নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
সিলেটে একটি ভবনের কক্ষ থেকে সাবেক ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ফারহানা হক মিলির (২৪) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে নগরের তেলিহাওর এলাকায় সিল ভ্যালি ক্যাসল নামক ভবনে শোয়ার ঘর থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ মিলির স্বামী নুর আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নিয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মরদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আজ ভোরের দিকে মিলির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝোলানো মরদেহের হাঁটু বিছানায় লাগানো ছিল। তাতে যথেষ্ট সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে। সহকারী পুলিশ কমিশনার শামসুদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কোতোয়ালি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শাওন মাহমুদ সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর মরদেহ ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
মিলির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তেলিহাওর এলাকার সিল ভ্যালি ক্যাসলের তৃতীয় তলার এ-২ ইউনিটে মিলি ও মিলির বড় বোন রেহানা হক সুহেলি তাঁদের স্বামীসহ ভাড়ায় থাকেন। গতকাল শুক্রবার রাতে মিলি না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েন। স্বামী ঘুমান আলাদা কক্ষে। আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত মিলির ঘরের দরজা ভেতর থেকে লাগানো দেখে পরিবারের সদস্যরা ডাকাডাকি করেন। সাড়াশব্দ না পেয়ে একপর্যায়ে একটি থাই গ্লাসের দরজা এবং কক্ষের মূল দরজা ভেঙে মিলির মরদেহ খাটের ওপরে হাঁটু গেড়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে থাকতে দেখা যায়। তাঁর গলায় ওড়না প্যাঁচানো। পরিবারের সদস্যরা কোতোয়ালি থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
মিলির বড় বোন রেহানা হক সুহেলি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাড়ে চার বছর আগে নুর আলমের সঙ্গে মিলির বিয়ে হয়। এরপর থেকে তিনি এবং মিলি স্বামী নিয়ে সিল ভ্যালি ক্যাসলের ওই বাসায় ভাড়া থাকেন। মিলির স্বামী দৃশ্যমান কোনো চাকরি বা পেশায় জড়িত নয়। উল্টো অনলাইনে জুয়া খেলে লাখ লাখ টাকা উড়িয়েছে। এমনকি নিজের একটি ঘর বিক্রি করে ১৫ লাখ টাকা এক দিনেই জুয়া খেলে হারিয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে মিলি ও তার স্বামীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। অনেক সময় স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হতো মিলি। আগে কয়েকবার স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অনেক সময় একসঙ্গে অনকেগুলো ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাত মিলি।’
মিলি আত্মহত্যা করলে তো তার পা এভাবে বিছানায় থাকার কথা নয় মন্তব্য করে রেহানা বলেন, ‘পুলিশ সুষ্ঠু তদন্ত করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমার বোন এভাবে আত্মহত্যা করতে পারে না।’
এদিকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার শামসুদ্দিন সালেহ আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘মিলি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন কি না, তা-ও জানার চেষ্টা চলছে।’
নিহতের ভাই সাংবাদিক এনামুল হক রেনু ও আমিনুল হক সিপনের অভিযোগ, মিলিকে নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে।
তাঁরা বলেন, মিলির স্বামী নুর আলম তাঁর স্ত্রীর ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ৬ লাখ টাকা তুলে অনলাইনে জুয়া খেলেছেন। সেই সঙ্গে মিলির ব্যবহৃত স্বর্ণ দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে জুয়া খেলেছেন। এসব বিষয় নিয়ে তাঁদের বোনের সঙ্গে কথাকাটাকাটির জের থেকে মারধর করা হয়। এরই জের ধরে হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন তাঁরা। মিলির ভাই আমিনুল হক সিপন আরও বলেন, ‘আমার বোন জেলা পর্যায়ে ব্যাডমিন্টন খেলত।’
অভিযোগের বিষয়ে নুর আলম বলেন, ‘আমাদের প্রায়ই ঝগড়া হতো। মিলি খুব রাগী ছিল। কখনো রাগ করে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে দুই-তিন দিন ঘুমিয়ে থাকত। গত বৃহস্পতিবার রাতেও ঠিক একইভাবে রাগ করে দরজা বন্ধ করে থাকে মিলি।’
জুয়া নয়, পেশা হিসেবে অনলাইনে ডলার কেনাবেচা করতেন দাবি করে নুর আলম বলেন, ‘স্ত্রীর কাছ থেকে কোনো টাকা নিইনি। বাড়ির জমি বিক্রি করে বিনিয়োগ করেছি। মিলির ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা উঠাইনি।’
মিলি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিরাজুল হকের মেয়ে। স্বামী নুর আলমের বাড়ি দিরাই উপজেলার কালিয়ারখাপন গ্রামে।
সিলেটে একটি ভবনের কক্ষ থেকে সাবেক ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ফারহানা হক মিলির (২৪) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে নগরের তেলিহাওর এলাকায় সিল ভ্যালি ক্যাসল নামক ভবনে শোয়ার ঘর থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ মিলির স্বামী নুর আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নিয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মরদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আজ ভোরের দিকে মিলির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝোলানো মরদেহের হাঁটু বিছানায় লাগানো ছিল। তাতে যথেষ্ট সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে। সহকারী পুলিশ কমিশনার শামসুদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কোতোয়ালি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শাওন মাহমুদ সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর মরদেহ ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
মিলির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তেলিহাওর এলাকার সিল ভ্যালি ক্যাসলের তৃতীয় তলার এ-২ ইউনিটে মিলি ও মিলির বড় বোন রেহানা হক সুহেলি তাঁদের স্বামীসহ ভাড়ায় থাকেন। গতকাল শুক্রবার রাতে মিলি না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েন। স্বামী ঘুমান আলাদা কক্ষে। আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত মিলির ঘরের দরজা ভেতর থেকে লাগানো দেখে পরিবারের সদস্যরা ডাকাডাকি করেন। সাড়াশব্দ না পেয়ে একপর্যায়ে একটি থাই গ্লাসের দরজা এবং কক্ষের মূল দরজা ভেঙে মিলির মরদেহ খাটের ওপরে হাঁটু গেড়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে থাকতে দেখা যায়। তাঁর গলায় ওড়না প্যাঁচানো। পরিবারের সদস্যরা কোতোয়ালি থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
মিলির বড় বোন রেহানা হক সুহেলি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাড়ে চার বছর আগে নুর আলমের সঙ্গে মিলির বিয়ে হয়। এরপর থেকে তিনি এবং মিলি স্বামী নিয়ে সিল ভ্যালি ক্যাসলের ওই বাসায় ভাড়া থাকেন। মিলির স্বামী দৃশ্যমান কোনো চাকরি বা পেশায় জড়িত নয়। উল্টো অনলাইনে জুয়া খেলে লাখ লাখ টাকা উড়িয়েছে। এমনকি নিজের একটি ঘর বিক্রি করে ১৫ লাখ টাকা এক দিনেই জুয়া খেলে হারিয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে মিলি ও তার স্বামীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। অনেক সময় স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হতো মিলি। আগে কয়েকবার স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অনেক সময় একসঙ্গে অনকেগুলো ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাত মিলি।’
মিলি আত্মহত্যা করলে তো তার পা এভাবে বিছানায় থাকার কথা নয় মন্তব্য করে রেহানা বলেন, ‘পুলিশ সুষ্ঠু তদন্ত করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমার বোন এভাবে আত্মহত্যা করতে পারে না।’
এদিকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার শামসুদ্দিন সালেহ আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘মিলি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন কি না, তা-ও জানার চেষ্টা চলছে।’
নিহতের ভাই সাংবাদিক এনামুল হক রেনু ও আমিনুল হক সিপনের অভিযোগ, মিলিকে নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে।
তাঁরা বলেন, মিলির স্বামী নুর আলম তাঁর স্ত্রীর ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ৬ লাখ টাকা তুলে অনলাইনে জুয়া খেলেছেন। সেই সঙ্গে মিলির ব্যবহৃত স্বর্ণ দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে জুয়া খেলেছেন। এসব বিষয় নিয়ে তাঁদের বোনের সঙ্গে কথাকাটাকাটির জের থেকে মারধর করা হয়। এরই জের ধরে হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন তাঁরা। মিলির ভাই আমিনুল হক সিপন আরও বলেন, ‘আমার বোন জেলা পর্যায়ে ব্যাডমিন্টন খেলত।’
অভিযোগের বিষয়ে নুর আলম বলেন, ‘আমাদের প্রায়ই ঝগড়া হতো। মিলি খুব রাগী ছিল। কখনো রাগ করে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে দুই-তিন দিন ঘুমিয়ে থাকত। গত বৃহস্পতিবার রাতেও ঠিক একইভাবে রাগ করে দরজা বন্ধ করে থাকে মিলি।’
জুয়া নয়, পেশা হিসেবে অনলাইনে ডলার কেনাবেচা করতেন দাবি করে নুর আলম বলেন, ‘স্ত্রীর কাছ থেকে কোনো টাকা নিইনি। বাড়ির জমি বিক্রি করে বিনিয়োগ করেছি। মিলির ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা উঠাইনি।’
মিলি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিরাজুল হকের মেয়ে। স্বামী নুর আলমের বাড়ি দিরাই উপজেলার কালিয়ারখাপন গ্রামে।
মেয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে ঘুম থেকে তুলে ধর্ষণ করেন বাবা। ৮ বছর আগের ওই ঘটনায় মামলা হয়েছিল। ওই ঘটনার আগেও আসামি একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে যায়। ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল।
৩ দিন আগেমুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে ডাকাতদের হামলার ঘটনায় ডাকাত দলের প্রধান রিপনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ঢাকা ও গাজীপুর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৭ দিন আগেনরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ জুলাই ২০২৫সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫