Ajker Patrika

ওএমএসএসের চাল কিনতে গিয়ে মারধরের শিকার ভ্যানচালক

দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
ওএমএসএসের চাল কিনতে গিয়ে মারধরের শিকার ভ্যানচালক

রাজশাহীর দুর্গাপুরে খাদ্য অধিদপ্তরের আওতায় (ওএমএসএস) চাল কিনতে গিয়ে ডিলারদের কর্মচারীদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন এক ভ্যানচালক। ওই ভ্যানচালকের নাম আব্দুল করিম (২৬)। তিনি দুর্গাপুর পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে দুর্গাপুর পৌর এলাকার শালঘরিয়া বদির মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিরুপায় হয়ে বিচারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দিতে গিয়েও ডিলারদের সিন্ডিকেটের কাছে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলে অভিযোগ ভ্যানচালক করিমের। 

জানা গেছে, ওই দিন দুপুরে ভ্যানচালক করিম কম দামে চাল কিনতে শালঘরিয়া বদির মোড় এলাকায় ডিলার পয়েন্টে যান। তিনি দেখেন ডিলাররা অনেকের কাছে চালের বস্তা বিক্রি করছেন। এ সময় তিনি তাদের কাছে এক বস্তা চাল চেয়ে বসেন। পরে ৩০ কেজির এক বস্তা চাল ধরিয়ে দিয়ে তার কাছে থেকে এক হাজার টাকা চেয়ে বসেন ওখানকার ডিলারের কর্মচারী কালাম। ভ্যানচালক করিম সাড়ে ৯শ টাকা দেন ডিলারের হাতে। এতে আরও ৫০ টাকা দাবি করেন কর্মচারী কালাম। এতে ভুক্তভোগী করিম অতিরিক্ত টাকা না দেওয়ায় কর্মচারী কালাম ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে মারধর শুরু করেন। এ সময় ভ্যানচালক করিমের পরনের শার্টটিও ছিঁড়ে যায়। 

উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা যায়, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় দুর্গাপুর পৌরসভার তিনটি পয়েন্টে (ওএমএসএস) স্বল্প মূল্যে চাল বিক্রি হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে, শালঘরিয়া বদির মোড়, সিংগাবাজার ও দুর্গাপুর সদর বাজার। প্রতিটি ডিলারকে প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। ডিলারদের কাছে থেকে প্রত্যেক ব্যক্তি ৫ কেজি চাল ক্রয় করতে পারবেন। চালের দাম ৩০ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হয়েছে। 

সূত্রমতে, দুর্গাপুরে খাদ্য অধিদপ্তরের আওতায় (ওএমএস) চাল বিক্রি হয় পৌর এলাকার তিন পয়েন্টে। আগে ভালো চাল বিক্রি করলেও বর্তমান নিম্নমানের চাল বিক্রির অভিযোগ উঠছে। প্রতিদিন একজন ব্যক্তি চাল পাবেন ৫ কেজি। কিন্তু ডিলাররা কারসাজি করে অনেকের কাছে পুরো বস্তা বিক্রি করে দিচ্ছেন। এমন ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে। স্থানীয়রা এসব নিয়ে প্রতিবাদ করলেও তাদের সিন্ডিকেট লোকবলের কাছে পাত্তাই পায় না।

ভ্যানচালক আব্দুল করিম বলেন, 'তাঁরা আমাকে অন্যায় ভাবে মারধর করেছে। সকালে শালঘরিয়া বদির মোড়ে কম দামে চাল কিনতে গিয়ে দেখি ডিলাররা অনেকের কাছে বস্তা ধরে চাল বিক্রি করছেন। আমি এক বস্তা চাইছি। মাত্র ৫০ টাকার জন্য আমাকে মারধর ও পরনের শার্ট ছিঁড়ে ফেলছে। আমি থানায় অভিযোগ দিতে চাইলেও তাঁরা দিতে দেয়নি। পরে আমাকে চাল ও পরনের শার্ট কিনে দিতে চায়। তারপর সময় গড়িয়ে গেলে তাঁরা আমাকে কিছুই দেয়নি।'

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন শালঘরিয়া বদির মোড় এলাকার (ওএমএসএস) ডিলার বজলুর রশিদ বাবলু বলেন, 'নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ব্যক্তির কাছে ৫ কেজি করে চাল বিক্রি করা হয়। গতকালের ঘটনাটা একটু ভুল বোঝাবুঝি। তাকে (করিম) আমি চাল দিতে চাইছি। পরনের শার্টও কিনে দিতে চাইছি। এ নিয়ে কোনো ধরনের সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন তিনি। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আলীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল রানা বলেন, এমন অভিযোগ আমি এখনো পাইনি। ওএমএসএস বিক্রির তদারকিতে লোক নিয়োজিত করা আছে। বিশৃঙ্খলা হওয়ার কথা না। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদালতের বিচারকাজে বাধা দেওয়ায় আইনজীবীর দণ্ড, ক্ষমা চেয়ে পার

চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে গেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

আ. লীগের ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিদের বিএনপির সদস্য হতে বাধা নেই: রিজভী

১৫ স্থাপনায় পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আকাশেই ধ্বংসের দাবি ভারতের

লাহোরে পাল্টা আঘাত হেনে পাকিস্তানকে জবাব দিল ভারত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত