Ajker Patrika

তিন মাস পরপর বাসার সঙ্গে পাল্টাতেন মোবাইল নম্বরও

নিজস্ব প্রতিবেদক
তিন মাস পরপর বাসার সঙ্গে পাল্টাতেন মোবাইল নম্বরও

ঢাকা: ২০০২ সালে 'আইডিয়াল কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড' নামে একটি সমবায় সমিতি চালু করেন সফিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। নিজে বসেন সমিতির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে। পরিবারের অন্য সদস্যদের বসান পরিচালকসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে।

সমবায় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি লোকজনের কাছ থেকে ‘হাজার হাজার কোটি টাকা’ সংগ্রহ করেন এবং ‘প্রতারণার মাধ্যমে তা হাতিয়ে নিয়ে’ আইসিএল রিয়েল এস্টেট' নামে নতুন একটি আবাসন প্রতিষ্ঠান খুলে ব্যবসা শুরু করেন।

রিয়েল এস্টেট ব্যবসাতেও তিনি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। পরে ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন থানায় এবং আদালতে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করতে শুরু করেন। তারপরই সফিকুর ও তাঁর স্ত্রী আত্মগোপনে চলে যান।

সমবায় ও আবাসন ব্যবসায় প্রতারণার মাধ্যমে ‘কোটি কোটি টাকা’ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৪। এ বিষয়ে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এইচএনএম সফিকুর রহমান (৫৯) এবং তাঁর স্ত্রী কাজী সামছুল নাহার মিনা (৫৪) কে রাজধানীর বাংলামোটর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব-৪ এর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সফিকুর ও তাঁর স্ত্রীর নামে দেশের বিভিন্ন থানার মোট ২২টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এর মধ্যে কোনো কোনো মামলায় আদালতে তাদের সাজার রায় হয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে প্রতি দুই তিন মাস অন্তর তাঁরা বাসা পাল্টানোর পাশাপাশি ক্রমাগত মোবাইল নম্বরও পরিবর্তন করছিলেন।

র‍্যাবের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দুজনই অভিযোগের ‘সত্যতা স্বীকার করেছেন’। ইতিমধ্যে তাদেরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় মিলেছে

বুড়িগঙ্গা থেকে তরুণ-তরুণীর হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাইরান কাজীর বিষয়ে ইলন মাস্কের মন্তব্যে বিস্ময়

অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তাকে আটকের দাবি বিএসএফের

অমীমাংসিত বিষয় সমাধানে পাকিস্তানের দাবি নাকচ করল সরকার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত