আসিফ বায়েজিদ
ভাষাদক্ষতা
অধিকাংশ আন্তর্জাতিক স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের ভাষার মাধ্যম ইংরেজি। তাই আবেদন গ্রহণের সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের থেকে নিশ্চয়তা চেয়ে থাকে যে তাঁরা স্বচ্ছন্দে ইংরেজি বই বা প্রবন্ধ পড়তে পারবেন, শিক্ষকের বলা ভারী বিষয়বস্তু বুঝতে পারবেন, একাডেমিক ছাঁচে লিখতে পারবেন এবং প্রয়োজনে জ্ঞানগর্ভ বাক্যালাপও চালিয়ে যেতে পারবেন। ইংরেজিতে সেই দখলটুকু নির্ণয় করে দেবে আইইএলটিএস পরীক্ষা। এতে চারটি ভাগ– listening, reading, writing এবং speaking; প্রতিটি ভাগে ৯ করে নম্বর। চারটি ভাগের গড় করে চূড়ান্ত নম্বর নির্ধারণ হয়। অনেকের ধারণা, ৮.৫ বা ৯ পেলে বাইরে পড়তে যাওয়ার বেশ সুযোগ পাওয়া যাবে। ধারণাটি আংশিক সত্য–আইইএলটিএসে ভালো নম্বর থাকলে ভর্তি বা বৃত্তির একটি শর্তে এগিয়ে থাকা যায়। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ৬ বা ৬.৫-এর নিচে আইইএলটিএসের নম্বর গ্রহণ করতে চায় না, তবে ব্যতিক্রম যে নেই, তেমনটিও নয়। আইইএলটিএস সনদের মেয়াদ দুই বছর। তবে প্রথম বছরের নম্বর দিয়েই ভর্তির আবেদন করা অধিক গ্রহণযোগ্য। ইউরোপের বেশ কিছু দেশ ইংরেজির পাশাপাশি তাদের নিজস্ব ভাষা দক্ষতাকেও প্রাধান্য দিয়ে থাকে। যেমন ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন ইত্যাদি। তাই, ভাষাশিক্ষা যদি আপনার শখ হয়ে থাকে, তাতে লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই।
সহশিক্ষাক্রমিক কার্যক্রম, নেতৃত্ব এবং স্বেচ্ছাসেবা
অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, বিশেষ করে বৃত্তির আবেদনপত্রে শিক্ষার্থীকে সহশিক্ষাক্রমিক বা নেতৃত্ব প্রদানের কার্যক্রম প্রমাণসহ উপস্থাপন করতে বলা হয়। কেন? কারণ শিক্ষাক্রমের বাইরের কার্যক্রম শিক্ষার্থীর অভিজ্ঞতাই কেবল সমৃদ্ধ করে না; বরং তার দক্ষতা ও যোগ্যতারও বিকাশ ঘটায়, যা অন্য কোনো উপায়ে সম্ভব নয়। তার মধ্যে অন্যতম– স্বাধীন এবং স্বপ্রণোদিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করার ক্ষমতা তৈরি করে। অর্থাৎ শিক্ষার্থী কারও সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান ছাড়াই সত্যিকারের কোনো একটা সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হবে। এ ছাড়া দলবদ্ধভাবে কাজ করা, উদ্ভাবন করা, যোগাযোগের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা, জটিল আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা, ছোট-বড় দল সংগঠিত করা, আর্থিক হিসাব-নিকাশে সক্ষম হওয়া, চারপাশের বিভিন্ন সমস্যা-দুর্যোগ-দুর্দশায় সমব্যাথি হয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবে। সর্বোপরি মানবিক গুণাবলির চর্চা করা। এটি প্রমাণ করার জন্য সহশিক্ষাক্রমিক বা স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের কোনো বিকল্প নেই। কমনওয়েলথ, কমনওয়েলথ শেয়ারড, শেভনিং, সুইডিশ ইনস্টিটিউট, এমনকি ইরাসমাস মুন্ডুসর মতো মর্যাদাসম্পন্ন শিক্ষাবৃত্তিগুলোর আবেদনপত্র মূল্যায়নের ষোলো আনার চার আনা চলে যায় সহশিক্ষাক্রমিকের ভাগে। সুতরাং, যেসব শিক্ষার্থী বিভিন্ন গঠনমূলক শিক্ষার্থী সংগঠন, সামাজিক উন্নয়নমূলক উদ্যোগ, খেলাধুলা, সংগীত, চিত্রকলা এমনকি পর্বতারোহণের মতো কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা পড়াশোনার পাশাপাশি সানন্দে সেসব কাজ চালিয়ে যান। এই ছোট ছোট অভিজ্ঞতা, সাফল্য আপনার বিজয়মাল্যের একেকটি ফুল হিসেবেই গণ্য হবে।
আসিফ বায়েজিদ
ইরাসমাস মুন্ডুস স্নাতকোত্তর গবেষক, গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়; শিক্ষানবিশ গবেষণা সহযোগী, টুয়েন্টে বিশ্ববিদ্যালয় ও ডেপুটি ম্যানেজার (শিক্ষা ছুটি), ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচি।
[২৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রথম অংশের পর] চলবে
ভাষাদক্ষতা
অধিকাংশ আন্তর্জাতিক স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের ভাষার মাধ্যম ইংরেজি। তাই আবেদন গ্রহণের সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের থেকে নিশ্চয়তা চেয়ে থাকে যে তাঁরা স্বচ্ছন্দে ইংরেজি বই বা প্রবন্ধ পড়তে পারবেন, শিক্ষকের বলা ভারী বিষয়বস্তু বুঝতে পারবেন, একাডেমিক ছাঁচে লিখতে পারবেন এবং প্রয়োজনে জ্ঞানগর্ভ বাক্যালাপও চালিয়ে যেতে পারবেন। ইংরেজিতে সেই দখলটুকু নির্ণয় করে দেবে আইইএলটিএস পরীক্ষা। এতে চারটি ভাগ– listening, reading, writing এবং speaking; প্রতিটি ভাগে ৯ করে নম্বর। চারটি ভাগের গড় করে চূড়ান্ত নম্বর নির্ধারণ হয়। অনেকের ধারণা, ৮.৫ বা ৯ পেলে বাইরে পড়তে যাওয়ার বেশ সুযোগ পাওয়া যাবে। ধারণাটি আংশিক সত্য–আইইএলটিএসে ভালো নম্বর থাকলে ভর্তি বা বৃত্তির একটি শর্তে এগিয়ে থাকা যায়। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ৬ বা ৬.৫-এর নিচে আইইএলটিএসের নম্বর গ্রহণ করতে চায় না, তবে ব্যতিক্রম যে নেই, তেমনটিও নয়। আইইএলটিএস সনদের মেয়াদ দুই বছর। তবে প্রথম বছরের নম্বর দিয়েই ভর্তির আবেদন করা অধিক গ্রহণযোগ্য। ইউরোপের বেশ কিছু দেশ ইংরেজির পাশাপাশি তাদের নিজস্ব ভাষা দক্ষতাকেও প্রাধান্য দিয়ে থাকে। যেমন ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন ইত্যাদি। তাই, ভাষাশিক্ষা যদি আপনার শখ হয়ে থাকে, তাতে লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই।
সহশিক্ষাক্রমিক কার্যক্রম, নেতৃত্ব এবং স্বেচ্ছাসেবা
অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, বিশেষ করে বৃত্তির আবেদনপত্রে শিক্ষার্থীকে সহশিক্ষাক্রমিক বা নেতৃত্ব প্রদানের কার্যক্রম প্রমাণসহ উপস্থাপন করতে বলা হয়। কেন? কারণ শিক্ষাক্রমের বাইরের কার্যক্রম শিক্ষার্থীর অভিজ্ঞতাই কেবল সমৃদ্ধ করে না; বরং তার দক্ষতা ও যোগ্যতারও বিকাশ ঘটায়, যা অন্য কোনো উপায়ে সম্ভব নয়। তার মধ্যে অন্যতম– স্বাধীন এবং স্বপ্রণোদিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করার ক্ষমতা তৈরি করে। অর্থাৎ শিক্ষার্থী কারও সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান ছাড়াই সত্যিকারের কোনো একটা সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হবে। এ ছাড়া দলবদ্ধভাবে কাজ করা, উদ্ভাবন করা, যোগাযোগের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা, জটিল আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা, ছোট-বড় দল সংগঠিত করা, আর্থিক হিসাব-নিকাশে সক্ষম হওয়া, চারপাশের বিভিন্ন সমস্যা-দুর্যোগ-দুর্দশায় সমব্যাথি হয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবে। সর্বোপরি মানবিক গুণাবলির চর্চা করা। এটি প্রমাণ করার জন্য সহশিক্ষাক্রমিক বা স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের কোনো বিকল্প নেই। কমনওয়েলথ, কমনওয়েলথ শেয়ারড, শেভনিং, সুইডিশ ইনস্টিটিউট, এমনকি ইরাসমাস মুন্ডুসর মতো মর্যাদাসম্পন্ন শিক্ষাবৃত্তিগুলোর আবেদনপত্র মূল্যায়নের ষোলো আনার চার আনা চলে যায় সহশিক্ষাক্রমিকের ভাগে। সুতরাং, যেসব শিক্ষার্থী বিভিন্ন গঠনমূলক শিক্ষার্থী সংগঠন, সামাজিক উন্নয়নমূলক উদ্যোগ, খেলাধুলা, সংগীত, চিত্রকলা এমনকি পর্বতারোহণের মতো কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা পড়াশোনার পাশাপাশি সানন্দে সেসব কাজ চালিয়ে যান। এই ছোট ছোট অভিজ্ঞতা, সাফল্য আপনার বিজয়মাল্যের একেকটি ফুল হিসেবেই গণ্য হবে।
আসিফ বায়েজিদ
ইরাসমাস মুন্ডুস স্নাতকোত্তর গবেষক, গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়; শিক্ষানবিশ গবেষণা সহযোগী, টুয়েন্টে বিশ্ববিদ্যালয় ও ডেপুটি ম্যানেজার (শিক্ষা ছুটি), ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচি।
[২৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রথম অংশের পর] চলবে
সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। পরীক্ষার শুরুর দিনেই আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ১১ শিক্ষাবোর্ডে অনুপস্থিত ছিল ১৯ হাজার ৭৫৯ জন শিক্ষার্থী।
২ দিন আগেইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির (আইএসইউ) মহাখালী ক্যাম্পাসে বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্প্রিং-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম মোশার
২ দিন আগেবাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে (বিএমইউ) যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘ওয়ার্ল্ড ওশানস ডে ২০২৫’ উদ্যাপন করা হয়েছে। এ বছরে দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো—‘সাসটেইনিং হোয়াট সাসটেইনস আস’। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব আর্থ অ্যান্ড ওশান সায়েন্সের আয়োজনে দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে মিরপুর-১৪-এ শহীদ মোয়াজ্জেম হল অডিটোরিয়ামে...
২ দিন আগেজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। দীর্ঘ আট বছর পর ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে এবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে।
২ দিন আগে