রাহুল শর্মা, ঢাকা

শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে ১ জানুয়ারি। অথচ এখনো সব বই হাতে পায়নি শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিক স্তরের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী পাঠ্যবই হাতে পেলেও মাধ্যমিকের অবস্থা নাজুক। মাধ্যমিক স্তরের প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দু-তিনটি করে পাঠ্যবই হাতে পেয়েছে, বাকিগুলো আসেনি। এমন সংকটের মধ্যেও বই চলে যাচ্ছে কালো বাজারে।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর নীলক্ষেতের বই বাজারে গিয়ে মিলেছে পাঠ্যবই। এ বই অবশ্য দুই ধরনের। একটি পিডিএফ থেকে প্রিন্ট করা পাঠ্যবই, অন্যটি ছাপানো পাঠ্যবই।
পরিচয় গোপন করে এক সেট পাঠ্যবই চাইলে এক দোকানদার আগে দাম নির্ধারণের কথা বলেন। বই দেখতে চাইলে বলেন, আগে দাম ঠিক করুন, পরে ‘ভেতর’ থেকে এনে দেব। দাম কেমন এমন– প্রশ্নে তিনি বলেন, পিডিএফ সেট ২ হাজার ৫০০ আর ছাপানো বই ৪ হাজার টাকা।
নীলক্ষেতে কথা হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আসিফ মাহমুদের সঙ্গে। তিনি জানান, সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের জন্য পাঠ্যবই কিনতে এসেছেন। অনেক দরদাম শেষে ৩,৮০০ টাকায় এক সেট ছাপানো বই কিনেছেন তিনি।
বিনা মূল্যের পাঠ্যবই লাইব্রেরিতে বিক্রির অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন এনসিটিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাঁরা জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় প্রায়ই বিভিন্ন লাইব্রেরি ও বইয়ের দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, এখন পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার সেট বই জব্দ করা হয়েছে।
গত বুধবার পুরান ঢাকার বাংলাবাজারের ইস্পাহানি গলির বিভিন্ন গুদামে অভিযান চালিয়ে বিনা মূল্যের দুই ট্রাক বই (প্রায় ১০ হাজার) উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এই সময় বই বিক্রি ও মজুতের সঙ্গে জড়িত একটি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই দিনে শেরপুর সদর উপজেলায় বইভর্তি একটি ট্রাক জব্দ করে পুলিশ। এতে সরকারিভাবে বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত মাধ্যমিক পর্যায়ের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির ৯ হাজার সরকারি বই পাওয়া গেছে।
এখনো ৫৪ শতাংশ বই বিতরণ সম্ভব হয়নি : রাজধানী ঢাকার একাধিক বিদ্যালয় এবং সারা দেশে খোঁজখবর নিয়ে পাঠ্যবই বিতরণের নাজুক চিত্রের কথা জানা গেছে। বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানো ও বিতরণের দায়িত্বে থাকা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তথ্যও বলছে, এখনো ৫৪ শতাংশ বই বিতরণ সম্ভব হয়নি।
ঢাকার একাধিক বিদ্যালয়ে সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণির তিনটি, সপ্তম শ্রেণির তিনটি, অষ্টম ও নবম শ্রেণির দুটি এবং দশম শ্রেণির চার বিষয়ের বই বিতরণ করা হয়েছে। আর প্রাথমিকের বাংলা ভার্সনের সব পাঠ্যবই বিতরণ হয়েছে। তবে ইংরেজি ভার্সনের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের কোনো বই এখনো আসেনি।
ঢাকার ইস্কাটন গার্ডেন উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুটি অথবা তিনটি করে পাঠ্যবই পেয়েছে। আর প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীরা বই পেয়েছে। একই অবস্থা মগবাজারে অবস্থিত ইস্পাহানি বালিকা মহাবিদ্যালয়ের। এ বিদ্যালয়েরও মাধ্যমিক শ্রেণির বেশির ভাগ শিক্ষার্থী এখনো অধিকাংশ বই পায়নি।
ইংরেজি ভার্সনের বিদ্যালয় বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলে গিয়ে জানা গেল, চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত বই এসেছে। তবে পঞ্চম শ্রেণির বই এখনো পাওয়া যায়নি।
ঢাকার বাইরের চিত্রও মোটামুটি একই রকম। অন্তত ১০টি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মাধ্যমিকের কোনো শ্রেণিতেই সব বই এখনো পৌঁছায়নি। তবে প্রাথমিক স্তরের অবস্থা তুলনামূলক ভালো।
২০১০ সাল থেকে সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে পাঠ্যবই দিচ্ছে। এ বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে মোট ৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ২০২টি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ৩০ কোটি ৯৫ লাখ ৪১ হাজার ৪৮৬টি এবং প্রাথমিক স্তরের জন্য ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি বই রয়েছে। এসব বই ছাপানো ও বিতরণে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।
এনসিটিবির ২২ জানুয়ারির তথ্য বলছে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ৪৬ শতাংশ পাঠ্যবই সরবরাহ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিকের ৭৯ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরের ৩৬ শতাংশ। অর্থাৎ সব মিলিয়ে পাঠ্যবই সরবরাহ করা হয়েছে সাড়ে ১৮ কোটি আর এখনো বাকি রয়েছে ১২ কোটির বেশি বই।
এনসিটিবি সূত্র বলছে, জুলাই-আগস্টের আন্দোলন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং ক্ষমতার পটপরিবর্তনের কারণে পাঠ্যবই ছাপানোর দরপত্র, পুনঃদরপত্র প্রক্রিয়ায় এবার অনেক দেরি হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল, বইয়ে সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জন হয়েছে। এতে দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে অক্টোবরে। কয়েকটি বইয়ের দরপত্র প্রক্রিয়া এখনো চলছে। অন্যান্য বছর দরপত্র প্রক্রিয়া জুনে শেষ হয়েছিল। এ ছাড়া এবার মানসম্মত কাগজ ও কালির ব্যাপক সংকট ছিল। সব মিলিয়ে সময়মতো বই ছাপানো শুরু করা যায়নি।
পড়াশোনা চলছে ঢিমেতালে:
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, বই না আসায় এখনো পুরোদমে ক্লাস শুরু করা হয়নি। ফলে শ্রেণি কার্যক্রম চলছে ঢিমেতালে। সব বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাসও হচ্ছে না। অনেক বিদ্যালয়ে দুটি বা তিনটি করে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। বাকি সময়টুকু খেলাধুলা, স্কাউটিংসহ এ-সংক্রান্ত কার্যক্রমে ব্যয় করা হচ্ছে।
ওই শিক্ষকেরা আরও জানান, কোনো কোনো বিদ্যালয়ের শিক্ষক ওয়েবসাইট থেকে পাঠ্যবই ডাউনলোড করে ক্লাস নিচ্ছেন। তবে এতে মনোযোগী হচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানো ও বিতরণের দায়িত্বে থাকা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিভিন্ন কারণে এবার দেরিতে পাঠ্যবই ছাপানো শুরু হয়েছে। তবে এখন যে গতিতে পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে, তাতে ফেব্রুয়ারির মধ্যে বই পাবে শিক্ষার্থীরা। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন দশম শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপানোতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। এ শ্রেণির বই ছাপানো শেষ হলে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বই ছাপানোয় গতি আসবে।’
তবে এনসিটিবির চেয়ারম্যানের বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন কার্যাদেশ পাওয়া একটি মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে অমর একুশে বইমেলা শুরু হচ্ছে। ওই সময় প্রকাশনাপ্রতিষ্ঠানগুলো বাণিজ্যিক বই নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। এরপর মার্চে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান। সব মিলিয়ে মনে হয় না এপ্রিলের আগে পাঠ্যবই ছাপানো শেষ হবে।
এদিকে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই না পেয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনেকে ‘নোট-গাইড’ বা সহায়ক বইয়ের পেছনে ছুটছেন। অনেক জায়গায় খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই; যা চড়া দামে কিনছেন অভিভাবকেরা।

শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে ১ জানুয়ারি। অথচ এখনো সব বই হাতে পায়নি শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিক স্তরের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী পাঠ্যবই হাতে পেলেও মাধ্যমিকের অবস্থা নাজুক। মাধ্যমিক স্তরের প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দু-তিনটি করে পাঠ্যবই হাতে পেয়েছে, বাকিগুলো আসেনি। এমন সংকটের মধ্যেও বই চলে যাচ্ছে কালো বাজারে।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর নীলক্ষেতের বই বাজারে গিয়ে মিলেছে পাঠ্যবই। এ বই অবশ্য দুই ধরনের। একটি পিডিএফ থেকে প্রিন্ট করা পাঠ্যবই, অন্যটি ছাপানো পাঠ্যবই।
পরিচয় গোপন করে এক সেট পাঠ্যবই চাইলে এক দোকানদার আগে দাম নির্ধারণের কথা বলেন। বই দেখতে চাইলে বলেন, আগে দাম ঠিক করুন, পরে ‘ভেতর’ থেকে এনে দেব। দাম কেমন এমন– প্রশ্নে তিনি বলেন, পিডিএফ সেট ২ হাজার ৫০০ আর ছাপানো বই ৪ হাজার টাকা।
নীলক্ষেতে কথা হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আসিফ মাহমুদের সঙ্গে। তিনি জানান, সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের জন্য পাঠ্যবই কিনতে এসেছেন। অনেক দরদাম শেষে ৩,৮০০ টাকায় এক সেট ছাপানো বই কিনেছেন তিনি।
বিনা মূল্যের পাঠ্যবই লাইব্রেরিতে বিক্রির অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন এনসিটিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাঁরা জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় প্রায়ই বিভিন্ন লাইব্রেরি ও বইয়ের দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, এখন পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার সেট বই জব্দ করা হয়েছে।
গত বুধবার পুরান ঢাকার বাংলাবাজারের ইস্পাহানি গলির বিভিন্ন গুদামে অভিযান চালিয়ে বিনা মূল্যের দুই ট্রাক বই (প্রায় ১০ হাজার) উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এই সময় বই বিক্রি ও মজুতের সঙ্গে জড়িত একটি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই দিনে শেরপুর সদর উপজেলায় বইভর্তি একটি ট্রাক জব্দ করে পুলিশ। এতে সরকারিভাবে বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত মাধ্যমিক পর্যায়ের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির ৯ হাজার সরকারি বই পাওয়া গেছে।
এখনো ৫৪ শতাংশ বই বিতরণ সম্ভব হয়নি : রাজধানী ঢাকার একাধিক বিদ্যালয় এবং সারা দেশে খোঁজখবর নিয়ে পাঠ্যবই বিতরণের নাজুক চিত্রের কথা জানা গেছে। বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানো ও বিতরণের দায়িত্বে থাকা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তথ্যও বলছে, এখনো ৫৪ শতাংশ বই বিতরণ সম্ভব হয়নি।
ঢাকার একাধিক বিদ্যালয়ে সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণির তিনটি, সপ্তম শ্রেণির তিনটি, অষ্টম ও নবম শ্রেণির দুটি এবং দশম শ্রেণির চার বিষয়ের বই বিতরণ করা হয়েছে। আর প্রাথমিকের বাংলা ভার্সনের সব পাঠ্যবই বিতরণ হয়েছে। তবে ইংরেজি ভার্সনের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের কোনো বই এখনো আসেনি।
ঢাকার ইস্কাটন গার্ডেন উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুটি অথবা তিনটি করে পাঠ্যবই পেয়েছে। আর প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীরা বই পেয়েছে। একই অবস্থা মগবাজারে অবস্থিত ইস্পাহানি বালিকা মহাবিদ্যালয়ের। এ বিদ্যালয়েরও মাধ্যমিক শ্রেণির বেশির ভাগ শিক্ষার্থী এখনো অধিকাংশ বই পায়নি।
ইংরেজি ভার্সনের বিদ্যালয় বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলে গিয়ে জানা গেল, চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত বই এসেছে। তবে পঞ্চম শ্রেণির বই এখনো পাওয়া যায়নি।
ঢাকার বাইরের চিত্রও মোটামুটি একই রকম। অন্তত ১০টি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মাধ্যমিকের কোনো শ্রেণিতেই সব বই এখনো পৌঁছায়নি। তবে প্রাথমিক স্তরের অবস্থা তুলনামূলক ভালো।
২০১০ সাল থেকে সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে পাঠ্যবই দিচ্ছে। এ বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে মোট ৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ২০২টি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ৩০ কোটি ৯৫ লাখ ৪১ হাজার ৪৮৬টি এবং প্রাথমিক স্তরের জন্য ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি বই রয়েছে। এসব বই ছাপানো ও বিতরণে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।
এনসিটিবির ২২ জানুয়ারির তথ্য বলছে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ৪৬ শতাংশ পাঠ্যবই সরবরাহ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিকের ৭৯ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরের ৩৬ শতাংশ। অর্থাৎ সব মিলিয়ে পাঠ্যবই সরবরাহ করা হয়েছে সাড়ে ১৮ কোটি আর এখনো বাকি রয়েছে ১২ কোটির বেশি বই।
এনসিটিবি সূত্র বলছে, জুলাই-আগস্টের আন্দোলন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং ক্ষমতার পটপরিবর্তনের কারণে পাঠ্যবই ছাপানোর দরপত্র, পুনঃদরপত্র প্রক্রিয়ায় এবার অনেক দেরি হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল, বইয়ে সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জন হয়েছে। এতে দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে অক্টোবরে। কয়েকটি বইয়ের দরপত্র প্রক্রিয়া এখনো চলছে। অন্যান্য বছর দরপত্র প্রক্রিয়া জুনে শেষ হয়েছিল। এ ছাড়া এবার মানসম্মত কাগজ ও কালির ব্যাপক সংকট ছিল। সব মিলিয়ে সময়মতো বই ছাপানো শুরু করা যায়নি।
পড়াশোনা চলছে ঢিমেতালে:
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, বই না আসায় এখনো পুরোদমে ক্লাস শুরু করা হয়নি। ফলে শ্রেণি কার্যক্রম চলছে ঢিমেতালে। সব বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাসও হচ্ছে না। অনেক বিদ্যালয়ে দুটি বা তিনটি করে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। বাকি সময়টুকু খেলাধুলা, স্কাউটিংসহ এ-সংক্রান্ত কার্যক্রমে ব্যয় করা হচ্ছে।
ওই শিক্ষকেরা আরও জানান, কোনো কোনো বিদ্যালয়ের শিক্ষক ওয়েবসাইট থেকে পাঠ্যবই ডাউনলোড করে ক্লাস নিচ্ছেন। তবে এতে মনোযোগী হচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানো ও বিতরণের দায়িত্বে থাকা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিভিন্ন কারণে এবার দেরিতে পাঠ্যবই ছাপানো শুরু হয়েছে। তবে এখন যে গতিতে পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে, তাতে ফেব্রুয়ারির মধ্যে বই পাবে শিক্ষার্থীরা। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন দশম শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপানোতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। এ শ্রেণির বই ছাপানো শেষ হলে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বই ছাপানোয় গতি আসবে।’
তবে এনসিটিবির চেয়ারম্যানের বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন কার্যাদেশ পাওয়া একটি মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে অমর একুশে বইমেলা শুরু হচ্ছে। ওই সময় প্রকাশনাপ্রতিষ্ঠানগুলো বাণিজ্যিক বই নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। এরপর মার্চে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান। সব মিলিয়ে মনে হয় না এপ্রিলের আগে পাঠ্যবই ছাপানো শেষ হবে।
এদিকে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই না পেয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনেকে ‘নোট-গাইড’ বা সহায়ক বইয়ের পেছনে ছুটছেন। অনেক জায়গায় খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই; যা চড়া দামে কিনছেন অভিভাবকেরা।
রাহুল শর্মা, ঢাকা

শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে ১ জানুয়ারি। অথচ এখনো সব বই হাতে পায়নি শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিক স্তরের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী পাঠ্যবই হাতে পেলেও মাধ্যমিকের অবস্থা নাজুক। মাধ্যমিক স্তরের প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দু-তিনটি করে পাঠ্যবই হাতে পেয়েছে, বাকিগুলো আসেনি। এমন সংকটের মধ্যেও বই চলে যাচ্ছে কালো বাজারে।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর নীলক্ষেতের বই বাজারে গিয়ে মিলেছে পাঠ্যবই। এ বই অবশ্য দুই ধরনের। একটি পিডিএফ থেকে প্রিন্ট করা পাঠ্যবই, অন্যটি ছাপানো পাঠ্যবই।
পরিচয় গোপন করে এক সেট পাঠ্যবই চাইলে এক দোকানদার আগে দাম নির্ধারণের কথা বলেন। বই দেখতে চাইলে বলেন, আগে দাম ঠিক করুন, পরে ‘ভেতর’ থেকে এনে দেব। দাম কেমন এমন– প্রশ্নে তিনি বলেন, পিডিএফ সেট ২ হাজার ৫০০ আর ছাপানো বই ৪ হাজার টাকা।
নীলক্ষেতে কথা হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আসিফ মাহমুদের সঙ্গে। তিনি জানান, সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের জন্য পাঠ্যবই কিনতে এসেছেন। অনেক দরদাম শেষে ৩,৮০০ টাকায় এক সেট ছাপানো বই কিনেছেন তিনি।
বিনা মূল্যের পাঠ্যবই লাইব্রেরিতে বিক্রির অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন এনসিটিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাঁরা জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় প্রায়ই বিভিন্ন লাইব্রেরি ও বইয়ের দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, এখন পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার সেট বই জব্দ করা হয়েছে।
গত বুধবার পুরান ঢাকার বাংলাবাজারের ইস্পাহানি গলির বিভিন্ন গুদামে অভিযান চালিয়ে বিনা মূল্যের দুই ট্রাক বই (প্রায় ১০ হাজার) উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এই সময় বই বিক্রি ও মজুতের সঙ্গে জড়িত একটি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই দিনে শেরপুর সদর উপজেলায় বইভর্তি একটি ট্রাক জব্দ করে পুলিশ। এতে সরকারিভাবে বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত মাধ্যমিক পর্যায়ের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির ৯ হাজার সরকারি বই পাওয়া গেছে।
এখনো ৫৪ শতাংশ বই বিতরণ সম্ভব হয়নি : রাজধানী ঢাকার একাধিক বিদ্যালয় এবং সারা দেশে খোঁজখবর নিয়ে পাঠ্যবই বিতরণের নাজুক চিত্রের কথা জানা গেছে। বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানো ও বিতরণের দায়িত্বে থাকা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তথ্যও বলছে, এখনো ৫৪ শতাংশ বই বিতরণ সম্ভব হয়নি।
ঢাকার একাধিক বিদ্যালয়ে সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণির তিনটি, সপ্তম শ্রেণির তিনটি, অষ্টম ও নবম শ্রেণির দুটি এবং দশম শ্রেণির চার বিষয়ের বই বিতরণ করা হয়েছে। আর প্রাথমিকের বাংলা ভার্সনের সব পাঠ্যবই বিতরণ হয়েছে। তবে ইংরেজি ভার্সনের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের কোনো বই এখনো আসেনি।
ঢাকার ইস্কাটন গার্ডেন উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুটি অথবা তিনটি করে পাঠ্যবই পেয়েছে। আর প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীরা বই পেয়েছে। একই অবস্থা মগবাজারে অবস্থিত ইস্পাহানি বালিকা মহাবিদ্যালয়ের। এ বিদ্যালয়েরও মাধ্যমিক শ্রেণির বেশির ভাগ শিক্ষার্থী এখনো অধিকাংশ বই পায়নি।
ইংরেজি ভার্সনের বিদ্যালয় বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলে গিয়ে জানা গেল, চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত বই এসেছে। তবে পঞ্চম শ্রেণির বই এখনো পাওয়া যায়নি।
ঢাকার বাইরের চিত্রও মোটামুটি একই রকম। অন্তত ১০টি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মাধ্যমিকের কোনো শ্রেণিতেই সব বই এখনো পৌঁছায়নি। তবে প্রাথমিক স্তরের অবস্থা তুলনামূলক ভালো।
২০১০ সাল থেকে সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে পাঠ্যবই দিচ্ছে। এ বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে মোট ৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ২০২টি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ৩০ কোটি ৯৫ লাখ ৪১ হাজার ৪৮৬টি এবং প্রাথমিক স্তরের জন্য ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি বই রয়েছে। এসব বই ছাপানো ও বিতরণে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।
এনসিটিবির ২২ জানুয়ারির তথ্য বলছে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ৪৬ শতাংশ পাঠ্যবই সরবরাহ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিকের ৭৯ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরের ৩৬ শতাংশ। অর্থাৎ সব মিলিয়ে পাঠ্যবই সরবরাহ করা হয়েছে সাড়ে ১৮ কোটি আর এখনো বাকি রয়েছে ১২ কোটির বেশি বই।
এনসিটিবি সূত্র বলছে, জুলাই-আগস্টের আন্দোলন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং ক্ষমতার পটপরিবর্তনের কারণে পাঠ্যবই ছাপানোর দরপত্র, পুনঃদরপত্র প্রক্রিয়ায় এবার অনেক দেরি হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল, বইয়ে সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জন হয়েছে। এতে দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে অক্টোবরে। কয়েকটি বইয়ের দরপত্র প্রক্রিয়া এখনো চলছে। অন্যান্য বছর দরপত্র প্রক্রিয়া জুনে শেষ হয়েছিল। এ ছাড়া এবার মানসম্মত কাগজ ও কালির ব্যাপক সংকট ছিল। সব মিলিয়ে সময়মতো বই ছাপানো শুরু করা যায়নি।
পড়াশোনা চলছে ঢিমেতালে:
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, বই না আসায় এখনো পুরোদমে ক্লাস শুরু করা হয়নি। ফলে শ্রেণি কার্যক্রম চলছে ঢিমেতালে। সব বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাসও হচ্ছে না। অনেক বিদ্যালয়ে দুটি বা তিনটি করে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। বাকি সময়টুকু খেলাধুলা, স্কাউটিংসহ এ-সংক্রান্ত কার্যক্রমে ব্যয় করা হচ্ছে।
ওই শিক্ষকেরা আরও জানান, কোনো কোনো বিদ্যালয়ের শিক্ষক ওয়েবসাইট থেকে পাঠ্যবই ডাউনলোড করে ক্লাস নিচ্ছেন। তবে এতে মনোযোগী হচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানো ও বিতরণের দায়িত্বে থাকা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিভিন্ন কারণে এবার দেরিতে পাঠ্যবই ছাপানো শুরু হয়েছে। তবে এখন যে গতিতে পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে, তাতে ফেব্রুয়ারির মধ্যে বই পাবে শিক্ষার্থীরা। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন দশম শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপানোতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। এ শ্রেণির বই ছাপানো শেষ হলে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বই ছাপানোয় গতি আসবে।’
তবে এনসিটিবির চেয়ারম্যানের বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন কার্যাদেশ পাওয়া একটি মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে অমর একুশে বইমেলা শুরু হচ্ছে। ওই সময় প্রকাশনাপ্রতিষ্ঠানগুলো বাণিজ্যিক বই নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। এরপর মার্চে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান। সব মিলিয়ে মনে হয় না এপ্রিলের আগে পাঠ্যবই ছাপানো শেষ হবে।
এদিকে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই না পেয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনেকে ‘নোট-গাইড’ বা সহায়ক বইয়ের পেছনে ছুটছেন। অনেক জায়গায় খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই; যা চড়া দামে কিনছেন অভিভাবকেরা।

শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে ১ জানুয়ারি। অথচ এখনো সব বই হাতে পায়নি শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিক স্তরের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী পাঠ্যবই হাতে পেলেও মাধ্যমিকের অবস্থা নাজুক। মাধ্যমিক স্তরের প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দু-তিনটি করে পাঠ্যবই হাতে পেয়েছে, বাকিগুলো আসেনি। এমন সংকটের মধ্যেও বই চলে যাচ্ছে কালো বাজারে।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর নীলক্ষেতের বই বাজারে গিয়ে মিলেছে পাঠ্যবই। এ বই অবশ্য দুই ধরনের। একটি পিডিএফ থেকে প্রিন্ট করা পাঠ্যবই, অন্যটি ছাপানো পাঠ্যবই।
পরিচয় গোপন করে এক সেট পাঠ্যবই চাইলে এক দোকানদার আগে দাম নির্ধারণের কথা বলেন। বই দেখতে চাইলে বলেন, আগে দাম ঠিক করুন, পরে ‘ভেতর’ থেকে এনে দেব। দাম কেমন এমন– প্রশ্নে তিনি বলেন, পিডিএফ সেট ২ হাজার ৫০০ আর ছাপানো বই ৪ হাজার টাকা।
নীলক্ষেতে কথা হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আসিফ মাহমুদের সঙ্গে। তিনি জানান, সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের জন্য পাঠ্যবই কিনতে এসেছেন। অনেক দরদাম শেষে ৩,৮০০ টাকায় এক সেট ছাপানো বই কিনেছেন তিনি।
বিনা মূল্যের পাঠ্যবই লাইব্রেরিতে বিক্রির অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন এনসিটিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাঁরা জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় প্রায়ই বিভিন্ন লাইব্রেরি ও বইয়ের দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, এখন পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার সেট বই জব্দ করা হয়েছে।
গত বুধবার পুরান ঢাকার বাংলাবাজারের ইস্পাহানি গলির বিভিন্ন গুদামে অভিযান চালিয়ে বিনা মূল্যের দুই ট্রাক বই (প্রায় ১০ হাজার) উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এই সময় বই বিক্রি ও মজুতের সঙ্গে জড়িত একটি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই দিনে শেরপুর সদর উপজেলায় বইভর্তি একটি ট্রাক জব্দ করে পুলিশ। এতে সরকারিভাবে বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত মাধ্যমিক পর্যায়ের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির ৯ হাজার সরকারি বই পাওয়া গেছে।
এখনো ৫৪ শতাংশ বই বিতরণ সম্ভব হয়নি : রাজধানী ঢাকার একাধিক বিদ্যালয় এবং সারা দেশে খোঁজখবর নিয়ে পাঠ্যবই বিতরণের নাজুক চিত্রের কথা জানা গেছে। বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানো ও বিতরণের দায়িত্বে থাকা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তথ্যও বলছে, এখনো ৫৪ শতাংশ বই বিতরণ সম্ভব হয়নি।
ঢাকার একাধিক বিদ্যালয়ে সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণির তিনটি, সপ্তম শ্রেণির তিনটি, অষ্টম ও নবম শ্রেণির দুটি এবং দশম শ্রেণির চার বিষয়ের বই বিতরণ করা হয়েছে। আর প্রাথমিকের বাংলা ভার্সনের সব পাঠ্যবই বিতরণ হয়েছে। তবে ইংরেজি ভার্সনের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের কোনো বই এখনো আসেনি।
ঢাকার ইস্কাটন গার্ডেন উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুটি অথবা তিনটি করে পাঠ্যবই পেয়েছে। আর প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীরা বই পেয়েছে। একই অবস্থা মগবাজারে অবস্থিত ইস্পাহানি বালিকা মহাবিদ্যালয়ের। এ বিদ্যালয়েরও মাধ্যমিক শ্রেণির বেশির ভাগ শিক্ষার্থী এখনো অধিকাংশ বই পায়নি।
ইংরেজি ভার্সনের বিদ্যালয় বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলে গিয়ে জানা গেল, চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত বই এসেছে। তবে পঞ্চম শ্রেণির বই এখনো পাওয়া যায়নি।
ঢাকার বাইরের চিত্রও মোটামুটি একই রকম। অন্তত ১০টি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মাধ্যমিকের কোনো শ্রেণিতেই সব বই এখনো পৌঁছায়নি। তবে প্রাথমিক স্তরের অবস্থা তুলনামূলক ভালো।
২০১০ সাল থেকে সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে পাঠ্যবই দিচ্ছে। এ বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে মোট ৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ২০২টি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ৩০ কোটি ৯৫ লাখ ৪১ হাজার ৪৮৬টি এবং প্রাথমিক স্তরের জন্য ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি বই রয়েছে। এসব বই ছাপানো ও বিতরণে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।
এনসিটিবির ২২ জানুয়ারির তথ্য বলছে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ৪৬ শতাংশ পাঠ্যবই সরবরাহ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিকের ৭৯ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরের ৩৬ শতাংশ। অর্থাৎ সব মিলিয়ে পাঠ্যবই সরবরাহ করা হয়েছে সাড়ে ১৮ কোটি আর এখনো বাকি রয়েছে ১২ কোটির বেশি বই।
এনসিটিবি সূত্র বলছে, জুলাই-আগস্টের আন্দোলন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং ক্ষমতার পটপরিবর্তনের কারণে পাঠ্যবই ছাপানোর দরপত্র, পুনঃদরপত্র প্রক্রিয়ায় এবার অনেক দেরি হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল, বইয়ে সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জন হয়েছে। এতে দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে অক্টোবরে। কয়েকটি বইয়ের দরপত্র প্রক্রিয়া এখনো চলছে। অন্যান্য বছর দরপত্র প্রক্রিয়া জুনে শেষ হয়েছিল। এ ছাড়া এবার মানসম্মত কাগজ ও কালির ব্যাপক সংকট ছিল। সব মিলিয়ে সময়মতো বই ছাপানো শুরু করা যায়নি।
পড়াশোনা চলছে ঢিমেতালে:
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, বই না আসায় এখনো পুরোদমে ক্লাস শুরু করা হয়নি। ফলে শ্রেণি কার্যক্রম চলছে ঢিমেতালে। সব বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাসও হচ্ছে না। অনেক বিদ্যালয়ে দুটি বা তিনটি করে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। বাকি সময়টুকু খেলাধুলা, স্কাউটিংসহ এ-সংক্রান্ত কার্যক্রমে ব্যয় করা হচ্ছে।
ওই শিক্ষকেরা আরও জানান, কোনো কোনো বিদ্যালয়ের শিক্ষক ওয়েবসাইট থেকে পাঠ্যবই ডাউনলোড করে ক্লাস নিচ্ছেন। তবে এতে মনোযোগী হচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানো ও বিতরণের দায়িত্বে থাকা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিভিন্ন কারণে এবার দেরিতে পাঠ্যবই ছাপানো শুরু হয়েছে। তবে এখন যে গতিতে পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে, তাতে ফেব্রুয়ারির মধ্যে বই পাবে শিক্ষার্থীরা। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন দশম শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপানোতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। এ শ্রেণির বই ছাপানো শেষ হলে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বই ছাপানোয় গতি আসবে।’
তবে এনসিটিবির চেয়ারম্যানের বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন কার্যাদেশ পাওয়া একটি মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে অমর একুশে বইমেলা শুরু হচ্ছে। ওই সময় প্রকাশনাপ্রতিষ্ঠানগুলো বাণিজ্যিক বই নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। এরপর মার্চে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান। সব মিলিয়ে মনে হয় না এপ্রিলের আগে পাঠ্যবই ছাপানো শেষ হবে।
এদিকে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই না পেয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনেকে ‘নোট-গাইড’ বা সহায়ক বইয়ের পেছনে ছুটছেন। অনেক জায়গায় খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই; যা চড়া দামে কিনছেন অভিভাবকেরা।

দেশে অণুজীববিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণা প্রসারে ‘বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টসের (বিএসএম)’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ড. মুনিরুল আলম।
১৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছেন বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া।
১৫ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশ। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রিক ও সৃজনশীল পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে
১ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ও ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ও ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উভয় দিন পরীক্ষার সময় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

দেশে অণুজীববিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণা প্রসারে ‘বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টসের (বিএসএম)’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ড. মুনিরুল আলম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ ও বিএসএমের যৌথ উদ্যোগে গত ২১–২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৩৯তম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। একই সঙ্গে তিনি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অণুজীববিজ্ঞান গবেষণায় উদ্ভাবনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী, গবেষক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, ভেটেরিনারি বিশেষজ্ঞ, শিল্পখাতের প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল অণুজীববিজ্ঞান ও সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোতে সাম্প্রতিক গবেষণা ও অগ্রগতি নিয়ে মতবিনিময় করা, বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা জোরদার করা এবং সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর দিকনির্দেশনা প্রদান করা। সম্মেলনে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪০০-এর অধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।
এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় “Microbiomes for a Sustainable Future” সময়োপযোগী ছিল এবং মানব উন্নয়ন ও কল্যাণে অণুজীববিজ্ঞানের গুরুত্ব তুলে ধরতে সহায়ক হয়। সর্বমোট ২৮৮টি সারসংক্ষেপ (Abstract) গৃহীত হওয়ার পর সম্মেলনের ১২টি টেকনিক্যাল সেশনে ২টি প্লেনারি বক্তৃতা, ৮টি কীনোট বক্তৃতা, ৬টি আমন্ত্রিত বক্তৃতা, ৪টি ইয়াং সায়েন্টিস্ট টক, ৫৮টি মৌখিক উপস্থাপনা এবং প্রায় ২২৬টি পোস্টার উপস্থাপন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এস. এম. এ. ফয়েজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (একাডেমিক) প্রফেসর ডা. মামুন আহমেদ। স্বাগতিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. শাকিলা নার্গিস খান।
অনুষ্ঠানের শেষপর্বে সম্মেলন আয়োজন কমিটির চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেসের (সিএআরএস) চিফ সায়েন্টিস্ট ডা. লতিফুল বারী ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

দেশে অণুজীববিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণা প্রসারে ‘বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টসের (বিএসএম)’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ড. মুনিরুল আলম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ ও বিএসএমের যৌথ উদ্যোগে গত ২১–২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৩৯তম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। একই সঙ্গে তিনি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অণুজীববিজ্ঞান গবেষণায় উদ্ভাবনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী, গবেষক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, ভেটেরিনারি বিশেষজ্ঞ, শিল্পখাতের প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল অণুজীববিজ্ঞান ও সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোতে সাম্প্রতিক গবেষণা ও অগ্রগতি নিয়ে মতবিনিময় করা, বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা জোরদার করা এবং সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর দিকনির্দেশনা প্রদান করা। সম্মেলনে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪০০-এর অধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।
এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় “Microbiomes for a Sustainable Future” সময়োপযোগী ছিল এবং মানব উন্নয়ন ও কল্যাণে অণুজীববিজ্ঞানের গুরুত্ব তুলে ধরতে সহায়ক হয়। সর্বমোট ২৮৮টি সারসংক্ষেপ (Abstract) গৃহীত হওয়ার পর সম্মেলনের ১২টি টেকনিক্যাল সেশনে ২টি প্লেনারি বক্তৃতা, ৮টি কীনোট বক্তৃতা, ৬টি আমন্ত্রিত বক্তৃতা, ৪টি ইয়াং সায়েন্টিস্ট টক, ৫৮টি মৌখিক উপস্থাপনা এবং প্রায় ২২৬টি পোস্টার উপস্থাপন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এস. এম. এ. ফয়েজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (একাডেমিক) প্রফেসর ডা. মামুন আহমেদ। স্বাগতিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. শাকিলা নার্গিস খান।
অনুষ্ঠানের শেষপর্বে সম্মেলন আয়োজন কমিটির চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেসের (সিএআরএস) চিফ সায়েন্টিস্ট ডা. লতিফুল বারী ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে ১ জানুয়ারি। অথচ এখনো সব বই হাতে পায়নি শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিক স্তরের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী পাঠ্যবই হাতে পেলেও মাধ্যমিকের অবস্থা নাজুক। মাধ্যমিক স্তরের প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দু-তিনটি করে পাঠ্যবই হাতে পেয়েছে, বাকিগুলো আসেনি। এমন সংকটের মধ্যেও বই চলে যাচ্ছে কালো বাজারে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছেন বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া।
১৫ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশ। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রিক ও সৃজনশীল পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে
১ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ও ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ও ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উভয় দিন পরীক্ষার সময় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা।
১ দিন আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছেন বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আসেন তিনি। এ সময় শহীদ সাজিদ ভবন, প্রক্টর অফিস ঘুরে প্রোগোজ স্কুলের মাঠে সাংবাদিক ও ফ্যানদের সঙ্গে কথা বলেন এই ফুটবলার।

এ সময় জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো এলাম। আমার অনেক ভালো লাগছে। এটি অনেক পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচন। আপনাদের সবার প্রতি শুভকামনা। আমি আবার আসব ইনশা আল্লাহ।’
এ সময় জাতীয় ছাত্র শক্তি সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী মো. ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘আমরা স্পোর্টস কার্নিভালের সময় জামাল ভাইকে আমাদের ক্যাম্পাসে আসার আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু তখন শিডিউল না পাওয়ায় সম্ভব হয়নি। এই প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশ ফুটবলের প্রথম সুপারস্টার জামাল ভূঁইয়া। তাঁর মাধ্যমে বাংলাদেশ ফুটবলের এই নতুন ধারা উন্মোচিত হয়েছে।’

এ সময় এই সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলটির ভিপি পদপ্রার্থী কিশোয়ার আনজুম সাম্য, ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী ফেরদৌস হাসান সোহান, কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী সিনহা ইসলাম অর্না এবং ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের ক্রীড়া সম্পাদক কামরুল হাছান নাফিজসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছিলেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছেন বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আসেন তিনি। এ সময় শহীদ সাজিদ ভবন, প্রক্টর অফিস ঘুরে প্রোগোজ স্কুলের মাঠে সাংবাদিক ও ফ্যানদের সঙ্গে কথা বলেন এই ফুটবলার।

এ সময় জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো এলাম। আমার অনেক ভালো লাগছে। এটি অনেক পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচন। আপনাদের সবার প্রতি শুভকামনা। আমি আবার আসব ইনশা আল্লাহ।’
এ সময় জাতীয় ছাত্র শক্তি সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী মো. ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘আমরা স্পোর্টস কার্নিভালের সময় জামাল ভাইকে আমাদের ক্যাম্পাসে আসার আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু তখন শিডিউল না পাওয়ায় সম্ভব হয়নি। এই প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশ ফুটবলের প্রথম সুপারস্টার জামাল ভূঁইয়া। তাঁর মাধ্যমে বাংলাদেশ ফুটবলের এই নতুন ধারা উন্মোচিত হয়েছে।’

এ সময় এই সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলটির ভিপি পদপ্রার্থী কিশোয়ার আনজুম সাম্য, ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী ফেরদৌস হাসান সোহান, কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী সিনহা ইসলাম অর্না এবং ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের ক্রীড়া সম্পাদক কামরুল হাছান নাফিজসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছিলেন।

শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে ১ জানুয়ারি। অথচ এখনো সব বই হাতে পায়নি শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিক স্তরের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী পাঠ্যবই হাতে পেলেও মাধ্যমিকের অবস্থা নাজুক। মাধ্যমিক স্তরের প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দু-তিনটি করে পাঠ্যবই হাতে পেয়েছে, বাকিগুলো আসেনি। এমন সংকটের মধ্যেও বই চলে যাচ্ছে কালো বাজারে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
দেশে অণুজীববিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণা প্রসারে ‘বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টসের (বিএসএম)’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ড. মুনিরুল আলম।
১৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশ। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রিক ও সৃজনশীল পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে
১ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ও ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ও ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উভয় দিন পরীক্ষার সময় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা।
১ দিন আগেসোহানুর রহমান, জবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশ। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রিক ও সৃজনশীল পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে বাড়তি আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।
জকসু নির্বাচনের প্রার্থীরা প্রচারণায় পোস্টার ও লিফলেটের মতো প্রচলিত প্রচারসামগ্রীর বাইরে গিয়ে লাল কার্ড, রঙিন প্ল্যাকার্ড ও হাতে বহনযোগ্য নানা প্রচারসামগ্রী ব্যবহার করছেন। দেয়ালে পোস্টার সাঁটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় আচরণবিধি মেনেই ভিন্ন কৌশলে ভোটারদের কাছে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা।
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের মন জয় করতে ব্যবহার করছেন এরোপ্লেন আকৃতির কাগজ, প্রতীকী নোট, কাপ, বোতল, প্রজাপতি, জকসু পাসপোর্টসহ নানা অভিনব উপকরণ। আকর্ষণীয় স্লোগান ও রঙিন ডিজাইনের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে নির্বাচনী অঙ্গীকার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
প্রচারণায় প্রযুক্তির ব্যবহারও চোখে পড়ার মতো। কিউআর কোড সংযুক্ত প্রচারণা সামগ্রীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন স্ক্যান করে মুহূর্তেই প্রার্থীদের বিস্তারিত ইশতেহার ও পরিকল্পনা জানতে পারছেন।
ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও প্রাণবন্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। শুরু থেকেই আমরা জোরালো প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো এবং তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যেই আমি ভিন্নধর্মী প্রচার কার্ড ব্যবহার করছি।’
ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেলের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদপ্রার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘লিফলেট দিয়ে প্রচার করার ফলে ভোটাররা অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন, তাই এবার আমাদের অন্য রকম প্রচারণা। আমাদের বার্তাটি আকর্ষণীয়ভাবে ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম চালাচ্ছি।’
স্বতন্ত্র নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী আল শাহরিয়ার খান বলেন, ‘নারী শিক্ষার্থীদের আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং প্রচারসামগ্রী যেন সংরক্ষণযোগ্য হয়, এই চিন্তা থেকেই আমি বিড়ালের আদলে কার্ড তৈরি করেছি।’
ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ‘নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছে ইশতেহার পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের সমস্যা ও প্রত্যাশা বোঝার চেষ্টা করছি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশ। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রিক ও সৃজনশীল পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে বাড়তি আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।
জকসু নির্বাচনের প্রার্থীরা প্রচারণায় পোস্টার ও লিফলেটের মতো প্রচলিত প্রচারসামগ্রীর বাইরে গিয়ে লাল কার্ড, রঙিন প্ল্যাকার্ড ও হাতে বহনযোগ্য নানা প্রচারসামগ্রী ব্যবহার করছেন। দেয়ালে পোস্টার সাঁটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় আচরণবিধি মেনেই ভিন্ন কৌশলে ভোটারদের কাছে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা।
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের মন জয় করতে ব্যবহার করছেন এরোপ্লেন আকৃতির কাগজ, প্রতীকী নোট, কাপ, বোতল, প্রজাপতি, জকসু পাসপোর্টসহ নানা অভিনব উপকরণ। আকর্ষণীয় স্লোগান ও রঙিন ডিজাইনের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে নির্বাচনী অঙ্গীকার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
প্রচারণায় প্রযুক্তির ব্যবহারও চোখে পড়ার মতো। কিউআর কোড সংযুক্ত প্রচারণা সামগ্রীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন স্ক্যান করে মুহূর্তেই প্রার্থীদের বিস্তারিত ইশতেহার ও পরিকল্পনা জানতে পারছেন।
ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও প্রাণবন্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। শুরু থেকেই আমরা জোরালো প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো এবং তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যেই আমি ভিন্নধর্মী প্রচার কার্ড ব্যবহার করছি।’
ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেলের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদপ্রার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘লিফলেট দিয়ে প্রচার করার ফলে ভোটাররা অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন, তাই এবার আমাদের অন্য রকম প্রচারণা। আমাদের বার্তাটি আকর্ষণীয়ভাবে ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম চালাচ্ছি।’
স্বতন্ত্র নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী আল শাহরিয়ার খান বলেন, ‘নারী শিক্ষার্থীদের আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং প্রচারসামগ্রী যেন সংরক্ষণযোগ্য হয়, এই চিন্তা থেকেই আমি বিড়ালের আদলে কার্ড তৈরি করেছি।’
ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ‘নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছে ইশতেহার পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের সমস্যা ও প্রত্যাশা বোঝার চেষ্টা করছি।’

শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে ১ জানুয়ারি। অথচ এখনো সব বই হাতে পায়নি শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিক স্তরের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী পাঠ্যবই হাতে পেলেও মাধ্যমিকের অবস্থা নাজুক। মাধ্যমিক স্তরের প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দু-তিনটি করে পাঠ্যবই হাতে পেয়েছে, বাকিগুলো আসেনি। এমন সংকটের মধ্যেও বই চলে যাচ্ছে কালো বাজারে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
দেশে অণুজীববিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণা প্রসারে ‘বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টসের (বিএসএম)’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ড. মুনিরুল আলম।
১৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছেন বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া।
১৫ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ও ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ও ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উভয় দিন পরীক্ষার সময় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা।
১ দিন আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ও ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ও ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উভয় দিন পরীক্ষার সময় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা।
‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষায় ৮৬০টি আসনের বিপরীতে ৭২ হাজর ৪৭৪ জন আবেদন করেছে। প্রতি আসনের জন্য ৮৫ জন পরীক্ষার্থী লড়বেন। আর ‘সি’ ইউনিটে (বাণিজ্য অনুষদ) ৫২০টি আসনের বিপরীতে ২০ হাজর ৫৩৭ জন আবেদন করেছে। বিজ্ঞান অনুষদে ৮৬০ আসনের বিপরীতে ৭২ হাজর ৪৭৪ জন আবেদন করেছে। প্রতি আসনের জন্য ৪০ জন শিক্ষার্থী লড়বেন।
‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা মোট ১২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঢাকার বাহিরে তিনটি কেন্দ্র, কুমিল্লা বিশ্বিবদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা হবে। ঢাকার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে পরীক্ষা হবে। ঢাকার ভেতরের কেন্দ্র সমূহ হলো— জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, কে এল জুবিলি হাই স্কুল এন্ড কলেজ, বিইএএম মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ।
‘সি’ ইউনিটে (বাণিজ্য অনুষদ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার মধ্যে বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গভর্মেন্ট মুসলিম হাই স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৷
মোট ১০০ মার্কের পরীক্ষায় ৭২ মার্ক এমসিকিউ ও বাকী ১৮ মার্ক থাকবে এসএসসি (সমমান) ও এইচএসসি (সমমান) ফলাফলের ওপর। ‘এ’ ইউনিটে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন গণিত অথবা জীব বিজ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। ‘সি’ ইউনিটে ইংরেজি, গাণিতিক বুদ্ধিমত্তা ও হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ বিষয়ে প্রশ্ন আসবে।
পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পরিমল বালা বলেন, ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি আমাদের সম্পন্ন হয়েছে। এবার পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে এবার ঢাকার বাহিরে খুলনা, রাজশাহী ও কুমিল্লা পরীক্ষা কেন্দ্র রাখা হয়েছে।
বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া বলেন, আমাদের ৫২০ আসনের বিপরীতে ২০ হাজার ৫৩৭ জন আবেদন করেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার মধ্যে আরও ৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার বাহিরে কোন কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে না।
এর আগে ১৩ ডিসেম্বর ‘ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লখ্য, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৯ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ও ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ও ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উভয় দিন পরীক্ষার সময় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা।
‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষায় ৮৬০টি আসনের বিপরীতে ৭২ হাজর ৪৭৪ জন আবেদন করেছে। প্রতি আসনের জন্য ৮৫ জন পরীক্ষার্থী লড়বেন। আর ‘সি’ ইউনিটে (বাণিজ্য অনুষদ) ৫২০টি আসনের বিপরীতে ২০ হাজর ৫৩৭ জন আবেদন করেছে। বিজ্ঞান অনুষদে ৮৬০ আসনের বিপরীতে ৭২ হাজর ৪৭৪ জন আবেদন করেছে। প্রতি আসনের জন্য ৪০ জন শিক্ষার্থী লড়বেন।
‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা মোট ১২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঢাকার বাহিরে তিনটি কেন্দ্র, কুমিল্লা বিশ্বিবদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা হবে। ঢাকার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে পরীক্ষা হবে। ঢাকার ভেতরের কেন্দ্র সমূহ হলো— জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, কে এল জুবিলি হাই স্কুল এন্ড কলেজ, বিইএএম মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ।
‘সি’ ইউনিটে (বাণিজ্য অনুষদ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার মধ্যে বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গভর্মেন্ট মুসলিম হাই স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৷
মোট ১০০ মার্কের পরীক্ষায় ৭২ মার্ক এমসিকিউ ও বাকী ১৮ মার্ক থাকবে এসএসসি (সমমান) ও এইচএসসি (সমমান) ফলাফলের ওপর। ‘এ’ ইউনিটে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন গণিত অথবা জীব বিজ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। ‘সি’ ইউনিটে ইংরেজি, গাণিতিক বুদ্ধিমত্তা ও হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ বিষয়ে প্রশ্ন আসবে।
পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পরিমল বালা বলেন, ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি আমাদের সম্পন্ন হয়েছে। এবার পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে এবার ঢাকার বাহিরে খুলনা, রাজশাহী ও কুমিল্লা পরীক্ষা কেন্দ্র রাখা হয়েছে।
বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া বলেন, আমাদের ৫২০ আসনের বিপরীতে ২০ হাজার ৫৩৭ জন আবেদন করেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার মধ্যে আরও ৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার বাহিরে কোন কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে না।
এর আগে ১৩ ডিসেম্বর ‘ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লখ্য, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৯ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে ১ জানুয়ারি। অথচ এখনো সব বই হাতে পায়নি শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিক স্তরের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী পাঠ্যবই হাতে পেলেও মাধ্যমিকের অবস্থা নাজুক। মাধ্যমিক স্তরের প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দু-তিনটি করে পাঠ্যবই হাতে পেয়েছে, বাকিগুলো আসেনি। এমন সংকটের মধ্যেও বই চলে যাচ্ছে কালো বাজারে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
দেশে অণুজীববিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণা প্রসারে ‘বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টসের (বিএসএম)’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ড. মুনিরুল আলম।
১৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছেন বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া।
১৫ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশ। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রিক ও সৃজনশীল পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে
১ দিন আগে