ড. এম তারিক আহসান অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে নতুন এ শিক্ষাক্রম অনুমোদন পেল এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটা বড় মাইলফলক। কারণ, দীর্ঘদিন আমরা মুখস্থ এবং পরীক্ষা নির্ভর যে ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালনা করে আসছি সেটা থেকে বের হতে এ শিক্ষাক্রম একটা বড় নির্দেশক হিসেবে কাজ করবে। এর ফলে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বাড়বে সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যে সফট স্কিলগুলো জানা দরকার তাদের মধ্যে সেগুলোর উন্নতি ঘটবে। ফলে সামনে যে অনিশ্চিত পৃথিবী আসছে সেখানে চাকরির বাজার এবং সে পৃথিবীর সামাজিক ধরনটা কি রকম হবে আমরা তা জানি না। সে পৃথিবীতে খাপ খাইয়ে নেওয়া আর আমরা যে উন্নত বিশ্বের স্বপ্ন দেখি সে ধরনের উন্নত বিশ্বের উপযোগী নাগরিক তৈরি করা দুটির ক্ষেত্রেই আমাদের এ শিক্ষাক্রম একটি যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।
আসলে পরীক্ষা হলো মূল্যায়নের একটা অংশ। মূল্যায়নের উদ্দেশ্য তিনটি-শিক্ষার্থী কী শিখল সেটাকে পরিমাপ করা; শিক্ষার্থীদের যে চ্যালেঞ্জিং জায়গাগুলো আছে সেগুলো ধরিয়ে দিয়ে তাকে সামনে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করা; এবং শিক্ষার্থীদের সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য স্পৃহা তৈরি করা। কিন্তু আমাদের দেশে পরীক্ষাগুলো যেভাবে লিখিত নির্ভর করে সাজানো হয়েছে তা এ তিনটি উদ্দেশ্য পূরণ করে না। ফলে শিক্ষার্থী অনেক ক্ষেত্রে চাপে পড়ে এবং শিক্ষার আনন্দটা হারিয়ে যায়। সে জন্য শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল বিকাশকে নিশ্চিত করার জন্য তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা থাকবে না। অনেক দেশ আছে যেখানে তাদের প্রাইমারি শিক্ষাতেই কোনো পরীক্ষা নেই। সেখানে শিখনকালীন মূল্যায়নটা পরিচালিত হয়।
পাবলিক পরীক্ষার উদ্দেশ্য এবং শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন দুটো কিন্তু ভিন্ন জিনিস। পাবলিক পরীক্ষা অনেকটাই সিস্টেমের মূল্যায়ন, সিস্টেমটা কতটুকু কার্যকরভাবে শিক্ষার্থীদের যে দক্ষতাগুলো অর্জন করার কথা সেগুলোকে কতটা পূরণ করতে পারছে। জেএসসি এবং পিএসসি কিন্তু দক্ষতা ভিত্তিক পরীক্ষা না। আমাদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে যে দক্ষতাগুলো পরিমাপের জন্য পাবলিক পরীক্ষার উদ্দেশ্য সেগুলোর জন্য কিন্তু পিএসসি এবং জেএসসি পরীক্ষাগুলো পরিচালিত হচ্ছে না। সেটা না হয়ে এটা হয়ে গেছে কতগুলো জ্ঞানকে পরিমাপ করার একটা প্রবণতা। যার জন্য গাইড বই আর কোচিংয়ের ব্যবসা রমরমা হয়ে গেছে।
বিভিন্ন বিষয়ের ধারণা যেন শিক্ষার্থীদের মধ্যে থাকে এবং ক্লাস টেন পর্যন্ত যে মৌলিক বিষয়গুলো সব শিক্ষার্থীর জানা দরকার সেগুলো যেন শিক্ষার্থীরা জানে তাই ক্লাস নবম-দশম শ্রেণিতে বিভাগ রাখা হয়নি। এতে যারা মানবিক বা ব্যবসা শিক্ষায় আছে তাদের যদি অন্য বিষয়ে জানার দরকার হয় বা বিজ্ঞানের একজনের যদি অর্থনীতির ওপর আগ্রহ থাকে সে বিষয়ে সে জানতে পারবে। আজকের পৃথিবীটা অনেক বেশি আন্তঃবিষয় সম্পর্কিত। শুধু বিজ্ঞান জেনে পৃথিবীতে টিকে থাকা যাবে না; আবার শুধু মানবিকের বিষয় জেনেও হবে না।কাজেই একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত যেন সবার মৌলিক ধারণা থাকে এই উদ্দেশ্যে নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ রাখা হয়নি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে নতুন এ শিক্ষাক্রম অনুমোদন পেল এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটা বড় মাইলফলক। কারণ, দীর্ঘদিন আমরা মুখস্থ এবং পরীক্ষা নির্ভর যে ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালনা করে আসছি সেটা থেকে বের হতে এ শিক্ষাক্রম একটা বড় নির্দেশক হিসেবে কাজ করবে। এর ফলে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বাড়বে সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যে সফট স্কিলগুলো জানা দরকার তাদের মধ্যে সেগুলোর উন্নতি ঘটবে। ফলে সামনে যে অনিশ্চিত পৃথিবী আসছে সেখানে চাকরির বাজার এবং সে পৃথিবীর সামাজিক ধরনটা কি রকম হবে আমরা তা জানি না। সে পৃথিবীতে খাপ খাইয়ে নেওয়া আর আমরা যে উন্নত বিশ্বের স্বপ্ন দেখি সে ধরনের উন্নত বিশ্বের উপযোগী নাগরিক তৈরি করা দুটির ক্ষেত্রেই আমাদের এ শিক্ষাক্রম একটি যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।
আসলে পরীক্ষা হলো মূল্যায়নের একটা অংশ। মূল্যায়নের উদ্দেশ্য তিনটি-শিক্ষার্থী কী শিখল সেটাকে পরিমাপ করা; শিক্ষার্থীদের যে চ্যালেঞ্জিং জায়গাগুলো আছে সেগুলো ধরিয়ে দিয়ে তাকে সামনে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করা; এবং শিক্ষার্থীদের সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য স্পৃহা তৈরি করা। কিন্তু আমাদের দেশে পরীক্ষাগুলো যেভাবে লিখিত নির্ভর করে সাজানো হয়েছে তা এ তিনটি উদ্দেশ্য পূরণ করে না। ফলে শিক্ষার্থী অনেক ক্ষেত্রে চাপে পড়ে এবং শিক্ষার আনন্দটা হারিয়ে যায়। সে জন্য শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল বিকাশকে নিশ্চিত করার জন্য তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা থাকবে না। অনেক দেশ আছে যেখানে তাদের প্রাইমারি শিক্ষাতেই কোনো পরীক্ষা নেই। সেখানে শিখনকালীন মূল্যায়নটা পরিচালিত হয়।
পাবলিক পরীক্ষার উদ্দেশ্য এবং শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন দুটো কিন্তু ভিন্ন জিনিস। পাবলিক পরীক্ষা অনেকটাই সিস্টেমের মূল্যায়ন, সিস্টেমটা কতটুকু কার্যকরভাবে শিক্ষার্থীদের যে দক্ষতাগুলো অর্জন করার কথা সেগুলোকে কতটা পূরণ করতে পারছে। জেএসসি এবং পিএসসি কিন্তু দক্ষতা ভিত্তিক পরীক্ষা না। আমাদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে যে দক্ষতাগুলো পরিমাপের জন্য পাবলিক পরীক্ষার উদ্দেশ্য সেগুলোর জন্য কিন্তু পিএসসি এবং জেএসসি পরীক্ষাগুলো পরিচালিত হচ্ছে না। সেটা না হয়ে এটা হয়ে গেছে কতগুলো জ্ঞানকে পরিমাপ করার একটা প্রবণতা। যার জন্য গাইড বই আর কোচিংয়ের ব্যবসা রমরমা হয়ে গেছে।
বিভিন্ন বিষয়ের ধারণা যেন শিক্ষার্থীদের মধ্যে থাকে এবং ক্লাস টেন পর্যন্ত যে মৌলিক বিষয়গুলো সব শিক্ষার্থীর জানা দরকার সেগুলো যেন শিক্ষার্থীরা জানে তাই ক্লাস নবম-দশম শ্রেণিতে বিভাগ রাখা হয়নি। এতে যারা মানবিক বা ব্যবসা শিক্ষায় আছে তাদের যদি অন্য বিষয়ে জানার দরকার হয় বা বিজ্ঞানের একজনের যদি অর্থনীতির ওপর আগ্রহ থাকে সে বিষয়ে সে জানতে পারবে। আজকের পৃথিবীটা অনেক বেশি আন্তঃবিষয় সম্পর্কিত। শুধু বিজ্ঞান জেনে পৃথিবীতে টিকে থাকা যাবে না; আবার শুধু মানবিকের বিষয় জেনেও হবে না।কাজেই একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত যেন সবার মৌলিক ধারণা থাকে এই উদ্দেশ্যে নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ রাখা হয়নি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের উপজেলা/থানা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের বেতন নবম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি জানিয়েছেন। আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় বাংলাদেশ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার অ্যাসোসিয়েশন...
৫ ঘণ্টা আগেআমি ধানমন্ডি গভ বয়েজ হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছি। পরবর্তী সময়ে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) থেকে বিএসসি করেছি।
১৪ ঘণ্টা আগেতুমি কি কখনো ভেবেছ, ইংরেজির ‘cat’ আর ‘cake’ শব্দ দুটো দেখতে অনেকটা একই। কিন্তু কেন উচ্চারণে পুরো আলাদা? কিংবা ‘ship’ আর ‘sheep’—দুটি শব্দের মাঝেও সামান্য পার্থক্য কীভাবে এত বড় পরিবর্তন নিয়ে আসে? এসবের পেছনে লুকিয়ে থাকে একটা বিশেষ ‘কথার ম্যাজিক’, যার নাম—ফোনেটিকস।
১৫ ঘণ্টা আগেওমানের সুলতান সরকার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য, ফুল ফান্ডেড বা সম্পূর্ণ অর্থায়িত স্কলারশিপের ঘোষণা দিয়েছে। এই স্কলারশিপের অধীনে শিক্ষার্থীরা ‘ওমানি প্রোগ্রাম ফর কালচারাল অ্যান্ড সায়েন্টিফিক কো-অপারেশন’-এর আওতায় বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন।
১ দিন আগে