দেশের অন্যতম বৃহৎ ইলেকট্রনিকস, ইলেকট্রিক্যাল, অটোমোবাইল, হোম অ্যান্ড কিচেন এবং প্রযুক্তিপণ্য ব্র্যান্ড ওয়ালটন। বর্তমানে এখানে ২৫ হাজারের বেশি কর্মী কাজ করছেন। নিয়োগপ্রক্রিয়া, কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা ও ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার সম্ভাবনা নিয়ে ওয়ালটন করপোরেট অফিসের মানবসম্পদ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) প্রদীপ প্রামাণিক আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিভাগের ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক খান।
আব্দুর রাজ্জাক খান
ওয়ালটনের নিয়োগপ্রক্রিয়া ও নীতিমালা সম্পর্কে জানতে চাই।
ওয়ালটনের নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পূর্ণ মেধাভিত্তিক ও স্বচ্ছ। আবেদন যাচাইয়ের পর টেলিফোনিক ইন্টারভিউ, লিখিত পরীক্ষা, আইটি দক্ষতা যাচাই এবং সমন্বিত ভাইভা বোর্ডের মাধ্যমে সেরা প্রার্থী নির্বাচন করা হয়। আমরা প্রার্থীর কমিউনিকেশন দক্ষতা, সততা এবং ওয়ার্ক কালচারের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিই। নারী-পুরুষ উভয়ই যোগ্যতার ভিত্তিতে আবেদন করতে পারছেন।
ওয়ালটনে চাকরির সুযোগ কেমন, বছরের কোন সময়ে বেশি নিয়োগ দেওয়া হয়?
ওয়ালটনে বছরজুড়ে নিয়োগপ্রক্রিয়া চলমান থাকে। তবে বছরের শুরু এবং মাঝামাঝি সময়ে বড় পরিসরে নিয়োগ হয়। ম্যানপাওয়ার বাজেট ও পরিকল্পনার ভিত্তিতে প্রোডাকশন, আরঅ্যান্ডআই, সেলস, কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট, আইটি এবং টেকনিক্যাল পদে প্রায় নিয়মিতই নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া সিজন অনুযায়ী প্রোডাকশন ও সেলস বেড়ে গেলে নতুন জনবল প্রয়োজন হয়। ফেস্টিভ্যাল সিজন বা নতুন প্রোডাক্ট বাজারে আসার সময়ও নতুন কর্মীর চাহিদা বাড়ে।
কোন কোন বিভাগে চাকরির সুযোগ বেশি থাকে?
প্রোডাকশন, আরঅ্যান্ডআই, সেলস, মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন, কাস্টমার সার্ভিস, কল সেন্টার, আইটি, ইন্টারনাল অডিট এবং ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস—প্রায় সব বিভাগেই চাকরির সুযোগ রয়েছে। সাধারণত বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রনিকস, কম্পিউটার) এবং গ্র্যাজুয়েশন ও প্রফেশনাল সার্টিফিকেশন সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা বেশি অগ্রাধিকার পান। তবে সেলস, প্রোডাকশন এবং কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট বিভাগে চাকরির সুযোগ সবচেয়ে বেশি থাকে।
অভিজ্ঞ প্রার্থী মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোন দিকগুলোতে নজর দেওয়া হয়?
ওয়ালটন বিশেষভাবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষ জনবলকে গুরুত্ব দেয়। অভিজ্ঞ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুধু সিভিতে থাকা অভিজ্ঞতা নয়, বরং বাস্তবে তাঁরা কর্মজীবনে কী অর্জন করেছেন এবং টিমে যোগদানের পর কী ভ্যালু অ্যাড করবেন, তা মূল্যায়ন করা হয়। বিশেষভাবে দেখা হয়, প্রাসঙ্গিক কাজের অভিজ্ঞতা, নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষমতা, টেকনিক্যাল ও কমিউনিকেশন স্কিল, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, টিমওয়ার্ক, অ্যাডাপ্টেবিলিটি, পরিবর্তন মেনে নেওয়ার ক্ষমতা, প্রতিষ্ঠানের মিশন-ভিশন, সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য এবং প্রতিষ্ঠানের জন্য নিবেদিত থাকার মানসিকতা।
ভাইভায় প্রার্থীর কোন দক্ষতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, কোথায় ঘাটতি দেখা যায়?
ভাইভায় যোগাযোগ-দক্ষতা, বিষয়ভিত্তিক ও ব্যবসায়িক জ্ঞান, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা, আত্মবিশ্বাস ও ব্যক্তিত্ব, বিশ্লেষণধর্মী ক্ষমতা, নৈতিক মূল্যবোধ এবং প্রাতিষ্ঠানিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। ঘাটতি সাধারণত দেখা যায় বাস্তব অভিজ্ঞতার অভাব, দুর্বল যোগাযোগ-ক্ষমতা, কাজের অভিজ্ঞতা সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে না পারা, বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানের ঘাটতি এবং ব্যবহারিক জ্ঞানের অভাব।
চাহিদা অনুযায়ী কেমন দক্ষ প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে, কারিকুলামে পরিবর্তন প্রয়োজন আছে কি?
দক্ষ প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিং, আইটি, আরঅ্যান্ডআইয়ের মতো ক্ষেত্রে অনেক মেধাবী তরুণ রয়েছেন। তবে বাস্তব ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা মেটাতে আরও ইন্ডাস্ট্রি-ওরিয়েন্টেড কোর্স কারিকুলাম, প্র্যাকটিক্যাল ট্রেনিং, সফট স্কিল উন্নয়ন ও ইন্ডাস্ট্রি লিঙ্কেজ বাড়ানো জরুরি।
ওয়ালটনে ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের সুযোগ কতটা?
ওয়ালটন সব সময় ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের স্বাগত জানায়। তবে সেই সুযোগ গ্রহণের জন্য তাঁদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও কম্পিউটারে দক্ষতা এবং যোগাযোগ-দক্ষতা থাকতে হবে। আমাদের ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি প্রোগ্রাম, ইন্টার্নশিপ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্টসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নিয়োগের সুযোগ রয়েছে। এখানে শেখার সুযোগ অনেক বেশি এবং ক্যারিয়ার গ্রোথও দ্রুত হয়। ওয়ালটনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অফিশিয়াল ক্যারিয়ার পোর্টাল, বিডিজবস, লিংকডইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
প্রার্থীদের সিভিতে সাধারণত কী ধরনের ভুল দেখা যায়?
অতিরিক্ত বড় সিভি, অগোছালো ফরম্যাট, অস্পষ্ট ক্যারিয়ার অবজেকটিভ, বানান ভুল, অপ্রাসঙ্গিক তথ্য দেওয়া, অতিরঞ্জিত অভিজ্ঞতা উল্লেখ করা এবং সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা না থাকার পরও আবেদন করার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
কর্মীদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে ওয়ালটনে কী ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে?
ওয়ালটনের লার্নিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট টিম ট্রেনিং নিড অ্যাসেসমেন্টের ভিত্তিতে বিভিন্ন মডিউল তৈরি করে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের শিক্ষাগত যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন বিভাগে ‘অন দ্য জব ট্রেনিং’ প্রদান করা হয়। এ ছাড়া স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ট্রেনিং, লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, প্রোডাক্ট ট্রেনিং এবং টেকনিক্যাল ট্রেনিংও নিয়মিত পরিচালিত হয়। কর্মীদের পারফরম্যান্স অ্যাপ্রাইজালের মাধ্যমে বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ নিশ্চিত করা হয়।
কর্মীদের বেতন-সুবিধা ও প্রেরণা প্রদানে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়?
ওয়ালটনে কর্মীদের জন্য রয়েছে প্রতিযোগিতামূলক বেতনকাঠামো, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, প্রভিডেন্ট ফান্ড, চিকিৎসা-সুবিধা, কর্মীকল্যাণ তহবিল, পারফরম্যান্স বোনাস, উৎসব ভাতা, সার্ভিস বেনিফিট, স্বাস্থ্যবিমা, পরিবহন ও ক্যানটিন-সুবিধা। পাশাপাশি বেস্ট পারফরমার অ্যাওয়ার্ড, ক্যারিয়ার গ্রোথ ও পদোন্নতি, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন, ওয়ার্ক লাইফ ব্যালেন্স এবং কর্মীদের মতামত গ্রহণ ও ফিডব্যাক সংগ্রহের মাধ্যমে প্রেরণা নিশ্চিত করা হয়।
নতুন প্রযুক্তি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে দক্ষতাকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়?
ওয়ালটনের বর্তমান উন্নয়নকাঠামোয় ডেটা অ্যানালিটিকস, অটোমেশন ও আইওটিভিত্তিক দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে প্রোডাকশন, আইটি এবং আরঅ্যান্ডআই বিভাগে এ দক্ষতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এ ছাড়া পাওয়ার বিআই, পাইথন, এআইচালিত টুলস ব্যবহারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব। মার্কেটিং মিডিয়া অ্যানালিটিকস, চ্যাটবট এবং কাস্টমার সার্ভিস অটোমেশনের ক্ষেত্রেও এ ধরনের দক্ষতা কর্মীদের এগিয়ে রাখে।
বহির্বিশ্বে ওয়ালটনের বাজারে পরিস্থিতি কেমন?
ওয়ালটন শুধু দেশের ভেতরেই নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে। কর্মীদের জন্য বৈশ্বিক পর্যায়ে কাজ করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে ওয়ালটনের পণ্য বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করা হয়। দক্ষ কর্মীদের উন্নত প্রযুক্তি শেখার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়। এ ছাড়া কর্মীরা বিদেশিদের সঙ্গে মিটিং, আন্তর্জাতিক ফেয়ার বা এক্সিবিশনে অংশ নিতে পারেন।
কর্মীদের স্বাস্থ্যসেবা ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়?
ওয়ালটন বিশ্বাস করে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ কর্মী থেকে সর্বোচ্চ আউটপুট পাওয়া সম্ভব। তাই কর্মীদের শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য নিজস্ব মেডিকেল সাপোর্ট টিম, স্বাস্থ্যবিমা এবং নিয়মিত হেলথ চেকআপের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা, মোটিভেশনাল সেশন এবং কাউন্সেলিং সুবিধাও প্রদান করা হয়।
ওয়ালটনে কাজ করতে আগ্রহী নতুনদের জন্য কী পরামর্শ দেবেন?
নিজের স্কিল এবং অর্জিত জ্ঞানের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। প্রযুক্তি এবং টিমওয়ার্কের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। সব সময় নতুন কিছু শেখার মানসিকতা এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যারিয়ার গড়ার মনোভাব রাখতে হবে। ওয়ালটনে মেধা ও পরিশ্রমের সঠিক মূল্যায়ন করা হয়, তাই নিজেকে প্রস্তুত করলেই ক্যারিয়ার গ্রোথের সুযোগ নিশ্চিত।
আপনাকে ধন্যবাদ।
আজকের পত্রিকাকেও ধন্যবাদ।
ওয়ালটনের নিয়োগপ্রক্রিয়া ও নীতিমালা সম্পর্কে জানতে চাই।
ওয়ালটনের নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পূর্ণ মেধাভিত্তিক ও স্বচ্ছ। আবেদন যাচাইয়ের পর টেলিফোনিক ইন্টারভিউ, লিখিত পরীক্ষা, আইটি দক্ষতা যাচাই এবং সমন্বিত ভাইভা বোর্ডের মাধ্যমে সেরা প্রার্থী নির্বাচন করা হয়। আমরা প্রার্থীর কমিউনিকেশন দক্ষতা, সততা এবং ওয়ার্ক কালচারের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিই। নারী-পুরুষ উভয়ই যোগ্যতার ভিত্তিতে আবেদন করতে পারছেন।
ওয়ালটনে চাকরির সুযোগ কেমন, বছরের কোন সময়ে বেশি নিয়োগ দেওয়া হয়?
ওয়ালটনে বছরজুড়ে নিয়োগপ্রক্রিয়া চলমান থাকে। তবে বছরের শুরু এবং মাঝামাঝি সময়ে বড় পরিসরে নিয়োগ হয়। ম্যানপাওয়ার বাজেট ও পরিকল্পনার ভিত্তিতে প্রোডাকশন, আরঅ্যান্ডআই, সেলস, কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট, আইটি এবং টেকনিক্যাল পদে প্রায় নিয়মিতই নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া সিজন অনুযায়ী প্রোডাকশন ও সেলস বেড়ে গেলে নতুন জনবল প্রয়োজন হয়। ফেস্টিভ্যাল সিজন বা নতুন প্রোডাক্ট বাজারে আসার সময়ও নতুন কর্মীর চাহিদা বাড়ে।
কোন কোন বিভাগে চাকরির সুযোগ বেশি থাকে?
প্রোডাকশন, আরঅ্যান্ডআই, সেলস, মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন, কাস্টমার সার্ভিস, কল সেন্টার, আইটি, ইন্টারনাল অডিট এবং ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস—প্রায় সব বিভাগেই চাকরির সুযোগ রয়েছে। সাধারণত বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রনিকস, কম্পিউটার) এবং গ্র্যাজুয়েশন ও প্রফেশনাল সার্টিফিকেশন সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা বেশি অগ্রাধিকার পান। তবে সেলস, প্রোডাকশন এবং কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট বিভাগে চাকরির সুযোগ সবচেয়ে বেশি থাকে।
অভিজ্ঞ প্রার্থী মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোন দিকগুলোতে নজর দেওয়া হয়?
ওয়ালটন বিশেষভাবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষ জনবলকে গুরুত্ব দেয়। অভিজ্ঞ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুধু সিভিতে থাকা অভিজ্ঞতা নয়, বরং বাস্তবে তাঁরা কর্মজীবনে কী অর্জন করেছেন এবং টিমে যোগদানের পর কী ভ্যালু অ্যাড করবেন, তা মূল্যায়ন করা হয়। বিশেষভাবে দেখা হয়, প্রাসঙ্গিক কাজের অভিজ্ঞতা, নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষমতা, টেকনিক্যাল ও কমিউনিকেশন স্কিল, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, টিমওয়ার্ক, অ্যাডাপ্টেবিলিটি, পরিবর্তন মেনে নেওয়ার ক্ষমতা, প্রতিষ্ঠানের মিশন-ভিশন, সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য এবং প্রতিষ্ঠানের জন্য নিবেদিত থাকার মানসিকতা।
ভাইভায় প্রার্থীর কোন দক্ষতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, কোথায় ঘাটতি দেখা যায়?
ভাইভায় যোগাযোগ-দক্ষতা, বিষয়ভিত্তিক ও ব্যবসায়িক জ্ঞান, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা, আত্মবিশ্বাস ও ব্যক্তিত্ব, বিশ্লেষণধর্মী ক্ষমতা, নৈতিক মূল্যবোধ এবং প্রাতিষ্ঠানিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। ঘাটতি সাধারণত দেখা যায় বাস্তব অভিজ্ঞতার অভাব, দুর্বল যোগাযোগ-ক্ষমতা, কাজের অভিজ্ঞতা সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে না পারা, বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানের ঘাটতি এবং ব্যবহারিক জ্ঞানের অভাব।
চাহিদা অনুযায়ী কেমন দক্ষ প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে, কারিকুলামে পরিবর্তন প্রয়োজন আছে কি?
দক্ষ প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিং, আইটি, আরঅ্যান্ডআইয়ের মতো ক্ষেত্রে অনেক মেধাবী তরুণ রয়েছেন। তবে বাস্তব ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা মেটাতে আরও ইন্ডাস্ট্রি-ওরিয়েন্টেড কোর্স কারিকুলাম, প্র্যাকটিক্যাল ট্রেনিং, সফট স্কিল উন্নয়ন ও ইন্ডাস্ট্রি লিঙ্কেজ বাড়ানো জরুরি।
ওয়ালটনে ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের সুযোগ কতটা?
ওয়ালটন সব সময় ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের স্বাগত জানায়। তবে সেই সুযোগ গ্রহণের জন্য তাঁদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও কম্পিউটারে দক্ষতা এবং যোগাযোগ-দক্ষতা থাকতে হবে। আমাদের ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি প্রোগ্রাম, ইন্টার্নশিপ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্টসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নিয়োগের সুযোগ রয়েছে। এখানে শেখার সুযোগ অনেক বেশি এবং ক্যারিয়ার গ্রোথও দ্রুত হয়। ওয়ালটনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অফিশিয়াল ক্যারিয়ার পোর্টাল, বিডিজবস, লিংকডইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
প্রার্থীদের সিভিতে সাধারণত কী ধরনের ভুল দেখা যায়?
অতিরিক্ত বড় সিভি, অগোছালো ফরম্যাট, অস্পষ্ট ক্যারিয়ার অবজেকটিভ, বানান ভুল, অপ্রাসঙ্গিক তথ্য দেওয়া, অতিরঞ্জিত অভিজ্ঞতা উল্লেখ করা এবং সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা না থাকার পরও আবেদন করার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
কর্মীদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে ওয়ালটনে কী ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে?
ওয়ালটনের লার্নিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট টিম ট্রেনিং নিড অ্যাসেসমেন্টের ভিত্তিতে বিভিন্ন মডিউল তৈরি করে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের শিক্ষাগত যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন বিভাগে ‘অন দ্য জব ট্রেনিং’ প্রদান করা হয়। এ ছাড়া স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ট্রেনিং, লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, প্রোডাক্ট ট্রেনিং এবং টেকনিক্যাল ট্রেনিংও নিয়মিত পরিচালিত হয়। কর্মীদের পারফরম্যান্স অ্যাপ্রাইজালের মাধ্যমে বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ নিশ্চিত করা হয়।
কর্মীদের বেতন-সুবিধা ও প্রেরণা প্রদানে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়?
ওয়ালটনে কর্মীদের জন্য রয়েছে প্রতিযোগিতামূলক বেতনকাঠামো, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, প্রভিডেন্ট ফান্ড, চিকিৎসা-সুবিধা, কর্মীকল্যাণ তহবিল, পারফরম্যান্স বোনাস, উৎসব ভাতা, সার্ভিস বেনিফিট, স্বাস্থ্যবিমা, পরিবহন ও ক্যানটিন-সুবিধা। পাশাপাশি বেস্ট পারফরমার অ্যাওয়ার্ড, ক্যারিয়ার গ্রোথ ও পদোন্নতি, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন, ওয়ার্ক লাইফ ব্যালেন্স এবং কর্মীদের মতামত গ্রহণ ও ফিডব্যাক সংগ্রহের মাধ্যমে প্রেরণা নিশ্চিত করা হয়।
নতুন প্রযুক্তি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে দক্ষতাকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়?
ওয়ালটনের বর্তমান উন্নয়নকাঠামোয় ডেটা অ্যানালিটিকস, অটোমেশন ও আইওটিভিত্তিক দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে প্রোডাকশন, আইটি এবং আরঅ্যান্ডআই বিভাগে এ দক্ষতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এ ছাড়া পাওয়ার বিআই, পাইথন, এআইচালিত টুলস ব্যবহারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব। মার্কেটিং মিডিয়া অ্যানালিটিকস, চ্যাটবট এবং কাস্টমার সার্ভিস অটোমেশনের ক্ষেত্রেও এ ধরনের দক্ষতা কর্মীদের এগিয়ে রাখে।
বহির্বিশ্বে ওয়ালটনের বাজারে পরিস্থিতি কেমন?
ওয়ালটন শুধু দেশের ভেতরেই নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে। কর্মীদের জন্য বৈশ্বিক পর্যায়ে কাজ করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে ওয়ালটনের পণ্য বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করা হয়। দক্ষ কর্মীদের উন্নত প্রযুক্তি শেখার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়। এ ছাড়া কর্মীরা বিদেশিদের সঙ্গে মিটিং, আন্তর্জাতিক ফেয়ার বা এক্সিবিশনে অংশ নিতে পারেন।
কর্মীদের স্বাস্থ্যসেবা ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়?
ওয়ালটন বিশ্বাস করে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ কর্মী থেকে সর্বোচ্চ আউটপুট পাওয়া সম্ভব। তাই কর্মীদের শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য নিজস্ব মেডিকেল সাপোর্ট টিম, স্বাস্থ্যবিমা এবং নিয়মিত হেলথ চেকআপের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা, মোটিভেশনাল সেশন এবং কাউন্সেলিং সুবিধাও প্রদান করা হয়।
ওয়ালটনে কাজ করতে আগ্রহী নতুনদের জন্য কী পরামর্শ দেবেন?
নিজের স্কিল এবং অর্জিত জ্ঞানের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। প্রযুক্তি এবং টিমওয়ার্কের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। সব সময় নতুন কিছু শেখার মানসিকতা এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যারিয়ার গড়ার মনোভাব রাখতে হবে। ওয়ালটনে মেধা ও পরিশ্রমের সঠিক মূল্যায়ন করা হয়, তাই নিজেকে প্রস্তুত করলেই ক্যারিয়ার গ্রোথের সুযোগ নিশ্চিত।
আপনাকে ধন্যবাদ।
আজকের পত্রিকাকেও ধন্যবাদ।
ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রকাশিত খসড়ার সংযোজন-বিয়োজনে অংশীজনদের মতামত গ্রহণ শুরু হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেঢাকার সাত সরকারি কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র কার্যক্রম চলবে বেলা ১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত, অর্থাৎ ৬ ঘণ্টা। আর এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হবে হাইব্রিড পদ্ধতিতে। শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ ক্লাস হবে অনলাইনে। বাকি ক্লাস ও পরীক্ষা হবে সশরীরে।
২ ঘণ্টা আগেইংরেজিতে বই পড়া আমাদের অনেকের কাছেই একটি কঠিন কাজ বলে মনে হয়। কিন্তু পড়াশোনা, ক্যারিয়ার কিংবা স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য যে বইগুলো সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, সেগুলোর অধিকাংশই লেখা হয় ইংরেজিতে। ইংরেজি ভালোভাবে না জানার কারণে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে বা বুঝতে পারি না। তাই ইংরেজি বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তো
২ ঘণ্টা আগেকাতারে হামাদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি কা
২ ঘণ্টা আগে