আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সায়েম
প্রিয় পরীক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা রইল। তোমাদের জন্য সৃজনশীল ৮টি প্রশ্ন সরবরাহ করা হবে এবং সেখান থেকে মাত্র ৩টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। ন্যূনতম ৪টি অধ্যায় সম্পূর্ণ ভালোভাবে অধ্যয়ন করলে তিনটি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব। আটটি অধ্যায়ের প্রতিটি থেকে ন্যূনতম তিনটি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন পাওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে আটটি অধ্যায় থেকে যেকোনো পাঁচটি অধ্যায় ভালোভাবে অধ্যয়ন করলে আমাদের পূর্ণ ৪৫ নম্বরের উত্তর করা সম্ভব। অবশ্যই অবশিষ্ট তিনটি অধ্যায় দেখতে হবে। কেননা, জ্ঞান ও অনুধাবনের সব প্রশ্ন একই অধ্যায় থেকে না-ও থাকতে পারে। তবে শেষ মুহূর্তের পাঁচটি অধ্যায় ভালোভাবে দেখে যেতে পারলে শতভাগ উত্তর করা সম্ভব।
সৃজনশীলে প্রথম অধ্যায় থেকে জগৎ, শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা ও দ্বিপদ নামকরণ থেকে প্রশ্ন কমন পাওয়ার খুবই সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথম অধ্যায়ের জ্ঞান ও অনুধাবনে জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা, বৈজ্ঞানিক নাম এবং এর সঙ্গে দ্বিতীয় অধ্যায়ের কোষীয় অঙ্গাণু, টিস্যু গুরুত্বপূর্ণ। সৃজনশীল প্রশ্নের জন্য বিভিন্ন কোষীয় অঙ্গাণুর গঠন, প্যারেনকাইমা, কোলেনকাইমা, স্কেরেনকাইমা, জাইলেম ও ফ্লোয়েম টিস্যুর গঠন ও কাজ গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু এই ১ম ও ২য় অধ্যায় মূলত সমন্বিত জীববিজ্ঞানের অংশ, সেহেতু ২য় অধ্যায়ের উদ্ভিদ টিস্যু থেকে প্রশ্ন এলে প্রাণী টিস্যু থেকে না আসা স্বাভাবিক। তাই প্রাণীর আবরণী টিস্যুর শ্রেণিবিন্যাস ও কাজ চিত্রসহ ভালোভাবে পড়তে হবে। এই দুই ধরনের টিস্যুর উদাহরণ থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন খুব বেশি আসে। ৪র্থ অধ্যায়টি সম্পূর্ণ উদ্ভিদ অংশ। এখানে একটি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকে। সালোক সংশ্লেষণের আলোক অধ্যায় ও আলোক নিরপেক্ষ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন অথবা শ্বসন থেকে এটিপি উৎপাদনের ব্যালেন্সশিট (ইলেকট্রন প্রবাহতন্ত্র) এবং সবাত ও অবাত শ্বসনের তুলনামূলক আলোচনা। শ্বসন ও সালোক সংশ্লেষণের গুরুত্ব প্রতিবছরই প্রশ্ন হিসেবে থাকে। এর সঙ্গে প্রভাবক গুরুত্বসহকারে পড়তে হবে।
সালোক সংশ্লেষণ ও শ্বসনের বিক্রিয়াটি শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে আয়ত্ত করার জন্য বলা হয়। কেননা, এই বিক্রিয়াগুলো বেশির ভাগ সময় বহুনির্বাচনি ও সৃজনশীলে উদ্দীপক হয়ে থাকে। ৫ম অধ্যায়টিও সমন্বিত অংশ। উদ্ভিদে পুষ্টি উপাদান ও অভাবজনিত রোগ লক্ষণ আর প্রাণীতে ক্যালরি নির্ণয়, বিএমআর ও বিএমআই নির্ণয়ে সমস্যার সমাধান আসে। এ ছাড়া পরিপাকের প্রশ্ন দুভাবেই আসতে পারে। প্রথমত, মুখ-বিবরে, পাকস্থলী ও ক্ষুদ্রান্ত্রে খাদ্য পরিপাক রাসায়নিক বিক্রিয়াসহ অথবা শর্করা, প্রোটিন ও স্নেহজাতীয় খাদ্য পরিপাক। জ্ঞান, অনুধাবন স্তর ও বহুনির্বাচনির জন্য দন্ত সংকেত, বিভিন্ন এনজাইম, পরিপাক গ্রন্থি, মিশ্র গ্রন্থি ও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের অভাবজনিত রোগ গুরুত্বপূর্ণ। ষষ্ঠ অধ্যায় জীবের পরিবহন মূলত সমন্বিত জীববিজ্ঞান, এখানে উদ্ভিদে রস উত্তোলন, পরিবহন, অভিস্রবণ, ব্যাপন, পানি ও খনিজ লবণ পরিশোষণ, প্রস্বেদন, তেমনি প্রাণী অংশে রক্ত, শিরা, ধমনি ও কৌশিক জালিকা গঠন, কাজ ও তুলনামূলক আলোচনা। এ ছাড়া হৃৎপিণ্ডের লম্বচ্ছেদ, রক্ত সংবহনতন্ত্র, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও বিভিন্ন হৃদ্রোগ-সম্পর্কিত বিষয় থেকে সৃজনশীল প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ। জ্ঞান, অনুধাবন স্তর ও বহুনির্বাচনির জন্য রক্তের বিভিন্ন উপাদানের নাম, পরিমাণ, রক্তকণিকাগুলো সুনির্দিষ্ট কাজ, ব্লাড গ্রুপ, সর্বজনীন দাতা ও গ্রহীতার ব্লাড গ্রুপ, কোলেস্টেরলের মাত্রা, উচ্চ ও স্বাভাবিক রক্তচাপ মাত্রা, হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন অংশের নাম, কাজ এবং প্রস্বেদনের প্রভাবক গুরুত্বপূর্ণ।
পূর্বোক্ত ৫টি অধ্যায়কে সমান গুরুত্ব দিয়ে অধ্যয়ন করে পরবর্তী ৩টি অধ্যায়, যেমন ৮ম অধ্যায় সম্পূর্ণ প্রাণী অংশ, এখানে রেচনতন্ত্রে বৃক্কের, নেফ্রনের গঠন কাজ, অসমোরেগুলেশন, ডায়ালাইসিস বিষয় আছে। ১১তম অধ্যায় সমন্বিত জীববিজ্ঞান অংশে উদ্ভিদ প্রজনন অংশ থেকে পুং ও স্ত্রী গ্যামেট সৃষ্টির প্রক্রিয়া, নিষেক প্রক্রিয়া ও এর গুরুত্ব এবং প্রাণী অংশেও নিষেক-পরবর্তী ভ্রূণের বিভিন্ন সময়ের পরিবর্তন গুরুত্ব পূর্ণ। বহুনির্বাচনির জন্য এইডস, প্রাণীর প্রজননে হরমোন, ফুলের পর পরাগায়নের বিভিন্ন উদাহরণ, বিভিন্ন ফুলের স্তবকের সজ্জা রীতি, যেমন মনাডেলফাস, সিনজেনেসিয়াস, এপিপেটালাস ও রেসিমোস, সাইমস পুষ্প বিন্যাস এর উদাহরণ গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ১২তম অধ্যায় থেকে ১টি সৃজনশীল প্রশ্ন আসবে। এখানে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ, ডিএনএর গঠন, বংশ গতীয় রোগ, ডারউইনের বিবর্তন ধারণার ব্যাখ্যা গুরুত্বপূর্ণ। জ্ঞানমূলক ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নে বিবর্তন-সম্পর্কিত তথ্য, ডিএনএ ও আরএনএর নাইট্রোজেন ঘটিত ক্ষারক, ডিএনএ সংখ্যাবৃদ্ধি প্রক্রিয়া-অণুলিপন, ডিএনএ টেস্ট, থ্যালাসেমিয়া ও হিমোফিলিয়া রোগ।
শেষ কথা, সব অধ্যায়ের পরীক্ষায় কমন পড়ার মতো বিষয়গুলো উপস্থাপিত হয়েছে। পরীক্ষার আগের রাতের প্রস্তুতি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট সৃজনশীল উত্তর পরীক্ষার খাতায় সাজিয়ে লেখার জন্যও একটি বিশেষ প্রস্তুতি দরকার। প্রশ্ন পাওয়ার পর লেখা শুরু না করে প্রথম ১০ মিনিট সময়ে সরবরাহকৃত ৮টি প্রশ্ন গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। যেহেতু অনেক বেশি অপশন আছে, তাই সঠিক প্রশ্ন বাছাইয়ে কিছুটা সময় প্রথমে ব্যয় করা উত্তম। এ ক্ষেত্রে সব প্রশ্নের উদ্দীপক ও গ ও ঘ নম্বর প্রশ্নগুলো একসঙ্গে আগেই পড়ে নিতে হবে। অনেকেই শুধু গ নম্বর প্রশ্ন পড়েই ভালোভাবে ঘ নম্বর প্রশ্ন না পড়েই মনে হয় প্রশ্নটি কমন। এ ক্ষেত্রে বেশি সচেতন হতে হবে। যার যার পছন্দ ও পারদর্শিতার ভিত্তিতে প্রশ্ন বাছাই করে চিত্রসংবলিত প্রশ্ন যত বেশি উত্তর দেওয়া যায় জীববিজ্ঞানে বেশি নম্বর প্রাপ্তিতে ততটাই সহায়ক। তবে চিত্র-সম্পর্কিত প্রশ্ন কমন না পেলে হতাশ না হয়ে অন্য প্রশ্নোত্তর করার ক্ষেত্রে গুছিয়ে উত্তর লেখা উত্তম। সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লেখার ক্ষেত্রে কোনো বিষয়েই উত্তরকে অতি বড় বা বেশি সংক্ষিপ্ত করা উচিত নয়; বরং প্রয়োগ স্তরের প্রশ্নোত্তর লেখার ক্ষেত্রে পাঠ্যবইয়ে সরবরাহকৃত তথ্য যা মূলত জানা সেটাই লিখতে হবে, সে ক্ষেত্রে ভূমিকায় জ্ঞান স্তর থাকা এবং উত্তর সহজ-সরল ভাষায় উপস্থাপন হলেই সেটাতে অনুধাবন স্তর এবং সার্বিক মূল্যায়নে ভালো নম্বর পেতে সহায়ক। আর উচ্চতর দক্ষতার উত্তর লেখার ক্ষেত্রে যুক্তি, তথ্য, প্রমাণ ও সারসংক্ষেপ অবশ্যই প্রাসঙ্গিক হতে হবে। বোর্ডের উত্তরপত্র মূল্যায়নে দেখা যায়, অনেক শিক্ষার্থীই প্রয়োগ ও বিশেষত উচ্চতর দক্ষতা স্তর লেখার ক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক ও প্রশ্ন বুঝতে না পারার কারণে সম্পূর্ণ ভুল তথ্য উপস্থাপন করে। খাতায় প্রথম দিকে কোনো উত্তর এমন বানানো ও ভুল তথ্য সরবরাহ করলে ওই উত্তরপত্র মূল্যায়নে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সর্বোপরি সময় জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে প্রথম ১০ মিনিট প্রশ্ন বাছাই ও পরের প্রতিটি প্রশ্নোত্তর লেখার জন্য ৩০ মিনিট করে সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহার করলে বা যদি প্রথম প্রশ্নটি ভালোভাবে লিখতে ৪০ বা ৪৫ মিনিটও লাগে তাতেও দুশ্চিন্তা না করে পরের ৫০ মিনিটকে ২৫ মিনিট করে ভাগ করে উত্তর বিরতিহীন লিখলে নির্ধারিত সময়ের আগেই লেখা সমাপ্ত হবে। যাদের ভালো প্রস্তুতি রয়েছে, তাদের উদ্দীপক ও প্রশ্ন দেখার জন্য প্রথম ৫ মিনিটই যথেষ্ট। বহুনির্বাচনি অংশে ১৫টি প্রশ্নের জন্য যেহেতু ২৫টি প্রশ্নই পড়তে হবে এবং সময় ২০ মিনিট বরাদ্দ, সেহেতু এখানে কোনো বিলম্ব করার সুযোগ নেই। প্রশ্নে প্রশ্নোত্তর দাগিয়ে চিহ্নিত করে ফেলে না রেখে তাৎক্ষণিকভাবেই জানা সাপেক্ষে তার উত্তর উত্তরপত্রের ওএমআর সিটে ভরাট করে ফেলবে। বিজ্ঞান-সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ের ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য। কেননা বৃত্ত ভরাট হবে মাত্র ১৫টি এবং এগুলো শিক্ষার্থীর জানা সাপেক্ষে আগে পড়ে, অর্থাৎ সিরিয়াল ঠিক থাকবে না। পরিশেষে সবার সুস্থতা ও সামগ্রিক সফলতা প্রত্যাশা করি।
প্রভাষক (জীববিজ্ঞান), মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ
প্রিয় পরীক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা রইল। তোমাদের জন্য সৃজনশীল ৮টি প্রশ্ন সরবরাহ করা হবে এবং সেখান থেকে মাত্র ৩টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। ন্যূনতম ৪টি অধ্যায় সম্পূর্ণ ভালোভাবে অধ্যয়ন করলে তিনটি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব। আটটি অধ্যায়ের প্রতিটি থেকে ন্যূনতম তিনটি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন পাওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে আটটি অধ্যায় থেকে যেকোনো পাঁচটি অধ্যায় ভালোভাবে অধ্যয়ন করলে আমাদের পূর্ণ ৪৫ নম্বরের উত্তর করা সম্ভব। অবশ্যই অবশিষ্ট তিনটি অধ্যায় দেখতে হবে। কেননা, জ্ঞান ও অনুধাবনের সব প্রশ্ন একই অধ্যায় থেকে না-ও থাকতে পারে। তবে শেষ মুহূর্তের পাঁচটি অধ্যায় ভালোভাবে দেখে যেতে পারলে শতভাগ উত্তর করা সম্ভব।
সৃজনশীলে প্রথম অধ্যায় থেকে জগৎ, শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা ও দ্বিপদ নামকরণ থেকে প্রশ্ন কমন পাওয়ার খুবই সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথম অধ্যায়ের জ্ঞান ও অনুধাবনে জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা, বৈজ্ঞানিক নাম এবং এর সঙ্গে দ্বিতীয় অধ্যায়ের কোষীয় অঙ্গাণু, টিস্যু গুরুত্বপূর্ণ। সৃজনশীল প্রশ্নের জন্য বিভিন্ন কোষীয় অঙ্গাণুর গঠন, প্যারেনকাইমা, কোলেনকাইমা, স্কেরেনকাইমা, জাইলেম ও ফ্লোয়েম টিস্যুর গঠন ও কাজ গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু এই ১ম ও ২য় অধ্যায় মূলত সমন্বিত জীববিজ্ঞানের অংশ, সেহেতু ২য় অধ্যায়ের উদ্ভিদ টিস্যু থেকে প্রশ্ন এলে প্রাণী টিস্যু থেকে না আসা স্বাভাবিক। তাই প্রাণীর আবরণী টিস্যুর শ্রেণিবিন্যাস ও কাজ চিত্রসহ ভালোভাবে পড়তে হবে। এই দুই ধরনের টিস্যুর উদাহরণ থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন খুব বেশি আসে। ৪র্থ অধ্যায়টি সম্পূর্ণ উদ্ভিদ অংশ। এখানে একটি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকে। সালোক সংশ্লেষণের আলোক অধ্যায় ও আলোক নিরপেক্ষ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন অথবা শ্বসন থেকে এটিপি উৎপাদনের ব্যালেন্সশিট (ইলেকট্রন প্রবাহতন্ত্র) এবং সবাত ও অবাত শ্বসনের তুলনামূলক আলোচনা। শ্বসন ও সালোক সংশ্লেষণের গুরুত্ব প্রতিবছরই প্রশ্ন হিসেবে থাকে। এর সঙ্গে প্রভাবক গুরুত্বসহকারে পড়তে হবে।
সালোক সংশ্লেষণ ও শ্বসনের বিক্রিয়াটি শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে আয়ত্ত করার জন্য বলা হয়। কেননা, এই বিক্রিয়াগুলো বেশির ভাগ সময় বহুনির্বাচনি ও সৃজনশীলে উদ্দীপক হয়ে থাকে। ৫ম অধ্যায়টিও সমন্বিত অংশ। উদ্ভিদে পুষ্টি উপাদান ও অভাবজনিত রোগ লক্ষণ আর প্রাণীতে ক্যালরি নির্ণয়, বিএমআর ও বিএমআই নির্ণয়ে সমস্যার সমাধান আসে। এ ছাড়া পরিপাকের প্রশ্ন দুভাবেই আসতে পারে। প্রথমত, মুখ-বিবরে, পাকস্থলী ও ক্ষুদ্রান্ত্রে খাদ্য পরিপাক রাসায়নিক বিক্রিয়াসহ অথবা শর্করা, প্রোটিন ও স্নেহজাতীয় খাদ্য পরিপাক। জ্ঞান, অনুধাবন স্তর ও বহুনির্বাচনির জন্য দন্ত সংকেত, বিভিন্ন এনজাইম, পরিপাক গ্রন্থি, মিশ্র গ্রন্থি ও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের অভাবজনিত রোগ গুরুত্বপূর্ণ। ষষ্ঠ অধ্যায় জীবের পরিবহন মূলত সমন্বিত জীববিজ্ঞান, এখানে উদ্ভিদে রস উত্তোলন, পরিবহন, অভিস্রবণ, ব্যাপন, পানি ও খনিজ লবণ পরিশোষণ, প্রস্বেদন, তেমনি প্রাণী অংশে রক্ত, শিরা, ধমনি ও কৌশিক জালিকা গঠন, কাজ ও তুলনামূলক আলোচনা। এ ছাড়া হৃৎপিণ্ডের লম্বচ্ছেদ, রক্ত সংবহনতন্ত্র, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও বিভিন্ন হৃদ্রোগ-সম্পর্কিত বিষয় থেকে সৃজনশীল প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ। জ্ঞান, অনুধাবন স্তর ও বহুনির্বাচনির জন্য রক্তের বিভিন্ন উপাদানের নাম, পরিমাণ, রক্তকণিকাগুলো সুনির্দিষ্ট কাজ, ব্লাড গ্রুপ, সর্বজনীন দাতা ও গ্রহীতার ব্লাড গ্রুপ, কোলেস্টেরলের মাত্রা, উচ্চ ও স্বাভাবিক রক্তচাপ মাত্রা, হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন অংশের নাম, কাজ এবং প্রস্বেদনের প্রভাবক গুরুত্বপূর্ণ।
পূর্বোক্ত ৫টি অধ্যায়কে সমান গুরুত্ব দিয়ে অধ্যয়ন করে পরবর্তী ৩টি অধ্যায়, যেমন ৮ম অধ্যায় সম্পূর্ণ প্রাণী অংশ, এখানে রেচনতন্ত্রে বৃক্কের, নেফ্রনের গঠন কাজ, অসমোরেগুলেশন, ডায়ালাইসিস বিষয় আছে। ১১তম অধ্যায় সমন্বিত জীববিজ্ঞান অংশে উদ্ভিদ প্রজনন অংশ থেকে পুং ও স্ত্রী গ্যামেট সৃষ্টির প্রক্রিয়া, নিষেক প্রক্রিয়া ও এর গুরুত্ব এবং প্রাণী অংশেও নিষেক-পরবর্তী ভ্রূণের বিভিন্ন সময়ের পরিবর্তন গুরুত্ব পূর্ণ। বহুনির্বাচনির জন্য এইডস, প্রাণীর প্রজননে হরমোন, ফুলের পর পরাগায়নের বিভিন্ন উদাহরণ, বিভিন্ন ফুলের স্তবকের সজ্জা রীতি, যেমন মনাডেলফাস, সিনজেনেসিয়াস, এপিপেটালাস ও রেসিমোস, সাইমস পুষ্প বিন্যাস এর উদাহরণ গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ১২তম অধ্যায় থেকে ১টি সৃজনশীল প্রশ্ন আসবে। এখানে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ, ডিএনএর গঠন, বংশ গতীয় রোগ, ডারউইনের বিবর্তন ধারণার ব্যাখ্যা গুরুত্বপূর্ণ। জ্ঞানমূলক ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নে বিবর্তন-সম্পর্কিত তথ্য, ডিএনএ ও আরএনএর নাইট্রোজেন ঘটিত ক্ষারক, ডিএনএ সংখ্যাবৃদ্ধি প্রক্রিয়া-অণুলিপন, ডিএনএ টেস্ট, থ্যালাসেমিয়া ও হিমোফিলিয়া রোগ।
শেষ কথা, সব অধ্যায়ের পরীক্ষায় কমন পড়ার মতো বিষয়গুলো উপস্থাপিত হয়েছে। পরীক্ষার আগের রাতের প্রস্তুতি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট সৃজনশীল উত্তর পরীক্ষার খাতায় সাজিয়ে লেখার জন্যও একটি বিশেষ প্রস্তুতি দরকার। প্রশ্ন পাওয়ার পর লেখা শুরু না করে প্রথম ১০ মিনিট সময়ে সরবরাহকৃত ৮টি প্রশ্ন গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। যেহেতু অনেক বেশি অপশন আছে, তাই সঠিক প্রশ্ন বাছাইয়ে কিছুটা সময় প্রথমে ব্যয় করা উত্তম। এ ক্ষেত্রে সব প্রশ্নের উদ্দীপক ও গ ও ঘ নম্বর প্রশ্নগুলো একসঙ্গে আগেই পড়ে নিতে হবে। অনেকেই শুধু গ নম্বর প্রশ্ন পড়েই ভালোভাবে ঘ নম্বর প্রশ্ন না পড়েই মনে হয় প্রশ্নটি কমন। এ ক্ষেত্রে বেশি সচেতন হতে হবে। যার যার পছন্দ ও পারদর্শিতার ভিত্তিতে প্রশ্ন বাছাই করে চিত্রসংবলিত প্রশ্ন যত বেশি উত্তর দেওয়া যায় জীববিজ্ঞানে বেশি নম্বর প্রাপ্তিতে ততটাই সহায়ক। তবে চিত্র-সম্পর্কিত প্রশ্ন কমন না পেলে হতাশ না হয়ে অন্য প্রশ্নোত্তর করার ক্ষেত্রে গুছিয়ে উত্তর লেখা উত্তম। সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লেখার ক্ষেত্রে কোনো বিষয়েই উত্তরকে অতি বড় বা বেশি সংক্ষিপ্ত করা উচিত নয়; বরং প্রয়োগ স্তরের প্রশ্নোত্তর লেখার ক্ষেত্রে পাঠ্যবইয়ে সরবরাহকৃত তথ্য যা মূলত জানা সেটাই লিখতে হবে, সে ক্ষেত্রে ভূমিকায় জ্ঞান স্তর থাকা এবং উত্তর সহজ-সরল ভাষায় উপস্থাপন হলেই সেটাতে অনুধাবন স্তর এবং সার্বিক মূল্যায়নে ভালো নম্বর পেতে সহায়ক। আর উচ্চতর দক্ষতার উত্তর লেখার ক্ষেত্রে যুক্তি, তথ্য, প্রমাণ ও সারসংক্ষেপ অবশ্যই প্রাসঙ্গিক হতে হবে। বোর্ডের উত্তরপত্র মূল্যায়নে দেখা যায়, অনেক শিক্ষার্থীই প্রয়োগ ও বিশেষত উচ্চতর দক্ষতা স্তর লেখার ক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক ও প্রশ্ন বুঝতে না পারার কারণে সম্পূর্ণ ভুল তথ্য উপস্থাপন করে। খাতায় প্রথম দিকে কোনো উত্তর এমন বানানো ও ভুল তথ্য সরবরাহ করলে ওই উত্তরপত্র মূল্যায়নে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সর্বোপরি সময় জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে প্রথম ১০ মিনিট প্রশ্ন বাছাই ও পরের প্রতিটি প্রশ্নোত্তর লেখার জন্য ৩০ মিনিট করে সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহার করলে বা যদি প্রথম প্রশ্নটি ভালোভাবে লিখতে ৪০ বা ৪৫ মিনিটও লাগে তাতেও দুশ্চিন্তা না করে পরের ৫০ মিনিটকে ২৫ মিনিট করে ভাগ করে উত্তর বিরতিহীন লিখলে নির্ধারিত সময়ের আগেই লেখা সমাপ্ত হবে। যাদের ভালো প্রস্তুতি রয়েছে, তাদের উদ্দীপক ও প্রশ্ন দেখার জন্য প্রথম ৫ মিনিটই যথেষ্ট। বহুনির্বাচনি অংশে ১৫টি প্রশ্নের জন্য যেহেতু ২৫টি প্রশ্নই পড়তে হবে এবং সময় ২০ মিনিট বরাদ্দ, সেহেতু এখানে কোনো বিলম্ব করার সুযোগ নেই। প্রশ্নে প্রশ্নোত্তর দাগিয়ে চিহ্নিত করে ফেলে না রেখে তাৎক্ষণিকভাবেই জানা সাপেক্ষে তার উত্তর উত্তরপত্রের ওএমআর সিটে ভরাট করে ফেলবে। বিজ্ঞান-সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ের ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য। কেননা বৃত্ত ভরাট হবে মাত্র ১৫টি এবং এগুলো শিক্ষার্থীর জানা সাপেক্ষে আগে পড়ে, অর্থাৎ সিরিয়াল ঠিক থাকবে না। পরিশেষে সবার সুস্থতা ও সামগ্রিক সফলতা প্রত্যাশা করি।
প্রভাষক (জীববিজ্ঞান), মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আচরণবিধি জারি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে উপঢৌকন বিলি-বণ্টন, আপ্যায়ন করানো, অর্থ সহযোগিতা, সেবামূলক কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অমান্য করলে আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।
১৬ মিনিট আগেমনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই তালিকায় দেখা গেছে, এবারের ডাকসু নির্বাচনে ২৮টি পদে ৪৬২টি জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
২ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ফাইবার ও পলিমার উপাদান-বিষয়ক সম্মেলন (আইসিএফপি ২০২৫) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২৬-২৭ আগস্ট। সোসাইটি অব ফাইবার সায়েন্স, বাংলাদেশের আয়োজনে এবং ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি (আইএসইউ) ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) সহযোগিতায় রাজধানীর
৩ ঘণ্টা আগেখুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) স্থাপত্য ডিসিপ্লিন ও বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের মধ্যে একাডেমিয়া-ইন্ডাস্ট্রি নেক্সাস প্রতিষ্ঠায় একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিল্প খাতের সঙ্গে যুক্ত থেকে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাবেন এবং
৩ ঘণ্টা আগে