Ajker Patrika

কৌশলগত প্রস্তুতিই এনে দেবে কাঙ্ক্ষিত স্কোর

শ্রেয়া ঘোষ
কৌশলগত প্রস্তুতিই এনে দেবে কাঙ্ক্ষিত স্কোর

আইইএলটিএস পরীক্ষার চারটি অংশের মধ্যে লিসনিং ও রিডিং তুলনামূলক সহজ। তবে ভালো স্কোর অর্জনের জন্য প্রয়োজন মনোযোগ, কৌশল ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা। কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে চললে এ দুটি অংশে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া সম্ভব।

নিয়মিত ইংরেজি শোনার অভ্যাস করুন

লিসনিং অংশে বিভিন্ন উচ্চারণ (ব্রিটিশ, আমেরিকান, অস্ট্রেলিয়ান) বুঝতে পারা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ইংরেজি খবর, পডকাস্ট বা সিনেমার সংলাপ শুনলে কানে স্বাভাবিকভাবে শব্দ ধরার ক্ষমতা বাড়ে। নিয়মিত অনুশীলন আপনাকে অডিওর গতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে।

প্রশ্ন আগে পড়ে নিন ও মনোযোগ দিন

লিসনিং অংশে অডিও শুরু হওয়ার আগে প্রশ্নগুলো একবার পড়ে নিন। এতে করে কোন তথ্যের দিকে মনোযোগ দিতে হবে, তা আগে থেকে বুঝে যাবেন এবং উত্তর মিস হওয়ার আশঙ্কা কমবে।

বানানের দিকে খেয়াল রাখুন

লিসনিং অংশে অনেক সময় সঠিক উত্তর লিখলেও বানান ভুল হলে নম্বর কাটা যায়। সাধারণ শব্দগুলোর সঠিক বানান আয়ত্ত করুন এবং উত্তর লেখার সময় সতর্ক থাকুন।

স্কিমিং ও স্ক্যানিং কৌশল শিখুন

রিডিং অংশে পুরো প্যাসেজ শব্দ ধরে পড়ে সময় নষ্ট করা ঠিক নয়। স্কিমিং (মূল ভাব বোঝা) ও স্ক্যানিং (নির্দিষ্ট তথ্য খোঁজা) কৌশল ব্যবহার করলে দ্রুত উত্তর বের করতে পারবেন।

কি-ওয়ার্ড চিহ্নিত করুন

প্রশ্নে দেওয়া কি-ওয়ার্ডগুলো আন্ডারলাইন করুন। প্যাসেজে সেই শব্দ বা তার সমার্থক শব্দ খুঁজে বের করুন। এতে সময় বাঁচবে এবং ভুলের হার কমবে।

সময় ব্যবস্থাপনায় দক্ষ হোন

লিসনিং অংশে প্রতিটি সেকশন শেষে যে কয়েক সেকেন্ড সময় দেওয়া হয়, তা কাজে লাগান। রিডিং অংশে প্রতিটি প্যাসেজের জন্য নির্দিষ্ট সময় (প্রায় ২০ মিনিট) বেঁধে নিন। নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে সময় বণ্টনের অভ্যাস গড়ে তুলুন।

ভিন্ন ধরনের প্রশ্নে অভ্যস্ত হোন

রিডিং অংশে True/False/Not Given, Matching, Fill in the blanks, Multiple choice—এমন নানা ধরনের প্রশ্ন থাকে। প্রতিটি ফরম্যাটের আলাদা কৌশল রয়েছে। যেমন True/False/Not Given প্রশ্নে যুক্তি বিশ্লেষণ প্রয়োজন হয়, আর Matching প্রশ্নে সঠিক শব্দ বা ধারণা মেলাতে হয়। তাই প্রতিটি ধরনের প্রশ্নে আলাদাভাবে অনুশীলন করুন।

মক টেস্ট দিন

পরীক্ষার আগে আসল পরীক্ষার পরিবেশে বসে মক টেস্ট দিন। এতে সময় ব্যবস্থাপনা, প্রশ্নের ধরন এবং মনোযোগ ধরে রাখার অভ্যাস তৈরি হয়। নিয়মিত মক টেস্ট আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং নিজের দুর্বলতা চিহ্নিত করতে সহায়ক হয়।

লেখক: শিক্ষার্থী, হবার্ট অ্যান্ড উইলিয়াম স্মিথ কলেজ, যুক্তরাষ্ট্র

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ