Ajker Patrika

পদায়নের দাবিতে উপাচার্যের দপ্তরে অবস্থান নিয়োগপ্রাপ্ত একাংশের

প্রতিনিধি, রাবি
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২১, ১৫: ০৩
পদায়নের দাবিতে উপাচার্যের দপ্তরে অবস্থান নিয়োগপ্রাপ্ত একাংশের

কর্মস্থলে পদায়নের দাবিতে ফের রুটিন উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহার দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়েছে বিদায়ী উপাচার্যের শেষ কর্মদিবসে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের একাংশ। আজ রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে নিয়োগপ্রাপ্ত ছাত্রলীগের ২০-২৫ জন নেতা–কর্মী উপাচার্যের দপ্তরের সামনে অবস্থান নেন।

প্রায় ঘণ্টাখানেক অবস্থানের পর উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে প্রবেশ করেন তাঁরা। বেলা পৌনে ১টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় তাঁরা সেখানে অবস্থান করছিলেন।

জানা যায়, সরকার ঘোষিত লকডাউনে সব ধরনের অফিশিয়াল কার্যক্রম বন্ধ থাকার নির্দেশনা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা মানছে না। তারা কয়েকটি দপ্তরের মিটিং করেছে। যেহেতু পদায়নের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো মিটিং হবে না, এমন দাবিতে অবস্থান নেন তাঁরা।

নিয়োগপ্রাপ্ত রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আতিকুর রহমান সুমন বলেন, ‘আমরা কর্মস্থলে যোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তিন দিন আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু এর মধ্যে সরকার ঘোষিত লকডাউন শুরু হয়। লকডাউনের কারণে নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে গেলেও নিশ্চুপ ছিলাম। কিন্তু আজ আমরা জানতে পারলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে তারা অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আজ তারা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং কল করেছে। তবে আমাদের পদায়ন না হওয়া পর্যন্ত কোনো গুরুত্বপূর্ণ মিটিং করতে দেব না।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ১০টায় উপাচার্যের কনফারেন্স কক্ষে কৃষি প্রকল্পের বার্ষিক আয়–ব্যয় হিসাব ও বাজেট পাসসংক্রান্ত একটি বৈঠক ছিল; যা সাড়ে ১১টায় শেষ হয়। পরে উপাচার্য শিক্ষাসচিবের সঙ্গে অনলাইন মিটিংয়ে যুক্ত হন। 

তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক মন্তব্য করতে রাজি হননি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবাহান শেষ কর্মদিবস ১৩৮ জনকে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেন। ওই দিন বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করেন। পরে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়োগপ্রাপ্তদের যোগদানে স্থগিতাদেশ দেন। ফলে নিয়োগপ্রাপ্তরা এখনো কর্মস্থলে যোগদান করতে পারেননি। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে নিয়োগপ্রাপ্তরা কমিশনের প্রদানের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন। সর্বশেষ গত ২৮ জুন পদায়ন দিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত