যশোরের মনিরামপুরে গৃহবধূ হীরা বেগম (২৮) হত্যার ঘটনায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন দ্বিতীয় স্বামী ইউপি সদস্য ইসলাম গাজী। হীরা বেগমকে না পাওয়ার ক্ষোভ থেকে তাঁকে হত্যা করেছেন বলে আদালতে স্বীকার করেছেন ইসলাম গাজী।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে যশোর নিম্ন আদালতের বিচারক আরমান হোসেনের আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় এ স্বীকারোক্তি দেন। এরপর আদালত তাঁকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে শুক্রবার সকালে ইসলাম গাজীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার দিন বুধবার বিকেলে মনিরামপুর বাজার থেকে ১০০ টাকায় চাকুটি কেনেন মেম্বর। এরপর রাত ৮টার দিকে মনিরামপুর-নওয়াপাড়া সড়কের ধারে জয়নগরে একটি কলা খেতে হীরা বেগমকে উপর্যুপরি চাকু দিয়ে আঘাত করেন ইসলাম। এ সময় ধাওয়া খেয়ে পালাতে গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে একটি মেহগনী বাগানে চাকু ফেলে পালিয়ে যান তিনি। পরে রাতেই যশোর শহরের বেজপাড়ায় মামার বাড়ি আত্মগোপন করেন ইসলাম গাজী।
হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার ভোরে সেখান থেকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি। এরপর বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ইসলাম গাজীকে মনিরামপুর থানায় সোপর্দ করে র্যাব।
হীরা বেগম খুনের পরের দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে মনিরামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা নড়াইল সদরের বাগডাঙা গ্রামের আক্তার মোল্লা। এর পরের দিন বিকেলে ইসলাম গাজীকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোশারেফ হোসেন বলেন, মনিরামপুরের চাকলা গ্রামের সুমন হোসেনের স্ত্রী হীরা বেগম। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে (১ মেয়ে ও ১ ছেলে) বাড়িতে রেখে সুমন নড়াইলে শ্বশুরের এলাকায় ভাঙারির ব্যবসা করতেন। এ সুযোগে স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে হীরার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে গড়েন মশ্মিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বর চাকলা গ্রামের ইসলাম গাজী। গত ৫ মাস আগে সুমনকে তালাক দিয়ে ইসলামকে বিয়ে করেন হীরা। এরপর হীরাকে নিয়ে মনিরামপুর বাজারে ভাড়া বাসায় ওঠেন মেম্বর।
এর কিছুদিন পর নিজের দুই সন্তানের মায়ায় ও পরিবারের চাপে ১ মাস আগে ইসলামকে তালাক দেন হীরা। এরপর নড়াইলে বাবার বাড়িতে রেখে তাঁকে আবার আগের স্বামী সুমনের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। সন্তানদের মায়ায় সুমনকে বিয়ে করলেও মেম্বরের ওপর টান থাকে হীরার। গত সোমবার (৩ অক্টোবর) নড়াইল শহরে সুমনের ভাড়া বাড়ি ওঠার নাম দিয়ে বাবার বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু তিনি সেখানে না গিয়ে ছোট ছেলেকে (৯) সঙ্গে নিয়ে মনিরামপুরে ইসলামের ভাড়া বাড়িতে আসেন হীরা।
এরপর ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়লে সোমবার রাতে তাঁকে মনিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁরা। পরের দিন মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) আবু তালেবের বাবা সুমন এসে ছেলেকে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। হীরার সঙ্গে সেখানে যান ইসলাম। এরপর বুধবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ছেলেকে নিয়ে নড়াইলে চলে যান সুমন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, এর মধ্যে ইসলামের সঙ্গে হীরার মোবাইলে যোগাযোগ চলতে থাকে। ঘটনার দিন বুধবার বিকেলে হীরাকে নিয়ে যশোর থেকে মনিরামপুর বাজারে আসেন ইসলাম। এরই মধ্যে কোনো এক সময় দোকান থেকে চাকু কিনে সঙ্গে রাখেন মেম্বর। এরপর দুজনে হোটেলে খাবার খেয়ে মনিরামপুরের ভাড়া বাসায় যান। সেখানে কিছুক্ষণ থেকে বুধবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর হীরা নড়াইলে ফিরতে চাইলে মেম্বর সঙ্গে যেতে চান।
মনিরামপুর বাজার থেকে মোটরসাইকেল ভাড়া নিয়ে তাঁরা দুজনে তাতে চড়ে বসেন। পথে জয়নগরে শফিয়ারের কলা খেতের সামনে মোটরসাইকেল থামিয়ে নেমে পড়েন হীরা। মেম্বরকে ছাড়া তিনি একা নড়াইলে যেতে চান। মেম্বর পিছু না ছাড়ায় হীরা আত্মহত্যার হুমকি দেন। একপর্যায়ে মেম্বর হীরাকে মারধর করেন। এ দেখে মোটরসাইকেল চালক চলে যান। তখন ধস্তাধস্তি করতে গিয়ে দুজনে রাস্তার পাশে কলা খেতে নেমে পড়েন। এরপর চাকু বের করে হীরাকে গলায়, বুকে, দুই হাত-পায়ে একাধিক আঘাত করেন ইসলাম।
চাকু মারার ঘটনা টের পেয়ে আশপাশের লোকজন ইসলামকে ধাওয়া করেন। তাড়া খেয়ে তিনি কয়েকটি ধান খেত পেরিয়ে একটি মেহগনী বাগানে চাকু ফেলে দেন। এরপর যশোরে বেজপাড়ায় আত্মীয়র বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে সেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আরও বলেন, হীরা বেগম নড়াইলে গেলে আর ফিরবে না। সন্তানদের নিয়ে প্রথম স্বামী সুমনের সঙ্গে সংসার করবে এমন আশঙ্কায় তাঁকে হত্যা করেছেন ইসলাম গাজী।
যশোরের মনিরামপুরে গৃহবধূ হীরা বেগম (২৮) হত্যার ঘটনায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন দ্বিতীয় স্বামী ইউপি সদস্য ইসলাম গাজী। হীরা বেগমকে না পাওয়ার ক্ষোভ থেকে তাঁকে হত্যা করেছেন বলে আদালতে স্বীকার করেছেন ইসলাম গাজী।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে যশোর নিম্ন আদালতের বিচারক আরমান হোসেনের আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় এ স্বীকারোক্তি দেন। এরপর আদালত তাঁকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে শুক্রবার সকালে ইসলাম গাজীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার দিন বুধবার বিকেলে মনিরামপুর বাজার থেকে ১০০ টাকায় চাকুটি কেনেন মেম্বর। এরপর রাত ৮টার দিকে মনিরামপুর-নওয়াপাড়া সড়কের ধারে জয়নগরে একটি কলা খেতে হীরা বেগমকে উপর্যুপরি চাকু দিয়ে আঘাত করেন ইসলাম। এ সময় ধাওয়া খেয়ে পালাতে গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে একটি মেহগনী বাগানে চাকু ফেলে পালিয়ে যান তিনি। পরে রাতেই যশোর শহরের বেজপাড়ায় মামার বাড়ি আত্মগোপন করেন ইসলাম গাজী।
হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার ভোরে সেখান থেকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি। এরপর বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ইসলাম গাজীকে মনিরামপুর থানায় সোপর্দ করে র্যাব।
হীরা বেগম খুনের পরের দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে মনিরামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা নড়াইল সদরের বাগডাঙা গ্রামের আক্তার মোল্লা। এর পরের দিন বিকেলে ইসলাম গাজীকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোশারেফ হোসেন বলেন, মনিরামপুরের চাকলা গ্রামের সুমন হোসেনের স্ত্রী হীরা বেগম। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে (১ মেয়ে ও ১ ছেলে) বাড়িতে রেখে সুমন নড়াইলে শ্বশুরের এলাকায় ভাঙারির ব্যবসা করতেন। এ সুযোগে স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে হীরার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে গড়েন মশ্মিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বর চাকলা গ্রামের ইসলাম গাজী। গত ৫ মাস আগে সুমনকে তালাক দিয়ে ইসলামকে বিয়ে করেন হীরা। এরপর হীরাকে নিয়ে মনিরামপুর বাজারে ভাড়া বাসায় ওঠেন মেম্বর।
এর কিছুদিন পর নিজের দুই সন্তানের মায়ায় ও পরিবারের চাপে ১ মাস আগে ইসলামকে তালাক দেন হীরা। এরপর নড়াইলে বাবার বাড়িতে রেখে তাঁকে আবার আগের স্বামী সুমনের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। সন্তানদের মায়ায় সুমনকে বিয়ে করলেও মেম্বরের ওপর টান থাকে হীরার। গত সোমবার (৩ অক্টোবর) নড়াইল শহরে সুমনের ভাড়া বাড়ি ওঠার নাম দিয়ে বাবার বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু তিনি সেখানে না গিয়ে ছোট ছেলেকে (৯) সঙ্গে নিয়ে মনিরামপুরে ইসলামের ভাড়া বাড়িতে আসেন হীরা।
এরপর ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়লে সোমবার রাতে তাঁকে মনিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁরা। পরের দিন মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) আবু তালেবের বাবা সুমন এসে ছেলেকে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। হীরার সঙ্গে সেখানে যান ইসলাম। এরপর বুধবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ছেলেকে নিয়ে নড়াইলে চলে যান সুমন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, এর মধ্যে ইসলামের সঙ্গে হীরার মোবাইলে যোগাযোগ চলতে থাকে। ঘটনার দিন বুধবার বিকেলে হীরাকে নিয়ে যশোর থেকে মনিরামপুর বাজারে আসেন ইসলাম। এরই মধ্যে কোনো এক সময় দোকান থেকে চাকু কিনে সঙ্গে রাখেন মেম্বর। এরপর দুজনে হোটেলে খাবার খেয়ে মনিরামপুরের ভাড়া বাসায় যান। সেখানে কিছুক্ষণ থেকে বুধবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর হীরা নড়াইলে ফিরতে চাইলে মেম্বর সঙ্গে যেতে চান।
মনিরামপুর বাজার থেকে মোটরসাইকেল ভাড়া নিয়ে তাঁরা দুজনে তাতে চড়ে বসেন। পথে জয়নগরে শফিয়ারের কলা খেতের সামনে মোটরসাইকেল থামিয়ে নেমে পড়েন হীরা। মেম্বরকে ছাড়া তিনি একা নড়াইলে যেতে চান। মেম্বর পিছু না ছাড়ায় হীরা আত্মহত্যার হুমকি দেন। একপর্যায়ে মেম্বর হীরাকে মারধর করেন। এ দেখে মোটরসাইকেল চালক চলে যান। তখন ধস্তাধস্তি করতে গিয়ে দুজনে রাস্তার পাশে কলা খেতে নেমে পড়েন। এরপর চাকু বের করে হীরাকে গলায়, বুকে, দুই হাত-পায়ে একাধিক আঘাত করেন ইসলাম।
চাকু মারার ঘটনা টের পেয়ে আশপাশের লোকজন ইসলামকে ধাওয়া করেন। তাড়া খেয়ে তিনি কয়েকটি ধান খেত পেরিয়ে একটি মেহগনী বাগানে চাকু ফেলে দেন। এরপর যশোরে বেজপাড়ায় আত্মীয়র বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে সেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আরও বলেন, হীরা বেগম নড়াইলে গেলে আর ফিরবে না। সন্তানদের নিয়ে প্রথম স্বামী সুমনের সঙ্গে সংসার করবে এমন আশঙ্কায় তাঁকে হত্যা করেছেন ইসলাম গাজী।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২১ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫