বুঝতে পেরেছে। একটা মহামারি পুরো দেশ বা বিশ্বকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দেয়। এই মহামারি থেকে জনগণকে সচেতন করা এবং রোগ থেকে রক্ষা করতে পাবলিক হেলথে গ্র্যাজুয়েটদের অনেক বড় ভূমিকা থাকে। করোনা মহামারির সময় মানুষকে সচেতন ও শিক্ষাদানে পাবলিক হেলথ গ্র্যাজুয়েটরা কাজ করেছেন। দেশে নানাবিধ রোগব্যাধির পাশাপাশি হেলথ সেক্টরে জটিলতা রয়েছে। তাই পাবলিক হেলথে গ্র্যাজুয়েটদের প্রয়োজন আছে। বর্তমানে আমাদের হেলথ সেক্টরটগুলো ক্লিনিক পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। তাই গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সরকারিভাবে সুনির্দিষ্ট কাজের সুযোগ করে দিতে হবে। তারা প্রতিটি কমিউনিটিতে কাজ করতে পারলে সবার স্বাস্থ্যগত দিকের উন্নতি হবে। এ ছাড়া হেলথ সেক্টরের পলিসি লেভেলে গ্র্যাজুয়েটদের গুরুত্ব অনেক বেশি।
উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি উন্নত দেশগুলোতে পাবলিক হেলথে উচ্চশিক্ষার অনেক সুযোগ রয়েছে। বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাবলিক হেলথের ওপর স্কুল রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অনার্স (বিপিএইচ), মাস্টার্স (এমপিএইচ), এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামের ওপর বৃত্তি দিয়ে থাকে। পাবলিক হেলথে ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে শিক্ষার্থীদের প্রচুর বৃত্তি, অনুদান এবং অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হয়। পাবলিক হেলথের ওপর ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল হেলথ অ্যাসোসিয়েশন, ডেভিড এ. উইস্টোন হেলথ পলিসি স্কলারস প্রোগ্রাম, এনভায়রনমেন্টাল পাবলিক হেলথ স্কলারশিপ, জর্জিয়া হেলথ ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ, টেক্সাস মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, ট্রুমান স্কলারশিপ, ইউনিভার্সিটি অব সান ফ্রান্সিসকো, ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস পাবলিক হেলথ স্কলারশিপ ইত্যাদি বৃত্তি দেওয়া হয়। সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী হার্ভার্ড, জন হপকিন্স ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ইউনিভার্সিটিতে উচ্চশিক্ষার জন্য পড়তে গেছেন।
ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম

পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বা জনস্বাস্থ্য হচ্ছে এমন একটা বিজ্ঞান এবং শিল্প, যা ব্যক্তি, সম্প্রদায়, সমাজ, সংস্থা ও সমাজে বিরাজমান আরও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ, মানবস্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং দীর্ঘায়িত সুস্থ জীবনের নিশ্চয়তা দেয়। পাবলিক হেলথের বা জনস্বাস্থ্যের বিষয়বস্তু হচ্ছে, মানুষের রোগ নিয়ে গবেষণা ও প্রতিরোধে পদ্ধতি-ব্যবস্থাপনার আবিষ্কার।
পড়ার যোগ্যতা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিষয়ে পড়াশোনা করতে চাইলে এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়তে হবে। এ বিষয়ে পড়ার জন্য এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ৪.০০ পয়েন্ট থাকতে হবে। এ ছাড়া উভয় পরীক্ষায় টোটাল জিপিএ সর্বনিম্ন ৯.০০ পয়েন্ট থাকতে হবে। পাশাপাশি জীববিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিতে এ গ্রেড থাকতে হবে। এ বিষয়ে কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। এসব প্রোগ্রামে ভর্তি হতে মেডিকেল সায়েন্স, সোশ্যাল সায়েন্স, বায়োলজিক্যাল সায়েন্স বিষয়ে অনার্স পাস হতে হবে।
কোথায় পড়া যাবে
বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস কোর্সটি ২০১১ সালে চালু হয়। এখানে স্নাতকের পাশাপাশি মাস্টার্স, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বেসরকারির মধ্যে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। তবে বেশ কটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু আছে। এর মধ্যে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি রয়েছে। এ ছাড়া ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন (নিপসম) থেকে এমবিবিএস ডাক্তাররা মাস্টার্স (এমপিএইচ) ডিগ্রি নিতে পারবেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এমবিবিএস ডাক্তারদের মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু হয়েছে।
যেসব কোর্সে পড়ানো হয়
পাবলিক হেলথ একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়। প্রোগ্রামটিতে বিজ্ঞান ও মানবিক শাখার কম্বিনেশন রয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি কোর্স রয়েছে। এর মধ্যে স্নাতক (বিপিএইচ) প্রোগ্রামে—ইন্ট্রোডাকশন টু পাবলিক হেলথ, বেসিক বায়োকেমিস্ট্রি, মেন্টাল হেলথ, হিউম্যান অ্যানাটমি, এপিডেমিওলজি, বায়োস্ট্যাটিস্টিকস, পাবলিক হেলথ নিউট্রিশন, এনভায়রনমেন্টাল হেলথ, অকুপেশনাল হেলথ, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট, রিপ্রোডাকটিভ অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ, হেলথ এডুকেশন অ্যান্ড হেলথ প্রমোশন, গ্লোবাল হেলথ, ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড হেলথ, ফুড সেফটি অ্যান্ড হেলথ ইত্যাদি কোর্স পড়ানো হয়। পাশাপাশি মাস্টার্স (এমপিএইচ) প্রোগ্রামে-অ্যাডভান্স এপিডেমিওলজি, সেক্সুয়াল অ্যান্ড রিপ্রোডাকটিভ হেলথ, বায়োইনফরমেটিকস, ট্রপিক্যাল ডিজেস, আরবান হেলথ, অ্যাডভান্স বায়োস্ট্যাটিস্টিকস, অ্যাডভান্স পাবলিক হেলথ নিউট্রিশন, অ্যাডভান্স এনভায়রনমেন্টাল হেলথ এবং গ্লোবাল মেন্টাল হেলথ ইত্যাদি কোর্সে পড়ানো হয়।
চাকরি বা কর্মসংস্থান কোথায়
পাবলিক হেলথে চাকরির অনেক সুযোগ রয়েছে। এখান থেকে অ্যাকাডেমিয়া, ইন্ডাস্ট্রি, রিসার্চ ইনস্টিটিউট, সরকারি অফিসার, নন-গভার্নমেন্ট অর্গানাইজেশন, ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সেক্টরে কাজের সুযোগ রয়েছে। বেশ কিছু মাল্টিন্যাশনাল এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন অর্গানাইজেশনে জবের সুযোগ রয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অর্গানাইজেশনের মধ্যে—আইইডিসিআর, আইসিডিডিআরবি, ডব্লিউএইচও, ইউএনএফপিএ, ইউএনডিপি, ইউএস ভলান্টিয়ার, এডিবি, ইউএনএআইডিএস, ব্র্যাক, সেভ দ্য চিলড্রেন, ওয়াটার এইড, ইউনিসেফ, জাইকা, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানে বিশাল কাজের ক্ষেত্র রয়েছে। এ ছাড়া হেলথ এডুকেশন, হসপিটাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, কনসালট্যান্ট, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট, এনভায়রনমেন্টাল হেলথ, এপিডেমিওলজিস্ট, স্পেশালিস্ট হিসেবে কাজের সুযোগ রয়েছে।
পড়ার খরচ
পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকসে স্নাতক প্রোগ্রামের জন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচ খুবই কম। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রোগ্রামে ৮ থেকে ১২ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য ২ থেকে ৮ লাখ টাকা গুনতে হতে পারে। তবে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও বেশি টাকা গুনতে হতে পারে।
জনস্বাস্থ্যে গ্র্যাজুয়েটদের প্রয়োজনীয়তা
বাংলাদেশে পাবলিক হেলথ বিষয়ে গ্র্যাজুয়েটদের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বিভিন্ন কারণে সৃষ্ট নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি, যেমন—করোনা, বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু, জিকা, কলেরা, বসন্ত, মহামারি এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্য, যেমন—বায়ুদূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় পাবলিক হেলথ বিশেষজ্ঞ ও গ্র্যাজুয়েটদের গুরুত্ব অপরিসীম। করোনা মহামারির পর পাবলিক হেলথের গুরুত্ব মানুষ বুঝতে পেরেছে। একটা মহামারি পুরো দেশ বা বিশ্বকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দেয়। এই মহামারি থেকে জনগণকে সচেতন করা এবং রোগ থেকে রক্ষা করতে পাবলিক হেলথে গ্র্যাজুয়েটদের অনেক বড় ভূমিকা থাকে। করোনা মহামারির সময় মানুষকে সচেতন ও শিক্ষাদানে পাবলিক হেলথ গ্র্যাজুয়েটরা কাজ করেছেন। দেশে নানাবিধ রোগব্যাধির পাশাপাশি হেলথ সেক্টরে জটিলতা রয়েছে। তাই পাবলিক হেলথে গ্র্যাজুয়েটদের প্রয়োজন আছে। বর্তমানে আমাদের হেলথ সেক্টরটগুলো ক্লিনিক পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। তাই গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সরকারিভাবে সুনির্দিষ্ট কাজের সুযোগ করে দিতে হবে। তারা প্রতিটি কমিউনিটিতে কাজ করতে পারলে সবার স্বাস্থ্যগত দিকের উন্নতি হবে। এ ছাড়া হেলথ সেক্টরের পলিসি লেভেলে গ্র্যাজুয়েটদের গুরুত্ব অনেক বেশি।
উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি উন্নত দেশগুলোতে পাবলিক হেলথে উচ্চশিক্ষার অনেক সুযোগ রয়েছে। বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাবলিক হেলথের ওপর স্কুল রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অনার্স (বিপিএইচ), মাস্টার্স (এমপিএইচ), এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামের ওপর বৃত্তি দিয়ে থাকে। পাবলিক হেলথে ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে শিক্ষার্থীদের প্রচুর বৃত্তি, অনুদান এবং অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হয়। পাবলিক হেলথের ওপর ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল হেলথ অ্যাসোসিয়েশন, ডেভিড এ. উইস্টোন হেলথ পলিসি স্কলারস প্রোগ্রাম, এনভায়রনমেন্টাল পাবলিক হেলথ স্কলারশিপ, জর্জিয়া হেলথ ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ, টেক্সাস মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, ট্রুমান স্কলারশিপ, ইউনিভার্সিটি অব সান ফ্রান্সিসকো, ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস পাবলিক হেলথ স্কলারশিপ ইত্যাদি বৃত্তি দেওয়া হয়। সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী হার্ভার্ড, জন হপকিন্স ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ইউনিভার্সিটিতে উচ্চশিক্ষার জন্য পড়তে গেছেন।
ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন

পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বা জনস্বাস্থ্য হচ্ছে এমন একটা বিজ্ঞান এবং শিল্প, যা ব্যক্তি, সম্প্রদায়, সমাজ, সংস্থা ও সমাজে বিরাজমান আরও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ, মানবস্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং দীর্ঘায়িত সুস্থ জীবনের নিশ্চয়তা দেয়। পাবলিক হেলথের বা জনস্বাস্থ্যের বিষয়বস্তু হচ্ছে, মানুষের রোগ নিয়ে গবেষণা ও প্রতিরোধে পদ্ধতি-ব্যবস্থাপনার আবিষ্কার।
পড়ার যোগ্যতা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিষয়ে পড়াশোনা করতে চাইলে এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়তে হবে। এ বিষয়ে পড়ার জন্য এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ৪.০০ পয়েন্ট থাকতে হবে। এ ছাড়া উভয় পরীক্ষায় টোটাল জিপিএ সর্বনিম্ন ৯.০০ পয়েন্ট থাকতে হবে। পাশাপাশি জীববিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিতে এ গ্রেড থাকতে হবে। এ বিষয়ে কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। এসব প্রোগ্রামে ভর্তি হতে মেডিকেল সায়েন্স, সোশ্যাল সায়েন্স, বায়োলজিক্যাল সায়েন্স বিষয়ে অনার্স পাস হতে হবে।
কোথায় পড়া যাবে
বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস কোর্সটি ২০১১ সালে চালু হয়। এখানে স্নাতকের পাশাপাশি মাস্টার্স, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বেসরকারির মধ্যে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। তবে বেশ কটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু আছে। এর মধ্যে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি রয়েছে। এ ছাড়া ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন (নিপসম) থেকে এমবিবিএস ডাক্তাররা মাস্টার্স (এমপিএইচ) ডিগ্রি নিতে পারবেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এমবিবিএস ডাক্তারদের মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু হয়েছে।
যেসব কোর্সে পড়ানো হয়
পাবলিক হেলথ একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়। প্রোগ্রামটিতে বিজ্ঞান ও মানবিক শাখার কম্বিনেশন রয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি কোর্স রয়েছে। এর মধ্যে স্নাতক (বিপিএইচ) প্রোগ্রামে—ইন্ট্রোডাকশন টু পাবলিক হেলথ, বেসিক বায়োকেমিস্ট্রি, মেন্টাল হেলথ, হিউম্যান অ্যানাটমি, এপিডেমিওলজি, বায়োস্ট্যাটিস্টিকস, পাবলিক হেলথ নিউট্রিশন, এনভায়রনমেন্টাল হেলথ, অকুপেশনাল হেলথ, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট, রিপ্রোডাকটিভ অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ, হেলথ এডুকেশন অ্যান্ড হেলথ প্রমোশন, গ্লোবাল হেলথ, ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড হেলথ, ফুড সেফটি অ্যান্ড হেলথ ইত্যাদি কোর্স পড়ানো হয়। পাশাপাশি মাস্টার্স (এমপিএইচ) প্রোগ্রামে-অ্যাডভান্স এপিডেমিওলজি, সেক্সুয়াল অ্যান্ড রিপ্রোডাকটিভ হেলথ, বায়োইনফরমেটিকস, ট্রপিক্যাল ডিজেস, আরবান হেলথ, অ্যাডভান্স বায়োস্ট্যাটিস্টিকস, অ্যাডভান্স পাবলিক হেলথ নিউট্রিশন, অ্যাডভান্স এনভায়রনমেন্টাল হেলথ এবং গ্লোবাল মেন্টাল হেলথ ইত্যাদি কোর্সে পড়ানো হয়।
চাকরি বা কর্মসংস্থান কোথায়
পাবলিক হেলথে চাকরির অনেক সুযোগ রয়েছে। এখান থেকে অ্যাকাডেমিয়া, ইন্ডাস্ট্রি, রিসার্চ ইনস্টিটিউট, সরকারি অফিসার, নন-গভার্নমেন্ট অর্গানাইজেশন, ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সেক্টরে কাজের সুযোগ রয়েছে। বেশ কিছু মাল্টিন্যাশনাল এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন অর্গানাইজেশনে জবের সুযোগ রয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অর্গানাইজেশনের মধ্যে—আইইডিসিআর, আইসিডিডিআরবি, ডব্লিউএইচও, ইউএনএফপিএ, ইউএনডিপি, ইউএস ভলান্টিয়ার, এডিবি, ইউএনএআইডিএস, ব্র্যাক, সেভ দ্য চিলড্রেন, ওয়াটার এইড, ইউনিসেফ, জাইকা, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানে বিশাল কাজের ক্ষেত্র রয়েছে। এ ছাড়া হেলথ এডুকেশন, হসপিটাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, কনসালট্যান্ট, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট, এনভায়রনমেন্টাল হেলথ, এপিডেমিওলজিস্ট, স্পেশালিস্ট হিসেবে কাজের সুযোগ রয়েছে।
পড়ার খরচ
পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকসে স্নাতক প্রোগ্রামের জন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচ খুবই কম। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রোগ্রামে ৮ থেকে ১২ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য ২ থেকে ৮ লাখ টাকা গুনতে হতে পারে। তবে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও বেশি টাকা গুনতে হতে পারে।
জনস্বাস্থ্যে গ্র্যাজুয়েটদের প্রয়োজনীয়তা
বাংলাদেশে পাবলিক হেলথ বিষয়ে গ্র্যাজুয়েটদের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বিভিন্ন কারণে সৃষ্ট নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি, যেমন—করোনা, বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু, জিকা, কলেরা, বসন্ত, মহামারি এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্য, যেমন—বায়ুদূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় পাবলিক হেলথ বিশেষজ্ঞ ও গ্র্যাজুয়েটদের গুরুত্ব অপরিসীম। করোনা মহামারির পর পাবলিক হেলথের গুরুত্ব মানুষ বুঝতে পেরেছে। একটা মহামারি পুরো দেশ বা বিশ্বকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দেয়। এই মহামারি থেকে জনগণকে সচেতন করা এবং রোগ থেকে রক্ষা করতে পাবলিক হেলথে গ্র্যাজুয়েটদের অনেক বড় ভূমিকা থাকে। করোনা মহামারির সময় মানুষকে সচেতন ও শিক্ষাদানে পাবলিক হেলথ গ্র্যাজুয়েটরা কাজ করেছেন। দেশে নানাবিধ রোগব্যাধির পাশাপাশি হেলথ সেক্টরে জটিলতা রয়েছে। তাই পাবলিক হেলথে গ্র্যাজুয়েটদের প্রয়োজন আছে। বর্তমানে আমাদের হেলথ সেক্টরটগুলো ক্লিনিক পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। তাই গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সরকারিভাবে সুনির্দিষ্ট কাজের সুযোগ করে দিতে হবে। তারা প্রতিটি কমিউনিটিতে কাজ করতে পারলে সবার স্বাস্থ্যগত দিকের উন্নতি হবে। এ ছাড়া হেলথ সেক্টরের পলিসি লেভেলে গ্র্যাজুয়েটদের গুরুত্ব অনেক বেশি।
উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি উন্নত দেশগুলোতে পাবলিক হেলথে উচ্চশিক্ষার অনেক সুযোগ রয়েছে। বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাবলিক হেলথের ওপর স্কুল রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অনার্স (বিপিএইচ), মাস্টার্স (এমপিএইচ), এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামের ওপর বৃত্তি দিয়ে থাকে। পাবলিক হেলথে ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে শিক্ষার্থীদের প্রচুর বৃত্তি, অনুদান এবং অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হয়। পাবলিক হেলথের ওপর ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল হেলথ অ্যাসোসিয়েশন, ডেভিড এ. উইস্টোন হেলথ পলিসি স্কলারস প্রোগ্রাম, এনভায়রনমেন্টাল পাবলিক হেলথ স্কলারশিপ, জর্জিয়া হেলথ ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ, টেক্সাস মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, ট্রুমান স্কলারশিপ, ইউনিভার্সিটি অব সান ফ্রান্সিসকো, ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস পাবলিক হেলথ স্কলারশিপ ইত্যাদি বৃত্তি দেওয়া হয়। সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী হার্ভার্ড, জন হপকিন্স ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ইউনিভার্সিটিতে উচ্চশিক্ষার জন্য পড়তে গেছেন।
ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম

পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বা জনস্বাস্থ্য হচ্ছে এমন একটা বিজ্ঞান এবং শিল্প, যা ব্যক্তি, সম্প্রদায়, সমাজ, সংস্থা ও সমাজে বিরাজমান আরও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ, মানবস্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং দীর্ঘায়িত সুস্থ জীবনের নিশ্চয়তা দেয়। পাবলিক হেলথের বা জনস্বাস্থ্যের বিষয়বস্তু হচ্ছে, মানুষের রোগ নিয়ে গবেষণা ও প্রতিরোধে পদ্ধতি-ব্যবস্থাপনার আবিষ্কার।
পড়ার যোগ্যতা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিষয়ে পড়াশোনা করতে চাইলে এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়তে হবে। এ বিষয়ে পড়ার জন্য এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ৪.০০ পয়েন্ট থাকতে হবে। এ ছাড়া উভয় পরীক্ষায় টোটাল জিপিএ সর্বনিম্ন ৯.০০ পয়েন্ট থাকতে হবে। পাশাপাশি জীববিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিতে এ গ্রেড থাকতে হবে। এ বিষয়ে কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। এসব প্রোগ্রামে ভর্তি হতে মেডিকেল সায়েন্স, সোশ্যাল সায়েন্স, বায়োলজিক্যাল সায়েন্স বিষয়ে অনার্স পাস হতে হবে।
কোথায় পড়া যাবে
বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস কোর্সটি ২০১১ সালে চালু হয়। এখানে স্নাতকের পাশাপাশি মাস্টার্স, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বেসরকারির মধ্যে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। তবে বেশ কটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু আছে। এর মধ্যে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি রয়েছে। এ ছাড়া ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন (নিপসম) থেকে এমবিবিএস ডাক্তাররা মাস্টার্স (এমপিএইচ) ডিগ্রি নিতে পারবেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এমবিবিএস ডাক্তারদের মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু হয়েছে।
যেসব কোর্সে পড়ানো হয়
পাবলিক হেলথ একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়। প্রোগ্রামটিতে বিজ্ঞান ও মানবিক শাখার কম্বিনেশন রয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি কোর্স রয়েছে। এর মধ্যে স্নাতক (বিপিএইচ) প্রোগ্রামে—ইন্ট্রোডাকশন টু পাবলিক হেলথ, বেসিক বায়োকেমিস্ট্রি, মেন্টাল হেলথ, হিউম্যান অ্যানাটমি, এপিডেমিওলজি, বায়োস্ট্যাটিস্টিকস, পাবলিক হেলথ নিউট্রিশন, এনভায়রনমেন্টাল হেলথ, অকুপেশনাল হেলথ, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট, রিপ্রোডাকটিভ অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ, হেলথ এডুকেশন অ্যান্ড হেলথ প্রমোশন, গ্লোবাল হেলথ, ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড হেলথ, ফুড সেফটি অ্যান্ড হেলথ ইত্যাদি কোর্স পড়ানো হয়। পাশাপাশি মাস্টার্স (এমপিএইচ) প্রোগ্রামে-অ্যাডভান্স এপিডেমিওলজি, সেক্সুয়াল অ্যান্ড রিপ্রোডাকটিভ হেলথ, বায়োইনফরমেটিকস, ট্রপিক্যাল ডিজেস, আরবান হেলথ, অ্যাডভান্স বায়োস্ট্যাটিস্টিকস, অ্যাডভান্স পাবলিক হেলথ নিউট্রিশন, অ্যাডভান্স এনভায়রনমেন্টাল হেলথ এবং গ্লোবাল মেন্টাল হেলথ ইত্যাদি কোর্সে পড়ানো হয়।
চাকরি বা কর্মসংস্থান কোথায়
পাবলিক হেলথে চাকরির অনেক সুযোগ রয়েছে। এখান থেকে অ্যাকাডেমিয়া, ইন্ডাস্ট্রি, রিসার্চ ইনস্টিটিউট, সরকারি অফিসার, নন-গভার্নমেন্ট অর্গানাইজেশন, ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সেক্টরে কাজের সুযোগ রয়েছে। বেশ কিছু মাল্টিন্যাশনাল এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন অর্গানাইজেশনে জবের সুযোগ রয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অর্গানাইজেশনের মধ্যে—আইইডিসিআর, আইসিডিডিআরবি, ডব্লিউএইচও, ইউএনএফপিএ, ইউএনডিপি, ইউএস ভলান্টিয়ার, এডিবি, ইউএনএআইডিএস, ব্র্যাক, সেভ দ্য চিলড্রেন, ওয়াটার এইড, ইউনিসেফ, জাইকা, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানে বিশাল কাজের ক্ষেত্র রয়েছে। এ ছাড়া হেলথ এডুকেশন, হসপিটাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, কনসালট্যান্ট, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট, এনভায়রনমেন্টাল হেলথ, এপিডেমিওলজিস্ট, স্পেশালিস্ট হিসেবে কাজের সুযোগ রয়েছে।
পড়ার খরচ
পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকসে স্নাতক প্রোগ্রামের জন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচ খুবই কম। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রোগ্রামে ৮ থেকে ১২ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য ২ থেকে ৮ লাখ টাকা গুনতে হতে পারে। তবে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও বেশি টাকা গুনতে হতে পারে।
জনস্বাস্থ্যে গ্র্যাজুয়েটদের প্রয়োজনীয়তা
বাংলাদেশে পাবলিক হেলথ বিষয়ে গ্র্যাজুয়েটদের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বিভিন্ন কারণে সৃষ্ট নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি, যেমন—করোনা, বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু, জিকা, কলেরা, বসন্ত, মহামারি এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্য, যেমন—বায়ুদূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় পাবলিক হেলথ বিশেষজ্ঞ ও গ্র্যাজুয়েটদের গুরুত্ব অপরিসীম। করোনা মহামারির পর পাবলিক হেলথের গুরুত্ব মানুষ বুঝতে পেরেছে। একটা মহামারি পুরো দেশ বা বিশ্বকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দেয়। এই মহামারি থেকে জনগণকে সচেতন করা এবং রোগ থেকে রক্ষা করতে পাবলিক হেলথে গ্র্যাজুয়েটদের অনেক বড় ভূমিকা থাকে। করোনা মহামারির সময় মানুষকে সচেতন ও শিক্ষাদানে পাবলিক হেলথ গ্র্যাজুয়েটরা কাজ করেছেন। দেশে নানাবিধ রোগব্যাধির পাশাপাশি হেলথ সেক্টরে জটিলতা রয়েছে। তাই পাবলিক হেলথে গ্র্যাজুয়েটদের প্রয়োজন আছে। বর্তমানে আমাদের হেলথ সেক্টরটগুলো ক্লিনিক পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। তাই গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সরকারিভাবে সুনির্দিষ্ট কাজের সুযোগ করে দিতে হবে। তারা প্রতিটি কমিউনিটিতে কাজ করতে পারলে সবার স্বাস্থ্যগত দিকের উন্নতি হবে। এ ছাড়া হেলথ সেক্টরের পলিসি লেভেলে গ্র্যাজুয়েটদের গুরুত্ব অনেক বেশি।
উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি উন্নত দেশগুলোতে পাবলিক হেলথে উচ্চশিক্ষার অনেক সুযোগ রয়েছে। বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাবলিক হেলথের ওপর স্কুল রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অনার্স (বিপিএইচ), মাস্টার্স (এমপিএইচ), এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামের ওপর বৃত্তি দিয়ে থাকে। পাবলিক হেলথে ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে শিক্ষার্থীদের প্রচুর বৃত্তি, অনুদান এবং অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হয়। পাবলিক হেলথের ওপর ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল হেলথ অ্যাসোসিয়েশন, ডেভিড এ. উইস্টোন হেলথ পলিসি স্কলারস প্রোগ্রাম, এনভায়রনমেন্টাল পাবলিক হেলথ স্কলারশিপ, জর্জিয়া হেলথ ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ, টেক্সাস মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, ট্রুমান স্কলারশিপ, ইউনিভার্সিটি অব সান ফ্রান্সিসকো, ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস পাবলিক হেলথ স্কলারশিপ ইত্যাদি বৃত্তি দেওয়া হয়। সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী হার্ভার্ড, জন হপকিন্স ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ইউনিভার্সিটিতে উচ্চশিক্ষার জন্য পড়তে গেছেন।
ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
২ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
৫ ঘণ্টা আগে
ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে।
৬ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বা জনস্বাস্থ্য হচ্ছে এমন একটা বিজ্ঞান এবং শিল্প, যা ব্যক্তি, সম্প্রদায়, সমাজ, সংস্থা ও সমাজে বিরাজমান আরও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ, মানবস্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং দীর্ঘায়িত সুস্থ জীবনের নিশ্চয়তা দেয়। পাবলিক হেলথের বা জনস্বাস্থ্যের বিষয়ব
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
৫ ঘণ্টা আগে
ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
এআইইউবির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু মিয়া আকন্দ তুহিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মোঃ সাহাবুদ্দিনের সম্মতিক্রমে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন এবং গ্র্যাজুয়েটদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
এআইইউবির ২৩তম সমাবর্তনে বিভিন্ন অনুষদের মোট ১৭৬৬ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এবারের সমাবর্তনে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক পেয়েছেন ৩ জন; সুম্মা কাম লাউড পেয়েছেন ৪৩ জন; ম্যাগনা কাম লাউড পেয়েছেন ৭৪ জন; কাম লাউড পেয়েছেন ২৬ জন; ডা. আনোয়ারুল আবেদীন লিডারশিপ পদক পেয়েছেন ১৯ জন এবং ভাইস-চ্যান্সেলর পদক পেয়েছেন ২১ জন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাদিয়া আনোয়ার, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান।
সমাবর্তনের প্রধান অতিথি ড. আবেদ চৌধুরী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্ব বর্তমানে এক বড় সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সংকট হলো ঝুঁকি এবং সম্ভাবনার সমন্বয়। স্থানীয় ও বৈশ্বিকভাবে ঝুঁকি পরিমাপ এবং সম্ভাবনা বিবেচনায় দেখা যায়, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতাই সবচেয়ে বড় শক্তি।
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যেই সেই শিক্ষা প্রতিফলিত হয়। সংকট শনাক্ত এবং অতিক্রম করার সক্ষমতা রয়েছে তাদের এবং সংকটের বাইরে এগিয়ে যাওয়ার সামর্থ্যই দেশের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ আপনারাই।’
স্নাতকদের অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই মুহূর্তটি কেবল একটি সমাবর্তন নয়; এটি আপনার বহু বছরের পরিশ্রমের স্বীকৃতি। পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্টের চাপ, নির্ঘুম রাত, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও অটল থাকা, অভিভাবকদের কষ্টার্জিত টিউশন ফি আর আপনার নিজের নিষ্ঠা ও ত্যাগ, সবকিছুরই সম্মিলিত স্বীকৃতি এটি।’
স্বাগত বক্তব্যে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নাদিয়া আনোয়ার বলেন, ‘যখন আমি আপনাদের দিকে তাকাই, তখন শত শত গল্প ভেসে ওঠে। নীরবে লড়ে যাওয়া সংগ্রামের গল্প, হৃদয়ের গভীরে লালিত স্বপ্নের গল্প। সংশয়ে ভরা অসংখ্য রাত পেরিয়ে নতুন প্রত্যয়ে জেগে ওঠা সকালের গল্প। আপনারা এই মুহূর্তে পৌঁছেছেন কোনো কাকতালীয়তায় নয়; পৌঁছেছেন নিজের শক্তি, আশার আলো এবং ভবিষ্যতের প্রতি অটল অঙ্গীকারের পথ ধরে।’
অভিভাবকদের উদ্দেশে নাদিয়া আনোয়ার বলেন, ‘আপনাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা, সম্মান ও কৃতজ্ঞতা—এসব শুধু শব্দ নয়; এগুলো আমাদের অন্তরের গভীর অনুভূতির প্রকাশ। আপনারা নীরবে যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, হয়তো নিজের স্বপ্ন পিছিয়ে দিয়েছেন, হয়তো নিজের ইচ্ছাগুলো সংযত রেখেছেন, সেই ত্যাগই আজকের এই সাফল্যের প্রকৃত ভিত্তি।’
সমাবর্তন বক্তা ব্রাসেলসের আইআরইজি অবজারভেটরি অন একাডেমিক র্যাংকিং অ্যান্ড এক্সিলেন্সের এক্সিকিউটিভ কমিটি মেম্বার অধ্যাপক ড. হাবিব ফারদৌন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এআইইউবি’র মূলমন্ত্র ‘হোয়্যার লিডারস আর ক্রিয়েটেড’ কেবল একটি বাক্য নয়; এটি শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব এবং সমাজের প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিফলন। যেকোনো র্যাংকিংয়ের চেয়েও বড় বিষয় হলো, বিশ্ব আপনাকে চিনে নেওয়ার আগেই এআইইউবি আপনার সম্ভাবনায় বিশ্বাস করেছে। আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো শিখতে থাকা, আবার নতুনভাবে শিখতে পারা। এই চলমান শিক্ষণ-প্রক্রিয়ায় একজন কৌতূহলী মানুষ সেখানে সেতু নির্মাণ করেন, যেখানে অন্যরা কেবল দেয়াল দেখতে পান। ভবিষ্যৎ হবে তাদেরই, যারা এই সেতুগুলো গড়ে তুলতে সক্ষম।
শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে এআইইউবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আপনি এই স্তরে পৌঁছানোর জন্য দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছেন। তবে এখনো আপনাকে আরও অনেক দূর যেতে হবে এবং জীবনে সফল হতে আরও অনেক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হবে। মনে রাখবেন, এটি কোনো শেষ নয়, বরং সম্ভাবনাময় একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুরু।’
গ্র্যাজুয়েট, অভিভাবক ও সম্মানিত অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এআইইউবি’র উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘এআইইউবি’র পক্ষ থেকে আমরা সকল গ্রাজুয়েট, অভিভাবক ও অতিথিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আপনাদের উপস্থিতি আজকের অনুষ্ঠানে বিশেষ মর্যাদা ও গৌরব যুক্ত করেছে।’
অনুষ্ঠানে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইশতিয়াক আবেদীন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যরা, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কর্মকর্তারা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যরা, আমন্ত্রিত অতিথিরা, এআইইউবির কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, ডিন, শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
এআইইউবির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু মিয়া আকন্দ তুহিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মোঃ সাহাবুদ্দিনের সম্মতিক্রমে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন এবং গ্র্যাজুয়েটদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
এআইইউবির ২৩তম সমাবর্তনে বিভিন্ন অনুষদের মোট ১৭৬৬ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এবারের সমাবর্তনে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক পেয়েছেন ৩ জন; সুম্মা কাম লাউড পেয়েছেন ৪৩ জন; ম্যাগনা কাম লাউড পেয়েছেন ৭৪ জন; কাম লাউড পেয়েছেন ২৬ জন; ডা. আনোয়ারুল আবেদীন লিডারশিপ পদক পেয়েছেন ১৯ জন এবং ভাইস-চ্যান্সেলর পদক পেয়েছেন ২১ জন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাদিয়া আনোয়ার, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান।
সমাবর্তনের প্রধান অতিথি ড. আবেদ চৌধুরী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্ব বর্তমানে এক বড় সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সংকট হলো ঝুঁকি এবং সম্ভাবনার সমন্বয়। স্থানীয় ও বৈশ্বিকভাবে ঝুঁকি পরিমাপ এবং সম্ভাবনা বিবেচনায় দেখা যায়, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতাই সবচেয়ে বড় শক্তি।
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যেই সেই শিক্ষা প্রতিফলিত হয়। সংকট শনাক্ত এবং অতিক্রম করার সক্ষমতা রয়েছে তাদের এবং সংকটের বাইরে এগিয়ে যাওয়ার সামর্থ্যই দেশের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ আপনারাই।’
স্নাতকদের অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই মুহূর্তটি কেবল একটি সমাবর্তন নয়; এটি আপনার বহু বছরের পরিশ্রমের স্বীকৃতি। পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্টের চাপ, নির্ঘুম রাত, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও অটল থাকা, অভিভাবকদের কষ্টার্জিত টিউশন ফি আর আপনার নিজের নিষ্ঠা ও ত্যাগ, সবকিছুরই সম্মিলিত স্বীকৃতি এটি।’
স্বাগত বক্তব্যে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নাদিয়া আনোয়ার বলেন, ‘যখন আমি আপনাদের দিকে তাকাই, তখন শত শত গল্প ভেসে ওঠে। নীরবে লড়ে যাওয়া সংগ্রামের গল্প, হৃদয়ের গভীরে লালিত স্বপ্নের গল্প। সংশয়ে ভরা অসংখ্য রাত পেরিয়ে নতুন প্রত্যয়ে জেগে ওঠা সকালের গল্প। আপনারা এই মুহূর্তে পৌঁছেছেন কোনো কাকতালীয়তায় নয়; পৌঁছেছেন নিজের শক্তি, আশার আলো এবং ভবিষ্যতের প্রতি অটল অঙ্গীকারের পথ ধরে।’
অভিভাবকদের উদ্দেশে নাদিয়া আনোয়ার বলেন, ‘আপনাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা, সম্মান ও কৃতজ্ঞতা—এসব শুধু শব্দ নয়; এগুলো আমাদের অন্তরের গভীর অনুভূতির প্রকাশ। আপনারা নীরবে যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, হয়তো নিজের স্বপ্ন পিছিয়ে দিয়েছেন, হয়তো নিজের ইচ্ছাগুলো সংযত রেখেছেন, সেই ত্যাগই আজকের এই সাফল্যের প্রকৃত ভিত্তি।’
সমাবর্তন বক্তা ব্রাসেলসের আইআরইজি অবজারভেটরি অন একাডেমিক র্যাংকিং অ্যান্ড এক্সিলেন্সের এক্সিকিউটিভ কমিটি মেম্বার অধ্যাপক ড. হাবিব ফারদৌন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এআইইউবি’র মূলমন্ত্র ‘হোয়্যার লিডারস আর ক্রিয়েটেড’ কেবল একটি বাক্য নয়; এটি শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব এবং সমাজের প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিফলন। যেকোনো র্যাংকিংয়ের চেয়েও বড় বিষয় হলো, বিশ্ব আপনাকে চিনে নেওয়ার আগেই এআইইউবি আপনার সম্ভাবনায় বিশ্বাস করেছে। আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো শিখতে থাকা, আবার নতুনভাবে শিখতে পারা। এই চলমান শিক্ষণ-প্রক্রিয়ায় একজন কৌতূহলী মানুষ সেখানে সেতু নির্মাণ করেন, যেখানে অন্যরা কেবল দেয়াল দেখতে পান। ভবিষ্যৎ হবে তাদেরই, যারা এই সেতুগুলো গড়ে তুলতে সক্ষম।
শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে এআইইউবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আপনি এই স্তরে পৌঁছানোর জন্য দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছেন। তবে এখনো আপনাকে আরও অনেক দূর যেতে হবে এবং জীবনে সফল হতে আরও অনেক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হবে। মনে রাখবেন, এটি কোনো শেষ নয়, বরং সম্ভাবনাময় একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুরু।’
গ্র্যাজুয়েট, অভিভাবক ও সম্মানিত অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এআইইউবি’র উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘এআইইউবি’র পক্ষ থেকে আমরা সকল গ্রাজুয়েট, অভিভাবক ও অতিথিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আপনাদের উপস্থিতি আজকের অনুষ্ঠানে বিশেষ মর্যাদা ও গৌরব যুক্ত করেছে।’
অনুষ্ঠানে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইশতিয়াক আবেদীন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যরা, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কর্মকর্তারা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যরা, আমন্ত্রিত অতিথিরা, এআইইউবির কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, ডিন, শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।

পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বা জনস্বাস্থ্য হচ্ছে এমন একটা বিজ্ঞান এবং শিল্প, যা ব্যক্তি, সম্প্রদায়, সমাজ, সংস্থা ও সমাজে বিরাজমান আরও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ, মানবস্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং দীর্ঘায়িত সুস্থ জীবনের নিশ্চয়তা দেয়। পাবলিক হেলথের বা জনস্বাস্থ্যের বিষয়ব
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
২ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
৫ ঘণ্টা আগে
ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে।
৬ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব। কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী—সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে জীবন বাজি রেখেছিলেন। বিজয় দিবস স্মরণ করিয়ে দেয়—ঐক্য, সাহস ও ন্যায্যতা কখনো হারায় না। ১৬ ডিসেম্বরের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন তাঁদের মতামত ও ভাবনার কথা।

বিজয় শুধু স্মৃতিতে নয়, চাই বাস্তব রূপ
জোলেখা আক্তার জিনিয়া
শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ।
মহান বিজয় দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, বাংলাদেশিরা অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারে। কিন্তু ৫৪ বছর পরও দেশের অগ্রযাত্রায় বহিরাগত চাপ, দুর্নীতি, বৈষম্য ও দমন-পীড়ন বড় বাধা। আজকের তরুণেরা বিজয়কে শুধু স্মৃতিতে নয়, চায় বাস্তব রূপ দিতে। তাদের প্রত্যাশা স্বচ্ছ, ন্যায়ভিত্তিক, আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ। চায় বাক্স্বাধীনতা, সমান অধিকার আর গুম-খুনহীন বাংলাদেশ। বিজয় মানে যুক্তি, মূল্যবোধ, সুশাসন, মানসম্মত শিক্ষা ও সমান সুযোগ। দেশের পরিবর্তন সম্ভব হবে সবাই বিজয়ের চেতনাকে সাহস ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে বহন করলে। ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই।

শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদার বাংলাদেশ গড়ে তুলব
তানজিল কাজী
শিক্ষার্থী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির সাহস, একতা আর অদম্য প্রেরণার প্রতীক। ১৯৭১ সালে কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র ও শিক্ষকেরা জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন। তাঁদের অদম্য সাহস ও দেশপ্রেম আধুনিক অস্ত্রকেও পরাজিত করেছিল। বিজয় শুধু আনন্দের নয়, দায়িত্বেরও। আমাদের লক্ষ্য হতে হবে ন্যায়বিচার, সমতা ও মানবিকতায় সমৃদ্ধ সমাজ গড়া। নেতৃত্ব, যোগাযোগ ও সমালোচনামূলক চিন্তা হোক জাতীয় উন্নয়নের চালিকাশক্তি। আজ আমরা শহীদদের স্মরণ করি, মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতজ্ঞতা জানাই এবং শপথ করি—দেশকে ভালোবাসব, সত্যের পথে অবিচল থাকব, শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলব।

ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে পারিনি
সাজিয়া রহমান ঈশি
শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বিজয়ের আগেই পাকিস্তানি বাহিনী জানত, এই জাতিকে কোনোভাবেই দমানো যাবে না। তারা চেষ্টা করেছিল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে নেতৃত্বহীন বাংলাদেশ গড়ার। কিন্তু নতুন রাষ্ট্র প্রমাণ করল, বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ন্যায়ের সাহসে দাঁড়িয়েছে। ৫৪ বছর পরও আমরা স্বপ্নের ন্যায়বিচার, বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে পারিনি। অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাঝে এখনো লেগে আছে বৈষম্য, অন্যায় ও সুযোগের অসম বণ্টন। তবু আশা আছে—যদি মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখি, ন্যায়কে প্রতিদিনের অভ্যাস করি, তাহলে একদিন আমরা গড়ে তুলতে পারব আমাদের স্বপ্নের, সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ।

এবারের বিজয়ের মাস যেন এক নতুন আলোয় ভাসছে
এস এম রেদোয়ানুল হাসান রায়হান
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
স্বাধীনতার উচ্ছ্বাস আমরা এত দিন ইতিহাসের পাতায় পাতায় দেখেছি, এবার সেটি বাস্তবের রঙে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। দমবন্ধ অন্ধকার ভেদ করে যে মুক্তির হাওয়া বইছে চারদিকে; মনে হচ্ছে, জাতি আবার নতুন করে শ্বাস নিতে শিখছে। ব্যক্তিগত অনুভূতিতে এ যেন এক গভীর স্বস্তি—ভয় আর হুমকির দিন শেষ হয়ে যাওয়া আর সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর শক্তি ফিরে পাওয়া। বিজয়ের লাল-সবুজ এবার শুধু স্মৃতির প্রতীক নয়, আমাদের আশার অঙ্গীকার।

বিজয় কি আজও পরম আরাধ্য, নাকি অপ্রাপ্তির শিকল
সামিহা সিরাজী লাজ
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাঙালির অস্তিত্ব, স্বাধিকার ও স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোত জড়ানো ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় আজও বহু অপ্রাপ্তির সঙ্গী। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, আইনশৃঙ্খলা ও নীতির অভাব নাগরিকদের পরম স্বাধীনতার আনন্দে বাধা। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা, রাজনৈতিক দলগুলোর অদূরদর্শিতা দেশের অগ্রগতিকে সীমিত করেছে। তবু নতুন প্রজন্ম ও ছাত্র-জনতা নতুন রাজনৈতিক উপাখ্যানের সূচনা করছে। সমাজের অবহেলার মাঝে বিজয় দিবস মনে করিয়ে দেয়, স্বাধীনতা অর্জন শুধুই ইতিহাস নয়, প্রাপ্তির আনন্দে প্রত্যেক মানুষের প্রাণে রাঙানো এক চলমান সংগ্রাম।

নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক
মো. আবুজার গিফারী
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
আর এক দিন পর মহান মুক্তিযুদ্ধ ৫৫ বছরে পা দেবে। স্বাধীনতার দীর্ঘ পথচলায় আমরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নানা অর্জন করেছি। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়, আমাদের আকাঙ্ক্ষার কতটুকু পূরণ করতে পেরেছি? নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান রাজনৈতিক নেতৃত্বে সংঘটিত হলেও চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান ছাত্র-জনতার বিস্ময়কর জাগরণের ফল। ছাত্রসমাজের এই ভূমিকা দেশের রাজনীতিতে নতুন বাস্তবতার জন্ম দিয়েছে। ভবিষ্যতে রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ মুখ্য হবে। রাষ্ট্র পরিচালনা, নীতিনির্ধারণ ও সংসদীয় নেতৃত্বে তরুণেরা এগিয়ে আসবে। বৃহত্তর রাজনৈতিক দলগুলো এরই মধ্যে তরুণ নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। মহান বিজয় দিবস শুধু উদ্যাপন নয়, এটি নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক।

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব। কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী—সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে জীবন বাজি রেখেছিলেন। বিজয় দিবস স্মরণ করিয়ে দেয়—ঐক্য, সাহস ও ন্যায্যতা কখনো হারায় না। ১৬ ডিসেম্বরের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন তাঁদের মতামত ও ভাবনার কথা।

বিজয় শুধু স্মৃতিতে নয়, চাই বাস্তব রূপ
জোলেখা আক্তার জিনিয়া
শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ।
মহান বিজয় দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, বাংলাদেশিরা অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারে। কিন্তু ৫৪ বছর পরও দেশের অগ্রযাত্রায় বহিরাগত চাপ, দুর্নীতি, বৈষম্য ও দমন-পীড়ন বড় বাধা। আজকের তরুণেরা বিজয়কে শুধু স্মৃতিতে নয়, চায় বাস্তব রূপ দিতে। তাদের প্রত্যাশা স্বচ্ছ, ন্যায়ভিত্তিক, আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ। চায় বাক্স্বাধীনতা, সমান অধিকার আর গুম-খুনহীন বাংলাদেশ। বিজয় মানে যুক্তি, মূল্যবোধ, সুশাসন, মানসম্মত শিক্ষা ও সমান সুযোগ। দেশের পরিবর্তন সম্ভব হবে সবাই বিজয়ের চেতনাকে সাহস ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে বহন করলে। ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই।

শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদার বাংলাদেশ গড়ে তুলব
তানজিল কাজী
শিক্ষার্থী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির সাহস, একতা আর অদম্য প্রেরণার প্রতীক। ১৯৭১ সালে কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র ও শিক্ষকেরা জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন। তাঁদের অদম্য সাহস ও দেশপ্রেম আধুনিক অস্ত্রকেও পরাজিত করেছিল। বিজয় শুধু আনন্দের নয়, দায়িত্বেরও। আমাদের লক্ষ্য হতে হবে ন্যায়বিচার, সমতা ও মানবিকতায় সমৃদ্ধ সমাজ গড়া। নেতৃত্ব, যোগাযোগ ও সমালোচনামূলক চিন্তা হোক জাতীয় উন্নয়নের চালিকাশক্তি। আজ আমরা শহীদদের স্মরণ করি, মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতজ্ঞতা জানাই এবং শপথ করি—দেশকে ভালোবাসব, সত্যের পথে অবিচল থাকব, শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলব।

ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে পারিনি
সাজিয়া রহমান ঈশি
শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বিজয়ের আগেই পাকিস্তানি বাহিনী জানত, এই জাতিকে কোনোভাবেই দমানো যাবে না। তারা চেষ্টা করেছিল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে নেতৃত্বহীন বাংলাদেশ গড়ার। কিন্তু নতুন রাষ্ট্র প্রমাণ করল, বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ন্যায়ের সাহসে দাঁড়িয়েছে। ৫৪ বছর পরও আমরা স্বপ্নের ন্যায়বিচার, বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে পারিনি। অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাঝে এখনো লেগে আছে বৈষম্য, অন্যায় ও সুযোগের অসম বণ্টন। তবু আশা আছে—যদি মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখি, ন্যায়কে প্রতিদিনের অভ্যাস করি, তাহলে একদিন আমরা গড়ে তুলতে পারব আমাদের স্বপ্নের, সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ।

এবারের বিজয়ের মাস যেন এক নতুন আলোয় ভাসছে
এস এম রেদোয়ানুল হাসান রায়হান
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
স্বাধীনতার উচ্ছ্বাস আমরা এত দিন ইতিহাসের পাতায় পাতায় দেখেছি, এবার সেটি বাস্তবের রঙে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। দমবন্ধ অন্ধকার ভেদ করে যে মুক্তির হাওয়া বইছে চারদিকে; মনে হচ্ছে, জাতি আবার নতুন করে শ্বাস নিতে শিখছে। ব্যক্তিগত অনুভূতিতে এ যেন এক গভীর স্বস্তি—ভয় আর হুমকির দিন শেষ হয়ে যাওয়া আর সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর শক্তি ফিরে পাওয়া। বিজয়ের লাল-সবুজ এবার শুধু স্মৃতির প্রতীক নয়, আমাদের আশার অঙ্গীকার।

বিজয় কি আজও পরম আরাধ্য, নাকি অপ্রাপ্তির শিকল
সামিহা সিরাজী লাজ
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাঙালির অস্তিত্ব, স্বাধিকার ও স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোত জড়ানো ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় আজও বহু অপ্রাপ্তির সঙ্গী। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, আইনশৃঙ্খলা ও নীতির অভাব নাগরিকদের পরম স্বাধীনতার আনন্দে বাধা। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা, রাজনৈতিক দলগুলোর অদূরদর্শিতা দেশের অগ্রগতিকে সীমিত করেছে। তবু নতুন প্রজন্ম ও ছাত্র-জনতা নতুন রাজনৈতিক উপাখ্যানের সূচনা করছে। সমাজের অবহেলার মাঝে বিজয় দিবস মনে করিয়ে দেয়, স্বাধীনতা অর্জন শুধুই ইতিহাস নয়, প্রাপ্তির আনন্দে প্রত্যেক মানুষের প্রাণে রাঙানো এক চলমান সংগ্রাম।

নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক
মো. আবুজার গিফারী
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
আর এক দিন পর মহান মুক্তিযুদ্ধ ৫৫ বছরে পা দেবে। স্বাধীনতার দীর্ঘ পথচলায় আমরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নানা অর্জন করেছি। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়, আমাদের আকাঙ্ক্ষার কতটুকু পূরণ করতে পেরেছি? নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান রাজনৈতিক নেতৃত্বে সংঘটিত হলেও চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান ছাত্র-জনতার বিস্ময়কর জাগরণের ফল। ছাত্রসমাজের এই ভূমিকা দেশের রাজনীতিতে নতুন বাস্তবতার জন্ম দিয়েছে। ভবিষ্যতে রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ মুখ্য হবে। রাষ্ট্র পরিচালনা, নীতিনির্ধারণ ও সংসদীয় নেতৃত্বে তরুণেরা এগিয়ে আসবে। বৃহত্তর রাজনৈতিক দলগুলো এরই মধ্যে তরুণ নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। মহান বিজয় দিবস শুধু উদ্যাপন নয়, এটি নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতীক।

পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বা জনস্বাস্থ্য হচ্ছে এমন একটা বিজ্ঞান এবং শিল্প, যা ব্যক্তি, সম্প্রদায়, সমাজ, সংস্থা ও সমাজে বিরাজমান আরও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ, মানবস্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং দীর্ঘায়িত সুস্থ জীবনের নিশ্চয়তা দেয়। পাবলিক হেলথের বা জনস্বাস্থ্যের বিষয়ব
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
২ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে।
৬ ঘণ্টা আগেআজিনুর রহমান আজিম, পাটগ্রাম (লালমনিরহাট)

ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে। সংসারের দায় আর অর্থকষ্টের চাপে দিনে বই পড়ার সময় পান না রাবিউল। সকাল ৬টায় কনকনে ঠান্ডায় উঠে তাঁকে যেতে হয় কাজে। সন্ধ্যা পর্যন্ত রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে ইট, বালু ও সিমেন্ট নিয়ে শুরু হয় তাঁর জীবনসংগ্রাম। দিনের শেষে ক্লান্ত হাতে ধরতে হয় কলম ও খাতা। এই সংগ্রামের মধ্যেই দেখতে হয় জীবনের স্বপ্ন।
মাত্র ১৯ বছর বয়সী রাবিউল লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌরসভার সোহাগপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সাহিদুল ইসলামের ছেলে। তিন মাস বয়সে বাবাকে হারান। মা রাবেয়া বেগম একাকী সংসার চালানোর তাগিদে অন্যের ঘরবাড়িতে কাজ করে পরিবারকে টানতে থাকেন। পঞ্চম শ্রেণির পর থেকে সংসারের দায় রাবিউলের কাঁধে এসে পড়ে। এরপর তিনি রাজমিস্ত্রি, টাইলসের মিস্ত্রি ও রংমিস্ত্রির কাজ করতে করতে বড় হয়েছেন।
রাবিউল দিনের বেলা দেয়াল, ইট, সিমেন্ট দিয়ে ঘরবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের বাহ্যিক সৌন্দর্য বাড়ান, আবার রাতে পড়তে বসেন। পরিবারের তিন প্রজন্মের জীবন কেটে যাচ্ছে টিনের চালা ও ঝুপড়ি ঘরে, যেখানে বর্ষায় ঘরের ভেতরে পানি পড়ে, শীতে ঠান্ডা হাওয়া ঢোকে ফাঁকফোকর দিয়ে। তবু রাবিউল ও তাঁর পরিবার আশ্রয় খুঁজে নেন ভাঙাচোরা এই ঘরে।
কষ্টের মাঝেও তিনি স্বপ্ন দেখেন। ২০২৪ সালে পাটগ্রাম বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। চলতি বছর অনার্সে ভর্তি হওয়ার আশায় পুরোনো বই জোগাড় করেছেন। তিনি বলেন, ‘অর্থের অভাবে এখনো ভর্তি হতে পারিনি। আমার স্বপ্ন—একদিন পরিবারের মুখে হাসি ফোটাব।’
মা রাবেয়া বেগম বলেন, ‘স্বামী নেই ২০ বছর। অনেক কষ্টে সন্তানকে বড় করেছি। ছেলে রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাচ্ছে। টাকার অভাবে ঘরও ঠিক করতে পারছি না।’ প্রতিবেশী আব্দুস ছাত্তার বলেন, ‘রাবিউল ছোটবেলা থেকে মিস্ত্রির কাজ করে সংসারের হাল ধরেছে। তারা খুব অসহায়, থাকার জায়গা নেই।’
রাবিউল বলেন, ‘ইট, সিমেন্ট আর রং করার সময়ও আমি আলোর স্বপ্ন দেখি। ইচ্ছা—একদিন প্রতিষ্ঠিত হয়ে মায়ের মুখে হাসি ফোটানো।’

ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুম ভাঙে রাবিউল ইসলামের। ঘরের কোণে টেবিলে রাখা বই-খাতার দিকে চোখ পড়ে। ইচ্ছে হয় পড়তে বসতে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন হাত তাঁকে টেনে নেয় বাইরে, রাজমিস্ত্রির কাজে। সংসারের দায় আর অর্থকষ্টের চাপে দিনে বই পড়ার সময় পান না রাবিউল। সকাল ৬টায় কনকনে ঠান্ডায় উঠে তাঁকে যেতে হয় কাজে। সন্ধ্যা পর্যন্ত রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে ইট, বালু ও সিমেন্ট নিয়ে শুরু হয় তাঁর জীবনসংগ্রাম। দিনের শেষে ক্লান্ত হাতে ধরতে হয় কলম ও খাতা। এই সংগ্রামের মধ্যেই দেখতে হয় জীবনের স্বপ্ন।
মাত্র ১৯ বছর বয়সী রাবিউল লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌরসভার সোহাগপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সাহিদুল ইসলামের ছেলে। তিন মাস বয়সে বাবাকে হারান। মা রাবেয়া বেগম একাকী সংসার চালানোর তাগিদে অন্যের ঘরবাড়িতে কাজ করে পরিবারকে টানতে থাকেন। পঞ্চম শ্রেণির পর থেকে সংসারের দায় রাবিউলের কাঁধে এসে পড়ে। এরপর তিনি রাজমিস্ত্রি, টাইলসের মিস্ত্রি ও রংমিস্ত্রির কাজ করতে করতে বড় হয়েছেন।
রাবিউল দিনের বেলা দেয়াল, ইট, সিমেন্ট দিয়ে ঘরবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের বাহ্যিক সৌন্দর্য বাড়ান, আবার রাতে পড়তে বসেন। পরিবারের তিন প্রজন্মের জীবন কেটে যাচ্ছে টিনের চালা ও ঝুপড়ি ঘরে, যেখানে বর্ষায় ঘরের ভেতরে পানি পড়ে, শীতে ঠান্ডা হাওয়া ঢোকে ফাঁকফোকর দিয়ে। তবু রাবিউল ও তাঁর পরিবার আশ্রয় খুঁজে নেন ভাঙাচোরা এই ঘরে।
কষ্টের মাঝেও তিনি স্বপ্ন দেখেন। ২০২৪ সালে পাটগ্রাম বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। চলতি বছর অনার্সে ভর্তি হওয়ার আশায় পুরোনো বই জোগাড় করেছেন। তিনি বলেন, ‘অর্থের অভাবে এখনো ভর্তি হতে পারিনি। আমার স্বপ্ন—একদিন পরিবারের মুখে হাসি ফোটাব।’
মা রাবেয়া বেগম বলেন, ‘স্বামী নেই ২০ বছর। অনেক কষ্টে সন্তানকে বড় করেছি। ছেলে রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাচ্ছে। টাকার অভাবে ঘরও ঠিক করতে পারছি না।’ প্রতিবেশী আব্দুস ছাত্তার বলেন, ‘রাবিউল ছোটবেলা থেকে মিস্ত্রির কাজ করে সংসারের হাল ধরেছে। তারা খুব অসহায়, থাকার জায়গা নেই।’
রাবিউল বলেন, ‘ইট, সিমেন্ট আর রং করার সময়ও আমি আলোর স্বপ্ন দেখি। ইচ্ছা—একদিন প্রতিষ্ঠিত হয়ে মায়ের মুখে হাসি ফোটানো।’

পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বা জনস্বাস্থ্য হচ্ছে এমন একটা বিজ্ঞান এবং শিল্প, যা ব্যক্তি, সম্প্রদায়, সমাজ, সংস্থা ও সমাজে বিরাজমান আরও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ, মানবস্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং দীর্ঘায়িত সুস্থ জীবনের নিশ্চয়তা দেয়। পাবলিক হেলথের বা জনস্বাস্থ্যের বিষয়ব
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
২ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। দিনটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়; এটি প্রতিফলিত করে একতার শক্তি, ন্যায্যতা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য মনোভাব।
৫ ঘণ্টা আগে