কাজী ফারহান হোসেন পূর্ব
শিক্ষার্থীরা নাকি মস্তিষ্কের সঠিক অনুশীলন করছে না—অভিযোগ এনেছে মস্তিষ্ক ভাইয়া। তার মতে, দৌড়ঝাঁপের মতো মস্তিষ্কেরও চাই কিছু ব্যায়াম। কিন্তু সেগুলো কেমন? তা নিয়ে আজকের পত্রিকার সহায়িকাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি।
মস্তিষ্ক ভাইয়া, শুনলাম, আপনি শিক্ষার্থীদের ওপর একটু বিরক্ত। কিন্তু কেন?
সে জন্যই তো তোমাকে ডাকা। মস্তিষ্ক ক্ষুরধার হয় একে ব্যবহার করলে। তা সত্ত্বেও আমাদের বেঞ্চে বসিয়ে রাখলে ভালো লাগে? আমি আজকে তোমাদের কয়েকটা ব্যায়ামের কথা বলব, যেগুলো বিখ্যাত ব্যক্তিরা প্রায়ই করতেন এবং সে জন্যই তাঁরা ছিলেন তাঁদের কাজে অনবদ্য।
বলেন কি? শুনেই তো অবাক লাগছে। ব্যায়ামগুলো সম্পর্কে একে একে বলুন।
আমি প্রথমে বিখ্যাত বিজ্ঞানী নিকোলা টেসলার শৈশব থেকে চর্চা করা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করছি। নিকোলা টেসলা ছিলেন একজন তুখোড় সার্বিয়ান-আমেরিকান উদ্ভাবক এবং প্রকৌশলী। অল্টারনেটিং কারেন্ট নিয়ে তাঁর কাজ আজকের বিশ্বকে বর্তমানের রূপ দিয়েছে। তিনি এতটাই তুখোড় ছিলেন যে তাঁর কোনো যন্ত্রের নকশার জন্য কাগজ-কলমের প্রয়োজন হতো না। সব তিনি নির্ভুলভাবে তাঁর মাথাতেই করে ফেলতেন। শুধু চূড়ান্ত নকশাটাই তিনি কাগজে আঁকতেন। এই বিজ্ঞানী যে তাঁর সব প্রতিভা-দক্ষতা জন্মসূত্রেই পেয়েছিলেন, তা কিন্তু নয়। বরং তাঁর শৈশবের বিভিন্ন ঘটনা থেকে বোঝা যায়, তিনি তাঁর মস্তিষ্ককে বিভিন্ন উপায়ে ঝালাই করতেন। শুনে খুশি হবে, তুমিও তাঁর ব্যবহৃত সেই ব্যায়ামগুলো অনুশীলন করতে পারো।
তাই নাকি? দয়া করে খুলে বলুন!
শৈশবে নিকোলা টেসলার পিতা-মাতা তাঁকে মাথা খাটানোর জন্য চমৎকার কিছু কাজ দিতেন। তাঁর আত্মজীবনী ‘মাই ইনভেনশনস: দি অটোবায়োগ্রাফি অব নিকোলা টেসলা’ বইয়ে তিনি এ সম্পর্কে বলেছেন। এর মধ্যে ছিল আগের কোনো স্মৃতি বর্ণনা করা, বড় বড় বাক্য আওড়ানো, মনে মনে অঙ্ক কষা, মানুষের মন বুঝতে চেষ্টা করা ইত্যাদি। নিকোলা টেসলা তাঁর ছেলেবেলায় মনে মনে একটা পিরামিডকে এর পাদদেশ, বিভিন্ন কোনা, ওপর-নিচ, চারপাশ থেকে দেখতেন। এভাবে তিনি তাঁর ত্রিমাত্রিক বস্তু কল্পনার শক্তিকে ঝালিয়ে নিতেন। তুমি যেকোনো ত্রিমাত্রিক বস্তু নিয়েই এই অনুশীলনটা করতে পারো। বস্তুটা হতে পারে তোমার পেনসিল বাক্স, ক্রিকেট ব্যাট, ফিফা বিশ্বকাপ, স্মার্টফোন কিংবা ক্যালকুলেটর।
প্রথমে তোমার পছন্দের বস্তুটাকে নেড়েচেড়ে সব দিক থেকে একবার পর্যবেক্ষণ করে শুরু করে দাও মনের খেলা। মনে মনে চেষ্টা করো বস্তুটার ছবি তৈরি করতে, সেটাকে হাতির সমান বড় কিংবা পিঁপড়ের সমান ছোট করে দেখো এবং পর্যবেক্ষণ করো।
এভাবে কোনো বস্তুর ছবি কল্পনা করা ছাড়াও তুমি চাইলে তোমার অবসরে বিভিন্ন অঙ্কও মনে মনে সমাধান করার চেষ্টা করতে পারো। ভিত্তি শক্ত করার জন্য আগে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত অঙ্কগুলো, বাংলা-ইংরেজি বর্ণমালা মনে মনে কল্পনা করে সেগুলোর ছবি মনে ধরে রাখার অনুশীলন করে নাও। এভাবে তুমি খুব মজার ছলেই মনে মনে বিভিন্ন গণিতের সমাধান করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে পারবে। শুনে অবাক হবে যে নিকোলা টেসলা ক্যালকুলাসের কঠিন কঠিন অঙ্ক মনে মনেই করে ফেলতেন।
এবার আসি আরেক বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের ব্যায়াম নিয়ে। আইনস্টাইনেরও অন্যতম গুণ ছিল কল্পনাকে প্রাধান্য দেওয়া। তিনি বলেছেন, ‘কল্পনা জ্ঞানের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। জ্ঞান কেবল আমরা যা জানি এবং বুঝি তাতেই সীমাবদ্ধ। অন্যদিকে কল্পনা সমগ্র বিশ্বের যা যা বোঝা এবং জানা দরকার, তাকেও আবর্তন করে।’ আইনস্টাইনের অধিকাংশ আবিষ্কারের শুরুটাই হয়েছে একেকটা কিংবদন্তিতুল্য ‘থট এক্সপেরিমেন্ট’ বা কাল্পনিক পরীক্ষা দিয়ে। আলবার্ট আইনস্টাইনের কাল্পনিক পরীক্ষার কিছু নমুনা পাবে তাঁর জীবনী নিয়ে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের নির্মিত ‘জিনিয়াস’ সিরিজে।
অন্য কোনো উপায়েও কি মস্তিষ্ককে শাণিত করা যায়?
অবশ্যই। এখন আমি তোমাদের একটা মজার খেলা শেখাব। একে আমি বলি আঙুলের খেলা। এর জন্য তোমাকে তোমার দুই হাত মুষ্টিবদ্ধ অবস্থায় রাখতে হবে। খেলা হবে হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল এবং কনিষ্ঠাঙ্গুলের মধ্যে।
প্রথমে তোমার ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল খুলবে এবং বাঁ হাতে খুলবে কনিষ্ঠাঙ্গুল। বাকি সব আঙুল মুষ্টিবদ্ধ থাকবে। এরপরে করবে ঠিক বিপরীত কাজ। অর্থাৎ ডান হাতে খুলবে কনিষ্ঠাঙ্গুল আর বাঁ হাতে খুলবে বৃদ্ধাঙ্গুল। বাকি আঙুলগুলো মুষ্টিবদ্ধ থাকবে। এভাবে চলতে থাকবে। একটু কষ্ট হচ্ছে? কিছুক্ষণ অনুশীলন করলে অভ্যস্ত হয়ে যাবে।
জি ভাইয়া, বুঝলাম। কিন্তু এতে মস্তিষ্কের কী লাভ?
মস্তিষ্কের একটা অংশের নাম সেরেব্রাম। এর দুইটি ভাগ আছে—ডান ও বাঁ অংশ। সেরেব্রামের বাঁ অংশ ভাষা, গণিত, যুক্তি, ইত্যাদির সঙ্গে জড়িত। অন্যদিকে ডান অংশ ছবি আঁকা, কল্পনা করা ইত্যাদি সৃজনশীল কাজের সঙ্গে জড়িত। মজার বিষয় হচ্ছে, তোমার মস্তিষ্কের সেরেব্রামের বাঁ অংশ চালায় তোমার দেহের ডান অংশকে আর সেরেব্রামের ডান অংশ চালায় দেহের বাঁ অংশকে। অর্থাৎ তুমি ডানহাতি হলে তোমার মস্তিষ্কের বাঁ অংশ বেশি সক্রিয় থাকে। এর ফলে তোমার গণিত, ভাষা, যুক্তি ইত্যাদি বিষয়ক কাজে মস্তিষ্ক বেশি পারদর্শী হয়। কিন্তু আমরা চাই যুক্তি এবং সৃজনশীলতা উভয়েই সমানতালে চলুক। আর সে জন্যই তোমার সেই আঙুলের ব্যায়াম তোমার মস্তিষ্কের ডান-বাম উভয় অংশকেই কার্যকর করে তোলে এবং ভারসাম্য নিয়ে আসে। এতে তুমি যেমন যুক্তি, গণিতে পারদর্শী হবে, তেমনি হতে পারবে ভালো লেখক, কবি, কিংবা চিত্রকর।
চমৎকার কিছু ব্যায়াম শিখিয়ে দিলেন। আমি আজ থেকেই চর্চা শুরু করে দিচ্ছি।
হ্যাঁ, তোমরা আঙুলের খেলাটা বন্ধুদের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ দিয়ে খেলতে পারো। দেখতে পারো কে কতক্ষণ নির্ভুলভাবে খেলতে পারে। এতে যেমন আনন্দ হবে তেমনি সতেজ-খুশি থাকবে তোমার মস্তিষ্ক। নিকোলা টেসলা এবং আইনস্টাইনের ব্যায়ামগুলো করতেও ভুলো না যেন। এরপরের বৈঠকে তোমাদের হাসিমুখের সঙ্গে তোমাদের মস্তিষ্কেরও হাসিমুখ দেখতে চাই।
শিক্ষার্থীরা নাকি মস্তিষ্কের সঠিক অনুশীলন করছে না—অভিযোগ এনেছে মস্তিষ্ক ভাইয়া। তার মতে, দৌড়ঝাঁপের মতো মস্তিষ্কেরও চাই কিছু ব্যায়াম। কিন্তু সেগুলো কেমন? তা নিয়ে আজকের পত্রিকার সহায়িকাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি।
মস্তিষ্ক ভাইয়া, শুনলাম, আপনি শিক্ষার্থীদের ওপর একটু বিরক্ত। কিন্তু কেন?
সে জন্যই তো তোমাকে ডাকা। মস্তিষ্ক ক্ষুরধার হয় একে ব্যবহার করলে। তা সত্ত্বেও আমাদের বেঞ্চে বসিয়ে রাখলে ভালো লাগে? আমি আজকে তোমাদের কয়েকটা ব্যায়ামের কথা বলব, যেগুলো বিখ্যাত ব্যক্তিরা প্রায়ই করতেন এবং সে জন্যই তাঁরা ছিলেন তাঁদের কাজে অনবদ্য।
বলেন কি? শুনেই তো অবাক লাগছে। ব্যায়ামগুলো সম্পর্কে একে একে বলুন।
আমি প্রথমে বিখ্যাত বিজ্ঞানী নিকোলা টেসলার শৈশব থেকে চর্চা করা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করছি। নিকোলা টেসলা ছিলেন একজন তুখোড় সার্বিয়ান-আমেরিকান উদ্ভাবক এবং প্রকৌশলী। অল্টারনেটিং কারেন্ট নিয়ে তাঁর কাজ আজকের বিশ্বকে বর্তমানের রূপ দিয়েছে। তিনি এতটাই তুখোড় ছিলেন যে তাঁর কোনো যন্ত্রের নকশার জন্য কাগজ-কলমের প্রয়োজন হতো না। সব তিনি নির্ভুলভাবে তাঁর মাথাতেই করে ফেলতেন। শুধু চূড়ান্ত নকশাটাই তিনি কাগজে আঁকতেন। এই বিজ্ঞানী যে তাঁর সব প্রতিভা-দক্ষতা জন্মসূত্রেই পেয়েছিলেন, তা কিন্তু নয়। বরং তাঁর শৈশবের বিভিন্ন ঘটনা থেকে বোঝা যায়, তিনি তাঁর মস্তিষ্ককে বিভিন্ন উপায়ে ঝালাই করতেন। শুনে খুশি হবে, তুমিও তাঁর ব্যবহৃত সেই ব্যায়ামগুলো অনুশীলন করতে পারো।
তাই নাকি? দয়া করে খুলে বলুন!
শৈশবে নিকোলা টেসলার পিতা-মাতা তাঁকে মাথা খাটানোর জন্য চমৎকার কিছু কাজ দিতেন। তাঁর আত্মজীবনী ‘মাই ইনভেনশনস: দি অটোবায়োগ্রাফি অব নিকোলা টেসলা’ বইয়ে তিনি এ সম্পর্কে বলেছেন। এর মধ্যে ছিল আগের কোনো স্মৃতি বর্ণনা করা, বড় বড় বাক্য আওড়ানো, মনে মনে অঙ্ক কষা, মানুষের মন বুঝতে চেষ্টা করা ইত্যাদি। নিকোলা টেসলা তাঁর ছেলেবেলায় মনে মনে একটা পিরামিডকে এর পাদদেশ, বিভিন্ন কোনা, ওপর-নিচ, চারপাশ থেকে দেখতেন। এভাবে তিনি তাঁর ত্রিমাত্রিক বস্তু কল্পনার শক্তিকে ঝালিয়ে নিতেন। তুমি যেকোনো ত্রিমাত্রিক বস্তু নিয়েই এই অনুশীলনটা করতে পারো। বস্তুটা হতে পারে তোমার পেনসিল বাক্স, ক্রিকেট ব্যাট, ফিফা বিশ্বকাপ, স্মার্টফোন কিংবা ক্যালকুলেটর।
প্রথমে তোমার পছন্দের বস্তুটাকে নেড়েচেড়ে সব দিক থেকে একবার পর্যবেক্ষণ করে শুরু করে দাও মনের খেলা। মনে মনে চেষ্টা করো বস্তুটার ছবি তৈরি করতে, সেটাকে হাতির সমান বড় কিংবা পিঁপড়ের সমান ছোট করে দেখো এবং পর্যবেক্ষণ করো।
এভাবে কোনো বস্তুর ছবি কল্পনা করা ছাড়াও তুমি চাইলে তোমার অবসরে বিভিন্ন অঙ্কও মনে মনে সমাধান করার চেষ্টা করতে পারো। ভিত্তি শক্ত করার জন্য আগে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত অঙ্কগুলো, বাংলা-ইংরেজি বর্ণমালা মনে মনে কল্পনা করে সেগুলোর ছবি মনে ধরে রাখার অনুশীলন করে নাও। এভাবে তুমি খুব মজার ছলেই মনে মনে বিভিন্ন গণিতের সমাধান করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে পারবে। শুনে অবাক হবে যে নিকোলা টেসলা ক্যালকুলাসের কঠিন কঠিন অঙ্ক মনে মনেই করে ফেলতেন।
এবার আসি আরেক বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের ব্যায়াম নিয়ে। আইনস্টাইনেরও অন্যতম গুণ ছিল কল্পনাকে প্রাধান্য দেওয়া। তিনি বলেছেন, ‘কল্পনা জ্ঞানের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। জ্ঞান কেবল আমরা যা জানি এবং বুঝি তাতেই সীমাবদ্ধ। অন্যদিকে কল্পনা সমগ্র বিশ্বের যা যা বোঝা এবং জানা দরকার, তাকেও আবর্তন করে।’ আইনস্টাইনের অধিকাংশ আবিষ্কারের শুরুটাই হয়েছে একেকটা কিংবদন্তিতুল্য ‘থট এক্সপেরিমেন্ট’ বা কাল্পনিক পরীক্ষা দিয়ে। আলবার্ট আইনস্টাইনের কাল্পনিক পরীক্ষার কিছু নমুনা পাবে তাঁর জীবনী নিয়ে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের নির্মিত ‘জিনিয়াস’ সিরিজে।
অন্য কোনো উপায়েও কি মস্তিষ্ককে শাণিত করা যায়?
অবশ্যই। এখন আমি তোমাদের একটা মজার খেলা শেখাব। একে আমি বলি আঙুলের খেলা। এর জন্য তোমাকে তোমার দুই হাত মুষ্টিবদ্ধ অবস্থায় রাখতে হবে। খেলা হবে হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল এবং কনিষ্ঠাঙ্গুলের মধ্যে।
প্রথমে তোমার ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল খুলবে এবং বাঁ হাতে খুলবে কনিষ্ঠাঙ্গুল। বাকি সব আঙুল মুষ্টিবদ্ধ থাকবে। এরপরে করবে ঠিক বিপরীত কাজ। অর্থাৎ ডান হাতে খুলবে কনিষ্ঠাঙ্গুল আর বাঁ হাতে খুলবে বৃদ্ধাঙ্গুল। বাকি আঙুলগুলো মুষ্টিবদ্ধ থাকবে। এভাবে চলতে থাকবে। একটু কষ্ট হচ্ছে? কিছুক্ষণ অনুশীলন করলে অভ্যস্ত হয়ে যাবে।
জি ভাইয়া, বুঝলাম। কিন্তু এতে মস্তিষ্কের কী লাভ?
মস্তিষ্কের একটা অংশের নাম সেরেব্রাম। এর দুইটি ভাগ আছে—ডান ও বাঁ অংশ। সেরেব্রামের বাঁ অংশ ভাষা, গণিত, যুক্তি, ইত্যাদির সঙ্গে জড়িত। অন্যদিকে ডান অংশ ছবি আঁকা, কল্পনা করা ইত্যাদি সৃজনশীল কাজের সঙ্গে জড়িত। মজার বিষয় হচ্ছে, তোমার মস্তিষ্কের সেরেব্রামের বাঁ অংশ চালায় তোমার দেহের ডান অংশকে আর সেরেব্রামের ডান অংশ চালায় দেহের বাঁ অংশকে। অর্থাৎ তুমি ডানহাতি হলে তোমার মস্তিষ্কের বাঁ অংশ বেশি সক্রিয় থাকে। এর ফলে তোমার গণিত, ভাষা, যুক্তি ইত্যাদি বিষয়ক কাজে মস্তিষ্ক বেশি পারদর্শী হয়। কিন্তু আমরা চাই যুক্তি এবং সৃজনশীলতা উভয়েই সমানতালে চলুক। আর সে জন্যই তোমার সেই আঙুলের ব্যায়াম তোমার মস্তিষ্কের ডান-বাম উভয় অংশকেই কার্যকর করে তোলে এবং ভারসাম্য নিয়ে আসে। এতে তুমি যেমন যুক্তি, গণিতে পারদর্শী হবে, তেমনি হতে পারবে ভালো লেখক, কবি, কিংবা চিত্রকর।
চমৎকার কিছু ব্যায়াম শিখিয়ে দিলেন। আমি আজ থেকেই চর্চা শুরু করে দিচ্ছি।
হ্যাঁ, তোমরা আঙুলের খেলাটা বন্ধুদের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ দিয়ে খেলতে পারো। দেখতে পারো কে কতক্ষণ নির্ভুলভাবে খেলতে পারে। এতে যেমন আনন্দ হবে তেমনি সতেজ-খুশি থাকবে তোমার মস্তিষ্ক। নিকোলা টেসলা এবং আইনস্টাইনের ব্যায়ামগুলো করতেও ভুলো না যেন। এরপরের বৈঠকে তোমাদের হাসিমুখের সঙ্গে তোমাদের মস্তিষ্কেরও হাসিমুখ দেখতে চাই।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। গত ২৯ জুলাই তফসিল ঘোষণার পর সোমবার ছিল মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন। এদিন বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় বিভিন্ন প্যানেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
১০ ঘণ্টা আগেনির্বাচনী হাওয়া বইছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। ডাকসু নির্বাচনে মনোয়নয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন গতকাল সোমবার দলে দলে গিয়ে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ভোটে লড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।
১৯ ঘণ্টা আগেশেখ তাসনিম আফরোজ ইমিকে সহসভাপতি (ভিপি) ও মেঘমল্লার বসুকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।
১ দিন আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে ঢাবি ক্যাম্পাসে সরব হয়ে উঠেছে ছাত্রসংগঠন ও শিক্ষার্থীরা। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও প্যানেল ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী উত্তেজনা দিন দিন বাড়ছে। নির্ধারিত তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কি না— সে প্রশ্ন থাকলেও শিক্ষার্থী ও সংগঠনগুলোর মধ্যে এখন মূল
১ দিন আগে