Ajker Patrika

নিরুদ্দেশ হওয়া ৩৮ জন অস্ত্র–বোমার প্রশিক্ষণ নিয়েছে: র‍্যাব 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২২, ১৩: ৪৫
নিরুদ্দেশ হওয়া ৩৮ জন অস্ত্র–বোমার প্রশিক্ষণ নিয়েছে: র‍্যাব 

দেশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে নব্য জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া অথবা পূর্বাঞ্চলীয় হিন্দের জামাতুল আনসার নামের জঙ্গি কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার জন্য বাড়ি ছেড়ে ৫৫ জন। কথিত হিজরতের উদ্দেশ্য বাড়ি ছেড়ে নিরুদ্দেশ হওয়া এই ৫৫ জনের মধ্যে ৩৮ জনের নাম পরিচয় চিহ্নিত করেছে র‍্যাব। তারা দুই মাস থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর নিরুদ্দেশ বা কথিত হিজরতের নামে ঘর ছেড়েছেন।

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির অন্যতম সংগঠক ও সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

র‍্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‍্যাব-১০ এর যৌথ অভিযানে যাত্রাবাড়ী ও কেরানীগঞ্জ থেকে শাহ মো. হাবিবুল্লাহ ওরফে হাবিব (৩২), নেয়ামত উল্লাহ (৪৩), মো. হোসাইন (২২), রাকিব হাসনাত ওরফে নিলয় (২৮) ও মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে রনি ওরফে জায়দ চৌধুরীকে (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়।

খন্দকার আল মঈন জানান, দীর্ঘদিন ধরে নিরুদ্দেশ হওয়া তরুণদের বিষয় খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেছে-পরিবারের কাছে তাদের ‘কথিত হিজরত’ এর সঠিক তথ্য নেই। নিখোঁজ তরুণদের বেশ কয়েকজনের পরিবার বলছে, নিরুদ্দেশ হওয়া তরুণেরা বিদেশে অবস্থান করছে। কয়েকমাস পর যোগাযোগ করছে। এমনকি তারা অর্থ পাঠাচ্ছে। আবার অনেক পরিবার বলছে, তাদের সন্তান তাবলিগ জামাতে গেছে।’

সম্প্রতি গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে খন্দকার মঈন বলেন, ‘র‍্যাবের গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে নিরুদ্দেশ হওয়া ৫৫ জনের মধ্যে ৩৮ জন পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকায় অবস্থান করছে। তারা অস্ত্র পরিচালনাসহ বোমা বিস্ফোরণের প্রশিক্ষণ নিয়েছে। তবে তাদের নির্দিষ্ট স্থানের বিষয় এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি র‍্যাব।’

র‍্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘কথিত এই জঙ্গি সংগঠনটি আনসার আল ইসলাম, হুজিসহ বিভিন্ন সংগঠন থেকে বের হয়ে আসা সদস্যদের ভিড়িয়েছে। এ ক্ষেত্রে তারা নতুন সদস্যদের বলছে, পূর্বের জঙ্গি সংগঠনের চেয়ে তারা শক্তিশালী। পাশাপাশি নিজেদের কর্মীদের সমস্যায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এমনকি পরিবারের সমস্যায়ও তারা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।’

index

নিরুদ্দেশ হওয়া তরুণদের মধ্যে কুমিল্লার ১৫ জন, সিলেটের ৭ জন, পটুয়াখালীর ৬ জন, ঢাকার ৪ জন, নারায়ণগঞ্জের ৪ জন, বরিশালের ৩ জন, ফরিদপুরের ২ জন, মাদারীপুরের ২ জন, ঝালকাঠির ২ জন এবং নেত্রকোনা, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ময়মনসিংহ, মাগুরা, সুনামগঞ্জ, খুলনা, চাঁদপুর, ঝিনাইদহ ও টাঙ্গাইলের ১ জন করে আছেন। 

জঙ্গি সংগঠনটির মানহাজ বা কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে র‍্যাব জানতে পেরেছে, তারা তরুণদের টার্গেট করে দলে ভেরাচ্ছে। গ্রেপ্তার হাবিবুল্লাহ কুমিল্লার একটি মসজিদের ইমাম হিসেবে নামাজ পড়াত ও মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করাত। এ ছাড়া নাইক্ষ্যংছড়িতে একটি মাদ্রাসা পরিচালনা করত। এই মাদ্রাসায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যাওয়া সংগঠনটির অনেক সদস্য অবস্থান করত। হাবিবুল্লাহ সংগঠনের অন্যতম অর্থ সরবরাহকারী। সে মাদ্রাসার নামে চাঁদা আদায় করে মাদ্রাসার আড়ালে জঙ্গি সংগঠনের পেছনে ব্যয় করত। 

কুমিল্লা থেকে নিরুদ্দেশ হওয়া সাতজন তরুণকে এই হাবিবুল্লাই সমাজ ও দেশের সংস্কৃতির নানা দিক অপব্যাখ্যা দিয়ে বিচ্ছিন্ন করেছে। তাদের নিয়ে বৈঠক করেছে। এই বৈঠকে পাশের দেশে মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের বিভিন্ন ভিডিও তথ্য দেখিয়ে মোটিভেট করে। পরবর্তীতে ফাহিমের মাধ্যমে গত ১৬ আগস্ট বাসা থেকে বের হয়ে হিজরতে নির্দেশ দেয়। 

গ্রেপ্তার হওয়া নেয়ামুতুল্লাহর মাধ্যমে ২০১৯ সালে এই সংগঠনে যুক্ত হয় হাবিবুল্লাহ। ২০২০ সাল থেকে নাইক্ষ্যংছড়িতে থাকা মাদ্রাসাটি পরিচালনা করে আসছে সে। কুমিল্লায় সংগঠনের তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব পালন করত। কুমিল্লার একটি মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষকতার পাশাপাশি সদস্য সংগ্রহের কাজ করত। এমনকি বেশ কয়েকজন সদস্যকে নিজের কাছে রেখেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফোন-ইন্টারনেট ভাতা পাচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের সব কর্মচারী

ভাড়া বাড়িতে চলা ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

পিপির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ৪৯ জন সহকারী পিপির

জোবাইদার নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের

শান্ত যে কারণে টি-টোয়েন্টি দলে, মিরাজ কেন নেই

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত