ঢাবি প্রতিনিধি
শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নের জন্য ‘দ্য ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফান্ড’ গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। সেই ফান্ডে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে চার প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি। আজ শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতীন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই তহবিল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
ফান্ডের তহবিল সংগ্রহ কার্যক্রমে প্রাথমিক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী, পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান আলহাজ সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী ও পপুলার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান মোট ১ কোটি ১১ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁরা এ বিষয়ে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের র্যাঙ্কিং বিষয়ে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, প্যারামিটার অনেকগুলো এখনো অ্যাড্রেস করা সম্ভব হয়নি। এই মুহূর্তে যেখানে আছি সেখান থেকে খুব বেশি প্রত্যাশা করা কঠিন। তবে র্যাঙ্কিংয়ে আমাদের একটি বড় আকারের জাম্প হয়েছে। শিক্ষা ও গবেষণায় উন্নয়নের জন্য ২০১২ সালে ফান্ড গঠনের জন্য প্রাথমিকভাবে আলোচনা হয়। নানা কারণে সেটি হয়ে ওঠেনি। দীর্ঘ ১২ বছর পরে সেটি আমরা শুরু করতে পেরেছি, এটি চলমান থাকবে।’
উপাচার্য বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিভিন্ন সময় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য ফান্ডের কথা বলেছেন। তিনি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শিক্ষা ও গবেষণার জন্য সহায়তা করার কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ উপস্থিতিতে ভবিষ্যতে একটি সাড়ম্বর অনুষ্ঠানে অনুদান গ্রহণের মাধ্যমে এই ফান্ডের মূলধন এক হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা সম্ভব হবে।’ এ সময় তিনি সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডকে সমৃদ্ধ করতে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘গবেষণা করতে টাকার প্রয়োজন, আবার টাকা হলে ভালো গবেষণা হবে—এমনও নয়। আগেকার সময়ের বড় বড় ব্যক্তিরা টাকার সাহায্যে গবেষণা করেছেন, এমন নয়। গবেষণার জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয়, আবার টাকা ফিরেও যাচ্ছে আমাদের ইউনিভার্সিটি থেকে। আমাদের ইউনিভার্সিটি হচ্ছে গ্র্যাজুয়েট তৈরির ইউনিভার্সিটি। এ জন্য গবেষণার কাজে আমরা এগিয়ে যেতে পারছি না। দার্শনিকেরা পূণ্যও দান করার কথা বলেছেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমাদের সমাজে মানুষ সৎ না হয়ে সচ্ছল হচ্ছে, জ্ঞানী বা প্রজ্ঞাবান না হয়ে ধূর্ত হচ্ছে এবং হৃদয়বান না হয়ে বিশিষ্ট হচ্ছে। এসব কারণে এই দর্শনগুলো ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে যাচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা বেশি হচ্ছে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কম হচ্ছে। সেটা নিয়ে তারা আবার রিপোর্টও প্রকাশ করে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের থেকে যে অর্থ নেয় সে অর্থ দিয়ে তাদের গবেষণা কার্যক্রম চালানো খুব একটা কঠিন কাজ নয়। তারা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যা নেয় তা-ই ব্যয় করে। কিন্তু ইউজিসি আমাদের যা দেয় তা দিয়ে আমাদের গবেষণা কার্যক্রম চালাতে হয়। এ ফান্ডের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণায় নতুন মাইলফলক তৈরি হবে।’
অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর ও বিভিন্ন শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নের জন্য ‘দ্য ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফান্ড’ গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। সেই ফান্ডে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে চার প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি। আজ শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতীন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই তহবিল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
ফান্ডের তহবিল সংগ্রহ কার্যক্রমে প্রাথমিক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী, পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান আলহাজ সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী ও পপুলার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান মোট ১ কোটি ১১ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁরা এ বিষয়ে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের র্যাঙ্কিং বিষয়ে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, প্যারামিটার অনেকগুলো এখনো অ্যাড্রেস করা সম্ভব হয়নি। এই মুহূর্তে যেখানে আছি সেখান থেকে খুব বেশি প্রত্যাশা করা কঠিন। তবে র্যাঙ্কিংয়ে আমাদের একটি বড় আকারের জাম্প হয়েছে। শিক্ষা ও গবেষণায় উন্নয়নের জন্য ২০১২ সালে ফান্ড গঠনের জন্য প্রাথমিকভাবে আলোচনা হয়। নানা কারণে সেটি হয়ে ওঠেনি। দীর্ঘ ১২ বছর পরে সেটি আমরা শুরু করতে পেরেছি, এটি চলমান থাকবে।’
উপাচার্য বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিভিন্ন সময় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য ফান্ডের কথা বলেছেন। তিনি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শিক্ষা ও গবেষণার জন্য সহায়তা করার কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ উপস্থিতিতে ভবিষ্যতে একটি সাড়ম্বর অনুষ্ঠানে অনুদান গ্রহণের মাধ্যমে এই ফান্ডের মূলধন এক হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা সম্ভব হবে।’ এ সময় তিনি সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডকে সমৃদ্ধ করতে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘গবেষণা করতে টাকার প্রয়োজন, আবার টাকা হলে ভালো গবেষণা হবে—এমনও নয়। আগেকার সময়ের বড় বড় ব্যক্তিরা টাকার সাহায্যে গবেষণা করেছেন, এমন নয়। গবেষণার জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয়, আবার টাকা ফিরেও যাচ্ছে আমাদের ইউনিভার্সিটি থেকে। আমাদের ইউনিভার্সিটি হচ্ছে গ্র্যাজুয়েট তৈরির ইউনিভার্সিটি। এ জন্য গবেষণার কাজে আমরা এগিয়ে যেতে পারছি না। দার্শনিকেরা পূণ্যও দান করার কথা বলেছেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমাদের সমাজে মানুষ সৎ না হয়ে সচ্ছল হচ্ছে, জ্ঞানী বা প্রজ্ঞাবান না হয়ে ধূর্ত হচ্ছে এবং হৃদয়বান না হয়ে বিশিষ্ট হচ্ছে। এসব কারণে এই দর্শনগুলো ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে যাচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা বেশি হচ্ছে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কম হচ্ছে। সেটা নিয়ে তারা আবার রিপোর্টও প্রকাশ করে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের থেকে যে অর্থ নেয় সে অর্থ দিয়ে তাদের গবেষণা কার্যক্রম চালানো খুব একটা কঠিন কাজ নয়। তারা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যা নেয় তা-ই ব্যয় করে। কিন্তু ইউজিসি আমাদের যা দেয় তা দিয়ে আমাদের গবেষণা কার্যক্রম চালাতে হয়। এ ফান্ডের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণায় নতুন মাইলফলক তৈরি হবে।’
অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর ও বিভিন্ন শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। গত ২৯ জুলাই তফসিল ঘোষণার পর সোমবার ছিল মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন। এদিন বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় বিভিন্ন প্যানেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেনির্বাচনী হাওয়া বইছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। ডাকসু নির্বাচনে মনোয়নয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন গতকাল সোমবার দলে দলে গিয়ে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ভোটে লড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।
১১ ঘণ্টা আগেশেখ তাসনিম আফরোজ ইমিকে সহসভাপতি (ভিপি) ও মেঘমল্লার বসুকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।
১৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে ঢাবি ক্যাম্পাসে সরব হয়ে উঠেছে ছাত্রসংগঠন ও শিক্ষার্থীরা। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও প্যানেল ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী উত্তেজনা দিন দিন বাড়ছে। নির্ধারিত তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কি না— সে প্রশ্ন থাকলেও শিক্ষার্থী ও সংগঠনগুলোর মধ্যে এখন মূল
১৫ ঘণ্টা আগে