Ajker Patrika

৩৫ বছর ধরে শিক্ষার্থী নেই উর্দু বিভাগে

রাজশাহী প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১৮: ৩৮
৩৫ বছর ধরে শিক্ষার্থী নেই উর্দু বিভাগে

সবশেষ ১৯৮৬ সালে রাজশাহী কলেজের উর্দু বিভাগে একজন ছাত্র নিয়ে একটি ব্যাচের শিক্ষাকার্যক্রম চলেছে। তারপর বিভাগটিতে গত ৩৫ বছরেও একজন শিক্ষার্থীও ভর্তি হননি। এখন বিভাগে কোনো শিক্ষকও নেই। তাই বন্ধ হয়ে গেছে উর্দুর সিলেবাসও। তবে বিভাগটি এখনো চালু আছে।

রাজশাহী কলেজে উর্দু বিভাগের সবশেষ শিক্ষক আমিনুল ইসলাম। ছুটি নিয়ে তিনি এখন পিএইচডি করছেন। আমিনুল ইসলাম বলেন, উর্দু ভাষা মানুষ ভালোভাবে গ্রহণ করে না। মানুষ মনে করে উর্দু মানে ভাষা আন্দোলন বিরোধী এবং এটা শুধু পাকিস্তানেরই ভাষা। তাই কেউ আর এই বিভাগে ভর্তি হন না। 

আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমি ছুটি নিয়েছি। বর্তমানে পিএইচডি করছি। রাজশাহী কলেজে আমিই সর্বশেষ শিক্ষক ছিলাম উর্দু বিভাগের। এখন শিক্ষার্থীও নেই, শিক্ষকও নেই। এ দিকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী না থাকায় এখন তালাবদ্ধ থাকে উর্দু বিভাগ। অথচ এ বিভাগ চালু থাকলে এবং শুধু ভাষার দখলের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে কর্মসংস্থানের একটা বড় সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।’ 

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী কলেজ ছাড়াও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ, রংপুরের কারমাইকেল কলেজ, সিলেট এমসি কলেজ, সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা ও চট্টগ্রাম কলেজে উর্দু বিভাগ রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উর্দু বিভাগ রয়েছে। এ দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে উর্দু বিভাগে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছেন। কিন্তু দেশ সেরা রাজশাহী কলেজে এই বিভাগের কোনো শিক্ষার্থী নেই। 

কলেজটির সাবেক অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান মনে করেন, শিক্ষা যে কোনো বিষয়েই নেওয়া যায়। শিক্ষার কোনো শেষও নেই। যেহেতু রাজশাহী কলেজ দেশ সেরা এবং এখানে একটি উর্দু বিভাগ আছে সেটিরও শিক্ষা কার্যক্রম চলা উচিত। তবে তিনি নিজেই দায়িত্ব থাকাকালেও কোনো শিক্ষার্থী এই বিভাগে ভর্তি হননি। 

হবিবুর রহমান বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ভালো উর্দু জানা মানুষের কদর রয়েছে। তাই কোনো ভাষাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। শিক্ষার্থী ভর্তি হলে বিভাগটি চালু হতে পারে। 

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, দেশের কয়েকটা কলেজে উর্দু বিভাগ আছে, অথচ শিক্ষার্থী নেই, এই বিষয়টি তিনি জানেন। 

সচিব বলেন, বিভাগ চালু থাকলে শিক্ষার্থী ভর্তিরও উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে বিভাগ চালু রাখার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। এ বিষয়টি নিয়ে দ্রুতই সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারা বড় হলে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে লজ্জিত হবে: সেনাপ্রধান

যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকারকে বহিষ্কারের কারণ জানাল এনসিপি

‘আমি যে মাপের লোক, আমারে সে মাপের অস্ত্র দিয়া ফাঁসাইতি’

আবাসন কোম্পানির অনিয়ম অনুসন্ধানে গড়িমসি, দুদকের উপপরিচালক বরখাস্ত

বিপুল বকেয়া সত্ত্বেও ব্যবসা হারানোর ভয়ে বাংলাদেশ-নেপালে সম্প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় চ্যানেলগুলো

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত