গত শুক্রবার গভীর রাতে গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তাকওয়া পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন পোশাক কারখানার এক নারী শ্রমিক। সেদিনের সেই পাশবিক নির্যাতনের কথা জানালেন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী।
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী বলেন, ‘আমাকে মারধর করে বাস থেকে নামিয়ে, আমার স্ত্রীর চোখ-মুখ বেঁধে পালাক্রমে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ওঁরা।’
ভুক্তভোগী নারীর (২১) বাড়ি নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলায়। তাঁর স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায়। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলায় ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন।
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী বলেন, ‘গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস এলাকা থেকে তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসে উঠে শ্রীপুরে দিকে রওনা হই। এ সময় আমরা বাসের মাঝামাঝি স্থানের সিটে বসি। ওইখানে আগে থেকেই কয়েকজন যাত্রী ছিল। এরপর গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকায় গিয়ে কয়েকজন যাত্রী নেমে যায়। পরে বাসটি রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা এলে সব যাত্রী নেমে যায়। এরপর আবার বাসচালক বাসটি চালানো শুরু করলে রাত তিনটা ৪০ মিনিটের সময় মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছামাত্র বাসে থাকা কয়েকজন মিলে আমাকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করতে থাকে। এ সময় আমার স্ত্রী এগিয়ে এলে ওরা আমার স্ত্রীর মুখ চেপে ধরে। এরপর আমার সঙ্গে থাকা সব টাকা-পয়সা ও মালামাল লুট করে নিয়ে আমাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলে দেয়। পরে আমি আমার ছোট বোনের বাসায় পৌঁছে তাকে এ ঘটনা বিস্তারিত খুলে বলি।’
স্ত্রীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘উপজেলার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকা পর্যন্ত গিয়ে আমার স্ত্রীর চোখ-মুখ বেঁধে পালাক্রমে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে হায়েনার দল আমার স্ত্রীর সব জামাকাপড় খুলে নিয়ে ওদের কাছে গচ্ছিত রাখে। ওই অবস্থায় বাস থেকে নামিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমার স্ত্রী ওদের হাত-পা ধরে নিজের কাপড় ফিরে পায়। এরপর গাজীপুর সদর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর এলাকার ফুট ওভারব্রিজের কাছে নামিয়ে ওরা চলে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে আমার স্ত্রী ফোন করে তার অবস্থানের কথা জানায়। বাসের ভেতরে তাদের কথাবার্তায় গাজীপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের বাসিন্দা বলে বুঝতে পারে। এরপর জয়দেবপুর থানার পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করি।’
গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, ঘটনার পরপরই দিনভর অভিযান পরিচালনা করে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন মো. রাকিব মোল্লা (২৩), সুমন খান (২০), মো. সজীব (২৩), মো. সুমন হাসান (২২) ও মো. শাহিন মিয়া (১৯)।
শ্রীপুর থানায় পরিদর্শক অপারেশন আনিসুল আশেকীন বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত থেকে আইনি প্রক্রিয়া শেষ কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
গত শুক্রবার গভীর রাতে গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তাকওয়া পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন পোশাক কারখানার এক নারী শ্রমিক। সেদিনের সেই পাশবিক নির্যাতনের কথা জানালেন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী।
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী বলেন, ‘আমাকে মারধর করে বাস থেকে নামিয়ে, আমার স্ত্রীর চোখ-মুখ বেঁধে পালাক্রমে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ওঁরা।’
ভুক্তভোগী নারীর (২১) বাড়ি নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলায়। তাঁর স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায়। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলায় ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন।
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী বলেন, ‘গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস এলাকা থেকে তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসে উঠে শ্রীপুরে দিকে রওনা হই। এ সময় আমরা বাসের মাঝামাঝি স্থানের সিটে বসি। ওইখানে আগে থেকেই কয়েকজন যাত্রী ছিল। এরপর গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকায় গিয়ে কয়েকজন যাত্রী নেমে যায়। পরে বাসটি রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা এলে সব যাত্রী নেমে যায়। এরপর আবার বাসচালক বাসটি চালানো শুরু করলে রাত তিনটা ৪০ মিনিটের সময় মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছামাত্র বাসে থাকা কয়েকজন মিলে আমাকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করতে থাকে। এ সময় আমার স্ত্রী এগিয়ে এলে ওরা আমার স্ত্রীর মুখ চেপে ধরে। এরপর আমার সঙ্গে থাকা সব টাকা-পয়সা ও মালামাল লুট করে নিয়ে আমাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলে দেয়। পরে আমি আমার ছোট বোনের বাসায় পৌঁছে তাকে এ ঘটনা বিস্তারিত খুলে বলি।’
স্ত্রীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘উপজেলার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকা পর্যন্ত গিয়ে আমার স্ত্রীর চোখ-মুখ বেঁধে পালাক্রমে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে হায়েনার দল আমার স্ত্রীর সব জামাকাপড় খুলে নিয়ে ওদের কাছে গচ্ছিত রাখে। ওই অবস্থায় বাস থেকে নামিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমার স্ত্রী ওদের হাত-পা ধরে নিজের কাপড় ফিরে পায়। এরপর গাজীপুর সদর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর এলাকার ফুট ওভারব্রিজের কাছে নামিয়ে ওরা চলে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে আমার স্ত্রী ফোন করে তার অবস্থানের কথা জানায়। বাসের ভেতরে তাদের কথাবার্তায় গাজীপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের বাসিন্দা বলে বুঝতে পারে। এরপর জয়দেবপুর থানার পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করি।’
গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, ঘটনার পরপরই দিনভর অভিযান পরিচালনা করে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন মো. রাকিব মোল্লা (২৩), সুমন খান (২০), মো. সজীব (২৩), মো. সুমন হাসান (২২) ও মো. শাহিন মিয়া (১৯)।
শ্রীপুর থানায় পরিদর্শক অপারেশন আনিসুল আশেকীন বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত থেকে আইনি প্রক্রিয়া শেষ কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ জুলাই ২০২৫সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫