নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। আবার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনহীন শিক্ষা প্রোগ্রাম চালায়, কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে অননুমোদিত ক্যাম্পাস। এসব বিষয়ে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সতর্ক করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
বৃহস্পতিবার গণবিজ্ঞপ্তিতে ইউজিসি বলেছে, দেশের ২৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কারও মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে, কেউ কেউ আদালতের স্থগিতাদেশে পরিচালিত। কেউ আবার অনুমোদিত শিক্ষা প্রোগ্রামের বাইরে কিছু প্রোগ্রাম চালাচ্ছে। অননুমোদিত ক্যাম্পাসও রয়েছে অনেকের। গণবিজ্ঞপ্তিতে শুধু সরকার এবং ইউজিসির অনুমোদিত ক্যাম্পাস ও প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ইউজিসির ওয়েবসাইটে তথ্য পাওয়া যাবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
ইউজিসির ওয়েবসাইটে এই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, সহ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ নেই, সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসি।
ইউজিসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারা দেশে ১০৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে নয়টিতে এখনো শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়নি। ৯৯ টিতে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।
সমস্যাক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি তালিকা দিয়েছে ইউজিসি। এর মধ্যে ইবাইস ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ দুই ভাগে বিভক্ত। পাল্টাপাল্টি একাধিক মামলা চলছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোনো ঠিকানা নেই। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আচার্য ও রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষও নেই।
আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি সরকার বন্ধ করেছিল। তবে আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। অনুমোদনের সময় ক্যাম্পাসের ঠিকানা ছিল বনানীতে। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বারিধারা-নর্দ্দার প্রগতি সরণিতে অনুমোদন দেয়। কিন্তু ইউজিসি সরেজমিন পরিদর্শন করে ওই ঠিকানায় আইনানুযায়ী জায়গা (স্পেস) ও সুযোগ-সুবিধা দেখতে পায়নি। ফলে তাদের আবার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, সহ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ নেই।
কুইন্স ইউনিভার্সিটি সরকার বন্ধ করে দেওয়ার পর মামলা হয়। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৫ সালে এক বছরের জন্য শর্ত সাপেক্ষে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার চিঠি দেয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে তারা শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি।
দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা ১৯৯৫ সালে অনুমোদন পেয়েছিল। কিন্তু আইন না মানায় ২০০৬ সালে এটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আদালতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে রায় হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ দুই ভাগে বিভক্ত এবং একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা চলমান। বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান অনুমোদিত ঠিকানা রাজধানীর উত্তরায় বলা হলেও ইউজিসি সরেজমিন পরিদর্শনে কোনো অস্তিত্ব পায়নি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সনদ বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। বোর্ড অব ট্রাস্টিজ সদস্যের বিরুদ্ধেও অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কমিশন। ইউজিসি তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেয়নি। এটিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, সহ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ নেই।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে বাংলায় বিএ (অনার্স) সহ কয়েকটি প্রোগ্রাম ২০২১ সালের ‘স্প্রিং সেমিস্টার’ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে ইউজিসি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, সহ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ পদে বৈধ কোনো কর্তৃপক্ষ নেই।
টাইমস ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশকে ২০১৫ সালে ১০টি প্রোগ্রামের অনুমোদনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা ইউজিসির অনুমোদনের আগেই বিবিএসহ কয়েকটি প্রোগ্রাম পরিচালনা শুরু করে। পরে ভূতাপেক্ষ অনুমোদন চায়। কিন্তু ইউজিসি না নাকচ করে। তারা ইউজিসির বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলাটি চলমান। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির অনুমোদিত ক্যাম্পাসের ঠিকানা চট্টগ্রামের মেহেদীবাগ এবং শহীদ মির্জা লেনে। আদালতের রায় অনুযায়ী এই দুটি ক্যাম্পাস ছাড়া অন্যান্য সব ক্যাম্পাস অবৈধ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে আদালতে একাধিক মামলা বিচারাধীন।
কয়েকটি শিক্ষা প্রোগ্রামের বিষয়ে আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে চলছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়। এটিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য নেই।
প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নেই। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সাবেক চেয়ারম্যানের অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি—এই চারটি প্রতিষ্ঠান অননুমোদিত কিছু ক্যাম্পাস পরিচালনা করেছে।
বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইবাইস ছাড়াও আছে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, কুমিল্লার ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এবং কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
অননুমোদিত প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে জেড এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএ ইন ইংলিশ প্রোগ্রাম ইউজিসির অনুমোদন ছাড়া চালাচ্ছে। পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি এলএলবি (চার বছর মেয়াদি) এলএল এম (এক বছর), এলএল এম (২ বছর মেয়াদি) প্রোগ্রামে ইউজিসির অনুমোদন নেই। সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিএসসি ইন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামের অনুমোদন নেই। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ (ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) প্রোগ্রাম অনুমোদিত। কিন্তু ইউজিসি বলেছে এই প্রোগ্রামের মধ্যে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে বিবিএ ইন জেনারেল, বিবিএ ইন ফিন্যান্স, বিবিএ ইন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, বিবিএ ইন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস, বিবিএ ইন মার্কেটিং, বিবিএ ইন ম্যানেজমেন্ট, বিবিএ ইন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস, বিবিএ ইন অ্যাকাউন্টিং, বিবিএ ইন ইকোনমিকস, বিবিএ ইন এন্টারপ্রিনিউরশিপ এবং বিবিএ সাপ্লাই চেন ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম চালাচ্ছে।
ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের অনুমোদন পেলেও শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি পায়নি। এগুলো হলো রূপায়ণ এ কে এম শামসুজ্জোহা বিশ্ববিদ্যালয় (নারায়ণগঞ্জ), রাজশাহীর আহছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহ মখদুম ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি, খুলনা খান বাহাদুর আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকার মাইক্রোল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং সদ্য অনুমোদন পাওয়া কিশোরগঞ্জের শেখ হাসিনা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।
এ ছাড়া দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় আগেই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা ৯৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নয়টিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, সহউপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ সবাই রয়েছেন। অর্থাৎ শীর্ষ তিন পদেই রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা কর্তৃপক্ষ আছে। এ ছাড়া ৬৯টিতে উপাচার্য, ২২টি সহ-উপাচার্য এবং ৫৬টিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা কোষাধ্যক্ষ রয়েছে। ১৮টিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা শীর্ষ তিন পদে কোনো ব্যক্তি নেই।
দেশে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। আবার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনহীন শিক্ষা প্রোগ্রাম চালায়, কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে অননুমোদিত ক্যাম্পাস। এসব বিষয়ে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সতর্ক করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
বৃহস্পতিবার গণবিজ্ঞপ্তিতে ইউজিসি বলেছে, দেশের ২৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কারও মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে, কেউ কেউ আদালতের স্থগিতাদেশে পরিচালিত। কেউ আবার অনুমোদিত শিক্ষা প্রোগ্রামের বাইরে কিছু প্রোগ্রাম চালাচ্ছে। অননুমোদিত ক্যাম্পাসও রয়েছে অনেকের। গণবিজ্ঞপ্তিতে শুধু সরকার এবং ইউজিসির অনুমোদিত ক্যাম্পাস ও প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ইউজিসির ওয়েবসাইটে তথ্য পাওয়া যাবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
ইউজিসির ওয়েবসাইটে এই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, সহ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ নেই, সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসি।
ইউজিসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারা দেশে ১০৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে নয়টিতে এখনো শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়নি। ৯৯ টিতে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।
সমস্যাক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি তালিকা দিয়েছে ইউজিসি। এর মধ্যে ইবাইস ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ দুই ভাগে বিভক্ত। পাল্টাপাল্টি একাধিক মামলা চলছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোনো ঠিকানা নেই। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আচার্য ও রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষও নেই।
আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি সরকার বন্ধ করেছিল। তবে আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। অনুমোদনের সময় ক্যাম্পাসের ঠিকানা ছিল বনানীতে। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বারিধারা-নর্দ্দার প্রগতি সরণিতে অনুমোদন দেয়। কিন্তু ইউজিসি সরেজমিন পরিদর্শন করে ওই ঠিকানায় আইনানুযায়ী জায়গা (স্পেস) ও সুযোগ-সুবিধা দেখতে পায়নি। ফলে তাদের আবার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, সহ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ নেই।
কুইন্স ইউনিভার্সিটি সরকার বন্ধ করে দেওয়ার পর মামলা হয়। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৫ সালে এক বছরের জন্য শর্ত সাপেক্ষে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার চিঠি দেয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে তারা শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি।
দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা ১৯৯৫ সালে অনুমোদন পেয়েছিল। কিন্তু আইন না মানায় ২০০৬ সালে এটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আদালতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে রায় হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ দুই ভাগে বিভক্ত এবং একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা চলমান। বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান অনুমোদিত ঠিকানা রাজধানীর উত্তরায় বলা হলেও ইউজিসি সরেজমিন পরিদর্শনে কোনো অস্তিত্ব পায়নি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সনদ বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। বোর্ড অব ট্রাস্টিজ সদস্যের বিরুদ্ধেও অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কমিশন। ইউজিসি তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেয়নি। এটিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, সহ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ নেই।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে বাংলায় বিএ (অনার্স) সহ কয়েকটি প্রোগ্রাম ২০২১ সালের ‘স্প্রিং সেমিস্টার’ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে ইউজিসি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, সহ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ পদে বৈধ কোনো কর্তৃপক্ষ নেই।
টাইমস ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশকে ২০১৫ সালে ১০টি প্রোগ্রামের অনুমোদনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা ইউজিসির অনুমোদনের আগেই বিবিএসহ কয়েকটি প্রোগ্রাম পরিচালনা শুরু করে। পরে ভূতাপেক্ষ অনুমোদন চায়। কিন্তু ইউজিসি না নাকচ করে। তারা ইউজিসির বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলাটি চলমান। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির অনুমোদিত ক্যাম্পাসের ঠিকানা চট্টগ্রামের মেহেদীবাগ এবং শহীদ মির্জা লেনে। আদালতের রায় অনুযায়ী এই দুটি ক্যাম্পাস ছাড়া অন্যান্য সব ক্যাম্পাস অবৈধ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে আদালতে একাধিক মামলা বিচারাধীন।
কয়েকটি শিক্ষা প্রোগ্রামের বিষয়ে আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে চলছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়। এটিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য নেই।
প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নেই। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সাবেক চেয়ারম্যানের অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি—এই চারটি প্রতিষ্ঠান অননুমোদিত কিছু ক্যাম্পাস পরিচালনা করেছে।
বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইবাইস ছাড়াও আছে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, কুমিল্লার ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এবং কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
অননুমোদিত প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে জেড এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএ ইন ইংলিশ প্রোগ্রাম ইউজিসির অনুমোদন ছাড়া চালাচ্ছে। পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি এলএলবি (চার বছর মেয়াদি) এলএল এম (এক বছর), এলএল এম (২ বছর মেয়াদি) প্রোগ্রামে ইউজিসির অনুমোদন নেই। সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিএসসি ইন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামের অনুমোদন নেই। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ (ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) প্রোগ্রাম অনুমোদিত। কিন্তু ইউজিসি বলেছে এই প্রোগ্রামের মধ্যে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে বিবিএ ইন জেনারেল, বিবিএ ইন ফিন্যান্স, বিবিএ ইন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, বিবিএ ইন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস, বিবিএ ইন মার্কেটিং, বিবিএ ইন ম্যানেজমেন্ট, বিবিএ ইন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস, বিবিএ ইন অ্যাকাউন্টিং, বিবিএ ইন ইকোনমিকস, বিবিএ ইন এন্টারপ্রিনিউরশিপ এবং বিবিএ সাপ্লাই চেন ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম চালাচ্ছে।
ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের অনুমোদন পেলেও শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি পায়নি। এগুলো হলো রূপায়ণ এ কে এম শামসুজ্জোহা বিশ্ববিদ্যালয় (নারায়ণগঞ্জ), রাজশাহীর আহছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহ মখদুম ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি, খুলনা খান বাহাদুর আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকার মাইক্রোল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং সদ্য অনুমোদন পাওয়া কিশোরগঞ্জের শেখ হাসিনা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।
এ ছাড়া দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় আগেই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা ৯৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নয়টিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, সহউপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ সবাই রয়েছেন। অর্থাৎ শীর্ষ তিন পদেই রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা কর্তৃপক্ষ আছে। এ ছাড়া ৬৯টিতে উপাচার্য, ২২টি সহ-উপাচার্য এবং ৫৬টিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা কোষাধ্যক্ষ রয়েছে। ১৮টিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা শীর্ষ তিন পদে কোনো ব্যক্তি নেই।
দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর অনুমোদনের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
১৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও চীনের নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনজেইউ) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ সোমবার (১২ মে) সকালে বুয়েটের ইসিই ভবনের রাইজের সভাকক্ষে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বুয়েটের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার ফর সায়েন্স
১৮ ঘণ্টা আগেযাঁরা একাডেমিক বা পেশাগত ক্ষেত্রে গবেষণার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিভিন্ন জার্নালে প্রবন্ধ প্রকাশ করতে হয়। এ গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি হয়। গবেষণা জার্নালগুলো সেই জ্ঞানের প্রচার ও সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে, প্রবন্ধ প্রকাশের প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল, সময়সাপেক্ষ এবং ধৈর্যের প্রয়োজন...
১ দিন আগেসৌদি আরবের কিং আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি ২০২৫-২৬-এর জন্য আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সম্পূর্ণ অর্থায়িত এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগে