Ajker Patrika

পাখি পোষায় কিশোরকে হেনস্তা, অভিযোগ বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
পাখি পোষায় কিশোরকে হেনস্তা, অভিযোগ বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

কুষ্টিয়ায় পাখি পোষার অভিযোগে বাপ্পি ইসলাম (১৫) নামে এক কিশোরকে হেনস্তা করেছেন বন বিভাগের কর্মকর্তা। বাপ্পি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নগর মোহাম্মদপুর এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে। পেশায় মোটরসাইকেল মেকানিক। 

বাপ্পির অভিযোগ, কুষ্টিয়া বন বিভাগের বন কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ এবং তাঁর স্ত্রীর বড় ভাই তাঁর দোকানে গাড়ি পরিষ্কারসহ খুঁটিনাটি কাজ করাতে আসতেন। কিন্তু তাঁরা কোনো সময় ঠিকমতো মজুরি পরিশোধ করতেন না। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে বাপ্পি ওপর ক্ষিপ্ত হন আব্দুল হামিদ। 

পোষার জন্য গত ১ ডিসেম্বর গ্যারেজের পাশের একটি কাঁঠাল গাছ থেকে দুটি ঘুঘুর বাচ্চা ধরেন বাপ্পি। বিষয়টি জানতে পেরে বাপ্পিকে পাখি ব্যবসায়ী আখ্যায়িত করে ধরে নিয়ে যান বন কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ। বাপ্পিকে বিভিন্ন মামলায় জেলে পাঠানোর হুমকি দেন হামিদ। একপর্যায়ে বাপ্পিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন। এই খবর শুনে বাপ্পি স্বজন এবং স্থানীয়রা গিয়ে চাপ সৃষ্টি করলে মুচলেকা নিয়ে বাপ্পিকে ছেড়ে দেন তিনি। 

বাপ্পি বলেন, ‘আমি ছোটখাটো মোটরসাইকেল মেকানিক। বন বিভাগের ওই কর্মকর্তা তাঁর ব্যক্তিগত শত্রুতা মেটাতে আমাকে হেনস্তা করার জন্য তাঁর অফিসে ধরে নিয়ে গিয়ে কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখে।’ 

বাপ্পি বাবা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সে সরকারি চাকরি করার ক্ষমতা দেখিয়ে এলাকার বিভিন্ন মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করে। এভাবে সে টাকা আদায় করে। আমার ছেলেকে সে অকারণে ধরে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে আমার ছেলের নামে পাখি পাচারকারী এবং গাছ চুরির মামলা দেওয়া হুমকি দিতে থাকে।’ 

রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমার ছেলে কোনো অন্যায় করেনি। তাই টাকা দিব কেন বলে প্রতিবাদ করলে অনেকক্ষণ আটকে রেখে আমার ছেলেকে ছেড়ে দেয়।’ 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া বন বিভাগের বন কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ বাপ্পিকে আটকে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বন্যপ্রাণী ধরা অপরাধ। তাই তাকে ধরেছিলাম, পরে অভিভাবকেরা ভুল স্বীকার করায় তাকে ছেড়ে দেই। এখন তারা মিথ্যা পাল্টা অভিযোগ করছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত