Ajker Patrika

‘চোখ-মুখ বেঁধে পালাক্রমে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ওরা’

আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২২, ১৫: ৩২
‘চোখ-মুখ বেঁধে পালাক্রমে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ওরা’

গত শুক্রবার গভীর রাতে গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তাকওয়া পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন পোশাক কারখানার এক নারী শ্রমিক। সেদিনের সেই পাশবিক নির্যাতনের কথা জানালেন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী।

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী বলেন, ‘আমাকে মারধর করে বাস থেকে নামিয়ে, আমার স্ত্রীর চোখ-মুখ বেঁধে পালাক্রমে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ওঁরা।’

ভুক্তভোগী নারীর (২১) বাড়ি নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলায়। তাঁর স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায়। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলায় ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন।

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী বলেন, ‘গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস এলাকা থেকে তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসে উঠে শ্রীপুরে দিকে রওনা হই। এ সময় আমরা বাসের মাঝামাঝি স্থানের সিটে বসি। ওইখানে আগে থেকেই কয়েকজন যাত্রী ছিল। এরপর গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকায় গিয়ে কয়েকজন যাত্রী নেমে যায়। পরে বাসটি রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা এলে সব যাত্রী নেমে যায়। এরপর আবার বাসচালক বাসটি চালানো শুরু করলে রাত তিনটা ৪০ মিনিটের সময় মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছামাত্র বাসে থাকা কয়েকজন মিলে আমাকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করতে থাকে। এ সময় আমার স্ত্রী এগিয়ে এলে ওরা আমার স্ত্রীর মুখ চেপে ধরে। এরপর আমার সঙ্গে থাকা সব টাকা-পয়সা ও মালামাল লুট করে নিয়ে আমাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলে দেয়। পরে আমি আমার ছোট বোনের বাসায় পৌঁছে তাকে এ ঘটনা বিস্তারিত খুলে বলি।’

স্ত্রীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘উপজেলার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকা পর্যন্ত গিয়ে আমার স্ত্রীর চোখ-মুখ বেঁধে পালাক্রমে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে হায়েনার দল আমার স্ত্রীর সব জামাকাপড় খুলে নিয়ে ওদের কাছে গচ্ছিত রাখে। ওই অবস্থায় বাস থেকে নামিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমার স্ত্রী ওদের হাত-পা ধরে নিজের কাপড় ফিরে পায়। এরপর গাজীপুর সদর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর এলাকার ফুট ওভারব্রিজের কাছে নামিয়ে ওরা চলে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরে আমার স্ত্রী ফোন করে তার অবস্থানের কথা জানায়। বাসের ভেতরে তাদের কথাবার্তায় গাজীপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের বাসিন্দা বলে বুঝতে পারে। এরপর জয়দেবপুর থানার পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করি।’ 

গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, ঘটনার পরপরই দিনভর অভিযান পরিচালনা করে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন মো. রাকিব মোল্লা (২৩), সুমন খান (২০), মো. সজীব (২৩), মো. সুমন হাসান (২২) ও মো. শাহিন মিয়া (১৯)। 

শ্রীপুর থানায় পরিদর্শক অপারেশন আনিসুল আশেকীন বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত থেকে আইনি প্রক্রিয়া শেষ কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চাকরির নামে মিরপুর-শেওড়াপাড়ায় বাসায় ডেকে নারীর সঙ্গে ভিডিও ধারণের পর টাকা হাতিয়ে নিত ‘হানি ট্র্যাপ’ চক্র

তথ্য যাচাইয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করবেন—ইউটিউব চ্যানেলে সিইসির বার্তা

দুস্থদের ৩৪ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা মোহনগঞ্জ সমাজসেবা কর্মকর্তা

ফরিদপুরে চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে সেবা বন্ধের ঘোষণা

দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ছাত্রদলের বহিষ্কৃত ২ নেতাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত