মুহাম্মদ শাহীন আল মামুন
সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হলো বিতর্ক। ক্রমেই এটি জনপ্রিয় হচ্ছে। সব প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় রয়েছে। বিতর্কও এর ব্যতিক্রম নয়। একজন উঁচুমানের বিতার্কিকও পরাজয়ের সম্মুখীন হতে পারেন। সেটি স্বাভাবিক বলেই মেনে নিতে হবে। তবে কিছু কলাকৌশলের দিকে বিশেষ নজর রাখলে বিতর্কে জয়ের পথ সুগম হয়।
এগুলোর মধ্যে মঞ্চে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে বক্তব্য পরিবেশন, মঞ্চ উপকরণের সঠিক ব্যবহার, মুখাবয়বে তার্কিকসুলভ ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলা ইত্যাদি বিষয়ে তার্কিককে বিশেষ নজর দিতে হয়। আবার অনেক বক্তা স্বাভাবিকভাবে দাঁড়াতে পারেন না। তাঁদের দেখে মনে হয়, দুটি পা দাঁড়ানোর জন্য যথেষ্ট নয়। কখনো একপায়ে ভর দিয়ে, কখনো ত্রিভঙ্গ মূর্তিতে, কখনো ঘন ঘন পায়ের ভর পরিবর্তন করেন; যা দর্শক-শ্রোতার বিরক্তির কারণ হয়। বক্তব্যের সময় অকারণে আঙুল ফোটানো, কান ও মাথা চুলকানো, অবিরাম দোল খাওয়া বা নড়াচড়া ভীষণ দৃষ্টিকটু। চলুন, বিতর্কের কিছু কলাকৌশল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বিষয় বা প্রস্তাবনা
বিতর্কের প্রস্তাবিত বিষয় সঠিক ও সুস্পষ্টভাবে উপলব্ধি করতে হবে। বিষয়বস্তু সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে না পারলে বক্তব্য হবে অপ্রাসঙ্গিক এবং অবান্তর কথায় পূর্ণ।
প্রস্তুতি
বিতর্কের প্রস্তাব সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার পর মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার পালা। এ ক্ষেত্রে উপস্থিত বিতর্ক হলে বক্তব্যের বিষয়টি মনে মনে গুছিয়ে নিতে হবে। আর পূর্বনির্ধারিত বিষয় হলে বক্তা একটি খসড়া বক্তব্য লিখে নিয়মিত অনুশীলন করতে পারেন।
তথ্য-উপাত্ত
সমৃদ্ধ বক্তব্যমাত্রই হৃদয়গ্রাহী। তার্কিক বক্তব্যের সমর্থনে যত বেশি প্রামাণিক দলিল হাজির করতে পারেন, তাঁর বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা ততই প্রমাণিত হয়।
ভাষা
বিতর্কের ভাষা সহজ-সরল হওয়া উচিত। কারণ, তার্কিক যত সহজে শ্রোতার কাছে নিজের বক্তব্য পৌঁছাতে পারেন, তাতেই তাঁর সাফল্য। অস্পষ্ট ও দুর্বোধ্য ভাষা পরিহার করে তাঁকে বেছে নিতে হবে সহজে বোধগম্য শব্দ। তবে তা হবে শাণিত ও ক্ষুরধার। এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, তার্কিক যেন অমার্জিত ও রূঢ় ভাষা কোনোভাবেই ব্যবহার না করেন।
উচ্চারণ
অশুদ্ধ ও বিকৃত উচ্চারণ ভাষার সৌন্দর্য নষ্ট করে। সব আয়োজন পুরোমাত্রায় থাকার পরও একজন বক্তা উচ্চারণের দোষে দর্শক-শ্রোতার বিরক্তির কারণ হতে পারেন। উচ্চারণের দোষ শুধু ভাষার সৌন্দর্যই হরণ করে না, অর্থের বিভ্রাট ঘটায়।
যুক্তি
যুক্তি বিতর্কের প্রাণ। যুক্তিই তার্কিকের মূলমন্ত্র। আবেগের পরিবর্তে বুদ্ধিমত্তা ও প্রত্যুৎপন্নমতির সাহায্যে যুক্তি উপস্থাপনে তার্কিকের সর্বোত্তম ক্ষমতার প্রকাশ ঘটে। এ ক্ষেত্রে বক্তা তাঁর বক্তব্য প্রমাণের পক্ষে যেমন যুক্তি দেন, তেমনি বিপক্ষ দলের পরিবেশিত যুক্তির পরিবর্তে পাল্টা যুক্তি প্রদান করে বক্তব্যকে অকাট্য ও অভ্রান্ত প্রমাণের চেষ্টায় রত থাকেন।
আত্মবিশ্বাস
যেকোনো প্রতিযোগিতায় সফলতা অর্জনের জন্য আত্মবিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ। একটি বিতর্ক দল প্রতিপক্ষের তুলনায় দুর্বল হতে পারে। তার মানে এই নয় যে দলটি অবশ্যই পরাজিত হবে। ‘আমরাও জিততে পারি’ এ মনোবল নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আত্মবিশ্বাস থাকলে এসব সমস্যা থেকে সহজে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। খেয়াল রাখতে হবে, আত্মবিশ্বাসের মাত্রা কখনোই যেন সীমা অতিক্রম না করে।
প্রতিপক্ষকে অবজ্ঞা না করা
চীনের বিখ্যাত যুদ্ধ বিশ্লেষক বলেছিলেন, ‘নিজের দুর্বলতা ও প্রতিপক্ষের শক্তিকে জানো।’ নিজের শক্তি না জানলেও চলে, তবে জানতে হয় দুর্বলতা। অনেক সময় শক্তিশালী দলগুলোর মধ্যে প্রতিপক্ষকে অবজ্ঞা করার মনোভাব মাঝেমধ্যে কাজ করে। এটি আত্মঘাতী প্রবণতা। এ ধরনের ঘটনায় তুলনামূলক দুর্বল দলও জয়ী হতে পারে।
দর্শক সমর্থন
বিতর্কে জয়লাভের জন্য দর্শকের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় বিচারকমণ্ডলী দর্শক সমর্থন দ্বারা প্রভাবিত হন। নিজ দলের সমর্থক নির্ধারিত দর্শক থাকতে পারে। এর বাইরেও নিজের সমর্থনে দর্শক টানতে হবে। কিছু কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে এটি সম্ভব।
বিতর্কে প্রয়োজনীয় কিছু বিষয়ের পাশাপাশি বর্জনীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা; যেমন দীর্ঘ ভূমিকা, ব্যক্তিগত আক্রমণ, উদ্ধৃতি বা তথ্যের উৎস নির্দেশ থেকে বিরত থাকা, মুখস্থ বলার প্রবণতা, দীর্ঘ উদ্ধৃতি বা দীর্ঘ গল্পের অবতারণা, মুদ্রাদোষ, মিশ্র ভাষারীতির প্রয়োগ ইত্যাদি পরিহারের মাধ্যমে বিতর্ক হয়ে ওঠে আরও প্রাণবন্ত ও শ্রুতিমধুর।
সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হলো বিতর্ক। ক্রমেই এটি জনপ্রিয় হচ্ছে। সব প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় রয়েছে। বিতর্কও এর ব্যতিক্রম নয়। একজন উঁচুমানের বিতার্কিকও পরাজয়ের সম্মুখীন হতে পারেন। সেটি স্বাভাবিক বলেই মেনে নিতে হবে। তবে কিছু কলাকৌশলের দিকে বিশেষ নজর রাখলে বিতর্কে জয়ের পথ সুগম হয়।
এগুলোর মধ্যে মঞ্চে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে বক্তব্য পরিবেশন, মঞ্চ উপকরণের সঠিক ব্যবহার, মুখাবয়বে তার্কিকসুলভ ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলা ইত্যাদি বিষয়ে তার্কিককে বিশেষ নজর দিতে হয়। আবার অনেক বক্তা স্বাভাবিকভাবে দাঁড়াতে পারেন না। তাঁদের দেখে মনে হয়, দুটি পা দাঁড়ানোর জন্য যথেষ্ট নয়। কখনো একপায়ে ভর দিয়ে, কখনো ত্রিভঙ্গ মূর্তিতে, কখনো ঘন ঘন পায়ের ভর পরিবর্তন করেন; যা দর্শক-শ্রোতার বিরক্তির কারণ হয়। বক্তব্যের সময় অকারণে আঙুল ফোটানো, কান ও মাথা চুলকানো, অবিরাম দোল খাওয়া বা নড়াচড়া ভীষণ দৃষ্টিকটু। চলুন, বিতর্কের কিছু কলাকৌশল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বিষয় বা প্রস্তাবনা
বিতর্কের প্রস্তাবিত বিষয় সঠিক ও সুস্পষ্টভাবে উপলব্ধি করতে হবে। বিষয়বস্তু সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে না পারলে বক্তব্য হবে অপ্রাসঙ্গিক এবং অবান্তর কথায় পূর্ণ।
প্রস্তুতি
বিতর্কের প্রস্তাব সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার পর মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার পালা। এ ক্ষেত্রে উপস্থিত বিতর্ক হলে বক্তব্যের বিষয়টি মনে মনে গুছিয়ে নিতে হবে। আর পূর্বনির্ধারিত বিষয় হলে বক্তা একটি খসড়া বক্তব্য লিখে নিয়মিত অনুশীলন করতে পারেন।
তথ্য-উপাত্ত
সমৃদ্ধ বক্তব্যমাত্রই হৃদয়গ্রাহী। তার্কিক বক্তব্যের সমর্থনে যত বেশি প্রামাণিক দলিল হাজির করতে পারেন, তাঁর বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা ততই প্রমাণিত হয়।
ভাষা
বিতর্কের ভাষা সহজ-সরল হওয়া উচিত। কারণ, তার্কিক যত সহজে শ্রোতার কাছে নিজের বক্তব্য পৌঁছাতে পারেন, তাতেই তাঁর সাফল্য। অস্পষ্ট ও দুর্বোধ্য ভাষা পরিহার করে তাঁকে বেছে নিতে হবে সহজে বোধগম্য শব্দ। তবে তা হবে শাণিত ও ক্ষুরধার। এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, তার্কিক যেন অমার্জিত ও রূঢ় ভাষা কোনোভাবেই ব্যবহার না করেন।
উচ্চারণ
অশুদ্ধ ও বিকৃত উচ্চারণ ভাষার সৌন্দর্য নষ্ট করে। সব আয়োজন পুরোমাত্রায় থাকার পরও একজন বক্তা উচ্চারণের দোষে দর্শক-শ্রোতার বিরক্তির কারণ হতে পারেন। উচ্চারণের দোষ শুধু ভাষার সৌন্দর্যই হরণ করে না, অর্থের বিভ্রাট ঘটায়।
যুক্তি
যুক্তি বিতর্কের প্রাণ। যুক্তিই তার্কিকের মূলমন্ত্র। আবেগের পরিবর্তে বুদ্ধিমত্তা ও প্রত্যুৎপন্নমতির সাহায্যে যুক্তি উপস্থাপনে তার্কিকের সর্বোত্তম ক্ষমতার প্রকাশ ঘটে। এ ক্ষেত্রে বক্তা তাঁর বক্তব্য প্রমাণের পক্ষে যেমন যুক্তি দেন, তেমনি বিপক্ষ দলের পরিবেশিত যুক্তির পরিবর্তে পাল্টা যুক্তি প্রদান করে বক্তব্যকে অকাট্য ও অভ্রান্ত প্রমাণের চেষ্টায় রত থাকেন।
আত্মবিশ্বাস
যেকোনো প্রতিযোগিতায় সফলতা অর্জনের জন্য আত্মবিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ। একটি বিতর্ক দল প্রতিপক্ষের তুলনায় দুর্বল হতে পারে। তার মানে এই নয় যে দলটি অবশ্যই পরাজিত হবে। ‘আমরাও জিততে পারি’ এ মনোবল নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আত্মবিশ্বাস থাকলে এসব সমস্যা থেকে সহজে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। খেয়াল রাখতে হবে, আত্মবিশ্বাসের মাত্রা কখনোই যেন সীমা অতিক্রম না করে।
প্রতিপক্ষকে অবজ্ঞা না করা
চীনের বিখ্যাত যুদ্ধ বিশ্লেষক বলেছিলেন, ‘নিজের দুর্বলতা ও প্রতিপক্ষের শক্তিকে জানো।’ নিজের শক্তি না জানলেও চলে, তবে জানতে হয় দুর্বলতা। অনেক সময় শক্তিশালী দলগুলোর মধ্যে প্রতিপক্ষকে অবজ্ঞা করার মনোভাব মাঝেমধ্যে কাজ করে। এটি আত্মঘাতী প্রবণতা। এ ধরনের ঘটনায় তুলনামূলক দুর্বল দলও জয়ী হতে পারে।
দর্শক সমর্থন
বিতর্কে জয়লাভের জন্য দর্শকের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় বিচারকমণ্ডলী দর্শক সমর্থন দ্বারা প্রভাবিত হন। নিজ দলের সমর্থক নির্ধারিত দর্শক থাকতে পারে। এর বাইরেও নিজের সমর্থনে দর্শক টানতে হবে। কিছু কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে এটি সম্ভব।
বিতর্কে প্রয়োজনীয় কিছু বিষয়ের পাশাপাশি বর্জনীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা; যেমন দীর্ঘ ভূমিকা, ব্যক্তিগত আক্রমণ, উদ্ধৃতি বা তথ্যের উৎস নির্দেশ থেকে বিরত থাকা, মুখস্থ বলার প্রবণতা, দীর্ঘ উদ্ধৃতি বা দীর্ঘ গল্পের অবতারণা, মুদ্রাদোষ, মিশ্র ভাষারীতির প্রয়োগ ইত্যাদি পরিহারের মাধ্যমে বিতর্ক হয়ে ওঠে আরও প্রাণবন্ত ও শ্রুতিমধুর।
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নতুন শিক্ষাক্রম বিস্তরণ (ডেসিমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম) স্কিম নিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন স্থগিত করে অন্তর্বর্তী সরকার। পরে এই স্কিম সংশোধন করে মাউশি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিলেও বাস্তবে
৫ ঘণ্টা আগেএসএসসি ও সমমানের উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশিত হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফল তুলনামূলক খারাপ করেছে শিক্ষার্থীরা। বিগত ১৬ বছরের মধ্যে পাসের হার সর্বনিম্ন।
২ দিন আগেপ্রতিদিনই আমাদের জীবনে ইতিবাচক -নেতিবাচক বিভিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু মানুষ হিসেবে আমরা প্রায়ই নেতিবাচক ঘটনাগুলোতেই বেশি মনোযোগ দিই। ভালো যে অনেক কিছুই ঘটছে, তা হয়তো টেরই পাই না। দিন শেষে আমরা ক্লান্ত, অভিযোগে ভরা, হতাশ। অথচ এ মানসিকতার বদল আনতে পারে একটি ছোট, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস...
২ দিন আগেইতালিতে ইউনিভার্সিটি অব মিলান ডিএসইউ স্কলারশিপ ২০২৬-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। এ বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত।
২ দিন আগে