শিক্ষা ডেস্ক
বিশ্বজুড়ে উচ্চশিক্ষার গন্তব্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান শীর্ষে। গবেষণাভিত্তিক শিক্ষা, আধুনিক ল্যাব সুবিধা এবং পেশাদার দক্ষতা গঠনের দিক থেকে এটি অনেক শিক্ষার্থীর স্বপ্নের জায়গা। কিন্তু মেডিকেল শিক্ষার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য এই পথটা বেশ প্রতিযোগিতাপূর্ণ ও জটিলও বটে।
তবু পরিকল্পিত প্রস্তুতি ও প্রয়োজনীয় তথ্য থাকলে যুক্তরাষ্ট্রে এমডি (ডক্টর অব মেডিসিন) ডিগ্রির স্বপ্ন পূরণ করাও একেবারে অসম্ভব নয়। আসুন, দেখি কীভাবে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে মেডিকেল স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রে মেডিকেল স্কুলে ভর্তির চিত্র
অর্ধশতাধিক মেডিকেল স্কুল আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণ করে। তবে প্রতিটি স্কুলের নিজস্ব নীতিমালা, যোগ্যতা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে; বিশেষ করে দুই ধরনের শিক্ষার্থীদের জন্য চ্যালেঞ্জটা ভিন্ন—
১. যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থেকে আসা স্নাতক ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী: অনেক সময় এসব ডিগ্রি ও কোর্সের মান যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল স্কুলগুলোতে গ্রহণযোগ্য না-ও হতে পারে।
২. যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা নিয়ে অবস্থানরত শিক্ষার্থী: যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি অর্জন করলেও অনেক স্কুল নাগরিকত্ব বা স্থায়ী আবাসনের শর্ত দেয়।
কীভাবে তৈরি হবেন
১. মেডিকেল স্কুলের যোগ্যতা যাচাই করা: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি মেডিকেল স্কুল আলাদা শর্ত আরোপ করে। কিছু প্রতিষ্ঠান কেবল মার্কিন নাগরিক, স্থায়ী বাসিন্দা বা DACA প্রার্থীদেরই গ্রহণ করে। আবার কিছু প্রতিষ্ঠান কানাডিয়ান শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি গ্রহণ করে। তাই আবেদন করার আগে স্কুলটির ওয়েবসাইট বা অফিশিয়াল অ্যাডমিশন গাইড লিস্ট ভালোভাবে যাচাই করে নিন। তবে যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে যান, তাঁদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এক বছর বা তার বেশি সময় ‘আপার লেভেল সায়েন্স কোর্সওয়ার্ক’ সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক হয়ে যায়।
২. যুক্তরাষ্ট্রে ক্লিনিক্যাল অভিজ্ঞতা নেওয়া: মেডিকেল স্কুলে ভর্তির জন্য শুধু একাডেমিক দক্ষতা যথেষ্ট নয়। সরাসরি স্বাস্থ্যসেবায় কাজের অভিজ্ঞতা, চিকিৎসকের সহকারী হিসেবে কাজ করা কিংবা হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবার মাধ্যমে আপনি মার্কিন স্বাস্থ্যব্যবস্থার কাঠামো, চ্যালেঞ্জ ও রোগীর সঙ্গে আচরণের ধরন সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।
এটি কেন জরুরি: যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যসেবা পদ্ধতি দেশভেদে ভিন্ন। কাজেই স্থানীয় অভিজ্ঞতা দেখাতে পারলে আপনি ভর্তিকালীন অধিক প্রতিযোগিতামূলক হবেন।
৩. নিজের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ইতিবাচকভাবে তুলে ধরা: আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা মানেই বৈচিত্র্য, সাংস্কৃতিক সহনশীলতা ও বিশ্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গি। এসব গুণ আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে খুবই মূল্যবান। আপনি যদি অনেক ভাষায় কথা বলতে পারেন, ভিন্ন একাডেমিক সিস্টেমে পড়াশোনা করে থাকেন বা বহুজাতিক পরিবেশে কাজের অভিজ্ঞতা থাকে; তবে তা আবেদনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন।
বিশেষ পরামর্শ: শুধু অভিজ্ঞতা নয়, সেই অভিজ্ঞতা কীভাবে একজন মানবিক ও দক্ষ চিকিৎসক হয়ে উঠতে আপনাকে সহায়তা করবে, সেই সংযোগও তুলে ধরুন।
বিকল্প প্রস্তুতির পথ
যদি সরাসরি ভর্তির যোগ্যতা অর্জন কঠিন হয়ে ওঠে, তাহলে নিচের যেকোনো বিকল্প পথ ধরেই প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে—
যুক্তরাষ্ট্রে মেডিকেল স্কুলে পড়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। সঠিক তথ্য, কৌশলী পরিকল্পনা, স্থানীয় অভিজ্ঞতা এবং আত্মবিশ্বাস থাকলে বিশ্বের সেরা চিকিৎসা শিক্ষা গ্রহণের পথও উন্মুক্ত হয়।
তথ্যসূত্র: ইউএস নিউজ
বিশ্বজুড়ে উচ্চশিক্ষার গন্তব্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান শীর্ষে। গবেষণাভিত্তিক শিক্ষা, আধুনিক ল্যাব সুবিধা এবং পেশাদার দক্ষতা গঠনের দিক থেকে এটি অনেক শিক্ষার্থীর স্বপ্নের জায়গা। কিন্তু মেডিকেল শিক্ষার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য এই পথটা বেশ প্রতিযোগিতাপূর্ণ ও জটিলও বটে।
তবু পরিকল্পিত প্রস্তুতি ও প্রয়োজনীয় তথ্য থাকলে যুক্তরাষ্ট্রে এমডি (ডক্টর অব মেডিসিন) ডিগ্রির স্বপ্ন পূরণ করাও একেবারে অসম্ভব নয়। আসুন, দেখি কীভাবে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে মেডিকেল স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রে মেডিকেল স্কুলে ভর্তির চিত্র
অর্ধশতাধিক মেডিকেল স্কুল আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণ করে। তবে প্রতিটি স্কুলের নিজস্ব নীতিমালা, যোগ্যতা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে; বিশেষ করে দুই ধরনের শিক্ষার্থীদের জন্য চ্যালেঞ্জটা ভিন্ন—
১. যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থেকে আসা স্নাতক ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী: অনেক সময় এসব ডিগ্রি ও কোর্সের মান যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল স্কুলগুলোতে গ্রহণযোগ্য না-ও হতে পারে।
২. যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা নিয়ে অবস্থানরত শিক্ষার্থী: যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি অর্জন করলেও অনেক স্কুল নাগরিকত্ব বা স্থায়ী আবাসনের শর্ত দেয়।
কীভাবে তৈরি হবেন
১. মেডিকেল স্কুলের যোগ্যতা যাচাই করা: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি মেডিকেল স্কুল আলাদা শর্ত আরোপ করে। কিছু প্রতিষ্ঠান কেবল মার্কিন নাগরিক, স্থায়ী বাসিন্দা বা DACA প্রার্থীদেরই গ্রহণ করে। আবার কিছু প্রতিষ্ঠান কানাডিয়ান শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি গ্রহণ করে। তাই আবেদন করার আগে স্কুলটির ওয়েবসাইট বা অফিশিয়াল অ্যাডমিশন গাইড লিস্ট ভালোভাবে যাচাই করে নিন। তবে যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে যান, তাঁদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এক বছর বা তার বেশি সময় ‘আপার লেভেল সায়েন্স কোর্সওয়ার্ক’ সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক হয়ে যায়।
২. যুক্তরাষ্ট্রে ক্লিনিক্যাল অভিজ্ঞতা নেওয়া: মেডিকেল স্কুলে ভর্তির জন্য শুধু একাডেমিক দক্ষতা যথেষ্ট নয়। সরাসরি স্বাস্থ্যসেবায় কাজের অভিজ্ঞতা, চিকিৎসকের সহকারী হিসেবে কাজ করা কিংবা হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবার মাধ্যমে আপনি মার্কিন স্বাস্থ্যব্যবস্থার কাঠামো, চ্যালেঞ্জ ও রোগীর সঙ্গে আচরণের ধরন সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।
এটি কেন জরুরি: যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যসেবা পদ্ধতি দেশভেদে ভিন্ন। কাজেই স্থানীয় অভিজ্ঞতা দেখাতে পারলে আপনি ভর্তিকালীন অধিক প্রতিযোগিতামূলক হবেন।
৩. নিজের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ইতিবাচকভাবে তুলে ধরা: আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা মানেই বৈচিত্র্য, সাংস্কৃতিক সহনশীলতা ও বিশ্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গি। এসব গুণ আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে খুবই মূল্যবান। আপনি যদি অনেক ভাষায় কথা বলতে পারেন, ভিন্ন একাডেমিক সিস্টেমে পড়াশোনা করে থাকেন বা বহুজাতিক পরিবেশে কাজের অভিজ্ঞতা থাকে; তবে তা আবেদনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন।
বিশেষ পরামর্শ: শুধু অভিজ্ঞতা নয়, সেই অভিজ্ঞতা কীভাবে একজন মানবিক ও দক্ষ চিকিৎসক হয়ে উঠতে আপনাকে সহায়তা করবে, সেই সংযোগও তুলে ধরুন।
বিকল্প প্রস্তুতির পথ
যদি সরাসরি ভর্তির যোগ্যতা অর্জন কঠিন হয়ে ওঠে, তাহলে নিচের যেকোনো বিকল্প পথ ধরেই প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে—
যুক্তরাষ্ট্রে মেডিকেল স্কুলে পড়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। সঠিক তথ্য, কৌশলী পরিকল্পনা, স্থানীয় অভিজ্ঞতা এবং আত্মবিশ্বাস থাকলে বিশ্বের সেরা চিকিৎসা শিক্ষা গ্রহণের পথও উন্মুক্ত হয়।
তথ্যসূত্র: ইউএস নিউজ
২৬ জুন এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। পরীক্ষা নিয়ে কোনো ভয়ভীতি বা সংশয় থাকার কারণ নেই। কিছু নিয়মকানুন অনুসরণ করলে দেখবে, বাংলা পরীক্ষাই তোমার সবচেয়ে ভালো হয়েছে। তোমরা এর আগেও সৃজনশীল পদ্ধতিতে দুটি পাবলিক পরীক্ষায় (জেএসসি ও এসএসসি) অংশ নিয়েছ; তাই বলা যায়, এ বিষয়ে তোমরা অনেকটাই অবগত।
১৪ ঘণ্টা আগেসৃজনশীল প্রশ্ন: ক ও খ বিভাগে সর্বমোট ১১টি প্রশ্ন থাকবে। ক বিভাগ থেকে ২টি প্রশ্নের (আর্থিক বিবরণী) উত্তর দিতে হবে। খ বিভাগের ৯টি প্রশ্ন থেকে যেকোনো ৫টির উত্তর দিতে হবে। পরীক্ষার হলে উত্তর লেখার ক্ষেত্রে যেসব কৌশল অবলম্বন করতে হয়...
১৫ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ায় জিআইএসটি আন্তর্জাতিক বৃত্তি ২০২৫-২৬-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির আওতায় দেশটির গোয়াংজু ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) রেজিস্ট্রার ও কৃষিগুচ্ছের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব ড. মো. হেলাল উদ্দীনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পঞ্চম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নির্বাচিত প্রার্থীদের অনলাইনে ভর্তি ফির প্রথম অংশ ১০ হাজার টাকা (অফেরতযোগ্য) জমা দিয়ে ভর্তি হওয়ার আগ্রহ নিশ্চিত করতে ভর্তির..
১ দিন আগে