কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আটক হওয়া ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) সামরিক শাখার নেতা রঞ্জন চৌধুরী (৫৮) ও তাঁর বাংলাদেশের সহযোগী প্রদীপ মারাককে (৬৮) দশ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের একটি আদালত।
আজ বুধবার বিকেলে আসামিদের উপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. কামাল হোসেন বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে এ রায় দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৭ জুলাই উলফার ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা মেজর রঞ্জন ও প্রদীপ মারাক কিশোরগঞ্জে গ্রেপ্তার হন। ওই দিন ভোর পৌনে ৫টার দিকে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের একটি দল ভৈরব পৌরসভার লক্ষ্মীপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশের একটি বেসরকারি হাসপাতালের সামনে থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে চারটি গুলি, একটি বিদেশি রিভলবার, একটি নাইন এমএম পিস্তল, চারটি হাতবোমা ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
ভৈরব র্যাব ক্যাম্পের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) করিম উল্লাহ ওই দিনই অস্ত্র, বিস্ফোরক, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রঞ্জন ও প্রদীপের বিরুদ্ধে চারটি মামলা দায়ের করেন। আটকের পরপরই তাঁদের ঢাকার র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানে মেজর রঞ্জন নিজেকে উলফা নেতা হিসেবে স্বীকার করেন।
তদন্ত শেষে র্যাবের এসআই মো. আব্দুর রাজ্জাক ২০১০ সালের ২৯ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. কামাল হোসেন এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আবু সাঈদ ইমাম এবং আসামিপক্ষে মিজানুর রহমান মামলাটি পরিচালনা করেন।
উল্লেখ্য, রঞ্জন চৌধুরী ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবড়া জেলার গৌরীপুর থানার মধু শোলমারি গ্রামের মৃত মধুসূদন রায়ের ছেলে। ১৯৯৫ সালে নিজের দেশে এক বছর কারাভোগ শেষে তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। উলফার সামরিক প্রধান পরেশ বড়ুয়ার নির্দেশনা অনুযায়ী শেরপুরের ঝিনাইগাতীর গজনীতে বসত গড়ে ১৯৯৭ সাল থেকে উলফার কার্যক্রম শুরু করেন। গজনীতে কাজ করার সময় ২০০১ সালে তিনি স্থানীয় নারী সাবিত্রি ধ্রুমকে বিয়ে করেন। রঞ্জন উলফার তিনটি ব্যাটালিয়নের কমান্ডার ছিলেন।
রঞ্জনের সহযোগী স্থানীয় বাসিন্দা প্রদীপ মারাক ঝিনাইগাতী উপজেলার বাকাকুড়া গ্রামের আরত সাংমার ছেলে। তিনি শেরপুরে একটি বেসরকারি সংস্থায় (এনজিও) চাকরি করতেন। পরে তিনি রঞ্জনের সহযোগী হিসেবে উলফার কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আটক হওয়া ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) সামরিক শাখার নেতা রঞ্জন চৌধুরী (৫৮) ও তাঁর বাংলাদেশের সহযোগী প্রদীপ মারাককে (৬৮) দশ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের একটি আদালত।
আজ বুধবার বিকেলে আসামিদের উপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. কামাল হোসেন বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে এ রায় দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৭ জুলাই উলফার ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা মেজর রঞ্জন ও প্রদীপ মারাক কিশোরগঞ্জে গ্রেপ্তার হন। ওই দিন ভোর পৌনে ৫টার দিকে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের একটি দল ভৈরব পৌরসভার লক্ষ্মীপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশের একটি বেসরকারি হাসপাতালের সামনে থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে চারটি গুলি, একটি বিদেশি রিভলবার, একটি নাইন এমএম পিস্তল, চারটি হাতবোমা ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
ভৈরব র্যাব ক্যাম্পের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) করিম উল্লাহ ওই দিনই অস্ত্র, বিস্ফোরক, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রঞ্জন ও প্রদীপের বিরুদ্ধে চারটি মামলা দায়ের করেন। আটকের পরপরই তাঁদের ঢাকার র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানে মেজর রঞ্জন নিজেকে উলফা নেতা হিসেবে স্বীকার করেন।
তদন্ত শেষে র্যাবের এসআই মো. আব্দুর রাজ্জাক ২০১০ সালের ২৯ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. কামাল হোসেন এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আবু সাঈদ ইমাম এবং আসামিপক্ষে মিজানুর রহমান মামলাটি পরিচালনা করেন।
উল্লেখ্য, রঞ্জন চৌধুরী ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবড়া জেলার গৌরীপুর থানার মধু শোলমারি গ্রামের মৃত মধুসূদন রায়ের ছেলে। ১৯৯৫ সালে নিজের দেশে এক বছর কারাভোগ শেষে তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। উলফার সামরিক প্রধান পরেশ বড়ুয়ার নির্দেশনা অনুযায়ী শেরপুরের ঝিনাইগাতীর গজনীতে বসত গড়ে ১৯৯৭ সাল থেকে উলফার কার্যক্রম শুরু করেন। গজনীতে কাজ করার সময় ২০০১ সালে তিনি স্থানীয় নারী সাবিত্রি ধ্রুমকে বিয়ে করেন। রঞ্জন উলফার তিনটি ব্যাটালিয়নের কমান্ডার ছিলেন।
রঞ্জনের সহযোগী স্থানীয় বাসিন্দা প্রদীপ মারাক ঝিনাইগাতী উপজেলার বাকাকুড়া গ্রামের আরত সাংমার ছেলে। তিনি শেরপুরে একটি বেসরকারি সংস্থায় (এনজিও) চাকরি করতেন। পরে তিনি রঞ্জনের সহযোগী হিসেবে উলফার কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ জুলাই ২০২৫সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫