প্রতিনিধি, রাজৈর (মাদারীপুর)
ভুক্তভোগী হাজি খলিল মিয়া মৃত নূর উদ্দিন শেখের মেজো ছেলে। অভিযুক্তরা হলেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী হায়াতন (৫০), দুই ছেলে নাজমুল মিয়া (২৮) ও আসিফ মিয়া, দুই মেয়ে রাবেয়া বেগম (২৫) ও মাহামুদা আক্তার (২২)।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, হাজি খলিল মিয়া দীর্ঘ ১২ বছর প্রবাসে ছিলেন। প্রবাস থেকে তিন বছর আগে দেশে আসেন। এরপর তাঁর টাকাপয়সার হিসাব চান। তখন থেকে তাঁর ওপর চলে অমানবিক নির্যাতন। গত শুক্রবার খলিল মিয়ার হাত–পা বেঁধে নির্যাতন করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় বৌলগ্রামসহ এলাকার সচেতন মহল এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
৫৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, খলিল মিয়ার স্ত্রী ও সন্তানেরা তাঁর হাত–পা বেঁধে তাঁকে নির্যাতন করছেন। এ সময় চিৎকার করে ময়না ও খোদে নামের দুজনকে ডাকছেন এবং তাঁকে রক্ষা করার জন্য বলছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভিডিও ধারণকারী বলেন, ‘আমি বাড়ীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন আমার বড় চাচা খলিল শেখের কান্না-কাটির শব্দ পাই। পরে জানলা দিয়ে দেখি তাঁকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করা হচ্ছে। পরে ভিডিওটি মোবাইলে তুলি। এরপর আমাদের বাড়ির অন্য লোকদের ডেকে আনার পরে আর চাচাকে দেখতে পাইনি।’
এলাকাবাসীর দাবি, খলিল মিয়া সম্পূর্ণরূপে একজন সুস্থ ও ভালো মানুষ। খলিল মিয়ার পরিবারের লোকজনের আশঙ্কা, খলিল মিয়ার নামে থাকা সম্পত্তি তাঁর ভাইদের নামে লিখে দেবেন। এই আতঙ্কেই খলিল মিয়ার ওপর চলত এসব অমানবিক নির্যাতন। তাই গত শুক্রবার তাঁকে নির্যাতনের পর হাত–পা বেঁধে পাগল সাজিয়ে ফরিদপুরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করেন স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে।
ভুক্তভোগীর ভাই তারা মিয়া বলেন, ‘আমার ভাই খলিল মিয়া মালয়েশিয়া ছিল ৯ বছর, সৌদি ছিল তিন বছর। বিদেশে থাকাকালীন সমস্ত টাকাপয়সা তার পরিবারের কাছে পাঠাইছে। তার পরিবারের কেউ টাকার হিসাবকিতাব তাকে দিতে পারে নাই। তার পরও গত কয়েক দিন আগে আমার ভাই সম্পত্তি বেচে ৭ লাখ টাকা দিছে ওদের। তারপর আবারও ওরা সম্পত্তি বেচে টাকা চায়। ওরা ভাবে, হয়তো আমার ভাই আমারে সম্পত্তি লিখে দিবে। এই কারণে আমার ভাইরে হাত–পা বেঁধে গরুর মতো হাতের ভেতর বাঁশ দিয়া ঝুলাইতে ঝুলাইতে পশ্চিম দিক দিয়ে নিয়ে গেছে। যখন মানুষ জিগাইছে কী হইছে, ওরা কইছে পাগল হয়ে গেছে। তাই তারে নিয়ে যাইতেছি। আমার ভাই, আমি কী বলব, আপনারা গ্রামে আরও মানুষ আছে তাদের কাছে জিজ্ঞাস করে দেখেন, আমার ভাই পাগল, নাকি ভালো।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে খলিল শেখের স্ত্রী হায়াতুন বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী প্রায় তিন মাস যাবৎ পাগল। সে প্রায়ই বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে। তাঁকে বেঁধে প্রথমে ফরিদপুর এবং পরে পাবনার সুরমা মেন্টাল ক্লিনিক (প্রা.) মানসিক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছি। সেখানে তাঁর চিকিৎসা হবে। তবে আমার দেবর আর তাঁদের সন্তানেরা মিলে আমার স্বামীর সম্পত্তি লিখে নেওয়ার চেষ্টা করছে।’
প্রতিবেশী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘খলিল মিয়ার বাড়িতে চিল্লাচিল্লির আওয়াজ আমার কানে গেছে। তখন আমি আরও কয়েকজন নিয়া ওই বাড়ি গেছি। যাইয়া দেখি দরজা আটকানো, জানালা খোলা। জানালা দিয়া দেখি হাত-পা বাঁধা। পরে বললাম, হাত-পা বাঁধা কেন, কী হইছে। ওরা বলল পাগল হয়ে গেছে। আমি কইলাম, পাগল হয়ে গেছে ভালো কথা। আমাদের কাছে দে, আমরা দেখি। আমাদের কাছে দিল না। পরে খালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলম, সে আমাকে ফোন করে বলল, কাকা তুমি তোমার দায়িত্বে ওনারে নিয়ে আসো। আমি দুই বার চেয়ারম্যানের দোহাই দিয়া কইছি আমার কাছে চেয়ারম্যান দিতে কইছে, ওরা দেয় নাই। পরে নামাজ পড়তে গেছি, আইয়া শুনি হাত-পা বাইন্দা নিয়া গেছে।’
রাজৈর থানার ওসি মো. শেখ সাদিক জানান, খলিল শেখের ছোট ভাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্যে ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ। তবে খলিল শেখ কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে। পাবনার ওই হাসপাতালে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান তিনি। তারপরেও বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ভুক্তভোগী হাজি খলিল মিয়া মৃত নূর উদ্দিন শেখের মেজো ছেলে। অভিযুক্তরা হলেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী হায়াতন (৫০), দুই ছেলে নাজমুল মিয়া (২৮) ও আসিফ মিয়া, দুই মেয়ে রাবেয়া বেগম (২৫) ও মাহামুদা আক্তার (২২)।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, হাজি খলিল মিয়া দীর্ঘ ১২ বছর প্রবাসে ছিলেন। প্রবাস থেকে তিন বছর আগে দেশে আসেন। এরপর তাঁর টাকাপয়সার হিসাব চান। তখন থেকে তাঁর ওপর চলে অমানবিক নির্যাতন। গত শুক্রবার খলিল মিয়ার হাত–পা বেঁধে নির্যাতন করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় বৌলগ্রামসহ এলাকার সচেতন মহল এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
৫৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, খলিল মিয়ার স্ত্রী ও সন্তানেরা তাঁর হাত–পা বেঁধে তাঁকে নির্যাতন করছেন। এ সময় চিৎকার করে ময়না ও খোদে নামের দুজনকে ডাকছেন এবং তাঁকে রক্ষা করার জন্য বলছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভিডিও ধারণকারী বলেন, ‘আমি বাড়ীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন আমার বড় চাচা খলিল শেখের কান্না-কাটির শব্দ পাই। পরে জানলা দিয়ে দেখি তাঁকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করা হচ্ছে। পরে ভিডিওটি মোবাইলে তুলি। এরপর আমাদের বাড়ির অন্য লোকদের ডেকে আনার পরে আর চাচাকে দেখতে পাইনি।’
এলাকাবাসীর দাবি, খলিল মিয়া সম্পূর্ণরূপে একজন সুস্থ ও ভালো মানুষ। খলিল মিয়ার পরিবারের লোকজনের আশঙ্কা, খলিল মিয়ার নামে থাকা সম্পত্তি তাঁর ভাইদের নামে লিখে দেবেন। এই আতঙ্কেই খলিল মিয়ার ওপর চলত এসব অমানবিক নির্যাতন। তাই গত শুক্রবার তাঁকে নির্যাতনের পর হাত–পা বেঁধে পাগল সাজিয়ে ফরিদপুরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করেন স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে।
ভুক্তভোগীর ভাই তারা মিয়া বলেন, ‘আমার ভাই খলিল মিয়া মালয়েশিয়া ছিল ৯ বছর, সৌদি ছিল তিন বছর। বিদেশে থাকাকালীন সমস্ত টাকাপয়সা তার পরিবারের কাছে পাঠাইছে। তার পরিবারের কেউ টাকার হিসাবকিতাব তাকে দিতে পারে নাই। তার পরও গত কয়েক দিন আগে আমার ভাই সম্পত্তি বেচে ৭ লাখ টাকা দিছে ওদের। তারপর আবারও ওরা সম্পত্তি বেচে টাকা চায়। ওরা ভাবে, হয়তো আমার ভাই আমারে সম্পত্তি লিখে দিবে। এই কারণে আমার ভাইরে হাত–পা বেঁধে গরুর মতো হাতের ভেতর বাঁশ দিয়া ঝুলাইতে ঝুলাইতে পশ্চিম দিক দিয়ে নিয়ে গেছে। যখন মানুষ জিগাইছে কী হইছে, ওরা কইছে পাগল হয়ে গেছে। তাই তারে নিয়ে যাইতেছি। আমার ভাই, আমি কী বলব, আপনারা গ্রামে আরও মানুষ আছে তাদের কাছে জিজ্ঞাস করে দেখেন, আমার ভাই পাগল, নাকি ভালো।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে খলিল শেখের স্ত্রী হায়াতুন বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী প্রায় তিন মাস যাবৎ পাগল। সে প্রায়ই বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে। তাঁকে বেঁধে প্রথমে ফরিদপুর এবং পরে পাবনার সুরমা মেন্টাল ক্লিনিক (প্রা.) মানসিক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছি। সেখানে তাঁর চিকিৎসা হবে। তবে আমার দেবর আর তাঁদের সন্তানেরা মিলে আমার স্বামীর সম্পত্তি লিখে নেওয়ার চেষ্টা করছে।’
প্রতিবেশী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘খলিল মিয়ার বাড়িতে চিল্লাচিল্লির আওয়াজ আমার কানে গেছে। তখন আমি আরও কয়েকজন নিয়া ওই বাড়ি গেছি। যাইয়া দেখি দরজা আটকানো, জানালা খোলা। জানালা দিয়া দেখি হাত-পা বাঁধা। পরে বললাম, হাত-পা বাঁধা কেন, কী হইছে। ওরা বলল পাগল হয়ে গেছে। আমি কইলাম, পাগল হয়ে গেছে ভালো কথা। আমাদের কাছে দে, আমরা দেখি। আমাদের কাছে দিল না। পরে খালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলম, সে আমাকে ফোন করে বলল, কাকা তুমি তোমার দায়িত্বে ওনারে নিয়ে আসো। আমি দুই বার চেয়ারম্যানের দোহাই দিয়া কইছি আমার কাছে চেয়ারম্যান দিতে কইছে, ওরা দেয় নাই। পরে নামাজ পড়তে গেছি, আইয়া শুনি হাত-পা বাইন্দা নিয়া গেছে।’
রাজৈর থানার ওসি মো. শেখ সাদিক জানান, খলিল শেখের ছোট ভাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্যে ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ। তবে খলিল শেখ কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে। পাবনার ওই হাসপাতালে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান তিনি। তারপরেও বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ জুলাই ২০২৫সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫