আয়াজ উর রহমান
উচ্চশিক্ষার জন্য ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডস বিশ্বের অন্যতম। এখানের হেগ ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বিভাগে পড়াশোনা করছেন আয়াজ উর রহমান। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির খুঁটিনাটি নানা বিষয় তুলে ধরেছেন তিনি–
নেদারল্যান্ডসে টিউশন ফি একটু বেশি, তবে বৃত্তির সুযোগ আছে। স্নাতকে হল্যান্ড বৃত্তি, আর মাস্টার্স ও পিএইচডির জন্য ওকেপি ও ইরাসমুস মুন্ডুস বৃত্তি বেশ জনপ্রিয়। এ ছাড়াও দরিদ্র ছাত্রদের মেধার ভিত্তিতে বৃত্তি দিয়ে থাকে সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়। নেদারল্যান্ডসে পড়াশোনার খরচ ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় একটু বেশি। তবে কানাডার চেয়ে কম। স্নাতকে বছরে ৮০০০-১৫০০০ ইউরো পর্যন্ত টিউশন ফি প্রয়োজন হতে পারে। আর স্নাতকোত্তরে ৯৫০০-২৫০০০ ইউরো। বাণিজ্য বিষয়ে পড়ার খরচ বেশ কম।
ইংরেজিটা জানতে হবে
ইউরোপের যেকোনো দেশে ইংরেজি ভাষার চেয়ে নিজস্ব ভাষার প্রাধান্য বেশি। তবে এ ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডস ব্যতিক্রম দেশ, যেখানে ইংরেজিতে পড়াশোনা ও চাকরির বেশ সুযোগ আছে। নেদারল্যান্ডসের প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষ ইংরেজিতে কথা বলেন। তাই চলাফেরায় তেমন সমস্যা হয় না। তবে স্থায়ীভাবে বসবাস এবং চাকরিক্ষেত্রে প্রাধান্য পেতে ডাচ ভাষা জানা আবশ্যক।
আইইএলটিএস স্কোর
নেদারল্যান্ডসে ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য আইইএলটিএস-এ নূন্যতম ৬.৫ স্কোর থাকতে হবে। তবে ৬ পয়েন্ট নিয়েও কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। কিন্তু ইংলিশ কোর্স ছাড়া ভর্তির সুযোগ নেই বললেই চলে। স্নাতকোত্তরের ক্ষেত্রে অনেকে মিডিয়াম অব ইনস্ট্রাকশন সার্টিফিকেট দিয়ে আবেদন করে থাকেন। বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে এর গ্রহণযোগ্যতা নেই বললেই চলে।
নেদারল্যান্ডসের সেরা
নেদারল্যান্ডসে রয়েছে বিশ্বের নামকরা কিছু বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে লেইডেন বিশ্ববিদ্যালয়, ইরাসমুস বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াখেনিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়, রয়েল একাডেমি অব আর্টস উল্লেখযোগ্য।
সামাজিক বিজ্ঞান, ইউরোপীয় আইন বিষয়ে পড়াশোনার জন্য লেইডেন বিশ্ববিদ্যালয় ভালো। ফটোগ্রাফি, গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য রয়েল একাডেমি অন্যতম। এ ছাড়া পরিবেশ বিষয়ে পড়াশোনার জন্য ওয়াখেনিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি ১৫-২৫ হাজার ইউরো। এ ছাড়া স্বাস্থ্য বিষয়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রেও নেদারল্যান্ডসে ভালো সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে কেআইটি রয়েল ট্রপিক্যাল ইনস্টিটিউট উল্লেখযোগ্য। চিকিৎসকদের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় ভালো একটা সুযোগ হতে পারে। বিশেষ করে যাঁরা এনজিওতে কাজ করতে আগ্রহী।
সাংবাদিকতার জন্য ভালো
সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনা করতে যাঁরা আগ্রহী, তাঁদের জন্য নেদারল্যান্ডস খুবই চমৎকার একটি দেশ। বিশেষ করে যাঁরা বিশ্বের বিরোধপূর্ণ অঞ্চল সম্পর্কে পড়তে ও জানতে আগ্রহী। কারণ, নেদারল্যান্ডসে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ যেমন: সিরিয়া, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন থেকে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতে আসেন। সাংবাদিকতার বাইরেও বাণিজ্য ও আইন বিষয়ে পড়াশোনার ভালো সুযোগ রয়েছে।
ভিসা পাবেন যেভাবে
নেদারল্যান্ডসের স্টুডেন্ট ভিসা প্রক্রিয়া পুরোপুরি নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর। আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর সেই বিশ্ববিদ্যালয় নেদারল্যান্ডসের ইমিগ্রেশন অফিসে ভিসার জন্য আবেদন করবেন। তার আগে বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে ইনভয়েস পাঠাবে। সেখানে আপনার এক বছরের টিউশন ফি, এম্বাসি ফি, স্বাস্থ্যবীমা ও এক বছরের বসবাসের খরচ দেওয়া থাকবে। এই পুরো টাকাটা আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাবে পাঠানোর পরই বিশ্ববিদ্যালয় আপনার ভিসা প্রক্রিয়া শুরু করবে। ভিসা অনুমোদন লেটার পাওয়ার পর বাংলাদেশের ডাচ এম্বাসিতে আপনার পাসপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমাদানের ৭-১৪ দিনের মাথায় আপনার ভিসা পেয়ে যাবেন। বৃত্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ডকুমেন্ট দেখে থাকে। তাই যাঁরা ইন্টার্ন বা রিসার্চ করবেন তাঁরা চেষ্টা করবেন সব কাগজপত্র গুছিয়ে রাখতে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছরে আপনি কোন শিক্ষকের অধীনে কোন বিষয় পড়েছেন, তা থেকে আপনি কী কী শিখেছেন–এসবও বৃত্তির জন্য প্রয়োজন হয়।
লেখক: শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বিভাগ, হেগ ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্স, নেদারল্যান্ডস।
উচ্চশিক্ষার জন্য ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডস বিশ্বের অন্যতম। এখানের হেগ ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বিভাগে পড়াশোনা করছেন আয়াজ উর রহমান। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির খুঁটিনাটি নানা বিষয় তুলে ধরেছেন তিনি–
নেদারল্যান্ডসে টিউশন ফি একটু বেশি, তবে বৃত্তির সুযোগ আছে। স্নাতকে হল্যান্ড বৃত্তি, আর মাস্টার্স ও পিএইচডির জন্য ওকেপি ও ইরাসমুস মুন্ডুস বৃত্তি বেশ জনপ্রিয়। এ ছাড়াও দরিদ্র ছাত্রদের মেধার ভিত্তিতে বৃত্তি দিয়ে থাকে সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়। নেদারল্যান্ডসে পড়াশোনার খরচ ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় একটু বেশি। তবে কানাডার চেয়ে কম। স্নাতকে বছরে ৮০০০-১৫০০০ ইউরো পর্যন্ত টিউশন ফি প্রয়োজন হতে পারে। আর স্নাতকোত্তরে ৯৫০০-২৫০০০ ইউরো। বাণিজ্য বিষয়ে পড়ার খরচ বেশ কম।
ইংরেজিটা জানতে হবে
ইউরোপের যেকোনো দেশে ইংরেজি ভাষার চেয়ে নিজস্ব ভাষার প্রাধান্য বেশি। তবে এ ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডস ব্যতিক্রম দেশ, যেখানে ইংরেজিতে পড়াশোনা ও চাকরির বেশ সুযোগ আছে। নেদারল্যান্ডসের প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষ ইংরেজিতে কথা বলেন। তাই চলাফেরায় তেমন সমস্যা হয় না। তবে স্থায়ীভাবে বসবাস এবং চাকরিক্ষেত্রে প্রাধান্য পেতে ডাচ ভাষা জানা আবশ্যক।
আইইএলটিএস স্কোর
নেদারল্যান্ডসে ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য আইইএলটিএস-এ নূন্যতম ৬.৫ স্কোর থাকতে হবে। তবে ৬ পয়েন্ট নিয়েও কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। কিন্তু ইংলিশ কোর্স ছাড়া ভর্তির সুযোগ নেই বললেই চলে। স্নাতকোত্তরের ক্ষেত্রে অনেকে মিডিয়াম অব ইনস্ট্রাকশন সার্টিফিকেট দিয়ে আবেদন করে থাকেন। বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে এর গ্রহণযোগ্যতা নেই বললেই চলে।
নেদারল্যান্ডসের সেরা
নেদারল্যান্ডসে রয়েছে বিশ্বের নামকরা কিছু বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে লেইডেন বিশ্ববিদ্যালয়, ইরাসমুস বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াখেনিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়, রয়েল একাডেমি অব আর্টস উল্লেখযোগ্য।
সামাজিক বিজ্ঞান, ইউরোপীয় আইন বিষয়ে পড়াশোনার জন্য লেইডেন বিশ্ববিদ্যালয় ভালো। ফটোগ্রাফি, গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য রয়েল একাডেমি অন্যতম। এ ছাড়া পরিবেশ বিষয়ে পড়াশোনার জন্য ওয়াখেনিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি ১৫-২৫ হাজার ইউরো। এ ছাড়া স্বাস্থ্য বিষয়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রেও নেদারল্যান্ডসে ভালো সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে কেআইটি রয়েল ট্রপিক্যাল ইনস্টিটিউট উল্লেখযোগ্য। চিকিৎসকদের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় ভালো একটা সুযোগ হতে পারে। বিশেষ করে যাঁরা এনজিওতে কাজ করতে আগ্রহী।
সাংবাদিকতার জন্য ভালো
সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনা করতে যাঁরা আগ্রহী, তাঁদের জন্য নেদারল্যান্ডস খুবই চমৎকার একটি দেশ। বিশেষ করে যাঁরা বিশ্বের বিরোধপূর্ণ অঞ্চল সম্পর্কে পড়তে ও জানতে আগ্রহী। কারণ, নেদারল্যান্ডসে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ যেমন: সিরিয়া, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন থেকে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতে আসেন। সাংবাদিকতার বাইরেও বাণিজ্য ও আইন বিষয়ে পড়াশোনার ভালো সুযোগ রয়েছে।
ভিসা পাবেন যেভাবে
নেদারল্যান্ডসের স্টুডেন্ট ভিসা প্রক্রিয়া পুরোপুরি নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর। আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর সেই বিশ্ববিদ্যালয় নেদারল্যান্ডসের ইমিগ্রেশন অফিসে ভিসার জন্য আবেদন করবেন। তার আগে বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে ইনভয়েস পাঠাবে। সেখানে আপনার এক বছরের টিউশন ফি, এম্বাসি ফি, স্বাস্থ্যবীমা ও এক বছরের বসবাসের খরচ দেওয়া থাকবে। এই পুরো টাকাটা আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাবে পাঠানোর পরই বিশ্ববিদ্যালয় আপনার ভিসা প্রক্রিয়া শুরু করবে। ভিসা অনুমোদন লেটার পাওয়ার পর বাংলাদেশের ডাচ এম্বাসিতে আপনার পাসপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমাদানের ৭-১৪ দিনের মাথায় আপনার ভিসা পেয়ে যাবেন। বৃত্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ডকুমেন্ট দেখে থাকে। তাই যাঁরা ইন্টার্ন বা রিসার্চ করবেন তাঁরা চেষ্টা করবেন সব কাগজপত্র গুছিয়ে রাখতে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছরে আপনি কোন শিক্ষকের অধীনে কোন বিষয় পড়েছেন, তা থেকে আপনি কী কী শিখেছেন–এসবও বৃত্তির জন্য প্রয়োজন হয়।
লেখক: শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বিভাগ, হেগ ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্স, নেদারল্যান্ডস।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের উপজেলা/থানা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের বেতন নবম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি জানিয়েছেন। আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় বাংলাদেশ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার অ্যাসোসিয়েশন...
৭ ঘণ্টা আগেআমি ধানমন্ডি গভ বয়েজ হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছি। পরবর্তী সময়ে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) থেকে বিএসসি করেছি।
১৬ ঘণ্টা আগেতুমি কি কখনো ভেবেছ, ইংরেজির ‘cat’ আর ‘cake’ শব্দ দুটো দেখতে অনেকটা একই। কিন্তু কেন উচ্চারণে পুরো আলাদা? কিংবা ‘ship’ আর ‘sheep’—দুটি শব্দের মাঝেও সামান্য পার্থক্য কীভাবে এত বড় পরিবর্তন নিয়ে আসে? এসবের পেছনে লুকিয়ে থাকে একটা বিশেষ ‘কথার ম্যাজিক’, যার নাম—ফোনেটিকস।
১৬ ঘণ্টা আগেওমানের সুলতান সরকার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য, ফুল ফান্ডেড বা সম্পূর্ণ অর্থায়িত স্কলারশিপের ঘোষণা দিয়েছে। এই স্কলারশিপের অধীনে শিক্ষার্থীরা ‘ওমানি প্রোগ্রাম ফর কালচারাল অ্যান্ড সায়েন্টিফিক কো-অপারেশন’-এর আওতায় বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন।
১ দিন আগে