প্রতিনিধি, রাবি
করোনায় দীর্ঘ আঠারো মাস বন্ধ থাকার পর চলতি সপ্তাহে খুলেছে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলতেও তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ইতি মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কাছে করোনার টিকা গ্রহণ সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছে। শিক্ষার্থীদের তথ্য দিতে অনীহার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে বিলম্ব হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কারণ করোনা সংক্রান্ত তথ্যের ওপর নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি দপ্তর সূত্রে জানা যায়, করোনা টিকা সংক্রান্ত চারটি ক্যাটাগরিতে তথ্য চেয়ে গত ৩০ আগস্ট একটি লিংক তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যেখানে শিক্ষার্থীদের তথ্য দিতে বলা হয়। কিন্তু অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী তথ্য দেওয়ায় দুই দফা সময় বাড়িয়ে আগামী ১৮ই সেপ্টেম্বর সময় নির্ধারণ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত সেখানে তথ্য দিয়েছে মাত্র ১৪ হাজার ৫৯ জন শিক্ষার্থী। যেখানে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৮ হাজারের ওপরে।
আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক বাবুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে টিকা সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা লক্ষণীয়। গত ১৫ দিনে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী তথ্য দিয়েছে। যারা এখনো তথ্য দেয়নি আমরা তাঁদের কাছে এসএমএস পাঠাব।’
টিকা পাননি বিদেশি শিক্ষার্থীরা:
এ দিকে এখনো করোনা টিকা পাননি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীরা। দুই দফা তথ্য দিয়ে এখনো রেজিস্ট্রেশন করতে পারেননি শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর আব্দুল কাইয়ুম ইন্টারন্যাশনাল ডরমিটরি সূত্রে জানা গেছে, ডরমিটরিতে এমফিল, পিএইচডি মিলিয়ে ৮৫ জনের মতো শিক্ষার্থী রয়েছেন। যাদের মধ্যে বর্তমানে ডরমিটরিতে অবস্থান করছেন ৩৫ জন।
ডরমিটরির ওয়ার্ডের অধ্যাপক আশাদুল হক জানান, গত বছরের জুন থেকে তিন দফা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে ইউজিসিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের তথ্য দেওয়া হয়েছে। কিন্তু করোনা টিকার রেজিস্ট্রেশনের জন্য তৈরি সুরক্ষা অ্যাপসে বিদেশি শিক্ষার্থীদের অপশন না থাকায় শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন করতে পারেননি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমরা বিদেশি শিক্ষার্থীদের পাসপোর্টের ফটোকপিসহ বিভিন্ন তথ্য চেয়েছি। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তথ্য দিয়েছে। যা ইতি মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি আগামী দুই একদিনের মধ্যে তাঁরা রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় খোলার জন্য টিকা সংক্রান্ত তথ্য জরুরি। শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্যের ওপর নির্ভর করে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। সকল শিক্ষার্থী অন্তত এক ডোজ টিকা না পেলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে পারব না। আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে যতটা আগ্রহী তথ্য দিতে ততটাই অনাগ্রহী।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অনেক শিক্ষার্থী হয়তো জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় আবেদন করতে পারেনি। তাঁরা যদি এ তথ্য আমাদের দেয় তবে বিশ্ববিদ্যালয়ই তাঁদের টিকার ব্যবস্থা করবে।’
করোনায় দীর্ঘ আঠারো মাস বন্ধ থাকার পর চলতি সপ্তাহে খুলেছে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলতেও তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ইতি মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কাছে করোনার টিকা গ্রহণ সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছে। শিক্ষার্থীদের তথ্য দিতে অনীহার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে বিলম্ব হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কারণ করোনা সংক্রান্ত তথ্যের ওপর নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি দপ্তর সূত্রে জানা যায়, করোনা টিকা সংক্রান্ত চারটি ক্যাটাগরিতে তথ্য চেয়ে গত ৩০ আগস্ট একটি লিংক তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যেখানে শিক্ষার্থীদের তথ্য দিতে বলা হয়। কিন্তু অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী তথ্য দেওয়ায় দুই দফা সময় বাড়িয়ে আগামী ১৮ই সেপ্টেম্বর সময় নির্ধারণ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত সেখানে তথ্য দিয়েছে মাত্র ১৪ হাজার ৫৯ জন শিক্ষার্থী। যেখানে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৮ হাজারের ওপরে।
আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক বাবুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে টিকা সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা লক্ষণীয়। গত ১৫ দিনে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী তথ্য দিয়েছে। যারা এখনো তথ্য দেয়নি আমরা তাঁদের কাছে এসএমএস পাঠাব।’
টিকা পাননি বিদেশি শিক্ষার্থীরা:
এ দিকে এখনো করোনা টিকা পাননি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীরা। দুই দফা তথ্য দিয়ে এখনো রেজিস্ট্রেশন করতে পারেননি শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর আব্দুল কাইয়ুম ইন্টারন্যাশনাল ডরমিটরি সূত্রে জানা গেছে, ডরমিটরিতে এমফিল, পিএইচডি মিলিয়ে ৮৫ জনের মতো শিক্ষার্থী রয়েছেন। যাদের মধ্যে বর্তমানে ডরমিটরিতে অবস্থান করছেন ৩৫ জন।
ডরমিটরির ওয়ার্ডের অধ্যাপক আশাদুল হক জানান, গত বছরের জুন থেকে তিন দফা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে ইউজিসিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের তথ্য দেওয়া হয়েছে। কিন্তু করোনা টিকার রেজিস্ট্রেশনের জন্য তৈরি সুরক্ষা অ্যাপসে বিদেশি শিক্ষার্থীদের অপশন না থাকায় শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন করতে পারেননি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমরা বিদেশি শিক্ষার্থীদের পাসপোর্টের ফটোকপিসহ বিভিন্ন তথ্য চেয়েছি। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তথ্য দিয়েছে। যা ইতি মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি আগামী দুই একদিনের মধ্যে তাঁরা রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় খোলার জন্য টিকা সংক্রান্ত তথ্য জরুরি। শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্যের ওপর নির্ভর করে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। সকল শিক্ষার্থী অন্তত এক ডোজ টিকা না পেলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে পারব না। আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে যতটা আগ্রহী তথ্য দিতে ততটাই অনাগ্রহী।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অনেক শিক্ষার্থী হয়তো জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় আবেদন করতে পারেনি। তাঁরা যদি এ তথ্য আমাদের দেয় তবে বিশ্ববিদ্যালয়ই তাঁদের টিকার ব্যবস্থা করবে।’
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। গত ২৯ জুলাই তফসিল ঘোষণার পর সোমবার ছিল মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন। এদিন বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় বিভিন্ন প্যানেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগেনির্বাচনী হাওয়া বইছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। ডাকসু নির্বাচনে মনোয়নয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন গতকাল সোমবার দলে দলে গিয়ে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ভোটে লড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।
১৫ ঘণ্টা আগেশেখ তাসনিম আফরোজ ইমিকে সহসভাপতি (ভিপি) ও মেঘমল্লার বসুকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।
১৮ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে ঢাবি ক্যাম্পাসে সরব হয়ে উঠেছে ছাত্রসংগঠন ও শিক্ষার্থীরা। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও প্যানেল ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী উত্তেজনা দিন দিন বাড়ছে। নির্ধারিত তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কি না— সে প্রশ্ন থাকলেও শিক্ষার্থী ও সংগঠনগুলোর মধ্যে এখন মূল
১৮ ঘণ্টা আগে