তালাবদ্ধ নির্জন বাড়ি, ঘরে খাটের ওপর মা ও শিশুসন্তানের নিথর দেহ লেপ দিয়ে ঢাকা। পাশেই পড়ে ছিল কয়েকটি বিরিয়ানির প্যাকেট। কয়েকদিন ধরেই তাঁদের খোঁজ মিলছিল না। আজ শনিবার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকলে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
আজ শনিবার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কেওয়া পশ্চিমখণ্ড এলাকার বাড়ি থেকে মা ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামীকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
ওই গৃহবধূর নাম রুবিনা (২২)। তাঁর স্বামী ঝুমনের (২৬) বাড়ি মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরে। শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়নের রঙিলা বাজার এলাকায় একটি ওয়ার্কশপে কাজ করেন। রুবিনার বাবার নাম মো. সিরাজ মিয়া। রুবিনা বাবার বাড়িতে জমি কিনে ঘর তুলে থাকতেন। রুবিনার একমাত্র সন্তান জিহাদ (৬)।
রুবিনার বাবা সিরাজ মিয়া বলেন, ‘তিন দিন ধরে আমার মেয়ে রুবিনার বাড়ির মূল ফটকে তালা। তালাবদ্ধ করে কোথাও চলে গেছে ভেবে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি শুরু করি। কোনো সন্ধান না পেয়ে আমার বড় মেয়ে সেলিনাকে বাড়ির মূল দরজার তালা ভেঙে দেখতে বলি। আজ আমার বড় মেয়েসহ কয়েকজন মিলে বাড়ির মূল দরজার তালা ভেঙে ঘর তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। এরপর ঘরের তালা ভেঙে আমার মেয়ে রুবিনা ও নাতি রিয়াদের মরদেহ দেখতে পাই।’
রুবিনার বোন সেলিনা বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমার বোনের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি করে তার স্বামী চলে যায়। দু’দিন পর রাতে বাড়িতে ফিরে আসে বলে জানিয়েছে আমার বোন। ধারণা করা হচ্ছে, আমার বোনকে তার স্বামীই হত্যা করেছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা নবী হোসেন বলেন, ‘নিহতের বাড়ি চারদিন ধরে তালাবদ্ধ, মা ও ছেলে নিখোঁজ। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে স্বজনদের সন্দেহ হলে বাড়ির দরজার তালা ভেঙে দেখা যায় ঘরও বাইরে থেকে তালাবদ্ধ। এরপর তালা ভেঙে ঢুকে দেখা যায় মেঝেতে পড়ে আছে দু’টি মরদেহ।’
শ্রীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিল আলী আসগর বলেন, ‘মা–ছেলের মরদেহের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছে।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘মরদেহের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যা বা আত্মহত্যা হতে পারে। মরদেহের পাশে খালি ও ইনটেক কয়েকটি বিরিয়ানির প্যাকেট ছিল। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে রহস্য উদঘাটন করা হবে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।’
গাজীপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর সার্কেল) মো. আজমির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহতের স্বামী ঝুমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার কারণ এখনো অস্পষ্ট। জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য মা ও শিশুর মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
তালাবদ্ধ নির্জন বাড়ি, ঘরে খাটের ওপর মা ও শিশুসন্তানের নিথর দেহ লেপ দিয়ে ঢাকা। পাশেই পড়ে ছিল কয়েকটি বিরিয়ানির প্যাকেট। কয়েকদিন ধরেই তাঁদের খোঁজ মিলছিল না। আজ শনিবার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকলে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
আজ শনিবার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কেওয়া পশ্চিমখণ্ড এলাকার বাড়ি থেকে মা ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামীকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
ওই গৃহবধূর নাম রুবিনা (২২)। তাঁর স্বামী ঝুমনের (২৬) বাড়ি মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরে। শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়নের রঙিলা বাজার এলাকায় একটি ওয়ার্কশপে কাজ করেন। রুবিনার বাবার নাম মো. সিরাজ মিয়া। রুবিনা বাবার বাড়িতে জমি কিনে ঘর তুলে থাকতেন। রুবিনার একমাত্র সন্তান জিহাদ (৬)।
রুবিনার বাবা সিরাজ মিয়া বলেন, ‘তিন দিন ধরে আমার মেয়ে রুবিনার বাড়ির মূল ফটকে তালা। তালাবদ্ধ করে কোথাও চলে গেছে ভেবে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি শুরু করি। কোনো সন্ধান না পেয়ে আমার বড় মেয়ে সেলিনাকে বাড়ির মূল দরজার তালা ভেঙে দেখতে বলি। আজ আমার বড় মেয়েসহ কয়েকজন মিলে বাড়ির মূল দরজার তালা ভেঙে ঘর তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। এরপর ঘরের তালা ভেঙে আমার মেয়ে রুবিনা ও নাতি রিয়াদের মরদেহ দেখতে পাই।’
রুবিনার বোন সেলিনা বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমার বোনের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি করে তার স্বামী চলে যায়। দু’দিন পর রাতে বাড়িতে ফিরে আসে বলে জানিয়েছে আমার বোন। ধারণা করা হচ্ছে, আমার বোনকে তার স্বামীই হত্যা করেছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা নবী হোসেন বলেন, ‘নিহতের বাড়ি চারদিন ধরে তালাবদ্ধ, মা ও ছেলে নিখোঁজ। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে স্বজনদের সন্দেহ হলে বাড়ির দরজার তালা ভেঙে দেখা যায় ঘরও বাইরে থেকে তালাবদ্ধ। এরপর তালা ভেঙে ঢুকে দেখা যায় মেঝেতে পড়ে আছে দু’টি মরদেহ।’
শ্রীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিল আলী আসগর বলেন, ‘মা–ছেলের মরদেহের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছে।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘মরদেহের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যা বা আত্মহত্যা হতে পারে। মরদেহের পাশে খালি ও ইনটেক কয়েকটি বিরিয়ানির প্যাকেট ছিল। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে রহস্য উদঘাটন করা হবে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।’
গাজীপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর সার্কেল) মো. আজমির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহতের স্বামী ঝুমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার কারণ এখনো অস্পষ্ট। জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য মা ও শিশুর মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ জুলাই ২০২৫সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫