প্রতিনিধি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
মহামারির কারণে সেশনজটে পড়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। দুবার সশরীরে পরীক্ষা নেওয়া শুরু হলেও তা স্থগিত করা হয়। এ পরিস্থিতিতে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া এবং দুর্যোগ পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার (ডিজাস্টার রিকভারি প্ল্যান) জন্য দুটি কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু এই উদ্যোগের কোনো অগ্রগতি নেই। দুই কমিটির আহ্বায়কেরা বলছেন, এ–সংক্রান্ত কোনো চিঠি তাঁরা পাননি।
এই অনিশ্চয়তা কাটাতে উপাচার্যের কাছে দাবি নিয়ে গেছেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু অনলাইনে পরীক্ষা নিতে তিনিও আগ্রহী নন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
অনলাইন পরীক্ষা সম্পর্কে কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অনলাইন পরীক্ষা তো ইম্পসিবল, কেউ ঠিকমতো পারছে না। অনলাইনে প্রথম কথা হচ্ছে নেট থাকে না, ক্লাসই করতে পারে না। সবাই তো অ্যাটেন্ডই করতে পারবে না।’
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহিম মোশারফ সেজান বলেন, প্রায় সাড়ে চার বছর হয়ে গেলেও তৃতীয় বর্ষ এখনো শেষ করতে পারিনি! করোনা পরিস্থিতিতে সশরীরে কবে পরীক্ষা দিতে পারবে তা–ও অনিশ্চিত। তাই সেশনজট নিরসনে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া উচিত। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান বন্যা বলেন, অনলাইন পরীক্ষা এখন সময়ের দাবি। আমার সেশন ২০১৭-১৮ হিসাব অনুযায়ী আমাদের এখন চতুর্থ বর্ষে থাকার কথা। কিন্তু এখনো আমরা দ্বিতীয় বর্ষে আটকে আছি। সশরীরে পরীক্ষার আশায় থাকলে কবে পরীক্ষা দিতে পারব জানি না। সে জন্যে অনলাইন পরীক্ষাই এখন একমাত্র ভরসা।
এদিকে পরীক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. নূরুল করিম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, `আমি জেনেছি, অনলাইন পরীক্ষার ব্যাপারে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি থেকে যেই সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আসবে, সেভাবেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমাদের কাছে এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আসেনি। মৌখিকভাবে তো কাজ করা যাবে না, অফিশিয়াল চিঠি পেলেই কাজ শুরু হবে।'
কমিটির কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রশ্ন করলে অনলাইন পরীক্ষা গ্রহণসংক্রান্ত বিষয়ের জন্য গঠিত কমিটির আহ্বায়ক ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন মো. তোফায়েল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, কমিটি হওয়ার কথা শুনেছেন, কিন্তু চিঠি পাননি। চিঠি পেলে কাজ শুরু করতে পারবেন।
ডিজাস্টার রিকভারি প্ল্যান কমিটির আহ্বায়ক মো. রশিদুল ইসলাম শেখের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, এটা হলো মৌখিক আদেশ। কাগজপত্র পেলে আমি বুঝব আমাকে আসলে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আনুষ্ঠানিক চিঠি পেলেই যত দ্রুত সম্ভব ওই নির্দেশনার আলোকে আমরা কমিটির মেম্বাররা মিটিং কল করে সে বিষয়ে একটা কর্মপরিকল্পনা তৈরি করব।
কমিটির আহ্বায়কদের কাছে চিঠিপত্র না পৌঁছানোর কারণ জানতে চাইলে কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, ‘পেয়ে যাবে, কাজ শুরু করে দেবে, আমি বলব।’
সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, `আমরা অপেক্ষা করছি, আমাদের তো শিডিউল আছেই, যারা ফাইনাল ইয়ার যেমন, মাস্টার্স ২-১টা পরীক্ষা বাকি আছে বা অনার্স, তাঁদের অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা রুটিনটা রিশিডিউল করে শুরু করে দেব। প্রতিটা দিনই তো এখন আনসার্টেইন, অবস্থা একটু ভালো হলে আবার শিডিউল দিয়ে দেব।' এ ছাড়া এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্যের জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
মহামারির কারণে সেশনজটে পড়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। দুবার সশরীরে পরীক্ষা নেওয়া শুরু হলেও তা স্থগিত করা হয়। এ পরিস্থিতিতে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া এবং দুর্যোগ পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার (ডিজাস্টার রিকভারি প্ল্যান) জন্য দুটি কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু এই উদ্যোগের কোনো অগ্রগতি নেই। দুই কমিটির আহ্বায়কেরা বলছেন, এ–সংক্রান্ত কোনো চিঠি তাঁরা পাননি।
এই অনিশ্চয়তা কাটাতে উপাচার্যের কাছে দাবি নিয়ে গেছেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু অনলাইনে পরীক্ষা নিতে তিনিও আগ্রহী নন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
অনলাইন পরীক্ষা সম্পর্কে কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অনলাইন পরীক্ষা তো ইম্পসিবল, কেউ ঠিকমতো পারছে না। অনলাইনে প্রথম কথা হচ্ছে নেট থাকে না, ক্লাসই করতে পারে না। সবাই তো অ্যাটেন্ডই করতে পারবে না।’
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহিম মোশারফ সেজান বলেন, প্রায় সাড়ে চার বছর হয়ে গেলেও তৃতীয় বর্ষ এখনো শেষ করতে পারিনি! করোনা পরিস্থিতিতে সশরীরে কবে পরীক্ষা দিতে পারবে তা–ও অনিশ্চিত। তাই সেশনজট নিরসনে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া উচিত। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান বন্যা বলেন, অনলাইন পরীক্ষা এখন সময়ের দাবি। আমার সেশন ২০১৭-১৮ হিসাব অনুযায়ী আমাদের এখন চতুর্থ বর্ষে থাকার কথা। কিন্তু এখনো আমরা দ্বিতীয় বর্ষে আটকে আছি। সশরীরে পরীক্ষার আশায় থাকলে কবে পরীক্ষা দিতে পারব জানি না। সে জন্যে অনলাইন পরীক্ষাই এখন একমাত্র ভরসা।
এদিকে পরীক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. নূরুল করিম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, `আমি জেনেছি, অনলাইন পরীক্ষার ব্যাপারে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি থেকে যেই সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আসবে, সেভাবেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমাদের কাছে এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আসেনি। মৌখিকভাবে তো কাজ করা যাবে না, অফিশিয়াল চিঠি পেলেই কাজ শুরু হবে।'
কমিটির কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রশ্ন করলে অনলাইন পরীক্ষা গ্রহণসংক্রান্ত বিষয়ের জন্য গঠিত কমিটির আহ্বায়ক ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন মো. তোফায়েল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, কমিটি হওয়ার কথা শুনেছেন, কিন্তু চিঠি পাননি। চিঠি পেলে কাজ শুরু করতে পারবেন।
ডিজাস্টার রিকভারি প্ল্যান কমিটির আহ্বায়ক মো. রশিদুল ইসলাম শেখের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, এটা হলো মৌখিক আদেশ। কাগজপত্র পেলে আমি বুঝব আমাকে আসলে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আনুষ্ঠানিক চিঠি পেলেই যত দ্রুত সম্ভব ওই নির্দেশনার আলোকে আমরা কমিটির মেম্বাররা মিটিং কল করে সে বিষয়ে একটা কর্মপরিকল্পনা তৈরি করব।
কমিটির আহ্বায়কদের কাছে চিঠিপত্র না পৌঁছানোর কারণ জানতে চাইলে কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, ‘পেয়ে যাবে, কাজ শুরু করে দেবে, আমি বলব।’
সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, `আমরা অপেক্ষা করছি, আমাদের তো শিডিউল আছেই, যারা ফাইনাল ইয়ার যেমন, মাস্টার্স ২-১টা পরীক্ষা বাকি আছে বা অনার্স, তাঁদের অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা রুটিনটা রিশিডিউল করে শুরু করে দেব। প্রতিটা দিনই তো এখন আনসার্টেইন, অবস্থা একটু ভালো হলে আবার শিডিউল দিয়ে দেব।' এ ছাড়া এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্যের জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর অনুমোদনের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
১২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও চীনের নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনজেইউ) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ সোমবার (১২ মে) সকালে বুয়েটের ইসিই ভবনের রাইজের সভাকক্ষে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বুয়েটের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার ফর সায়েন্স
১৬ ঘণ্টা আগেযাঁরা একাডেমিক বা পেশাগত ক্ষেত্রে গবেষণার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিভিন্ন জার্নালে প্রবন্ধ প্রকাশ করতে হয়। এ গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি হয়। গবেষণা জার্নালগুলো সেই জ্ঞানের প্রচার ও সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে, প্রবন্ধ প্রকাশের প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল, সময়সাপেক্ষ এবং ধৈর্যের প্রয়োজন...
১ দিন আগেসৌদি আরবের কিং আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি ২০২৫-২৬-এর জন্য আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সম্পূর্ণ অর্থায়িত এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগে