শিক্ষাকে ক্লাসরুমের চার দেয়ালের বাইরে এনে প্রকৃতিঘনিষ্ঠ করার চেষ্টা করছে নিউজিল্যান্ডের কয়েকটি স্কুল। এ ধরনের স্কুলে গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে প্রকৃতিতে টিকে থাকার কৌশল ও প্রকৃতি সম্পর্কে শিক্ষাদান করা হয়। নেচার স্কুল নামে পরিচিত এ স্কুলগুলোকে ফরেস্ট স্কুল বা বুশ কিন্ডিসও বলা হচ্ছে।
শুধু নিউজিল্যান্ডেই নয়, বিশ্বজুড়েই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে নেচার স্কুল। যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়াতেও প্রাকৃতিঘনিষ্ঠ সংস্কৃতি ভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠছে। নেচার স্কুলের মতোই তবে কাঠামোগতভাবে আরও ভালোভাবে তৈরি ‘এনভায়রো’ স্কুলও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। নিউজিল্যান্ডজুড়ে এখন প্রায় ৮০টি নেচার স্কুল রয়েছে। এ ধরনের স্কুলে শিক্ষক হিসেবে প্রায় ২ হাজার জন কর্মরত।
তেমনি এক স্কুলে পড়াশোনা করছে ৮ বছর বয়সী অ্যাশটন উইলকক্স। নিউজিল্যান্ডের রাজধানী শহর ওয়েলিংটন থেকে ৪৫ মিনিটের দূরত্বে পাহাড়ি অঞ্চলের এক খামারবাড়িতে শিক্ষাসফরে নেওয়া হয় তাদের। সেখানে সে এক মৃত শজারু দেখে চমকে ওঠে। লার্ভাতে ঢাকা শজারুর কাঁটাগুলো সে গভীর মনযোগ দিয়ে দেখতে থাকে।
অ্যাশটনের কাছেই থাকা এক শিক্ষক বেশ শান্ত কণ্ঠে তাকে প্রাণীটি স্পর্শ করতে নিষেধ করে। তিনি অ্যাশটনকে বোঝান, শজারু নিউজিল্যান্ডের একটি প্রাণী আর লার্ভাগুলো এর মৃতদেহকে খেয়ে ফেলছে। সে বেশ কৌতূহল নিয়েই তা দেখে। পরক্ষণেই সে আবার অন্য আরেক দলের সঙ্গে যোগ দিতে ছুটে যায়। দলটিতে বেশ কয়েকটি শিশু ইল মাছের ঝাঁককে খাবার দিচ্ছিল।
এই দুই মিনিটের মধ্যেই অ্যাশটন সংরক্ষণ, জীবনচক্র এবং নিরাপত্তা নিয়ে জানতে পেরেছে। আট বছর বয়সীদের শেখানোর জন্য এটি তেমন প্রচলিত উপায় নয়, তবে এটি কোনো সাধারণ ক্লাসরুমও নয়। অ্যাশটনের বিশেষ এ স্কুলটির নাম বুশ স্প্রাউটস নেচার স্কুল।
স্কুলের চার থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুরা প্রতি সপ্তাহে এ ধরনের খামারবাড়িতে বেড়াতে যায়। বাড়ি ও মূল স্কুল ছেড়ে এ শিশুরা পুরোদিন কাদামাটিতে খেলা করে, ক্যাম্পফায়ার তৈরি করে, ইল মাছকে খাবার দেয় (মাওরি ভাষায় টুনা), ফাঁদ পেতে পোকা ধরে, কাঠ কেটে নানা জিনিস বানানো শেখে, স্থানীয় জাতের উদ্ভিদ রোপণ করে এবং তাদের পরিবেশের কাইটিয়াকি (মাওরি ভাষায় অভিভাবক বা রক্ষক) হওয়া শেখে।
শিশুরা সকাল সকাল খামারবাড়িতে জড়ো হয় আর প্রত্যেকে পুরোদিনের কর্মপরিকল্পনা বলতে থাকে। কেউ কাদামাটিতে ক্রে ফিশ (চিংড়ি জাতীয়) ধরতে চায়, কেউ প্যানকেক খেতে চায় আর কেউ কিছুই করতে চায় না। সবাইকেই তাদের মনমতো কাজ করতে দেওয়া হয়।
গতানুগতিক স্কুলের ধরাবাঁধা নিয়মকানুন থেকে বের হয়ে এ ধরনের স্কুলে খেলাধুলা ও নিজে নিজে শেখাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা লিও স্মিথ বলেন, ‘এখানে শিশুদের নেতৃত্বে সব চলে।’ স্মিথ শিশুদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিতে উৎসাহ দেন। তাঁর বিশ্বাস, শিশুদের যদি ঝুঁকি নেওয়ার অভিজ্ঞতা না থাকে তবে তারা জীবনের অন্যান্য সময়ে ঝুঁকি নেওয়া শিখবে না।
প্রকৃতি–ভিত্তিক শিক্ষার সমর্থকেরা বিশ্বাস করেন, সব ধরনের আবহাওয়ায় বাইরে শেখা এবং খেলাধুলার কারণে শিশুদের মধ্যে সহনশীলতা, সুস্থতা এবং সৃজনশীলতা বাড়ে।
গবেষণায়ও এ বিষয়টি প্রমাণিত যে, নেচার স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কর্মোদ্যম, সামাজিক দক্ষতা ও শিক্ষাগত অর্জন বেশি থাকে। তারা প্রকৃতির প্রতি আরও বেশি সংযোগ অনুভব করে।
শিক্ষাকে ক্লাসরুমের চার দেয়ালের বাইরে এনে প্রকৃতিঘনিষ্ঠ করার চেষ্টা করছে নিউজিল্যান্ডের কয়েকটি স্কুল। এ ধরনের স্কুলে গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে প্রকৃতিতে টিকে থাকার কৌশল ও প্রকৃতি সম্পর্কে শিক্ষাদান করা হয়। নেচার স্কুল নামে পরিচিত এ স্কুলগুলোকে ফরেস্ট স্কুল বা বুশ কিন্ডিসও বলা হচ্ছে।
শুধু নিউজিল্যান্ডেই নয়, বিশ্বজুড়েই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে নেচার স্কুল। যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়াতেও প্রাকৃতিঘনিষ্ঠ সংস্কৃতি ভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠছে। নেচার স্কুলের মতোই তবে কাঠামোগতভাবে আরও ভালোভাবে তৈরি ‘এনভায়রো’ স্কুলও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। নিউজিল্যান্ডজুড়ে এখন প্রায় ৮০টি নেচার স্কুল রয়েছে। এ ধরনের স্কুলে শিক্ষক হিসেবে প্রায় ২ হাজার জন কর্মরত।
তেমনি এক স্কুলে পড়াশোনা করছে ৮ বছর বয়সী অ্যাশটন উইলকক্স। নিউজিল্যান্ডের রাজধানী শহর ওয়েলিংটন থেকে ৪৫ মিনিটের দূরত্বে পাহাড়ি অঞ্চলের এক খামারবাড়িতে শিক্ষাসফরে নেওয়া হয় তাদের। সেখানে সে এক মৃত শজারু দেখে চমকে ওঠে। লার্ভাতে ঢাকা শজারুর কাঁটাগুলো সে গভীর মনযোগ দিয়ে দেখতে থাকে।
অ্যাশটনের কাছেই থাকা এক শিক্ষক বেশ শান্ত কণ্ঠে তাকে প্রাণীটি স্পর্শ করতে নিষেধ করে। তিনি অ্যাশটনকে বোঝান, শজারু নিউজিল্যান্ডের একটি প্রাণী আর লার্ভাগুলো এর মৃতদেহকে খেয়ে ফেলছে। সে বেশ কৌতূহল নিয়েই তা দেখে। পরক্ষণেই সে আবার অন্য আরেক দলের সঙ্গে যোগ দিতে ছুটে যায়। দলটিতে বেশ কয়েকটি শিশু ইল মাছের ঝাঁককে খাবার দিচ্ছিল।
এই দুই মিনিটের মধ্যেই অ্যাশটন সংরক্ষণ, জীবনচক্র এবং নিরাপত্তা নিয়ে জানতে পেরেছে। আট বছর বয়সীদের শেখানোর জন্য এটি তেমন প্রচলিত উপায় নয়, তবে এটি কোনো সাধারণ ক্লাসরুমও নয়। অ্যাশটনের বিশেষ এ স্কুলটির নাম বুশ স্প্রাউটস নেচার স্কুল।
স্কুলের চার থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুরা প্রতি সপ্তাহে এ ধরনের খামারবাড়িতে বেড়াতে যায়। বাড়ি ও মূল স্কুল ছেড়ে এ শিশুরা পুরোদিন কাদামাটিতে খেলা করে, ক্যাম্পফায়ার তৈরি করে, ইল মাছকে খাবার দেয় (মাওরি ভাষায় টুনা), ফাঁদ পেতে পোকা ধরে, কাঠ কেটে নানা জিনিস বানানো শেখে, স্থানীয় জাতের উদ্ভিদ রোপণ করে এবং তাদের পরিবেশের কাইটিয়াকি (মাওরি ভাষায় অভিভাবক বা রক্ষক) হওয়া শেখে।
শিশুরা সকাল সকাল খামারবাড়িতে জড়ো হয় আর প্রত্যেকে পুরোদিনের কর্মপরিকল্পনা বলতে থাকে। কেউ কাদামাটিতে ক্রে ফিশ (চিংড়ি জাতীয়) ধরতে চায়, কেউ প্যানকেক খেতে চায় আর কেউ কিছুই করতে চায় না। সবাইকেই তাদের মনমতো কাজ করতে দেওয়া হয়।
গতানুগতিক স্কুলের ধরাবাঁধা নিয়মকানুন থেকে বের হয়ে এ ধরনের স্কুলে খেলাধুলা ও নিজে নিজে শেখাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা লিও স্মিথ বলেন, ‘এখানে শিশুদের নেতৃত্বে সব চলে।’ স্মিথ শিশুদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিতে উৎসাহ দেন। তাঁর বিশ্বাস, শিশুদের যদি ঝুঁকি নেওয়ার অভিজ্ঞতা না থাকে তবে তারা জীবনের অন্যান্য সময়ে ঝুঁকি নেওয়া শিখবে না।
প্রকৃতি–ভিত্তিক শিক্ষার সমর্থকেরা বিশ্বাস করেন, সব ধরনের আবহাওয়ায় বাইরে শেখা এবং খেলাধুলার কারণে শিশুদের মধ্যে সহনশীলতা, সুস্থতা এবং সৃজনশীলতা বাড়ে।
গবেষণায়ও এ বিষয়টি প্রমাণিত যে, নেচার স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কর্মোদ্যম, সামাজিক দক্ষতা ও শিক্ষাগত অর্জন বেশি থাকে। তারা প্রকৃতির প্রতি আরও বেশি সংযোগ অনুভব করে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত স্নাতক পর্যায়ের বেসরকারি কলেজগুলোর গভর্নিং বডির সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য হতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বাধ্যতামূলক। তবে চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার ও আইনজীবীদের জন্য তা শিথিল করা হয়েছে। ফলে এমবিবিএস চিকিৎসক, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও আইনজীবীরা
৮ ঘণ্টা আগেথাইল্যান্ডে চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি-২০২৫-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১৮ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগ প্রযুক্তি ও জ্ঞানের যুগ। একাডেমিক ডিগ্রি যতটা গুরুত্বপূর্ণ, বাস্তব জীবনে টিকে থাকতে ততটাই প্রয়োজন বাস্তবভিত্তিক দক্ষতা। বিশেষ করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন এখন সময়ের চাহিদা। এ পরিস্থিতিতে চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা যেমন বাড়ছে, তেমনি উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগও তৈরি হচ্ছে।
১৮ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিদ্যালয় কেবল উচ্চশিক্ষা অর্জনের জায়গা নয়, এটি জীবনের বৃহত্তর পাঠশালা। পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি এখানে শেখার আছে নেতৃত্বের দক্ষতা, আত্ম-উন্নয়নের কৌশল এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি।
৩ দিন আগে