পরাগ মাঝি

নিজেদের অস্তিত্বের প্রয়োজনে কখনো কখনো ভয়ঙ্কর খুনেও গোপন মদদ দিয়ে থাকেন রাষ্ট্রপ্রধান বা রাষ্ট্রনায়কেরা। ইতিহাসে তার বহু নজির আছে। আজ থেকে ১৩৬ বছর আগে এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল লন্ডনে। সেই সময়ের মহাপ্রতাপশালী ব্রিটিশ রানি ভিক্টোরিয়ার পরিবারের ষড়যন্ত্রে খুন হয়েছিল এক শিশুসহ অনেক নারী। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই নারীদের সবাই ছিলেন যৌনকর্মী।
রানি ভিক্টোরিয়ার নাতি ছিলেন প্রিন্স আলবার্ট ভেক্টর। রাজপুত বলে কথা—দেখতে যেমন সুদর্শন, চলাফেরায় তেমনি স্মার্ট। সেই অভিজাত যুবকের সঙ্গে গোপন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে হোয়াইট চ্যাপেল এলাকার এক যৌনকর্মীর। সেই সম্পর্ক গভীর হতেই এক কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। রাজপরিবারের ভেতরেও চাউর হয় সেই খবর। রাজপরিবার সিদ্ধান্ত নেয়, যে করেই হোক—দুনিয়া থেকে সব প্রমাণ মুছে ফেলতে হবে। এরপর ভাড়া করা হয় এক ভয়ঙ্কর খুনিকে, যিনি একের পর এক খুন করতে থাকেন। যারা এ ঘটনার ছিটেফোঁটাও জানত, তাদেরও দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে প্রায় সব প্রমাণ মুছে যায়।
কিন্তু সেই যে কথায় আছে—ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। ৮৮ বছর পরে সেই কলে বাতাস লাগে। ব্রিটিশ লেখক স্টিফেন নাইট ১৯৭৬ সালে ‘জ্যাক দ্য রিপার: দ্য ফাইনাল সলিউশন’ নামে একটি বই লেখেন। তাতে তিনি বলেন, নৃশংস এসব হত্যাকাণ্ডের পেছনে ব্রিটিশ রাজপরিবারের হাত ছিল। তাদের গোপন নির্দেশে যৌনকর্মী ও তাঁর শিশুটিকে হত্যা করা হয়। আরও যারা বিষয়টি সম্পর্কে জানত, তাদেরও সরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও স্টিফেনের এই দাবি অনেকে উড়িয়ে দেন।
স্টিফেন নাইট বলেছিলেন, যাঁকে দিয়ে এই খুনগুলো করানো হয়েছিল, তাঁর নাম জ্যাক দ্য রিপার। পৃথিবীর কেউই তাঁকে কখনো খুঁজে পায়নি। কেন খুঁজে পাওয়া যায়নি, সেই রহস্যেরও কোনো কিনারা হয়নি।
জ্যাক দ্য রিপারের প্রথম খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল ১৮৮৮ সালের ৩১ আগস্ট। পূর্ব লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেল এলাকায় তখন মাঝরাত পেরিয়ে গেছে। পথের দুপাশে গড়ে ওঠা পাব, নাইট ক্লাবগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। খদ্দের সামলে সুনসান রাস্তা ধরে একা হেঁটে যাচ্ছিলেন সেই যৌনকর্মী। তাঁর ক্লান্ত পায়ের ছোট ছোট ছাপ আর পাদুকা থেকে ভেসে আসা আওয়াজ রাতের নিস্তব্ধতা ছাপিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু তিনি জানতেন না, আলো-আঁধারি আর কুয়াশার আড়াল থেকে তাঁকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে হেঁটে আসছে আরেকটি ছায়ামূর্তি; শিকার হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় সাবধানী ক্ষুধার্ত এক বাঘ। সারা শরীর ঢেকে রাখা ছায়ামূর্তিটি ঠিক যখন পেছনে চলে এল, তখনই তার অস্তিত্ব টের পেলেন মেয়েটি। ভাবলেন, তবে কি শেষ রাতেও আরেকটি খদ্দের জুটে গেল!
সন্দেহ আর ভয়ে হাঁটা থামিয়ে একবার পেছনে ঘুরে তাকাতেই ছায়ামূর্তির দুই হাত তাঁর গলায় চেপে বসল; নিস্তেজ হয়ে এল শরীর। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন। এরপর সেই অচেতন শরীরের ওপর চেপে বসল ছায়ামূর্তিটি। শরীরের ভাঁজ থেকে বের করে আনল ১২ ইঞ্চি লম্বা একটি ছুরি! রক্তে ভেসে গেল গলিপথ। কয়েক মিনিটের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে এল। তারা মেয়েটির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করল। পরিচয়ও মিলে গেল—মেয়েটি পেশায় যৌনকর্মী।
এরপর এল দ্বিতীয় শিকারের পালা, তারপর তৃতীয়—এভাবে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে কালো ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন জ্যাক দ্য রিপার। বিশ্বজুড়ে পরিচিত হলেন ‘সিরিয়াল কিলার’ নামে। প্রচলিত ছিল, অন্তত পাঁচজন নারী তাঁর শিকারে পরিণত হয়। যদিও কেউ কেউ মনে করেন, রিপারের শিকারে পরিণত হওয়া নারীর সংখ্যা আসলে ১১ জনের বেশি।
জ্যাক দ্য রিপারের শিকারে পরিণত হওয়া প্রথম নারী ছিলেন ম্যারি অ্যান নিকোলস। ১৮৮৮ সালের ৩১ আগস্ট দিবাগত রাত ৩টা ৪০ মিনিটে যখন পুলিশ তাঁর লাশ খুঁজে পায়, তখন ছুরির আঘাতে শরীর এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে গিয়েছিল। গলার মাংসপেশিও ছিল বিচ্ছিন্ন। নির্মমভাবে চিড়ে ফেলা হয়েছিল তাঁর তলপেট থেকে শরীরের নিচের অংশ। নাড়িভুঁড়িও বেরিয়ে এসেছিল। এতগুলো খুনে জ্যাক দ্য রিপার সময় নিয়েছিলেন মাত্র তিন মাস। এর পরই তিনি হাওয়ায় মিশে যান। কেউ তাঁকে আর খুঁজে পায়নি।
জ্যাকের হাতে খুন হওয়া ম্যারি অ্যান নিকোলস ছাড়াও অন্য যাঁদের নাম জানা যায় তাঁরা হলেন: অ্যানি চ্যাপম্যান, এলিজাবেথ স্ট্রাইড, ক্যাথারিন অ্যাডোজ এবং ম্যারি জ্যান ক্যালি। এই নারীদের সবাই ছিলেন যৌনকর্মী। তাঁর সবাই ছিলেন হোয়াইট চ্যাপেল এলাকায়। প্রায় একই রকম পদ্ধতিতে সবাইকে খুন করেছিলেন জ্যাক। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, পুলিশ যখন লাশ খুঁজে পায়, তখন তাঁদের সবার ক্ষেত্রেই শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অঙ্গ ছিল অনুপস্থিত; বিশেষ করে কিডনি ও জরায়ু। কেন সবাইকে এভাবে খুন করা হলো, তা কেউই জানতে পারেনি।
বলার অপেক্ষা রাখে না, ভিক্টোরিয়ান যুগের এই হত্যাকাণ্ডগুলো নিয়ে লন্ডনের মতো বড় শহরে মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। লন্ডনের গণ্ডি পেরিয়ে বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়েছিল সারা দুনিয়ায়। এরপর লোকদেখানো হলেও হত্যাকারীকে ধরার জন্য আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছিল পুলিশ। ‘স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড’ নামে পরিচিত বিশ্বের প্রাচীনতম মেট্রোপলিটন পুলিশের বয়স তখন ৫৯ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু তারাও কোনো কূলকিনারা করতে পারছিল না। সবচেয়ে হতাশাজনক ব্যাপার ছিল, পুলিশ সেই অপরাধীকে কোনো দিন শনাক্তই করতে পারেনি। হত্যাকারীকে চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করতে না পারা নিয়ে লন্ডনের ঘরে ঘরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল।
পাঠক, এটুকু পড়ে আপনি প্রশ্ন করতেই পারেন, জ্যাক দ্য রিপারকে চিহ্নিত করাই না গেল, তাঁর নাম প্রকাশ্যে এল কী করে? এবার সেটা বলি, আসলে সংবাদপত্রের মাধ্যমেই সন্দেহভাজন খুনির নামটি প্রথম চাউর হয়েছিল। শুরুর দিকে সবাই যখন খুনির পরিচয় জানতে উন্মুখ, তখন অনেকে পুলিশ ও সংবাদপত্রের কাছে উড়োচিঠি লিখে নিজেকে খুনি দাবি করতেন। এমনই একজন নিজেকে খুনি দাবি করে একটি পত্রিকার কাছে চিঠি লিখেছিলেন। আর চিঠির নিচে ‘জ্যাক দ্য রিপার’ বলে সই করেন। ওই চিঠিতে হত্যাকাণ্ডের যে বিবরণ ছিল, তার সঙ্গে নামের যথার্থতা পাওয়ায় ‘জ্যাক দ্য রিপার’ নামেই পরিচিতি পান সন্দেহভাজন খুনি। যদিও সেই চিঠি পরে জাল প্রমাণিত হয়েছিল।
১৩৬ বছর আগের সেই ঘটনার কোনো কূলকিনারা না হওয়ায় রহস্য এখনো জীবন্ত। আজকের দিনেও মানুষ জ্যাক দ্য রিপারের পরিচয় খুঁজে বেড়ায়। এ কারণেই হয়তো খুনের প্রায় ১০০ বছর পর মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই জ্যাক দ্য রিপারের একটি মনস্তাত্ত্বিক প্রোফাইল তৈরি করে। যেন তারা সেই সময়ের রেকর্ডগুলো দেখে অপরাধীকে শনাক্ত করতে পারে। ওই সময় খুনের পর জ্যাক দ্য রিপারের প্রকৃত পরিচয় জানতে দুই হাজারের বেশি মানুষকে জেরা করেছিল পুলিশ। সন্দেহের তালিকায় ছিল তিন শতাধিক, আর গ্রেপ্তার হয়েছিল অন্তত ৮০ জন।
জ্যাক দ্য রিপার হিসেবে যাঁকে সবচেয়ে বেশি সন্দেহ করা হয়েছিল, তিনি হলেন ফ্রান্সিস টাম্বলিটি নামের এক আমেরিকান তরুণ। ১৮৮৮ সালের প্রথম হত্যাকাণ্ডটির দুই মাস আগে তিনি ইংল্যান্ডে এসেছিলেন। তাঁর জীবনবৃত্তান্তের সঙ্গে তুলনা করে অনেকেই তাঁকে জ্যাক দ্য রিপার বলে সাব্যস্ত করেন। কারণ, হোয়াইট চ্যাপেলের কাছেই টাম্বলিটি বসবাস করতেন। ওই এলাকা সম্পর্কে তাঁর ভালো জানাশোনাও ছিল। পাশাপাশি একজন চিকিৎসা সহকারী হিসেবেও তিনি প্রশিক্ষিত ছিলেন। মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খুঁজে বের করা এবং সেগুলো দ্রুত অপসারণে বিশেষ দক্ষ ছিলেন তিনি। টাম্বলিটি তাঁর স্ত্রীকে ত্যাগ করেছিলেন। কারণ, তিনি জানতে পেরেছিলেন, তাঁর স্ত্রীও যৌনকর্মী। ফলে নারীদের প্রতি তাঁর প্রবল ঘৃণা ছিল। অনুমান করা হয়, সেই ক্ষোভ থেকেই তিনি প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠেন।
জ্যাক দ্য রিপারকে নিয়ে গল্প, কবিতা আর উপন্যাস কম লেখা হয়নি। তাঁকে নিয়ে সিনেমাও হয়েছে। ২০১৫ সালে জ্যাক দ্য রিপারের নামে একটি জাদুঘর করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র জন বিগস। পরে বিক্ষোভের মুখে সেই চেষ্টা ভেস্তে যায়। ২০০৬ সালে বিবিসির এক ম্যাগাজিনে জ্যাক দ্য রিপারকে ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ মানুষ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, জ্যাক দ্য রিপার আসলে কে ছিলেন, তা খুঁজে বের করার সব প্রমাণই পৃথিবী থেকে মুছে গেছে। সন্দেহভাজন খুনি এবং সাক্ষীদের কেউই আর বেঁচে নেই, যে কারণে জ্যাক দ্য রিপারের আসল পরিচয় কোনো দিনই জানবে না পৃথিবী। নিস্তব্ধ রাতের খুনের মতোই নিভৃতে হারিয়ে গেল ইতিহাসের এক ভয়ঙ্কর সিরিয়াল কিলারের পরিচয়।

নিজেদের অস্তিত্বের প্রয়োজনে কখনো কখনো ভয়ঙ্কর খুনেও গোপন মদদ দিয়ে থাকেন রাষ্ট্রপ্রধান বা রাষ্ট্রনায়কেরা। ইতিহাসে তার বহু নজির আছে। আজ থেকে ১৩৬ বছর আগে এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল লন্ডনে। সেই সময়ের মহাপ্রতাপশালী ব্রিটিশ রানি ভিক্টোরিয়ার পরিবারের ষড়যন্ত্রে খুন হয়েছিল এক শিশুসহ অনেক নারী। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই নারীদের সবাই ছিলেন যৌনকর্মী।
রানি ভিক্টোরিয়ার নাতি ছিলেন প্রিন্স আলবার্ট ভেক্টর। রাজপুত বলে কথা—দেখতে যেমন সুদর্শন, চলাফেরায় তেমনি স্মার্ট। সেই অভিজাত যুবকের সঙ্গে গোপন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে হোয়াইট চ্যাপেল এলাকার এক যৌনকর্মীর। সেই সম্পর্ক গভীর হতেই এক কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। রাজপরিবারের ভেতরেও চাউর হয় সেই খবর। রাজপরিবার সিদ্ধান্ত নেয়, যে করেই হোক—দুনিয়া থেকে সব প্রমাণ মুছে ফেলতে হবে। এরপর ভাড়া করা হয় এক ভয়ঙ্কর খুনিকে, যিনি একের পর এক খুন করতে থাকেন। যারা এ ঘটনার ছিটেফোঁটাও জানত, তাদেরও দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে প্রায় সব প্রমাণ মুছে যায়।
কিন্তু সেই যে কথায় আছে—ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। ৮৮ বছর পরে সেই কলে বাতাস লাগে। ব্রিটিশ লেখক স্টিফেন নাইট ১৯৭৬ সালে ‘জ্যাক দ্য রিপার: দ্য ফাইনাল সলিউশন’ নামে একটি বই লেখেন। তাতে তিনি বলেন, নৃশংস এসব হত্যাকাণ্ডের পেছনে ব্রিটিশ রাজপরিবারের হাত ছিল। তাদের গোপন নির্দেশে যৌনকর্মী ও তাঁর শিশুটিকে হত্যা করা হয়। আরও যারা বিষয়টি সম্পর্কে জানত, তাদেরও সরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও স্টিফেনের এই দাবি অনেকে উড়িয়ে দেন।
স্টিফেন নাইট বলেছিলেন, যাঁকে দিয়ে এই খুনগুলো করানো হয়েছিল, তাঁর নাম জ্যাক দ্য রিপার। পৃথিবীর কেউই তাঁকে কখনো খুঁজে পায়নি। কেন খুঁজে পাওয়া যায়নি, সেই রহস্যেরও কোনো কিনারা হয়নি।
জ্যাক দ্য রিপারের প্রথম খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল ১৮৮৮ সালের ৩১ আগস্ট। পূর্ব লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেল এলাকায় তখন মাঝরাত পেরিয়ে গেছে। পথের দুপাশে গড়ে ওঠা পাব, নাইট ক্লাবগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। খদ্দের সামলে সুনসান রাস্তা ধরে একা হেঁটে যাচ্ছিলেন সেই যৌনকর্মী। তাঁর ক্লান্ত পায়ের ছোট ছোট ছাপ আর পাদুকা থেকে ভেসে আসা আওয়াজ রাতের নিস্তব্ধতা ছাপিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু তিনি জানতেন না, আলো-আঁধারি আর কুয়াশার আড়াল থেকে তাঁকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে হেঁটে আসছে আরেকটি ছায়ামূর্তি; শিকার হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় সাবধানী ক্ষুধার্ত এক বাঘ। সারা শরীর ঢেকে রাখা ছায়ামূর্তিটি ঠিক যখন পেছনে চলে এল, তখনই তার অস্তিত্ব টের পেলেন মেয়েটি। ভাবলেন, তবে কি শেষ রাতেও আরেকটি খদ্দের জুটে গেল!
সন্দেহ আর ভয়ে হাঁটা থামিয়ে একবার পেছনে ঘুরে তাকাতেই ছায়ামূর্তির দুই হাত তাঁর গলায় চেপে বসল; নিস্তেজ হয়ে এল শরীর। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন। এরপর সেই অচেতন শরীরের ওপর চেপে বসল ছায়ামূর্তিটি। শরীরের ভাঁজ থেকে বের করে আনল ১২ ইঞ্চি লম্বা একটি ছুরি! রক্তে ভেসে গেল গলিপথ। কয়েক মিনিটের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে এল। তারা মেয়েটির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করল। পরিচয়ও মিলে গেল—মেয়েটি পেশায় যৌনকর্মী।
এরপর এল দ্বিতীয় শিকারের পালা, তারপর তৃতীয়—এভাবে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে কালো ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন জ্যাক দ্য রিপার। বিশ্বজুড়ে পরিচিত হলেন ‘সিরিয়াল কিলার’ নামে। প্রচলিত ছিল, অন্তত পাঁচজন নারী তাঁর শিকারে পরিণত হয়। যদিও কেউ কেউ মনে করেন, রিপারের শিকারে পরিণত হওয়া নারীর সংখ্যা আসলে ১১ জনের বেশি।
জ্যাক দ্য রিপারের শিকারে পরিণত হওয়া প্রথম নারী ছিলেন ম্যারি অ্যান নিকোলস। ১৮৮৮ সালের ৩১ আগস্ট দিবাগত রাত ৩টা ৪০ মিনিটে যখন পুলিশ তাঁর লাশ খুঁজে পায়, তখন ছুরির আঘাতে শরীর এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে গিয়েছিল। গলার মাংসপেশিও ছিল বিচ্ছিন্ন। নির্মমভাবে চিড়ে ফেলা হয়েছিল তাঁর তলপেট থেকে শরীরের নিচের অংশ। নাড়িভুঁড়িও বেরিয়ে এসেছিল। এতগুলো খুনে জ্যাক দ্য রিপার সময় নিয়েছিলেন মাত্র তিন মাস। এর পরই তিনি হাওয়ায় মিশে যান। কেউ তাঁকে আর খুঁজে পায়নি।
জ্যাকের হাতে খুন হওয়া ম্যারি অ্যান নিকোলস ছাড়াও অন্য যাঁদের নাম জানা যায় তাঁরা হলেন: অ্যানি চ্যাপম্যান, এলিজাবেথ স্ট্রাইড, ক্যাথারিন অ্যাডোজ এবং ম্যারি জ্যান ক্যালি। এই নারীদের সবাই ছিলেন যৌনকর্মী। তাঁর সবাই ছিলেন হোয়াইট চ্যাপেল এলাকায়। প্রায় একই রকম পদ্ধতিতে সবাইকে খুন করেছিলেন জ্যাক। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, পুলিশ যখন লাশ খুঁজে পায়, তখন তাঁদের সবার ক্ষেত্রেই শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অঙ্গ ছিল অনুপস্থিত; বিশেষ করে কিডনি ও জরায়ু। কেন সবাইকে এভাবে খুন করা হলো, তা কেউই জানতে পারেনি।
বলার অপেক্ষা রাখে না, ভিক্টোরিয়ান যুগের এই হত্যাকাণ্ডগুলো নিয়ে লন্ডনের মতো বড় শহরে মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। লন্ডনের গণ্ডি পেরিয়ে বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়েছিল সারা দুনিয়ায়। এরপর লোকদেখানো হলেও হত্যাকারীকে ধরার জন্য আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছিল পুলিশ। ‘স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড’ নামে পরিচিত বিশ্বের প্রাচীনতম মেট্রোপলিটন পুলিশের বয়স তখন ৫৯ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু তারাও কোনো কূলকিনারা করতে পারছিল না। সবচেয়ে হতাশাজনক ব্যাপার ছিল, পুলিশ সেই অপরাধীকে কোনো দিন শনাক্তই করতে পারেনি। হত্যাকারীকে চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করতে না পারা নিয়ে লন্ডনের ঘরে ঘরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল।
পাঠক, এটুকু পড়ে আপনি প্রশ্ন করতেই পারেন, জ্যাক দ্য রিপারকে চিহ্নিত করাই না গেল, তাঁর নাম প্রকাশ্যে এল কী করে? এবার সেটা বলি, আসলে সংবাদপত্রের মাধ্যমেই সন্দেহভাজন খুনির নামটি প্রথম চাউর হয়েছিল। শুরুর দিকে সবাই যখন খুনির পরিচয় জানতে উন্মুখ, তখন অনেকে পুলিশ ও সংবাদপত্রের কাছে উড়োচিঠি লিখে নিজেকে খুনি দাবি করতেন। এমনই একজন নিজেকে খুনি দাবি করে একটি পত্রিকার কাছে চিঠি লিখেছিলেন। আর চিঠির নিচে ‘জ্যাক দ্য রিপার’ বলে সই করেন। ওই চিঠিতে হত্যাকাণ্ডের যে বিবরণ ছিল, তার সঙ্গে নামের যথার্থতা পাওয়ায় ‘জ্যাক দ্য রিপার’ নামেই পরিচিতি পান সন্দেহভাজন খুনি। যদিও সেই চিঠি পরে জাল প্রমাণিত হয়েছিল।
১৩৬ বছর আগের সেই ঘটনার কোনো কূলকিনারা না হওয়ায় রহস্য এখনো জীবন্ত। আজকের দিনেও মানুষ জ্যাক দ্য রিপারের পরিচয় খুঁজে বেড়ায়। এ কারণেই হয়তো খুনের প্রায় ১০০ বছর পর মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই জ্যাক দ্য রিপারের একটি মনস্তাত্ত্বিক প্রোফাইল তৈরি করে। যেন তারা সেই সময়ের রেকর্ডগুলো দেখে অপরাধীকে শনাক্ত করতে পারে। ওই সময় খুনের পর জ্যাক দ্য রিপারের প্রকৃত পরিচয় জানতে দুই হাজারের বেশি মানুষকে জেরা করেছিল পুলিশ। সন্দেহের তালিকায় ছিল তিন শতাধিক, আর গ্রেপ্তার হয়েছিল অন্তত ৮০ জন।
জ্যাক দ্য রিপার হিসেবে যাঁকে সবচেয়ে বেশি সন্দেহ করা হয়েছিল, তিনি হলেন ফ্রান্সিস টাম্বলিটি নামের এক আমেরিকান তরুণ। ১৮৮৮ সালের প্রথম হত্যাকাণ্ডটির দুই মাস আগে তিনি ইংল্যান্ডে এসেছিলেন। তাঁর জীবনবৃত্তান্তের সঙ্গে তুলনা করে অনেকেই তাঁকে জ্যাক দ্য রিপার বলে সাব্যস্ত করেন। কারণ, হোয়াইট চ্যাপেলের কাছেই টাম্বলিটি বসবাস করতেন। ওই এলাকা সম্পর্কে তাঁর ভালো জানাশোনাও ছিল। পাশাপাশি একজন চিকিৎসা সহকারী হিসেবেও তিনি প্রশিক্ষিত ছিলেন। মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খুঁজে বের করা এবং সেগুলো দ্রুত অপসারণে বিশেষ দক্ষ ছিলেন তিনি। টাম্বলিটি তাঁর স্ত্রীকে ত্যাগ করেছিলেন। কারণ, তিনি জানতে পেরেছিলেন, তাঁর স্ত্রীও যৌনকর্মী। ফলে নারীদের প্রতি তাঁর প্রবল ঘৃণা ছিল। অনুমান করা হয়, সেই ক্ষোভ থেকেই তিনি প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠেন।
জ্যাক দ্য রিপারকে নিয়ে গল্প, কবিতা আর উপন্যাস কম লেখা হয়নি। তাঁকে নিয়ে সিনেমাও হয়েছে। ২০১৫ সালে জ্যাক দ্য রিপারের নামে একটি জাদুঘর করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র জন বিগস। পরে বিক্ষোভের মুখে সেই চেষ্টা ভেস্তে যায়। ২০০৬ সালে বিবিসির এক ম্যাগাজিনে জ্যাক দ্য রিপারকে ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ মানুষ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, জ্যাক দ্য রিপার আসলে কে ছিলেন, তা খুঁজে বের করার সব প্রমাণই পৃথিবী থেকে মুছে গেছে। সন্দেহভাজন খুনি এবং সাক্ষীদের কেউই আর বেঁচে নেই, যে কারণে জ্যাক দ্য রিপারের আসল পরিচয় কোনো দিনই জানবে না পৃথিবী। নিস্তব্ধ রাতের খুনের মতোই নিভৃতে হারিয়ে গেল ইতিহাসের এক ভয়ঙ্কর সিরিয়াল কিলারের পরিচয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৭ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৭ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২০ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

নিজেদের অস্তিত্বের প্রয়োজনে কখনো কখনো ভয়ংকর খুনেও গোপন মদদ দিয়ে থাকেন রাষ্ট্রপ্রধান বা রাষ্ট্রনায়কেরা। ইতিহাসে তার বহু নজির আছে। আজ থেকে ১৩৬ বছর আগে এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল লন্ডনে। সে সময়ের মহাপ্রতাপশালী ব্রিটিশ রানি ভিক্টোরিয়ার পরিবারের ষড়যন্ত্রে খুন হয়েছিলেন এক শিশুসহ অনেক নারী। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই
১৪ জুন ২০২৪
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৭ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২০ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

নিজেদের অস্তিত্বের প্রয়োজনে কখনো কখনো ভয়ংকর খুনেও গোপন মদদ দিয়ে থাকেন রাষ্ট্রপ্রধান বা রাষ্ট্রনায়কেরা। ইতিহাসে তার বহু নজির আছে। আজ থেকে ১৩৬ বছর আগে এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল লন্ডনে। সে সময়ের মহাপ্রতাপশালী ব্রিটিশ রানি ভিক্টোরিয়ার পরিবারের ষড়যন্ত্রে খুন হয়েছিলেন এক শিশুসহ অনেক নারী। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই
১৪ জুন ২০২৪
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৭ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২০ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

নিজেদের অস্তিত্বের প্রয়োজনে কখনো কখনো ভয়ংকর খুনেও গোপন মদদ দিয়ে থাকেন রাষ্ট্রপ্রধান বা রাষ্ট্রনায়কেরা। ইতিহাসে তার বহু নজির আছে। আজ থেকে ১৩৬ বছর আগে এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল লন্ডনে। সে সময়ের মহাপ্রতাপশালী ব্রিটিশ রানি ভিক্টোরিয়ার পরিবারের ষড়যন্ত্রে খুন হয়েছিলেন এক শিশুসহ অনেক নারী। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই
১৪ জুন ২০২৪
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৭ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

নিজেদের অস্তিত্বের প্রয়োজনে কখনো কখনো ভয়ংকর খুনেও গোপন মদদ দিয়ে থাকেন রাষ্ট্রপ্রধান বা রাষ্ট্রনায়কেরা। ইতিহাসে তার বহু নজির আছে। আজ থেকে ১৩৬ বছর আগে এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল লন্ডনে। সে সময়ের মহাপ্রতাপশালী ব্রিটিশ রানি ভিক্টোরিয়ার পরিবারের ষড়যন্ত্রে খুন হয়েছিলেন এক শিশুসহ অনেক নারী। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই
১৪ জুন ২০২৪
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৭ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৭ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২০ দিন আগে