Ajker Patrika

আন্তর্জাতিক বায়োটেকনোলজি সম্মেলনে সেরা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক বায়োটেকনোলজি সম্মেলনে সেরা হয়েছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
আন্তর্জাতিক বায়োটেকনোলজি সম্মেলনে সেরা হয়েছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

আন্তর্জাতিক বায়োটেকনোলজি সম্মেলন ২০২৫-এ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) বায়োকেমিস্ট্রি ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের (বিএমডি) শিক্ষার্থীরা অসাধারণ গবেষণা উপস্থাপন করে সেরা তিনটি পুরস্কার অর্জন করেছেন। ২০ ও ২১ জুন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এ সম্মেলনে অংশ নিয়ে তাঁরা দেশের হয়ে গর্বের উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।

শীর্ষ পুরস্কার বিজয়ী দলের তত্ত্বাবধায়ক এবং বায়োকেমিস্ট্রি ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এস এম বখতিয়ার উল ইসলাম বলেন, ‘এই সাফল্য শুধু আমাদের শিক্ষার্থীদের নয়, বরং সমগ্র জাতির জন্য গর্বের। এটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার অগ্রগতি এবং তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তির প্রতিফলন।’

ড. এস এম বখতিয়ার উল ইসলামের তত্তাবধানে মো. সাফায়েত সাহিব ও তাঁর দলের গবেষণা—‘ফ্রম বাংলাদেশি সয়েল টু জেনোমিক ইনসাইট: ডিসকভারি অব থার্মোস্টেবল বেসিলাস স্ট্রেইনস উইথ হাই অ্যামাইলেজ অ্যান্ড প্রটেজ অ্যাক্টিভিটি’ (From Bangladeshi Soil to Genomic Insight: Discovery of Thermostable Bacillus Strains with High Amylase and Protease Activity) সম্মেলনে ইন্ডাস্ট্রিয়াল বায়োটেকনোলজি ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করে। গবেষণায় তাঁরা বাংলাদেশি মাটি থেকে তাপ সহনশীল ব্যাসিলাস অণুজীব সংগ্রহ করেছেন, যেগুলোর বাণিজ্যিক এনজাইম উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে।

ড. বখতিয়ার বলেন, ‘তাপ সহনশীল অ্যামাইলেজ ও প্রোটিয়েজের চাহিদা আন্তর্জাতিক বাজারে দিন দিন বাড়ছে। আমাদের দেশে এ রকম কোনো বায়োটেকনোলজি কোম্পানি নেই। আমাদের গবেষণা এই সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

ড. বখতিয়ার আরও জানান, টেক্সটাইল, ডিটারজেন্ট, ফার্মাসিউটিক্যাল ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে এই এনজাইমগুলোর বিশাল বাণিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে তাঁরা গবেষণার ফল শিল্প খাতে বাস্তব প্রয়োগের লক্ষ্যে বিনিয়োগকারী ও সহযোগী গবেষকদের আহ্বান জানাচ্ছেন।

এ ছাড়াও তাসনিম রহমান ও তাঁর দল ‘এফেক্ট অব মেটাল লোনস অন দ্য এনজাইমেটিক এফিসিয়েন্সি অব অ্যামাইলেজ অ্যান্ড প্রটেজ প্রডিউসার কেটিএইচ ২০৫’ (Effect of Metal Ions on the Enzymatic Efficiency of Amylase and Protease Producer KTH 205) শীর্ষক গবেষণার জন্য প্রথম রানার্সআপ হয়।

গবেষণা উপস্থাপন করে সেরা তিন পুরস্কার অর্জন করেছেন এনএসইউ শিক্ষার্থীরা। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
গবেষণা উপস্থাপন করে সেরা তিন পুরস্কার অর্জন করেছেন এনএসইউ শিক্ষার্থীরা। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

একইভাবে শেখ আদিবা তাসনেম ও তাঁর দলের গবেষণা ‘দ্য সাইলেন্ট ইনভেডার্স: আনমাস্কিং ইন্ট্রাসেলুলার ব্যাক্টেরিয়া ইন চিকেন পিবিএমসিএস’ (The Silent Invaders: Unmasking Intracellular Bacteria in Chicken PBMCs) সম্মেলনে বিশেষ সম্মাননা লাভ করে।

এ তিনটি গবেষণাই বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরেছে। তরুণ গবেষকদের উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গি, দেশীয় সম্পদের বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবহারের দৃষ্টান্ত এবং বাস্তবমুখী গবেষণার প্রয়াস—সব মিলিয়ে এ সাফল্যকে এনএসইউর জন্য একটি বড় মাইলফলক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

ড. বখতিয়ার বলেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ শিগগির বৈশ্বিক বায়োটেকনোলজি গবেষণায় নেতৃত্ব দিতে পারবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হরমুজ প্রণালিতে প্রবেশ করে ইউটার্ন নিল দুটি জাহাজ

ইসরায়েলে ২০ লাখ রুশভাষীর বাস, রাশিয়াকে তাঁদের কথা ভাবতে হয়: পুতিন

গুমে জড়িত ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা: গুম কমিশনের প্রতিবেদন

ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা কাতারের, পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি

মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশে পরবর্তী ঘোষণার আগপর্যন্ত বাংলাদেশি সব ফ্লাইট বাতিল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত