অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমের উদ্বোধন

দেশের প্রথম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমআরএএইউ) স্থায়ী ক্যাম্পাসের আনুষ্ঠানিক একাডেমিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর জানিয়েছে, লালমনিরহাটে প্রথম স্থায়ী ক্যাম্পাসের কার্যক্রমের যাত্রা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান। এর আগে বিএসএমআরএএইউ উপাচার্য এয়ার ভাইস মার্শাল মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম নবনির্মিত ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনী প্রধান ও তাঁর সফরসঙ্গীদের স্বাগত জানান। 

অনুষ্ঠানে বিমানবাহিনী সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও স্থানীয় সামরিক এবং বেসামরিক প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ২০২০ সালে শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম ঢাকায় শুরু হলেও এর স্থায়ী ক্যাম্পাস করা হবে লালমনিরহাটে। এ জন্য প্রয়োজনীয় সম্ভাব্যতা যাচাই, মাস্টার প্ল্যান তৈরি এবং ডিপিপি প্রস্তুতির জন্য এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি ত্রি-পক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এখানে একটি পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাস তৈরি না হওয়া পর্যন্ত একটি একাডেমিক ভবন ও একটি আবাসিক ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিমানবাহিনীর প্রধান সকলকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি স্বপ্নের প্রকল্প। এ বিশ্ববিদ্যালয়টি অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস শিক্ষায় এই অঞ্চলে একটি ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্সে’ পরিণত হবে।’

বর্তমান সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি অ্যাভিয়েশন হাবে রূপান্তরের পরিকল্পনা করছে উল্লেখ করে বিমানবাহিনী প্রধান বলেন, বিশ্বব্যাপী দ্রুত বর্ধনশীল অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস সেক্টরের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও সরবরাহের ক্ষেত্রে বিএসএমআরএএইউ একটি কৌশলগত হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের এ জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ফলে বর্তমান সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সবার জন্য অংশগ্রহণমূলক এবং মানসম্পন্ন শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন প্রতিফলিত হয়েছে এবং এই অঞ্চলের জনগণ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।

অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিমানবাহিনী প্রধান ক্যাম্পাসে চারা রোপণ করেন এবং দেশের সার্বিক উন্নয়ন, বিশেষ করে বিএসএমআরএএইউ এর অব্যাহত উন্নতি ও মঙ্গল কামনা করে অনুষ্ঠিত দোয়া মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।